নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মহত্যাপ্রবণ বড় সমাজে,সহনশীল হয়ে ঘুষ খেতে হয়--- জেলাশাসক

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০


জেলাপ্রশাসক নয়।হওয়া উচিত জেলা শাসক।তার পরও বলছি তিনি জেলাপ্রশাসক।একজন জেলাপ্রশাসকের কাজ নয় স্কুল ভর্তিপরীক্ষার আয়োজন করা- এমনটা প্রশ্ন তুলেছেন? বাস্তবে এসব কাজ হলো শিক্ষামন্ত্রণালয়ের।এ পর্যণ্ত একটা নতুন স্কুল আপনার চট্টগ্রামে পয়দা করতে পারছেন? পারেন নাই। বরং অন্যরা করলে সেখানে পেশী দেখান,বাধা দেন!! আপনারা স্কুল বলতে চেনেন হাতে গোনা ৭-৯টা স্কুল!আর চেনেন না যান ও না।ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন কোচিং ব্যবসা,শিক্ষকরা লিংকিং কোন কোন অফিসের সাথে টাকা ভাগ করে ছাত্রভর্তি করায় সেসব অভিভাবকরা খুব ভাল করেই জানে! কথা হলো.... কাজ কার? আর কার না?…..আসলে প্রশ্নটা অনেক পুরনো।তবু বলতে হয় অন্যেদের অনেক কাজ আজকাল জেলা প্রশাসকরা করেন।এগুলো তাদের বেসিক বা আদার কাজও না।তবু তারা করেন!
আমাদের জেলাপ্রশাসক বা জেলাপ্রশাসনের কর্তারা জেলার নবীতুল্য!এমনটা বললে কম হয়!তারা তারচেও বেশি।এবং তাদের কর্মসততা আল-আমিনের চেয়েও বেশি।কেননা তারা সবদিক থেকে পরিচ্ছন্ন হন,সৎ হন এবং যেহেতু তাদের এফিসিয়েন্সি নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না—সে হিসাবে তারা আলআমিন।
[সম্প্রতি শুনলাম একজন অভিভাবক ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে গিয়েছেন এবং জেলাপ্রশাসক অপরাধ হিসাবে নিয়ে শাস্তি দিয়েছেন।খুব নায্য কাজ করেছেন।কিন্তু উনাকে কিছু মনে করিয়ে দিতে চায়, তারপূর্ব জেলাশাসকের চট্টগ্রাম অফিসে বস্তাসহ টাকা নিয়ে ধরাপড়েছিলেন তিনি বলেছিলেন টাকাটা যাচ্ছে জেলাপ্রশাসকের অফিসে।জেলা প্রশাসক তা উদঘাটনের প্রয়োজন মনে করেননি।ওই বিচারটা পাওয়া গেলে কিছুটা বিশ্বাস করতে পারত আপনারাও পারেন।জেলাপ্রশাসন অফিসে যারা যান তারা জানেন তারা কতোটা সৎ!তিনি ও তিনার দল(এডিসিরা) খুবই সৎভাবে অফিস চালান আর জনের কর্মগুলো সেবা হিসাবে করে দেন।যেহেতু তাদেরকে প্রজাতন্ত্র বেতন দিয়ে থাকে।প্রজাদের ট্যাক্সের যোগান দাতা হিসাবে জেলারনবীরা বেতন পান সংসার চালান।
সম্প্রতি আরেকটা ঘটনা জানলাম,চট্টগ্রামে টানেলের জন্য জমি অধিগ্রহণের টাকা তোলার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষতিপূরণ হিসাবে তা দেয়া শুরু হয়েছে।এ টাকা তোলার জন্য যারা যাচ্ছে তাদের মুখে শুনছি ২৫ লাখ,৩০ লাখ না দিলে কাজ হবে না!যারা ডিমান্ড করেন তারাতো এলএ সেকশন দেখাশুনা করেন।এলোক গুলো তারা তো ৫-৬মাস ধরে কষ্ট পাচ্ছে মানে আপনারা দিচ্ছেন বলেই পাচ্ছে!সরকার আইন করেছে তিনগুন ক্ষতিপূরণ দেবে।এই তিনগুনের দুইভাগ খেয়ে ফেলতেছে এরাই! দোষটা সরকারের নন।আবার সরকারেরও।যদি এর সাথে মন্ত্র্রী যুক্ত থাকে, আমলা যুক্ত থাকে,,,।যা হোক,তিনি মানে জেলার নবী তিনি কি কিছুই জানেন না!]
যাক আসল কথায় আসি জেলার সব দায়িত্ব আসলে জেলাপ্রশাসকের নয়।তারও উচিত সবকাজের কাজী না হয়ে তিনি তার বেসিক কাজে থাকবেন।আমলা হওয়া মানে জটিলতা তৈরি করা না।জটিলকে সহজ করার জন্য প্রজাতন্ত্র তাদেরকে নিয়োগ দেয়।আর এখানে হয়ে উল্টাটা।এককাজকে স্বচ্ছতার জন্য ৫০টি কাজের সমান জটিলতা তৈরি করা না।এই সামান্য সেন্স যতদিন আপনাদের হবে না ততদিন জেলার নবী হয়ে থাকবেন।ভিন্ন কিছু হয়ে উঠার সাধ্য আপনাদের নাই।অবশ্য আপনাদের দোষ দিয়ে কিলাভ।একটা বিশ্রী সমাজ থেকে বিশ্রী শিক্ষা ও রাজনীতির পাঠকরা দেশে কিই বা আশা করা যায়!!সর্বত্র এক নৈরাজ্যে ও নৈরাশ্যর ভেতর দিয়ে মানুষ এটা অতিক্রম করে দিন পার করে।যা পায় তার সন্তুষ্টি নিয়ে।তার সাথে শান্তিও নিরাপত্তার কোন যোগ নাই।সবইতো তিনারা করেন তিনারাতো নবী সে হিসাবে নবীরা করেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের বেশির ভাগ জেলাপ্রশাসক তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন না। কিন্তু সরকারের সব রকম সুবিধা ভোগ করেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা ও ভাল থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.