নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দাঁড়ান, ভেবে দেখি ....

জাগরী

আর্থ-সামাজিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করা মানুষ। ফ্যান্টাসি বড় পাশবিক। আমলা, হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালার পিছনের ইঁদুর ভালো লাগে না।

জাগরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কষ্টের অ্যালকোহলে কিছুটা মাতলামি

২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

কমলের( বয়স তার ১২) চোখ শুষ্ক হয়ে গেছে অনেকক্ষণ ধরে ল্যাপটপে তাকিয়ে চোখ হা করে থাকায়। অরিজিনাল সিন মুভিটা দেখছে। মুভিতে সময় হল পোকার খেলার মাঝে মূল নারী চরিত্রের নির্যাতিত হওয়ার। যদিও তার সুপ্ত আকাঙ্খা ছিল এমন ‘নির্যাতিত’ হওয়ার দৃশ্য দেখার, তারপরও নিজের মাঝে বোধ ও যুক্তিতে বিন্যস্ত নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা তাকে বাঁধা দিচ্ছিল। কিন্তু তারপরও সে দেখল এবং ব্যথিত, হতাশ হল। রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় কাঠের রকিং চেয়ারে বসে দোল খাচ্ছে। মন খারাপের প্রবোধ-মূলক এক ধরণের ব্যাখা আবিষ্কারের চেষ্টা করছে। শক্ত তলিযুক্ত স্যান্ডেল জোড়ার দ্রুত তালের আওয়াজ শুনে উঠে দাঁড়ালো। বাইরে এক তরুণীর পিছনে একটি ষণ্ডা আকৃতির মোটর-সাইকেল বিকট শব্দে আসছে। ইভটিজার? কিছুক্ষণ আগেই নারী নির্যাতনের একটি দৃশ্য অভিনয়ে দেখল। সরাসরি দেখার মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব হয়তো আরেকটু বেশি হবে। এটা চিন্তা করার সময় টুকুতেই মোটর-সাইকেল মেয়েটিকে রেখে অনেক দূরে। তরুণীটি হঠাৎ পেছনে ফেরে তাদের বাসার গেটে ঢুকলো। প্রচন্ড খুশি হল সে।

আমি কমলকে নৈতিক আদর্শ বিবর্জিত বুর্জোয়া শ্রেণির পরিবারের সদস্য হিসেবে দেখেছি। যে ছেলেটির পরিবারের চরিত্র দুর্মুখ, সুবিধাবাদী। ব্যক্তির ধর্মীয় আচার পালনের গণ্ডি শুধু ব্যক্তি জীবনে সীমাবদ্ধ বলে মনে করে পরিবারটি। মূলত এসব পরিবার সমাজের শাসক শ্রেণির উপাসনা করতে পছন্দ করে, অন্তত আমাদের দেশে। জীবন-দর্শন সম্পর্কে তাদের নীতি-নির্ধারক কোন আদর্শ নেই। মেয়েদের সুন্দর কারুকার্যের মূর্তি হিসেবে দেখে তারা। নিথর সৌন্দর্যের জীবন্ত হয়ে উঠা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত। গোঁড়া ধর্মান্ধ মানুষও তাই মনে করেন। তবে ধর্মবান্ধব মানুষরা হয়ত একটু অন্যরকম। নিজের আখেরে আসলে নৈতিক। অন্য কারো আখেরে চলে গেলে তা উচিত বা অনুচিত হোক সেটা অনৈতিক। তরুণী যদি মোটর-সাইকেলের সামনে না থেকে সেটার আসনেই বসে থাকত সেটাও অনৈতিক হত। আদর্শবাদী সংগঠনগুলোতে নৈতিকতার কোর্তায় এসব কপট সাধুরা থাকে বলেই নিবেদিত কর্মীরা হতাশ হয়। পরবর্তীতে সংগঠন ত্যাগ করে আদর্শ প্রতিষ্ঠায় চরম পন্থা অবলম্বন করে। তবে সবার ক্ষেত্রেই একরকম হয়না। অবশ্যই প্রত্যেক মানুষের আলাদা স্বতন্ত্র চিন্তা করার ক্ষমতা রয়েছে।

লেখা গুলো খুব শিশুসুলভ চিন্তার প্রতিবিম্ব কিনা জানি না। চিন্তাগুলো মেঘের মত জড়ো হয়ে আবার নতুন সকালের বৃষ্টিতে হারিয়ে যায়। রাজনৈতিক রণ ডঙ্কায় চিন্তা গুলো মুক্তি পায় না। উপরের কথা গুলো শুধু স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের পরিচয় জানি বলেই লিখেছি। নৈরাজ্যবাদ নিয়ে কিছু পড়ার চেষ্টায় এমন কথাগুলো মনে হল। পুঁজিবাদের ভোগবাদী মানসিকতায় গা ভাসিয়ে দেওয়া সমাজ দেখলে অনেক রকম আক্ষেপই হয়। সব তো আর লেখা যায় না। সবকিছুই যদি লেখা যেত তবে শাসক রাষ্ট্রের তোষামদ করবে কে? কিছু বিপ্লবী ছাত্র সংগঠন আছে যারা বুর্জোয়া শ্রেণির দল ভারী করতেই ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। আদর্শের আলো যদি এতটাই নিষ্প্রভ হয় যে সেই আদর্শ বাস্তবায়নে ব্যক্তির জীবনে কোনই আলোড়ন সৃষ্টি করবেনা তাহলে সেই আলো তো অন্ধকারের কৌতুকের খোরাক হবেই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৬

স্রাবনের রাত বলেছেন: সত্য কথা বলেছেন ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২২

জাগরী বলেছেন: ধন্যবাদ সহমর্মিতার জন্যে।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৭

মামুন রশিদ বলেছেন: কথাগুলো ভাবার মত । সহমত পোষণ করি ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

জাগরী বলেছেন: ধন্যবাদ মতৈক্যের জন্যে।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমি নতুন তাই কষ্ট করে হলেও আমার ব্লগে একটু ঢুঁ মাইরেন। ভুলবেন না কিন্তু! সেই সংগে মন্তব্য অবশ্যই।


ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ!

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

জাগরী বলেছেন: জ্বী ঢুঁ মেরেছি। আপনি বাংলা একাডেমীর ব্যবহারিক বাংলা অভিধান কিংবা হাবিবুর রহমানের যথাশব্দ অভিধানটি কিনে নিবেন। যে শব্দ গুলো খুব ভাল লাগবে সেগুলো লেখায় ব্যবহার করুন। যেহেতু আপনার, আমার ভাষার জন্য রক্ত দেওয়ার ইতিহাস আছে তাই শুদ্ধ বাংলা লেখা এবং বলার অভ্যাস করুন। একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজের স্বকীয়তায় আস্থা রাখুন। কেউ মন্তব্য করুক না করুক, আপনার চেষ্টার কদর সময় করতে বাধ্য হবে। দেশপ্রেমিকদের জন্য শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.