নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
আমি একটি স্বপ্ন দেখি
আমি এই স্বপ্নটি দেখতে ভালোবাসি
পাহাড়ি স্বচ্ছ পানির নদীর তীরে
নির্জন নিবিড় গহীন সবুজ বন,
নিঃসঙ্গ একটি ঘর, ছোট্ট একটি ঘর
সেখানে শুধুই আমি।
যেখানে আমি আমার বাকি জীবন শান্তিতে ঘুমোতে পারবো
শান্তির ঘুমের সঙ্গে আমি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে পারবো ।।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৫৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জুনায়েদ বি রাহমান ভাই, এটি একটি স্বপ্ন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:২৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনেক পছন্দের একটি কবিতা পাঠ করলাম ।
প্রিয়তে গেল ঘ
কবিতাটি পাঠের পর হাজার বছর আগেকার
আমাদের চারণ কবিদের লেখা বাংলার আদি
অতি সরস চর্যাপদের কথাই মনে করিয়ে দেয় ।
চর্যাপদের পয়ার গলিতে দেখা যায় দুর্গম পাহাড়ে
গেলেও সহজে একাকী বা নি:সঙ্গ হবেনা কেও ।
কারণ চর্যাপদেই কাব্যিক ছন্দে আছে লেখা
উঁচা উঁচা পাবত তঁহি বসই সবরী বালী।
মোরঙ্গি পীচ্ছ পরহিণ সবরী গীবত গুঞ্জরী মালী।।
উমত সবরো পাগল শবরো মা কর গুলী গুহাডা তোহৌরি।
ণিঅ ঘরনি ণামে সহজ সুন্দারী।।
ণাণা তরুবর মৌলিল রে গঅণত লাগেলি ডালী।
একেলী সবরী এ বণ হিণ্ডই কর্ণ কুণ্ডলবজ্রধারী।।
অর্থাৎ – উঁচু পর্বতে শবরী বালিকা করে বাস ।
মাথায় তার ময়ূরপুচ্ছ, গলায় গুঞ্জামালিকা।
নানা তরুয় হলো মুকুলিত ।
শাখা-প্রশাখা তাদের আকাশে হলো বিস্তৃত ।
শবর-শবরীর প্রেমে পাগল হলো।
কামনার রঙে হৃদয় তাদের রঙিন ও উদ্দাম।
শয্যা হলো পাতা।
শবর-শবরী প্রেমাবেশে করলো রাত্রিযাপন ।
আবার চর্যাপদেরই অন্য একটি পদে
দেখা যায় আছে লেখা
টালত মোর ঘর নাহি পরবেষী।
হাড়ীত ভাত নাঁহি নিতি আবেশী।
অর্থাৎ- টিলার উপর ঘর আমার
নেই কোনও প্রতিবেশী ।
হাঁড়িতেও নেই ভাত,
তবু নিত্য আসে অতিথি ।
সেভাবেই বলি দুরে গিয়ে একাকীত্ব বরন করে
হয়েও যান যদি নির্জন কোন পাহাড় বাসি
তবু সেথায় নিত্যই যাব হয়ে অতীতি ।
আমিউ যেতে চাই পাহাড়ে ,চির নিদ্রায় শায়িত হতে চাই সেখানেই
আর বলে যেতে যাই আমার কবরে থাকেনা যেন কোন স্মৃতিফলক,
আরো বলে যেতে চাই কেও করোনা রোদন আমার কবর পাশে
আমি মৃতও নই জীবিতই নই, আমি নেই কোন ঘুমের ঘুরে
স্বর্গ মর্ত পাতাল জোরে করি বিচরণ বড় আয়েস করে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি বিলের ধারের সেই পুরোনো “নাম না জানা বৃক্ষ” যে শত সহস্র ঝড়ের পরেও কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে আজো। - আমি কারো নই, কেউ আমার নয়, আমি এক নিরব দর্শক! - আমিই সেই আমি।
টিলার উপর ঘর আমার
নেই কোনও প্রতিবেশী ।
হাঁড়িতেও নেই ভাত,
তবু নিত্য আসে অতিথি ।
চরনগুলো খুব মনে ধরেছে, অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির!
আমি চিরদুর্দম, দূর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,
আমি দূর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!
বল বীর-
চির-উন্নত মম শির!
আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।
আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,
আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’
ফিং দিয়া দেই তিন দোল্;
আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল।
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’,
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরীত্রির;
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির অধীর।
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৪০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাইএর মন্তব্যটা মুগ্ধ হয়ে পড়লাম।
টিলার উপর ঘর আমার
নেই কোনও প্রতিবেশী ।
হাঁড়িতেও নেই ভাত,
তবু নিত্য আসে অতিথি ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের লেখা মন্তব্যে চরনগুলো আগে কখনো আমি পড়িনি, তারপরও মনে হচ্ছে এই লেখা আমার বহুল পরিচিত জীবনে যেনো অনেকবার পড়েছি - কিন্তু সত্য হচ্ছে এই লেখা আজই আমি প্রথম পড়লাম তাও ডঃ এম এ আলী ভাইয়ের মন্তব্যে।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
পুরণ-যোগ্য বলে মনে হচ্ছে
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সম্ভবটাকেই সম্ভব করার চেষ্টা করছি।
৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৬:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
মৃত্যু আপনা থেকেই ঘটবে, এর জন্য প্রস্তুতি অপ্রস্তুতি কিছুই নেই। মৃ্ত্যু অবশ্যই মহান কিছু নয়, জন্মটাই মহান ব্যাপার।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, মানুষের জন্ম মৃত্যু দুটোই মহান। সৃষ্টির আদি আদি আর অন্ত।
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৭:৩০
ল বলেছেন: দয়াাল, জানি না হে, জানি না!
শেষ বিদায়ের ডাক আসবে কবে!
এত মায়া,এত কায়া সব যাবে দূরে সরে
ঝরাপাতা মতো আমি যাবো যে ঝরে....
দয়াল, জানি না জানি না হে
ওপারের ডাক আসবে কবে!
সংশয়ের ঘোর নাহি কাটে....
মিছে মজলাম দু দিনের এ ভবে রে...
( একটি "ল" গীতি)) হা হা।।।
আপনি বেঁচে থাকুন আপনার কর্মে।।।
দীর্ঘায়ু কামনা করছি....
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সোনা বউ শুনছনি গো
সোনা বউ শুনছনি নিতে আইলে নাইয়র যাইবায় নি।।
ও বউ গো বউ, সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে
বাসরটা দিবে সাজিয়ে
যে ঘরে থাকবা দিন-রজনী।
নাই বিছানা নাই মশারী সঙ্গে নাই তর
সোয়ামী
নিতে আইলে নাইয়র যাইবায় নি?
ও বউ গো বউ, ছেড়ে গেলে কত্তা-জামাই
মাটির দেহের কিসের বড়াই
ফাঁকা দেহের বিচার করবে কে।
আত্মার সাথে তর পীরিতি দেওয়ানে কয় ও সজনী
নিতে আইলে নাইয়র যাইবায় নি।।
-----------------------------------------------------------
সুরকারঃ আরফিন রুমি
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:২০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ওটা তো জুম ঘর, এক রাতে এমন একটা জুম ঘরে থাকার দূর্দান্ত অভিজ্ঞতা আমার রয়েছে........আপনার স্বপ্নটা সত্যি হোক।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি অসংখ্য রাত থেকেছি।
তাই এই ঘর আমার এতো পছন্দ। স্বপ্নটা বাস্তব করারই চেষ্টা করে যাচ্ছি।
৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৪১
ইসিয়াক বলেছেন: আপনার সুস্বাস্থ্য , সুখী ও দীর্ঘ জীবন কামনা করছি এবং সেই সাথে ভালো থাকুন । দোয়া রইলো প্রিয় মাহমুদ ভাই।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপনার জন্যও দোয়া রইলো।
৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর কবিতা। সুন্দর স্বপ্ন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সবাইকে এমন নির্জন জায়গায় থাকতে হবে আশপাশে কেউ থাকবে না, পড়ে রইবে শুধু নিথর দেহখানি।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এটি অতি সৌভাগ্যবানদের ভাগ্য। সবার সেই ভাগ্য হবে না।
১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: স্যার , জলরঙের ছবির সাথে আপনার কবিতাটা কতইনা স্বচ্ছ। শুনেছিলাম স্বচ্ছতায় মায়া বিরাজ করে।
মৃত্যু অবশ্যই মহান কিছু নয়, জন্মটাই মহান ব্যাপার। ---চাঁদগাজী স্যার
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: স্বচ্ছতায় মায়া বিরাজ করে। - সঠিক শুনেছেন। মায়া হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভয়ঙ্কর বিভ্রম!
১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
সাইন বোর্ড বলেছেন: আশা করি আপনার পরের কবিতা মৃত্যু চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসবে, তবে আজকের কবিতাও ভাল লাগল সাথে ছবিও ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অবস্যই মৃত্যু থেকে বেড়িয়ে আসবে। আসতেই হবে। সাথে থাকুন।
ধন্যবাদ।
১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
মোগল সম্রাট বলেছেন: ঠাকুর ভাই আপনার সাথে আমার স্বপ্নের দারুণ মিল আছে। শুধু পাহাড়ি নদী আর নরমাল নদী এখানে শুধুই তফাত। আমার নদীর পানি ঘোলা হইলেও সমস্যা নাই
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মোগল সম্রাট আপনি আমাকে পছন্দ করেন বা আমি আপনাকে পছন্দ করি তার অর্থ এই আমি আপনি কোনো না কোনো দিকে একই রকম মানুষ। কোথাও না কোথাও আমাদের মিল আছে। তার প্রমাণ এখন সামনে দেখতে পাচ্ছি।
১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: মৃত্যু মানে একটা জীবনের শেষ। পৃথিবী নামের একটা অদ্ভুত রঙ্গমঞ্চ থেকে একটা চরিত্রের বিদায়, দীর্ঘ এক অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। কিন্তু সবসময়, সব মানুষের ক্ষেত্রে, এই চলে যাওয়াটা কি ‘হ্যাপি এন্ডিং’ হয়???
শেষের সেই দিনটি চলে আসার আগেই জীবনকে উপভোগ করুন, অন্যদের দিকে না তাকিয়ে নিজের মতো করে বাঁচুন..
একটা কথা আছে, মানুষ যখন নিজের জীবনের শেষ মুহুর্তের কাছাকাছি চলে আসে তখন সে নাকি দিব্যদৃষ্টি লাভ করে। নিজের জীবনের সমস্ত ঘটনা তার চোখের সামনে ভেসে উঠে, নিজের জীবনের প্রতিটি ঘটনা, প্রতিটি মুহুর্ত সে একঝলকে দেখতে পায়। বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে পার করে আসা জীবনের ব্যাপারে নিজের মূল্যায়ন করতে পারে।
জানিনা আসলেই এরকম হয় কিনা, তবে একটা ব্যাপার বুঝি, অনেক সময় মৃত্যুর শারীরিক যন্ত্রনার থেকে মানসিক যন্ত্রনা অনেক বেশি হয়, যখন কেউ কোনো অপূর্ণতা নিয়ে মৃত্যুবরণ করে।কিন্তু জীবনে কোনো অপূর্নতা নেই, এরকম সাধু সন্ত কেউ কি আছে এখনকার দুনিয়ায়? আমি আশেপাশে যত মানুষ দেখি, সবাইকেই তো দেখি কমবেশি হা হুতাশ করতে। এই সব না চাওয়া পাওয়াগুলো কি জীবনের শেষ মুহুর্তগুলোতেও পীড়া না দিয়ে পারে?
ব্রুনি ওয়ের নামের এক অস্ট্রেলিয়ান লেখিকা বেশ গবেষণা করে একটা বই লিখেছেন কিছুদিন আগে। সেখানে তিনি দাবী করেছেন, সব মানুষই নাকি মৃত্যুর আগে ঘুরেফিরে একই রকম কয়েকটা ভুল নিয়ে আফসোস করে। ভদ্রমহিলা পেশায় একজন নার্স, মৃত্যুর আগে প্রচুর মানুষকে সেবা দিয়েছেন, তাদের সাথে কথা বলেছেন। তাদের সেসময়ের অনুভূতি বিশ্লেষন করে তিনি দেখিয়েছেন, জীবনের শেষ মুহুর্ত গুলোতে একটা মানুষ কিভাবে নিজেকে নিয়ে, প্রিয় মানুষদেরকে নিয়ে আরও কিছুটা সময় কাটানোর, সব অপূর্ণতাকে কাটিয়ে নিজের মতো করে বাঁচার তাগিদ বোধ করে। ব্রুনি নিজের দীর্ঘ নার্সিং ক্যারিয়ারের সমস্ত অভিজ্ঞতা একসাথে করে নির্দিষ্ট করে কিছু অপূর্ণতার কথা উল্লেখ করেছেন, যেগুলো মৃত্যুর আগে মানুষকে সবচেয়ে বেশি পীড়া দেয়।
..অন্যদের কথায় কান না দিয়ে নিজের মতো করেই যদি জীবনটা কাটাতাম, অন্যরা কি ভাবছে, তারা কি চায় সব কিছু অগ্রাহ্য করতাম..
..সবসময় খালি অন্যদের ইচ্ছাগুলোই পূরণ করে এসেছি, নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার দিকে কখনো নজর দেইনি। এসব না করে যদি নিজেকে নিয়ে পড়ে থাকতাম সবসময়..নিজের সব ইচ্ছাগুলোকে পূরন করতে পারতাম..সেটাই বোধহয় ভালো হতো..
..সারাটা জীবন এত খাটাখাটনি করে তো কিছুই পেলাম না, এর চেয়ে আরও বেশি সময় যদি পরিবারের সাথে কাটাতাম, প্রিয় মুখগুলোর সাথে.. কত ভালো হতো..!
..কত কথা অব্যাক্ত রয়ে গেলো..প্রিয়জনদের অজানা রয়ে গেলো কত অনুভূতি..কখনো মুখ ফুটে বলা হয়নি..যদি আর একটা বার সুযোগ পেতাম সবকিছু বলার..
একটা আড্ডা..প্রিয় বন্ধুদের সাথে..আর মাত্র একটা বার যদি সেই মুহুর্তগুলো ফিরে আসতো..
ছবিতা মনোমুগ্ধকর। ইস এই রকম একটা ঘর যদি আমার থাকতো!!!!
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নীল আকাশ ভাই, অতীত কখনো পরিবর্তন যোগ্য নয়। তাই অতীত নিয়ে হতাশ হওয়া হচ্ছে ব্যাধিগ্রস্ত হওয়া যার পরিনাম নিশ্চিত মৃত্যু। - এটি ভয়ঙ্কর এইডসের চেয়েও কম ভয়ঙ্কর নয়।
জীবনের অপর নাম যুদ্ধ। পৃথিবী সাত শত কোটি মানুষের জঙ্গল এখনে সবাই জংলী তবে এখানে টারজানও আছে। এখন নির্ভর করে আপনি কার রোল পালন করবেন জংলী নাকি টারজানের? আমাদের চারপাশে নানান সমস্যা যা আমাদের খুব দ্রুত হতাশ করে ফেলে। আর এই হতাশা শয়তানকে মানুষের উপর বিজয়ী হতে সাহায্য করে।
জীবন, ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু এর পরিধি অনেক বড় । আর এই ছোট্ট জীবনের চলার পথটা মসৃণ নয়। পথ চলতে গিয়ে প্রতি পদক্ষেপে এখানে বাধা আসতে পারে। যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আর এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে না পেরে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই হয়ে পড়েন হতাশ। যা যেকোনো বয়সের বিশেষ করে তরুণদের জন্য অনেক বড় হুমকি।
আমাদের সবারই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কিছু করার, কিছু পাওয়ার ইচ্ছা থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে হয়ত সেটা ইচ্ছা নয়, জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য কিছু হয়ে থাকে। এর জন্য মানুষ অক্লান্ত পরিশ্রম করে। অনেকেই দিনরাত এক করে ফেলেন লক্ষ্যে পৌঁছাতে। এই হাড়ভাঙ্গা খাটুনি অনেককেই নিয়ে যায় সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ চূড়ান্ত চেষ্টা করেও সফল হতে পারেন না। অথচ তাদের কাজে কোনো ঘাটতি ছিলো না। আর এই না পারাটাই এক সময় তাদের নিয়ে যায় হতাশায়। হতাশা এমন একটি রোগ যা একজন মানুষকে মানসিকভাবে পঙ্গু করে দিতে পারে। যা তার ব্যক্তিজীবনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। হতাশা এমনি এক ব্যাধি যা একজন মানুষকে মৃত্যুর দিকেও নিয়ে যেতে পারে।
তাই হতাশা নয় চাই আনন্দ আর নিজের উপর আত্মবিস্বাস।
এ রকম ঘর করা সম্ভব।
- এটি খুবই সামান্য চাওয়া।
আমাদের বড় চাওয়াগুলো বিসর্জন দিতে পারলে সব ছোট ছোট চাওয়া পূরণ হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই। ধন্যবাদ ।।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দিগ্বিজয়ী দুঃশাসন!
বহু দীর্ঘ দীর্ঘতর দিন
তুমি আছ দৃঢ় সিংহাসনে সমাসীন,
হাতে হিসেবের খাতা
উন্মুখর এই পৃথিবীঃ
আজ তার শোধ করো ঋণ।
অনেক নিয়েছ রক্ত, দিয়েছ অনেক অত্যাচার,
আজ হোক তোমার বিচার।
তুমি ভাব, তুমি শুধু নিতে পার প্রাণ,
তোমার সহায় আছে নিষ্ঠুর কামান;
জানো নাকি আমাদেরও উষ্ণ বুক, রক্ত গাঢ় লাল,
পেছনে রয়েছে বিশ্ব, ইঙ্গিত দিয়েছে মহাকাল,
স্পীডোমিটারের মতো আমাদের হৃৎপিণ্ড উদ্দাম,
প্রাণে গতিবেগ আনে, ছেয়ে ফেলে জনপদ-গ্রাম,
বুঝেছি সবাই আমরা আমাদের কী দুঃখ নিঃসীম,
দেখ ঘরে ঘরে আজ জেগে ওঠে এক এক ভীম।
তবুও যে তুমি আজো সিংহাসনে আছ
সে কেবল আমাদের বিরাট মায়।
এখানে অরণ্য স্তব্ধ, প্রতীক্ষা-উৎকীর্ণ চারিদিক,
গঙ্গায় প্লাবন নেই, হিমালয় ধৈর্যের প্রতীক;
এ সুযোগে খুলে দাও ক্রূর শাসনের প্রদর্শনী,
আমরা প্রহর শুধু গনি।
পৃথিবীতে যুদ্ধ শেষ, বন্ধ সৈনিকের রক্ত ঢালাঃ
ভেবেছ তোমার জয়, তোমার প্রাপ্য এ জয়মালা;
জানো না এখানে যুদ্ধ-শুরু দিনবদলের পালা।।
-----------------------------------------------
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য
১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
সুন্দর ভাবনা। মুগ্ধতা একরাশ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দৃঢ় সত্যের দিতে হবে খাঁটি দাম,
হে স্বদেশ, ফের সেই কথা জানলাম।
জানে না তো কেউ পৃথিবী উঠছে কেঁপে
ধরেছে মিথ্যা সত্যের টুঁটি চেপে,
কখনো কেউ কি ভূমিকম্পের আগে
হাতে শাঁখ নেয়, হঠাৎ সবাই জাগে?
যারা আজ এত মিথ্যার দায়ভাগী,
আজকে তাদের ঘৃণার কামান দাগি।
ইতিহাস, জানি নীরব সাক্ষী তুমি,
আমরা চেয়েছি স্বাধীন স্বদেশভূমি,
অনেকে বিরূপ, কানে দেয় হাত চাপা,
তাতেই কি হয় আসল নকল মাপা?
বিদ্রোহী মন! আজকে ক'রো না মানা,
দেব প্রেম আর পাব কলসীর কণা,
দেব, প্রাণ দেব মুক্তির কোলাহলে,
জীন্ ডার্ক, যীশু, সোক্রোটিসের দলে।
কুয়াশা কাটছে, কাটবে আজ কি কাল,
ধুয়ে ধুয়ে যাবে কুৎসার জঞ্জাল,
ততদিনে প্রাণ দেব শত্রুর হাতে
মুক্তির ফুল ফুটবে সে সংঘাতে।
ইতিহাস! নেই অমরত্বের লোভ,
আজ রেখে যাই আজকের বিক্ষোভ।।
-----------------------------------------------
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য
১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮
ওমেরা বলেছেন:
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এবার নতুন জোরালো বাতাসে
জয়যাত্রার ধ্বনি ভেসে আসে,
পিছে মৃত্যুর ক্ষতির নির্বাচন-
এই হেমন্তে ফসলেরা বলেঃ কোথায় আপন জন?
তারা কি কেবল লুকোনো থাকবে,
অক্ষমতার গ্লানিকে ঢাকবে,
প্রাণের বদলে যারা প্রতিবাদ করছে উচ্চারণ
এই নবান্নে প্রতারিতদের হবে না নিমন্ত্রণ?
-----------------------------------------------
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য
১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আপনার মতো সাবলীল লিখনী গুণসম্পন্ন মানুষের নি:সঙ্গতাকে বেছে নেবার ইচ্ছে তে অবাক হলাম ! ঠাকুরমাহমুদ ভাইয়া, আপনি আড়াল হবেননা। আপনাদের মতো গভীর ভাবুক ব্লগার আমাদের বড্ড প্রয়োজন যাদের দেখে আমরা সুচিন্তিতভাবে লিখতে শিখব। শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালোবাসা নিবেন।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আর এক যুদ্ধ শেষ,
পৃথিবীতে তবু কিছু জিজ্ঞাসা উন্মুখ।
উদ্দাম ঢাকের শব্দে
সে প্রশ্নের উত্তর কোথায়?
বিজয়ী বিশ্বের চোখ মুদে আসে,
নামে এক ক্লান্তির জড়তা।
রক্তাক্ত প্রান্তর তার অদৃশ্য দুহাতে
নাড়া দেয় পৃথিবীকে,
সে প্রশ্নের উত্তর কোথায়?
তুষারখচিত মাঠে,
ট্রেঞ্চে, শূন্যে, অরণ্যে, পর্বতে
অস্থির বাতাস ঘোরে দুর্বোধ্য ধাঁধায়,
ভাঙা কামানের মুখে
ধ্বংসস্তূপে উৎকীর্ণ জিজ্ঞাসাঃ
কোথায় সে প্রশ্নের উত্তর?
-----------------------------------------------
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য
১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আমি আশাবাদী -
আপনার মতো ভাবুক মানুষেরা কখনো হতাশ হবেননা। ক্লান্তির জড়তা ভেঙে সব পিছুটান মাড়িয়ে এগিয়ে যাবেন আমাদের জন্য সুন্দর পথ গড়ে দেবার প্রত্যয়ে। সুবাতাসের হাওয়া বইবে নিশ্চয় একদিন যেদিন সব প্রশ্নবোধক চিন্হগুলো হার মানবে বিস্ময়বোধক বাক্যের কাছে যেখানে প্রতিফলিত হবে সুন্দর ছড়িয়ে দেবার বিস্ময়তা। আমরা মুঠো ভোরে সব সুন্দরের ঘ্রাণ নিতে চাই।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন শুভ্রনীল শুভ্রা, আমি যোদ্ধা মানুষ। যোদ্ধা কখনো হতাশ হোন না। সাগরের মতো বিশাল আর পর্বতের মতো উঁচু স্বপ্ন নিয়ে পথ চলেন একজন যোদ্ধা। সাগর আর পর্বত জয় করা যায় - ছোঁয়া যায়। আকাশ ছোঁয়া যায় না তাই অলীক স্বপ্ন কল্পনাও করেন না একজন যোদ্ধা। বোন শুভ্রনীল শুভ্রা, দুর্বার দুর্জয় লেখা পাবেন - মন খারাপ করবেন না, মন ভালো হওয়ার মতো লেখা দিচ্ছি দ্রুত। ধন্যবাদ।
১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা দীর্ঘ মন্তব্য লিখে শেষ করার আগেই কি করে যেন হঠাৎ দেখি প্রথম পাতায় চলে এলাম। এমনটি হলে বিরক্তির আর সীমা থাকে না।
পোস্টে প্লাস +
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খায়রুল আহসান ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যে প্লাস।
আমি কচুর লতির একটি স্যুপ রান্না করতে পারি, আমি রেসিপি দিয়ে দেবো। আপনি রান্না করে খাওয়ার পর মনে হবে কচুর লতি এতো স্বাদ - এটি তো চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে থাকা উচিত!!! - চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে থাকুক আর না থাকুক এটি আমি চাইনিজদের কাছেই পেয়েছি। - এ এক আজব জাতি!
ধন্যবাদ।
২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছবিটা খুব সুন্দর। কিন্তু তাও পরেও মনে হয়, আপনি সেখানে একা একা বেশীদিন থাকতে পারবেন না, কারণ আপনাকে একজন মিশুক মানুষ বলেই মনে হয়।
টিলার উপর ঘর আমার
নেই কোনও প্রতিবেশী ।
হাঁড়িতেও নেই ভাত,
তবু নিত্য আসে অতিথি - এমন গভীর ভাবসম্পন্ন পংক্তিমালা উদ্ধৃত করার জন্য ডঃ এম এ আলী ভাইকে অশেষ ধন্যবাদ এবং তার মন্তব্যে 'লাইক' +। তবে ওনার ইচ্ছের কথাগুলো জেনে মনটা কেন যেন বিষাদে ভরে গেল।
জীবন, ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু এর পরিধি অনেক বড় । আর এই ছোট্ট জীবনের চলার পথটা মসৃণ নয়। পথ চলতে গিয়ে প্রতি পদক্ষেপে এখানে বাধা আসতে পারে। যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আর এই প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে না পেরে লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই হয়ে পড়েন হতাশ। যা যেকোনো বয়সের বিশেষ করে তরুণদের জন্য অনেক বড় হুমকি - ধন্যবাদ, জীবন নিয়ে আপনার এমন দার্শনিক ভাবনাগুলো শেয়ার করার জন্য।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খায়রুল আহসান ভাই আমাদের বয়ষ হয়েছে। যেতে তো হবেই। তবে জীবন যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে যতোদিন আছি যোদ্ধা হিসেবেই লড়ে যাবো। যদি পুনর্জন্ম থেকে থাকে আবার যোদ্ধা হয়ে জন্ম নেবো নয়তো একজন আদর্শ বাবুর্চি হয়ে - তবে এই মা বাবারই সন্তান হয়ে সকল জনমের ঋণ ভালোবাসায় পরিপূর্ণ করতে।
২১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
বড় বেশী সুন্দর স্বপ্ন!
ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যে করুন সুর বেজে গেছে যেন!
শুভ্রনীল শুভ্রার ১৮ নম্বর মন্তব্যটিতে সুন্দরের ঘ্রাণ নিতে চাওয়াটুকু ভালো লাগলো।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বল বীর-
বল উন্নত মম শির!
শির নেহারী' আমারি নতশির ওই শিখর হিমাদ্রীর!
বল বীর-
বল মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি'
চন্দ্র সূর্য্য গ্রহ তারা ছাড়ি'
ভূলোক দ্যূলোক গোলোক ভেদিয়া
খোদার আসন ‘আরশ’ ছেদিয়া,
উঠিয়াছি চির-বিস্ময় আমি বিশ্ববিধাতৃর!
মম ললাটে রুদ্র ভগবান জ্বলে রাজ-রাজটীকা দীপ্ত জয়শ্রীর!
বল বীর-
আমি চির-উন্নত শির!
আমি চিরদুর্দম, দূর্বিনীত, নৃশংস,
মহাপ্রলয়ের আমি নটরাজ, আমি সাইক্লোন, আমি ধ্বংস!
আমি মহাভয়, আমি অভিশাপ পৃথ্বীর,
আমি দূর্বার,
আমি ভেঙে করি সব চুরমার!
আমি অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল,
আমি দ’লে যাই যত বন্ধন, যত নিয়ম কানুন শৃঙ্খল!
আমি মানি না কো কোন আইন,
আমি ভরা-তরী করি ভরা-ডুবি, আমি টর্পেডো, আমি ভীম ভাসমান মাইন!
আমি ধূর্জটী, আমি এলোকেশে ঝড় অকাল-বৈশাখীর
আমি বিদ্রোহী, আমি বিদ্রোহী-সুত বিশ্ব-বিধাতৃর!
বল বীর-
চির-উন্নত মম শির!
আমি ঝঞ্ঝা, আমি ঘূর্ণি,
আমি পথ-সম্মুখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’।
আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ,
আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।
আমি হাম্বীর, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল,
আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’
পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’
ফিং দিয়া দেই তিন দোল্;
আমি চপোলা-চপোল হিন্দোল।
আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা’,
করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা,
আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝা!
আমি মহামারী, আমি ভীতি এ ধরীত্রির;
আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ণ চির অধীর।
২২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
মনরে ঘরে শুন্য বসত
শুন্যতায় মন হয় আনচান
রয় একাকী একলা সূজন
তাই বিবাগী হয় এ মন!
শুন্যতাতে একলা হলে ২
মেল সুজন দরশন।।
মনের ঘরের যত শরিক
করো তাদের আগে নিরিখ,
বিদায় করে শুন্য হলে ২
পূর্ণ হবে সেই স্বপন।।
ওরে বেভূল মন - - - - -
বাহিরে তোর যত খেলা
অন্তরে তার শতেক মেলা
সে খেলায় ক্ষান্ত দিছ নি?
সকল খেলা সাঙ্গ হলে
জীবন্মৃত হতে পারলে ২
শুন্যতাতেেই পূর্ণতারই দেখবে হরেক রং।।
কাঙাল ভৃগু কয়
পাইলে তারে ছাইরো নারে
রাইখো হৃদে শক্ত করে
প্রেম বাঁধনে বেঁধে সব সময়;
হারিয়ে গেলে কাঁদবে শেষে
কাঁদবে সারা জীবন।।
<< আপনার স্বপ্নের ঠেলা কি দেখছেন নি??
পুরাই পুরা একখানা বাউল গান বাইন্ধা ফেললাম
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ও মোর ময়না গো
ও মোর ময়না গো
কার কারনে তুমি একেলা?
কার বিহনে বিহনে দিবানিশি যে উতলা?
সে তো আসবে না
সে তো ফিরবে না ফিরবে না
ও মোর ময়না গো.
দূর দূর দূর দূর পানে আনমনে চাহিয়া
কি বিরাগের রাগিনী জাগাহিয়া
দূর দূর দূর দূর পানে আনমনে চাহিয়া
কি বিরাগের রাগিনী জাগাহিয়া
সবুজ সবুজ ভরা বনানী
ফুরাবে ফাগুন বুঝি জানো নি?
সবুজ সবুজ ভরা বনানী
ফুরাবে ফাগুন বুঝি জানো নি?
হায়রে হায়রে বুঝি তা জানো নি?
ঝড় ঝড় ঝড় দু নয়ন ঝরঝর ঝরায়ে
কেনো থাকো বিষাদে মন ভরায়ে.
ঝড় ঝড় ঝড় দু নয়ন ঝরঝর ঝরায়ে
কেনো থাকো বিষাদে মন ভরায়ে.
যা কিছু হারায়ে গেল, যাক না
নীল আকাশে মেলো পাখনা
যা কিছু হারায়ে গেল, যাক না
নীল আকাশে মেলো পাখনা
দাও রে দাও রে মেলে পাখনা.
----------------------------------------------
বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, স্যরি দুঃখের কবিতা আর লিখবো না। এ্যাফেক্ট ভয়ঙ্কর।
২৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: একা কেন? কেন দুজন একসাথে থাকা নয়?
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জন্ম মৃত্যু একাই হয়ে থাকে। এটিই দুনিয়ার হিসাব।
বাদ দেন।
আগামী লেখায় গরম গরম লুচি হালুয়া নিয়ে আসবো।
২৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:১৫
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
আমার একাকীত্ব খুব ভাল লাগে তবে বেশিক্ষন নয়, জীবনে অনেক শখ, ঘুরব, হুমায়ুন আহমেদের মত নুহাশ পল্লী করব কিন্তু টাকা নাই। আমি মাঝে মধ্যে ভাবি ক্যাসিনো বদগুলো যদি একটি করে নুহাশ পল্লী তৈরী করত তাহলে অনেক মানুষের বিনোদনের জায়গা হত।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: খারাপ লোকের কাজ সব সময় খারাপ কাজ করা। তারা হয়তো জানেনা ক্যাসিনো করে যে টাকা আয় হয়েছে তার চেয়ে বেশী আয় করা সম্ভব সততার সাথে। ১০০% গ্যারান্টি - আমি ব্যাবসায়ী মানুষ আমি জানি।
২৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০৫
তারেক ফাহিম বলেছেন: নির্জনে বসে ৮ চরনের যা দিলেন- তাতেই মন্তব্য আর প্রতিমন্তব্য পড়েতো অবাক।
যেখানেই থাকুন ভাই, ভালো থাকুন, সাথে এমন ৮-১০ চরনের কাব্য, প্রতিমন্তব্য মিস করতে চাই না।
ব্লগার ডাঃ এমআলী ভাই’র মন্তব্যটিতে লিখা কবিতা এই প্রথম পড়লাম। অনুবাদ পড়ে ভালো লাগছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
তারেক ফাহিম ভাই, অনেক দিন পরে আপনাকে পেরাম, কেমন আছেন ভাই? নাহ এমন কবিতা/চরন/কথামালা আর লিখবো না। আগামীতে গরম গরম লুচি হালুয়া টাইপ লিখবো। সব জায়গায় কষ্ট অন্তত ব্লগে কিছু না কিছু আনন্দ থাকুক। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২০
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার স্বপ্ন কথন, পড়ে খুবই ভালো লাগল।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। ধন্যবাদ। আগামীতে গরম গরম লুচি হালুয়া টাইপ লিখবো, দুঃখগাথা আর না।
২৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার লাগলো ঠাকুর মাহমুদ ভাই আপনার নির্জন সৈকতের অথবা পাহাড়ি ঝরনা তলার একাকী নিঃসঙ্গ জীবনের অভিলাষকে।
শুভকামনা জানবেন।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পদাতিক চৌধুরি ভাই, কবিতাটি আসলে বেশী দুঃখের হয়ে গেছে এর জন্য আমার নিজেরই এখন মন খারাপ লাগছে। পরবর্তীতে ভালো মজাদার গরম গরম পোষ্ট দিবো। দুঃখগাথা করে লাভ নেই। ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরি ভাই।
২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
অন্তরন্তর বলেছেন: ঠাকুর ভাই যে ঘরে থাকবেন বলে মনের আশা জানিয়েছেন তা এখনকার জামানায় আমার মনে হয় পাবেন না। আর মৃত্যু ত অবশ্যম্ভাবী এটার চিন্তা আমাদের মত বয়স হলে বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।আপনার পোস্টের ছবিটা দেখে নস্টালজিক হয়ে গেলাম। সরাইল, নোয়াগাও, আরুয়াইল, শাহবাজপুর, কুছনি, বুডডা, মলাইশ, শাহজাদাপুর এবং আশেপাশের সব গ্রামগুলোতে এমন ঘর আমাদের ছোটবেলায় ছিল। এখন সব গ্রাম শহর হয়ে গেছে। আগের সেই সবুজ আর শান্ত স্নিগ্ধ গ্রামের দেখা পাওয়া যায় না। ২০১৮ জানুয়ারীতে আমি দেশে এসেছিলাম ২ মাসের জন্য। আমাদের গ্রামগুলোর মাঝে আমি কোন প্রান দেখিনি। সুন্দর একটা পোস্ট। অনেক চিন্তার অবকাশ আছে। আমি অন্যদিকে মন্তব্য করে একটু হালকা করার চেষ্টা করলাম।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অন্তরন্তর ভাই, লেফট্যানেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) পোষ্টে আপনাকে দেওয়া প্রতি উত্তর টা পড়ে নিবেন প্লিজ। এখন আর গ্রাম নেই। গ্রামকে গলা চিপে হত্যা করা হয়েছে। - ভালো কথা মনে হয়েছে এ ব্যাপারে একটি পোষ্ট দেওয়া যায় কি বলেন? নাহঃ এমন কবিতা বা কথা মালা আর লিখবো না। সারা জীবনের দুঃখ সব একসাথে মনে চলে আসে। দুঃখ মনে করে লাভ নেই। আপনি নিজে কোনো পোষ্ট দেন না কারণ কি ? ব্লগ ভিউ দেখে মনে হয় কিছু পোষ্ট ছিলো যা মুছে দিয়েছেন।
২৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: আমারসহ অনেকের স্বপ্নই মিলে যাবে আপনার সাথে। তবে সমস্যা হচ্ছে মোবাইলের চার্জ আর নেটওয়ার্কের জ্বালায় বেশি দিন টিকবে কিনা সেটা একটি প্রশ্ন।
ডিজিটাল শব্দটি আমাদের গিলে খেয়েছে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই ডিজিটাল শালাকে গলা চিপে হত্যা করতে হবে। তাহলে সমাজে দেশে শান্তি আসবে। আগামীতে গরম গরম লুচি হালুয়া টাইপ লিখবো, দুঃখগাথা আর না। আখেনাটেন ভাই ধন্যবাদ।
৩০| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:২৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
গুরু,
ছোট্ট কথায় চমৎকার প্রকাশ।
জীবন সংসার সমাজ রাষ্ট্র আর মুখোশকে পেছনে ফেলে যদি কখন এমন জীবন বেছে নেওয়া যেতো? ছোট্ট একটা মাটির ঘর, খড়ের বিছানা, ঝিঁঝি পোকার শব্দ, পাহাড়ী গভীর অরণ্যে উঁচু নিচু পাহাড়ী পথ! খুব উপভোগ্য হবে।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মানুষ যখন বড় বড় চাওয়াগুলো বিসর্জন দিতে থাকে তখন ছোট ছোট চাওয়াগুলো আপনা আপনি পূরণ হতে থাকে। - এটি জগতের নীতি ও দুনিয়ার হিসাব। একটি গল্প মনে আছে কি? সুখী মানুষের জামা নেই! - এটিই বাস্তব। যতো পাওয়া ততো হারানোর ভয়। সহায় সম্বল কিছুই যার নেই তার হারানোরও কিছু নেই। - কি বুঝলেন? আপনি কেমন আছেন? অনেক দিন হলো আপনাকে পাই না। ব্লগে কি আপনাকে নিয়মিত পাওয়া যাবে নাকি অনিয়মিত থাকবেন - আমি সম্ভবত অনিয়মিত হতে পারি। - দেখা যাক।
৩১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:২২
ল বলেছেন: আপনাদের মতো গভীর ভাবুক ব্লগার আমাদের বড্ড প্রয়োজন যাদের দেখে আমরা সুচিন্তিতভাবে লিখতে শিখব।
শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালোবাসা নিবেন।---
১০০/১০০......
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:২৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মানুষ যখন বড় বড় চাওয়াগুলো বিসর্জন দিতে থাকে তখন ছোট ছোট চাওয়াগুলো আপনা আপনি পূরণ হতে থাকে। - এটি জগতের নীতি ও দুনিয়ার হিসাব। একটি গল্প মনে আছে কি? সুখী মানুষের জামা নেই! - এটিই বাস্তব। যতো পাওয়া ততো হারানোর ভয়। সহায় সম্বল কিছুই যার নেই তার হারানোরও কিছু নেই। - কি বুঝলেন?
৩২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৯
ল বলেছেন: যতো পাওয়া ততো হারানোর ভয়। সহায় সম্বল কিছুই যার নেই তার হারানোরও কিছু নেই। -
বুঝলাম জীবন দর্শন?
আসলে কেউ সুখীী নয় -- সুখের পৃথিবী, সুখের অভিনয়।।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:২১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
একজন রাষ্ট্রনায়ক যেমন নির্ধিদায় দেশ ধ্বংস করে দিতে পারেন ঠিক তেমনি একজন নারী পারেন একটি সংসার পরিবার ধ্বংস করে দিতে - এই জাদু তার কাছে আছে - এটি ক্ষমতা নয় একে বলে মোহ মায়া অভিনয়! আর এই অভিনয়ে ভরপুর সমগ্র পৃথিবী। আপনার নরকের কীটে নরকের অবদান পড়েছি। আপনি শক্তিশালী লেখক যিনি নরকের কীট নিয়ে লেখার সাহসিকতা করেছেন। আগামীতে আমার কিছু লেখাতে নষ্ট মানুষের ধ্বংসলীলা সম্পর্কে লিখবো। সাথে থাকবেন প্রিয় বন্ধুবর।
৩৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
অন্তরন্তর বলেছেন: ঠাকুর ভাই আমি আসলে লিখতে পারিনা মনের কথাগুলো গুছিয়ে। আর সবাই লিখলে পাঠক হবে কে? আমার কিছু পোস্ট ছিল তবে তা যে কোন কারনে এখন আর নেই। ব্লগে আমার বিচরণ প্রায় ১১ বছর। পাঠক হয়েই থাকি।
আর হা আপনি লিখুন আমাদের এলাকা, প্রকৃতি, মানুষ সম্পর্কে। এখন বয়স বাড়ার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তথা সরাইল, নাসিরনগর খুব খুব মিস করি। সময় চলে যায় কিন্তু সেই স্মৃতি যে ভুলার নয়। শুভ কামনা।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অন্তরন্তর ভাই,
আমার ব্লগিং ১১ বছরের মতো আগের আইডি নাম ইমেইল সব ভুলে গেছি। এখন এটা চলছে প্রায় ছয় বছর। আমি আমাদের এলাকা নিয়ে লিখবো। আগামী লেখাটি আমাদের এলাকা নিয়ে হবে। ধন্যবাদ অন্তরন্তর ভাই ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
৩৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০২
জুন বলেছেন: আমি কিছুদিন ধরে প্রায় রাতেই আমার মৃত আত্মীয়দের স্বপ্নে দেখি। তারা নিজেরা নিজেরাই কথা বলে, আমার সাথে কথা বলে না। মৃত্যু সম্পর্কে গভীর দাগ কেটেছিল বিভুতিভুষনের পথের পাচালীর দ্বিতীয় পর্ব অপরাজিতাতে অপুর মা সর্বজয়ার মৃত্যুর সময়কার বর্ননায়।
লেখায় ভালোলাগা ঠাকুরমাহমুদ।
+
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জুন আপা,
স্বপ্ন দেখে কাতর হওয়ার মানুষ তো আমার বোন জুন আপা হওয়ার কথা না। জুন আপা, আমি তো আপনার ভাই ঠিক? একটি কথা বলবো সত্যি - গসিপ প্রিয় মহিলাদের ঠেঙ্গানি দিয়ে বাসা থেকে বার করবেন। এই ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। আপা এই গসিপ প্রিয় মহিলা যারা আছেন এরা যেখানে যাবেন সেখানে যাকে “টার্গেট করবেন তাঁর মাথা আউলা করে দেন” এটি এদের স্বভাব। - তাই একটাই ঔষধ ঠেঙ্গানি। ঠান্ডা এক গ্লাস লাচ্ছি খাবেন দুপুরে বা যখন মনে ধরে - আর আপনার লাচ্ছি বানানোর কৌশলটা ব্লগে শেয়ার করে দিতে পারেন।
আর আপা, এমন দুঃখের কবিতা আর লিখবো না। আগামীতে অবস্যই গরম গরম লুচি হালুয়া টাইপ লিখবো।
৩৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
সুন্দর স্বপ্ন।
আপনার স্বপ্নটার মধ্যেে বেশ শান্তি শান্তি একটা ভাব আছে।
তবে আমি কেন যেন একা থাকতে ভয় পাই।
যদিও মৃত্যুর সময়টা কেমন হবে জানিনা তবে আমি চাই সব আপনজনেরা মৃত্যুর সময় আমার আশেপাশে থাকুক।
ছোট বড় সকল স্বপ্ন পূরণ হোক আপনার।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন মিথী_মারজান, আমার ধারণা যদি ভুল না হয় তাহলে এটি আপনার প্রথম মন্তব্য আমার ব্লগ জীবনের সকল পোষ্টে। আজ একজন ভাই হয়ে বোন কে দোয়া করছি আপনি ভালো থাকুন। বোন মিথী_মারজান, স্বপ্নের একটি শর্ত আছে বড় বড় স্বপ্ন গুলো বিসর্জন দিতে পারলে ছোট ছোট স্বপ্ন আপনা আপনি পূরণ হতে থাকে - এটি পরিক্ষিত।
once upon a time a soldier are always soldier. কোনো এক সময় আমি সৈনিক ছিলাম, আজো তাই আছি - সৈনিক মৃত্যুতে ভয় করে না বোন, সৈনিক মৃত্যুর জন্য তৈরি থাকে সব সময়। আমার লেখা - পড়ার জন্য ধন্যবাদ, আগামীতে পাশে থাকবেন এই কামনা করছি। আবারো ধন্যবাদ বোন।
৩৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭
মিথী_মারজান বলেছেন: আমি আগেও আপনার লেখা পড়েছি।
আপনার একটা চুই পিঠা নিয়ে পোস্ট ছিল, সেখানে আমার মন্তব্য আছে।
আরো দুই একটি পোস্টে মন্তব্য থাকার কথা।
আমি ব্লগে নিয়মিত নই ভাইয়া,এজন্য চিনতে না পারা স্বাভাবিক।
সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৫১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন রে, আমার স্মরণ হয়েছে। আপনার লেখার হাত খুবই ভালো অবসরে লেখার চেষ্টা করবেন। আমি নিজের জন্য লিখি তাতে করে আমার মন ভালো থাকে, আশা করি এটি আপনার ব্যাপারেও প্রযোজ্য হওয়ার কথা। নিজেকে নিজে সুখী করতে পারা হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় পাওয়া। এখন বিষয় হচ্ছে কিসে আপনি সুখী তা বোঝার চেষ্টা করুন ছোট ছোট ইচ্ছে গুলো পূরণ করতে থাকুন।
৩৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন: ছবিটা যেমন সুন্দর
স্বপ্নটাও সেরকম সুন্দর
আমিও ঠিক এরকম একটা স্বপ্ন দেখি
একদিন সব ছেঁড়ে অনেক দূরে চলে যাব
মাথার ওপর বিশাল নীলাকাশ
সাদা তুলো তুলো মেঘ
পাহাড়ের নীচে ছোট একটি ঘর
পাশেই সবুজ ভ্যালী
ছোট ছোট ঢেউ এর শব্দ
নানা রঙের পাখির শব্দ
ইন ফ্যাক্ট আমি প্রায়ই এরকম চলে যাই কিন্তু আবার ফিরে আসি
আমার আমিকে বলে আসি একদিন ঠিক একবারে চলে আসব
আপনার স্বপ্নটি আমার বাস্তবতা
শুধু একটি জায়গায় ভিন্নতা আছে
আমি যদিও একা থাকি
কিন্তু জীবনের শেষ মুহূর্তটা
চলে যাবার সময় পাশে যেন
আমার একজন প্রিয় মানুষ থাকে
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মিরোরডডল বোন রে,
মানুষের মনে নানা ধরণের চিন্তা আসে চিন্তা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা মানুষের নেই। আমাদের সময় পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আমরা আসলে কি কি ধরণের চিন্তা করবো। আমাদের জীবনমুখী নানা ধরণের চিন্তা থাকে এগুলো পজেটিভ দিক এই চিন্তা গুলো থাকা মানুসের জন্য ভালো।
আপনি আপনার যেই চিন্তার কথা বলেছেন এগুলো একজন ভালো মানুষের চিন্তা ভাবনা। এগুলো আপনাকে প্রেরণা দিবে, এই চিন্তা আপনাকে আশ্বাস দিবে, অতি সামান্য খাবারেও তুষ্টি দিবে আর দিবে গাড় গভীর ঘুম। ঘুমের মতো শান্তির আর কিছু আছে আমার জানা নেই।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ২:৫৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: একা একা বেশিদিন থাকতে পারবেন না; একাকীত্বে বিরক্ত হয়ে যাবেন।
দৃশ্যচিত্রটা চমৎকার!