নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://www.facebook.com/techshomadhan

টেক সমাধান

https://www.facebook.com/techshomadhan

টেক সমাধান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাইরাস কী?

২৬ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

সাধারণত এক ধরণের অণুজীব যারা মানুষসহ অন্যান্য পশু-পাখি ও উদ্ভিদের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী তাদের ভাইরাস বলা হলেও এরা কিন্তু আমাদের আজকের টপিক নয়! এখানে আমরা যে ভাইরাসের কথা বলছি তা সমস্যা তৈরি করে কম্পিউটার, মোবাইলফোনসহ এধরণের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির। এদের আরেক নাম কম্পিউটার ভাইরাস।

ভাইরাস (VIRUS - Vital Information Resources Under Siege) হচ্ছে কম্পিউটার বা এ ধরণের ডিভাইসের জন্য ক্ষতিকর একধরণের প্রোগ্রাম যা অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে সেগুলোকে পরিবর্তিত বা ধ্বংসাত্মক করে তুলতে পারে।

সহজ কথায় আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনটিতে বিভিন্ন কাজ করতে ও বিনোদন পেতে আপনি যেসব প্রোগ্রাম ব্যবহার করেন, ভাইরাসও তেমনি একটি প্রোগ্রাম। পার্থক্য এই যে ওই প্রোগ্রামগুলো বানানো হয়েছে আপনার জীবনযাত্রা সহজ করতে আর সেগুলো চলে আপনারই কমান্ডে। কিন্তু, ভাইরাস আপনার কম্পিউটারের সংস্পর্শে আসে গোপনে আর এসে কাজ শুরু করার জন্যও কারো অনুমতি বা নির্দেশের তোয়াক্কা করে না। এরা চান্স পাওয়ামাত্র নিজে নিজেই কাজ শুরু করে দেয়। অবশ্য, এটাকে কাজ না বলে ‘ধ্বংসলীলা’ বলাই ভালো।



ইন্টারনেটে সংযুক্ত হলে কিংবা অন্য কোনোভাবে ভাইরাস একবার আপনার ডিভাইসের সংস্পর্শে এলে তা শুধু অনুপ্রবেশ করেই ক্ষান্ত হয় না, বরং নিজ থেকে কপি হতে হতে এর হাজারো কপি ছড়িয়ে দেয় আপনার প্রতিটি ফাইলে, ফোল্ডারে ও ড্রাইভে।

এসময় আপনি যদি কোনো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকেন অথবা আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে কোনো ফাইল সিডি, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ডসহ ব্লুটুথ, ওয়াইফাই, ইমেইল বা ইন্টারনেটের অন্য কোনো মাধ্যমে আরেকটি ডিভাইসে পাঠান তাহলে সেটিও ভাইরাস সংক্রমিত হবে।

ভাইরাসের দ্বারা সংঘটিত বড় ক্ষতির ক্ষেত্রে যে কোনো ফাইল নিজের মতো করে এডিট করা, মুছে ফেলা থেকে শুরু করে হার্ড ডিস্ক রি-রাইট পর্যন্ত হতে পারে।

এছাড়াও কিছু ভাইরাস আছে যারা ফাইল পরিবর্তন না করলেও উদ্ভট তথ্য, অডিও বা ভিডিও বার্তা দেখায়। এদের আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে হয় না, কিন্তু এরাও প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ও ফাইলের জায়গা দখল করে যা পরবর্তীতে ঘটায় সিস্টেম ক্র্যাশ বা মেমোরি লস্টের মতো বড় সমস্যা।

টুকিটাকি
• কম্পিউটার ভাইরাসের তাত্ত্বিক ধারণা প্রথম দেন আমেরিকান গণিতবিদ জন নিউম্যান।
• প্রথম কম্পিউটার ভাইরাসের নাম ছিল এল্ক কনার। ১৯৮২ সালে রিচার্ড স্কেন্টা নামে ১৫-বছরের এক আমেরিকান কিশোর এটি একটি অ্যাপল-২ কম্পিউটার থেকে তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিল।


ভাইরাস কী – তা তো জানা হলো, এবার আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আছে কি না... তা জানার পালা, না থাকলে তো নিশ্চিন্ত হয়েই গেলেন কিন্তু থাকলে সেগুলো যেভাবে তাড়াবেন – তাও থাকবে পরবর্তী পোস্টে!

আগের পোস্টঃ ভাইরাস: আপনার শত্রু, হ্যাকারের বন্ধু

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এই VIRUS কথাটা কত শুনেছি, কিন্তু এটা যে Vital Information Resources Under Siege এর এ্যাব্রিভিয়েশন, তা মোটেই জানতাম না।
ধন্যবাদ, টেক গুরু, এই তথ্যবহুল লেখাটার জন্য। আশাকরি আপনার পরবর্তী লেখাগুলো পড়ে পাঠকগণ তাদের ব্যবহারিক জীবনে অনেক উপকার পাবেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১১

টেক সমাধান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ... এখানকার তথ্যগুলো আপনাদের কাজে আসলে তবেই আনন্দ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.