নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজকের বাজার - একটি নিজস্ব প্রতিবেদন

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০২



অক্টোবর, ২০১৯

আজ শুক্রবার। ১৮ আক্টোবর, ২০১৯ সময় আনুমানিক সকাল ০৮:৪৫। আমাদের স্থানীয় বাজরে নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার করতে গিয়ে দেখতে পাই কেউ কোনো দর দাম করছেন না, দোকানীরা যে - যা দর বলছেন, ক্রেতাগণ একদর হিসাব ধরে নিয়ে কিনে নিচ্ছেন। অর্থাৎ ক্রেতা সন্তুষ্ট ও ধরে নিতে হবে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল সহনশীল!

আজকের বাজার দর: -

লাল শাক, ডাটা শাক, মুলা শাক, সরিষা শাক = ১৫ টাকা / আটি
পুঁই শাক = ২০ টাকা / আটি
লাউ শাক = ৩০ টাকা / আটি
----------------------------------------------------------------------
ফুলকপি, বাঁধাকপি (মাঝারি) = ৪০ টাকা / প্রতিটি
লাউ (মাঝারি) = ৬০ টাকা / প্রতিটি
চাল কুমড়া = ৪০ টাকা / প্রতিটি
মিষ্টি কুমড়া, কাঁচা পেপে = ২৫ টাকা / কেজি
মুলা, গাজর, শষা, করলা = ৪০ টাকা / কেজি
পটল, চিচিঙ্গা, বেগুন, ঢেঁড়স = ৬০ টাকা / কেজি
গোল আলু (নতুন) = ৮০ টাকা / কেজি
গোল আলু (পুরাতন) = ২৫ টাকা / কেজি
টমেটো (কোল্ড ষ্টোর) = ৬০ টাকা / কেজি
টমেটো দেশী (নতুন) = ১২০ টাকা / কেজি
----------------------------------------------------------------------
পেঁয়াজ (বার্মা) = ৮০ টাকা / কেজি
পেঁয়াজ (ভারত) = ৯০ টাকা / কেজি
আদা, রশুন = ১২০ টাকা / কেজি
----------------------------------------------------------------------
ইলিশ ০১ কেজি+ ওজনের = ১, ২০০ - ১,৫০০ টাকা / কেজি
ইলিশ ৭০০ - ৮০০ গ্রাম = ৭০০ টাকা / কেজি
রুই ০২ - ০৩ কেজি = ৩৫০ টাকা / কেজি
চিংড়ি মাছ (মাঝারি) = ৮০০ টাকা / কেজি
বোয়াল = ৭০০ টাকা / কেজি
বড় বাইম = ৭০০ টাকা / কেজি
মলা, টেংরা, পুঁটি = ৫০০ টাকা / কেজি
পাবদা = ৭০০ টাকা / কেজি
শিং মাছ (বড়) = ৭০০ টাকা / কেজি
----------------------------------------------------------------------
মুরগীর ডিম = ১২০ টাকা / ডজন
----------------------------------------------------------------------
মুরগি ব্রয়লার = ১৪০ টাকা / কেজি
মুরগী কক = ৩০০ টাকা / কেজি
মুরগী দেশী = ৩৮০ টাকা / কেজি
----------------------------------------------------------------------
গরুর মাংস = ৫৫০ টাকা / কেজি
মহিষের মাংস = ৫০০ টাকা / কেজি
খাসির মাংস = ৮০০ টাকা / কেজি
----------------------------------------------------------------------
সয়াবিন তেল (ব্রান্ড) = ১১০ টাকা / লিটার
পাম অয়েল (খোলা) = ৮০ টাকা / কেজি
----------------------------------------------------------------------
লবন = ৪০ টাকা কেজি
----------------------------------------------------------------------
আত্মকথা: - পেঁয়াজের দর এখনো চড়া আর তার অন্যতম কারণ বাজারে বাজার করছেন বাসার গৃহিণীরা, তারা ০৫ - ১০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনছেন তাতে করে বাজারে পেঁয়াজের সর্টেজ আকাল দুর্ভিক্ষ মঙ্গা থেকেই যাচ্ছে। পেঁয়াজ সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ফেইল করেছেন অনেক অনেক আগে তা প্রায় ৩০ বছর। এভাবে একই ধরণের পেঁয়াজ কেনার ধুম লেগে থাকলে “ভারত - বার্মা - চীন” সরকারও ফেইল করবেন নির্ঘাত।

টেলিভিশনে প্রতিনিয়ত দেখছি, ইলিশ প্রচুর ধরা পড়েছে চাঁদপুর - বরিশাল - পদ্মা! বাস্তবে দর দাম দেখে মনে হয় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বায়তুল মোকারম সোনার দোকানে ইলিশ মাছ বিক্রি করবেন ২০২০ সনে। বাজারে অনেকেই ০২ - ০৪ - ০৬ টি করে ইলিশ কিনছেন। তাছাড়া গরুর মাংস ০৪ - ১০ কেজি পর্যন্ত কিনছেন! এতো মাছ মাংস কেনো কিনছেন আর সাধারণ একটি পরিবারে কতোজন সদস্য তাও এক রহস্য!

ভোজ্য তেলের দাম ছিলো ৫০ - ৫৫ টাকা / লিটার, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় এসে কর্পোরেট বাণিজ্যওয়ালাদের সাথে কি যোগসাজস করেছেন তাও এক রহস্য সেই যে ১১০ টাকা / লিটার হয়েছে তারপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার মরে ভূত হয়ে শেওড়া গাছে উঠেছেন কিন্তু ভোজ্য তেলের দাম আর কমেনি! আমার একজন প্রিয় ব্লগার আছেন যার বাজার অভিজ্ঞতা খুব ভালো তিনি আমাদের ব্লগার রাজীব নুর ভাই

উপসংহার: - সর্বশেষে বলতে হয় লবনের দাম = ৪০ টাকা / কেজি। সবাই আশ্চর্য হবেন হয়তোবা এ আর নতুন কি? নাহঃ এটি আসলেই নতুন। সমগ্র বাংলাদেশের চার দিকের আস্ত একটি দিক দক্ষিণে সাগর - লবনাক্ত সাগর! সেই দেশে লবনের দুর্ভিক্ষ হয়েছে! লবন আমদানীও হয়। ১ টাকা / সের দরের লবন কিভাবে ৪০ টাকা / কেজি হয়েছে সেই গল্প এক হাজার এক রাতের আরব্য উপন্যাসকেও হার মানাবে। এই দেশে মাংসাশী কর্পোরেটর বহর কি করতে পারেন তার অন্যতম একটি উদাহরণ “লবন”

উৎসর্গ: - মুক্তিযোদ্ধা ও ব্লগযোদ্ধা চাঁদগাজী ভাই। চাঁদগাজী ভাই সম্পর্কে অল্প কথায় বলার ভাষা আমার জানা নেই। ১৯৭১ এ বাংলাদেশের বিশাল অংশ মানুষ মনে করেছিলো দেশ স্বাধীন হবে না। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ছিলো, পাক বাহিনীর সাথে থেকে তথ্য দিয়ে অনেক নিরস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছে এই কাপুরুষের দল। তারা আজো সক্রিয়।।


কৃতজ্ঞতা: - সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার অক্লান্ত পরিশ্রমের লেখাটি নির্বাচিত পোস্টে স্থান দেওয়াতে। আমার পরিশ্রম স্বার্থক হয়েছে। ধন্যবাদ।।




মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আধুনিক রাষ্ট্রে, মানুষের আয় ও খাদ্যে (ও থাকার) গড় ব্যয় জাতির জিডিপির সাথে ও এমপ্লয়মেন্টের সাথে সামানুপাতিক রাখার দায়িত্ব সরকারের; এজন্য সরকার বিবিধ উপায়ে বাজার স্হিতিশীল রাখে।

বাংলাদেশে, মাফিয়ারা বাজারকে কন্ট্রোল করে, কিন্তু সরকার ও প্রশাসন এখানে কিছু করে না, তারা মাফিয়াদের থেকে ঘুষ নেয়; ফলে, দেশটা অনেকটা মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





আমার সঠিক জানা নেই খাদক বাংলাদেশী জাতির মতো আর কোনা জাতি বিশ্বে আছে কি না? এই ধরণের রাক্ষস জাতি বাংলাদেশের পানীয় পানি সব শেষ করে দিবে। পানীয় পানি নিয়ে একটি পোষ্ট দিবো ভাবছি।

মাংসাশী কর্পোরেটর বহর এই দেশে গ্রামের মুড়ি পর্যন্ত প্যাকেটজাত করে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে আর পাবলিক খাচ্ছে। সরকার টিকে আছে তাদের দিয়েই। মিশ্র জাতির এই দেশ আসলেই মগের মুল্লুক।


২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমেরিকায় ডিম দুধ সয়াবিন তেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে অর্ধেক।
পেয়াজ, ব্রয়লার মুরগির দাম সেইম।

গ্যাসোলিন (পেট্রলের) দাম অর্ধেকেরও কম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





বাংলাদেশ আমেরিকার চেয়েও উন্নত, তাই সকল ধরণের পণ্য উচ্চমূল্য। আমরা জাতি হিসেবে সবাই ওয়েল্ডার, ওয়েল্ডারের কালো চশমা পড়ে আছি সবাই। আমাদের দেশ ব্যার্থ দেশে রুপান্তর হতে যাচ্ছে দ্রুত।

সরকারী কর্মজীবি, রাজনীতিবিদ, সাংসদ, কমিশনার ও রাজনৈতিক সান্ডা পান্ডা, এনজিও কর্মকর্তা সহ বাংলাদেশী প্রবাসীর - রেমিটেন্স ভক্ষক যে দেশে ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে সেই দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার অবস্যই লাগামহীন হবার কথা - আর হয়েছেও তাই।

বাংলাদেশে রমজান ঈদে ভোক্তা ক্রেতা ক্রয় করার ক্ষমতা প্রকাশ করতে খোলা মাঠে বাজারে প্রবল আক্রোশ নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামেন, যেই কারণে বাজার হয়ে উঠে পাগলা ঘোড়া উম্মাদ।

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:০৪

নতুন বলেছেন: দেশে জনগনের কাছে বেশি দামে বিক্রির জন্য ব্যবসায়ীরা একাট্টা হয়ে বেশি দামে বিক্রি করে....

বাইরে ব্যবসায়ীরা জনগনকে তাদের কাছ থেকে পন্য ক্রয় করিয়ে লাভের চেস্টা করে তাই তারা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করে কিভাবে মাকেট সেয়ার বাড়ানো যায় তার জন্য প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অফার নিয়ে আসে যাতে তাদের দিকে জনগন বেশি আসে...

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





বাংলাদেশে নতুন অফার অর্থ এক্সপায়ার ডেট! সুপার শপগুলো অফার দেয় যে সব পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হতে ১৫ - ৩০ দিন বাকী আছে। মানুষ ট্রলি ভরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও তার কাছাকাছি পণ্য কিনে ধন্য হয়। ভেজাল, প্রতারনা আর মিথ্যার কান্ট্রি অব অরিজিন সম্ভবত বাংলাদেশ।

৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের কোন কিছু তুলনা করা ঠিক নয়; তবে বর্তমান পৃথিবীতে, ১ জন শ্রমিক যে কোন দেশে দৈনিক ৮ ঘন্টা করে কাজ করে, পরিবার নিয়ে যখেয়ে দেয়ে ভালো থাকার কথা; সব দেশেই দক্ষ মানুষ ও সম্পদ আছে।

নিউইয়র্ক শহরে, একজন বাংগালী শ্রমিক ১ দিন কাজ করে মোটামুটি ৭৫ কিলোগ্রাম মাংস, বা ৬০ কিলোগ্রাম মাছ কিনতে পারেন; সেখানে, বাংলাদেশে মাত্র ১ কিলো, মাংস কিংবা মাছ কিনতে পারেন; এটা বাংলাদেশেী শ্রমিক পরিবারের জন্য কষ্টকর; প্রশাসনের লোকেরা এসব কন্ট্রোল করার দরকার ছিলো।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





আমরা অভাগা দেশের অতি অভাগা মানুষ।।
ধনি আরো ধনি হচ্ছে আর গরিব হচ্ছে গরিব। মাঝে আছে ইডিয়ট মধ্যবিত্ত এরা হচ্ছে সমাজের সবচেয়ে ইডিয়ট শ্রেণী। এরা ১০ কেজি করে পেঁয়াজ কিনে ৩৫ টাকা দরের পেঁয়াজ ১২০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে যায়। ০৪ - ০৬ টি ইলিশ আর ০৪ - ১০ কেজি গরুর মাংশ খেয়ে ফার্মেসীর ঔষধ ভাতের মতো খেয়ে শেষ করে - ডাক্তারকে কসাই করে। উম্মাদনা কাকে বলে পহেলা বৈশাখ, রমজান মাসের শপিং না দেখলে ভাংগালী (ভাং খেয়ে গালী দেওয়া জাতি) চেনা হবে না।

৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩৩

ঢাকার লোক বলেছেন: "নিউইয়র্ক শহরে, একজন বাংগালী শ্রমিক ১ দিন কাজ করে মোটামুটি ৭৫ কিলোগ্রাম মাংস, বা ৬০ কিলোগ্রাম মাছ কিনতে পারেন"
গাজী ভাইয়ের একথাটি কি ঠিক ? নিউ ইয়র্কে একজন বাংলাদেশী সাধারণ (যেমন দোকানে, বা রেস্টুরেন্টে) কাজ করলে দিনে একশো ডলারের মতো সম্ভবত কামাই করে, এ দিয়ে কোনো মতেই ৬০ -৭০ কেজি ( ১৩০ -১৫০ পাউন্ড ) মাছ মাংস কেনা সম্ভব নয় ! প্রতি পাউন্ড ২ ডলারের নিচে কোনো মাছ বা মাংস কোথাও পাওয়া যায় কি ?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নিউইয়র্ক শহরে একজন ক্লিনারের সর্বনিম্ন বেতন ১৫ - ২০ ডলার / ঘন্টা।

৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


@ঢাকার লোক,
আপনি বলেছেন, "গাজী ভাইয়ের একথাটি কি ঠিক ? নিউ ইয়র্কে একজন বাংলাদেশী সাধারণ (যেমন দোকানে, বা রেস্টুরেন্টে) কাজ করলে দিনে একশো ডলারের মতো সম্ভবত কামাই করে, এ দিয়ে কোনো মতেই ৬০ -৭০ কেজি ( ১৩০ -১৫০ পাউন্ড ) মাছ মাংস কেনা সম্ভব নয় ! প্রতি পাউন্ড ২ ডলারের নিচে কোনো মাছ বা মাংস কোথাও পাওয়া যায় কি ? "

-আমি নিউইয়র্ক শহরে, একজন বাংগালী শ্রমিকের গড় ১ দিনেরবেতন ১৫০ ডলার ধরেছি; ড্রাইভিং, কনষ্ট্রাকশন, এদের অনেকের আয় ২৫০/৩০০ ডলার; যারা দোকেনে বা সার্ভিসে তাদের সবর্নিম্ন বেতন (১৫ * ৮ = ১২০ ডলার)।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমেরিকার ভিসা যদি ভারতের ভিসার মতো সহজ করে দেয় তাহলে বাংলাদেশের ১৭ কোটি বাংলাদেশী আমেরিকা চলে যাবে।

৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



@ঢাকার লোক,
আপনি বলেছেন, "গাজী ভাইয়ের একথাটি কি ঠিক ? নিউ ইয়র্কে একজন বাংলাদেশী সাধারণ (যেমন দোকানে, বা রেস্টুরেন্টে) কাজ করলে দিনে একশো ডলারের মতো সম্ভবত কামাই করে, এ দিয়ে কোনো মতেই ৬০ -৭০ কেজি ( ১৩০ -১৫০ পাউন্ড ) মাছ মাংস কেনা সম্ভব নয় ! প্রতি পাউন্ড ২ ডলারের নিচে কোনো মাছ বা মাংস কোথাও পাওয়া যায় কি ? "

-আমি নিউইয়র্ক শহরে, একজন বাংগালী শ্রমিকের ১ দিনের গড় বেতন ১৫০ ডলার ধরেছি; ড্রাইভিং, কনষ্ট্রাকশন, কুক, ভেন্ডর, এদের অনেকের আয় ২৫০/৩০০ ডলার; যারা দোকেনে বা সার্ভিসে তাদের সবর্নিম্ন বেতন (১৫ * ৮ = ১২০ ডলার)। আসলে, ১ দিনের বেটনে, মুরগীর মাংস ৮০ কিলো, ও সমুদ্রের কিছু মাছ ৮০ কিলোর মতো কিনতে পারার কথা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এক দিনের বেতনের টাকা দিয়ে মুরগীর মাংস ৮০ কিলো দিয়ে চিকেন ফ্রাই করতে হবে।

৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


@ঢাকার লোক,
আপনি বলেছেন, "গাজী ভাইয়ের একথাটি কি ঠিক ? নিউ ইয়র্কে একজন বাংলাদেশী সাধারণ (যেমন দোকানে, বা রেস্টুরেন্টে) কাজ করলে দিনে একশো ডলারের মতো সম্ভবত কামাই করে, এ দিয়ে কোনো মতেই ৬০ -৭০ কেজি ( ১৩০ -১৫০ পাউন্ড ) মাছ মাংস কেনা সম্ভব নয় ! প্রতি পাউন্ড ২ ডলারের নিচে কোনো মাছ বা মাংস কোথাও পাওয়া যায় কি ? "

-আমার তথ্যে, আপনি যে সমস্যা দেখছেন, এই সমস্যা আপনার জেনারেশনের সবারই দেখার কথা।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে সবচেয়ে সস্তা মাছ সম্ভবত তেলাপিয়া = ১২০ - ১৫০ টাকা / কেজি (বাংলাদেশে চাষ করা মাছ সবগুলোই বিষ)

৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বাংলাদেশে শাকসবজি বাদে প্রতিটি খাদ্যদ্রব্যের মূল্য অত্যাধিক, আমার মনে হয় না প্রতিবেশী দেশগুলোর কোনোটিতেই খাদ্যদ্রব্যের মূল্য এতো অধিক | এর অন্যতম কারণ হচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা | এদের কারণ একদিকে জনগণের পণ্য কিনতে নাভিশ্বাস উঠে আর অন্যদিকে পরিশ্রমী কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায় না |

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্য খাদ্যদ্রব্যের মূল্য সবচেয়ে কম বার্মা, শ্রিলংকা, ভারতের সেভেন সিস্টার্স সহ বেশ কিছু রাজ্য (ভারতের বড় শহরগুলো বাদে)। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার সহ খাদ্যদ্রব্যর উচ্চদামের অন্যতম কারণ মধ্যস্বত্বভোগী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশীর অতিরিক্ত ভোজন মাত্রা।

বাংলাদেশের কৃষক মারা গেছে মুরুর দেশে, আর কৃষক মাঠ দিন দিন ভরে যাচ্ছে বাড়ী ঘর দালান কোঠায়, এদেশে কৃষকরা কখনো উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পায় নি।

১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৪৬

ঢাকার লোক বলেছেন: দূঃখিত গাজী ভাই, আমার এই অজ্ঞতাপ্রসূত মন্তব্যের জন্য। আপনি নিউইয়র্কে থাকেন, আমি থাকিনা, তাই আপনি নিশ্চয়ই আমার চেয়ে ভাল জানেন। তবে নিউইয়র্কে যেসব যায়গায় বাংগালীরা বাজার করে, কুইন্সের জ্যাকশন হাইট্স, জামাইকার হিলসাইড্ এভিনিউ বা আপনার ব্রুকলিনের চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড ইত্যাদি এলাকার বাংগালীদের গ্রোসারী দোকান দেখার সু্যোগ আমার হয়েছে, কোথাও আমি ১৫০ ডলারে ৮০ কেজি (১৭৬ পাউড) মাছ বা মাংস পাওয়া যায় দেখিনি!
ধন্যবাদ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ঢাকার লোক ভাই,
বাংলাদেশে কোরবানীর ঈদের সময়ে ব্রয়লার মুরগীর খুচরা মূল্য নেমে দাড়ায় ৯০-১০০ টাকা কেজি। যাইহোক আমি আমেরিকা গিয়েছি বেশ কয়েকবার ফ্রোরিডাতে, দীর্ঘদিন পর পরিবারের মানুষের সাথে দেখা, কথা বলে কোনদিকে সময় শেষ হয়েছে আমরা জানি না। সেখানে আামর বাজার করার সুযোগ হয়নি তাই বাজারের দর দাম আমার জানা নেই।


১১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কানাডায় সর্বনিম্ন বেতন ১৫/ঘন্টা হিসাবে একজন দিনে ১২০ ডলার কমাতে পারেন | এখানে প্রতি পাউন্ড মুরগি অথবা রুই মাছ ২.৫ ডলার হিসাবে একজন এক দিনের বেতন দিয়ে ৪৫ পাউন্ড মুরগি অথবা রুই মাছ কিনতে পারবেন | তবে খাদ্যদ্রব্য যুক্তরাষ্ট্রে অনেক সস্তা, চয়েসও কানাডার তুলনায় অনেক বেশি | আমার মনে হয় না বাংলাদেশের শাকসবজি ছাড়া আর কোনো কিছুর দাম উন্নত কোন দেশের তুলনায় সস্তা হবে |

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




প্রবাসে থাকার অনেক সুযোগ হয়েছে, এখনো আছে কিন্তু এক জীবন ভিসা অফিসের পেছনে হণ্য হয়ে দৌড়ানোর পাগলামীর জীবন! আমার কাছে মনে হয়নি প্রবাসে থাকাটা জরুরী। দেশে ভালোই আছি। তাছাড়া অনেকে পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে নানা ধরণের কষ্টে পড়ে যান প্রবাসে, খুবই দুঃখজনক - এটি আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সহজ না। তাই মাটির দেশে।

১২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সপ্তাহখানেক ধরে খুবই অসুস্থতায় ভুগছি । অনেক দিনের পুরানো একটি কোমড়ের ব্যথায় মাঝে মাঝে শয্যাসায়ী হয়ে পড়ি ।
এবার মনে হয় বেশিই আছর করেছে । ব্লগে বিচরণ করতে পারছিনা । শুয়ে বসে লিখতে কষ্ট হয় । টিভিতে খবর দেখেই দিন পার করছি । বেশ কিছু দিন পর আজকে সামু খুলেই আপনার পোষ্টের তরতাজা তরি তরারীর ছবি দেখে এখানে কিছুক্ষন বিচরন না করে পারলাম না । আমার সবচেয়ে প্রিয় তরকারী হল করলা । এটার দামটি কিন্তু দেখতে পেলাম না । আপনার পোষ্টে দেয়া বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রির বাজার দর ও এর উপরে চাঁদগাজী সহ বিজ্ঞ সহব্লগারদের মুল্যবান কমেন্ট দেখে
নিউ ইয়র্কের একজন সাধারন শ্রমিক ও বাংলাদেশের একজন শ্রমিকের দৈনিক আয়ের তুলনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য সামগ্রির পিছনে ব্যয় ও সে সাথে তাদের দৈনিক আয় হতে জীবন ধারনের জন্য অন্ন , বস্ত্র ,বাসস্থান , চিকিৎসা, শিক্ষা , ও যাতায়াত প্রভৃতি খাতে দৈনিক/মাসিক আয় ব্যয়ের একটি তুলনামুলক বিশ্লেষনী লেখার জন্য মনটা ব্যকুল হয়ে উঠেছিল । কিন্তু এই মহুর্তে শরীরের যে অবস্থা তাতে করে এমন একটি গবেষনামুলক লেখার সামর্থ নেই বললেই চলে । তবে সঠিক ভাবে বিশ্লেশণ করতে পারলে হয়ত দেখা যাবে আমাদের দেশের কর্মজীবি শ্রমিকগন মনে হয় ক্রয় ক্ষমতা সাম্যতা ( purchasing power parity ) অনুসারে তুলনামুলকভাবে আমিরিকার থেকে খুব একটা পিছিয়ে থাকবে না । যাহোক, নীচে একজন আমিরিকানের খাদ্যের পিছনে দৈনিক ব্যায়ের একটি তালিকা দেয়া হল । খাবারের পরিমানের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশের খাদ্য দ্রব্যের দাম বসিয়ে যে কেও একটি হিসাব কষে দেখতে পারবেন কি ফল দাঁড়ায় ।
Recommended Minimum Amount of Money for food (2400 calories) in New York
Milk (regular), (0.25 liter)$0.29
Loaf of Fresh White Bread (125.00 g) $0.95
Rice (white), (0.10 kg) $0.62
Eggs (regular) (2.40) $0.72
Local Cheese (0.10 kg) $1.54
Chicken Breasts (Boneless, Skinless), (0.15 kg)$1.99
Beef Round (0.15 kg) (or Equivalent Back Leg Red Meat)$2.22
Apples (0.30 kg) $1.80
Banana (0.25 kg) $0.58
Oranges (0.30 kg) $1.81
Tomato (0.20 kg) $1.21
Potato (0.20 kg) $0.80
Onion (0.10 kg) $0.34
Lettuce (0.20 head) $0.45
Daily recommended minimum amount of money for food per person $15.33

বাংলাদেশী একজন শ্রমিকের মত যদি আমিরিকার একজন শ্রমিকের উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্য ৪/৫ জন হয় তাহলে সেই শ্রমিকের দৈনিক আয়ের প্রায় ৬০ হতে ৭৫ ভাগ চলে যাবে শুধু খাদ্যের পিছনে। অআয় থেকে নিয়ম অনুযায়ী বেশ ভাল অংকের একটি ট্যাক্সতো দিতেই হবে । তার পর বাকি অর্থ দিয়ে জীবনধারনের জন্য যে পরিমান অর্থ ব্যয় হবে তা মিটিয়ে বলা চলে তাকে বেশ কায়ক্লেশেই দিনাতিপাত করতে হবে । তার পরেও আমিরিকার একজন শ্রমিকের যা সেভিংস হবে তা অবশ্য বাংলাদেশি শ্রমিকের থেকে অনেক বেশীই, তা দিয়ে মোটামুটি একটি বিলাসি জীবন যাপনও করতে পারবে। কারণ আমিরিকার মত উন্নত সকল দেশেই ডিপেনডেন্ট রেসিউ কম , পরিবারের প্রাপ্ত বয়স্ক প্রায় সকলেরই কাজ করার সুযোগ আছে ।
যাহোক, আজকের বাজার নিয়ে এমন একটি বিশ্লেষনি প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ব্লগে দিতে পারলে বেশ হতো :)
এর উপরে প্রাণবন্ত আলোচনা হতে পারে । ব্যস্টিক ও সামষ্টিক (Micro and macro) অর্থনীতির অনেক প্রাসঙ্গিক কথা উঠে আসতে পারে বিজ্ঞ ব্লগরদের আলোচনা ও সমালোচনায় ।

অসুস্থতা হেতু মনে হয় বেশ কিছুদিন ব্লগে নিয়মিত হতে পারবনা । আমার জন্য দোয়া করবেন ।
পোষ্ট টি প্রিয়তে তুলে রাখলাম । উৎসর্গ যতার্থ হয়েছে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





ডঃ এম এ আলী ভাই, আমি মন থেকে আপনার জন্য দোয়া করছি আপনি ভালো থাকুন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, পরম করুণাময় আল্লাহপাক আপনাকে দ্রুত সুস্থতা দিন। আপনি আপনার কাজে ব্যস্ত থাকবেন অবসরে লিখবেন সেই দোয়া করছি।

ডঃ এম এ আলী ভাই, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে দেশে বিদেশে নানা জায়গায় আমার যেতে হয়েছে চলতে হয়েছে নানা বর্ণের নানা মানুষের সাথে। অনেকের কাছ থেকে প্রাকৃতিক ঔষধ সম্পর্কে জানার শেখার সুযোগও হয়েছে। কোমড় ব্যাথা, মাংসপেশি ব্যাথা, শোল্ডার ব্যাথা সহ যে কোনো আর্থাইটিস ব্যাথায় আমি মোটমোটি একটি অব্যর্থ ঔষধের কথা জানি তা বিস্তারিত লিখে দিচ্ছি। প্লিজ এটি সংগ্রহ করুন এবং খাবার ব্যাবস্থা করুন।

কাঁচা হলুদ = ৫০ গ্রাম
পানি অথবা তরল দুধ = ২০০ মিলি গ্রাম

প্রস্তুত প্রণালী: - প্রথমে কাঁচা হলুদ থেতো করে নিন, তারপরে ২০০ মিলি গ্রাম খাবার পানি অথবা তলল দুধ ফুটিয়ে নিন, বলক উঠা পানিতে / তরল দুধে কাঁচা হলুধ থেতো মিশিয়ে নিন। এবার বলক উঠা পানি / তরল দুধ চুলা থেকে নামিয়ে মগে নিয়ে অপেক্ষা করুণ খাবার যোগ্য তাপমাত্রা হলে গরম চা কফির মতো পান করুণ। দিনে ০৩ - ০৫ বার। আলহামদুলিল্লাহ আপনার ব্যাথা প্রথম দিনেই কমে যাবে আর ০৩ দিনে সেরে উঠবেন ইনশাল্লাহ। এছাড়া কোমড়ে হট ওয়াটার ব্যাগ সেঁক দিতে পারেন। চেয়ারে ঝুঁকে বসবেন না। গোসলের সময় দাড়িয়ে গোসল করুণ অথবা প্লাষ্টিকের টুল / চেয়ারে বসে শাওয়ারে গোসল করুণ। যে কোনো এঙ্গেলে ঝুঁকতে হয় এমন কাজ পরিহার করুণ।

আধুনিক ডাক্তারগণ ও রোগী মনে করেন ঔষধ খেলে অসুখ সারে। আর আমি মনে করি “ঔষধ খেলে অসুখ বাড়ে” - আমরা প্রকৃতির তৈরি আর আমাদের ঔষধ প্রকৃতির কাছেই আছে।।

ডঃ এম এ আলী ভাই, করলার বাজার মূল্য মুলা, গাজর শষার সাথে দেওয়া আছে। মুলা, গাজর, শষা, করলা = ৪০ টাকা / কেজি। করলা খুব ভালো সবজি তবে তা পরিমিত খাওয়া উচিত কারণ করলা নিজে একটি উচ্চমান মহৌষধ। সে অন্য ঔষধের কার্যক্রম বাধা দেয়।

বাংলাদেশী শ্রমিকদের মজুরি হয়তো আমেরিকার শ্রমিকদের মজুরির সমান হবে না, হওয়া সম্ভবও নয়। কিন্তু বাংলাদেশের শ্রমিকদের মজুরি মালয়েশিয়া ব্রুনাই সমতুল্য হওয়া সম্ভব ছিলো। সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের সরকার তা কখনো চায়নি। বাংলাদেশ সরকারের যে খরচ বাংলাদেশের ব্যাবসায়ী বহণ করেন তা সম্পূর্ণ খরচ আসে জনগণের রক্ত পানি করা পয়শা থেকে। বাংলাদেশের যেই পরিবারটি এখনো দেশের অন্ধকার গ্রামে থাকেন যারা ট্যাক্স তথা খাজনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না - তারাও বাংলাদেশ সরকার কে নূন্যতম ৩৩% ট্যাক্স দিচ্ছেন। - সে গল্প লিখতে হলে আরো একটি এক হাজার এক রাত্রির আরব্য উপন্যাস লিখতে হবে।

আপনি বলেছেন - আজকের বাজার নিয়ে এমন একটি বিশ্লেষনি প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ব্লগে দিতে পারলে বেশ হতো। - অবস্যই এটি নিয়মিত হবে। তিন মাস অন্তর অন্তর বাজার দর নিয়ে একটি প্রতিবেদন হিসেবে পোষ্ট হবে। তাছাড়া প্রতিবেদন হবে যদি হঠাৎ করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর বাজার পরিবর্তন - কালোবাজারী, মজুদ সহ উর্ধ গতি ও যে কোনো তারতম্য হয় সেই প্রসঙ্গে বিশ্লেষন সহ।

আপনার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করছি।

ব্লগার চাঁদগাজী ভাই বলেছেন: আপনার অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লাগছে; আপনি আপনার পদ্ধতিতে সেরে উঠুন প্রথমে; তারপর, ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম করুন ঘরের মাঝে, বাহিরে হাঁটুন। আপনার সুস্থতা কামনা করছি। - সহমত।



১৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:১৯

সুপারডুপার বলেছেন: মাহমুদ ভাই, আপনার স্থানীয় বাজারে মনে হয় ঘুষখোরদের আনাগোনা বেশি। তাই মনে হয় কেউ কোনো দর দাম করছেন না। 8-|

এই পোস্টে অনেকে বিদেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করছেন। কিন্তু এই তুলনা করা যায় না। কারণ , একটি দেশের / স্থানের সাথে মানুষের আয় ও জীবনযাপনের খরচ সম্পর্ক যুক্ত।
-- উন্নত একটি দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশে হয়তো কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সামান্য বেশি বা সমান । অন্যদিকে বাংলাদেশে বাসা ভাড়া কম। সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশে জীবনযাপনের খরচ একটি উন্নত দেশের চেয়ে কম।
-- বাংলাদেশে ১০ বছরে অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম দ্বিগুনের ও বেশি হয়েছে , কিন্তু একটি উন্নত দেশে ১০ বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রায় একই আছে। হয়তোবা ১০ বছরে বাংলাদেশের মানুষের আয় দ্বিগুন হয়েছে , কিন্তু একটি উন্নত দেশে ১০ বছরে মানুষের আয় প্রায় একই আছে।

বাংলাদেশে যে সমস্যা চোখে পরার মত, সেটা হচ্ছে রমজান ঈদ উপলক্ষে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম হু হু করে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু বিদেশে ক্রিসমাসে বা বিশেষ বিশেষ সময়ে ডিসকাউন্ট দেয়।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সুপারডুপার ভাই, সরকারী কর্মজীবি, রাজনীতিবিদ, সাংসদ, কমিশনার ও রাজনৈতিক সান্ডা পান্ডা, এনজিও কর্মকর্তা সহ বাংলাদেশী প্রবাসীর - রেমিটেন্স ভক্ষক যে দেশে ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে সেই দেশের নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার অবস্যই লাগামহীন হবার কথা - আর হয়েছেও তাই।

বাংলাদেশে রমজান ঈদে ভোক্তা ক্রেতা ক্রয় করার ক্ষমতা প্রকাশ করতে খোলা মাঠে বাজারে প্রবল আক্রোশ নিয়ে প্রতিযোগিতায় নামেন, যেই কারণে বাজার হয়ে উঠে পাগলা ঘোড়া উম্মাদ।

বাংলাদেশের তুলনা আসলেই বিদেশের সাথে করা যায় না। বাংলাদেশের তুলনা শুধু বাংলাদেশের সাথেই চলে।

১৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ৫/১০ টাকার জন্য ভদ্র লোকেরা এখন আর দর দাম করে না, আবার সবজি বিক্রেতারাও আকাশ পাতাল দাম চায় না আজকাল...

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে অবাধ টিভি চ্যানেলের কারণে হাঁস মুরগী গরু ছাগল মহিষ পালন বন্ধ হয়ে গেছে, তাতে সংকট তৈরি হয়েছে বাজারে। যে কারণে গরুর মাংসের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাছাড়া বাংলাদেশে আগামী ১০ - ১৫ বছরের মধ্য হয়তো আর কেউ কৃষক থাকবেন না। তার আঘাত ধেয়ে আসছে বলে - - - -

১৫| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: যাদেরকে সপ্তাহে অন্ততঃ একদিন হলেও বাজারে যেতে হয়, তাদের কাছে এ বাজার দর নতুন না । তারপরও আপনার এই কালেক্শন ভাল লাগল ।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাজার দর নতুন না। অপরিবর্তিত রয়েছে বলা চলে, তবে এই বাজার দরের জন্য মূল দায়ী ভোক্তা ক্রেতা! - বিক্রেতা নয়। মানুষের অতিরিক্ত ভোজন আর বাজার করার যে অসম প্রতিযোগিতা তা বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দেবে।

১৬| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: সদাইপাতির দাম দর থেকে আমি মুগ্ধ!
একদম ১০০% সঠিক দাম উল্লেখ করেছেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাজারে মাছ মাংস পেঁয়াজ কেনার যেই আক্রোশের অসম প্রতিযোগিতা তাতে মনে হতে পারে ধন দেবতা কুবেরের সম্পত্তিও হয়তো লোপাট করে দিতো বাংলাদেশের হাভাতে ভোক্তা। এতো খেতে হয়! - এই দেশের মানুষ এতো খায় কেনো?

১৭| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: গত তিন চার মাস ধরে আমার বাজারের ভাগ্য ভালো যাচ্ছে না।
সবাই আমাকে ঠকাচ্ছে। সেদিন পেঁয়াজ কিনলাম। আদা কিনলাম। বাসায় এসে দেখি অর্ধেক এর বেশি পচা।
নিডুলস কিনলাম। বাসায় এসে দেখি নিডিলস এর মেয়াদ শেষ হয়েছে আরো দুই মাস আছে।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে নতুন অফার অর্থ এক্সপায়ার ডেট! সুপার শপগুলো অফার দেয় যে সব পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হতে ১৫ - ৩০ দিন বাকী আছে। মানুষ ট্রলি ভরে মেয়াদোত্তীর্ণ ও তার কাছাকাছি পণ্য কিনে ধন্য হয়।

১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২১

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: সদাইপাতির দাম দর থেকে আমি মুগ্ধ! একদম ১০০% সঠিক দাম উল্লেখ করেছেন।
পোস্টে ১০০ তে ১০০ পেয়েছেন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি নিয়মিত বাজার টাজার করি। তাই কিছু ধারণা আছে। নীল আকাশ ভাই ১০০ তে ১০০ মার্ক পেয়ে গর্ব অনুভব করছি। ধন্যবাদ।

১৯| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@ডঃ এম এ আলী ,

আপনার অসুস্হতার কথা শুনে খারাপ লাগছে; আপনি আপনার পদ্ধতিতে সেরে উঠুন প্রথমে; তারপর, ফ্রি-হ্যান্ড ব্যায়াম করুন ঘরের মাঝে, বাহিরে হাঁটুন।

আপনার সুস্হতা কামনা করছি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করছি।

২০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের দেশের সাধারণ মানুষদের দৈনন্দিন আয় ব্যয়ের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। কারো কারো আয়ের থেকে ব্যয় বেশি। ফলে সারাজীবনই কষ্টে কষ্টে কেটে যায়। অবসরে যাওয়ার সুযোগই আসেনা।

তিনজনের সংসারের কর্তাব্যক্তি রোজ ৫০০ টাকা ইনকাম করে দুইবেলা শাকভাত খেলেও ১০০+ চলে যাবে। ঘড়ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল ইত্যাদি ইত্যাদি কত কত খরচ!
অসুখবিসুখ, দুর্ঘটনা তো আছেই!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আয় ব্যায় সমান সমান। ব্যালেন্স শূন্য। ঢাকায় যারা বিশেষ করে ভাড়া থাকেন তাদের অর্ধেক আয় চলে যায় বাসা ভাড়া দিয়ে। বস্তি থেকে এপার্টমেন্ট পর্যন্ত একই অবস্থা।

২১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার দু'টি মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই আপনি শুধু মন্তব্যে নয় উক্ত পোষ্টেও আছেন। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

২২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাইয়া, বাজার থেকে এসে ব্লগে আপনার লিখা পড়ছি। :)
আহা! বাজারের ফর্দ। বর কয়েকদিন আগে বলছিলেন আমাকে বাজারের ফর্দ তৈরী করে দিতে হবে। নইলে সে বাজার করবেনা।হা হা .. :D :D
আপনার পোস্টও সেই নিত্যনৈমিত্তিক বাজারদর, হিসেবে নিয়েই।স্বভাবতই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম আয়ের সাথে সামঞ্জস্য করেই নির্ধারিত হয়।কিন্তু ঝামেলাটা হয়ে যায় আমরা যারা বিদেশে দেশি স্টাইলে খাবারের স্বাদ নিতে চাই। এই ধরুন, ইন্ডিয়ান/পাকিস্তান/এরাবিক দোকানে একবার গেলে পয়সা সুড়সুড় করে নেমে যায়। কারণ খুব সামান্য পরিমানের মসলা অনেক দাম দিয়ে কিনতে হয়। দেশে রুইমাছ ৩৫০ টাকা কেজি আর এখানে কিনতে হয় প্রতি কেজি ৭০০ টাকার মত। হাফ কেজি মুড়ি কিনতে গেলে ২০০ টাকার কাছাকাছি পড়ে যায়। এভাবে প্রায় সব জিনিসের ওসব দোকানে অনেকদাম। যাই হোক, আপনার ফটোটা দেখে দেশি সবজির (গ্রামের টাটকা ও সতেজ সবজি) তরকারী খাবার ভীষণ লোভ লাগছে ! মনে হচ্ছে, হাতের নাগালে পেলে সবগুলো সবজি কিনে নিয়ে এসে মনের সুখে রেঁধে খেতাম। আর ইলিশের কথা কী বলব ! সরিষা-ইলিশের ঘ্রাণ পাচ্ছি একদম।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বোন রে, সব বাজার আপনার।




২৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩০

বলেছেন: তুলনামূলকভাবে বিদেশে

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ বাজার করেন অতিরিক্ত, অতিরিক্ত খাওয়া দাওয়া করেন, খাবার নষ্টও করেন অতিরিক্ত। জাতি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ পৃথিবী নামক গ্রহের না। অন্য কোনো গ্রহের!

২৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৫

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: একদম আবেগাপ্লুত করে দিলেন, ভাইয়া। হৃদয় নি:সৃত ভালোবাসা নিবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বোন, আপনি ভালো থাকুন।

২৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩৩

বলেছেন: পুরো মন্তব্যটি ইমোটিকা ব্যবহার করলে আসে না।।


দেশের চেয়ে বিদেশে ইলিশের দাম সস্তা।।। কারণ কি??


বাজারে কি কেরোসিন তেল বিক্রি হয়???

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বার্মা থেকে ইলিশ রপ্তানী হয়। বার্মা রাণীর বন্ধু রাষ্ট্র।
বাংলাদেশে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও এখন চাইনিজ চার্জ লাইট, দাম মাত্র ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা। কেরোসিন তেল কোথাও আছে? - আমার মনে হয় না। কেরোসিন তেল কেনো লাগবে? কতো ব্যারেল কতো ড্রাম দরকার। পেট্রল অকটেনে কি কাজ চলবে?

২৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩৭

বলেছেন: জাতি হিসাবে আমরা আয়েশি এবং আমোদি --


---মেহমানদারি করতে ভালোবাসি।। কি বলেন??

আত্নীতিপরায়ন জাতি কেন আত্নমর্যাদাহীণ আততায়ী ???? এই শিরোনামে একটা লেখা লিখেন।।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ ঠিক অতিথিপরায়ণ মানুষ বা আত্মীয় পরায়ণ ও নন। এই দেশের পুরুষরা আসলে শুশুরবাড়ী পরায়ণ মানুষ। আর মহিলারা মায়েরবাড়ী পরায়ণ। - এই ব্যাপারগুলো বাংলাদেশের পরিবোরের খুব ক্রিটিক্যাল বিষয়, ব্লগে লিখলে অনেকে বাজে মন্তব্য করবেন। তাছাড়া মহিলা ব্লগার যারা আছেন তাদের হয়তো সরাসরি আক্রমণ করা হয়ে যাবে। তাছাড়া ব্লগে দেশের সার্বিক কিছু বিষয় আছে সবাই কমবেশী জানেন, তাই নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। এটি সমাজের পরিবারের একটি ডার্ক সাইট আমি মনে করি। তাই ডার্ক সাইট ডার্করুমেই থাকুক। নাকি বলেন?

২৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩৯

বলেছেন: কেরোসিন তেল দিয়ে আগে লাম্পবাতি ও হ্যাজাক লাইট জ্বলত এখন কি এগুলো আছে তা জানার জন্য??

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার হ্যাজাক লাইট আছে। আমার আব্বার কেনা। গ্রাম অঞ্চলে নদীর ঘাটের বাজারে কেরোসিন পাওয়া যায়। আপনার মন্তব্য পড়ে এখন ফোন দিয়ে কনফার্ম হলাম। নৌকাতে অনেকে এখনো কুপি, হারিকেন ব্যাবহার করেন। আপনাদের যুক্তরাজ্যে হ্যাজাক কি আছে এখনো?

২৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৫৯

বলেছেন: এগুলো নাই।।।

এখন সোলার প্যানেল ব্যবহার হচ্ছে।।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গ্রামীন ব্যাংক, ব্র্যাক এনজিও বাংলাদেশে চড়া দামে - চড়া কিস্তিতে গ্রামে গ্রামে সোলার প্যানেল দিয়েছিলো প্রায় ১০ বছর আগে। ১ - ২ বছরের মধ্যে সব নষ্ট হয়ে এখন বাড়ী ঘরের কাপড় শুকানোর কাজে ব্যাবহৃত হয়। কেউ কেউ কটকটি শন পাপড়ি ওয়ালাকেও দিয়ে দিয়েছেন। গ্রামে রেমিটেন্সের টাকা প্রচুর। খরচ ও করে প্রচুর।


২৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:০১

বলেছেন: নরসিংদী আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি তামান্না নুসরাত বুবলীর বিএ পরীক্ষা দিচ্ছেন প্রক্সি প্রার্থীরা। এ পর্যন্ত আটজন ছাত্রী এমপির হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কথা জানা গেছে। সম্প্রতি দেশের এক বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। বুবলী সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নরসিংদীর সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের স্ত্রী।

বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে জমা দেয়া হলফনামা অনুযায়ী মহিলা সংরক্ষিত সংসদ সদস্য ও সন্ত্রাসী হামলায় নিহত নরসিংদীর সাবেক পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের স্ত্রী এইচএসসি পাস। পরে উচ্চশিক্ষা অর্জনে তিনি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ কোর্সে ভর্তি হন। তবে বিএ পাস করার জন্য তিনি অনিয়মের আশ্রয় নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ কোর্স পর্যন্ত চারটি সেমিস্টার ও তেরোটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও তিনি একটিতেও অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু তারপক্ষে এখন পর্যন্ত ৮ জন নারী পরীক্ষা দিয়েছেন। সবাই সবকিছু জানলেও এমপির ভয়ে কেউ কিছু বলেনি।

পরীক্ষার হলে সংসদ সদস্যের রোল নাম্বারের সিটে বসা পরীক্ষার্থীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন তার নাম তামান্না নুসরাত বুবলী। পরে তার আইডি কার্ড আছে কিনা জানতে চাইলে ওই পরীক্ষার্থী বলেন, তার সাথে আইডি নেই। পরে ওই প্রতিবেদক পরীক্ষার্থীকে জিজ্ঞেস করেন, তামান্না নুসরাত বুবলী একজন সংসদ সদস্য। তিনি এই সিটে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তখন ওই পরীক্ষার্থী নিজেকে সংসদ সদস্য তামান্না নুসরাত বুবলী বলে দাবি করেন।

তবে কক্ষ পরিদর্শক জানিয়েছেন, ওই পরীক্ষার্থী দাবি করেছেন তার আইডি কার্ড হারিয়ে গিয়েছে। সে জিডির কপি নিয়ে এসেছে। তাই তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হচ্ছে।

সূত্র: নাগরিক টিভির প্রতিবেদন অবলম্বনে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ঢাকার নানান বস্তি থেকে ১,০০০ জন অকথ্য অশ্রাব্য ভাষায় গালীগালাজ জানা মহিলা আনতে হবে যাদের কাজ হবে পরীক্ষার হলের সামনে ও সাংসদের বাড়ীর সামনে দাড়ীয়ে মাইক দিয়ে গালাগালী করা। - আশা করি এটি বিবিসি সিএনএন ব্রেকিং নিউজ সহ কভার নিউজ করে প্রতিবেদন করবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী ক্ষমতাবান মানুষ। তিনি তার ক্ষমতার খুবই সামান্য পরিমান ব্যাবহার করেছেন মাত্র। আগামী কিছুদিনে তিনি প্রতিমন্ত্রি হওয়ার সম্ভবনা ছিলো, এখন মিডিয়া ও ফেসবুকার জনতা কি করেন তা দেখার বিষয়। শুনেছি প্রধানমন্ত্রী তলব করেছেন।

৩০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: দোয়া করার সাথে ব্যথা উপসমের জন্য দেশীয় ঘরোয়া দাওয়াই দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন । আজই অনেক খৃঁজাখুঁজি করে একটি গ্রসারী সুপার স্টোর হতে কাঁচা হলুদ কিনে নিয়ে আপনার দেয়া পদ্ধতি অনুসরন করে সাথে সাথেই ফল পেতে শুরু করেছি, হট ওয়াটার ব্যগ দিয়ে থেরাপি পুর্ব হতেই চলছিল, সেটাও চালায়ে যাচ্ছি । যদিও অনেকে একে বলেন টুটকা চিকিৎসা , কেও বলেন কবিরাজি, কেওবা বলেন আয়োর্বেদিক তবে যে নামেই ঢাকা হোক না কেন এই ঘরোয়া পদ্ধতির চিকিৎসার প্রতি আমার পুর্ণ শ্রদ্ধা আছে । মুক্তি যুদ্ধের কঠীনতম সময়ে এই ঘরোয়া পদ্ধতির চিকিৎসাই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছিল । মনে পড়ে মুক্তি যুদ্ধের সময় ভাওয়াল শালবনের গহীনে অস্থায়ী ক্যাম্পে অবস্থানকালীন সময়ে (রাজেন্দ্রপুর ইপিআর ক্যাম্পের কাছাকাছি ) আমাদের গ্রুপের একজনের পা ভেঙ্গে গিয়েছিল। সেখানকার একজনের কাছে জানা গেল শালবনের প্রান্তের গ্রামে প্রায় ৯০ বছর বয়সি ভবানি মন্ডল নামে একজন বৃদ্ধ গাছের লতাপাতা দিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে পারেন। আমাকে পাঠানো হল সেই গ্রামে উনার কাছে। গেলাম উনার কাছে । ধৈর্যধরে শুনলেন প্রয়োজনের কথা । সাথে সাথেই লাঠি ভর দিয়ে কুজো পিঠ নিয়ে খুড়িয়ে খুঁড়িয়ে চললেন বনের ভিতরে হাড় জোড়া দানকারী লতা গাছের কাছে। চলার পথে অনেক কথার ফাকে জানালেন কিভাবে এ গাছের সন্ধান তিনি পেলেন । জানালেন উনার যুবাকালে দুরের গ্রামের হাট হতে খাসির মাংস কিনে জংলী এক গাছের পাতা ও লতা দিয়ে পেচিয়ে পুটলারমত বেধে মাংস নিয়ে ঘরে ফিরে পুটলা খুলে দেখেন মাংসের ভিতরে থাকা সকল হাড্ডি একটির সাথে আরেকটি জোড়া লেগে গেছে । মনে মনে ভাবলেন ভা্ঙ্গা হাড় জোড়া লাগানোর লতাপাতা পেয়ে গেছেন । সাথে সাথেই এক দৌঁড়ে বনে গিয়ে গাছটি চিনে আসলেন, তারপর হতে এই গাছের লতাপাতা দিয়ে নীজ গ্রামসহ দুর দুরা্ন্ত গ্রামের মানুষের হাড় ভাঙ্গার চিকিৎসা করে আসছেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে বললেন তোমরা দেশের মুক্তির জন্য যে কাজ করছ তাতে করে তোমাদের কারো না কারো জন্য যে কোন সময় এ ধরনের ভাঙ্গা হাড় জোড়া দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে । তিনি এও বললেন যে তাঁর বয়স হয়ে গেছে, যে কোন সময় মারা যেতে পারেন। তাই তিনি এটা আমাকে শিখিয়ে যেতে চান যাতে করে তার এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি দেশের মুক্তি যুদ্ধাদের কল্যানে কাজে লাগে । এটা হলেই নাকি তিনি বেশী শান্তি পাবেন । মুক্তি যুদ্ধাদের প্রতি তাঁর মত এমন বয়োবৃদ্ধের দরদ ও ভালবাসা দেখে শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসছিল । এই মন্তব্য যখন লিখছি তখন তাঁর কথাই বার বার মানসপটে ভেসে আসছে । কত ভাবেই, কত প্রকারেই যে সেসময় মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তি যুদ্ধে সহায়তা করেছে তা এখনকার নতুন প্রজন্মের অনেকের কাছেই অজানা রয়ে গেছে । যাহোক, তিনি আমাকে লতা গাছটি চিনিয়ে দিলেন, সাথে বলে দিলেন এর প্রয়োগ পদ্ধতিটি । আমি সেই গাছের লতাপাতা নিয়ে এসে আমাদের প্রিয় সেই সঙ্গিটির ভাঙ্গা হাড় লাগানোর জন্য প্রয়োগ করি। নির্দেশ মত ২৪ ঘন্টা পর বাধন খুলে দেখা গেল তার পায়ের ব্যথা কমে গেছে । পায়ের ফুলা মিশে গেছে । পরদিন সে দিব্বি হাটতে পারছে । লতা পাতা দিয়ে হাড় জোড়া দেয়ার পদ্ধতিটি সে সময় আরো কয়েকজনের উপর প্রয়োগ করে ভাল সুফল পাওয়া গেছে । তখন অবশ্য এর সাইড ইফেক্ট নিয়ে ভাবিনি । পরবর্তীতে যখন একজন অর্থোপেডিক এর সাথে এই লতাপাতাটি নিয়ে কথা বলছিলাম তখন তিনি জানালেন হাড় ভাঙ্গলে নারাচারা না করলে শুধু প্লাষ্টার দিয়ে রাখলে দিন কয়েক পরে এমনিতেই হাড় জোড়া লেগে যায় । তবে কারো হাড় ভেঙ্গে গেলে সেটিকে এক্সরে করে ঠিকমত না বসিয়ে প্লাষ্টার বেন্ডিস বা গাছের লতাপাতা দিয়ে টুটকা চিকিৎসা করলে বহুবিধ ধরনের সাইড ইফেক্ট হতে পারে , হাত পা বেঁকে যেতে পারে । তাই এখনকার এই মডার্ন সহজলভ্য চিকিৎসার যুগে ঝুকিপুর্ণ এই ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ না করাই সমীচিন বলে তিনি মনে করেছেন, আমিউ তা অনুভব করছি ও মেনে চলছি।এ কথা জানার পর এটা আর কারো উপর প্রয়োগ করিনি । যাহোক, এ কথা নির্ধিধায় বলা যায় যে কোমড়ের ব্যথা উপসমের জন্য আপনি যে দাওয়াই আমাকে দিয়েছেন তাতে কোন সাইড ইফেক্ট একেবারে নেই বললেই চলে এবং কেও এটা সঠিক উপাচারে নিয়মিতভাবে প্রয়োগ করতে পারলে উপকার পাবেই পাবে। নীজের অনুভব থেকেই বলছি, প্রায় শতভাগ গ্যরন্টি দেয়া যায়, অন্য কোন উপসর্গ যদি না এর সাথে যুক্ত হয়ে যায়।

@ চাঁদগাজী
সুপরামর্শের জন্য তাঁর প্রতি রইল ধন্যবাদ । ব্লগে নিয়মিত হওয়ার জন্য মনটা পড়ে আছে । সকলের জন্য দোয়া রইল ।



২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাতে মন্তব্যর উত্তর দিবো। ধন্যবাদ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই, আমি অত্যন্ত দুঃখিত আপনার মন্তব্যর উত্তর দিতে দেরি হয়েছে। আমাদের সময়ে অনেকে এই কবিরাজী চিকিৎসাগুলো জানতেন - খুব ভালোই জানতে তবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আর মনে রাখেনি মনে রাখার প্রয়োজনও মনে করেনি। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মানব সমাজ সহ সকল পশুপাখিও। বাংলাদেশে পশুপাখি বিলুপ্তির পথের অন্যতম কারণ ক্ষেতে খামারে কেমিক্যাল ব্যাবহার ও মানুষের অতিরিক্ত ঔষধ সেবন।

আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। আমার দাদাজান ও দাদীজানের সন্তান বাবা ও চার চাচা সহ সর্বমোট পাঁচজন (ফুফুজানদের বাদে)। তাদের মধ্য মধ্যে চারজন মুক্তিযোদ্ধা, ১৯৭১ এর যুদ্ধে আমরা হারাই আমাদের পরিবারের সবচেয়ে ভালো ছাত্রটিকে যিনি মেট্রিক ও ইন্টারে ফার্ষ্ট ডিভিশন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে পড়ছিলেন, আমাদের পরিবারের সবচেয়ে পাগলা ছেলেটি যিনি দাদাজান দাদীজানের সর্বকনিষ্ট সন্তান ছিলেন। তিনি আমাদের ছোট চাচা “সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর”। সৈয়দ আতিকুল হোসেন ঠাকুর ১৯৭১ এর যুদ্ধে বীরের মতো সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হোন - সে অনেক বড় গল্প কোনো একদিন ব্লগে লিখবো।

যুদ্ধের কথা মনে হলেই অনেক কষ্টের স্মৃতি মনে আসে। আমরা বলতাম “সংগ্রাম”, এখনো পরিবার পরিজনে কথা হলে তাই বলি “সংগ্রামের বছর”। সংগ্রাম আমদেরে স্বাধীনতা দিয়েছে আজ এসব দেখার জন্য। বৃটিশ সরকার থেকে শুরু করে পাক সরকারও এতো লুটতরাজ করেনি যা হয়েছে ১৯৭২ থেকে আজ ২০১৯ পর্যন্ত।

ডঃ এম এ আলী ভাই, আপনি সুস্থ হয়ে উঠুন এই দোয়া করছি পরম করুনাময়ের কাছে। আপনি যেই সম্মান দিয়েছেন লেখায় তার জন্য আমি চিরো কৃতজ্ঞ। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার প্রতি। প্রিয় ডঃ এম এ আলী ভাই আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এই কমনা করছি।


৩১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২৮

জুন বলেছেন: ঠাকুর মহমুদ আপনি কোন বাজারের হিসাব দিয়েছেন বলেন দেখি ? আমিও তাহলে সেখানেই যাই । শাকঃ মুলা, লাল, ডাটা ২০ টাকা আটি , পুই ৩০ লাউ ৪০ আটি এই ভাবেই কিনে চলেছি বছর দুয়েক ধরে, করল্লা নীচে ৮০ টাকা, উপরে ১২০ টাকা :(
মাঝে মাঝে মনে হয় শায়েস্তা খা এর যুগে যদি যেতে পারতাম /:)
+

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জুন আপা, আমি উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বাজার হতে শুক্রবার সকালে বাজার করি। ঢাকা যেকোনো প্রান্তে এতোটা পার্থক্য কেনো হবে - তা ভাবিনি কখনো! আর আমার ধারণা ছিলো ঢাকায় সবখানে সম্ভবত একস্ক্যাল হবে তাই ± সংকেত বসানোর প্রয়োজন মনে করিনি। আমাদের উত্তরাতে একই দাম আমি আবদুল্লাহপুর থেকে কিনি একটু তাজা পাওয়া যায় সকালে। জীবন চলে গেছে জীবনের মতো এখন কি আর অতীতে ফিরে যাওয়া সম্ভব! বেশী দিন আগের কথাও বলবো না মাত্র ১৯৮৮ সনের বন্যার বছর - আমার নিজের কেনা ২০ টাকা দিয়ে চারটা মাঝারি সাইজের ইলিশ - সব মেঘনার।

৩২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাহ সবজীর ছবি বড়ই তরতাজা সতেজ খুব সুন্দর লাগছে দেখে। আশা করছি এই সবজিগুলো বিষ ছাড়া ।
বাংলাদেশের আয়ের তুলনায় দাম অনেক বেশি। অনেকের কেনার সাধ্যের বাইরে দাম। আবার অনেকের কাছে কোন দামই মনে হয় না। বাংলাদেশের মানুষের কাছে অনেক টাকা।
কিছুকাল আগে দেশে গিয়েছিলাম আমার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশে সব কিছু দাম অসম্ভব রকমের বেশি। মানুষ কি ভাবে সংসার সামলায় কে জানে। খুব বেশি পার্থক্য মনে হয়েছে আমার যাপিত সময়ের বাংলাদেশের চেয়ে।
বেড়াতে যাওয়ার কথা ছিল টাঙ্গুয়ার হাওড়ে। সেখানে নৌকা ভাড়া ১০০০ কিন্তু ঈদ ছিল সে জন্য প্রচুর পর্যটক ওখানে এসেছিল। নৌকা ভাড়া হয়েছিল ১৫ থেকে ২০ হাজার।
আমাদের আর যাওয়া হয়নি। তবে পরিবারের একজন বন্ধুদের সাথে গিয়েছিল। সে বলল, চলা ফেরার অবস্থা নেই প্রচুর মানুষ গিজগিজ করছে। ওরা কোন রকমে একরাত ট্রলারে কাটিয়ে ফিরে এসেছে তিনদিনের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে।
সুযোগ মতন সবাই ব্যবসা করে নেয়, সব জায়গায়। আমি বুঝতে পারি না কি ভাবে মানুষ সামর্থের বাইরে ব্যয় করতে পারে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাতে মন্তব্যর উত্তর দিবো। ধন্যবাদ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপা, আমাদের দেশে আয়ের তুলনায় দাম বেশী কথা সত্যি। তবে দাম বেশী দিয়েও মুক্তি মিলছে না সাধারণ মানুষের শাক সবজি বিষমুক্ত করতে পারেনি সরকার, প্রশাসন, আইন ও জনগন।

এটাও সত্যি বাংলাদেশের প্রচুর মানুষের কাছে প্রচুর টাকা। বিশেষ করে রেমিটেন্স ভক্ষকদের কথা বলবো তারা কিভাবে বাজার সদাই করেন তা দেখে মনে হতে পারে বাজারে এমন কিছূ নেই যা তারা কিনতে আগ্রহী নন। এইদিকে তাদের পরিজনদের দেখা যারা প্রবাসে মুরুর দেশ কর্মরত তাদের হয়তো প্রাণ যায় যায় অবস্থা। শেষ দিকে দেখা যায় ব্যালেন্স শূন্য।

সরকারী কর্মজীবি মানুষের কাছেও অঢেল টাকা তাদের পরিবার পরিজন বাজারকে উত্তপ্ত করে রাখেন, আর আছে এনজিও বেসরকারী স্কুল, ইউনিভার্সিটি, চিকিৎসক, ও কিন্ডার গার্টেন বহর সহ সকল ধরণের সেবা খাত হয়েছে এখন টাকার পাহাড়! সেই পাহাড়ের পাথর বাজারে বেচা কেনা হয়।

১,০০০ টাকার ভাড়া যেখানে ১৫,০০০-২০,০০০ টাকা হতে পারে বুঝতে হবে বাংলাদেশের মানুষ অসুস্থ হচ্ছে দিনকে দিন। এইসব ভালো লক্ষন নয় ভয়ঙ্কর খারাপ লক্ষণ।



৩৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: লাউ শাক ৫০/৪০ টাকা । ফুলকপি মাঝারি ৫০ টাকা । সব জিনিসের দাম বেশি ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই, আগামী সপ্তাহে আরেকটি প্রতিবেদন দিবো। তাতে ঢাকা কাওরান বাজারের তথ্য আপডেট দিয়ে নাম লিখে দিবো বাজার দর ঢাকা “কাওরান বাজার”। আমার বাজার দরে কিছু ± আছে। কারণ এটি ঠিক ঢাকার বাজার দর নয়। এটি ঢাকার এক প্রান্তের বাজার দর, স্থান:- আবদুল্লাহপুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.