নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছেঘুড়ি

েতজপাতা

ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। তাই এদেশের প্রায় সকল রাজনীতিবিদ-এর উপর মুত্র ত্যাগ করে প্রকৃত সুখ লাভের বাসনা আমার।

েতজপাতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজাকার আসলে কারা???

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:১৯

রাজাকার শব্দটি যাকে তাকে ইচ্ছা মত বলার আগে একটু ভেবে নিন।



রাজাকার আসলে কে???

"রাজাকার" শব্দটি একটি ফারসী শব্দ যার মানে হচ্ছে ভলান্টিয়ার। একাত্তরে সাধারনত তাদের নিয়েই রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছে, যারা ছিল প্রো-পাকিস্তানী বাংগালী অথবা বাংলাদেশে বসবাসরত উরদু ভাষী মাইগ্রেন্ট। ইস্ট-পাকিস্তানী রাজাকার অরডিন্যান্স এবং মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স অরডিন্যান্স এর মাধ্যমে রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়। রাজাকাররা পাকিস্তানী আরমির অংশ বলেই ধরা হত। রাজাকাররা লাইট ইনফেন্ট্রি উইপন্স পেয়ে থাকত।



রাজাকার ছাড়া একাত্তরে আরো ২ ধরনের বাহিনী ছিল। সেগুলো হলঃ শান্তি কমিটি এবং আল-বদর।

শান্তি কমিটির কাজ ছিলঃ

১।মুক্তি-বাহিনীর বিপক্ষে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো,

২। মুক্তি-বাহিনীর বিপক্ষে স্পাইয়িং,

৩। বুদ্ধিজীবীদের বের করা,

৪। পাকিস্তানী ফৌজকে খাবার বা আশ্রয় দেয়া,

৫। মেয়ে অপহরন এবং যৌন হয়রানি/ধরষনের জন্য পাকিস্তানী বাহিনীকে সাপ্লাই দেয়া,

৬। ইন্টারোগেশন।



আল-বদর গঠিত হয়েছিল বিভিন্ন লেভেলের মুসলিম ছাত্রদের নিয়ে যারা জামাত-ইসলামীর প্রতি অনুগত ছিল।তাদের কাজ ছিলঃ

১। ইন্টারোগেশন,

২। মুক্তি-বাহিনীর বিপক্ষে স্পাইয়িং,

৩। রেগুলার আরমির গাইড হিসেবে কাজ করা,

৪। অপারেশনে সাহায্য,

৫। হত্যা ইত্যাদি।



আল-শামস গঠিত হয়েছিল মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও জামাত-ইসলামী বাদে অন্যান্য ইসলামিক রাজনৈতিক দলের সাপোরটারদের নিয়ে।



এই হল ১৯৭১ এ সকল মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী দলের গঠন ও কাজ। এদের গঠনে সবচেয়ে জোরালো এবং গুরুত্ত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে গোলাম আজম।



*** "গোলাম আজম ১৯৪৭ সালে ডাকসুর সেক্রেটারী জেনারেল ছিল।-->ডাকসুতে কি সেই বছর ভিমরতি ধরছিল?? ১৯৫০ এ সে বাংলা ভাষা আন্দোলন এ অংশ নেয়। বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষাগুলোর মধ্যে একটা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করার জন্যে গোলাম আজম পাকিস্তান সরকারের কাছে মেমোরান্ডাম দেয়। কিন্তু পরবরতীতে সে এই আন্দোলন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নেয়।"--> সুত্র ঃ উইকি...>>তাইলে এই কুত্তারও জীবনে একবার সত্য কথা বলার উদাহরন আছে??? আহারে বড় বালা কুত্তা ছিল।



ইতিহাসের কথা শেষ। এবার নিজের কিছু চিন্তা উপ্সথাপন করছি। একাত্তরে যারা পাকিস্তানের অখন্ডতা চেয়েছিল সবাইকে রাজাকার বলা ঠিক না। কেননা, যারা শুধু অখন্ডতাই চেয়েছিল কিন্তু কোনরুপ অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলনা,তারা কোন দোষেই দুষ্ট না। তবে ভাবনার বিষয় হল, একাত্তরে আসলেই উপরে উল্লেখিত নোংরা বাহিনী গুলো ছাড়া এমন মানুষ কয়জন ছিল?? যদি এমন ১ জন ও থেকে থাকে যে পাকিস্তানের অখন্ডতা চায়নি, কিন্তু আবার কোন অনৈতিক কাজেও সাহায্য করেনি,তবে আমরা তাকে রাজাকার বলতে পারিনা।



ধরেন, পার্বত্য এলাকায় শান্তি-বাহিনী স্বাধীনতা চায়। আমি, আপনি যদি তার বিরোধিতা করি, তবে যদি তারা স্বাধীনতা পেয়ে যায়, আমরা কি রাজাকার হয়ে যাব?? আমরা বিরোধিতা করব এটাই স্বাভাবিক।



এছাড়া ৭১ এ এমন অনেকেই ছিল যারা রাজাকার হিসেবে নাম দিয়েছে বাধ্য হয়ে কিন্তু পরে তারা গোপনে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যও করেছে। তাদের ইচ্ছাই ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে কাজ করা, কিন্তু বিভিন্ন কারনে হয়ত রাজাকার হিসেবে নাম ঢূকে গেছে। কিন্তু ৭১ এর পর তারা বিভিন্নভাবে অপদস্থ হতে হয়েছে শুধু মাত্র নাম ঢূকে যাওয়ার কারনেই। এদের প্রতিও আমাদের সম্মান জ়ানানো উচিত।



জামাত-ইসলামীর প্রতি আমার কোন ভাল ধারনা নাই। কিন্তু আমার মনে হয় বরতমানে যারা জামাত-ইসলামীর সাপোরটার তাদের আমরা ঢালাও ভাবে রাজাকার বলা ঠিক না। যারা ৭১ এ বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল সেই রাজাকার। সেই হিসেবে প্রায় সব দলেই এখন রাজাকার আছে। এককভাবে জামাত-ইসলামীকে রাজাকার হিসেবে দায়ী না করে আমরা সকল রাজাকারের বিরুদ্ধে চলুন আন্দোলন করি।



জামাত-ইসলামীকে আমরা অপছন্দ করতে পারি তাদের ধরমের নামে অধরমের রাজনীতির কারনেই। এছাড়া জামাত-ইসলামী সবচেয়ে বেশি রাজাকার নিয়ে সংঘটিত এবং এদের নেতারাই রাজাকার বলে এদের বরজন করা উচিত। কেননা গোড়াতেই যদি গলদ থাকে তবে বাকিটা কেমন হবে তাতো বোঝাই যায়।



আরো জানতে নিচের লিঙ্ক গুলো দেখুনঃ



১। রাজাকারঃ Click This Link)



২। গোলাম আজম Click This Link



৩। একাত্তরের ঘাতক-দালালেরা কে কোথায়ঃ

http://www.nybangla.com/March_26/Doc of WAR/Razakar List.htm



৪। আনিসুজ্জামানের গোলাম আজমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগঃ

http://en.wikipedia.org/wiki/Daily_Prothom_Alo





মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৭/-৭

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:২৬

রেফিন বলেছেন: অনেক দিন পরে খুব ভালো একটা পোস্ট পড়লাম। এই জিনিসটা আমাদের সবার বোঝা উচিত। কথা নাই বারতা নাই, যাকে খুশী তাকে রাজাকার বলে গাল দিলাম - এই জায়গা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

ধন্যাবাদ, এরকম সুন্দর একটা পোস্টের জন্য।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৯

েতজপাতা বলেছেন: আপনি বুঝতে পেরেছেন বলে ভাল লাগল। কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৪২

হাসান শহীদ ফেরদৌস বলেছেন: ভাল বলেছেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২০

েতজপাতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫০

ওরাকল বলেছেন: অসখ্য ধন্যবাদ।

আমি নিজেও ২-১ বার চেস্টা করাছি বিষয়টা নিয়ে...আজ আপনি করলেন...আশা করি সব ব্লাগারা বিষয়টা নিয়ে ভাববেন।

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৭

নষ্ট ছেলে বলেছেন: রাজাকার শব্দটা বাংলা শব্দের মধ্যে ব্যাপক শক্তিশালী অবস্থানে আছে শুধু তাই নয় ইহা একটা ভয়ংকর গালিও বটে।

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৯:৫৮

রু দ্র রা য় বলেছেন: এখানে গেছিলেন

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০২

প্রতিবিপ্লবী বলেছেন: কাত্তরে সাধারনত তাদের নিয়েই রাজাকার বাহিনী গঠিত হয়েছে, যারা ছিল প্রো-পাকিস্তানী বাংগালী অথবা বাংলাদেশে বসবাসরত উরদু ভাষী মাইগ্রেন্ট


এই প্রো-পাকিস্তানী বাংগালী কারা ছিলো?

আল-শামস গঠিত হয়েছিল মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক ও জামাত-ইসলামী বাদে অন্যান্য ইসলামিক রাজনৈতিক দলের সাপোরটারদের নিয়ে

তাহলে জামাতে ইসলামীর সদস্যরা কই ছিলো?

ইহা যে অত্যন্ত সুক্ষভাবে সত্যির মধ্যে কৌশলে মিথ্যা ঢুকানো পোস্ট ইহা কি ব্লগাররা ধরিতে পারিবেনা বলিয়া আপনার অতিচালাক মন বলিতেছে?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২৯

েতজপাতা বলেছেন: আপনি কি কানা?? নাকি বেশি বোঝেন?? আমারে কি জামাত ইসলামীর দালাল মনে হইছে আপ্নের?? হুদাই কমেন্ট করার লাইগা আইসেন???

রাজাকার বাহিনী, আল-বদর কিংবা শান্তি কমিটিতে জামাত-ইসলামী ছিল না এমন কোন কথা কি আমি বলছি?? রাজাকার, আল-বদর,শান্তি কমিটি,আল-শামস সম্পরকিত তথ্য সব উইকি থেকে নেয়া, তার তো লিঙ্ক দিছিই। মিথ্যা দেক্লেন টা কি??

অন্যকে কিছু বলার আগে পড়ে দেখবেন বা আগে বুঝে নেবেন। হুদাই নিজেরে বেক্কেল বানাইয়েন না।

৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৬

প্রতিবিপ্লবী বলেছেন: আসুন আবার পড়ি:

জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ দলের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব নিয়েছেন। গতকাল বুধবার তিনি দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন এবং ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে সাংগঠনিক কাজ করেছেন। গত রোববার জামায়াতের বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পরদিন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফকে ভারপ্রাপ্ত আমির নির্বাচিত করে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দালালি করার দায়ে মুক্তিযুদ্ধের পর দালাল আইনে মাওলানা ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল।

সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রে দেখা যায়, একাত্তর সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সমর্থনে গঠিত ডা. মালেকের মন্ত্রিসভায় বর্তমান জামায়াতে ইসলামীর দুজন সদস্য ছিলেন। এঁদের একজন এই মাওলানা ইউসুফ ছিলেন রাজস্ব মন্ত্রী। অপরজন সাবেক ভারপ্রাপ্ত আমির আব্বাস আলী খান শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। আব্বাস আলী খান বেঁচে নেই। মুক্তিযুদ্ধের পর এঁরা দুজনই গ্রেপ্তার হন। ওই মন্ত্রিসভার এক সদস্য প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, স্বাধীনতার পর মাওলানা ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে মাওলানা ইউসুফকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, কথা বলতে পারব না।’ গত মার্চ মাসে মাওলানা ইউসুফ প্রথম আলোকে বলেছিলেন, গ্রেপ্তার ও বিচারের বিষয়ে কিছুই তাঁর মনে নেই।

মালেক মন্ত্রিসভার সদস্য ও খেলাফত মজলিসের একাংশের আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর তিনিসহ ওই মন্ত্রিসভার সব সদস্য গ্রেপ্তার হন। আদালত তাঁকেও (ইসহাক) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। মাওলানা ইসহাক আরও জানান, তাঁর মামলার রায়ের কয়েক দিন আগে জামায়াতের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা এ কে এম ইউসুফকেও একই সাজা দেন আদালত। ১৯৭২ সালের ১৭ ডিসেম্বর পত্রপত্রিকায় সে সংবাদ ছাপা হয়। বাংলার বাণী পত্রিকায় ওই সংবাদের শিরোনাম ছিল, ‘দালাল মন্ত্রী ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিন প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন, জামায়াতের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত আমির আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফই ওই ব্যক্তি। তিনি এরূপ দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একটি তালিকা করেছেন। তিনি জানান, মালেক মন্ত্রিসভার সব সদস্যেরই মুক্তিযুদ্ধের পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ১২ আগস্ট মালেক মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আগপর্যন্ত তৎকালীন জামায়াতের অন্য শীর্ষস্থানীয় নেতাদের পাশাপাশি মাওলানা ইউসুফও রাজাকার বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি একাত্তর সালের মে মাসে খুলনার খানজাহান আলী সড়কের একটি আনসার ক্যাম্পে ৯৬ জন জামায়াত কর্মী নিয়ে প্রথম রাজাকার বাহিনী গঠন করেন। জামায়াতের দলীয় মুখপত্র দৈনিক সংগ্রামসহ সে সময়ের সব সংবাদপত্রে এ খবর ছাপা হয়।

গত মঙ্গলবার জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এই অভিযোগ বেমালুম অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘এসব আওয়ামী লীগের অপপ্রচার। সময়মতো এর জবাব দেওয়া হবে।’ সে সময় কবে হবে−জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন, ‘আজ এটার জবাব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ না। সময় এলে জানানো হবে।’

গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিনের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান বইয়ে (ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত ও ১৯৯৮ সালে পুনর্মুদ্রিত) এ কে এম ইউসুফকে রাজাকার বাহিনীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে (পৃ-৪২২)। ১৯৭১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আব্বাস আলী খান ও মাওলানা ইউসুফসহ মালেক মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকেরা সংবর্ধনা দেন। পরদিন দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় তা নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয় তাতে দেখা যায়, ওই অনুষ্ঠানে মাওলানা ইউসুফ বলেছিলেন, ‘যুব সমাজকে পাকিস্তান সৃষ্টির মূল লক্ষ্য সম্পর্কে অবহিত করা হয়নি বলেই তারা আজ নিজেদের পাকিস্তানী ও মুসলমান পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে।’

একাত্তর সালের ২৫ সেপ্টেম্বরের সংগ্রাম-এর প্রথম পাতায় তেজগাঁও থানা শান্তি কমিটি মালেক মন্ত্রিসভার সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবরে দেখা যায়, এ কে এম ইউসুফ তাঁর বক্তব্যে বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই ইসলামের দুশমনরা এর অস্তিত্ব ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে এবং বিভিন্ন পন্থায় তারা এই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে। মার্চ মাসের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপকেও ইউসুফ এই ষড়যন্ত্রের পরিণাম বলে উল্লেখ করেন।

একাত্তর সালের ১৮ অক্টোবর সংগ্রাম-এ প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, মালেক মন্ত্রিসভার সদস্য (রাজস্ব মন্ত্রী ইউসুফ) হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলার যেকোনো অপচেষ্টা নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের পেছনে আমাদের সাহসী জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।’

২৮ নভেম্বর করাচিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে মাওলানা ইউসুফ বলেছিলেন, ‘রাজাকাররা আমাদের বীর সেনাবাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতীয় হামলার মোকাবিলা করছে।’ তিনি রাজাকারদের হাতে আরও আধুনিক অস্ত্র দেওয়ার দাবি জানান। পরদিন ২৯ নভেম্বর দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় এ সংবাদ প্রকাশ হয়।

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো, ২২ মে ২০০৮

৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৭

স্বপ্নকথক বলেছেন: এনা ছাগুরে মাইনাস দিয়া গেনু...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩০

েতজপাতা বলেছেন: মাইনাস কেন?? আপ্নের জামাতের আব্বাদের গায়ে লাগছে?? নাকি রাজাকার রে রাজাকার বইল্যা গাল দেয়া পাপ হইছে??

৯| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:০৭

মৌ-মাছি বলেছেন: রাজাকারের আক্ষরিক অর্থ কি এটা আর মোটেও মুখ্য নেই। আপনার প্রতি সম্মান দিয়েই বলতে চাই, রাজাকারের আক্ষরিক অর্থ বিশ্লেষন করা মানে এখন রাজাকারের যে বাস্তবিক কুৎসিত অর্থ দাঁড়িয়ে গেছে তাঁর কৌদার্য কমানোর চেষ্টা করা। যেটা বেশীর ভাগ লোকের কাছে অপচেষ্টা হিসাবে চিহ্নিত হবে। আর এই কৌদার্য কমানোর চেষ্টার লাভ ভোগ করবে রাজাকাররা। আপনি জেনে শুনে এটি করে থাকলে, আপনার বকা খাওয়ার অনেক সম্ভাবনা আছে -- আর সেই বকা খানিকটা যৌক্তিকই হবে।

রাজাকারের অপবাদ দেয়া তেমন যৌক্তিক হবে না যদি কেউ আমাদের স্বাধীনতার শুধু রাজনৈতিক বিরোধীতা করেছিল। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে গনতন্ত্রের নামে মেনে নিয়েছিল এবং বাংলাদেশের অস্তিত্বকে মনথেকে মেনে নিয়েছে। আমি এখন পর্যন্ত এমন কাউকে পাই নি।

আমরা রাজাকার বলি তাদেরকেই যারা রাজনৈতিক বিরোধীতা তো করেছেই তারপরে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তকে মেনে না নিয়ে নিজেদেরটা সহিংস পন্থায় (খুন, ধর্ষন) বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে বা সাহায্য করেছে। তারপর এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও মনে প্রানে ও কাজে দেশের স্বাধীনতাকে গ্রহন করে নাই -- এটিও বোঝা যাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক তাদের সম্পর্কে কি মনে করে তা দিয়েই। বর্তমানের প্রেক্ষাপটে নব্য রাজাকার বলা যাবে তাদেরকেই যারা রাজাকারদের এইরূপ গুনাবলী/দোষাবলীর অধিকারী। রাজনৈতিক ভাবে দেশের স্বাধীনতা মেনে নেয় নাই এইরকম দলীয় আদর্শ বা নেতার অনুসরন করাই তাদের জন্য নব্য রাজাকার হওয়ার জন্য যথেষ্ট -- আবারো বলছি এটিও নির্ধারিত হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ জন গনের মতামতের মাধ্যমেই।

জামাত বা শিবির সম্পর্কে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধারনা হল তারা রাজাকারের বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এমনকি তাদের জোটভুক্ত বিএনপিরও সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের ধারনা একইরকম। জামাত শিবিরের কোন দুইএকজন সম্পর্কে ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের ধারনা ভাল হলেও ঐ দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক সম্পর্কে আমাদের ধারনা খারাপ। কাজেই জামাত/শিবিরের সবাই দলগত ভাবে রাজাকার। বাংলাদেশে অন্য কোন দল সম্পর্কে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের এইরকম ধারনা আছে বলে আমার জানা নেই।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪১

েতজপাতা বলেছেন: আপ্নে কিন্তু ঘুরাইয়া পেচাইয়া আমার কথায় ই আসছেন...যেমনঃ

"আমরা রাজাকার বলি তাদেরকেই যারা রাজনৈতিক বিরোধীতা তো করেছেই তারপরে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তকে মেনে না নিয়ে নিজেদেরটা সহিংস পন্থায় (খুন, ধর্ষন) বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে বা সাহায্য করেছে।"

আমি মনে করি রাজাকারের বিচার করতে হলে আমাদের সঠিকভাবে আগানো উচিত। রাজাকারের বিচারকে কোন রাজনৈতিক ফায়দা লুটার কাজে ব্যবহার না করে আমরা গনদাবী কোনটা বুঝতে চেস্টা করি। গনদাবী হোল সকল রাজাকার কুত্তার বাচ্চার বিচার হোক সে যে দলেরই হোক না কেন...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫৬

েতজপাতা বলেছেন: আরেকটা কথা বলি, "লেটস জাসটিস বি ডান দো হেভেন ফলস।"

অন্যায় যে করে তাকে শাস্তি পেতেই হবে, সে যে মহা ব্যাক্তিই হোক। রাজাকাররা হল মহা-পাপী, তাই সে লীগ/বি এন পি/জামাত/জাতীয় পারটি যাই করুকনা কেন তারে এই দুনিয়াতেই শাস্তি পাইতে হবে। কোন দলের প্রতি অন্ধ হয়ে সেদলের রাজাকারকে মাফ করা যাবেনা।

***আর কেউ যদি রাজাকার না হয়, তারে হুদাই রাজাকার বানিয়ে শাস্তি দিলে সেটাও বিরাট অন্যায় হবে। তাই না??

১০| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৩

প্রতিবিপ্লবী বলেছেন: আসুন আবার পড়ি:

রাজাকার কি?

'৭১ এর ঘাতক-দালাল : বাহিনী পরিচিতি ১- রাজাকার

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১১

েতজপাতা বলেছেন: আপ্নে যে লিঙ্ক দিছেন সেটা আপনি নিজে পড়ছেন??? মনে হয় না। কেন তা বলছি শুনুনঃ

১। আপনার ২ নং লিঙ্ক এ যে রেফারেন্স "একাত্তরের ঘাতক দালাল কে কোথায়" সেটার লিঙ্ক আমার লেখাতেই দেয়া আছে।
২। আপ্নের লিঙ্ক এ এক জায়গায় আমার কথাকেই মেনে নেয়া হয়েছে।সেটা হোল ঃ "বর্তমানে বাংলাদেশে মোটাদাগে স্বাধীনতাবিরোধীদেরই রাজাকার নামে অভিহীত করা হয়। "
৩। আপনি নিচে আল-বদরের যে লিঙ্ক দিছেন সেখানে আমার কথার সত্যতাই প্রমানিত হয়। কারন আমি বলছিঃ
"আল-বদর গঠিত হয়েছিল বিভিন্ন লেভেলের মুসলিম ছাত্রদের নিয়ে যারা জামাত-ইসলামীর প্রতি অনুগত ছিল।"
কিন্তু আপ্নে সেটা বুঝেন নাই অথবা আপ্নের মনে আমারে হেয়-প্রতিপন্ন করার ইচ্ছা এতই প্রবল ছিল যে, না বোঝার ভান করছেন। তাইলে আপ্নেও কি জামাতের কুত্তাগুলার ছদ্মবেশী দালাল?? ঝাতি তা জানতে চায়???

১১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৯

প্রতিবিপ্লবী বলেছেন: আসুন আবার পড়ি:

খুনী আল-বদরের উত্তরসূরী ছাত্র শিবির : উত্থানের ভয়াবহ দলিলপত্র

১২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫৮

মৌ-মাছি বলেছেন: "কিন্তু আমার মনে হয় বরতমানে যারা জামাত-ইসলামীর সাপোরটার তাদের আমরা ঢালাও ভাবে রাজাকার বলা ঠিক না"। যদিও পরে আবার একটু অন্যরকম বলেছেন।

আপনার কৌশুলি লিখার সাথে কিছু মিল আছে ঠিক। তবে বেশ স্থুল তফাৎ অবশ্যই আছেই। আপনার ভুল ধরার তেমন চেষ্টা ছিল না। ছিল আপনার কিছু বিষয়ের সম্পুরক দিক তুলে ধরা।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৫

েতজপাতা বলেছেন: ১। সম্পুরক দিক তুলে ধরাকে আমি খারাপভাবে নিচ্ছি না।
২। আমার লেখা কৌশলী মনে হচ্ছে কেন??
৩। আবারো বলিঃ আমার মনে হয় বরতমানে যারা জামাত-ইসলামীর সাপোরটার তাদের আমরা ঢালাও ভাবে রাজাকার বলা ঠিক না"। কারন যে ব্যাক্তি যে অপরাধ করছে তারে সে অপরাধের শাস্তিই দিবেন। যার বয়স ২২ বছর এবং সে জামাতের সমরথক হলে তারে আপ্নে রাজাকার বলে গাল দেবেন কোন অধিকারে??
৪। "যদিও পরে আবার একটু অন্যরকম বলেছেন।"- কোথায় অন্যরকম বলছি বলেন??
৫। "এছাড়া জামাত-ইসলামী সবচেয়ে বেশি রাজাকার নিয়ে সংঘটিত এবং এদের নেতারাই রাজাকার বলে এদের বরজন করা উচিত। কেননা গোড়াতেই যদি গলদ থাকে তবে বাকিটা কেমন হবে তাতো বোঝাই যায়।"- এখানে বলা হইছে যার নেতারাই মন্দ, যেহেতু দলের নীতি নিরধারক তারাই অত-এব তাদের কাছ থেকে ভাল কিছু আসবে না। এটাতো সোজা কথাই। বুঝলেন না কি?? উত্তর দিয়েন।

সহজ কথা কি যায়না বোঝা সহজে??

১৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:১৮

কৃষ্ণকমল বলেছেন:
সুন্দর এনালাইসিস!!! জামায়াতে ইসলামি ৭১-এ একটা আদর্শে কাজ করেছে যার নাম রাজাকার (কু-অর্থে কারণ তারা অনৈতিক কাজ করেছে)। আর আজ যারা সেই জামায়াতে ইসলামির আদর্শ গ্রহন করেছে তাদেরকে রাজাকার ছাড়া আর কি বলতে পারি???

১৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৪

কৃষ্ণকমল বলেছেন:
সুন্দর এনালাইসিসের জন্য ধন্যবাদ।

জামায়াতে ইসলামি ৭১-এ একটা আদর্শে কাজ করেছে যার নাম রাজাকার (কু-অর্থে কারণ তারা অনৈতিক কাজ করেছে)। আর আজ যারা সেই জামায়াতে ইসলামির আদর্শ গ্রহন করেছে তাদেরকে রাজাকার ছাড়া আর কি বলতে পারি???

তবে যারা অনৈতিক কাজ করেননাই এবং জামায়াতের আদর্শ গ্রহন করেননাই তাদেরকে আমি রাজাকার বলা সমর্থন করিনা।

১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৪

শয়তান বলেছেন: ভালৈ আইওয়াসের প্রচেষ্টা । তবে লাভ নাই

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৩৫

েতজপাতা বলেছেন: আই-ওয়াশের কি দেখলেন?? বুইজ্জা কতা কন? না বুঝলে বেনবেন কইরেন না। এইহানে কি কোন দলরে বাচানের চেস্টা হইছে?? নাকি কোন ব্যক্তিরে??

রাজাকার কুত্তার বাচ্চারা যে দলে থাকুক তার বিচার হতে হবে। সে আপ্নের যত প্রিয়ই হোক না কেন। এবং বাংলাদেশের সকল হারামীর রাজনৈতিক দলেই রাজাকার আছে। সব কুত্তারাই সমান। যে যায় লঙ্কায় সেই হয় রাবন। তাই কোন রাজনৈতিক দলের উপ্রে আমি মুতি না। বি এন পি তে আছে সাকা রাজাকার, লীগে শেখ সেলিমের আপন বেয়াই বলে রাজাকার, জামাত তো রাজাকারের বস্তা, জাপাতেও নিশ্চয়ই আছে...তাইলে আন্নে কন কোন কুত্তার বাচ্চারা ভালা??

আর আই-ওয়াশ কোনটা দিলাম সেইটাই বইল্লেন???

১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৬

শয়তান বলেছেন: এক লাইনেই এতো জ্বলে :)

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫২

েতজপাতা বলেছেন: জল্বেই তো। তোমাগো মত পা-চাটা কুকুর যে সহ্য করতে পারিনা। কোন দলের পা-চাটা হয়। ক্ষমতাসীন দলের নিশ্চয়। নাকি জামাতের??? এত গায়ে লাগে কেন?? তোমার জ়ামাতের আব্বাদের বিচার করতে চাই বলে, নাকি লীগে ফাক-তালে ঢুকে যাওয়া কোন রাজাকারের লাইগ্যা।

১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৪৭

ওরাকল বলেছেন: কৃষ্ণকমল বলেছেন:
সুন্দর এনালাইসিসের জন্য ধন্যবাদ।

জামায়াতে ইসলামি ৭১-এ একটা আদর্শে কাজ করেছে যার নাম রাজাকার (কু-অর্থে কারণ তারা অনৈতিক কাজ করেছে)। আর আজ যারা সেই জামায়াতে ইসলামির আদর্শ গ্রহন করেছে তাদেরকে রাজাকার ছাড়া আর কি বলতে পারি???

-> মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ থেকে বিচ্চুত হয়ে যারা হত্যা-লুটও দূর্নীতিতে নিমজ্জিত সেই সব দল ও তাদের সমর্থকদের তা হলে কী বলবেন ?

তবে যারা অনৈতিক কাজ করেননাই এবং জামায়াতের আদর্শ গ্রহন করেননাই তাদেরকে আমি রাজাকার বলা সমর্থন করিনা।

-> 'আদর্শ' কোন কনস্টেন্ট বিষয় নয় এটা সর্বদা পরিবর্তনশীল। আপনার চিনতাধারা ও বুদ্ধিবৃত্তিক আচরনই আদর্শ সৃষ্টি করে।

মুজিব বা জিয়ার আদর্শ নিশ্বই এখন আপনি আওয়ামিলীগ বা বিএনপিতে খুজে পাবেন না।

তাই গো-আযম, নিজামি পরিচালিত জামাত নিশ্বিত ভাবেই ৭১ এর পরবর্তি প্রজন্মদ্বারা পরিচালিত হলে এক রকম ভাবে চিন্তা করবে না।


যেমন এখনকার সমাজত্রান্তিক দেশ চীন নিশ্বই মাউ সে তুং এর আদর্শিক চীন নয় যদিও ওরা একনও মাউ সে তুং এর আদর্শকে অনুসরন করে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৮

েতজপাতা বলেছেন: ভাই এইগুলা সবাই বুঝে। তারপরো কি রকম উল্টা-পাল্টা কথা বলতে আছে দেখছেন?? আসলে সব রাজনৈতিক দলেই রাজাকার আছেতো। তাই আমার এই লেখা পড়ে সবার গা জলতেছে। মানুষ নিজেরে বিক্রি করে দেয় এইসব নোংরা দলগূলির কাছে।

তাই সহজ কথা নেয়না কেউ সহজে।

১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:৫৫

শয়তান বলেছেন: আস্তে :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১০

েতজপাতা বলেছেন: হেই ম্যান, তোমার প্রব্লেম কি? তুমি তো শিবির বিরোধী। তাইলে আমার এই পোস্ট নিয়াতো তোমার গা জলার কথা না?? সমস্যা কই?? তোমার বাপ-চাচা কেউ রাজাকার?? নাকি তুমি ছদ্মবেশে শিবিরের অথবা জামাতের দালালি করে বেড়াও?? যদি তাই হয় তাইলে তোমার পাছায় কিক দিয়ে আমার পোস্ট থেকে বের করব।

অথবা যদি অন্য দলের দালালও হও তাইলে তোমার কে রাজাকার??

১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১২

ওরাকল বলেছেন: :)

সহজ করে যে কইতে কহ আমারে
সহজ কথা যায় না বলা সহজে

................কোথায় যেন পড়েছিলাম...সম্ভবত রবিন্দ্রনাথ।

আমি সতাশ হই ন......... কেউ না কেউ এক সময় বুঝবে.......।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৭

েতজপাতা বলেছেন: সেই আশাতেই থাকলাম। মনে রাখবেন, আপনি কিন্তু আশা হারাতে মানা করছেন...

অনেক ধন্যবাদ।

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৪৯

বাবর মোহাম্মদ বলেছেন: ভালই লিখেছেন। তবে যুদ্ধাপরাধের সাথে সরাসরি জড়িত জামাত সেটা কখনোই অস্বীকার করতে পারবেনা, তার যা করতে পারে তা হল:
০. ইতিহাস বিকৃতি (বাঙালীরা চিনা ফালাইছে ভন্ডগো)
১. ব্রেইন ওয়াশ (সব শিবিরের পোলাপাইনরে যা করানো হয়)
২. রাজাকারগো হালাল বইলা ফতোয়া দেওয়া (বেইল নাই)
৩. স্বাধীনতা মাইন্যা লওয়া (হৃদয়ে পাকিস্তান, মুখে বাংলাদেশ), মুক্তিযোদ্ধা(!!!)গো সংবর্ধনা, বিজয় দিবস পালন (নির্লজ্জ)...............

টিকিয়া থাকিবার শেষ চেষ্টা করার গনতান্ত্রীক অধীকার হগলেরই আছে ;)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪১

েতজপাতা বলেছেন: চবির এক্স ছাত্র বলে জামাতের ওইসব গুনের কথা খুব ভালই জানি। আপনার কথায় আমার কোণ ভিন্নমত নেই। ধন্যবাদ।

২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫১

বাবর মোহাম্মদ বলেছেন: সরি, ভাল লিখেননি

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪৩

েতজপাতা বলেছেন: আমি ভাল লেখক হতে চাচ্ছিনা। কিন্তু আপনি বলেন, আপনি কোণ অংশে একমত নন।

২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:১৯

প্রতিবিপ্লবী বলেছেন: নাহিদ মাহমুদ ইজ ব্যাক =p~ শয়তান বলেছেন: এক লাইনেই এতো জ্বলে :)

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ৮:৪৫

েতজপাতা বলেছেন: পাইলাম আরেক জামাত ছাগু। দড়াম।

২৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:২২

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: রাজাকার আল-বদর আল-শামস ছাড়াও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে আরো কয়েকটা বাহিনী ছিলো। ইস্টপাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্সেস (ইপিসিএএফ), মুজাহিদ ছিলো তার অন্যতম। মূলত অবাঙালীরা বেশী ছিলো ইপিসিএএফ-এ। রাজাকার এবং মুজাহিদ দুটাই মূলত নিয়ন্ত্রণ করতো জামাতে ইসলামী। তাদের সদর দপ্তর থেকেই ইস্যু হতো এদের আইডি কার্ড এবং আর্মস এমুনিশন। পোশাকও। শান্তি কমিটি একটু বয়স্ক লোকজনের জায়গা, নেতা টাইপের। এদের কাজ মধ্যস্থতাকারী হিসেবে। জামাতিদের মতো হিংস্র ছিলো না অতো। মুসলিম লীগের লোকজনই ছিলো সংখ্যা গরিষ্ঠ। আল-বদর গঠন করা হয়েছিলো ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যদের (এখন ইসলামী ছাত্র শিবির) এরা ছিলো জঘন্যতম খুনী। আর প্রতিটি জেলায় রাজাকার কমান্ডার হিসেবে ছিলো সেই জেলার ইসলামী ছাত্র সংঘের সভাপতি। তাই এটা যতটা না সামরিক বাহিনী তারও বেশী রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের বাহিনী যার পৃষ্টপোষক ছিলো জামাত।

সবশেষে বলি, রাজাকারিতা একটা চেতনার নাম। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির পোষ্য সকলকেই একবাক্যে রাজাকার বলাটা তারই ধারাবাহিকতা মাত্র। তাই যারা অর্ডন্যান্স অনুসারে তালিকাভুক্ত তাদেরই রাজাকার বলা যাবে, আর বাকিদের না, তাইলে তো গোলাম আযমরেও রাজাকার বলা গুনাহ।

অফটপিক : আপনি কি জানেন পাকিস্তানের জাতীয় পশু কি? উত্তর হচ্ছে ছাগল। আমরা যারা ব্লগ রাজাকারদের ছাগু ডাকি, তারা কিন্তু এটা না জেনেই ডাকতাম

২৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫০

েতজপাতা বলেছেন: যারা বাধ্য হয়ে রাজাকারে নাম লিখিয়েছিল কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের হেল্প করে গেছে তাদের আপনি কি বলবেন?? আমি মনে কুরি তারা অনেক বড় যুদ্ধ করেছে...স্যলুট টু দেম...

আমার কথা হল যে যেটা করেছে তার শাস্তি সে পাক। বাট

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫৭

েতজপাতা বলেছেন: গো-আজ়ম কিংবা অন্য রাজাকারদের শাস্তি দিতেই হবে। বাট নিরীহ কাউকে নয়। শিবিরকে আমার চেয়ে বেশি ঘেন্না কেউ করেনা। কারন চবিতে পড়া কালীণ সময়ে আমরা সরাসরি ওদের নোংরা কাজ দেখেছি। কিন্তু যে শিবির করমীর বয়স ২৫ তাকে আমি রাজাকার বলে ডাকতে পারি না। তাই না?


অবশেষে বলি, ছাগুদের ব্লগ থেকে কিক করা হোক।

২৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:০১

শয়তান বলেছেন: পিয়ালভাইয়ের কমেন্টে জাঝা :)

২৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:০২

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: কিন্তু যে শিবির করমীর বয়স ২৫ তাকে আমি রাজাকার বলে ডাকতে পারি না। তাই না?

অবশ্যই পারি। কেনো পারবো না! আপনাকে তো বল্লামই যে রাজাকারিতা এখন একটি চেতনা। '৭১ সালে মুজাহিদ, নিজামী, গোয়াদের মুখে যেসব কথাবার্তা শোনা যেতো সেসব কথা যদি এখন ১৩ বছরের শিবিরকর্মীর মুখেও শুনি তাহলে সে হচ্ছে নব্য রাজাকার। এখানে জন্মসালটা বড় কথা না, কর্মতৎপরতাই আসল। শহীদ মিনার স্মৃতি সৌধে ফুল দেওয়া হিন্দুয়ানী, নববর্ষ পালন বেদায়াতী, জাতীয় সংগীত কেনো হিন্দু কবি লিখছে এটা বদলানো দরকার এই জাতীয় ডায়লগ যার মুখেই শুনবো সেই রাজাকার, তারেই গদাম। বয়সটা কোনো ব্যাপার না। তাই তাদের দয়া করে বাচাইতে আইসেন না।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১৫

েতজপাতা বলেছেন: পিয়াল ভাই। ধন্যবাদ। আমি এভাবে চিন্তা করিনি।।ভাল বলছেন...পুরা একমত।

আর ভাই সত্য কথা হল আমি কাউকে বাচাতে আসিনি। বিশেষ করে, যারা রাজনীতি করে, তাদের আমি অন্তর থেকে ঘেন্না করি। সে যে দলেরই হোক।আজ়কাল কোন দলে কি আর জনগনের প্রতি ভালবাসা আছে ? ?

আমার পক্ষ থেকে সকল নোংরা রাজনীতিককে গদাম।। জামাতরে রাজাকারের দল বইলা আনলিমিটেড ফ্রি গদাম।

২৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৫:০১

স্বপ্নকথক বলেছেন: আমি কি তা জানো? জানলে এমনে কৈতা না। যাইহোক, ওয়াচে রাখলাম।

১৪ ই এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৫

েতজপাতা বলেছেন: তুমি কে, সেটা জানিনা...জানার প্রয়োজন ও বোধ করছি না (তোমারে ইম্প দেয়ার মত প্রানী তুমি না, আই থিঙ্ক)। তোমারেও ওয়াচে রাখলাম...

২৮| ৩০ শে মে, ২০১২ সকাল ৮:৫০

নিভা* বলেছেন: অনেক সময় শব্দের মানে বদলে যায়, শব্দ তার মৌলিকত্ব হারায়, ভালো শব্দও অতি ঘৃণ্য শব্দে পরিনত হয়- রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস শব্দ গুলোর মানে যত ভালই হোক না কেন আমাদের চেতনার নিরিখে সেগুলো অতি ঘৃণ্য ন্যক্কার জনক নামে পরিনত হয়েছে..................... তাইতো দেশের প্রতি মমত্বহীন কাউকে দেখলেই বলি শালা নব্য রাজাকার, রাজাকারের ঘরের রাজাকার..............

১৯ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫৯

েতজপাতা বলেছেন: পুরোই একমত আপনার সাথে...

দেশ এখন নব্য রাজাকারে ছেয়ে গেছে...


আসুন বর্জন করি...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.