![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
চতুর্দিকে ওত পেতে আছে ফ্যাসিস্টের দোসর ছবি, অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
২০২৫ সালে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। স্বৈরাচারী শাসনের পতন সত্ত্বেও ফ্যাসিবাদের ছায়া সমাজের প্রতিটি স্তরে লুকিয়ে রয়েছে। ফ্যাসিস্ট শক্তির সহযোগীরা—যারা একদা স্বৈরাচারের পৃষ্ঠপোষকতায় লাভবান হয়েছিল—এখনো চতুর্দিকে ওত পেতে আছে। রাজনীতি, আমলাতন্ত্র, গণমাধ্যম থেকে শুরু করে ডিজিটাল জগতে তাদের সুকৌশলী তৎপরতা সমাজের নৈতিক ভিত্তি ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই প্রতিবেদন ফ্যাসিবাদের অদৃশ্য উপস্থিতি, এর দোসরদের কার্যক্রম এবং সমাজের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করে প্রতিকারের পথ নির্দেশ করে।
ফ্যাসিবাদ: একটি বিষাক্ত মানসিকতা
ফ্যাসিবাদ কেবল রাজনৈতিক মতাদর্শ নয়, এটি একটি মানসিকতা, যা স্বাধীনতা, ন্যায় ও মানবাধিকারকে দমন করে। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে ফ্যাসিবাদী প্রবণতা রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ এবং বিরোধী মত দমনের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। যদিও স্বৈরাচারের পতন ঘটেছে, ফ্যাসিস্ট মানসিকতার বাহকেরা রাজনীতি, শিক্ষা, গণমাধ্যম এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। তারা প্রকাশ্যে ফ্যাসিবাদের পক্ষে কথা না বললেও, তাদের কর্মকাণ্ডে সেই বিষাক্ত প্রভাব স্পষ্ট।
ফ্যাসিস্টের দোসর: কারা এরা?
ফ্যাসিস্টের দোসররা হলো সেই ব্যক্তি ও গোষ্ঠী, যারা স্বৈরাচারী শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে লাভবান হয়েছে এবং এখনো তাদের প্রভাব টিকিয়ে রাখতে সচেষ্ট। এদের মধ্যে রয়েছে:
প্রভাবশালী আমলা ও রাজনীতিবিদ: যারা স্বৈরাচারী শাসনে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে এবং নতুন ব্যবস্থায় নিজেদের পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
গণমাধ্যমের একাংশ: কিছু গণমাধ্যম, যারা স্বৈরাচারের প্রচারণায় সহায়ক ছিল, এখনো সত্যকে বিকৃত করে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখছে।
ভোগবাদী সংস্কৃতির প্রবক্তা: পুঁজিবাদী ভোগবাদ মানুষকে স্রষ্টাবিমুখ ও প্রবৃত্তির দাসে পরিণত করে ফ্যাসিবাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে।
ধর্মীয় ও সামাজিক নেতা: কিছু নেতা ফ্যাসিস্ট শক্তির সঙ্গে আঁতাত করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করেছে এবং সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
অনলাইনে মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডা
ফ্যাসিস্ট দোসররা এখন ডিজিটাল জগতে তাদের প্রভাব বিস্তার করছে। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ সামাজিক মাধ্যমে তারা মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তাদের কৌশলগুলো হলো:
মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য: ২০২৫ সালে রাজনৈতিক সংস্কার নিয়ে ভুয়া খবর ছড়িয়ে জনমনে অবিশ্বাস ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু গ্রুপ দাবি করেছে, সংস্কার প্রক্রিয়া দেশকে “বিদেশি শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র”।
বিদ্বেষমূলক প্রচারণা: শিশু আছিয়ার হত্যাকাণ্ডের মতো সংবেদনশীল ঘটনাকে ব্যবহার করে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিভেদ উসকে দেওয়া হচ্ছে।
ট্রোলিং ও সাইবার হুমকি: সত্যবাদী কণ্ঠস্বরকে দমন করতে ট্রোলিং ও ব্যক্তিগত আক্রমণ চালানো হচ্ছে।
প্রোপাগান্ডা কনটেন্ট: আকর্ষণীয় ভিডিও, মিম ও পেইড প্রচারণার মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে ফ্যাসিস্ট আদর্শ ছড়ানো হচ্ছে।
সমাজে প্রভাব
ফ্যাসিস্ট দোসরদের তৎপরতা সমাজে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে:
নৈতিক অধঃপতন: সামাজিক মাধ্যমে অশ্লীলতা ও বিদ্বেষমূলক কনটেন্ট মানুষকে স্রষ্টাবিমুখ করছে। হাদিসে বলা হয়েছে, পাপ বারবার করলে হৃদয়ে কালো দাগ পড়ে, যা মানুষকে পাপে আচ্ছন্ন। (জামে তিরমিযী, হাদিস: ৩৩৩৪)।
বিভেদ ও অবিশ্বাস: মিথ্যা তথ্য সমাজে বিভেদ ও অবিশ্বাস বাড়াচ্ছে, যা ফ্যাসিবাদের জন্য উর্বর ক্ষেত্র তৈরি করে।
তরুণ প্রজন্মের বিপথগামন: সামাজিক মাধ্যমে সময় ব্যয়কারী তরুণরা প্রোপাগান্ডার শিকার হয়ে নৈতিক ও আদর্শিকভাবে দুর্বল হচ্ছে।
বিচারহীনতা: আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার আসামির পলায়নের মতো ঘটনা বিচারব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করে, যা ফ্যাসিস্ট দোসরদের উৎসাহিত করে।
প্রতিকারের পথ
ফ্যাসিস্ট শক্তি ও তাদের দোসরদের প্রভাব রোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন:
বিচারব্যবস্থার সংস্কার: ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামী বিধানে কঠোর শাস্তির নির্দেশনা অপরাধ দমনে কার্যকর হতে পারে। মামলার নিষ্পত্তি ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করা উচিত।
ডিজিটাল সাক্ষরতা: তরুণদের ডিজিটাল সাক্ষরতা শিক্ষা দিয়ে মিথ্যা তথ্য চিহ্নিত করার সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই বিষয়ে পাঠ্যক্রম যুক্ত করা যেতে পারে।
গণমাধ্যমের দায়িত্বশীলতা: গণমাধ্যমকে সত্যনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে সমন্বয় করে ভুয়া কনটেন্ট অপসারণ করতে হবে।
নৈতিক শিক্ষার প্রসার: ইসলামী নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা ছড়িয়ে মানুষকে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্যে ফিরিয়ে আনতে হবে।
সমাজের সক্রিয় ভূমিকা: আলেম, শিক্ষক ও বিবেকবান ব্যক্তিদের সামাজিক মাধ্যমে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সক্রিয় হতে হবে। দরিদ্র বিচারপ্রার্থীদের পক্ষে রাষ্ট্রকে আইনি সহায়তা দিতে হবে।
উপসংহার
ফ্যাসিস্টের দোসররা সমাজের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে থাকলেও, তাদের প্রভাব রোধ করা অসম্ভব নয়। শিশু আছিয়ার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা আমাদের সতর্ক করে যে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি নৈতিক ও সামাজিক। বিচারব্যবস্থার সংস্কার, ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং ইসলামী মূল্যবোধের প্রসারের মাধ্যমে আমরা এই বিষাক্ত ছায়া থেকে মুক্ত হতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সুমতি ও সাহস দান করুন, যেন আমরা ন্যায়, ইনসাফ ও মানবিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারি।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় রানার ব্লগ,
আপনার হাসির শব্দে শোনা যাচ্ছে এক ধরনের গর্ব, যেন কেউ নিজের ফ্যাসিস্ট ভাইরাসের সংক্রমণকে বিজয়ের ঢাক হিসেবে বাজাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আপনি ভুল জায়গায় আঙুল তুলেছেন।
আমরা ফ্যাসিস্ট নই, বরং তার বিপরীতে দাঁড়ানো একঝাঁক মানুষ, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছি, কণ্ঠ উঁচু করেছি। আপনি যেটাকে “আন্দোলনের প্রতিশ্রুতি পচে যাওয়ার ভয়” বলে ভাবছেন, সেটিই আমাদের সংগ্রামের পুষ্টি। পচা ডোবার ভয় যাদের থাকে, তারা নিরাপদ জায়গায় দাঁড়িয়ে নীতির কথা বলেন না।
আপনার বক্তব্যে বিগত সরকারের প্রেতছায়ার কথা বলেছেন—কিন্তু মনে রাখবেন, প্রেতদের ভয় দেখিয়ে যারা নিকট অতীত/ বর্তমানের অন্যায় ঢাকতে চায়, তারাই প্রকৃত ছায়াপুতুল।
আমরা কাজে আছি, প্রতিবাদেও আছি—কারণ প্রকৃত কাজ মানেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। আপনি চাইলে পাশে আসুন, না চাইলে অন্তত ফ্যাসিস্ট দোসরদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে আমাদের দিকে ঢিল ছোড়ার আগে আয়নার সামনে একবার দাঁড়ান।
শুভবোধ জাগুক। ধন্যবাদ।
২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪
মেঘনা বলেছেন: সবই বুঝেন, বুঝাইলেন কিন্তু তালগাছ আপনার। এই হলো আপনার মানসিকতা। আরে মশাই ইসলামী শিক্ষা এবং স্বাধীনতা-মানবাধিকার দুইটা ভিন্ন মেরুর বিষয়। ইসলামী শিক্ষায় স্বাধীনতার কথা বলেনা, আপনার চূড়ান্ত আনুগত্য দাবি করে। আর এই আনুগত্যই ফ্যাসিবাদ বলেন বা স্বৈরাচার বলেন তার মূল ভিত্তি।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় মেঘনা,
আপনার উদ্বেগ বোধগম্য, তবে ইসলামী শিক্ষা ও স্বাধীনতা-মানবাধিকার ভিন্ন মেরুর নয়। ইসলাম স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য শেখায়, যা ব্যক্তিকে নৈতিকভাবে সংযত ও দায়িত্বশীল করে, কিন্তু এটি স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের পরিপন্থী নয়। কুরআনে বলা হয়েছে, "মানুষের জন্য ধর্মে কোনো জবরদস্তি নেই" (সূরা বাকারা, ২৫৬)।
ইসলাম মানুষের স্বাধীন ইচ্ছা ও বিবেককে সম্মান করে। ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার মানুষের ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে উৎপন্ন, যা ইসলামী নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য ব্যক্তিকে অত্যাচারী নয়, ন্যায়পরায়ণ হতে শেখায়।
শুভকামনা,
৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল নাটোরে এক ফ্যাসিস্টের দোসর ধরা পড়েছে।
সেই ফ্যাসিস্টের দোসরকে ইচ্ছামতো মাইর দেওয়া হয়েছে। তারপর অটোরিকশায় ফেলে, গায়ের উপর পা দিয়ে সারা শহর ঘুরানো হয়েছে। চুল কেটে দেওয়া হয়েছে।
খুব ভালো কাজ হয়েছে তাই না? শান্তি লাগছে না আপনার?
এরকম দোসর আরো খুজে বের করুন। এবং চিন্তা ভাবনা করে দেখুন আরো ভয়ানক শাস্তি কি করে দেওয়া যায়।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যটি আপনি যে ক্ষোভ থেকে করেছেন, বুঝাই যাচ্ছে। আর এ কথা বলতে হচ্ছে বলে দুঃখিত যে, ইদানিংকালের আপনার লেখাগুলো আপনাকে স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। যদিও অন্যায়কে আমরা অন্যায়ই বলি, তা যে বা যিনিই করুন না কেন।
হিংসা ও বিচারবহির্ভূত শাস্তি কোনো সমাধান নয়। আমাদের উচিত আইনের শাসন ও মানবিক মর্যাদায় বিশ্বাসী হওয়া—অন্যায়ের জবাব আরও বেশি অন্যায় দিয়ে কখনোই নয়। কারণ, ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা করতে গিয়ে ফ্যাসিস্ট পদ্ধতি (পিটুনি, জনসম্মুখে humiliation) গ্রহণযোগ্য নয়। আর, শাস্তির এখতিয়ার রাষ্ট্র ও আইনের হাতে; ব্যক্তিগত প্রতিশোধ অরাজকতা ডেকে আনে।
মূল কথা হচ্ছে, প্রকৃত পরিবর্তন চাইলে সচেতনতা ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জরুরি।
৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৩২
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: যথার্থই বলেছেন । ট্রাম নির্বাচিত হয়ে এসেই , আমলা গামলা সবগুলিকে চাকরীচ্যুত করেছে । পক্ষান্তরে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট ডাইনি হাসিনা পালিয়ে গেলেও দুর্নীতিবাজ আমলা ,রাজনীতিবিদ ও জনগণকে জিম্মি করা অবৈধ সরকারের সহযোগী ব্যবসায়ীগুলিকে কিছুই বলা হয়নি । সেই সুযোগটাই তারা নিচ্ছে । এমনকি তারা উপদেষ্টাদের মধ্যেও ফ্যাসিস্ট ঢুকে গেছে । এ জন্য হয়তো আবার পথে নামতে হবে ।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার বলেছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আসলে, রাষ্ট্রীয় পরিবর্তনের পরও পুরোনো কাঠামো ও দুর্নীতিবাজদের টিকে থাকা একটি বাস্তব সমস্যা। তবে হিংসা বা পুনরায় অস্থিরতার পরিবর্তে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সমাধান জরুরি। শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটলেও আমলাতন্ত্র, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের দুর্বৃত্তায়ন সহজে দূর হয় না—এটি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ।
ট্রাম্প বা অন্য কোনো নেতার পদক্ষেপের সাথে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট যদিও সরাসরি তুলনীয় নয় তবু এগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার উপকরণ রয়েছে। ফ্যাসিস্ট, দুর্নীতিবাজ বা অবৈধ শক্তির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে সুশীল সমাজ, মিডিয়া ও আইনের ভূমিকা অপরিহার্য।
মূলকথা, অস্থিরতা নয়, টেকসই সংস্কার ও গণতান্ত্রিক চাপই স্থায়ী সমাধান আনবে।
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৯
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার হাসির শব্দে শোনা যাচ্ছে এক ধরনের গর্ব, যেন কেউ নিজের ফ্যাসিস্ট ভাইরাসের সংক্রমণকে বিজয়ের ঢাক হিসেবে বাজাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আপনি ভুল জায়গায় আঙুল তুলেছেন।
আপনি আমার হাসিতে গর্বের ছোঁয়া পাচ্ছেন আসলে তাতে কোন গর্ব বোধ নাই আছে আপনাদের প্রতি দুঃখবোধ । কিছু হাসি দুঃখের হয় ।
আমরা ফ্যাসিস্ট নই, বরং তার বিপরীতে দাঁড়ানো একঝাঁক মানুষ, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম ধরেছি, কণ্ঠ উঁচু করেছি। আপনি যেটাকে “আন্দোলনের প্রতিশ্রুতি পচে যাওয়ার ভয়” বলে ভাবছেন, সেটিই আমাদের সংগ্রামের পুষ্টি। পচা ডোবার ভয় যাদের থাকে, তারা নিরাপদ জায়গায় দাঁড়িয়ে নীতির কথা বলেন না।
আপনাকে আমি ফ্যাসিস্ট বলি নাই । আমি বলেছি আপনার সমুদ্র তটে বালি খুজতে গিয়ে জলজ্যান্ত সমুদ্রকেই ভুলে বসে আছেন। বালি কে পেছনে ফেলে সমুদ্রের জলে নিজেকে খুজুন । নতুবা সারাজীবন কাজের কাজ কিচ্ছু হবে না বালি ঝেটিয়েই মরবেন ।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার রূপক বক্তব্যের সারমর্ম—অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে সময় নষ্ট না করে মূল সমস্যায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে সহমত, তবে সমাধান হিংসা বা বিদ্বেষ নয়, বরং গঠনমূলক সংলাপ ও কর্মপ্রয়াস।
মূলকথা, বালি (ক্ষুদ্র বিষয়) নয়, সমুদ্র (মূল সমস্যা) চিনতে হবে। সমাধানের পথ হতে হবে শান্তিপূর্ণ ও প্রাজ্ঞ।
ধন্যবাদ।
৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:২০
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ। নব্য ফ্যাসিস্ট দের পুনর্জন্ম ।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৩
এ পথের পথিক বলেছেন: মাদার অফ অল ডেভিলস দিল্লীর দাসি খুনি হাসুর চামচারা এখনো খুন হত্যা ধর্ষনের পক্ষে সাফাই গাইছে । নাহ এরা আর মানুষ হতে পারলা না । আফসুস লিক, রিকশালিক, ধর্ষক লিক, মাইনরটি লিক আরো কত লিক সারা জীবন আম্লিক ই থেকে গেল ।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ। সম্ভবতঃ ওদের সংবিধানে অপরাধবোধ বা অনুশোচনাবোধ বলতে কোনো কথা নেই- এটাই হয়তো ওদেরকে বাঁচিয়ে দিচ্ছে। মানে, লজ্জা শরম না থাকলে তাদের আর ভয় কীসের? অপরাধ না করলে তারা দেশ ছেড়ে পালালেন কেন?
৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
ঊণকৌটী বলেছেন: ফ্যাসিস্ট ফ্যাসিস্ট করতে গিয়ে যে নিজেও একজন চরম ফ্যাসিস্ট হয়ে যাচ্ছেন, সেইটা খেয়াল করেছেন ? আরে ভাই আসলে আপনারা সবাই ফ্যাসিস্ট , কে কাকে শুধরে দিবে ,সবাই তো কয়লা, ধুয়েও সাদা হবেনা |
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট কারা বানিয়েছিল, সেটা এখন সকলেরই জানা।
যাক, তবু আপনাকে ধন্যবাদ।
৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি কি ভুল কিছু লিখছেন বলে মনে হয়? আপনি এতোদিন ধর্ম বিষয়ে লিখেছেন হঠাৎ রাজনীতি নিয়ে এতোটা আগ্রহী হবেন বিষয়টি আপনার জন্য মানসিক চাপের কারণ। মানসিক চাপের কারণ - এই কারণে বলেছি আপনি প্রচুর সময় ব্যয় করছেন ভুল রাজনীতি ও পলাতক সরকারের পেছনে। - এতো শ্রম দেওয়ার কারণ কি?
ধর্ম ও রাজনীতি একই বিষয় তবে অনেক উঁচু স্কেলের বিষয়! এই বিষয়ে কি তেমন কিছু জানেন?
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ঠাকুর মাহমুদ ভাই, ধন্যবাদ আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানানোর জন্য। আসলে মানুষের চিন্তা ও কর্মক্ষেত্র সময়ের সাথে প্রসারিত হতে পারে—এটি স্বাভাবিক। ধর্ম ও রাজনীতি উভয়ই সামাজিক ও নৈতিক বাস্তবতার সাথে গভীরভাবে যুক্ত। অনেক ক্ষেত্রে ধর্মের দর্শন সমাজ ও শাসনব্যবস্থার সঙ্গেও সম্পর্কিত, তাই এই দুটি বিষয় আলাদা করাও সহজ নয়। কেউ যদি ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে সমাজের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বা বিশ্লেষণে আগ্রহী হন, তা তার ব্যক্তিগত নির্বাচন।
মানসিক চাপের প্রশ্নটি গুরুত্বপূর্ণ। যেকোনো বিষয়ে গভীরভাবে জড়িত হওয়ার সময় ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তবে ব্যক্তিভেদে আগ্রহের ক্ষেত্র ও অগ্রাধিকার ভিন্ন হয়। রাজনীতি যদি ন্যায় ও সমাজের কল্যাণের জন্য আলোচনার মাধ্যম হয়, তবে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই engagement মানসিক শান্তি বিঘ্নিত করে, তবে পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন।
আপনার প্রশ্নের মূল প্রসঙ্গ হলো—"ধর্ম ও রাজনীতি কি একই স্কেলে অবস্থিত?" এ বিষয়ে দর্শন, ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি জটিল। ধর্ম ব্যক্তির আধ্যাত্মিক ও নৈতিক ভিত্তি দিতে পারে, অন্যদিকে রাজনীতি সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত ও ক্ষমতার বিন্যাসের সাথে জড়িত। তবে উভয়ই মানবিক অভিজ্ঞতার অংশ। তাই কারও পক্ষে উভয় ক্ষেত্রে অবদান রাখা অসম্ভব নয়, যদি তা জ্ঞান, সংবেদনশীলতা ও দায়িত্ববোধের সাথে করা হয়।
শেষে বলব, প্রত্যেকের চিন্তা ও কর্মের স্বাধীনতা রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো গঠনমূলক আলোচনা, যুক্তি ও মানবিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়া। আপনার উদ্বেগ যুক্তিসংগত, তবে বিষয়টি ব্যক্তির নিজস্ব বিচার ও সামর্থ্যের ওপরও নির্ভর করে। আমি মূলতঃ রাজনীতি নিয়ে আগ্রহী হই যেহেতু এটি সমাজের ন্যায়বিচার বা মানুষের কল্যাণের সঙ্গে জড়িত। শ্রম দেওয়ার কারণ হলো সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সত্য প্রকাশের চেষ্টা।ধর্ম ও রাজনীতি উঁচু স্কেলের বিষয়, তবে আমি এগুলো নিয়ে গভীরভাবে জানার চেষ্টা করি এবং সহজভাবে বোঝানোর বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।
আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।
১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই নতুন নকিব,
আপনি ব্যক্তিগতভাবে যা কিছু করবেন তা একান্ত আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। আপনি পরিবারের জন্য যা কিছু করবেন তা আপনার পারিবারিক বিষয়। পরিবার পরিজন আপনাকে প্রশ্ন করার অধিকার রাখেন।
ঠিক তেমনই সমাজ দেশ নিয়ে আপনি যা কিছু করবেন তা আপনার আর ব্যক্তিগত বিষয় থাকে না। সমাজের মানুষ আপনাকে প্রশ্ন করবেন। আপনি ব্লগ সহ যে কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে যখন রাজনৈতিক লেখালেখি করবেন আপনাকে যে কেউ প্রশ্ন করতে পারবেন! আপনার হাতে কিছু আর থাকে না। কারণ, আপনি পাবলিক প্লাটফর্মে লিখেছেন। - এখন আপনি কখনও বলতে পারেন না এটি আপনার ব্যক্তিগত বিষয়।
রাজনীতি ও ধর্মে আমার আগ্রহ নেই। দুইটিই খুবই দরিদ্র বিষয়। মানুষের দারিদ্রতা আমাকে কষ্ট দেয় কিন্তু ক্ষমতার লোভ লালসার দারিদ্রতা নিয়ে আমার আগ্রহ নেই।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:০৪
রানার ব্লগ বলেছেন: হা হা হা!!
আপনারা ফ্যাসিস্ট ভাইরাসে আক্রান্ত। যতো জলদি সম্ভব এন্টিবায়টিক নেন। নতুবা যে প্রতিশ্রুতি দেখিয়ে আন্দোলন করেছেন তা পচা ডোবায় পচে যাবে।
কাজে মন দিন। আপনাদের এই সব কর্মকান্ডে বিগতদিনের সরকারদের প্রেতের ছায়াই নজরে আসে।