নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শান্তিতে নোবেল পেলেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৩



নরওয়ের অসলোতে আজ (১১ অক্টোবর) শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলি। তিনি ১০০তম নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে নিজ দেশের দ্বন্দ্ব সমাধানে ভূমিকা রাখায় তাকে সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

শান্তির নোবেলের জন্য এ বছর মনোনয়ন পান ২২৩ জন ব্যক্তি এবং ৭৮টি প্রতিষ্ঠান। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অর্জনের প্রচেষ্টার জন্য এবং বিশেষত প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত নিরসনে নিষ্পত্তিমূলক উদ্যোগের জন্য আবিকে সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যু বার্ষিকীতে স্টকহোম এবং অসলোতে একটি জমকালো অনুষ্ঠানে এ বছর নোবেল বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য ৯০ লাখ ক্রোনার (৯ লাখ ১৮ হাজার ডলার), একটি গোল্ড মেডেল এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। আগামী সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

ইথিওপিয়ার প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি এ পুরস্কার পেলেন। ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের অসলোতে ৪৩ বছর বয়সী আবি আহমেদের হাতে পুরস্কারের সার্টিফিকেট, স্বর্ণের মেডেল ও ৯০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার তুলে দেয়া হবে। এবার নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ২২৩ ব্যক্তি ও ৭৮টি সংগঠনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিল। আবি আহমেদকে পুরস্কার দেয়ার কারণ হিসেবে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি বলেছে, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিশেষত, প্রতিবেশী ইরত্রিয়ার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সীমান্ত সংঘাত বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ায় তাকে এ পুরস্কার দেয়া হচ্ছে। নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট রিস-অ্যান্ডারসেন বলেন, পাশাপাশি আবি আহমেদ সুদান, কেনিয়া এবং সোমালিয়ায়ও শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় ভূমিকা রেখে চলছেন। এ পুরস্কার শুধু আবির একার নয়, বরং শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা ইথিওপিয়ায় বাকি কর্তা ব্যক্তিদেরও। আবির সামনে এখনও বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে নোবেল কমিটি।

১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্তে যুদ্ধ হয়েছিল। এরপর থেকে তাদের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক বিরাজ ও সীমান্তে সেনা মোতায়েন ছিল। প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের উদ্যোগের কারণে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপিত হয়, নিরসন হয় ২০ বছরের অচলাবস্থার। সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা আবি ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। আবি নিগৃহীত অরম জাতিগোষ্ঠীর নেতা এবং সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতেও ভূমিকা রেখেছেন আবি। দেশটির মন্ত্রিপরিষদের অর্ধেক নারী নিয়োগ দেয়াসহ প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রীও এসেছে তার সময়ে। ২০২০ সালে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়াসহ ‘নতুন ইথিওপিয়া’ উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আবি। বহুধা বিভাজিত দেশটির সব জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় সমতা আনার কথাও বলেছেন তিনি।

এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য সুইডেনের ১৬ বছর বয়সী পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানব্যার্গ আলোচনায় ছিলেন। তার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে নোবেল কমিটির প্রধান বেরিট বলেন, যিনি কখনও নোবেল পাননি বা বাজিকররা যাদের নিয়ে বাজি ধরে, তাদের নিয়ে আমরা কখনও মন্তব্য করি না। ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। সোমবার থেকে যথাক্রমে চিকিৎসা, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য ও শান্তিতে পুরস্কার বিজয়ীদের নাম জানানো হয়।

আবি আহমেদ আলি সংক্ষেপে আবি আহমেদ আবি, জন্ম ১৫ আগস্ট ১৯৭৬। ইথিওপিয়ার রাজনীতিবিদ এবং ২ এপ্রিল ২০১৮ থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী ইথিওপিয়ার ১৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইথিওপিয়ান পিপল'স রেভ্যুলেশনারী ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও অরোমু ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি ইথিওপিয়ান পার্লামেন্ট এবং ওডিপি ও ইপিআরডিএফ এর নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর্মি ইন্টেলিজেন্সের একজন সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে, আবি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজনীতি ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৯ সালে আবি আহমেদের প্রচেষ্টাতেই ইরিত্রিয়ার সঙ্গে ইথিওপিয়ার পুরনো বৈরিতার অবসান ঘটেছে। ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া সীমান্ত যুদ্ধে দু’দেশের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। ২০০০ সালে তাদের মধ্যে শান্তিচুক্তি হলেও উত্তেজনা ঠিকই ছিল। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার দীর্ঘ ২০ বছরের সমস্যার নিরসনের জন্য তিনি ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।

শিক্ষা:- ইথিওপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সে কাজ করার সময় আবি ২০০১ সালে আদ্দিস আবাবার মাইক্রোলিংক ইনফরমেশন টেকনোলজি কলেজ থেকে কম্পিউটার প্রকৌশলের ওপর তার প্রথম ব্যচেলর ডিগ্রি লাভ করেন। আবি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব গ্রীনিস থেকে ট্রান্সফরম্যাশনাল লিডারশীপ এর ওপর এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৩ সালে আদ্দিস আবাবার অ্যাশল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অধীনে লেডস্টার কলেজ অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লিডারশীপ থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন। আবি কয়েকবছর পূর্বে নিয়মিত ছাত্র হিসেবে পিএইচডির জন্য লেখাপড়া শুরু করেন এবং ২০১৭ সালে আদ্দিস আবাবা ইউনিভার্সিটির ইন্সটিটিউট ফর পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ থেকে তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন।

মিলিটারি জীবন:- ১৯৯১ সালের শুরুর দিকে তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর পর কিশোর অবস্থায় তিনি মার্কস ও লেনিনবাদীর বিপক্ষে লড়তে ইথিওপিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তখন তিনি অরুমো ডেমোক্রেটিক পার্টির একজন সদস্য ছিলেন। সেনাবাহিনীতে অল্পসংখ্যক ওডিপি যোদ্ধা ও ৯০ হাজারের মতে তিগ্রায়ান ছিলো, যাদের থেকে খুব সহজেই তিনি তিগ্রিনিয়া ভাষা শিখে পেলেন। তিগ্রিনিয়া ভাষা জানা একজন বক্তা হিসেবে তিনি তার মিলিটারি ক্যারিয়ার সহজে সামনে এগিয়ে নিতে পেরেছিলেন। ডার্গে পতিত হওয়ার পর তিনি নিয়মানুযায়ী পশ্চিম ওলেগা প্রদেশের আসেফা ব্রিগেডে প্রশিক্ষণ নেন এবং সেখানেই অবস্থান করেন। তার মিলিটারি পোস্টটি ছিলো বুদ্ধিমত্তা ও যোগাযোগ সম্পর্কিত। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে বর্তমান ইথিওপিয়ান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সের একজন সৈনিক হন এবং অধিকাংশ সময়ই বুদ্ধিমত্তা ও যোগাযোগ বিভাগেই কাজ করেন। ১৯৯৫ সালে রোয়ান্ডা গণহত্যার পর তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনস এসিসট্যান্টে মিশন ফর রোয়ান্ডার সৈনিক হিসেবে রোয়ান্ডার কিগালিতে যুদ্ধ করতে যান। ১৯৯৮ ও ২০০০ সালে ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া যুদ্ধের সময় তিনি ইরিত্রিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের অবস্থান নির্ণয়ে একটি ইন্টেলিজেন্স টিম এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীতে আবি তার নিজের এলাকা বিশাসাতে ডিফেন্স অফিসার হিসাবে ফিরে আসেন, যেখানো মুসলিম ও খ্রিস্টানদের মধ্যে আন্তঃধর্মীয় সংঘাতের কারণে কয়েকজন লোক মৃত্যুবরণ করেছিলেন। তিনি পরবর্তীতে এই পরিস্থিতি শান্ত ও শান্তিপূর্ণ করতে সক্ষম হন। ২০০৮ সালে আবি, ইথিওপিয়ান ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি এজেন্সির (INSA) সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সেখানে তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেন। দুই বছরের জন্য তিনি INSA এর পরিচালকের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই কাজের জন্য পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সরকারি তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সংস্থা ইথিও টেলিকম ও ইথিওপিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনেও কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। ২০১০ সালে হঠাৎ তিনি তার মিলিটারির ডেপুটি পরিচালকের পদ ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মিলিটারি জীবনে তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল এর মতো উচ্চপদেও আসীন ছিলেন।

ক্ষমতায় আরোহণ:- ২০১৫ সালের শুরু থেকে অবৈধ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আবি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। টানা তিন বছরের আন্দোলন এবং বিক্ষোভের মুখে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইথিওপিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম দেসালজেন পদত্যাগে বাধ্য হন। সেই সঙ্গে তিনি দেশটির ক্ষমতাসীন জোট ইপিআরডিএফ এর প্রধানের পদও হারান। ইথিওপিয়ার অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী ক্ষমতাসীন জোটের প্রধানই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। দেশটির চার দল ওডিপি, এডিপি, এসইপিডিএম এবং টিপিএলএফ মিলেই এ জোট। হিলেমারিয়ামের পদত্যাগের পর প্রথমবারের মত ইপিআরপিএফ জোটের নেতা নির্বাচনের জন্য ভোট হয়। ওই সময় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ওডিপি প্রধান লেমা মেগেরসা এবং আবি আহমেদকে এগিয়ে রেখেছিলেন। লেমা মেগেরসা দলীয় প্রধান হলেও পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন না। আর ইথিওপিয়ার সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী হতে হলে অবশ্যই পার্লামেন্ট সদস্য হতে হবে। যে কারণে লেমা মেগেরসার বদলে আবি আহমেদকেই ওডিপি প্রধান ঘোষণা করা হয়। ২০১৮ সালের ১ মার্চ ইপিআরপিএফ এর নির্বাহী কমিটির সদস্যদের ভোটে আবি জোট প্রধান নির্বাচিত হন এবং পরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।



যুদ্ধের সমাপ্তিতে ভূমিকা:- ১ এপ্রিল ২০১৮ সালে আবি ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে ইথিওপিয়ার জনগণের মধ্যে ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং ইথিওপিয়া-ইরিত্রিয়া সীমান্তে যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় বসার প্রতিশ্রুতি দেন। আফ্রিকার দরিদ্র এ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০০ সালের জুন মাস পর্যন্ত যুদ্ধ হয়। সেখানে পরবর্তী দুই দশক পর্যন্ত চলে ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার মধ্যে সংঘাত ও সীমান্ত সমস্যা। আবি আহমেদের উদ্যোগে ২০১৮ সালে দুই দেশ একটি শান্তি চুক্তি করেন এবং যুদ্ধের অবসানে ভূমিকা রাখেন। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়ার দীর্ঘ ২০ বছরের সমস্যার নিরসনের জন্য তিনি ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।


উৎসর্গ:- ব্লগার জুন আপা, সামহোয়্যারইন ব্লগে আমার প্রিয় একজন বোন।

কৃতজ্ঞতা: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ।
তথ্য: - উইকিপিডিয়া
ছবি: গুগল সার্চ ইঞ্জিন


মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩০

জুন বলেছেন: আহা আপনি তো আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করে ফেললেন ঠাকুর মাহমুদ ।
সত্যি আমি নিপাট এই ভদ্রলোকের জীবনী পড়ে মুগ্ধ হয়েছি ।
মাহাথির লিকুয়ানকে আর আশা করি না,
এমন আবি আহমেদ আলী জন্ম নিক আমাদের এই পোড়ার দেশে এটাই হোক প্রার্থনা ।
ভালোলাগা আর প্রিয়তে রইলো ভাই ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপা, জাতি হিসেবে আমরা হতভাগা “নেলসন ম্যান্ডেলা, কফি আনান, আবি আহমেদ আলীর মতো মানুষ আমাদের দেশে জন্ম নেবেন না।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো হলো, উনি শিক্ষিত ও দক্ষ মানুষ; আফ্রিকাতে কেহ 'শান্তি' শব্দটার অর্থ বুঝে না; ফলে, এখন থেকে তারা 'শান্তি' শব্দটার সাথে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে; আফ্রিকানরা মাত্র একটা শব্দ জানে, 'দুর্ভিক্ষ'।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী কৃষ্ণাঙ্গদের তালিকা: -

আলবার্ট জন লুথুলি, দক্ষিণ আফ্রিকা
ডেসমন্ড টুটু, দক্ষিণ আফ্রিকা
নেলসন ম্যান্ডেলা, দক্ষিণ আফ্রিকা
কফি আনান, ঘানা
ওয়াঙ্গেরী মাথেই, কেনিয়া
এলেন জনসন সারলিফ, লাইবেরিয়া
লেহমাহ বয়ই, লাইবেরিয়া
ডেনিস মুকওয়েজি, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র
আবি আহমেদ আলী, ইথিওপিয়া

চাঁদগাজী ভাই,
প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ কখনো কখনো একটি দেশের জন্য হয় আর্শিবাদ স্বরুপ, আবার প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদই একটি দেশের জন্য হয়ে উঠে অভিশাপ! - আর তার জ্বলন্ত প্রমাণ আফ্রিকা মহাদেশ। আফ্রিকার কিছু দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুব কাছে থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। সহজলভ্য অস্ত্র, মাদক, মহামারী রোগ, আর শিক্ষার অভাব মানুষকে কোথায় নিতে পারে তার প্রমাণ আফ্রিকার দেশগুলো।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০১

রাজীব নুর বলেছেন: যোগ্য লোকই নোবেল পেয়েছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সত্যি সত্যি আসলেই তিনি যোগ্য লোক। নোবেল তাঁর জন্য প্রাপ্য ও অধিকার ছিলো।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৬

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়ে প্রায় বরাবরই বিতর্ক শুরু হয়। তবে এবার মনে হচ্ছে, প্রাপ্য লোক-ই উপযুক্ত সম্মাননা পেয়েছেন। লেখককে ধন্যবাদ এমন তথ্যবহুল লিখার জন্য।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এবারের নোবেল বিজয়ে আবারো প্রমান হয়েছে নোবেল কমিটির পারফেকশন। প্রাপ্য জনই উপযুক্ত সম্মাননা পেয়েছেন। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তাহলে আমাদের পুরস্কারটা......!!!

তাহলে আমাদের পুরস্কারটা......!!!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সম্ভবত আমরা এখনো যোগ্য হতে পারিনি, তাতে কি? আগামী বারের জন্য অপেক্ষা করবো।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: খনিজ সম্পদের আশীর্বাদপোস্ট আফ্রিকার জন্য এই ধরণের নেতৃত্ব খুবই প্রয়োজন | ভালো নেতৃত্ব পেলে ওই দেশগুলো দ্রুত উন্নতি করবে |

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: খনিজ সম্পদ এসব দেশের জন্য অভিশাপ হয়ে গেছে, আর সমস্যা হচ্ছে সহজলভ্য অস্ত্র, মাদক আর ছড়িয়ে দেওয়া মহামারী রোগ। কারা এসব করেছে, কেনো করেছে তা বিশাল ইতিহাস তবে আমরা সবাই তার কমবেশী জানি। দেখতে দেখেতে তো ৫০ বছর চলে গেলো, আফ্রিকার দেশগুলো দেখে আমাদের সাবধান হওয়া উচিত - আদৌ আমরা কি হচ্ছি তা?

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজ রাতে জাপানে ভয়ংকর টাইফুন হচ্ছে । আগামীকাল সকালের পত্রিকায় দেখতে পাবেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জানি বিষয়টি। বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের একটি ফানেল দেশ, আমাদের প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে সাবধান থাকা উচিত।

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইথুপিয়া নামটা শুনলেই হাড় জিড়জিড়ে দুর্বিক্ষপীড়িত মানুষের চেহারা ভেসে উঠে। হয়ত এই নেতার নেতৃত্বে দেশটার চেহারা বদলে যেতে পারে ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আসলেই সত্য, ইথিওপিয়া নাম মনে হলেই হাড় জিরজিরে ফাপা ফোলা পেটের মানুষ চোখে ভাসে। আহারে মানুষের সৃষ্ট মানুষের কষ্ট কাকে বলে তা আফ্রিকায় দেখা যায়।

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: দারুণ তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট, পড়ে অনেক কিছু জানা গেল ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দ্রুত গতির এক প্রবাদ পুরুষ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

রাকু হাসান বলেছেন:

আবি আহমেদ সম্পর্ককে জানার আগ্রহ ছিল। ভাবছিলাম গুগল করবো তার আগেই দেখি অনেকটা ধারণা দিয়েছেন । ধন্যবাদ । ভালো কাজ করেছে আবি আহমেদ ।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশে আবি আহমেদ আলী জন্ম নেবেন না।

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




“নেলসন ম্যান্ডেলা, কফি আনান, আবি আহমেদ আলীর মতো মানুষ আমাদের দেশে জন্ম নেবেন না।
নেয়ার কোনও কারনও নেই। লেজুরবৃত্তি করা মানুষ পিছনে নিয়ে আর যাই-ই হওয়া যাক "লিডার" হওয়া যায়না। লিডার হতে হলে পিছনে "ফলোয়ার" চাই , চামচা নয়!

উৎসর্গটি যথাযথ হয়েছে কারন সহব্লগার জুন শান্তির কপোতের রঙের সাথে মিলিয়ে কি অভিনব কায়দাতেই না চার লাইনের মাঝে লুকোনো একটি মেসেজ দিয়ে গেছেন; ঠিক আপনার পোস্টটির আগে আগে।
আপনাদের দু'জনাকেই সাধুবাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




"ফলোয়ার" চাই , চামচা নয়।
আহমেদ জী এস ভাই, সরকারী চাকুরী জীবনে আমরা বলতাম “শালা সব চামচ এখন বেলচা হেয়ে গেছে! - সমস্যা হচ্ছে কে কতো চামচামী করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে সেই পলাশীর যুগ থেকে। রক্তটাই চামচামীর রক্ত - ডায়ালাইসিস করে জাতির রক্ত পাল্টানো তো আর সম্ভব নাহঃ

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:২৮

নীল আকাশ বলেছেন: ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ এর কর্মজীবন আজকেই পড়লাম। শুধু ইচ্ছে থাকলেই একটা মাত্র মানুষ যে পুরো দেশকে বদলে দিতে পারে সেটাই উনি সারা পৃথিবীর মানুষকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিয়েছেন।
A big big salute to this excellent person. He really desearves this prize

কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই দেশে এই রকম ব্যক্তিত্বের জন্ম কোন দিনও হবে কি?

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এই দেশে এই রকম ব্যক্তিত্বের জন্ম কোন দিনও হবে কি?

- শত বছরে এমন একজন জন্মে বলে জানতাম। ১৯ শতকে ছিলেন, ২০ শতকে এখন পর্যন্ত এমন কেউ আছেন বলে দেখতে পাচ্ছি না। আশার বাণী হচ্ছে ২০ শতকে মাত্র ১৯ বছর চলছে অর্থাৎ সামনে ৮১ বছর - - -



১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৫২

রাকু হাসান বলেছেন:

লেখক বলেছেন: আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের দেশে আবি আহমেদ আলী জন্ম নেবেন না।----এ ক্ষেত্রে আমি আশাবাদী ।
স্রষ্টা জাতিকে মুক্তির পথ দেখাতে গান্ধি,নজরুল,মুজিব দিয়েছেন।পাকদের স্বৈরাচারী না থাকলে মুজিব হয়তো জন্ম নিত না । এই ভঙ্গুর দশা থেকে মুক্তি করতে নিশ্চয় তিনি কান্ডারি পাঠাবেন । স্রষ্টা পাঠিয়েও আসছেন তা প্রমাণিত । যদি না আসে বুঝতে হবে তাহলে আমাদের ধ্বংসটাই বাকি । চে,ম্যান্ডেলারা জন্ম নেওয়ার কারণ একটিই শোষণ,অনাচার,অত্যাচার । তাঁদের দেশের তখনকার পরিস্থিতি লক্ষ্য করলে বলা যায় মোটেও ভালো ছিল না । গোবরে পদ্ম ফুটিয়ে দেখিয়েছেন স্রষ্টা । পচন থেকেই শুভ্রতার আগমন ঘটে । আজ এ অবস্থার মানেই সামনে সুদিন আসছে । পরিবর্তন হবেই ,আলো আসবে । কখন ,কিভাবে সেটা স্রষ্টাই ভালো বলতে পারবেন । ভালো কিছু করার ইচ্ছা,চেতনা ,বদলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা আমাদের নিজ থেকেই আসা উচিত । আমরা সবাই কারও জন্য অপেক্ষা করছি । নিজে কিছু করছি না । স্বপ্ন দেখছি না । এমনকি নিজেকে বদলে ফেলারও প্রয়াস নেই । এত কিছুর মাঝেও বাংলাদেশের এমন লোকের অভাব নেই যে স্বপ্ন দেখছে বদলে ফেলার ,বদলে দেবার । সময়,পরিবেশ,শ্রম,মেধা সবকিছু হয়তো ঠিক মতো হচ্ছে না ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আফসোস! আমাদের দেশেও এমন যোগ্য লোক জন্মেছিলেন আমরা তাদের চিনতে - বুঝতে - সইতে পারিনি। শত বছরে এমন একজন জন্মে বলে জানতাম। ১৯ শতকে ছিলেন, ২০ শতকে এখন পর্যন্ত এমন কেউ আছেন বলে দেখতে পাচ্ছি না। আশার বাণী হচ্ছে ২০ শতকে মাত্র ১৯ বছর চলছে অর্থাৎ সামনে ৮১ বছর - - -

১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:০৩

রাকু হাসান বলেছেন:


অপেক্ষার প্রহর শেষ হোক । সেটা দীর্ঘ না হলেই আমাদের জন্য মঙ্গল।একটা ম্যাসেজ পরিষ্কার বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চাই ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভুল। রাকু হাসান ভাই। ভুল। বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায় না। যারা নতুন হিসেবে দেখা দেয় তারা হচ্ছে পুরাতনদের সিস্টার কনসার্ন।

১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৫১

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: চমৎকার লেখা,
.......................................................
আরও অভিনন্দন ১০০তম নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীকে
যদিও এতে আমার গভীরতম কোন আস্হা নাই,
কারন আমি জানি, এতে নিরপেক্ষতা বলতে কিছু নাই ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নিরপেক্ষতা কোথায় আছে বলতে পারেন? আমার আপনার আস্থাতে কি আসে যায়? না নোবেল ফাউন্ডেশনের, না দেশের, না সমাজের! আপনার আমার আস্থা অনাস্থাতে কি কিছু আসে যায় বলেন?

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৫৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি পদ্মা সেতুর আশপাসে আছি
ওখানে ক্যাসিনো নাই ।
সুসাধু ইলিশ আর পদ্মার ভয়ংকর রুপ দেখে
মুগ্ধ এই মন।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মাত্র ৩০ - ৪০ বছর আগের ইলিশ আর এখনকার ইলিশের মধ্য পার্থক্য হচ্ছে “চিনি মাখানো আটার গোল্লা আর দুধের ছানার রসগোল্লা”!

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৪৭

আরোগ্য বলেছেন: আবারও আমাদের মাননীয় আপামনিকে ঠক দিলো।
আপনার পোস্টের মাধ্যমে স্যার আবি আহমেদকে অভিনন্দন জানাই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সম্ভবত আমরা এখনো যোগ্য হতে পারিনি, তাতে কি? আগামী বারের জন্য অপেক্ষা করবো। প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী- স্যার উপাধি পান নি, তিনি নোবেল পদক পেয়েছেন। বাংলাদেশের কারো সাথে কি তার জীবনযাপন মেলে - কি মনে হয় আপনার? আপনাকে ধন্যবাদ।

১৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


রোহিংগাদের যায়গা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ শান্তিতে নোবেল পাবার যোগ্য

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রোহিঙ্গাদের জায়গা দেওয়ার জন্য সহ তাদের আবাসন প্রকল্প যেভাবে বাংলাদেশ দিয়েছে তা আর কোনো দেশে শরণার্থী এভাবে পায়নি, ছন্নছাড়া ভাবে আছেন সকল শরণার্থী অন্যন্য দেশে। বাংলাদেশে এবারে যেহেতু পায়নি ২০২০ সনে আমরা অপেক্ষা করবো তাতে না হলে আর পাওয়া যাবে না। এ জন্য ডঃ ইউনুস সাহেব কলকাঠি নেড়েছেন প্রচুর, তিনি কলকাঠি নাড়াতে উস্তাদ মানুষ। হিলারী ক্লিনটন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেন নি এটি বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ ছিলো, ডঃ ইউনুস সাহেব প্রচুর ঝামেলা করতেন।

ডঃ ইউনুস সাহেব একটি নোবেল পেয়েছেন, তার আমরণ চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের নামে একটি নোবেলই থাকুক সেটি ডঃ ইউনুস সাহেব। আপনার সূত্রমতে বাংলাদেশের কোনো পরিবার চাহে না তার পাশের বাড়ীর কোনো পরিবার ভালো থাকুক, ভালো শিক্ষা পাক, উন্নতি করুক। ডঃ ইউনুস সাহেব বাংলাদেশের গার্বেজ।

১৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

জাহিদ হাসান বলেছেন: অভিনন্দন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দ্রুত গতির এক প্রবাদ পুরুষ ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ। ধন্যবাদ। বাংলাদেশের কারো সাথে কি তার জীবনযাপন মেলে - কি মনে হয় আপনার?

২০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিজ্ঞান ভিত্তিক নোবেল পুরস্কার ঠিক আছে।
কিন্তু বেশিরভাগ শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নিয়ে আমার আপত্তি আছে। যেমন ড. ইউনুস।
উনি অর্থনীতিতে নোবেল পেলে আমার আপত্তি ছিলনা, যদিও ডোনেশন বা ১% সুদে ঋন এনে ৩১% সুদ খাটানো (যেখানে আমেরিকায় বাড়ী গাড়ী কিনতে ৪-৫% সুদ, প্রথম দুই বছর সুদ বিহীন কিস্তি বিহীন) দরিদ্র মহিলাদের কাছে ২০'০০০টাকায় গ্রামীন পল্লি ফোন সিম বিক্রি কোনটাই ভাল উদাহরন না।

আবি আহমেদ আলী নিজেদের দেশকে গ্যাঞ্জাম মুক্ত করে অর্থনৈতিক উন্নয়নে মননিবেশ করেছেন,
পাকিস্তানের মত বছরের পর বছর সীমান্তে গুতোগুতি না করে শান্তির পথে এসেছেন।
এমনটা বা এর চেয়ে বেশী অনেক উদাহরন আগে বিভিন্ন দেশের রাস্ট্রপ্রধান অনেকে করেছে।
কিন্তু তারা ওদের গুডবুকে নেই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




হাসান কালবৈশাখী ভাই, বাংলাদেশ হচ্ছে ভারত পাকিস্তান বিদ্বেষমূলক দেশ। তবে যারা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের পরিবারে পাকিস্তানী লৌন ড্রেস আর ভারতের পেঁয়াজ না হলে চলে না। ড. ইউনুস সাহেব কিভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন তা তিনি নিজেও বলতে পারবেন না। তিনি সুদের ব্যাবসা করেন এবং এটাই তিনি ভালো জানেন, এতোটাই ভালো জানেন যে সুদ দিয়ে তিনি নিজে আলোকিত হয়েছেন আর যারা সুদ নিয়েছেন তাদের তিনি অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছেন।

আবী আহমেদ আলীর সাথে তুলনা করতে হলে আরো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, রাষ্ট্র নায়ক সহ বিশেষ ব্যাক্তি আছেন তারা কেনো নোবেল পাচ্ছেন না তা বিতর্কের বিষয় - আসলে বাংলাদেশে থেকে খনিজ সম্পদ পশ্চিমা দেশে বৈধ অবৈধ ভাবে যাওয়ার কোনো ব্যাবস্থা নেই (যমদূত হিসেবে ভারত পাশে আছে) আফ্রিকান দেশগুলো খনিজ সম্পদের পাহাড় আর এটাই তাদের জন্য অভিশাপ আর নোবেল প্রাপ্তির জন্য সুসংবাদ।

ক। পাকিস্তান জঙ্গিবাদ নিয়ে ভারত যে পরিমান ফিল্ম, শর্ট ফিল্ম, নাটক, পোষ্টার, লেখালেখি করেছে - করছে এখন পাকিস্তান যদি নিজ দেশের জঙ্গি মেরে সাফা করে অথবা জ্যান্ত কবর দিয়েও দেয় তারপরও ভারত তাদের জঙ্গিনামা সিরিয়াল হতে মুক্ত দেবে না।

খ। বাংলাদেশের উচিত বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ তৈরি করতে না দেওয়া। ভারত বিদ্বেষ যতো বাড়বে তার ফলাফল ভয়ংকর হবে। যেটা তথাকথিত ফেসবুকার ব্লগার যদু মধু কদুদের ধারণার বাইরে।


২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ হাসিনা কবে নোবেল পাবেন??

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার দীর্ঘ জীবনে অনেক কিছু দেখেছি, এই জীবনে একটি শব্দের সাথে বার বার নতুন করে পরিচিত হয়েছি যার ফলাফল আমি পেয়েছি আর তা হচ্ছে ধৈর্য্য/অপেক্ষা। আমার প্রিয় একটি শব্দের নাম ধৈর্য্য।

ডঃ ইউনুস সাহেব একটি নোবেল পেয়েছেন, তার আমরণ চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের নামে একটি নোবেলই থাকুক সেটি ডঃ ইউনুস সাহেব। ব্লগার চাঁদগাজী সাহেবের সূত্রমতে “বাংলাদেশের কোনো পরিবার চাহে না তার পাশের বাড়ীর কোনো পরিবার ভালো থাকুক, ভালো শিক্ষা পাক, উন্নতি করুক”।

ডঃ ইউনুস সাহেব বাংলাদেশের গার্বেজ।


২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যে আকাম কুকামে উপমহাদেশীয়দের সাথে পাল্লা দিয়েই অপরাধ করে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, সুদানের লোকেরা। তবে আমার ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়ার বন্ধু আছে। সৎ সাহস থাকলে এরকম দুর্বল অর্থনৈতিক, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের প্রধানও যে নোবেল পেতে পারেন তার প্রমাণ হলেন আবি আহমেদ...

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আবি আহমেদ আলী হচ্ছেন বর্তমান যুগের দ্রুততম পথ চলার প্রবাদ পুরুষ। মাত্র ৪৩ বছর বয়ষে তিনি নোবেল জয় করেছেন - নট এ জোক। একটি ধারণা দিচ্ছি আপনাকে, বাংলাদেশে কি এমন কেউ ছিলেন যার সাথে আবি আহমেদ আলীর জীবনযাপন মেলে? - কি মনে হয় আপনার?

২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন:

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চট্টগ্রামের মেয়রকে নোবেল ফাউন্ডেশনে দক্ষিণ এশিয়া জোনের ডিরেক্টর পদে নিয়োগ দেওয়া হোউক! মেয়র সাহেব বিচক্ষণ মানুষ তিনি নোবেল কমিটির পক্ষপাত দুষ্টকরণ দূরীকরণে নিরলস কাজ করবেন। - আমীন না বলে যাবেন না।

২৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মাহী বি, আন্দালিব রহমান, সোহেল তাজদের সম্ভাবনা ছিল ভাল কিছু করার। কিন্তু দুই পরিবারের জন্য পারলেন না...

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মাহী বি আংকেল, আন্দালিব রহমান আংকেল এরা মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব, তারা একটি কাজ পারেন “নাটকীয় ভাবে কথা বলতে পারেন - কথা বলতে পারেন তো বাসের হকারও”! প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলীর জীবনী পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর কাহিনী পড়ছি। - মনে হয় কি?


সোহেল তাজ আংকেল ভীতু মানুষ, পরিবর্তন করতে হলে সিস্টেমে থেকে পরিবর্তন করতে হয়। নিজের জীবনের মায়া করে প্রবাসে চলে যাওয়ার নাম দেশপ্রেম নয়। তার ভুলেও উচিত হয়নি সাংসদ হওয়া ও সংসদ ত্যাগ করা।

২৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: লিখতে যেয়েও লিখিনি জিয়াউর রহমান। কারণ, আপনি তো আবার জিয়াউর রহমান বিরোধী। হ্যাঁ উনি থাকলে অবশ্যই বাংলাদেশের এই চেহারা থাকত না...

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





বিচার মানি তালগাছ আমার ভাই, আমি একমাত্র জামাত শিবির বাদে আর কারো বিরোধী নই, তবে যার যেটা দোষ সেটা বলি। জিয়াউর রহমান নোবেল ও স্যার উপাধি প্রাপ্তির যোগ্যতা রাখতেন। তিনি দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে শক্তহাতে রক্ষা করেছেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নিয়ে কিছু লিখবো যা আমার নিজের চোখে দেখা। প্রসঙ্গত বলে রাখি মহামান্য রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যু হয় ১৯৯০ সনে যা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় ২০১৯ সনে। তিনি স্বৈরাচার ছিলেন না। আর জিয়াউর রহমানও খুনী ছিলেন না।


২৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: অভিনন্দন তাকে। যোগ্য লোকই পেল শান্তিতে নোবেল।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আফসোস! আমাদের দেশেও এমন যোগ্য লোক জন্মেছিলেন আমরা তাদের চিনতে - বুঝতে - সইতে পারিনি। শত বছরে এমন একজন জন্মে বলে জানতাম। ১৯ শতকে ছিলেন, ২০ শতকে এখন পর্যন্ত এমন কেউ আছেন বলে দেখতে পাচ্ছি না। আশার বাণী হচ্ছে ২০ শতকে মাত্র ১৯ বছর চলছে অর্থাৎ সামনে ৮১ বছর - - -

২৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৩

বলেছেন: এই আবি আহমেদের নাম এর আগে কয়জন শুনেছে??

নোবেলটি বাংলাদেশর প্রাপ্য ছিলো.....

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি নিজে আবি আহমেদ আলীর নাম শুনেছি সম্ভবত ২ বছর হলো। তিনি নোবেল পেয়েছেন জেনে আরো বিস্তারিত জানতে ইচ্ছে হলো - প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলীর জীবনী পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর কাহিনী পড়ছি।

ডঃ ইউনুস সাহেব একটি নোবেল পেয়েছেন, তার আমরণ চেষ্টা থাকবে বাংলাদেশের নামে একটি নোবেলই থাকুক সেটি ডঃ ইউনুস সাহেব। ব্লগার চাঁদগাজী সাহেবের সূত্রমতে “বাংলাদেশের কোনো পরিবার চাহে না তার পাশের বাড়ীর কোনো পরিবার ভালো থাকুক, ভালো শিক্ষা পাক, উন্নতি করুক”।

ডঃ ইউনুস সাহেব বাংলাদেশের গার্বেজ।

২৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আল্লাহ হাফেজ।
জয় বাংলা।
জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আল্লাহ হাফেজ - কেনো?

২৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার পোষ্টে মন্তব্য করবেন আর উত্তর পাবেন না, তা কিভাবে হয়? বাংলাদেশের নোবেল পাওয়ার সম্ভবনা আপাতত নেই। ডঃ ইউনুস সাহেব এখানে গিল্টি হতে পারেন (সম্ভবনা আছে)। আর চট্টগ্রামের মেয়র সাহেব দৌড় দিয়েছেন বুয়েট ছাত্র হত্যার পেছনে।

৩০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৫

বলেছেন: ৬, ৮, ১৮,২০,২৪,২৫ নাং প্রতি - মন্তব্যের জন্য আপনাকে ব্লগীয় নোবেল দেয়া উচিৎ।।।।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি নোবেল পাওয়ার যোগ্য কেউ নই ল ভাই, ব্লগে নোবেল দিতে হলে আমি প্রথমে যেই নাম বলবো তিনি হচ্ছেন ব্লগার জনাব চাঁদগাজী সাহেব। বাস্তবত জেনারেল জিয়াউর রহমান নোবেল এবং স্যার উপাধি পাওয়ার যোগ্যতা রাখতেন - আমি ভয়ে তাদের জীবনী নিয়ে লিখতে দেরি করছি। - না প্রশাসনের ভয় না। ব্লগের ব্লগারদের ভয় - তারা তর্ক বিতর্ক ছেড়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন।

আপনি সম্মান করেছেন এ বিশাল পাওয়া। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:০৮

বলেছেন: আপনার কাছ থেকে জানার অপেক্ষায় রইলুম।।


আপনি আমার একজন প্রিয় মানুষ কারণ আপনার স্পষ্টবাদিতা ও সাদা কালো ভেদাভেদকে তুলে ধরার জন্য।।।

আফটার অল আইনের সেবক -- ( সাবেক) ।।


লাভ ইউ।।

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.