নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু ট্র্যাজেডি…..

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫






মানুষের যেকোন অপ্রাকৃতিক মৃত্যু বিষাদের।পিলখানা ও তাই।(৫৭ সেনাকর্মকর্তা ও দেশপ্রেম ও খাঁটি বাংলাদেশ –এড়িয়ে গেলাম)।এ বিষয়গুলো ব্যাখা করার জন্য অধ্যাপক হতে হয়না।জাস্ট রাস্তায় খেটে খাওয়া লোকরা ও বুঝে কি তে কি হয়।বর্ডারর্গাড(পূর্বের বিডিআর)সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত একটা অধস্তন বাহিনী।অথচ বিডিআর এর যে কর্ম ও কৌশল এবং বাহিনীর কলেবর অনুযায়ী এটা একটা স্বতন্ত্র বাহিনী হওয়াটাই ‍উচিত ছিল।কিন্তু হয়নি।সেনাবাহিনী সবসময় নৌ ও বিমানবাহিনীকে আন্ডারস্টেমেইট করে এখনো কথা বলে।তার প্রমাণ আরেকবার দেখেছিলাম গতবারের সশস্ত্রবাহিনী দিবসে চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের টকশোতে রীতিমতোন তর্কবির্তক!তেমনি আরেকটা বাহিনী আছে –যেমন আনসার ও ভিডিপি তারাও সেনাবাহিনীর অধস্তন বাহিনী। হ্যাঁ এমনটাই হতে পারে যে প্রশিক্ষণের জন্য তাদেরকে অন্যবাহিনীতে ডেকে পাঠানো যায়।কিন্তু তাদের অতি জ্ঞান,অতি ক্ষমতা শোআপ করার মতোন ভয়ানক মানসিকতা তারা কোনভাবেই পরিত্যাগ করতে পারে না।এটাতো সত্য ওরা এই সমাজ থেকে জন্ম বেড়ে উঠেইতো নানান কাজেকর্মে নিজেদের যুক্ত করেছে।সমাজেতো এখন শোআপ করার শিক্ষাই বড় শিক্ষা।যার যার অবস্থান থেকে সেই বড়ো।…যাই হোক,আনসার বিদ্রোহ ও বিডিআর বিদ্রোহকে মূল্যায়ন করতে রাষ্ট্র পারেনি।রাষ্ট্রের দক্ষতাহীনতা ও যোগ্যতাহীনতা এইসব বাহিনীর মধ্যে ক্লেশ তৈরি করছে।বিডিআর বিদ্রোহ হয়ে যাবার পর পুলিশ সেনা নৌ ও বিমানবাহিনীর মতোন স্বয়ংস্বসম্পূর্ণ বাহিনী হিসাবে তৈরি করার সাজেশন এসেছিল।তাদের জন্য নতুন বিধিমালা তৈরি করে সর্ম্পূণ বাহিনী হিসাবে নিয়োগ থেকে শুরু করে রিটার্য়ণমেন্ট পর্যন্ত একেবারে তারা নিজেদের বিধিমালাঅনুযায়ী হবে। কিন্তু প্রতিশোধপরায়ণতা ও রাষ্ট্রের ব্যর্থতা তা হতে দেয়নি!সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশ নয় সমগ্র তৃতীয়বিশ্বে ব্যাপক আলোচনার বিষয়।রাষ্ট্রের অধস্তনরা কিভাবে রাষ্ট্রের নিয়ামক হয় বা হয়ে উঠে যদিও আজকাল সেই দাপট অনেকটা কমে এসেছে।উপমহাদেশে একমাত্র ভারত ছাড়া বাকি সব দেশে সেনবাহিনীর ভূমিকাটা অনেকটা ছায়া সরকারের মতোন।ডার্কহর্স রাইডার!বিডিআর বিদ্রোহকে দেশপ্রেম ও খাঁটিবাংলাদেশ বলে যখন প্রচারণা চালান তখন আসল বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যাওয়া হয়।বাস্তবতাবির্বজিত এইসব দু-চারখানা দেশপ্রেম বাণী দিয়েতো বিরোধ মেটানো যায় না।সমস্যার সমাধানও হয় না।বরং সমস্যাগুলো জাগিয়ে রাখতে গোষ্ঠীগতো ভূমিকাকে বড় করে দেখানো হয়।সব নাগরিককে সমান মূল্যায়ন করা হয়না বলে রাজনীতিক আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের একমাত্র দেশপ্রেমের বাহক হিসাবে তুলে ধরা হয়।দেশপ্রেম এইখানে এতোটা সস্তা ও স্লামজাতীয় ব্যাপার হয়ে খাঁটি সুগন্ধ ছড়ায় আদতে পিপলস এটাকে দুর্গন্ধ হিসাবেই মূল্যায়ন করে।৪৫ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে মূল্যায়ন করলে পিপলসের কাছে যান।তারা এই বাহিনীকে খুব একটা শ্রদ্ধার চোখে দেখে না।আবার এই কথা ও বলে শালার লাঠির বারি ছাড়া বাঙালি কখনো মর্ম বুঝলো না!!বৃটিশ ও পাকিস্তানি মনোভাবে গড়ে উঠা বাহিনী এখনো সেই মনোভাবাপন্ন রয়ে গেছে। ভারত কিছুটা রক্ষা করতে পেরেছে। তবে পিপলসের রেসপেকটিভ টুলস হিসাবে তারা নিজেদের গড়ে তুলতে পারছে না।অনেকেই বলছেন গতকাল শ্রীদেবীর মৃত্যুর চেয়ে পিলখানা ছোট হয়ে গেছে।এরপেছনে পিপলসের মনস্তাত্ত্বিকতা আছে।যার ফলে আলো-আঁধারি এই জগতে সেইসব একটা খেলা হয়ে আছে।দায়িত্ব ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি পরস্পর আলাদা আলাদা টুলস হয়ে নতুন ধাঁধা তৈরি করে যাচ্ছে।যা কাম্য নয় তা কেন বারবার বাস্তব হয়ে দ্বিধায় ও ধাঁধায় ফেলে দেয় তার মূল্যায়ন এখন বড়ো চ্যালেঞ্জ। শুধু ট্র্যাজেডির রেওয়াজ করলে হবে না।তার চেয়ে বেশি কিছু করার জন্য শোক যথেষ্ট নয়। এইসব ঘটনা পুনরায় না হওয়ার জন্য শোক আর শক্তির মধ্যকার বিরোধর্পূর্ণ দেয়াল ভাঙতে হবে।ধন্যবাদ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.