নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
সময় ১৯৮০ এর দশক, প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের শেষ শুক্রবার আমার দাদাজানের মৃত্যুবার্ষিকী’তে বড় চাচা, আব্বা বেশ খরচ করে গ্রামবাসী ও আত্মীয় পরিজনদের খাবারের একটা ব্যবস্থা করতেন, বড় চাচা আর আব্বা বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ গ্রামের বাড়িতে চলে আসতেন, বিকেলে বাজার তারপর সারা রাত চলতো আয়োজন, সকল আত্মীয় স্বজন এসে বাড়ী ভরপুর - দক্ষযজ্ঞ পরিবেশ। গ্রামের বাড়িতে বিদ্যুতের প্রবল সমস্যার কারণে ও রান্নার আয়োজনের প্রয়োজনে বাড়ির উঠানে “হ্যাজাক লাইট” জ্বালানো হতো, আব্বার খুব পছন্দের সংগ্রহের মধ্যে একটা ছিলো “হ্যাজাক লাইট, জার্মানের প্যাট্রোম্যাক্স কোম্পানীর তৈরি” একটা সময় ছিলো গ্রামের বাড়িতে কারো হ্যাজাক লাইট থাকা একটা - “ব্যাপার স্যাপার” ভাবা হতো এবং একই সঙ্গে সম্ভ্রান্ত বাড়ির একটা চিহ্নও - ফুয়েল চার্জ ঘন্টায় ১ লিটার - সহজ ব্যাপার ছিলো না! তখন বাজারে তেল সের দরে বিক্রি হতো, ১ সের কেরোসিনের দাম ছিলো ৭ টাকা!
অনুষ্ঠানে সবচেয়ে মজাদার ও আকর্ষণীয় কয়েকটি কাজের মধ্যে একটি ছিলো সেই হ্যাজাক লাইট জ্বালানো পর্ব ! আমরা সবাই উঠানে ঘেরাও করে দাড়িয়ে আছি আর মাঝখানে আব্বা ব্যাক্তিগত জলচৌকি’তে বসে হ্যাজাক লাইট এর চিমনি পরিস্কার করছেন - কেরোসিন দিচ্ছেন - ল্যাম্পে আগুন দিচ্ছেন - শো শো শব্দে পাম্প থেকে কেরোসিন সুঁই দিয়ে হ্যাজাক লাইটের জ্বলন্ত ল্যাম্পে পড়ে যেই আলোর বন্যা তৈরি করতো তার কাছে এখনকার আধুনিক বাতি খুবই নগন্য বলা যায়। হ্যাজাক লাইট জ্বলার সাথে সাথে আমার দাদীজান সমস্ত কাজের কর্তৃত্ব হাতে নিয়ে নিতেন। দাদীজানকে পেয়ে আমাদের সবার কাজে কর্মেও এক আশ্চর্য্য গতি চলে আসতো আর বাড়িতে যে অনুষ্ঠান হচ্ছে তার রুপ পাল্টে দেওয়ার মুল ভুমিকাটাই ছিলো আমার দাদীজান ও হ্যাজাক লাইট। ১৯৯৩ সনে দাদীজান, ১৯৯৯ সনে আব্বা ও ২০০৫ সনে বড় চাচা আমাদের সকলকে অথৈ সাগরে রেখে আমাদের ছেড়ে চিরো বিদায় নিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। হ্যাজাক লাইট টি আজো আছে কিন্তু তার সাথের সঙ্গী সাথী আজ আর কেউ নেই।
আমার দুই দাদীজানদের বিক্ষ্যাত উক্তি: -
কথাগুলো তাঁরা আঞ্চলিক ভাষায় বলতেন যা আমার পুরোপুরি এখন আর মনে নেই, তবে সঠিক বাংলাটি লেখার চেষ্টা করেছি।
মালবোঝাই নৌকা বৈঠা ধরে, লগি মেরে, গুন টেনে
তিনজনের জীবন শেষ - -
ভাঙ্গা নৌকা বেঠা মেরে, ঘামে ভিজে দৌড়ের নৌকা
নয়জনের সুখের দেশ।
- রায়না বিবি (আমার বেহেস্তবাসী দাদীজান)
“খাইতে তো পারে সবাই - -
খাওয়াইতে পারে কয়জন?
খাইয়া পেট ভরে, খাওয়াইয়া মন ভরে”
- ওমরাহ আমল (আমার বেহেস্তবাসী দাদীজান - আমার বেহেস্তবাসী দাদাজানের বোন)
যবনিকা: - ১৯৮১ হতে ১৯৯৮ সন পর্যন্ত বড় চাচা ও আব্বা গ্রামের বাড়িতে সকল গ্রামবাসী সহ আত্মীয় পরিজনকে বছরে একবার দাওয়াত দিয়ে সম্মান করে খাওয়ানোর দায়ীত্ব পালন করে গেছেন, আব্বার ইন্তেকালের পর বড় চাচা একেবারে একা হয়ে যান, আর বড় চাচা ইন্তেকালের পর গ্রামের বাড়িই আমাদের সবাইকে একা করে দেয়। কিছু কিছু বাড়ি থাকে যেখানে বাড়ির মূল কিছু মানুষ থাকেন “এই মানুষ - এই বাড়ির মানুষ”। এই মানুষ চলে যাওয়ার পর বাড়ি আর আগের মতো আলোকিত হয়না। আমাদের গ্রামের বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিলো না, ১৯৮২ সনে আমাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ আসে। এখন বাড়িতে নানা ধরনের নানা রঙের বাতি সহ বিদেশী ১০০০ ওয়াটের ষ্ট্রিট লাইট আছে তারপরও বাড়ি অন্ধকারই হয়ে থাকে।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আজ আমি জীবনে যেই অবস্থানে আছি, তার সম্পূর্ণ ঋণ ও ভালোবাসা আমার দাদীজানদের প্রতি ও আমার আব্বা বড় চাচার প্রতি। ২০০২ ও ২০০৪ সনে আমি বড় ধরণের আর্থিক আঘাত পাই। আমার বড় চাচা বার্ধক্য কারণেই অসুস্থ্য তিনি আমার কাছে ছিলেন - আমি কৃতজ্ঞ। তিনি এক সন্ধায় আমাকে ডেকে বলেন “বাপরে তোমার যা টাকা গেছে যতো আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার উপর তুমি দাড়ায়ে পস্রাব করে দাও! - আমার কথা শুনে কি কষ্ট পাচ্ছো, ভাবতেছো টাকা গেছে আমার বড় চাচার তো না? বাপ তুমি মারা গেলে আমরা একদিনের জায়গায় দুই দিন কাঁদবো আজীবন তো কাঁদবো না। তুমি বেঁচে থাকলে টাকা আসবে যাবে, টাকা মানুষেই আয় করে মানুষেই ব্যায় করে। তুমি মারা গেলে সব শেষ” - আমি বড় চাচার হাতে ধরে বলেছিলাম “চাচা আমার যেই টাকা গেছে আমি সেই টাকার উপর পস্রাব করি”। আমার সেই দিন চলে গেছে ২০০৭ এ আবার আঘাত পাই তারপর আরো আঘাত পেয়েছি আর গায়েও লাগেনি।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো।
৮০ অনেক পড়েই আমার জন্ম। ছোটবেলায় গ্রামে আমি হ্যাজাক বাতি দেখেছি। আগে রাতে গান বাজনা হতো হ্যাজাক বাতি জ্বেলে।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে অর্থ ভালো লিখেছি। ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই। গ্রামে যাবার আগে ট্রায়াল দিন ৩০-৬০ দিন গ্রামে থেকে দেখুন পরিবেশ, পরিস্থিতি, মানুষ, আত্মীয় পরিজন সব - সব দেখুন।
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই, আপনোদের জন্যই লিখা নিজের জীবনের কিছু কথা। আপনার লেখা খুব ভালো লিখে যান। এটি নিজের ডায়রী মনে করে লিখুন - সবার মন্তব্য মনে করবেন আপনার ডায়েরী বিবেচনা হচ্ছে।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯
রাকু হাসান বলেছেন:
খাইতে তো পারে সবাই
খাওয়াইতে পারে কয়জন
খাইয়া পেট ভরে
খাওয়াইয়া মন ভরে --বাহ চমৎকার বলেছেন । আগেকার মানুষের কিছু মন্তব্য/উক্তি দার্শনিকের মতো লাগে । আমি অবাক হই তাদের জীবন দর্শন দেখে।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার দেশ বিদেশ কর্ম জীবনে আমি আমার দাদীজানদের মতো জ্ঞানী মানুষ খুব কম দেখেছি। ধন্যবাদ রাকু হাসান ভাই।
যে নিজের সম্মান নিজে করতে পারে
জগৎ সংসার তাঁরে সম্মান করে
- রায়না বিবি (আমার বেহেস্তবাসী দাদীজান)
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: আগের দিনের মানুষের মন অনেক বড় ছিল। অন্যকে দিয়ে, খাইয়ে আনন্দ পেতেন। আজকের দিনের মানুষ অন্যের পেছনে চার আনা পয়সাও খরচ করতে রাজী না পাছে না আবার নেক্সট বিদেশ ব্রমনের টাকায় টান পড়ে ।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সত্যি সত্যি তাদের মন আসলেই অনেক বড় ছিলো। বড় ছিলো তাদের চিন্তা চেতনা আর দৃষ্টিভঙ্গি।
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:১১
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আগের দিনের মানুষের হয়তো গাদাগাদা সার্টিফিকেট ছিলো না। কিন্তু শিক্ষা ছিলো, জ্ঞানবুদ্ধি ছিলো, মানবিকতা ছিলো।
এখনকার মানুষের গাদাগাদা সার্টিফিকেট আছে কিন্তু প্রকৃত শিক্ষা নেই।
দাদীজানদের উক্তিগুলা খুব অর্থবহ, সত্য, সুন্দর...
পোস্ট ভালো লেগেছে।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: না তারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষিত হয়তো ছিলেন না তবে আমাদের চেয়ে ভালেঅ জ্ঞান রাখতেন এটি নিশ্চিত আজ তাই বুঝতে পারি প্রতিদিন প্রতিক্ষণ। ধন্যবাদ জুনায়েদ বি রাহমান ভাই।
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:১৫
ল বলেছেন: বেহেস্তি দাদীজান, চাচা, সহজ সকলের জন্য দোয়া রইলো।।।
তবে হ্যাজাক লাইট না হোক কাঙ্গালি ভোজ কটেজের দায়িত্ব আপনি পালন করলেন না কেন???
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আর্থিক স্বচ্ছলতা যথেষ্ট থাকা সত্তেও তাদের মতো বড় মনের মানুষ হতে পারিনি আমাদের প্রজন্মের কেউ। ধন্যবাদ ল ভাই। আমার আব্বা, বড় চাচা তাঁরা অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন।
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:২৯
সুপারডুপার বলেছেন: আপনার দাদীজান ও হ্যাজাক লাইট, দুইটায় লাইট। আপনার দাদীজানের উক্তিই “খাইতে তো পারে সবাই - - খাওয়াইতে পারে কয়জন?'' বলে দেয় , উনার স্পর্শে অন্ধকারে আলো জ্বলতে পারে। উনি নাই, তাই বাড়িটা অন্ধকারে। আর আলো - অন্ধকারেই আমাদের জীবন।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:৫৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শহুরে ব্যাস্ততায় আর কর্ম জীবনের চাপে নিজেদের জীবন হয়ে গেছে ফার্ষ্টট্র্যাক সার্ভিস।
আলো - অন্ধকারেই আমাদের জীবন - সত্য বচন।
৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,
আমি দাদা-দাদী কাউকে পাইনি। ছোটবেলায় খুব মিস করতাম। কোন স্মৃতি নেই বলে আপনার মতো লিখার বিষয়ও নেই। পৃথিবীর সব দাদীজানই মনে হয় এমনই ভালো হন।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দাদা দাদী অর্থই কর্তৃত্ব, দাদা দাদী অর্থ শাসন,
দাদী অর্থ একজন শক্ত মানবী যিনি পরিবার আকড়ে ধরে থাকেন তাঁর সু বিশাল বাহুতে।
দাদী অর্থ অগাধ জ্ঞান আর ভালোবাসার ধমক!!!
দাদী অর্থ বটবৃক্ষ আর আমরা তাঁর ডালপালা মাত্র।
১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৪
আনমোনা বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: লেখা পড়ে যখন পাঠকের ভালো লাগে তখন লেখকের মন ভরে যায় আনন্দে। পাঠকের ভালো লাগায় লেখকের সমুদ্রের মতো বিশাল আনন্দের ঢেউ নিয়ে আসে। ধন্যবাদ।
১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:২৪
প্রামানিক বলেছেন: এক হ্যাজাকে ৫০০ ওয়াটের আলো দিত, পুরানো স্মৃতি মনে করে দিলেন। ধন্যবাদ
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দাদা দাদী বাবা মা চাচা চাচী আত্মীয় পরিজন সবাই মিলে কি বিশাল আয়োজন! সেই মানুষ নেই সেই আয়োজন ও নেই, শুধু হ্যাজাক বাতিটি আছে কালের স্বাক্ষী হয়ে। আর হ্যাজাকের শো শো শব্দই যেনো একটা মোহ তৈরি করে দিতো তাতে বোঝা যেতো এই বাড়ীতে আজ অনুষ্ঠান। হ্যাজাকের আলোর কাছে বৈদ্যতিক আলোর কোনো স্থান নেই। হ্যাজাকের কোনো বিকল্প হয় না। হ্যাজাক - একটা ব্যাপার স্যাপার ছিলো।
১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ ভোর ৫:১০
এমজেডএফ বলেছেন:
আপনার দাদীজান ও হ্যাজাক লাইটের স্মৃতিময় কাহিনী পড়ে আশির দশকের গ্রামবাংলার চিত্র মানসচক্ষে ভেসে উঠলো। স্মৃতিটুকু আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বিদেশী ১০০০ ওয়াটের ষ্ট্রিট লাইট লাগালেও বাড়ী সত্যিকারের আলোকিত হয় না। বাড়িঘর আলোকিত করার জন্য প্রয়োজন আলোকিত মানুষ। আগেকার দিনে গ্রামের বাড়ীতে স্বচ্ছল পরিবারগুলোতে সকল গ্রামবাসীসহ আত্মীয় পরিজনকে বছরে একবার দাওয়াত দিয়ে সম্মান করে খাওয়ানোর রেওয়াজ ছিল। এখন জীবনযাত্রা শহরকেন্দ্রিক ও লাইফ স্টাইল ডিজিটাল হওয়ার কারণে আর্থিক সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও নতুন জেনারেশন এ রেওয়াজ পালন করে না। তবে আমাদের চট্টগ্রামে এখনো এ রেওয়াজটি আছে, যা আমরা নিজেরাও করি। এ ধরনের দাওয়াতকে আমরা চট্টগ্রামে মেজবান বলি।
আপনার দাদা, দাদী, আব্বা, চাচাসহ সকল মৃত আত্বীয়-স্বজনের ওপর আল্লার রহমত বর্ষিত হউক - এই প্রার্থনা করি।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সবাই দুরে দুরে এতোই দুরে যে দেশ দেশান্তরে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সম্ভবত এই বছর ২০১৯ ডিসেম্বরে আমাদের বাড়ীতে পরিবারের সকল সদস্য উপস্থিত থাকবে। বাদবাকী আল্লাহ ভরসা।
সবার দোয়া কামনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এমজেডএফ ভাই ধন্যবাদ।
১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:৩৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আর্থিক স্বচ্ছলতা যথেষ্ট থাকা সত্তেও তাদের মতো বড় মনের মানুষ হতে পারিনি আমাদের প্রজন্মের কেউ। ধন্যবাদ ল ভাই। আমার আব্বা, বড় চাচা তাঁরা অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন।
বড় মনের মানুষ কেউ জন্ম থেকে হয় না। তার কর্ম দিয়েই হয়। আপনার সামনে বিশাল সুযোগ এবং দায় দুটোই পড়ে আছে।
শুধু ইচ্ছেটা জাগ্রত হলেই দাদার আসল নাতি হয় যেতে পারেন্
প্রথম কথা- যা কিছু সঞ্চয় করছেন- কিছূই আপনার নয়
সংগে যাবেনা কিছূই কর্মফল ছাড়া,
আর দাদা দাদী এবং পিতার আত্মার প্রতি দায়,
মৃত্যুই শেষ নয় - আরেক জীবনের শুরু মাত্র-
সো গা ঝাড়া দিয়ে জেগে উঠুন। আসছে মৃত্যু বার্ষিকী হয়ে উঠুক দাদা-দাদী পিতার স্মরণের উত্তম দিন।
আবার বসান মেলা। আবার আসুক গায়ের মানুষ। মুরুব্বীরা বলবে- দেখছ- পুরাই বাবা দাদার মতোই সব আয়োজন করছে!
দেখতে হবেনা কার নাতি!!!!
তখন আপনার আয় আপনার জন্ম আপনার বেঁচা থাকা পূর্ণ হবে।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, আপনার অনুপ্রেরনা আনন্দদায়ক। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সবাই দুরে দুরে এতোই দুরে যে দেশ দেশান্তরে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি সম্ভবত এই বছর ২০১৯ ডিসেম্বরে আমাদের বাড়ীতে পরিবারের সকল সদস্য উপস্থিত থাকবেন। বাদবাকী আল্লাহ ভরসা। অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৫০
নাসির ইয়ামান বলেছেন: প্রথমে জেনে রাখুন,ইসলাম মৃত্যুদিবস পালনের কথা বলে না!
এউপলক্ষ্যে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা ইসলামের অংশ নয়।ধর্মের নামে এটা নবসৃষ্টি,যা রাসুল (সা.) ও সাহাবাদের কালে ছিলনা!
তবে আপনি বছরের যেকোনো সময় মৃতের পক্ষ থেকে সাদকাহ/দান করতে পারেন,এতে তারা উপকৃত হবেন।কুলখানি করলে তা হবে না!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধর্মে হয়তো এর বিধান নেই, তবে এই কাজটি ধর্ম মতে অধর্মের কাজ এমনও কোথাও শুনিনি। তাই এটি ধর্মীয় বিষয় না তা পরিস্কার। এটি আত্মীয় পরিজন গ্রামবাসীদের সাথে সম্মানে একটি আপ্যায়ন অনুষ্ঠান মাত্র - এখানে ধর্ম বাধা হয়ে দাড়াবে এমন কথা আমার জানা নেই।
<আপনার প্রোফাইল পিকাচরটি ভিন্ন ধর্মের সাথে যায়, এটি ইসলামিক বা ইসলাম ধর্মের বিপরীত।
১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:২৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আহা! দিলেন তো পুরানো দিনের সব কথা মনে করিয়ে। কি অপূর্ব ছিল সে সময়কার দিনগুলি। হাসান লাইটের সাদা আলোর শো শো শব্দের সঙ্গে আলোর সামনে বিভিন্ন রকমের পোকার উপদ্রব সব মিলিয়ে গ্রামের সে সময়কার দিনগুলি ভারী অপূর্ব ছিল।
নয়া প্রজন্ম এসবের স্বাদ থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত। বঞ্চিত সমস্ত পাড়া জুড়ে যে কম্মুনিটি ফিলিংস তার অনুভূতি থেকেও।
মাটির গন্ধমাখা শাশ্বত গ্রাম বাংলার এক খন্ডিত চিত্র লেখায় ফুটে উঠেছে। পোস্টে দশম লাইক।
শুভকামনা প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদাতিক চৌধুরি ভাই অনেক অনেক শুভকামনা ও ভালোলাগা। জীবন জীবকার তাগিদে সব ছেড়ে ছুড়ে আমরা এখন এতোই ব্যাস্ত যে অবসর বিনোদনে কম্পিউটারে আর টিভিতে আটকে গেছি - যার বিরুপ ফল পাবে আগামী প্রজন্ম। আর এই বিরুপ ফলের গাছের আমরাই রোপন করছি।
ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি ভাই।
১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
ইসিয়াক বলেছেন: লেখক বলেছেন: আজ আমি জীবনে যেই অবস্থানে আছি, তার সম্পূর্ণ ঋণ ও ভালোবাসা আমার দাদীজানদের প্রতি ও আমার আব্বা বড় চাচার প্রতি। ২০০২ ও ২০০৪ সনে আমি বড় ধরণের আর্থিক আঘাত পাই। আমার বড় চাচা বার্ধক্য কারণেই অসুস্থ্য তিনি আমার কাছে ছিলেন - আমি কৃতজ্ঞ। তিনি এক সন্ধায় আমাকে ডেকে বলেন “বাপরে তোমার যা টাকা গেছে যতো আর্থিক ক্ষতি হয়েছে তার উপর তুমি দাড়ায়ে পস্রাব করে দাও! - আমার কথা শুনে কি কষ্ট পাচ্ছো, ভাবতেছো টাকা গেছে আমার বড় চাচার তো না? বাপ তুমি মারা গেলে আমরা একদিনের জায়গায় দুই দিন কাঁদবো আজীবন তো কাঁদবো না। তুমি বেঁচে থাকলে টাকা আসবে যাবে, টাকা মানুষেই আয় করে মানুষেই ব্যায় করে। তুমি মারা গেলে সব শেষ” - আমি বড় চাচার হাতে ধরে বলেছিলাম “চাচা আমার যেই টাকা গেছে আমি সেই টাকার উপর পস্রাব করি”। আমার সেই দিন চলে গেছে ২০০৭ এ আবার আঘাত পাই তারপর আরো আঘাত পেয়েছি আর গায়েও লাগেনি।
অনেক ভালো লেগেছে । পোষ্ট এবং পোষ্টের মন্তব্য । ধন্যবাদ
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমাদের জীবনটাই প্রতিকুল ঘড়ি, এখানে অনুকুল কিছু ঘটবে এটি শুধুই মিরাকল ও খুব দুর্লভ ঘটনা যা অনুকুল হয় আমাদের জীবনে। আমাদের এই কঠিন বন্ধুর পথ ধরেই এগুতে হয় - এটাই জীবন, এটাই কর্ম, এটাই নিয়তি। জীবনে মন্দ কিছু সব উড়ে এস পরবে গায়ের উপর, কিন্তু ভালো যা কিছু তা অর্জন করতে হয় - দুঃখ করে, কষ্ট করে, দিনরাত এক করে, আরামের ঘুম হারাম করে। এটাই জীবনের শিক্ষা। - এটি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নয়।
১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মন্তব্যর প্রত্যুত্তর করা সাধারণ ভদ্রতা, আর রাজীব নুর ভাই তো আমার পছন্দের মানুষ। আপনার মন্তব্যর উত্তর হবে না - কিভাবে সম্ভব। গ্রামে যাওয়ার আগে ট্রায়াল দিন ৩০-৬০ দিন গ্রামে থেকে আসুন।
১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮
নাসির ইয়ামান বলেছেন: আমার নাম নাসির।আমার প্রোফাইলে আছে (I love my Nasir)অর্থ আমি নিজেকে ভালোবাসি
এখানে ভিন্নধর্মের কিছু নাই!
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ছবি, ভাষা,হার্ট চিহ্ন - সবগুলো বিধর্মের। আপনি বা আপনার পরিবার পরিজন কি সাউদি আরবে বা মধ্যপ্রচ্যের কোনো দেশে থাকেন?
১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:২৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমারাও ছোট বেলায় অল্পকিছু দিন দেখেছি এই হ্যাজাক লাইট। তারপর স্মৃতি হয়ে গেছে।
পোস্টে ভাললাগা।
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো লাগা পোষ্টে লাইক দিতে হয়। আমার লাইক কোথায় ভাই? আমাদের জীবনটা অতীত নির্ভর তাই বলা যায় স্মৃতি নিয়েই আমাদের জীবন।
২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
জুন বলেছেন: আমিও মনে মনে ভাবি কোথায় চলে গেল তারা যারা আমাদের এত প্রিয় ছিল! আমার দাদা, দাদী, চাচা ফুপু, নানু মামা খালারা সবাই।
হ্যাজাক বাতি আমার ছোটকালে একটা বিস্ময়ের ব্যাপার ছিল ঠাকুর মাহমুদ। কোন কারনে যেদিন বাসায় এ বাতিটি জ্বলতো সেদিন মনে হতো কোন এক উতসব আজ।
স্মৃতি রোমন্থন করা লেখায় ভালোলাগা রইলো অনেক।
+
১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুন আপা, আপনি হ্যাজাক লাইট যুগের মানুষ এটাই আনন্দের বিষয়, গ্রামের সেই উৎসব মুখর দিন আর নেই, জীবন জীবিকার প্রয়োজনে সবাই দেশ দেশন্তরে, রোজার ঈদে কেউ আসেন তো কোরবানীর ঈদে কেউ, আর বাদবাকী সবাই আসেন শীতের সিজনে, আমি প্রচন্ড ব্যাস্ত মানুষ বার বার সবাইকে সময় দেওয়া আমার হয়না - সম্ভবও না। তাই সবাইকে বলেছি একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে আসো, আশা করছি এবার ২০১৯ ডিসেম্বরে সবাই এক সাথে হবো। ধন্যবাদ জুন আপা।
দাদা দাদী অর্থই কর্তৃত্ব, দাদা দাদী অর্থ শাসন,
দাদী অর্থ একজন শক্ত মানবী যিনি পরিবার আকড়ে ধরে থাকেন তাঁর সু বিশাল বাহুতে।
দাদী অর্থ অগাধ জ্ঞান আর ভালোবাসার ধমক!!!
দাদী অর্থ বটবৃক্ষ আর আমরা তাঁর ডালপালা মাত্র।
আমাদের জীবনটা অতীত নির্ভর তাই বলা যায় স্মৃতি নিয়েই আমাদের জীবন।
২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮
নাসির ইয়ামান বলেছেন: হুম,সৌদিতে এক আত্মীয় থাকেন!
২০ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ১২:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হুম তাহলে এই সমস্যা !!! ???
চিরতার রস খান ১ মগ করে
১+০+১
২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: দাদা-দাদি সত্যি রত্ন ছিলো।
আমার দাদির কথাও মনে পড়লো।
লেখা-পড়া ঠিকমত না করলে মোটর বাইক কিনে দিবে বলে লোভ দেখাতো।
বাবার নিকট থেকে স্কুলে যাওয়ার সময় টাকা নিয়ে দিতো।
এখন আমার মোটর বাইক, চলার মত সচ্চলতা থাকলেও দাদি নাই।
২০০৩ সনে উনি পরলোক গমন করেন।
২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তারেক ফাহিম ভাই, আপনার দাদীর জন্য দোয়া করি আল্লাহপাক আপনার দাদীর বেহেস্ত নসীব দান করুন।
২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:৪২
করুণাধারা বলেছেন: স্মৃতিকথা পড়তে বরাবরই ভালো লাগে, আপনার স্মৃতি কথা সুখপাঠ্য, ভালো লাগলো।
যারা চলে গেছেন তাদের সকলের জন্য দোয়া রইল।
২০ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আপনার জন্যও দোয়া করছি ভালো থাকুন সুস্থ্য থাকুন।
২৪| ২১ শে আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
মিরোরডডল বলেছেন: লেখাটা ভীষণ ভালো লেগেছে । একটা কথা বলবো ? আপনি অবশ্যই বাবা চাচার কাজটা অনুসরণ করবেন । ব্যাস্ততা পার্ট অব লাইফ । তার মাঝেই সময় করে নিবেন ।
আমার বাবা চাচারা কেউ বেঁচে নেই । পরিবারে মুরুব্বী নেই । বড় চাচার ছেলেই এখন আমাদের মুরুব্বী । আমি প্রতিবার বাংলাদেশে গিয়ে সেই কাজিন কে নিয়ে গ্রামে গিয়ে এরকম একটা প্রোগ্রাম করি । সব আত্মীয়রা যে যেখানে আছে ঢাকা অথবা গ্রামে সবাই গ্রামে চলে আসে, গ্রামের প্রতিবেশীরা, সবাই একসাথে সারাদিন । কি অসাধারণ একটা সময় । গ্রামের মানুষগুলো অনেকি সহজ সরল । কি যে ভালো লাগে !!!!
আপনার লেখা পড়ে অনেককিছু মনে পরছে । ভালো থাকবেন ।
২১ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি সর্বাত্বক চেষ্টা করছি আবার শুরু করবো কাজগুলো, আত্মীয় পরিজন সবাই ব্যাস্ততায় অনেক দুরে দুরে, গ্রামের বাড়ীতে এক এক সময় এক এক জন এসে উপস্থিত হয় তাতে অন্য সবাই তার সাথে আসতে পারেনা আর হয়ও না। এই কারণে নির্দিষ্ট একটি সময় করে সবাই আসবে এটা ভেবে সবাই আলোচনা করেছি আশা করছি এবার ২০১৯ এ ডিসেম্বরে সবাই এক সাথে হতে পারবো - ইনশাল্লাহ।
আপনিও ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
সবকিছু ভালো, দাদীরা ও নানীরা জীবনের উপর পয্রভাব ফেলেন, এটা জীবনের ভালো দিক।
আপনার ২ জন দাদী আপনার উপর ভালো প্রভাব ফেলেছিলেন, বুঝা যাচ্ছে, ভালো