নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
সময় খুব সম্ভব ১৯৬৯ -১৯৭০ সন হবে। আমরা তখন মিরপুর পল্লবি থাকি। স্কুল শেষে বাসায় ফিরে গোসল করে ভাত খাওয়ার পর আর কোনো কাজ নেই। দুপুরে আমাদের ঘুমোতে হতো - এটি কঠিন নিয়মের আওতায় ছিলো। ক্লান্ত দুপুর শেষে আমাদের সাধারণত খুব মিষ্টি টুন টুন শব্দে ঘুম ভাঙ্গতো। এক অন্ধ বিহারি লোক তার ১২-১৪ বছরের অপরূপ সুন্দরী দুই কন্যা সন্তান নিয়ে একটি কাঠের তৈরি দোতলা ঠেলাগাড়ি চালিয়ে নিয়ে আসতেন। দোতলায় হাওয়াই মিঠাই বানানোর সরঞ্জাম আর নিচ তলায় এক পকেটে কেরোসিনের কুপি আর তার নিচে গম ও চালের বস্তা। কুপির আগুনে গরম হতো চাকতি আর তাতে তৈরি হতো অত্যন্ত মজাদার হাওয়াই মিঠাই। ইনি গম ও চালের বিনিময়ে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি করতেন। সে এক দেখার মতো গাড়ি ছিলো - সুন্দর লতাপাতা ও ফুলে আঁকা রঙ্গিন কাঠের ঠেলাগাড়ি, আর এক পাশে ঝুলে থাকতো পিতলের টুন টুন ঘন্টি। কেউ কেউ এক আনা দুই আনা দিয়েও মিঠাই কিনতেন। টাকা পয়শার তখন অনেক দাম। কেরোসিনের দাম ছিলো ৬ আনা ৭ আনা করে সের (এক সের বর্তমানের এক লিটার সমমান) আর ৬ আনা - ৭ আনা হচ্ছে বর্তমানের প্রায় চল্লিশ পয়শার সমমান।
অন্ধ বিহারি হাওয়াই মিঠাই তৈরি করতেন আর তার দুই অপরূপ কন্যা আমাদের থেকে গম, চাল নিয়ে তাদের রঙিন চুরি পরা সোনালি হাতে হাওয়াই মিঠাই দিতেন। তারা দুই বোন আমাদের ভাইয়ু বলে ডাকতেন। সত্যি বলতে কি এতো মজাদার হাওয়াই মিঠাই আমি আমার জীবনে খাইনি। না, সেই অপরূপ সুন্দরী বোনদের জন্য নয়! আসলেই সেই অন্ধ বিহারি খুবই মজাদার হাওয়াই মিঠাই বানাতেন, মুখে দিলে সাথে সাথে মিশে যেতো কিন্তু স্বাদ থেকে যেতো সারা বিকাল।
অন্ধ বিহারি আর তার দুই কন্যা ঠেলাগাড়ি ঠেলে ঠেলে উর্দূ বাংলা মিশ্রিত একটি গান গুনগুন করে গাইতেন। আমার সেই গানটি পুরোপুরি মনে নেই তবে বাংলা কথামালা গুলো আমি সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করছি।
তুমি দেখাও তাই আমি দেখি
তুমি চালাও তাই আমি চলি
তুমি খাওয়াও তাই আমি খাই
ইয়া আল্লাহ ইয়া পাক পরোয়ার দিগার
তুমি রিজিকদাতা তুমি জীবনদাতা
উপসংহার: ১৯৭১ এর যুদ্ধে হাওয়াই মিঠাই অনেক দুরের কথা মানুষের ঠিক ঠিকানার চিহ্ন ছিলো না! সেই চিহ্ন না থাকার মাঝে নিশ্চিহ্ন হয়েছেন অন্ধ বিহারি ও রঙিন কাঁচের চুরি হাতের অপরূপ সুন্দরী তার দুই কন্যা। এক সময় দেশ স্বাধীন হয়েছে মানুষ যার যার নীড়ে ফিরেছেন, কিন্তু আমার সেই দুই বোনকে আর কোনোদিন দেখিনি। আর কোনোদিন ক্লান্ত দুপুর শেষে ঘুম ভাঙ্গেনি মিষ্টি টুন টুন শব্দে। আর কোনোদিন অন্ধ বিহারিকে তার দুই পাশে অপরুপ দুই কন্যা নিয়ে গুনগুন করে গান গেয়ে পথ ধরে হেটে যেতে দেখিনি। আজো তার গানের কথা মনে পরে, মনে পরে তার হাতে তৈরি আমার জীবনে খাওয়া শ্রেষ্ট হাওয়াই মিঠাই। আর মনে পরে আমার সেই অপরূপ দুই বোনকে যারা আমাদের পরম মমতায় ভাইয়ু বলে ডাকতেন।
উৎসর্গ: আমার আজকের স্মৃতি “হাওয়াই মিঠাই” লেখাটি উৎসর্গ করছি প্রিয় ব্লগার খায়রুল আহসান ভাইকে। যার যৌথ প্রয়াস (অনুবাদ কবিতা) পড়ে আমার আজকের এই স্মৃতিচারণ ও আজকের পোস্ট।
ছবি: গুগল সার্চ ইঞ্জিন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
স্মৃতি সব সময় একটি সামান্য পিনের জন্য অপেক্ষা করে। ছোট একটি পিনে স্মৃতি চলে আসে চোখের সামনে যা থেকে মনে হতে পারে চোখের সামনে কোনো টেলিভিশন চলছে।
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮
মৃন্ময়ী শবনম বলেছেন: আপনার উপসংহার পড়ে কান্না আসছিলো। যুদ্ধ আমাদের দেশ থেকে অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে। উৎসর্গ যথাযথ হয়েছে। আর যে কথা না বললেই নয় গানের কথা খুবই অর্থবহ। এই পাঁচ লাইন গানের কথার অর্থ খুঁজতে গেলে আপনার ভাষায় রিম রিম কাগজ লেখা যাবে।
দোয়া করি ভালো থাকুন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অনেক অনেক সুখের স্মৃতির মাঝেও কোথাও না কোথাও লুকিয়ে থাকে বুক ভাঙ্গা কান্না। আপনার জন্যও দোয়া করছি আপনি ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিরাপদ থাকুন।
৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬
ঢুকিচেপা বলেছেন: হাওয়াই মিঠাই নিয়ে খুব সুন্দর একটি স্মৃতিচারণ হয়েছে। একি সাথে দেশের অবস্থা, অর্থনৈতিক অবস্থা, আন্তরিকতা এবং হাওয়াই মিঠাইয়ের লোভনীয় স্বাধ।
হাওয়াই মিঠাই এখনো পাওয়া যায়, তবে অনেকদিন খাওয়া হয় না।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি ছেলেমেয়েদের নিয়ে গত বছরও হা্ওয়াই মিঠাই খেয়েছি তবে সেই স্বাদ সেই উপলব্দি সেই ভাইয়ু বলে পরম মমতাময় দুই বোনের ডাক - তা আজীবনের জন্য স্মৃতি হয়ে গেলো।
৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০২
মিরোরডডল বলেছেন:
ঠামা লেখাটা মন খারাপ করা । লেখা পড়ে আমিই এখন সেই কাঁচের চুড়ি হাতের দুই বোনকে মিস করছি ।
কখনও কি খোঁজা হয়েছিলো তাদেরকে ?
স্মৃতি সবসময়ই অমূল্য । হাওয়াই মিঠাই এখন বিলুপ্তির পথে ।
অনেকদিন পর ঠামার লেখা পড়ে ভালো লাগলো ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বয়স কম ছিলো তোরজোড় দিয়ে তখন খুঁজতে পারিনি। তাছাড়া এরা আমাদের এলাকার নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন সবার সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক। এভাবে হারিয়ে যাওয়ার কথা নয়। আমি ১৯৮০ সনের পর মিরপুর ১১ ও মোহাম্মদপুর বিহারি কলোনিতে প্রচুর খোঁজ করেছি। যারা চিনতেন তারাও কোনো খোঁজ খবর জানাতে পারেন নি।
৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: বহু ঘটনা, বহু সৃতি তাৎক্ষনিক ভুলে গেলেও আমি কোনো চিন্তা করি না। একেবারে ভুলে যাই নি। কোথাও না কোথাও জমা আছে। যথা সময়ে বের হয়ে আসবে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
স্মৃতি এমনই। অত্যন্ত সুখের স্মৃতিও দুঃখে ভরা স্মৃতিতে পরিণত হয়। না, স্মৃতি মানুষ কখনো ভুলেন না, শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে।
৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬
রামিসা রোজা বলেছেন:
ছোটবেলায় আমরাও এই হাওয়াই মিঠাই খেতাম বাসু'দা
চারকোনা কাঁচের বাক্সের মধ্যে থাকতো। পিতলের ঘন্টি
বাজিয়ে এক টাকায় ৪ পিস কিনে খেতাম। ঠিক আপনার
উপরের দেয়া ছবিটার মতো ।
অনেক সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি সটিক বলেছেন তখন গোল গোল গোল্লা করে হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হতো। কাঠি দিয়ে পেঁচিয়ে বিক্রি করা শুরু হয়েছে গত ২০-২৫ বছর যাবত। আপনাকেও ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা জানবেন।
৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা এত করুণ বিষাদে ভরপুর হবে, তা ভেবে পোস্টে ঢুকি নি। কিছু ফানটান করবো ভেবেই এসেছিলাম। কিন্তু মনটা বেদনায় ছেয়ে গেলো।
মানুষের কত কষ্টই না থাকে!
অন্ধ বিহারী ও তার দুই কন্যা যেখানেই থাকুন না কেন, তারা যেন ভালো থাকেন।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই,
আমি এই পোস্টে আরও মন্তব্যে বলেছি “অনেক অনেক সুখের স্মৃতির মাঝেও কোথাও না কোথাও লুকিয়ে থাকে বুক ভাঙ্গা কান্না” আসলে স্মৃতি আনন্দের চেয়ে বেদনায় ভরপুর থাকে বেশী।
আমি কথা দিচ্ছি আগামীতে হাসি মজা করার মতো পোস্ট দিবো। শুভ কামনা রইলো।
৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছু বিহারী ভয়ংকর ভুল করে বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়ে ভয়ানক ভয়ানক অপরাধ করেছিলো, সেই আগুনে পুরোদেশের বিহারীদের কপাল পুড়ে গেলো।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ক্যান্টনমেন্টে তথ্য, খাবার ও কেরোসিন সরবরাহ করতো কিছু বিহারি লোক। বিহারি’রা নামাজি হওয়ার কারণে মসজিদে মসজিদে জামাত করে শান্তি ও রাজাকার তাদের ম্যানিপুলেট করে সহজে। এই দায়ভার বিহারিদের অনন্তকাল টানতে হবে। মোহাম্মদপুর বিহারিক্যাম্পে যেভাবে বিহারি’রা তাদের পরিবার শিশু নিয়ে বসবাস করে জন্তু জানোয়ারও এভাবে বসবাস করতে পারবে না।
৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪১
জুন বলেছেন: হাওয়াই মিঠাই এর মত অনেক মিষ্টি স্মৃতি মনে পরে গেলো ঠাকুর মাহমুদ।
যেখানেই থাকুক মেয়েদুটো ভালো আছে এই আশা করি।
+
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অন্তর থেকে দোয়া করি একাল হোক আর পরকাল তারা যেনো অবস্যই অবস্যই ভালো থাকেন। আনন্দে থাকেন। সুখে থাকেন।
১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাইয়ু শব্দটি শায়মার লেখায় পড়েছি , পিচ্চি শায়মা এটা পেলো কোথায় ?
৭৬ সালে প্রথম বাসে করে ধানক্ষেত পেরিয়ে পল্লবী আসি । চমৎকার উপশহর ছিল । মার্চে এদিকে চলে এলাম । ১১ তালার ছাদ থেকে পল্লবী , রূপনগর , মিরপুর ১১ , জোয়ারসাহারা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে । রূপনগরের খাল কিভাবে দখল করা হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসুচিতে আসা উচিত ।
হাওয়াই মিঠাই আমাদের কাছেও খুব পছন্দের জিনিস ছিল , বাবা বলতেন পরিস্কার না । ৬৭ ৬৮ আমাদের উঠতি বয়স । বাবা ঘুমাতেন । আমরা মর্নিং স্কুল সেরে দুপুরের অ্যাডভেঞ্চারে নেমে যেতাম ।
বিহারীদের রিলিফ দিতে ৭২ সালের জানুয়ারি মাসে খুলনার খালিশপুরের ক্যাম্পে যেতাম । খুব ভয়ে থাকতাম । কি করুন দৃশ্য । ওরা চিঠিতে যা লিখত তা উর্দুতে । রেড ক্রসের নির্দিষ্ট প্যাডে যা লিখত তা চেক করত আমাদেরই উর্দু জানা একজন । পাকিস্তান থেকে চিঠি এলে তা চেক করে বিলি করা হত । কত ঘটনার সাক্ষী আমরা । হ্যা ওরা বড় ভুল করেছিল যার খেসারত ওদের উত্তরপুরুষদের দিতে হচ্ছে ।
আমাদের রাস্তা দিয়ে এক অন্ধ বিহারি ফকির দরাজ গলায় গান গেয়ে যেত ' ও দুনিয়া কে রাখোওয়ালে শুনো দরদে ভরে মেরে মালিক' । স্বাধীনতার কিছু পরে হারিয়ে গেল সেই কণ্ঠ ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শাহ আজিজ ভাই, আমি সময় দেখা মানুষ পছন্দ করি। আপনার মন্তব্য একটি আস্ত পোস্টের দাবি রাখে ভাই। আজকে যার নাম রূপনগর এক সময়ে তার নাম ছিলো দুয়ারীপাড়া। দুয়ারীপাড়া দিনের বেলাতে গেলেও ভয় করতো। বিশাল বিশাল ঝিল ছিলো আর এই ঝিল দখল করে জহিরুল ইসলাম সাহেব কবরে চলে গেছেন। পল্লবিতে যেতে ধানক্ষেত কাঁশবন পেড়িয়ে যেতে হতো। তাছাড়া মিরপুর দিনের বেলাতেও শিয়াল ডাকাডাকি করতো। সে সব এখন রূপকথা।
আমরা সাধরণত বিকালে গোল্লাছুট খেলতাম। অথবা বাসায় কেরাম বোর্ড। রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্টের সাথে আমিও কাজ করেছি। সত্যি সত্যি জীবন এক সাক্ষীময় পথচলা। আমরা যেনো এক একজন কালের সাক্ষী।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্য রাখার জন্য। শুভ কামনা রইলো।
১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সর্বহারা বিহারীরা বড় আশা নিয়ে ভারত ছেড়ে পাকিস্তানে এসেছিলো; যা হওয়ার, তা হয়ে গেছে; এরপরও, ওদের সমস্যাটা সমাধান করা যেতো; শেখ হাসিনা মানুষগুলোর কষ্ট বুঝলো না; আসলে, শেখ হাসিনা মানুষের কষ্ট বুঝেন বলে মনে হয় না।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
চাঁদগাজী ভাই, আপনি ব্লগে প্রায়ই কবিতা নিয়ে আক্ষেপ করেন। আজ আমার প্রিয় একটি কবিতা আপনার মন্তব্য উত্তরে দিচ্ছি।
প্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ
---------------------------------------------------------
আমি হয়তো মানুষ নই, মানুষগুলো অন্যরকম,
হাঁটতে পারে, বসতে পারে, এ-ঘর থেকে ও-ঘরে যায়,
মানুষগুলো অন্যরকম, সাপে কাটলে দৌড়ে পালায় ।
আমি হয়তো মানুষ নই, সারাটা দিন দাঁড়িয়ে থাকি,
গাছের মতো দাঁড়িয়ে থাকি।
সাপে কাটলে টের পাই না, সিনেমা দেখে গান গাই না,
অনেকদিন বরফমাখা জল খাই না ।
কী করে তাও বেঁচে থাকছি, ছবি আঁকছি,
সকালবেলা, দুপুরবেলা অবাক করে
সারাটা দিন বেঁচেই আছি আমার মতে । অবাক লাগে ।
১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: কত স্মৃতি যে চাপা পড়ে থাকে, তারপর একসময় জেগে ওঠে...
আপনার শৈশবের এই স্মৃতিকথা ভালো লাগলো। অন্ধ হাওয়া মিঠাইওয়ালা আর তার দুই কন্যার কথা ভেবে মন বিষন্ন হয়ে উঠলো। আশাকরি তাদের সাথে খারাপ কিছু ঘটে নি।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোনরে, আমিও মাঝে মাঝে আপনার মতো করেই ভাবি। যদি এমন হতো অপরূপ দুই মেয়ে বাবার হাত ধরে পাকিস্তানের পেশোয়ারের কোনো এক গ্রামের রাস্তা ধরে হেটে যাচ্ছেন। তাদের মুখে অনাবিল হাসি।
আপা আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যেই দেশের লাখ লাখ মানুষের ক্ষুধার অন্ন জোটে না, সামান্য ভাতের জন্য ঘর বাড়ি বিক্রি করেন বিদেশে পাড়ি জমাতে হয় সে দেশের কিছু মানুষ সরকারি বিদ্যুৎ খরচ করে কোটিপতিদের দান করা এসিতে আরাম করে এবাদত করবে এটা আমার কাছে খুবই বিলাসিতা মনে হয় ।
নামাজ পড়তে 15 থেকে 20 মিনিটের বেশি সময় লাগে না । এই সময়টুকুতে একটু কষ্ট করে নামাজ পড়লে আমার ধারণা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বেশি সওয়াব দিবেন। নাকি নয়?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মসজিদের ছাঁদ উচু এবং পার্টিশন বিহীন খোলা বিল্ডিং। এমনিতে ঠান্ডা থাকে তাছাড়া ভেতরে সিলিং ফ্যানের তো অভাব দেখি না। মানুষ সৌখিন হয়েছেন। আর সর্বশেষ বলতে চাই - যেমন কর্ম তেমন ফল। যা ইচ্ছা তা হোক - বাদ দিন সে সব।
১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমরাও আমরাও খেয়েছি ছোট শৈশবে। তবে আপনার হাওয়া মিঠাই এর অন্তরালে যে করুণ সুর বেজে উঠলো তা হৃদয় কে বড় টলিয়ে দিয়ে গেল। চমৎকার স্মৃতিচারণ পোস্টে ভালোলাগা।
শুভেচ্ছা প্রিয় ঠাকুর মাহমুদ ভাইকে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
“অনেক অনেক সুখের স্মৃতির মাঝেও কোথাও না কোথাও লুকিয়ে থাকে বুক ভাঙ্গা কান্না” আসলে স্মৃতি আনন্দের চেয়ে বেদনায় ভরপুর থাকে বেশী। যুদ্ধ ভয়ঙ্কর। মানুষের জীবন বিরান মুরুভূমি করে দেয় যুদ্ধ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০০
জাহিদ হাসান বলেছেন:
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ধন্যবাদ।
১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫
জাহিদ হাসান বলেছেন: মিষ্টি খাই না। স্পাইসি নুডলস খাওয়াতে হবে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: খাওয়াবো।
১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম হাওয়াই মিঠাইয়ের মত মিষ্টি স্মৃতিকথা !!
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপা আমাদের জীবনটাই হাওয়াই মিঠাই - এই আছে এই নেই। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার কবিতা পড়ে আপনি এত সুন্দর (বেদনাবিধুরও বটে) একটি স্মৃতিময় গল্প ব্লগের পাঠকদেরকে উপহার দিলেন, এদ্বারা আমার কবিতাটি ধন্য হলো বলে মনে করছি। লেখাটি আমাকে উৎসর্গ করেছেন, এজন্য নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ এতটা করার জন্য।
ভাইয়ু ডাকটি তাহলে তখনও প্রচলিত ছিল? আমি তো ভেবেছিলাম, এটা আজকের আধুনিক যুগের সম্বোধন!
অন্ধ হাওয়াই মিঠাই ওয়ালা এবং তার দুই কন্যার জন্য মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে উঠলো। নরম পলিমাটির এই দেশ, বাংলাদেশের জনজীবনের উপর দিয়ে কারনে অকারণে সংঘটিত কতই না নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার ইতিহাস এই পলিমাটির স্তরে স্তরে লুকিয়ে আছে!
পোস্টে ভাল লাগা + +।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যারা ৭১ দেখেছেন, তারা জানেন কি ভয়ানক কষ্ট কি যাতনা’র মধ্য দিয়ে গেছে মানুষ। পাখিরও একটি ঠিকানা থাকে দিন শেষে তারা তাদের নিজ নীড়ে ফিরে আসেন। মানুষের সেই ঠিকানা ছিলো না। জনপদে চলা কতো মানুষ হারিয়ে গেছেন তা সত্যি সত্যি অজনা - আর অজানাই থেকে যাবে।
বিহারি ও পাকিস্তানি মেয়েরা আদর করে ভাইয়ু বলে সম্বোধন করতেন। সেই ভাইয়ু ডাকে কোনো আধুনিকতা ছিলো না - ছিলো ভাইয়ের প্রতি বোনের পরম মমতা। স্মৃতিচারণ আপনার কবিতা পড়েই আর তাই এর দাবিদার আপনি হোন। আপনাকে উৎসর্গ করে লেখাটি সার্থক হয়েছে।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্মৃতি এমনই। অত্যন্ত সুখের স্মৃতিও দুঃখে ভরা স্মৃতিতে পরিণত হয়। না, স্মৃতি মানুষ কখনো ভুলেন না, শুধু সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে।
লক্ষ্য করে দেখবেন আনন্দের সৃতি মানুষ বেশি বলে।
কষ্টের সৃতি কম বলে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে খুব মূল্যবান একটি তথ্য দেই। যারা জীবনে খুব কষ্ট করেছে, কষ্ট দেখেছে তাদের জীবনে স্মৃতি থাকে বেশী। আপনি কি জানেন আপনাকে আমি খুবই পছন্দ করি? মাঝে মাঝে আনন্দ করার ছলে আপনাকে ভূতের ভয় দেখাই।
২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: স্মৃতি আসলে শোকেসে রাখা কাপড়ের মত ছেড়ে দেখতে ইচ্ছে করে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই নেওয়াজ আলী,
আমাদের যায়যায়দিন এর সঙ্গি আপনি কেমন আছেন? আপনি মহামূল্যবান একটি কথা বলেছেন “স্মৃতি আসলে শোকেসে রাখা কাপড়ের মতো” যা আমরা মাঝে মাঝে পরম মমতায় পরম ভালোবাসায় হাতে তুলে দেখি।
আপনার মন্তব্যটি আমার খুবই ভালো লেগেছেরে ভাই, খুবই ভালো লেগেছে। গুড জব ম্যান।
২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমি ছোটকালে যে হাওয়াই মিঠাই খেয়েছি এখনকার হাওয়াই মিঠাই তার ধারে কাছে নেই।
সেই অন্ধ বিহারী কি তার কন্যাদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করেছে নাকি যুদ্ধে মারা মরেছে জানলে জানাবেন।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বয়স কম ছিলো তোরজোড় দিয়ে তখন খুঁজতে পারিনি। তাছাড়া এরা আমাদের এলাকার নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন সবার সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক। এভাবে হারিয়ে যাওয়ার কথা নয়। আমি ১৯৮০ সনের পর মিরপুর ১১ ও মোহাম্মদপুর বিহারি কলোনিতে প্রচুর খোঁজ করেছি। যারা চিনতেন তারাও কোনো খোঁজ খবর জানাতে পারেন নি।
যুদ্ধের সময় এরা সপরিবারে নিখোঁজ হয়েছেন, তারপর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় নি। আমি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখি যদি এমন হতো অপরূপ দুই মেয়ে বাবার হাত ধরে পাকিস্তানের পেশোয়ারের কোনো এক গ্রামের রাস্তা ধরে হেটে যাচ্ছেন। তাদের মুখে অনাবিল হাসি। যদি কোনোভাবে তা সম্ভব হতো বাস্তব হতো - তাদের জন্য রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা।
২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা হাওয়াই মিঠাই!
জীবনের যত সূখ সব অজানায়,
শৈশবের সরলতায়
বিস্ময়ে আর
স্মৃতির পাতায় . . .
চুড়িদার দুইবোনের জন্য এক হাওয়াই মিঠাই কষ্ট জেগে উঠলো
এভাবেই হারিয়ে যাওয়া নিয়েই জীবনের গল্প!
ধনবাদ প্রিয় সিনিয়র খায়রুর আহসান ভাইকে। উনার দারুন কবিতার গুনেই পেলাম দারুন স্মৃতিচারণ
+++
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,
ব্লগার খায়রুল আহসান ভাইকে সত্যি সত্যি অনেক অনেক ধন্যবাদ দিতে হবে। উনার কবিতা না পড়লে আমি এই গান মনে করতে পারতাম না। আর আজকের এই লেখাও ব্লগে পোস্ট দেওয়া হতো না।
ভাইরে, যুদ্ধে যে কতো মানুষ হারিয়ে গেছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। কষ্ট একটাই যার যুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন তারা নিজের বীরত্ব নিয়ে লিখে লিখে ফর্দাফাই করেছেন কাগজের পর কাগজ। হারিয়ে যাওয়া জনপদের মানুষ নিয়ে লিখনে নি। স্মৃতি আনন্দের চেয়ে কষ্টই বেশী বহন করে। - কারণ কষ্ট আমরা দেখে এসেছি। কষ্ট আমরা ভোগ করে এসেছি।
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। শুভ কামনা রইলো।
২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
হাওয়াই মিঠাই, সুন্দর সাবলিল লেখাসমৃদ্ধ স্মৃতিকথন । নীজের স্মৃতিকেও নিয়ে যায় অনেক পিছনে ।বিয়ের পরে পরেই রমনা পার্কে বউকে ঘুরতে নিয়ে গেলে কাঠির মাথায় পেচানো রঙ্গীন হাওয়াই মিঠাই তার লাগতই । হাওয়াই মিঠাইয়ের ইতিহাস বেশ পুরাতন । সেই ১৯০৪ সালে। সে বছর মরিসন এবং ওয়ারটন তাদের মেশিনে তৈরি হাওয়াই মিঠাই নিয়ে হাজির হলেন সেন্ট লুইসের বিশ্ব মেলায়। অবাক হওয়ার বিষয়, মেলার প্রথম দিনই ২৫ সেন্ট করে ৬৮ হাজার ৬৫৫ বাক্স হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয়েছিল, যা ছিল সে সময়ের হিসাবে অনেক বড় একটা অঙ্ক! ক্রমেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় খাবারটি। আমাদের দেশে প্রথম কখন এটার প্রচলন শুরু হয়েছে তার সঠিক হিসাব রাখেনা কেও , এটা ছিলই শুধু ফেরীওয়ালা আর বাচ্চাদের ব্যপার ।এখন বিষয়টি সুন্দর গল্পাকারে উঠে এসেছে আপনার লেখাটিতে ।
অন্ধ বিহারী আর তার মেয়ে দুটির কথাও উঠে এসেছে বেশ আবেগী কণ্ঠে । স্বাধীনতার পরে পাকিদের হঠকারীতায় অনেক বিহারীদের জীবন কাটে দীর্ঘদিন জেনেভা ক্যাম্পে ,তাদেরকে নেয়নি ফিরিয়ে তাদের পছন্দের দেশ পাকিস্তানে ।
তবে এখন মনে হয় বিহারীদের দু:খ দুর্দশার অনেকটাই আবসান ঘটেছে , তাদের অনেকেই বাংলাদেশী বনে গেছে বিবিধ প্রকারে । ঢাকার ১০ ও ১১ নং সেক্টরে বিস্তৃত বেনারসী পল্লীতে বলতে গেলে তারা হয়েছে পুর্ণবাসিত ।সেখানে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ঘুরছে বেনারসী তাঁতের চাকা। অভিজাত বেনারসী শাড়ী কারিগর ও তাঁতীতের বেশীর ভাগই বিহারী পরিবারের সদস্য ।
মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বরের বিশাল একটা অংশ জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত কাতান আর বেনারসি শাড়ির দোকান। প্রায় প্রতিটি দোকানেরই রয়েছে নিজস্ব শাড়ি তৈরির কারখানা। নিজেদের দক্ষতা, ঐতিহ্যবাহী নকশা আর রুচির সমন্বয়ে তৈরি করে চলেছে একের পর এক কাতান- বেনারসি। এসমস্ত দোকানে প্রতিদিন নাকি ১০-১৫ কোটি টাকার বেনারসী শাড়ী বিক্রয় হয়, ঈদের সময় বেচাকেনা যায় আরো বেড়ে । অপরদিকে বেনারসী পরিবারের মেয়েরা বিভিন্ন বাহারী লেস ফিতা আর দামী লেহেঙ্গা তৈরীতে বিশেষ পারদর্শী । এই সমস্ত বিহারী তাঁতীদের সাথে বাংগালী তাঁতীরা রুখে দিয়েছে দেশে ভারতীয় বেনারসী শাড়ীর অনুপ্রবেশ বরং উল্টা এখানকার বেনারসী শাড়ীই যায় ভারতে ।
উৎসর্গ যতার্থ হয়েছে ।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ডঃ এম এ আলী ভাই,
আপনার মন্তব্য ছাড়া আমার এই পোস্ট অসম্পূর্ণ থেকে যেতো। ভাই সাহেব আপনাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য দিচ্ছি ভারতীয় দেবদাস' ছবিতে ঐশ্বরিয়া রাই আর মাধুরী দীক্ষিত যে জমকালো বেনারসি শাড়ি পরেন তা বাংলাদেশের ঢাকার ঔতিহ্য বেনারসি পল্লি থেকে নেওয়া এবং সয়ং সঞ্জয় লীলা বনশালি নিজে এসে শাড়ি পছন্দ করে নিয়ে যান।
এছাড়া ঢাকা সহ সমগ্র বাংলাদেশে বিহারি বাবুর্চিদের বিয়ে সহ নানান অনুষ্ঠানে আলাদাভাবে কদর আছে। লাচ্ছা সেমাই এর মূল কারিগর ছিলেন বিহারি তাদের হাত ধরে বাঙ্গালীরা এই কাজ শিখেছেন।
বেনারসি পল্লি শুধু এখন শাড়ি কাপড়ের বাজার নয়! এখন এটি একটি বেড়ানোর মতো জায়গাও বটে, বেনারসি পল্লি বেড়াতে ভালোই লাগে। আমার বেশ কয়েকজন আত্মীয় বিদেশিনী বিয়ে করেছেন - তারা যখন দেশে আসেন স্ত্রী কন্যা নিয়ে একবার বেনারসি পল্লিতে অবস্যই বেড়াতে যাবেন।
বিহারিদের ব্যবহার সত্যি সত্যি অমায়িক ও মমতাময় তাদের প্রতি আমাদের সহনশীল হতে হবে এবং তারা আমাদেরই ভাই বোন হিসেবে আমাদের মেনে নিতে হবে। এবং সম্পূর্ণ অধিকার ও নাগরিক সুবিধা দিয়ে দিলে বাংলাদেশের বরং উপকারই হবে ক্ষতি হবে না।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সাহেব আপনি ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। গত ৩ - ৫ দিন যাবত প্রচন্ড মাসল ব্যথা হচ্ছে, গতরাতে মোটামোটি ভালো ঘুম হয়েছে তাই আজ সম্ভবত এই কারণে ব্যথা খানিকটা কম বোধ করছি।
আপনার জন্য দোয়া ও শুভ কামনা রইলো।
২৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯
সোহানাজোহা বলেছেন: যুদ্ধে যে কতো মানুষ হারিয়ে গেছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। কষ্ট একটাই যারা যুদ্ধ নিয়ে লিখেছেন তারা নিজের বীরত্ব নিয়ে লিখে লিখে ফর্দাফাই করেছেন কাগজের পর কাগজ। হারিয়ে যাওয়া জনপদের মানুষ নিয়ে লিখনে নি।
- আপনি লিখুন প্লিজ। আপনি নিজ চোখে যা দেখেছেন, আপনার আব্বাজান, আপনার দাদাজান আপনার দাদীজানের কাছে যা শুনেছেন তা লিখুন।
রঙিন কাঁচের চুরি পরা সোনালী হাতের অপরূপ দুই বোনের কথা পড়ে চোখের জল ধরে রাখা কঠিন। আপনি সত্যি সত্যি তাদের একজন ভাই ছিলেন নয়তো তাদের এভাবে খোঁজ করতেন না। পরম মমতাময় আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করি তারা যেনো ভালো থাকেন।
=== === ===
ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেবকে অশেষ ধন্যবাদ।
=== === ===
পরম মমতাময় আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া করি আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার জন্যও দোয়া করি পরম মমতাময় আল্লাহপাক যেনো আপনাকে ভালো রাখেন সুস্থ রাখেন, সমগ্র পৃথিবীর একটি দুঃসময়ে পরিবার পরিজন থেকে দুরে দুরদেশে পরে আছেন - অচিরেই যেনো আপনি আপনার পরিবার পরিজনের সাথে একসাথে সুখে দুঃখে মিলেমিশে থাকতে পারেন আজীবন অনন্তকাল। আপনার মাতাপিতা আপনার পথ পানে চেয়ে আছেন। আপনার জন্য আবারও দোয়া করছি, আপনি ভালো থাকুন।
২৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: হাওয়াই মিঠাই রঙ এবং গড়নের মতনই প্রিয়। বাড়িতে কড়া নিষেধ ছিল ফেরিওলার থেকে কিছু কিনে না খেতে। কিন্তু ওই দুপুরের ঘুম না ঘুমিয়ে অভিভাবক যখন বিশ্রামে সেই সুযোগে কত যে মুখ লাল করেছি এই হাওয়াই মিঠাই খেয়ে।
বিদেশেও দেখি মেলাতে কটন ক্যাণ্ডি নিয়ে বসে। বিশাল একটা কাঠি হাতে নিয়ে ঘুড়ি আমি এখনো ছোটবেলার মতন।
বিহারীদের নিজের গোদামে লুকিয়ে রেখে আমার মামা যেমন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে বাঁচিয়ে ছিলেন। তারাও তেমন আমার মামা এবং পরিবারকে সুরক্ষা করেছিলে আর্মির থেকে।
বিহারি সবাই খারাপ না সাধারন অনেক মানুষ ছিল।
সুন্দর স্মৃতিচারণ লেখায় ভালোলাগা অনেক ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোনরে, সময় দ্রুত চলে যায়, দেখতে দেখতে চলতি বছরের নয় নয়টি মাস চলে গেছে। আর জীবন! হাওয়াই মিঠাই, সান পাপড়ি, হজমি, কটকটি, আমড়ার আচার, জলপাই আমের আচার সহ দই মাঠা’র কলস নিয়ে সেই বিহারি ফেরিওয়ালা আর নেই। আর দুঃখি কাবুলিওয়লা নাই হয়েছে আরও অনেক অনেক আগে।
বিহারিদের মাঝে ভালো মানুষ বেশী ছিলেন, কিছু বিহারি গুরুতর অন্যায় করে সকল বিহারিকে জলা ডুবায় ফেলে দিয়েছে চিরোতরে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: বাংলাদেশে বিহারীরা, ওদিকে করাচীতে বাঙ্গালীরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। কয়দিন আগেই মনে হয় দেখলাম, করাচীর বন্যায় বাঙালীরা ক্ষতিগ্রস্ত। ঐতিহাসিক ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করছে তারা। পাকিদের গোয়ার্তুমীর কারণে সমস্যার সমাধান মনে হয় সম্ভব নয়।
দেশহীন মানুষের উপাখ্যানের এক টুকরো চিত্র এঁকেছেন।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যুদ্ধ মানুষের অনেক কিছু ছিনিয়ে নেয়। অনেক অনেক কিছু। এর অনুধাবন শুধু তারা করতে পারেন যারা এর ভূক্তভোগী। আপনাকে অনেক দিন পর আমার পোস্টে পেয়েছি। আশা করি ভালো আছেন। পাকিস্তানে যারা বাংলাদেশী আছেন তারা ভয়ঙ্কর ভূক্তভোগী। তাদের উচিত ছিলো স্বাধীনতার পর পর দেশে ফিরে আসা - আসলে তখন কি ঠিক আর কি বেঠিক? এসব নির্ধারণ করা সহজ কাজ ছিলো না। ফলাফল যা হবার হয়ে গেছে।
এর সমাধান করতে হলে বাংলাদেশে নেলসন মান্ডেলাকে জন্ম নিতে হবে।
শুভ কামনা রইলো।
২৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৭
কাজী ফররুখ আহমেদ বলেছেন:
ঠাকুর ভাই,
২৫ পয়সা থেকে ১ টাকা খরচ করলেই মিলতো কয়েক পিছ। মাঝে মধ্যে আবার পুরনো ভাঙারি জিনিসেও মিলতো। কাচঘেরা বাক্সে ছোট ছোট গোল হাওয়াই মিঠাই রাখা হতো। মুখে দিলেই হাওয়ার মতো মিলিয়ে যেতো, তবু মুখে যে স্বাদ লেগে থাকতো তার অনুভূতি ছিলো চমৎকার। কালের পারিবর্তনে বদলেছে অনেককিছুই। মানুষের খাদ্যাভাসে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন। বদলে গেছে খাবারও। বিশেষ করে ফেরি করে বিক্রি করা খাবারে এসেছে অনেক পরিবর্তন। আধুনিক ফাস্টফুডসহ নানা খাবারের তোড়ে অনেকটা হারিয়ে যেতে বসেছে মিষ্টি খাবার হাওয়াই মিঠাই। তবু মাঝে মধ্যে দেখা মেলে কোনো পার্ক, জনজমায়েত অথবা বিভিন্ন মেলায়।
লম্বা কাঠির মাথায় পলিব্যাগে মোড়ানো গোলাপি ও সাদা হাওয়াই মিঠাই। ঘাড়ে করে ঘুরে বেড়ায় ফেরিওয়ালা। কিছু কিছু ব্যবসায়ী আজও এই হাওয়াই মিঠাইকে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে দেয়নি। বংশ পরাম্পরায় ব্যবসা চালিয়ে আসছেন তারা। এত খাবারের ভিড়েও চাহিদা কিন্তু মোটেও কমেনি এ খাবারটির। শিশুরা বেশি পছন্দ করলেও বড়রাও কম যায় না। ঢাকা সহ সমগ্র দেশের ছোট বড় শহরে আজও দেখা মিলবে গুটিকয়েক হাওয়াই মিঠাই কারিগরের। যারা ২০-৩০ বছর ধরে পরিবারিকভাবে হাওয়াই মিঠাই বানিয়ে আসছে।
ঠাকুর ভাই, আপনার জন্য ও আপনার দুই বোনের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা থাকবে অনন্তকাল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার লেখালেখি অব্যাহত রাখুন। আপনার জন্যও অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা থাকবে অনন্তকাল।
২৮| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মেহবুবা বলেছেন: দুঃখজাগানিয়া হাওয়াই মিঠাই !
স্বাদের বিষয়ে সহমত এই জন্য যে আসলেই শৈশবের অনেক কিছুর স্বাদ এখন ঠিক পাই না।
৭৫ এর দিকে ইগলু আইসক্রিম ১ টাকা ১২ আনা দাম (সে তখন অনেক দামী, লবনের সের সম্ভবতঃ ৩০ পয়সা বা আট আনা তখন) এত মজা ! এর পর আর কোনো আইসক্রিম এত মজা লাগে নি।
আর ছোট বেলার ফান্টা আর কোক !! এখন যা আছে (কোক ক্যান ছাড়া imported) সাধলেও খাইনা; আর ছোট বেলায় বেশী খেতে চাইলেও পেতাম না !
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন, আপনি যখনকার কথা বলছেন তখন কোক ফান্টা এক ব্যাপার স্যাপার ছিলো, বাংলাদেশের - আমি আবারও বলছি বাংলাদেশের কয়জন কোক ফান্টা খেতে পারতো তা চিন্তার বিষয়।
বোনরে, আমি সময় পাড়ি দেওয়া মানুষ। ইগলু আইসক্রিম তখন সরাসারি স্বর্গ থেকে তৈরি হয়ে আসতো (সম্ভবত) এতো মজাদার আইসক্রিম আমার জীবনে আমি খাইনি। ইগলু আইসক্রিমে মিষ্টি ক্রিমের এক মনকাড়া ঘ্রাণ ছিলো। জীবন ও জীবিকার কারণে নানা দেশে গিয়েছি, আইসক্রিমও খেয়েছি সত্যি সত্যি আপনার বলা সেই আইসক্রিমের স্বাদ আমি আজও ভুলিনি।
সঠিক ১৯৭৫ এর দিকে লবন ৩০ পয়শা করে সের ছিলো। আপনিও বোন সময় দেখা মানুষ। আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার লেখা।
সহজ, প্রানবন্ত ভাষা।
সৃতি খুব মূল্যবান। এবং মানুষ কোনো কিছু ভুলে না। বিভিন্ন ঘটনা, মানুষকে অতীত মনে করিয়ে দেয়।
আপনি কেমন আছেন?