![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
# বাসের ৫ টি সিট নারীর জন্য সংরক্ষিত হলে আরও ৫ টি সিট, (সবচে পেছনের ৫ টি) শুধু পুরুষের জন্য সংরক্ষিত হওয়া উচিত। বাকি আসনগুলো সাধারণ, যিনি পূর্বে আসন নিতে পারেন।
# যৌতুক যেমন নিন্দনীয় তেমনি দেনমোহর-ও বাতিল হওয়া উচিত।
# সংসদে নারীর জন্য আসন সংরক্ষণ করতে হলে পুরুষের জন্যও করতে হবে। সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর আছেন, সংরক্ষিত পুরুষ আসনের কাউন্সিলর কই?
## সম্পত্তির উত্তরাধিকারী কে হবেন তা নির্ধারণের অধিকার সম্পত্তির মালিকের, রাষ্ট্রের নয়। বাধ্যবাধকতা থাকলে, মন্দের ভাল হিসাবে, তা হওয়া উচিত নারী ও পুরুষের জন্য সমান ভাগ। সমাজের সর্বত্র নারী-পুরুষের সম অধিকার কাম্য। বর্তমানে আছে ছেলে সন্তানের ২ ভাগ, মেয়ে সন্তানের ১ ভাগ - মুসলমানের জন্য। হিন্দুদের অবস্থা আরও খারাপ, হিন্দু কন্যা কোন সম্পত্তি-ই পান না। আমরা সারাজীবন ধর্মের অনুশাসনে মনোযোগী না হলেও বাবা মারা যাবার পর সবাই সম্পত্তি-র জন্য ধার্মিক হই !!!
### সব ধরনের কোটা – মুক্তিযোদ্ধার বংশধর, উপজাতি, জেলা, নারী - এই মুহূর্তে বিলুপ্ত হওয়া উচিত, (তবে প্রতিবন্ধির জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট চাকুরি সংরক্ষন করা প্রয়োজন, যেহেতু তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পর্যায়েই নেই) । নারী-পুরুষের ভারসাম্য রক্ষার জন্য “ন্যূনতম ২৫ ভাগ নারি, ন্যূনতম ২৫ ভাগ পুরুষ, অবশিষ্ট উম্মুক্ত” ব্যবস্থা করতে হলে তা মেধার ভিত্তিতে উন্নীতদের মধ্যে হতেই করতে হবে। কোনভাবেই মেধাপূর্ব কোটা নয়, শুধুমাত্র নির্দিষ্ট লিঙ্গ অপ্রতুল হলে অন্য লিঙ্গ তা পুরণ করবে। ব্যক্তিভিত্তিক ব্যাংক ঋণ, প্রশিক্ষণ, ক্লাসে শিক্ষার্থী ভর্তি সবখানে ‘২৫-২৫-৫০’ ভিত্তিতে নারীপুরুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যায়।
নারী নির্যাতন একটি সত্যি ঘটনা, কিন্তু পাশাপাশি দজ্জাল বউয়ের হাতে বৃদ্ধ শ্বশুর নির্যাতনের ঘটনাও আমরা দেখি, কন্যা শিশু নির্যাতনের পাশাপাশি আমরা বাংলাদেশে পর পর কয়েকটি ছেলে শিশু নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যার ঘটনাও দেখলাম। তাই আইন হবে "নির্যাতন প্রতিরোধ আইন" কোনভাবেই "নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইন" নয়।
(আমার পুরনো লেখা, প্রাসঙ্গিকতায় পুনঃপ্রকাশিত)
©somewhere in net ltd.