নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছেঘুড়ি

েতজপাতা

ত্যাগেই প্রকৃত সুখ। তাই এদেশের প্রায় সকল রাজনীতিবিদ-এর উপর মুত্র ত্যাগ করে প্রকৃত সুখ লাভের বাসনা আমার।

েতজপাতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রেতা বা ভোক্তা হিসেবে আমাদের অধিকার এবং তার প্রতিকার

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

অনেকেই নতুন বছরটাকে উদযাপন করতে চান আনন্দের সাথে এবং সেই আনন্দ উদযাপনের অন্যতম একটা অংশ হচ্ছে কেনাকাটা করা। আর সেই কেনাকাটা যদি হয় প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে তাহলে তো আনন্দ হয়ে যায় দ্বিগুনেরও বেশি। তো ধরেন, অনেকের মত আপনিও গেলেন প্রিয়জনকে সাথে করে দেশের শীর্ষস্থানীয় কোন শপিং মল বসুন্ধরা কিংবা যমুনা ফিউচার পার্কে এই ইচ্ছায় যে কিছু কেনাকাটা করে, মুভি দেখে এবং খাওয়া-দাওয়া করে কাটাবেন আনন্দময় কিছু সময়। কিন্তু বিধি বাম!! কেনাকাটা করতে গিয়ে দেখলেন যে কয়েকদিন আগে যে শার্টের দাম দেখে গেছেন ১০০০ টাকা, নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে দোকানী সেই ১০০০ টাকার শার্ট এ ১৫০০ টাকার ট্যাগ লিখে রেখে বিক্রি করছে। মেজাজ অত্যধিক খারাপ করে সিনেমা দেখতে গেলেন সিনেপ্লেক্স এ, যেখানে বলা আছে আপনাকে ফ্রি পপকর্ণ দেয়া হবে সিনেমা চলাকালীন সময়ে, কিন্তু পুরো সিনেমা শেষ হয়ে গেল পপকর্ণের নাম-গন্ধ ও নেই। মেজাজ আরো খারাপ করে গেলেন কোন রেষ্টুরেন্ট এ কিছু খাওয়ার জন্যে, কিন্তু খেতে গিয়ে বুঝলেন আপনাকে দেয়া হয়েছে ভেজাল খাবার এবং মেয়াদোত্তীর্ণ সফট ড্রিংক্স। কি করবেন আপনি ? চরম মেজাজ খারাপ করে “এই দেশের উন্নতি হবে না” এরকম গালি দিয়ে বাসায় চলে আসবেন, নাকি আপনার সাথে হয়ে যাওয়া অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করবেন ?

যদি আপনি একজন সচেতন মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে জেনে রাখুন আপনার সাথে সংঘঠিত অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিকারের জন্যে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর রয়েছে। আপনি যদি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর এ আপনার সাথে সংঘঠিত অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানিয়ে দেন, তাহলে অধিদপ্তর বিষয়টি যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে।

এখন আসুন দেখি কি ধরনের অপরাধের জন্যে আপনি অভিযোগ করবেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর এঃ

১। পন্যের মোড়ক, ইত্যাদি ব্যবহার না করলে,
২। সেবার মূল্যের তালিকা সংরক্ষন ও প্রদর্শন না করলে,
৩। ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পন্য, ঔষধ বা সেবা বিক্রয় করলে,
৪। ভেজাল পন্য বা ঔষধ বিক্রি করলে,
৫। খাদ্য পন্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ করলে,
৬। অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ করলে,
৭। মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারনকে প্রতারিত করলে,
৮। প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করলে,
৯। ওজনে কারচুপি করলে,
১০। বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি করলে,
১১। পরিমাপে কারচুপি করলে,
১২। দৈর্ঘ পরিমাপের কার্যে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতা বা অন্য কিছুতে কারচুপি করলে,
১৩। পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন করলে,
১৪। মেয়াদ উত্তীর্ণ কোন পণ্য বা ঔষধ বিক্রি করলে,
১৫। সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করলে,
১৬। অবহেলা, ইত্যাদি দ্বারা সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি, ইত্যাদি ঘটালে,
১৭। মিথ্যা বা হয়রানিমূলক মামলা করলে।

কতদিনের মধ্যে করবেন অভিযোগঃ অবশ্যই মনে রাখবেন ঘঠনা ঘটে যাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ না করলে অভিযোগ গ্রহনযোগ্য হবে না।

অভিযোগ করলে অভিযোগকারীর দুইটা লাভঃ ১। সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখার পাশাপাশি দুই নম্বর ব্যবসায়ীদের সাজা দিতে ভুমিকা রাখা, এবং ২। অভিযোগ প্রমানিত হলে যে জরিমানা করা হবে, সেই জরিমানার ২৫ শতাংশ আদায় হলে সাথে সাথেই দিয়ে দেয়া হবে অভিযোগকারীকে

দেওয়ানী প্রতিকারঃ কোন বিক্রেতার ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজের দ্বারা কোন ক্রেতা বা ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্থ হলে এবং সেই ক্ষতির পরিমান আর্থিক মূল্যে নিরুপন করা সম্ভব হলে, নিরুপিত অর্থের ৫ গুন দাবী করে উপযুক্ত দেওয়ানী আদালতে মামলা করা যাবে।
কিভাবে অভিযোগ করবেনঃ অভিযোগটি আপনি করতে পারবেন মোবাইলে এস.এম.এস এর মাধ্যমে, ইমেইলে, ফ্যাক্সে কিংবা সরাসরি লিখিত অভিযোগ করে।

কার বরাবর অভিযোগ করবেনঃ
মহাপরিচালক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
১ কারওয়ান বাজার(টিসিবি ভবন-৮ম তলা), ঢাকা-১২১৫

ফোন / ফ্যাক্স: ৮৮-০২-৮১৮৯৪২৫, ৮৮-০২-৮১৮৯০৪৫
অভিযোগ কেন্দ্রঃ ০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮
ই-মেইল: [email protected] ওয়েবঃ http:// http://www.dncrp.gov.bd

তারপরও যদি অভিযোগ করতে কোন সমস্যায় পড়েন, তাহলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নির্দ্বিধায়।। কোন রকম ফি ছাড়াই আপনাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব কথা দিচ্ছি। আমার সাথে পরামর্শ করতে চাইলে ইমেইল করতে পারেনঃ [email protected]


এখন উপরে উল্লেখিত ঘঠনাটি আরেকবার পড়ে দেখুনতো। আপনার সাথে উপরেল্লিখিত সংঘঠিত অনৈতিক ঘঠনাগুলোর সমাধান কি পাওয়া যাচ্ছে?? যদি পেয়ে থাকেন, তবে আসুন আর দেশকে গালি না দিয়ে নিজে সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করি। আর মনে রাখবেন আপনি যদি কোন অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ না করেন, তবে আপনি আসলে সেই অপরাধকারীকেই সাহায্য করছেন।। এখন আপনিই ঠিক করেন আপনি অপরাধীর সাহায্যকারী হবেন কিনা??

সবাইকে ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্যে এবং আশা করি এবং দোয়া করি সবার ২০১৬ এবং পরবর্তী বছরগুলো আনন্দে কাটবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.