নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

.MOMENTS TO COUNT..

বিষণ্ণ বালক

I AM LIKE A SOLDIER IN THE BATTLE FIELD WHO CAN’T HAVE ANY DREAM BUT ONLY MOMENTS. MOMENTS TO COUNT ON. ONE….TWO….THREE…

বিষণ্ণ বালক › বিস্তারিত পোস্টঃ

The Pianist: যুদ্ধের ডামাডোলেও বেঁচে থাকে জীবনের সুর

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০



The Pianist (2002)



IMDB Rating: 8.5



দৈর্ঘ্যঃ ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট



রোমান পোলানসস্কির মুভি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। পোলিশ এই চলচিত্র নির্মাতা নির্মাণ করে গেছেন একের পর এক অসামান্য কীর্তি। তবে তার মধ্যে সম্ভবত অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে THE PIANIST (২০০২)মুভিটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মাকে হারানোর পর পলায়নপর জীবন এবং যুদ্ধ শেষে বন্দীশিবির থেকে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে বাবার ফিরে আশাই হয়ত রোমান পোলানসস্কিকে এমন অসাধারণ একটি চলচিত্র নির্মাণে সাহায্য করেছে। একইসাথে পোল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেনের যৌথ প্রযোজিত এই ছবিটি পোল্যান্ডের ইহুদি পিয়ানো বাদক Władysław Szpilman এর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “The Pianist” –অবলম্বনে নির্মিত।



BBC-এর মতে- “This has finally given Roman Polanski the chance to distil his own experiences of Jewish persecution during WWII in this deeply personal and astonishing directorial turn.”



ব্যাক্তিগতভাবে আমাকে যদি শ্রেষ্ঠ তিনটি যুদ্ধের ছবির নাম বলতে বলা হয় তবে “The Pianist” অবশ্যই তার মধ্যে থাকবে। থাকবে একারনেই, কারন- “THE PIANIST কেবলমাত্র যুদ্ধের ছবি নয় বরং যুদ্ধে মানবতার বিপর্যয়ের গল্প।”



এবার মূল গল্পে আসা যাক-



সময়টা সেপ্টেম্বর, ১৯৩৯। শান্তশিষ্ট নিরীহ গোছের Wladyslaw Szpilman (চরিত্র রুপায়নে Adrien Brody) পোল্যান্ডের একটি রেডিওর পিয়ানোবাদক। বাবা, মা, দুই বোন ও এক ভাই নিয়ে সুখেই দিন কাটছিল মধ্যবিত্ত এই ইহুদী পরিবারটির। কিন্তু বিধি বাম, হটাৎ আক্রমণে পোল্যান্ড একরাতে জার্মানির দখলে চলে গেল। সেই সাথে বন্ধ হয়ে গেল রেডিও। ইদুদিদের উপর নেমে এলো ব্যাপক লাঞ্ছনা আর নিগ্রহ। অসংখ্য ইহুদী পরিবারকে তাদের বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করে নির্বাসিত করা হয় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত প্রায় বদ্ধ এক ছোট্ট শহরে। সেখানে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের বাহুতে পড়তে হত স্টার অফ ডেভিড ব্যান্ড যা কিনা “ইহুদী” পরিচায়ক, দেয়া হত কোনরকমে দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য সিমিত অর্থ। প্রায় প্রতিদিনই দেখতে হত কোননা কোন ইহুদী পরিবারের উপর নেমে আশা হত্যাযজ্ঞ।







“ছোট্ট একটা চকলেট। তাইই পরিবারের সবাই মিলে ভাগাভাগি করে খাওয়া”



বিপদের উপর বিপদ। এমনি সময় Wladyslaw পরিবারকে অন্য একটি ক্যাম্পে স্থানান্তরের নির্দেশ আসে। নির্দিষ্ট দিনে অসংখ্য ইহুদী পরিবারদের সাথে Wladyslaw পরিবারও যখন অপেক্ষমান ট্রেনএ উঠছিল ঠিক তখন এক ইহুদী বন্ধুর সহায়তায় এ যাত্রায় বেঁচে যায় Wladyslaw। তাকে আর যেতে হয়নি কিন্তু সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে চরম মূল্যর বিনিময়ে অর্থাৎ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হল।





“পরিবারের সাথে এই শেষ দেখা”





“এই হৃদয়বিদারক দৃশটি সম্ভবত কখনই ভুলতে পারবোনা”



এরপর শুরু হল বন্দী জীবন। বন্দী শিবিরে দাস শ্রমের বিনিময়ে দিন কাটাতে থাকে Wladyslaw-র সেই সাথে চলে গোপন বিদ্রোহী তৎপরতা। একদিন প্রায় ধরা পরে যেতে যেতে বেঁচে যায় Wladyslaw।







“এর নামই কি জীবন?”




অতপরঃ আবার পলায়ন। এবার একটি খ্রিষ্টান দম্পতি একটি পরিতেক্ত বাড়ীর গোপন কক্ষে লুকিয়ে রাখে Wladyslaw-কে। তাও একদিন এক মাতাল প্রতিবেশী টের পেয়ে যায়। খুব বেশি ঝামেলা হবার আগেই খ্রিষ্টান দম্পতির সহায়তায় অন্য স্থানে লুকিয়ে পড়তে হল। সেখানে একটি পুরনো পিয়ানোও ছিল। শুধু লোভাতুর দৃষ্টিতে পিয়ানোর দিকে তাকিয়ে থাকা কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষার্থে সেটি বাজানোর কোন উপায় ছিলনা জন্ডিস আক্রান্ত Wladyslaw-র।



১৯৪৪ সালের আগস্ট মাসে পাল্টে যেতে থাকে দৃশ্যপট। পোলিশ বিদ্রোহী আর জার্মান বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই বেঁধে যায়। টিকতে না পেরে এ আশ্রয়টিও ছেড়ে দিতে হয়। একপর্যায়ে শহরটি ফাঁকাই হয়ে গেল। শুধু Wladyslaw আর তার বেঁচে থাকার প্রয়োজনে ধ্বংসস্তূপে প্রতিদিন রসদের খোঁজে করা। এমনিভাবে রসদের খোঁজ করতে করতে একদিন ধরা পড়ে যায় একজন জার্মান অফিসারের হাতে। সেইসাথে প্রকাশ পেয়ে যায় তার ইহুদি পরিচয়। কিন্তু ভাগ্য বোধহয় একেই বলে, Wladyslaw পিয়ানো বাদক এটা জানার পর এবং পরিত্যাক্ত একটা পিয়ানোতে Wladyslaw –এর বাজানো সুর শুনে অফিসারের মনে করুণার উদ্রেক হয়। শুধু তাই নয়, অফিসারটি পরবর্তীতে কিছুদিন লুকিয়ে লুকিয়ে কিছু খাবারও দিয়ে যেতে থাকে তাকে এবং লুকিয়ে রাখে একটা ভাঙ্গা বাড়ির চিলেকোঠায়।



ছবির এপর্যায়ে মনে রাখার মত একটি কথোপকথন-



Wladyslaw: I don't know how to thank you.

Captain Wilm Hosenfeld(জার্মান অফিসার): Thank God, not me. He wants us to survive. Well, that's what we have to believe.



জানুয়ারি ১৯৪৫। অগ্রসরায়মান রাশিয়ার লাল ফৌজ পোল্যান্ডে প্রবেশ করে। পিছু হঠতে থাকে জার্মান বাহিনী। বিদায় বেলায় সেই জার্মান অফিসারটি আশা প্রকাশ করল, একদিন হয়ত সে Wladyslaw-এর বাজানো পিয়ানোর সুর আবার পোল্যান্ড রেডিওতে শুনতে পাবে। বন্ধুত্তের নিদর্শনস্বরূপ দিয়েদেয় নিজের সামরিক উর্দি। এবার শহরে প্রবেশ করে পোলিশ বাহিনী এবং জার্মান সামরিক উর্দি পরিহিত Wladyslaw ভুলক্রমে তাদের হাতে প্রায় মরতে বসেছিল। যাহোক শেষ পর্যন্ত Wladyslaw তাদের বোঝাতে সক্ষম হয় যে সে একজন পোলিশ।

ছবির এই সময়টা ছিল একই সাথে সাসপেন্স এবং মজারও-



Wladyslaw:
No. Please. I'm Polish. I'm not a German.

Polish Soldier: Then why the fucking coat?

Wladyslaw: I'm cold.



এদিকে পরাজয় ঘটে জার্মান বাহিনীর। ঘটনাক্রমে রাশান বন্দী শিবিরে আটক জার্মান সৈনিকদের মাঝে “সেই অফিসারটিও” একজন। সাহায্যের খুব প্রয়োজন। কোনক্রমে এক বেহালা বাদককে বলে Wladyslaw–এর কথা। বেহালা বাদক ছুটে যায় Wladyslaw–এর কাছে। পরদিন Wladyslaw–এ বন্দীশিবিরে এসে দেখে জার্মান বন্দীদের অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এরপর Wladyslaw–এর সাথে সেই অফিসারটির আর দেখা হয়নি।



২০০০ সালে ৮৮ বছর বয়সে Wladyslaw–এর সন্মানজনক জীবনাবসান ঘটে। ভাল কথা, রাশানদের হাতে আটক অবস্থায় ১৯৫২ সেই অফিসারটির মৃত্যু ঘটে।



এরই নাম যুদ্ধ। চাপিয়ে দেয়া একটা ব্যাপার। লাঞ্ছিত হয় মানবতা। তবুও চলে টিকে থাকার লড়াই।



শ্রেষ্ঠাংশেঃ-



• Adrien Brody as Władysław Szpilman

• Thomas Kretschmann as Captain Wilm Hosenfeld

• Frank Finlay as Father Szpilman

• Maureen Lipman as Mother Szpilman

• Ronan Vibert as Andrzej Bogucki

• Ruth Platt as Janina Bogucki

• Emilia Fox as Dorota

• Michał Żebrowski as Jurek

• Ed Stoppard as Henryk

• Jessica Kate Meyer as Halina

• Julia Rayner as Regina

• Roy Smiles as Itzhak Heller

• Richard Ridings as Mr. Lipa

• Daniel Caltagirone as Majorek

• Valentine Pelka as Dorota's husband



অর্জনসমুহঃ-



• Academy Award for Best Actor – Adrien Brody

• Academy Award for Best Director – Roman Polanski

• Academy Award for Writing Adapted Screenplay – Ronald Harwood

• Palme d'Or, 2002 Cannes Film Festival[2]

• BAFTA Award for Best Film

• BAFTA Award for Best Direction – Roman Polanski

• César Award for Best Actor

• César Award for Best Director

• César Award for Best Film

• César Award for Best Music Written for a Film

• César Award for Best Cinematography

• César Award for Best Production Design

• César Award for Best Sound

• Goya Award for Best European Film



মনোনীতঃ-



• Academy Award for Best Cinematography – Paweł Edelman

• Academy Award for Best Costume Design – Anna B. Sheppard

• Academy Award for Film Editing – Hervé de Luze

• Academy Award for Best Picture

• BAFTA Award for Best Cinematography – Paweł Edelman

• BAFTA Award for Best Actor in a Leading Role – Adrien Brody

• BAFTA Award for Best Adapted Screenplay – Ronald Harwood

• BAFTA Award for Best Sound – Jean-Marie Blondel, Dean Humphreys, Gérard Hardy



ডাউনলোড লিঙ্কঃ-



Quality: 720p (HD)

Size: 899.22 MB

Resolution: 1280*688

Frame Rate: 23.976 fps

Click This Link



Quality: 1080p (FULL HD)

Size: 2.00 GB

Resolution: 1920*1040

Frame Rate: 23.976 fps

Click This Link_1080p

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

স্বপ্নবিলাসী আমি বলেছেন:




জীবনে যেসব মুভি আমার মনে দারুন ভাবে আঁচড় কেটে গেছে, তার মধ্যে একেবারে প্রথমদিকের সারিতে রয়েছে এই মুভিটা। চমৎকার একটা মুভি!!!




পোষ্ট ভালো লাগল। ধন্যবাদ।

২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৭

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: আপনি একদম আমার মনের কথা বলেছেন। এরকম মুভি খুব কমই আছে। আফসোস লাগে কখন জানেন? যখন ভাবি ৭১-এ আমাদের দেশে এতবড় একটা যুদ্ধ হয়ে গেল, কত আত্মত্যাগ, কত গল্প! কিন্তু আজও তরুন প্রজন্ম আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা মনের মত মুভি পেলনা। যে মুভিতে খুব সহজ-সাবলিল ভাবে তুলে আনা হবে করুন কাহিনী কিন্তু থাকবেনা আবেগের বাড়াবাড়ি।

২| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

বোকামন বলেছেন:







সম্মানিত বিষণ্ণ বালক,
মুভিটি আমারো ভালোলাগার প্রথম সারিতে আছে।
রোমান পোলানসস্কির মুভিটির মাধ্যমে দায়-মোচন করেছেন তার নিজেরই কিছু বিষয়ের। ....

বেচে থাকার জন্য লড়াই ...

আপনি চমৎকার রিভিউ লিখতে পারেন দেখছি! বেশ ভালো...
অপেক্ষায় থাকবো অন্য কোন মুভি নিয়ে আপনার ....

ভালো থাকবেন

২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনারা পড়লেই আমার কষ্ট সার্থক। "রোমান পোলানসস্কির মুভিটির মাধ্যমে দায়-মোচন করেছেন তার নিজেরই কিছু বিষয়ের।" ঠিক বলেছেন।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: অসাম মুভি। মাত্র দেখা শেষ করলাম।

২২ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: ভালো ছবির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

ব্লগার রানা বলেছেন: দেখা হয় নাই, তবে দেখতেই হবে,

২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: ঠিক তাই। দেখতেই হবে।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

কালোপরী বলেছেন: দেখি নাই এখনও


রিভিউ চমৎকার :)

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: ধন্যবাদ। না দেখলে মিস করবেন।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

যোগী বলেছেন: দেখছি
এই লইক ওয়ের মুভি!!!!

২২ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

বিষণ্ণ বালক বলেছেন: ওয়ার মুভি আমারও বিশেষ পছন্দের।

৭| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আমার দেখা সেরা একটি মুভি।

৮| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

এহসান সাবির বলেছেন: খুব ভালো লাগা একটা মুভি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.