নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি WordPress.org তে একজন PlugIn Developer এবং আমার ঠিকানা হল https://profiles.wordpress.org/tawhidurrahmandear/

তাওহীদুর রহমান ডিয়ার

তাওহীদুর রহমান ডিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডেটলের মূল্য ১ টাকা বেশি রাখায় জরিমানা দিতে হয় ৫,০০০ টাকা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫



আমরা প্রায়ই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে, কাঁচা বাজারে, মুদি দোকান বা সুপারশপে, ফার্মেসিতে প্রতারিত হচ্ছি। কিন্তু বাংলাদেশের আইনে স্বল্প সময়ে ও সহজে প্রতিকারের সুযোগ রয়েছে। আপনি কিভাবে প্রতিকার পেতে পারেন, তার বিষয়ে আজকের বিস্তারিত লেখা, এবং পুরোটাই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে। আপনি একদিন ইমেইলে বা ডাকে চিঠি পাঠিয়ে, আরেকদিন শুনানিতে উপস্থিত হয়েই রায় পেয়ে যেতে পারেন। আপনি নগদে, বাকিতে, কিস্তিতে যেভাবেই কিনুন, আইন আপনার পক্ষে। এমনকি আসামিকে প্রদানকৃত অর্থদণ্ডের ২৫% আপনি পাবেন ক্ষতিপূরণ পাবেন। আমি যেমন ডেটলের মূল্য ৪২ টাকার ক্ষেত্রে ৪৩ টাকা রাখায় “জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর”এ অভিযোগ করায় বিক্রেতার ৫,০০০ টাকা জরিমানা হয়, এবং আমি তার ২৫% হিসাবে পেয়ে যাই ১,২৫০ টাকা। এখানে বিষয়টা ১ টাকার ছিল না, প্রশ্নটা ন্যায় বিচারের, জবাবদিহিতার, স্বচ্ছতার।


আসুন বিস্তারিত জেনে নিই।তবে মূল আলোচনায় যাওয়ার পূর্বে জেলা আদালত নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটু কথা বলে নিই।

আপনি যদি জেলা আদালতে প্রতিকারের জন্য যান, তবে তা দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া হবে, কারন কয়েক লক্ষ মামলার জট রয়েছে। পাশাপাশি উকিল নিয়োগের ব্যয় ইত্যাদি! যদি আপনার ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশি হয়, তবে জেলা আদালতই শ্রেয়। ক্ষতির পরিমাণ আর্থিক মূল্যে নিরূপণযোগ্য হলে, উক্ত নিরূপিত অর্থের অনূর্ধ্ব পাঁচগুণ পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবী করে আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করা যায়৷ কিন্তু স্বল্প মাত্রার ক্ষতিতে বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে, তা হল “জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর”। আজকের আলোচনা এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে ...


কি কি বিষয়ে আপনি প্রতিকার পেতে পারেন?
# ইচ্ছাকৃতভাবে ভেজাল মিশ্রিত পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা। যেমন সয়াবিনের সাথে পাম অয়েল মিশিয়ে বিক্রি করলে। কিংবা মহিষের মাংস কিনতে গেলেন, মাঝে দিয়া আপনাকে ছাগলের মাংস কিছু মিশায়া দিল। হতে পারে না?

# স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকারক কোন দ্রব্য কোন খাদ্যপণ্যের সাথে যদি কেউ মিশিয়ে বিক্রি করে। আমরাতো নিয়মিত ফরমালিন খাই, তাই না? (বাই দ্য বাই, ফরমালিন আছে তা বুঝব কিভাবে?)

# কোন পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করলে। যেমন আমি যখন কলেজে পড়তাম, আমাদের সাথে রিতা নামের একটা মেয়ে পড়তো, যার হাইট ছিল ৪ ফুট, কোন এক এশিয়ান শপ থেকে ১২,০০০ টাকা দামের জুতা কিনল, যেটা পরে ৬ মাস ১ ঘণ্টা করে হাটলে ৬ ইঞ্চি লম্বা হবে। সে ১ ইঞ্চিও লম্বা হয় নাই। আফসোস, বড়ই আফসোস!

# প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা ক্রাইম। যেমন এয়ার কন্ডিশন্ড হোটেলে উঠলেন, রাতের বেলা টের পাইলেন বেচারা এয়ার কন্ডিশনার শুধু কাশি দেবার মত আওয়াজ করে, ঠাণ্ডা বাতাস আর বাইর করে না।

# যার মূল্য পণ্যর গায়ে লেখা নাই সে সকল পণ্যর মূল্যর তালিকা সব প্রতিষ্ঠানে টানাতে হবে। আপনি আপনার বান্ধবী বা নতুন বিয়ে করা বউ নিয়ে চাইনিজ বা ইটালিয়ান ফুড খেয়ে উঠতে গিয়ে দেখলেন, বিল হইছে আপনার তিন মাসের বেতনের সমান। দেইখা ডায়রিয়া হয়া যাওয়ার উপক্রম? সরি! সেই দিন আর নাই।

# কোন পণ্য বিক্রয়ের সময়ে প্রতিশ্রুত ওজন অপেক্ষা কম ওজনের পণ্য সরবরাহ করলে। এরকমটা অবশ্য খুব কম ঘটে, আমার পরিচিত কারো এই অভিজ্ঞতা হয় নাই।

# কোন পণ্য বিক্রয় উদ্দেশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ওজন পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্র প্রকৃত ওজন অপেক্ষা ভিন্ন ওজন প্রদর্শন করলে। ডোন্ট মাইন্ড ব্রাদার্স এন্ড সিস্টার্স, বাসার থেকে দোকান যাওয়ার সময় বাজারের ব্যাগে কয়েক পিস ভিন্ন মাপের বাটখারা নিয়া যাবেন।

# কোন পণ্য বিক্রয় উদ্দেশ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দৈর্ঘ্য পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা প্রকৃত দৈর্ঘ্য অপেক্ষা অধিক দৈর্ঘ্য প্রদর্শন করলে। আমি এই জন্য জিন্সের প্যান্ট বা শার্ট কিনতে গেলে নিজেরটা নিজেই মাপি। অনেক ফাজিল দোকানদার “ইয়েস বস” বলতে বলতে আঙ্গুলের কারসাজিতে ফিতা ছোট বড় করে বাঁশ দেবার চেষ্টা করে, এটা বাংলাদেশে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।

# কারখানায় কোন নকল পণ্য বা ঔষধ প্রস্তুত বা উৎপাদন করা ভয়ঙ্কর অপরাধ এই আইনে। তবে এইটা ধরা মনে হয় আপনার আমার কাজ না, দৌড়ানি খাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সবচে ভাল হয় পুলিশকে জানাইলে।

# মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয় করা অপরাধ। বিশেষ করে চিপাচাপার কিছু ফার্মেসি এইসব কাহিনী করে ভাল। মিটফোর্ডের আসেপাশে যেসব ডাস্টবিন আছে, সেইখান থেকে টোকায়া নিয়া আসে নাকি?

# মোড়ক-আবৃত পণ্য যেমন ডেটল, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট , ঔষধে, পানির বোতল, পেপসি যাতে “MRP (Including VAT)” লেখা থাকে, যদি কেউ তার বেশি নেয়, তবে তা অপরাধ। মুদি দোকান, সুপারশপ, রেস্টুরেন্ট, ঝাকানাকা হাসপাতাল কেউই এক টাকাও বেশি নিতে পারবেন না।


কোথায় অভিযোগ করবেন? এই ঠিকানায়ঃ

প্রতি
মহাপরিচালক,
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
১ কারওয়ান বাজার(টিসিবি ভবন-৮ম তলা), ঢাকা-১২১৫
ফোন / ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৮১৮৯৪২৫, ৮৮-০২-৮১৮৯০৪৫
অভিযোগ কেন্দ্রঃ ০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮
ওয়েবসাইট: http://www.dncrp.gov.bd
ই-মেইল: [email protected]

একই সাথে চিঠি, ফ্যাক্স, ইমেইল সবই করবেন না। যে কোন একটি, এবং তা অবশ্যই ঘটনা ঘটার ৩০ দিনের মধ্যে।চিঠি লেখার ফরম্যাট আপনারা স্কুলেই পড়ে এসেছেন ইতিমধ্যে!


কিছু প্রমাণ সাথে রাখুনঃ
মানি রিসিপ্ট দিলে সেটাই প্রমাণ। না দিলে মোবাইল ফোনের ভিডিও চালু করে শার্টের বুকপকেটে রাখুন বা হাতে এমনভাবে রাখুন, যেন আপনি ভিডিও করছেন তা যেন টের না পাওয়া যায়। অন্ততপক্ষে অডিও চালু করে পকেটে রাখলেও তা কথা রেকর্ড করতে সক্ষম।

সাধু সাবধান, “মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করিলে, উক্ত ব্যক্তি অনূর্ধ্ব তিন বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷” তাই কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা করবেন না।


এরপর কি ঘটবে?
মাসখানেকের মধ্যে আপনার বাসায় চিঠি আসবে, যাতে একদিন উভয়পক্ষকে শুনানির জন্য ডাকা হবে, এবং আশা করা যায় সেদিন-ই রায় হবে। চিঠি পাঠাতে আপনার খরচ প্রিন্ট, ফটোকপি, কুরিয়ার মিলে ২৫ টাকা, ইমেইল হলে আরও কম। শুনানির দিন আপনার উল্লেখিত ঠিকানায় যেতে-আসতে যতটুকু খরচ, দেখলেন-তো কত অল্প টাকায় সমাধান!


অধিদপ্তরের ক্ষমতা কি রকম?
অধিদপ্তরের চেয়ারম্যান হলে বাণিজ্যমন্ত্রী আর প্রশাসনিক বস হলেন মহাপরিচালক, তার ক্ষমতা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের সমান। এই অধিদপ্তরের তদন্ত, তল্লাশি, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, গ্রেফতার, তাৎক্ষনিক শাস্তি ঘোষণা করার ক্ষমতা রয়েছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দুই লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছর কারাদণ্ড হতে পারে, বা উভয় দণ্ড। আপনি যদি অভিযোগকারী হন, আদায়কৃত অর্থদণ্ডের ২৫% আপনাকে প্রদান করা হবে। সরাসরি মহাপরিচালকের নিকট লিখে কোন নাগরিক যেমন প্রতিকার পেতে পারেন, তেমনি এই অধিদপ্তর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সরাসরি নিজেই অভিযান বা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতে পারেন। অভিযুক্ত দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফ্যাক্টরী, কারখানা বা গুদাম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে পারেন। কোন অপরাধের জন্য দণ্ডিত ব্যক্তি যদি পুনরায় একই অপরাধ করেন তবে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে দণ্ড রয়েছে তার দ্বিগুন দণ্ডে দণ্ডিত হবেন৷


দায়মুক্তি
কোন হকার বা ফেরিওয়ালা বা দোকানের বিক্রেতা কোন ভেজাল পণ্য বিক্রি করেছেন, তবে তার জানাই ছিল না, যে তা ভেজাল পণ্য - সে ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গৃহীত হবে না। তবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি অধিদপ্তর কর্তৃক আদিষ্ট বা অনুরুদ্ধ হলে নকল বা ভেজালের উৎস উদ্ঘাটনের বিষয়ে সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য হবেন। কাঁচা মাছ, শাক-সবজির মত দ্রুত পঁচনশীল কোন পণ্য কোন ফেরিওয়ালার কাছে বা কোন দোকানে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক কারণে পচে যাওয়া অবস্থায় পাওয়া গেলে তার জন্য সেই ফেরিওয়ালা বা দোকানদারকে দায়ী করে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে পচে যাওয়া পণ্য বিক্রির জন্য রাখলে শাস্তি অবধারিত।


আপনারা সবাই ভাল থাকুন।
কচ্ছপের মত মাথা খোলের ভিতরে না রেখে বাইর করেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখুন। আমরা সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করি না বলেই মুষ্টিমেয় বদের হাড্ডি ক্রমাগত বৃহত্তর সংখ্যক মানুষকে সকালে এই বাজারে, বিকালে অন্য বাজারে বিক্রি করে চলেছে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ভালো পোস্ট। প্রয়োজন হতে পারে, তাই প্রিয়তে নিলাম।

ধন্যবাদ ভাই তাওহীদুর রহমান।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

তাওহীদুর রহমান ডিয়ার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। যতটা সম্ভব বেশি মানুষকে জানান, প্রতিরোধ প্রয়োজন

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
সচেতনতা বৃদ্ধি করার মত ভাল পোস্ট। +

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

তাওহীদুর রহমান ডিয়ার বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে শিখুন। আমরা সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করি না বলেই মুষ্টিমেয় বদের হাড্ডি ক্রমাগত বৃহত্তর সংখ্যক মানুষকে সকালে এই বাজারে, বিকালে অন্য বাজারে বিক্রি করে চলেছে।

সহমত

+++++++++++++++

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭

তাওহীদুর রহমান ডিয়ার বলেছেন: B-))

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ব্যাপারটা জানা ছিল, আবারো মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২

তাওহীদুর রহমান ডিয়ার বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৮

সুমন কর বলেছেন: আবার !! গ্রেট।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

তাওহীদুর রহমান ডিয়ার বলেছেন: উহহু! আবার না। আমার পদক্ষেপতো সিরিজ পোস্ট হিসাবে দিয়েছিলাম। এবার একজন ক্রেতা কিভাবে সুনির্দিষ্টভাবে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিকার পাবেন - তা লিখে একটা একক পোস্টে দিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.