![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Busy working mother with two child, work as an Architect. Love reading, painting, involved in designing interior, gardening and most of all, love to having quality time with family. Have strong connection with desh and family in back home..beleive in future bangladesh with beautiful infrastucture, low cost housing for street people and lot more improvements..I have a dream on this that Me and my kids will be part of that improvement!
রোববারে ছেলের ডাকে ঘুম ভাঙলো, চেঁচিয়ে বলল ইলেকট্রিসিটি নেই! খুব অবাক হলাম--এখনও বড় ধরনের তুষারপাত তো দুরের কথা, ঝিরিঝিরি স্নো ফলও শুরু হয়নি, অথবা নেই ঝড়ো বাতাস, পরিস্কার দিন- তাপমাত্রা অবশ্য প্রায় হিমাংকের নীচে। কি হয়েছে তা দেখার জন্য লাইট জ্বালালাম, জ্বলল না--নীচের তলায় নামলাম, হালকা অন্ধকার। নীচতলা বেশ ঠান্ডা হয়ে আছে, বিদ্যুৎ নেই, তাই বয়লার বন্ধ! স্লাইডিং ডোর দিয়ে পাশের প্রতিবেশীর বেড়ায় ভেঙে পড়া বিশাল গাছ দেখে বুঝলাম সব! আমার বাসার ঠিক পেছনেই মিমি নামে ৯০ বছরের এক ইহূদী বুড়ি একাএকা এক বাসায় থাকতো--ওনার কীচেন থেকে আমার কীচেনে চোখাচোখি হতো মাঝেমাঝে। গত মাস ধরে কাজ থেকে বাসায় ফিরতে সন্ধ্যা সাতটা বেজে যায়, তারপরে সময় যায় চোখের পলকে--ভাত রান্না, ছেলেমেয়ের হোমওয়ার্ক দেখা, লান্চ বানানো!--মিমির সাথে অনেকদিন আর আই কন্টাক্ট হয়নি এর মধ্যে নতুন মালিক এসেছে মিমির বাসায়, বুড়ি কোথায় গেছে কে জানে! মালিকটি স্বভাবত আমাদের অথবা আমাদের প্রতিবেশী দেশের কেউ। আসার পর থেকেই একটার পর একটা তার ব্যাকইয়ার্ডের গাছ কেটে যাচ্ছে
লোকটি অদ্ভূত ক্যালাস! প্রকান্ড গাছটি গতকাল ভোর থেকে কাটাচ্ছিলো অদক্ষ কর্মী দিয়ে, ফলে সেটা মটমট করে আরেক প্রতিবেশীর বেড়া আর বৈদ্যুতিক লাইনের উপরে ভেঙে পড়ে, ফলে এই অবস্থা।
আমরা এই নিরিবিলী এলাকার প্রচুর গাছে ছাওয়া সৌন্দর্য দেখে এখানে বাড়ী কিনেছিলাম। গাছ কাটতে দেখলে আমার কান্না পায়, যদিও পাইন আর বার্চ আমার দেশী গাছ না--তবুও গাছতো!--ওদের সাথে আমার আত্মিক যোগাযোগ, জানালার ফাঁকে শীতের পত্র শুণ্য ন্যাড়া গাছগুলো দেখলেও আমার দেশের বাড়ীর কৎবেল গাছের কথা মনে পড়ত---ওদের শুকনো মড়া ডালগুলোর ফাঁকে নভেম্বেরর হাড় কাঁপানো বাতাসের শণশণ শব্দে আমার নানু বাড়ীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করোতোয়ার নৌকা গুলির পালের পত্পত্ শব্দেরই প্রতিদ্ধনী মনে হতো!--আমার এই ব্যস্ততাময়, প্রবাস জীবনে ওটুকু ছিলো একফালি স্বস্তির নিঃশ্বাস!--গাছ বিহীন বাড়িটি আজ মিমির চেয়েও একাকী হয়ে গেছে! ঠান্ডা না সইতে পেরে ছেলেমেয়ে নিয়ে আমি আর আমার স্বামী বেড়িয়ে পড়লাম, সন্ধ্যা অব্দি লাইব্রেরিতে বসে রইলাম--ওরা হোমওয়ার্ক সেশ করল, আমরা চুপচাপ ম্যাগাজিন ঘাটলাম--রাস্তায় এই কনকনে ঠান্ডায় কয়েক সাদা আমেরিকান দের দেখলাম প্ল্যাকার্ড হাতে বড়বড় করে লেখা--সেইভ দ্য ট্রী! সুজলা সুফলা দেশের মানুষগুলো কেন পরদেশে যেয়ে গাছ কেটে ফেলে---সেট বোধগম্য হয়না!
২১ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৯
তিথীডোর বলেছেন: আপনি ভীষন একটা বিরক্তিকর পাবলিক ! আবোলতাবোল সব মন্তব্য
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:১৯
তাশমিন নূর বলেছেন: আপনার লেখার ভঙ্গি এতো সহজ আর সাবলীল, আপু! বুঝতে একটুও কষ্ট হয় না। এটা একটা ঈশ্বর প্রদত্ত ক্ষমতা। আমার এক বন্ধু আছেন, উনি যাই লিখেন বেশ একটা কঠিন কিছুতে দাঁড়িয়ে যায়। উনার খুব আক্ষেপ, উনি সহজ করে লিখতে পারেন না। আপনার লেখার স্টাইল ঈর্ষনীয়। অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম। পুরো লেখাটাই সুন্দর। চালিয়ে যাবেন, কোন দ্বিধা ছাড়াই।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:১০
তিথীডোর বলেছেন: Thanks Tashmin!..
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১০
খেলাঘর বলেছেন:
মায়ের থেকে মাসীর দরদ