নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Breakingnewsbd

Love is beauty from away

েব্রিিক্রং িনউজ

Journalist

েব্রিিক্রং িনউজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনন্দের সংজ্ঞা কী?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৬

আনন্দের সংজ্ঞা কী? আনন্দ কোথায় থাকে? কিসে আনন্দ পাওয়া যায়? এমন নানা প্রশেুর উত্তর খুঁজতেই এই লেখার সহৃত্রপাত। আনন্দের সংজ্ঞা কী? প্রাচীনকাল থেকেই এই প্রশেুর উত্তর খুঁজে আসছে জনে জনে। অভিধানের ভাষায় যদি বলিÑ মনের সšি§লিত অনুভুতির নামই আনন্দ। যা প্রেম, পহৃর্ণতা, প্রাপ্টিø, উল্কèাস আর সৃ®িদ্বর ভেতর নিহিত। সমাজ, স¤ক্সর্ক, অর্থনীতি সহ আরো বিভিল্পু বিষয়ের কারনে আনন্দের কম-বেশি ঘটে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করিÑ মন এবং পারিপার্শিকতা ভালো থাকলে যে কোন কিছুতেই আনন্দ লাভ করা সল্ফ¢ব। জীবনকে উপভোগের জন্য আনন্দের প্রয়োজনীয়তা অসীম। বয়সের বিভিল্পু সিঁড়িতে আনন্দের প্রকার এবং প্রকরণ নানা প্রকারের। শৈশবে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে আনন্দ পেতাম। আনন্দ পেতাম ছবি এঁকে, মাছ ধরে, বৃ®িদ্বর পানিতে বল্পব্দুদের সঙ্গে মজা করতে। এই জীবনে প্রধানতম আনন্দের যে কাজ, সেটা হলো ছবি আঁকা। শৈশবেই এই আনন্দের বীজ আমার ভেতর রোপিত হয়। বাবার চাকরি সহৃত্রে আমার শৈশব কেটেছে কুমিল্কèার দাউদকান্দিতে। সেখানে কাস থ্রি পর্যšø পড়ালেখার পর কুমিল্কèায় চলে আসি আমরা। এখানে এসে ভর্তি হই কুমিল্কèা ঈশ^র পাঠশালায়। তখন আমি কাস ফোরের ছাত্র। সময়টা ১৯৪৬। কবি অমিয় চত্রক্রবর্তী, শিল্কপ্পী অজিত চত্রক্রবর্তী, বিমল করসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি এই স্ট‹ুলের ছাত্র ছিলেন। আমার ছবি আঁকার হাতেখড়ি হয় এখানেই। আমার মামার ছিল ছবি আঁকার হাত। তিনি আমার মাকে বিভিল্পু কিছু ড্রইং করে দিতেন, মা সেসব ড্রইং কার্বনে ছাপ দিয়ে কাপড়ে এমব্রয়ডারি করতেন। বিভিল্পু ফুল, লতাপাতা, অনেক কিছুই থাকত সেসব নকশার মাঝে। মামার সেই ড্রইংগুলো দেখতাম খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। এ ছাড়া আমাদের স্ট‹ুলের ড্রইং টিচারও গতানুগতিক ধারায় না গিয়ে ভিল্পুভাবে শেখাতেন আমাদের। এভাবেই ছবি আঁকার আনন্দ আমাকে পেয়ে বসে। সেই থেকে এখনও ছবি আঁকার আনন্দ অকৃত্রিম এবং অবিকল আমার কাছে। ছেলেবেলার কিছু কথা বলি। কুমিল্কèা শহর একসময় বিখ্যাত ছিল পুকুরের জন্য। আমাদের স্ট‹ুলের ভেতরও ছিল বিরাট একটি পুকুর। এ ছাড়া শহরের নানা প্রাšেø ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল আরও অনেক পুষ্ফ‹রিণী। স্ট‹ুল শেষ করে আমরা অপোয় থাকতাম, কখন বৃ®িদ্ব নামবে। বৃ®িদ্ব নেমেছে আর আমরা বল্পব্দুবাল্পব্দবরা মিলে ফুটবল নিয়ে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়িনিÑ এমনটি হয়নি কখনও। সেই সময় বৃ®িদ্ব মানেই ফুটবল। কাদাপানিতে মাখামাখি করে, বৃ®িদ্বতে ভিজে খেলা শেষে পুকরে লাফিয়ে পড়তাম। বৃ®িদ্বর মধ্যেই পুকুর দাপিয়ে স্টুান সেরে তবেই ঘরে ফিরতাম। বর্ষার আরেকটি আনন্দ ছিল সে সময়Ñ কাগজের নৌকা বানানো। নৌকা বানিয়ে ছেড়ে দিতাম পানিতে। ভাসতে ভাসতে অনেক দহৃর চলে যেত নৌকাগুলো। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতাম আর আনন্দে লাফাতাম, কার নৌকা কত দহৃর যায়Ñ এসব নিয়ে। ছেলেবেলা থেকেই আমি না দুরšø না বাধ্যÑ এ দুয়ের মাঝামাঝি থেকেছি সব সময়। বাবা-মায়ের নিষেধ কখনও শুনতাম, কখনও শুনতাম না। সেই সময় আমার আরেকটি ভালো লাগার, আনন্দের বিষয় ছিল মাছ ধরা। সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মাছ ধরতে বের হতাম। দুপুরের খাবার শেষে বাসার সবাই ঘুমিয়ে পড়লে আমি ছিপ হাতে বের হতাম মাছ ধরার জন্য। বাসা থেকে দহৃরে কোনো পুকুরে কিংবা েেত ছিপ ফেলে বসে থাকতাম। এভাবে অনেক দিন কেটেছে। মাঝে মধ্যে বৃ®িদ্বতে ভিজেও মাছ ধরেছি। মাছ ধরা শেষে একদিন বাসায় ফেরার পর আমার বাবা ছিপ দিয়েই আচ্ছামতো মার লাগিয়েছিলেন। সেই থেকে মাছ ধরার ভূত মাথা থেকে নেমে গিয়েছিল। ছেলেবেলা থেকেই ভেবে রেখেছিলাম বড় হয়ে আমি ছবি আঁকব। শিল্কপ্পী হব। সে সময় আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য শিাগত যোগ্যতার মাপকাঠি ছিল ম্যাট্রিক পাস। ঢাকায় যাব, আর্ট কলেজে ভর্তি হবো, জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে দেখা হবেÑ এ রকম নানা স্ট^প্নের বীজ বুনতে বুনতে ম্যাট্রিক পাস করে ফেললাম। রেজাল্কল্ট নিয়ে কোনো মাথাব্যথা ছিল না। কারণ আমার ল্যই ছিল আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়া। তার জন্য প্রয়োজন ম্যাট্রিক পাস। যেদিন রেজাল্কল্ট হলো পাস করেছি এই আনন্দেই আমি আত্মহারা। আগ-পিছ বিচার করার কোনো সুযোগই ছিল না। তারপর ভয়ে ভয়ে বাবার কাছে গিয়ে বললাম, ‘আমি আর্ট কলেজে ভর্তি হতে চাই।’ প্রথমে তিনি রাজি হননি। এর পেছনে কারণও আছে। তখনকার দিনে আর্টি¯দ্ব মানেই সিনেমার পো¯দ্বার আঁকা অথবা স্ট‹ুলের ড্রইং টিচার। ভবিষ্যতে জীবিকার কথা চিšøা করেই বাবা সায় দিলেন না। কিšøু আমার প্রচণ্ড আগ্রহ আর মায়ের চে®দ্বায় শেষ পর্যšø ভর্তি হতে পেরেছিলাম। সেই দিনটি আমার জীবনের এক স্ট§রণীয় আনন্দের দিন। সেদিন প্রথম জয়নুল আবেদিনকে সচে দেখার সুযোগ ঘটেছিল। সে এক বিশেষ মুহহৃর্ত। তাকে সামনে থেকে দেখতে পাওয়ার কথা মনে হলে আমি এখনও সুখ বোধ করি। শৈশব আর যৌবনের কথাতো বলা হলো। আমার মতো অনেকেই তাদের ভঅলো লাগার কাজের মাঝে আনন্দ পেয়ে থাকেন। মধ্য বয়সে এসে আবার আনন্দের ধারা বদলে যায়। এই সময়টা অনেক দায়িÍে^র। পরিবার-পরিজন, জীবন-জীবিকা সহ হাজারো কাজের ভিড়ে জীবনের ব্যস্টøতা বেড়ে যায়। তখন নিজের আনন্দের বিষয়টি হয়ে যায় সার্বজনীন। দয়িÍ^ পালনের মাঝেও আনন্দ আছে। প্রিয় মানুষদের হাসি মাখা মুখ দেখতে কার না আনন্দ হয়। আর এই সময়ে বার্ধক্যের মধ্যে থেকে আনন্দ পাই প্রিয়জনদের খোজ খবর করতে। তাদের কোন ভালো খবর শুনলে। আমার নাতনীদের নিয়ে ইদানিং আনন্দের সময় কাটে। তাদের গল্কপ্প শুনিয়ে, তাদের সঙ্গে খেলা করে, ছবি এঁকে। এই ধরনের আনন্দ আর কোন কিচুতে খুঁজে পাওয়া যায় না।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.