নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
লাউ বা কদু (ইংরেজি: bottle gourd বা white-flowered gourd) (বৈজ্ঞানিক নাম: Lagenaria siceraria) শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। লাউ এক প্রকার লতানো উদ্ভিদ যা এর ফলের জন্যে চাষ করা হয়। যা কিনা কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসেবে খাওয়া হয়, আর পরিপক্ব অবস্থায় শুকিয়ে এটি বোতল, পাত্র বা নল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ কারণেই লাউ এর ইংরেজি নাম হয়েছে bottle gourd। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। চট্টগ্রাম এর আঞ্চলিক ভাষায় জাইত হদু বলা হয়। লাউ পৃথিবীর অন্যতম পুরনো চাষ হওয়া সবজি, এর জন্ম আফ্রিকায়। লাউ একটি ধ্বনি পরিবর্তিত শব্দ, যার মূল শব্দ 'অলাবু'। লাউকে কোন কোন স্থানে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। লাউ সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু লাউ নয়, লাউয়ের পাতা, লতা এমনকি লাউয়ের বাকলও খাওয়া যায়।
***মোরগের মাংস, খাসির মাংস ও গরুর সিনা দিয়ে লাউয়ের রান্না তরকারি অত্যন্ত উপাদেয়” প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পছন্দের সবজি লাউ। লাউ যে স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী একটি সবজি এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম গবেষনায় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আমাদের সামনে যদিও এখন বিদ্যমান কিন্তু প্রায় দেড় সহস্রাধিক বছর পূর্বে এমন গবেষনার অস্তিত্ব যখন কল্পনার অতীত ছিল তখনই এই সবজিটি আগ্রহভরে খেতেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ সম্পর্কিত একটি হাদিস উদ্ধৃত আছে: - আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার একজন দরজি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খাবারের দাওয়াত করেন। আমিও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সেই খাবারে অংশগ্রহণ করি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে বার্লির রুটি এবং গোশতের টুকরা ও লাউ মিশ্রিত ঝোল পরিবেশন করা হয়। আমি দেখেছি, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্লেট থেকে খুঁজে খুঁজে লাউ নিয়ে খাচ্ছেন। আর আমিও সেদিন থেকে লাউয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে উঠি। -মুসলিম, হাদিস : ২০৪১ (সংগ্রহ ও মন্তব্য - ব্লগার নতুন নকিব ভাই)***
লাউ আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় তরকারি। লাউ একই সঙ্গে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। ঝোল, লাবড়া, নিরামিষ, ভাজি কিংবা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায় এই তরকারি। চিংড়ি, টেংরা, শিং, আইড়, বোয়াল, ইলিশ ও শোল মাছ দিয়ে রান্না লাউ অমৃতসম তরকারি ও লাউয়ের ব্রান্ড রেসিপি। এছাড়া বড় মাছের মাথা দিয়ে লাউয়ের তরকারি খুবই জনপ্রিয়। লাউয়ের বাকল কুচি করে কেটে আলু ভাজির মতো করে ভাজি করে খেতে সুস্বাদু। আর লাউ গাছের পাতা লতা দিয়ে শাক ভাজি সমগ্র বাংলাদেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় ও পাতার স্যুপ, ভর্তাও অতুলনিয় স্বাদ। যে কোনো রোগীর পথ্য হিসেবে লাউয়ের ঝোল ঔষধের মতো কাজ করে।
USDA নিউট্রিয়্যান্ট ডেটাবেস অনুযায়ী, 100 g লাউয়ের রসে নিম্নলিখিত পুষ্টি থাকে
পুষ্টি প্রতি 100 g এ মূল্যমান
জল - 95.4 g
শক্তি - 14 kcal
প্রোটিন - 0.62 g
কার্বোহাইড্রেট - 3.39 g
ফাইবার বা তন্তু - 0.5 g
স্নেহ পদার্থ - 0.02 g
খনিজ পদার্থ
ক্যালসিয়াম - 26 mg
লোহা - 0.2 mg
ম্যাগনেসিয়াম - 11 mg
ফসফরাস - 13 mg
পটাসিয়াম - 150 mg
সোডিয়াম - 2 mg
দস্তা - 0.7 mg
ভিটামিন
ভিটামিন - B1 0.029 mg
ভিটামিন - B2 0.022 mg
ভিটামিন - B3 0.32 mg
ভিটামিন - B6 0.04 mg
ভিটামিন - B9 6 µg
ভিটামিন - C 10.1 mg
চর্বি/ফ্যাটি অ্যাসিড
সম্পৃক্ত - 0.002 g
মোনোস্যাচুরেটেড - 0.001 g
পলিস্যাচুরেটেড - 0.009 g
১। লাউয়ে প্রচুর জল থাকে, যা দেহের জলের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া জনিত জলশূন্যতা দূর করতে সাহায্য করে। প্রস্রাবের সংক্রমণজনিত সমস্যা দূর হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জ্বর, ডায়রিয়া ও অন্যান্য বড় ধরনের অসুখে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। প্রচুর পরিমাণে পানি বের হয় বলে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এতে কিডনিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পানি শূন্যতা দেখা দিলেই প্রচুর পরিমাণে লাউয়ের তরকারি খাওয়া উচিত। এতে শরীরের পানি শূন্যতা দূর হয় এবং শরীর সতেজ থাকে।প্রসাবের জ্বালা-পোড়া কমায়, যাদের প্রসাবে জ্বালা-পোড়ার সমস্যা আছে কিংবা প্রসাব হলদে হয় - তাদের নিয়মিত লাউ খাওয়া উচিত। নিয়মিত লাউ খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
২। লাউ খেলে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক থাকে। লাউয়ে প্রাকৃতিক প্রোটিন ও ভিটামিন রয়েছে। তাই ভেতর থেকে ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে লাউ। ত্বকের তৈলাক্ততা সমস্যা কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ সবজি। লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট পরিষ্কার করে বলে মুখে ব্রনের প্রবণতাও কমে যায়। চিরাচরিতভাবে ধরে নেওয়া হয় লাউয়ে হজমের পক্ষে লাভদায়ক হয় এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। এর কারণ হতে পারে যে এটির মধ্যে কিছু পরিমাণ ফাইবার বা তন্তু এবং প্রচুর জল আছে। আপনার খাদ্যের সিংহভাগ হচ্ছে শ্বেত তন্তু, জলীয় উপাদান পরিপাক প্রণালী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। একযোগে, এগুলি পরিপাক প্রক্রিয়ার সাহায্য করে। এছাড়া, পাইলস-এর অন্যতম কারণ হল কোষ্ঠ্যকাঠিন্য। পেট পরিষ্কার রাখতে নিশ্চিত করে বলে লাউয়ের রস পেটের ওপর চাপ কমায় এবং তার ফলে হেমরয়েডস -এর ঝুঁকি কমে।
৩। উচ্চ রক্তচাপবিশিষ্ট রোগীদের জন্য এটি আদর্শ সবজি। লাউ আমাদের হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই রসে যে পরিমাণ দস্তা মজুত থাকে তা আমাদের খারাপ কোলেস্টেরল বা LDL কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরল বা HDL বাড়াতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানের সঙ্গে আমাদের ধমনীতে প্লাক সঞ্চিত হয়ে যাতে সেগুলি বন্ধ না হয়ে যায় যায় সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার ঝুঁকি কমে। এছাড়া, দস্তা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ফলে আমাদের হার্টে কম চাপ পড়ে। ফ্রি র্যাডিক্যালজনিত ক্ষতি এবং অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদযন্ত্রের কার্যপ্রণালীর উন্নতি করে। ওজন কমাতে খাবারের তালিকায় প্রথমেই লাউ রাখুন। কম ক্যালোরি সম্পন্ন এই খাবারটিতে ৯৬ শতাংশ পানি রয়েছে। এছাড়া লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার এবং খুব কম ক্যালোরি থাকে; যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। খাবারে স্বাদ নিয়ে আসার পাশাপাশি শরীরে কম ক্যালোরি যুক্ত করবে লাউ।
৪। এই সবজি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লাউ এর মূল উপাদান পানি। তাই লাউ খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। নিয়মিত সূর্যের আলোতে কাজ এবং দীর্ঘ সময় রোদে থাকার পর লাউ তরকারি খেলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। শরীরের ভেতরের অস্বস্তি কমে। গরমের কারণে শরীর থেকে যে পানি বের হয়ে যায়- তার অনেকটাই পূরণ করতে পারে লাউ। এতে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমে।
৫। লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, যা দেহের ঘামজনিত লবণের ঘাটতি দূর করে। দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে। যে কোনও সংক্রমণ বা আঘাতের বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া প্রদাহ। যাই হোক, নিয়মিত বা দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ কোনও ভিতরের অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। কিছু সাধারণ প্রদাহজনিত অসুস্থতার মধ্যে আছে আর্থারাইটিস, বাত বা রিউম্যাটিজম এবং পেট ফাঁপা জাতীয় রোগ। ফোলা, লাল হয়ে যাওয়া এবং ব্যাথা থেকে এই সব রোগে ইঙ্গিত মেলে এবং এর ফলে খুব অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ হয়। সুসংবাদ হলো লাউ খেলে ব্যাথা এবং প্রদাহ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রাণীর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, লাউ খাওয়া হলে ব্যাথা এবং প্রদাহ উল্লেখযোগাভাবে কমে যায় এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। লাউয়ে প্রদাহরোধী গুণাবলীর জন্য এর মধ্যে ভিটামিন-সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর উপস্থিতি অন্যতম কারণ, যা অক্সিডেটিভ চাপ কমিয়ে প্রদাহ থেকে মুক্তি দেয়।
৬। ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাউ যথেষ্ট উপকারী। ডায়েটিং কালেও লাউ ভালো ফল দেয়। যারা ডায়বিটিস আক্রান্ত এবং যাদের এই রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে তাঁদের জন্য নিয়মিত লাউ খুব উপকারী। প্রিক্লিনিক্যাল সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রক্তে শর্করার আকস্মিক বৃদ্ধি রুখতে এবং ডায়বিটিসের কারণে অগ্ন্যাশয়ের যেসব কোশের কার্যপ্রক্রিয়ার অবনতি হয়েছে তার উন্নতির জন্য লাউয়ের মণ্ড খুব কার্যকরী। শুধু তাই নয়, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বা ডায়বিটিসের ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি দেখা দিলে, তা কমাতে লাউ খুব উপকারী। এর কারণ লাউয়ের রসে দস্তার উপস্থিতি যা রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।.
৭। নিয়মিত লাউ আহারে মুত্রনালীতে সংক্রমণের হার কমে। সংক্রমণের নিরাময়ও এর সাহায্যে করা হয়। লাউয়ে ডায়রেটিক প্রভাব আছে অর্থাৎ আমাদের শরীরের কার্যপ্রণালীতে মুত্রের হার বাড়ায়। যার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল এবং টক্সিন বার হয়ে যায়। এছাড়া ভিটামিন-সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-এর উপস্থিতির কারণে বৃক্ক বা কিডনিকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়।
৮। ওজন কমাতে লাউয়ের রস বেশিরকমভাবে সুপারিশ করা হয় এবং শরীরের বাড়তি মেদ তাড়াতাড়ি ঝরে যায়। দুর্ভাগ্যবশত এ বিষয়ে প্রমাণ সাপেক্ষে সেরকম কোনও কোনও গবেষণা হয়নি। তবুও লাউয়ের কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে যা স্থুলত্ব রোধে বা আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সাহায্য করে। প্রথমত, এতে চর্বি কম এবং জলীয় উপাদান খুব বেশি। কাজেই, এটি আপনার কম স্নেহ পদার্থ যুক্ত খাদ্যে হেরফের করবে না বা যখন আপনি খাবারে স্নেহ পদার্থ কম করতে চাইছেন তখন এটি তাতে কোনও চর্বি যোগ করবে না। দ্বিতীয়ত, এটি ভিটামিন -সি সমৃদ্ধ যা শরীরে সার্বিক স্নেহ পদার্থ কম করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। স্থুলত্বের এবং শরীর স্থুল হয়ে যাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে ফ্রি র্যাডিক্যাল বেড়ে যাওয়া এবং অক্সিডেটিভ চাপ বৃদ্ধি পাওয়া। লাউয়ে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে তা এই ফ্রি র্যাডিক্যাল বার করে দেয়, ফলত স্থুলত্ব এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব প্রতিরোধ করে। অবশেষে, এটি রক্ত থেকে টক্সিন বার করে যা বিপাকীয় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমায়।
৯। লাউ শাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ এবং লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। লাউ শাকে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন-সি রয়েছে। ঠাণ্ডা এবং যেকোনো ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে ভিটামিন-সি। লাউ শাকে যথেষ্ট পরিমাণে আঁশ থাকে। লাউ শাকের আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে এবং পাইলস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়। কোষ্ঠকাঠিন্য, অর্শ, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে লাউয়ের রয়েছে সহায়ক গুণাবলি।
১০। ফলিক এসিড সমৃদ্ধ একটি খাবার হলো লাউ শাক। তাই গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ড এবং মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর অভাবে গর্ভস্থ শিশুর স্পাইনাল কর্ডের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়; ফলে প্যারালাইসিস, মস্তিষ্ক বিকৃতি অথবা মৃত শিশুর জন্ম হতে পারে।
ঔষধিগুণ:
স্বাস্থ্যের উল্লিখিত উপকারিতা ছাড়া লাউয়ের আরও কিছু ঔষধিগুণ ও নিরাময়ের ক্ষমতা আছে। আপনার শরীর এবং স্বাস্থ্য কিভাবে লাউয়ের কারণে উপকৃত হতে পারে তার তালিকা দেওয়া হলো: -
১। বিছে কামড়ালে বিষ তাড়াতে লাউয়ের রস কাজ করে।
২। যাঁরা অ্যাজমা, কাশি, এবং ব্রঙ্কাইটিসে ভুগছেন তাঁদের জন্য এটি উপযুক্ত টনিক ।
৩। লাউয়ের পাতা থেকে যে নির্যাস পাওয়া যায় তা জন্ডিস নিরাময়ে সাহায্য করে।
৪। আমাদের শরীয়ে জলের অভাব হতে দেয় না এবং চাপ কমায়।
৫। লাইউয়ের রসে উপস্থিত ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, দস্তা, তামা, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি খনিজ পদার্থ আমাদের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।
৬। আমাদের মাইগ্রেন থেকে রক্ষা করে।
৭। এটি দাঁতের ব্যাথার উপযুক্ত প্রতিকার।
৮। কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৯। অকালে চুল পেকে যাওয়া বন্ধ করে।
১০। আগুনে পোড়া ত্বকে তাৎক্ষনিক লাউয়ের রস / লাউ পাতার রস অত্যন্ত উপকারী।
উপসংহার: সুস্থ শরীর এবং মনের জন্য সবজি হিসেবে লাউ খুবই উপকারী। এর বহু স্বাস্থ্যোপকারিতা আছে। আপনার খাদ্যতালিকায় লাউ থাকলে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং আপনাকে সুস্থ রাখবে।
লাউপাতার স্যুপ রেসিপি
তথ্যসূত্র: গুগল সার্চ ইঞ্জিন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নিজে চাষাবাদ করা যেমন আনন্দের তেমনি গাছ থেকে ফলন উত্তোলনও খুবই আনন্দের। চাষাবাদ আমার পেশা না তবে এই কাজটি আমার রক্তে মিশ্রিত। পূর্ব পুরুষ কৃষিকর্ম করে জীবন যাপন করেছেন।
জ্বী আমি ভালো রান্না জানি, আমার ছেলেমেয়ে আমার রান্না পছন্দ করেন এটি আমার সৌভাগ্য। সম্ভবত পূর্বজন্মে বাবুর্চি ছিলাম। লাউপাতা মুড়ে ইলিশ মাছ ভাপ দেওয়া সিদ্ধ যিনি খাননি তার বাংলাদেশের অত্যন্ত মজাদার একটি রান্না খাওয়া হয়নি বলতে হবে। এছাড়া দুধ চিনি দিয়ে লাউয়ের ফিরনি রান্না করা হয় আমাদের গ্রামে এটিও খুবই মজাদার খাবার।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
লাউয়ের উৎপাদন সহজ, সেইদিকটা ভালো, পেটের জন্য ভালো; সারা বছর লাউ ধরে, এমন প্রজাতি আছে?
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সারা বছর লাউ ধরে এমন প্রজাতি আছে। যদিও এখন উক্ত লাউকে হাইব্রিড জাত বলছে তবে এগুলো হাইব্রিড জাত নয় শত বছর ধরেই এই জাত আছে এই জাতের নাম নর্থ বেঙ্গল, লালমনি (লালমনিরহাট) মোহনগঞ্জ, জামালপুর সাদামিয়া, পঁচাঘর জাত সহ ইত্যাদি।
বাজারে ১২মাসি লাউ বীজ পাওয়া যায়।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: স্বাদের লাউ ........ ঠুকঠুকি। শীতের সেরা সবজি লাউ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লাউ ফুলকপি শিম টমেটো আলু ও ধনিয়া পাতা সহযোগে নিরামিষ করে খেয়ে জানাবেন। লাউয়ের মোরব্বা খেয়েছেন?
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৩
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: যেকোনো সৃজন ই আনন্দের। এজন্য বেলকনিতে খুব স্বল্প পরিসরে অল্প সময়ের জন্য হলেও ফুলের গাছ লাগাই। গাছে যখন ফুল ফোটে তখন আমার মনে এক অন্যরকম আনন্দ অনুভূত হয়। ছুটির দিনে রোদে বসে চা/কফি খাই আর অদ্ভুত দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকিয়ে থাকি। মনে হয়, আমার শ্রমের প্রতিদান হিসেবে ওরা আমাকে হাসি বিলায়। মন ভালো করে দেয়।
দুধ চিনি দিয়ে লাউয়ের ফিরনি কখনো খাইনি। মিষ্টি জাতীয় জিনিস কম বানানো হয়। আমার কাছেও মনে হয়েছে আপনার পরিবারের সবাই আপনার রান্না খুব পছন্দ করে। আর আপনি শখ করে রাঁধেন। আমার আব্বুও শখের রাঁধুনি। আব্বু যখন কোনো কিছু তৈরি করেন, তখন সন্তান হিসেবে আমাদের মধ্যে একধরণের উৎসববোধ হয়। আপনার সাথে খাবার ব্যাপারে আব্বুর কিছু মিল পাই। বিশেষ করে আপনি যেসব মাছের কথা বলেন ওগুলো আব্বুরও অনেক প্রিয়। ঘুরে ফিরে খাবার টেবিলে ওসব মাছের রেসিপি ই বেশি থাকে। আপনিও অনেক ভালো থাকবেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার আব্বার কাছে আমার সালাম পৌছাবেন প্লিজ।
সবাই কচি লাউ খেয়েছেন জানি। আমি গাছে কিছু লাউ বীজরে জন্য রেখে দেই যা পুরোপুরি পেকে যায়, বীজ লাউ রান্না করলে খানিকটা টক টক লাগে তাতে সাধারণত চিংড়ি /টেংরা /শিং মাছ দিয়ে রান্না করতে হয়। এছাড়া মোরগের মাংস, খাসির মাংস ও গরুর সিনা দিয়ে লাউয়ের রান্না তরকারি অত্যন্ত উপাদেয়।
গরমের দিন কারো শরীর খারাপ হলে - হাই প্রেসার, জন্ডিস, জ্বর তাহলে লাউ ব্লেন্ড করে মাথায় দিলে শারীরিক ও মানসিক অবসাদ দুর হয়। ব্লেন্ড করা লাউ মুখে ফেসিয়াল হিসেবে ব্যবহার করে অত্যন্ত কার্যকরি উপকার পাওয়া যায়।
আপনিও ভালো থাকবেন। আপনার আব্বার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৭
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: জি, অবশ্যই পৌঁছে দেবো। অনেক নতুন তথ্য জানলাম। বিশেষ করে হয় প্রেশার, জন্ডিস এসব রোগে লাউ কাজে লাগে জানা ছিলোনা। আসলে অগ্রজদের থেকে এমন কিছু প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান পাওয়া যায় যেগুলো হয়তো একাডেমিকভাবে অতটা লাভ করা যায়না। এজন্য প্রবীণ মানুষদের সাথে গল্প করতে খুব ভালো লাগে আমার। সুযোগ পেলে কাছের প্রবীণ মানুষদের তাদের সময়ের গল্প শুনি, তাদের সংগ্রামের গল্প শুনি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আহারে সংগ্রামের জীবন। ১৯৭১ সনের যুদ্ধে দুইদিন চিড়া মুড়ি খেয়ে ৩য় দিন কুমার বাড়িতে ভাত খেয়েছিলাম আলু ভর্তা আর মাস কলই এর ডাল দিয়ে। আমার সারা জীবন মনে থাকবে এতো মজাদার ভাতের কথা। - লিখবো কোনো একদিন সেসব ঘটনা।
একটি কথা মনে রাখবেন - “কথাতেই হয় শত্রুতা কথাতেই হয় মিত্রতা” - এটি আমার কথা। কথার অনেক দাম, একই সাথে কথা ভাষা ভয়ঙ্কর বিষয়, কথা বলে মানুষ হত্যা করা সম্ভব।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রিয় তরকারি ছিলো লাউ এর তরকারি, আলু ভাজি, বেগুন ভাজি, টমেটো পোড়া ভর্তা, ডাল এইসব। ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৪৭
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আপনি বলেছিলেন যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখবেন। অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, শীঘ্রই আপনার থেকে এই বিষয়ে পোস্ট পাবো।
সঠিক বলেছেন। কথার নাই কোনো 'থা' । যেদিকে ইচ্ছে নিয়ে যাওয়া যায় আর ভালোমন্দ সব করা যায়। এই প্রবাদটাও মুরুব্বিদের থেকে শিখা আমার। আপনার উপদেশ স্মরণে রাখবো অবশ্যই।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মানুষের কথা এতোটাই ধারালো যে, মনে হতে পারে কথা দিয়ে শাল সেগুন গাছ কাটা সম্ভব, করাত কল স মিলের প্রয়োজন হবে না। স্যানিটাইজার দিয়ে মুছে করোনা শেষ করা যাবে কিন্তু বিশ্বে এমন কোনো স্যানিটাইজার সোপ শ্যাম্পু ডিটারজেন্ট এমনকি এসিড নেই যা দিয়ে “কথা” মুছে দেওয়া সম্ভব।
প্রসঙ্গ লাউ: এক সময় বাংলাদেশে কাঙ্গালীভোজ সহ যে কোনো জিয়াফত ও তামদারি খাবারে লাউ আলু সহ নানান সবজি দিয়ে নিরামিষ লাবড়া করা হতো এখন গরুর মাংস আর বুটের ডাল অথবা খিচুড়ি হচ্ছে কাঙ্গালীভোজ খাবার। বাংলাদেশে চাষাবাদ মূল থেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের প্রকল্প কাজ করে এবং তারা কাজে সফল হোন। সফলতার মধ্য: সরিষা, গম, মসুর ডাল, খেসারি ডাল অন্যতম, এগুলো এখন আমদানিজাত কৃষিপণ্য।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি সারা বছর লাউ খাই।এখানে সারা বছর লাউ পাওয়া যায় কিন্তু লাউ শাক পাওয়া যায় না।লাউ শাকের জন্য বাংঙ্গালী পাড়া যেতে হয়,সেটা আবার বেশ একটু দুর।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রবাসে যারা থাকেন তারা সাধারণত পিজ্জা বার্গারের গল্প করে নিজের অহংকার প্রকাশ করে থাকেন, যেমনটি ঢাকায় উদ্বাস্তু মানুষজন তিনবেলা পোলাও রোস্ট গল্প করেন। আপনার কাছে লাউয়ের কথা শোনে ভালো লেগেছে। - ধন্যবাদ।
আমি পাকা লাউয়ের তরকারি খুব পছন্দ করি, জানিনা দেশে থাকাকালীন সময়ে আপনি খেয়েছেন কিনা। পাকা লাউয়ের তরকারিতে খানিকটা টকভাব চলে আসে ছোট মাছ দিয়ে বেশ মজাদার রান্না।
আপনি প্রবাসে আছেন কতো বছর হলো?
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: লাউ শাকের চিংড়ি পাতুরি নামে একটা খাবার দেশে একবার খেয়েছিলাম । অমৃত মনে হয়েছিল সেই খাবার
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লাউপাতা মুড়ে ইলিশ মাছ ভাপ দেওয়া সিদ্ধ যিনি খাননি তার বাংলাদেশের অত্যন্ত মজাদার একটি রান্না খাওয়া হয়নি বলতে হবে। আপনি লাউ পাতার চিংড়ি পাতুরির কথা বলছেন এটি সরসারি বেহেস্তি খাবার। আপনি ভাগ্যবান মানুষ অত্যন্ত মাজাদার
রান্না খেয়েছেন ছেলেমেয়ে নাতি নাতনিদের এক সময় বলতে পারবেন।
আাপনাকে ধন্যবাদ।
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
পানিকে জল বললে তিনারা মাইন্ড করতে পারেন।
তখন আমার ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চাইতে হতে পারে।
সময় খারাপ!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
তাহলে কি জলীয় বাষ্পকে পানীয় বাষ্প বলতে হবে? জলের পরিমাণ বা জল বলাটা কি আসলে এমন পর্যায়ের অন্যায় হয়ে গেছে? বাদ দিন এসব আসলে জরুরী বিষয় নয়। যারা দরবার করছে তারা এক সময় ক্লান্ত হয়ে দরবার ছাড়বেন।
আপনি এখন থাকেন কোন এলাকাতে থাকেন? পরিস্থিতি কেমন?
দিন দিন পৃথিবী যেভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে এবারের ব্যবসায়িক ধ্বস নিয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে সমগ্র পৃথিবীর। আল্লাহ ভালো জানেন তিনি কোন পরিক্ষায় ফেলেছেন মানবজাতিকে।
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লাউ নিয়ে আপনার পোস্টটি খুবই সুন্দর হয়েছে।
লাউ ছাড়া ভালো মানের কোন সবজি সব সময় পাওয়া যায় না।
কয়েক দিন আগে আগে বাংলাদেশ থেকে আনা বীজ থেকে উৎপাদিত বলে দাবি করা একটি লাউ কিনেছিলাম। খুব বেশী কচি ছিল না। তারপরও দেশের মায়ায় কেনা। ওজন এক কেজির সামান্য উপরে। দাম নিল সাড়ে ৭ রিঙ্গিত।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি সবজি নিয়ে সিয়মিত পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করবো। ফুলকপি, পেপে, টমেটো অত্যন্ত উপকারী সবজি। যদিও কাঁচা পেপের তরকারি ততেটো মজাদার না। লেউযের তরকারি আসলেই সুস্বাদু ও উপকারী।
মালয়েশিয়া কেমেরুন হাইল্যান্ডে সবজি চাষ হয় সবচেয়ে ভালো। সেখানে অনেক বাংলাদেশী কাজ করেন। আমি মালয়েশিয়াতে সাধারণত ওয়াংসামাজুতে থাকি। মালয়েশিয়া থেকে কেয়ারফোর চলে গেছে এখন সবগুলো মলের নাম হয়ে গেছে ইয়নবিগ। পরিস্থিতি ভালো হলেই আমাকে মালয়েশিয়া যেতে হবে নানান পেরেশানি দায়ক কাজ মালয়েশিয়া পরে আছে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের লাউএর উপর জীবন চলত কারন বাড়িতে বিশাল সবজি বাগান ছিল । তখন ভাল লাগত না কিন্তু বাপের তাড়ায় খেতে হত । বড় হয়ে বুঝলাম লাউ কি অদ্ভুত খাবার । লাউ হৃদ রোগীদের শ্রেষ্ঠ খাবার । দুধ কদু প্রিয় জিনিষ । লাউ দিয়ে মাছ , লাউ পাতা এই কিছুদিন আগেও কাধে করে বাসায় ফিরতাম । লাউএর খোলস পুকুরে ভিজত , শুকিয়ে গেলে রান্না ঘরে ঝুলিয়ে লবন রাখা হত । এরজন্য বুড়ো লাউ এর মাঝে চৌকা কেটে সাবধানে ভিতরের নরম অংশ কুরে ফেলে দিতে হত । কিছু বুড়ো লাউ কাটতে গিয়ে ফেটে গেলে তা পুকুরে ভিজিয়ে শুকিয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হত রান্নার কাঠি যা সুপারি গাছ দিয়ে বানানো হত । একদল একতারা বানাত বড় লাউএর নিচের অংশ দিয়ে । লাউএর কোন অপকারিতা নেই । লাউ পাতা সেদ্ধ করে চিংড়ি দিয়ে শিল পাটায় ভর্তা খাবেন । আমার বেশি প্রিয় শোল মাছ আর লাউএর ছালোন বা ছালুন ।
ধন্যবাদ ঠাকুর কে ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
একটু পেকে যাওয়া লাউ কি চিংড়া/টেংরা/শিং মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়েছেন? পেকে যাওয়া লাউ খানিকটা টকভাব চলে আসে খেতে অমৃতসম রান্না। পার্বত্য এলাকাতে বিশাল আকৃতির লাউ হয়। দেখতেও ভালো লাগে।
জ্বী - লাউ এর খোলস দিয়ে একতারা দোতরা করা হতো। এখনও একতারা দোতরা আছে, কখনো লালন শাহের মাজারে গেলে দেখতে পাবেন। লাউপাতার সেদ্ধ চিংড়ি মাছের ভর্তা আমি খেয়েছি এটি বাংলাদেশের আরেক মজাদার রেসিপি। যিনি এসব খাবার খাননি তিনি বাংলাদেশের রান্নার স্বাদ পাননি বলতে হবে। ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে লাউ রান্না হচ্ছে তেমনি এক মজাদার রেসিপি সাথে আতপ চালের ভাত হলে আর কিছু লাগবে না। লাউয়ের কোনো অপকারিতা নেই, কেউ ওজন কমাতে চাইলে দুইবেলা একবাটি করে লাউয়ের ঝোল খেতে পারেন মজাদার ও উপকারী। শোল মাছ দিয়ে লাউয়ের ছালুন এটি ব্রান্ডেড রেসিপি বলতে পরেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা জানবেন।
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লাউ খেতে ভালোবাসি
কিন্তু শহুরে লাউয়ে ঔষধ দেয়া থাকে আর সিদ্ধ হতে চায় না
গ্রামে লাউ খাইছি কী মজা, মোমের মত গলে যায়
ধন্যবাদ ভাইয়া উপকারী পোস্টের জন্য
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মোরগের মাংস, খাসির মাংস ও গরুর সিনা দিয়ে লাউয়ের রান্না তরকারি অত্যন্ত উপাদেয় - রান্না করে না থাকলে একবার ট্রাই করুন, আমাকে জানাতে ভুলবেন না প্লিজ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ বোন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোনরে, মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২০
রামিসা রোজা বলেছেন:
লাউ আমারও খুব পছন্দের একটি খাবার । ছোট চিংড়ি
দিয়ে কাঁচামরিচ বাটা ধনেপাতাসহ লাউয়ের তরকারি অমৃত।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি আমার পছন্দের রান্নার কথা বলেছেন। লাউয়ের মোরব্বা খেয়েছেন কখনো অথবা দুধ লাউ, লাউয়ের ফিরনি? শীতের দিনের অত্যন্ত মজাদার খাবার, আমাদের এলাকাতে রাতে রান্না করে রাখেন সকালে পরিবেশন করেন ঠান্ডা ঠান্ডা। মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিবেন।
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪০
বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠাকুর মহমুদের লাউয়ের উপর গবেষণাধর্মী পোষ্টটি পড়ে অনেক লাভবান হলাম।
সবিজ হিসাবে লাউয়ের কদর আরো বেড়ে যাবে আশা করি।
অনেক কিছু নতুন ভাবে জানলাম। লাউ আমাদের অনেক প্রয়োজন মেটাতে পারে।
সুন্দর পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সত্যি সত্যি তাই, আমাদের যাদের হাই প্রেসার আছে আমরা নানাবিধ তরকারি না খেয়ে একবাটি লাউয়ের তরকারি খেতে পারি এতে প্রেসার কন্ট্রোল ধাকবে আর কোলেস্টেরলও লেভেল থাকবে। লাউ এমন একটি সবজি মাছ ছাড়াও শুধু লাউয়ের ঝোল অমৃতসম রান্না। এছাড়া লাউ পাতা খুবই উপাদেয় শাক।
আপনার প্রতিও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৯
মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: লাউ আমার প্রিয় সবজি। শোলমাছ দিয়ে লাউয়ের তরকারি আমার কাছে দারুণ মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া, ভালো থাকবেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
শোল মাছ দিয়ে লাউ হচ্ছে লাউয়ের একটি ব্রান্ড রেসিপি। সকালে শোল মাছ দিয়ে লাউয়ের তরকারি আর পরোটা হচ্ছে পৃথিবীর অন্যতম মজাদার একটি নাস্তা। যে কোনো রোগীর পথ্য হিসেবে লাউয়ের তরকারী ঔষধের মতো কাজ করে।
ধন্যবাদ আপনিও ভালো থাকবেন।
১৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লাউ এর এতো খবর জানা ছিলো না।
তবে আমি পছন্দ করি। বিশেষ করে দ্বিতীয় জালের পরে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন লাউ দুপুরে রান্না হলে রাতে জালের পর আসল স্বাদ ফোটে আর রাতে রান্না হলে সকালে জাল দেওয়ার পর স্বাদ ফোটে। লাউয়ের তরকারি রুটি পরোটা দিয়ে অত্যন্ত সুস্বাদু।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: লাউ সবারই প্রিয়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লাউয়ের রান্না এতোটাই মজাদার আর উপকারী যে সবার প্রিয় না হয়ে যাবে কোথায়। লাউ এমন এক সবজি যার বাকল থেকে শুরু করে গাছের লতাপাতাও আমরা খেতে পারি এবং মজাদার উপকারী ও ঔষধিগুণে ভরপুর।
আনপাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমার জীবনে আমি লাউ খাই নি।
অথচ আমি আগ্রহ করে লাউ কিনি। সুরভি খায়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি পুরান ঢাকার মানুষের মতো মাংস বিরিয়ানী কাচ্চি টাইপ মানুষ। লাউ আগ্রহ করে কিনেন এটিও একটি বিষয় বলা যেতে পারে। লাউয়ের গ্রহণযোগ্যতা মারাত্বক। হাসাপাতালের রোগীর অন্যতম পথ্য লাউয়ের ঝোল।
আপনাকে ধন্যবাদ।
১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০১
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বেশ তথ্যবহুল লিখা, গো গ্রাসে পড়লাম। সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী....
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে লাউ রপ্তানি হয় জানি, যুক্তরাস্ট্রে লাউ রপ্তানি হয় কিনা সঠিক জানা নেই। আপনি লাউ পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। বাই দ্য ওয়ে সাধের লাউ বিক্ষাত রুনা লায়লার গান হলেও সাধের লাউয়ের একতারা দোতারা লালন শাহের মাজারের অনুষ্টানে দেখা যায়। কখনো সময় সুযোগ হলে লালন শাহের মাজারে যাবেন - মনে আনন্দ পাবেন বলে বিশ্বাস করি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো পোষ্ট !!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন, লাউ বরফির মতো করে কেটে চোখে দিয়ে শোয়ে থাকুন পাঁচ মিনিট, শষার চেয়ে বেশী উপকার পাবেন বলে বিশ্বাস করি। মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম।
২১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
শাহ আজিজ বলেছেন: লাউএর খোসা ছিলকার কথা ভুলে গেছিলাম । ছিল্কা দিয়ে মরিচ রসুন পাটায় বেটে বা আলুর মত কুচি করে এক প্লেট ভাত এমনিতেই শেষ করা যায় ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লাউয়ের বাকল/ছিলকা/খোসা কুচি কুচি করে কেটে আলু ভাজির মতো ভাজি করা হয় গ্রাম অঞ্চলে, এছাড়া এভাবে রান্নার সময় অনেকে চ্যাঁপা সুটকি দিয়েও রান্না করে থাকনে - এক প্লেট ভাত খেতে আর কোনো তরকারির প্রয়োজন হয় না। আমি জীবনে অসংখ্যবার খেয়েছি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
২২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পছন্দের সবজি লাউ। লাউ যে স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী একটি সবজি এবং আধুনিক বিজ্ঞানের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম গবেষনায় তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আমাদের সামনে যদিও এখন বিদ্যমান কিন্তু প্রায় দেড় সহস্রাধিক বছর পূর্বে এমন গবেষনার অস্তিত্ব যখন কল্পনার অতীত ছিল তখনই এই সবজিটি আগ্রহভরে খেতেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ সম্পর্কিত একটি হাদিস উদ্ধৃত করছি-
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, একবার একজন দরজি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খাবারের দাওয়াত করেন। আমিও মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে সেই খাবারে অংশগ্রহণ করি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে বার্লির রুটি এবং গোশতের টুকরা ও লাউ মিশ্রিত ঝোল পরিবেশন করা হয়। আমি দেখেছি, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্লেট থেকে খুঁজে খুঁজে লাউ নিয়ে খাচ্ছেন। আর আমিও সেদিন থেকে লাউয়ের প্রতি আসক্ত হয়ে উঠি। -মুসলিম, হাদিস : ২০৪১
আপনার পোস্টটি বেশ তথ্যসমৃদ্ধ। শুভকামনা জানবেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নতুন নকিব ভাই,
আপনি হয়তো লক্ষ্য করেছেন আমি বেশ কয়েকটি মন্তব্যে লিখেছি “মোরগের মাংস, খাসির মাংস ও গরুর সিনা দিয়ে লাউয়ের রান্না তরকারি অত্যন্ত উপাদেয়” আমার এই তথ্যটি জানা ছিলোনা যে রাসুল পাক সাঃ লাউ পছন্দ করতেন। এবং এই পক্ষে সুন্দর একটি ঘটনার বিবরণ আছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সহ দোয়া জানাচ্ছি।
জীবনে অসংখ্যবার ওমরাহ করেছি, ২০১০ সনে শেষ ওমরাহ করেছি আমার আম্মাকে নিয়ে, জানিনা নসিবে হজ্ব আছে কিনা, আল্লাহ যদি রিজিকে রাখেন - নসিবে রাখেন অবস্যই হজ্ব করবো। আমি অত্যন্ত আনন্দের সাথে আপনার দেয়া তথ্য মূল পোস্টে সংযোজন করছি।
আপনার জন্য আবারও দোয়া রইলো ভাই, আমার জন্যও দোয়া করবেন। ফি আমানিল্লাহ।
২৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি পুরান ঢাকার মানুষের মতো মাংস বিরিয়ানী কাচ্চি টাইপ মানুষ। লাউ আগ্রহ করে কিনেন এটিও একটি বিষয় বলা যেতে পারে। লাউয়ের গ্রহণযোগ্যতা মারাত্বক। হাসাপাতালের রোগীর অন্যতম পথ্য লাউয়ের ঝোল।
আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি অনেক ধরনের খাবার খাই না। তার জন্য আমার বাপ মা দায়ী।
ছোটবেলা একবার আমার দাদী একটা পিঠা বানিয়েছিলেন। দুধ দিয়ে। খেয়ে খুব মজা পেয়ছিলাম। পরে জানতে পারি, কচি লাউ এর চকলা একদম কুচি কুচি মিহি করে কেটে দুধ দিয়ে বানিয়ে ছিলেন।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এটি সঠিক। পরিবারে বাবা মা যা খাবেন বাচ্চারা তাই খাওয়া রপ্ত করেন ও খাবার শিখেন। আপনি লাউয়ের ফিরনি খেয়েছেন। এটি কুমিল্লার অত্যন্ত জনপ্রিয় রেসিপি। নতুন জামাই নতুন বউকে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে লাউ ফিরনি খাওয়ানো হয়। চাল কুমড়ার মতো লাউয়েরও মোরব্বা হয় যা অত্যন্ত উপাদেয়।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জুন বলেছেন: লাউ অনেক উপকারী তরকারি জানি কিন্ত কেন জানি পর পর কয়েকদিন খেলে আর খেতে ভালোলাগে না । আমাদের দেশে মানে আমাদের গ্রামে শোল মাছ দিয়ে বেশি রান্না হয়, সাথে একটু ধনে পাতা, দেশি টমেটো ঠাকুর মাহমুদ । লাউশাক সীম দিয়ে ভাজি দুর্দান্ত। ব্যংককে ছোট ছোট এক রকম লাউ বিক্রি করে । প্রথমে ভাবতাম কচি অবস্থায় হয়তো পেরে এনেছে, খেতে তিতা লাগবে। একদিন সন্ধ্যায় ওয়েট মার্কেটে গিয়েছিলাম পরিচিত বিক্রেতা মেয়েটি দোকান গুটিয়ে ফেলছে । দেখলাম তার টেবিলে সাজানো চারটি লাউ । বিশ বাথে চারটি বিক্রি করবে । আমি নিয়ে আসলাম সাথে কিছু চিংড়ি মাছও আনলাম । আল্লাহর নাম নিয়ে রান্না করলাম । এত মিষ্টি আর স্বাদু যে অবিশাস্য ।
ছবি তুলে রেখেছি পাশে রিষ্ট ওয়াচ যাতে লাউ গুলো কত ছোট আন্দাজ করা যায়
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই ছোট লাউ করার পদ্ধতি আছে। এগুলোকে বলে বামুন লাউ। এক ধরনের ককশিটের প্যাক/পলিপ্যাকে ছোট লাউ গাছে থাকা অবস্থায় প্যাক করে দেওয়া হয়। - তাতে করে লাউ আর বড় হতে পারে না, একটি নির্দিষ্ট আকারে আটকে যায়। বাজারে সব লাউ একই আকারে পাবেন। এটি জাপানিজরা করেছে। এখন থাই্যলান্ড, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেসিয়া সহ আসিয়ান দেশগুলোতে এই লাউ পাওয়া যায়।
আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লেগেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন।
২৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: লাউয়ের সবচেয়ে বড় গুণ হল কোনো একজন বাঙালিকে সে বৈরাগী বানিয়ে ফেলেছিল। সেই একজন ছাড়া আর কেউ বৈরাগী হয়েছিল কি না জানা হয়নি।
লাউয়ের গুণের কমতি নেই। আমার পছন্দের সবজির মধ্যে একটি। বিশেষ করে যে গোশতের মধ্যে চর্বির পরিমাণ বেশি থাকে সেই গোশত লাউ দিয়ে রান্না করলে খুবই উপাদেয় হয়।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অনেক দিন পর পেয়েছি। আপনাকে পেয়ে সত্যি সত্যি ভালো লাগছে - কথা সত্যি মাংস দিয়ে লাউয়ের তরকারি অতুলনীয় স্বাদ আর সাথে যদি লাল আটার পরোটা হয় তাহলে হয়ে যাবে রাজকীয় সম্রাটের খানা খাদ্য।
ব্লগার নতুন নকিব ভাই তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছেন রাসুল সাঃ মাংস দিয়ে লাউয়ের তরকারি পছন্দ করতেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন।
২৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই, এই চমৎকার পোস্টটিতে প্লাস + +, যা সাধারণতঃ আমি শেষে দিয়ে থাকি।
সাদা ফুলসহ ঘন সবুজ লাউশাকের ছবিটা দেখে মনে হচ্ছে এক্ষণি ক্ষেত থেকে তুলে এনে শাকভাজি খাই। আর ঝোলানো লাউগুলোকে দেখেও ছিঁড়ে আনতে ইচ্ছে হচ্ছে।
মা শা আল্লাহ, মোট দশটি অনুচ্ছেদে লাউ সংক্রান্ত অনেক গুণাবলী উল্লেখ করেছেন। এসব তথ্যের মধ্যে কিছু কিছু আগে থেকেই জানা ছিল, কিন্তু অনেক তথ্য, বিশেষ করে ওষধি হিসেবে লাউ এর গুণাবলী নতুন করে জানলাম।
পোস্টে পাঠকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং তাদের নিজস্ব অভিমত ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করা পোস্টকে আরও সমৃদ্ধ ও আকর্ষণীয় করেছে।
আপনি লাউ এর যত ধরণের রান্নার কথা বলেছেন, এখন বাসায় ততরকমের ভ্যারাইটি রান্না হয় না। বিশেষ করে একটু বেশি পুরাট বা বাত্তি লাউ এর তরকারি যে একটু টক টক হয়, সে কথাটা ভুলেই গিয়েছিলাম। আপনার পোস্ট পড়ে তা স্মরণ হলো।ছোটবেলায় নানীবাড়ী-দাদীবাড়ীতে এমন 'একটু পেকে যাওয়া লাউ চিংড়ি/টেংরা/শিং মাছ দিয়ে রান্না করে' খাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
লাউশাক ভাজি খাবার সময় এর ডাঁটা চুষে খেতে ভালবাসি। কুচি কুচি করে কাটা লাউ এর ছাল ভাজিও রুটি দিয়ে খাবার জন্য অতি সুস্বাদু এবং এটা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য উপকারী।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রথমেই উল্লেখ করেছেন পোষ্টের প্রতি আপনার লালো লাগা ও পোস্টে প্লাস। লাউ পাতার সাথেই শীতের সম্পর্ক আছে আপনি গরম কালেও যদিও বারোমাসি লাউ গাছের পাশে দাড়ান আপনি শতিল ভাব অনুভব করবেন - মনে প্রশান্তি পাবেন।
আমাদের গ্রাম অঞ্চলে এখনও নতুন বউ নতুন জামাইকে আপ্যায়নের নানবিধ খাবারের একটি হচ্ছে দুধ লাউ বা লাউয়ের ফিরনি - এটি দীর্ঘ দিনের প্রচলন। তাছাড়া চালকুমড়ার মতো লাউয়েরও মোরব্বা করা হয়ে থাকে।
আপনি সঠিক বলেছেন লাউয়ের ডাটা চুষে খাওয়ার মাঝে এক মজার তৃপ্তি আছে, বাংলাদেশের শাক সবজি চাষ করে শান্তি খেয়েও শান্তি। যা প্রবাসে কোনোভাবেই পাওয়া যায় না। লাউপাতার সাথে কচিলাউ কুচি কুচি করে কেঠে ভাজি করেন অনেকেই তাও বেশ মজাদাল ভাজি। এছাড়া ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে লাউ / লাউ পাতার ঝোল বেশ মজাদার।
ব্লগে হাতেগোনা হয়তো কয়েকজন আছেন যাদের একটু পেকে যাওয়া লাউ খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে, আপনিও একজন জেনে ভালো লেগেছে। আমাদের এলাকাতে শীতরে সিজনে ডোবাগুলোতে মাছ ধরা পরে, এখন নানা সবজি দিয়ে তা রান্না হচ্ছে ভোর সকালে।
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানাচ্ছি।
২৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
সতেজ লাউয়ের মতোই সতেজ লেখা। সাধের লাউ নিয়ে গান শোনা আছে। এবারে লউয়ের স্বাদ এর কথা শোনা হলো।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আহমেদ জী এস ভাই, আপনার নতুন পোস্ট পড়েছি আমি আবারও আসবো মন্তব্য নিয়ে, দেশে পরিবেশ বান্ধব মিল কারখানা না করতে পারলে মিল কারখানা করা বন্ধা করতে হবে নয়তো এই দেশের ভাগ্য খুবই খারাপ হবে।
আমি বেশ কিছু সবজি নিয়ে রিখবো আশা করি বরাবরের মতোই আপনাকে পাশে পাবো। মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১১
করুণাধারা বলেছেন: ঘন সবুজ লাউপাতা আর লাউয়ের সতেজতা দেখে চোখ জুড়িয়ে গেল!! ছবিগুলো চমৎকার, দেখেই লাউয়ের তরকারি খাবার ইচ্ছা জাগে। রেঁধেও ফেললাম তাই:
আপনার বলা লাউয়ের বাকি আইটেমগুলোও একে একে রান্না করার ইচ্ছা আছে। তবে আমি কিন্তু লাউ ডাল দিয়েও রান্না করি। সবশেষে দেয়া স্যুপটার ছবি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে!
লাউয়ের এত গুন জানা ছিল না। সাধারণ সব্জিকে নিয়ে অসাধারণ পোস্ট। লাইক।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বোন, আপনি ভালো রান্না জানেন ছবি দেখেই বুঝতে পারছি। সবজি রান্নার যে রঙ এসেছে এটি ভালো রান্নার রঙ। আমিও ডাল দিয়ে লাউ রান্না পছন্দ করি। লাউয়ের তরকারি রুটি দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। আগামীতে রান্না যখন করবেন তাতে কয়েকটি কাঁচা টমেটো কেটে দিয়ে দিবেন - দেখুন কেমন স্বাদ হয়।
আপনার চমৎকার মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম বোন, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।
২৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছে সেটা জানতে।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি কোনো পোস্টে মন্তব্য করে বার বার সেই পোস্টে যাই দেখি অন্যান্য ব্লগার কি মন্তব্য করেছেন। প্রয়োজনে হয়তো আরও মন্তব্য করি অথবা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি। - সম্ভবত ব্লগে এমনটিই হওয়া উচিত। ব্লগে মন্তব্য করে হারিয়ে যাওয়াও এক ধরনের অবহেলা - যিনি এই কাজটি করেন তিনি নিজের প্রতি নিজের অবহেলা করেন।
৩০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি প্রবাসে আছি মাত্র চার বছর।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
চার বছর জীবনের বড় সময় বলতে হয়। আপনার প্রবাস জীবন নিয়ে লেখালেখি করা সম্ভব হলে ব্লগে লিখুন। আপনাকে সব সময় পাশে পাই এইজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
৩১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
কমপিউটারেরস্পেশবারেসমস্যাদেখাদেয়ায়মন্তব্যলিখতেপারছিনা।
আপাততপ্রিয়তেতুলেরাখলাম।
লাউশাকসীমবিচিসাথেভাজাসুকনামরিচদিয়েরান্নাকরলেখুবমঝাদারহয়।
আমিআজলাওশাকখেয়েছি।
শুভেচ্ছারইল
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাইসাহেব, কীবোর্ড মাউস নানা সমস্যা দিয়ে আমাদের বিরক্ত করে - কি আর করার আছে বলুন প্রযুক্তির কিছু সমস্যা মাথা পেতে নিতেই হবে।
আপনি আজও শাক খেয়েছেন জেনে ভালো লেগেছে, শাক আমার অতি প্রিয় খাদ্য। আমি প্রায় নিরামিষভোজী মানুষ কদাচিৎ সামুদ্রিক মাছ খাই। আপনাকে সব সময় পাশে পাই এইজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা ও দোয়া রইলো।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
একটা সময় ছিলো, লাউ নিরামিষ ছাড়া দাওয়াত বাড়ি, জিয়াফত, চল্লিশা, কাঙ্গালিভোজ কল্পনা করা যেতো না। এখন মানুষের আয় বেড়েছে রুচির ও পরিবর্তন হয়েছে। উল্লেখিত অনুষ্ঠানে গরুর মাংস আলু বুটের ডাল দৈ ছাড়া সবজি করা অসম্ভব কারণ সবজি এখন এই অনুষ্ঠানে কেউ খেতে চান না।
এখন শাক সবজি হচ্ছে পারিবারিক রান্না ও পারিবারিক খাবার। গত বিশ দিনে শিমের দাম ডাম্প করে খুচরা বাজারে শিম ত্রিশ - পঞ্চাশ টাকা কিলোগ্রাম - কৃষকের মাথায় হাত। সরকারিভাবে কোল্ডস্টোরেজ ব্যবস্থা থাকলে এই দূর্দিন দেখতে হয় না। আমি এ বিষয়ে আবারও একটি পোস্ট দিবো ভাবছি। তখন বিস্তারিত আলোচনা হবে।
শুভেচ্ছা নিবেন।
৩২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫২
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
লাউ এবং লাউ শাক ভীষণ প্রিয় আমার । কেমন আছেন আপনি ?
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি ভালো আছি বেশ ভালো আছি, আপনি সম্ভবত বেশ কিছুদিন অনুপস্থিত ছিলেন। আপনি কেমন আছেন ভাই? লাউ ও লাউ শাক পছন্দের খাবার, বাংলাদেশে খুব কম মানুষ পাওয়া যাবে যারা লাউ ও লাউশাক পছন্দ করেন না।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন।
৩৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: @ঠাকুরমাহমুদ: জাপানীজদের মডিফাই করা যে লাউয়ের ছবি দিয়েছেন সেটা দেখে মনে পড়লো, ওরা এই কাজটা তরমুজের সাথেও করে। বেশ কিছুদিন আগে একটা ডকুমেন্টারিতে দেখেছিলাম, তরমুজগুলো চারকোনা টাইপের এবং বেশ দামী হয়ে থাকে। ধন্যবাদ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জাপানিজরা তরমুজ ও লাউয়ে এই এক্সপেরিমেন্ট করে বেশ লাভবান। এরা পিপি প্যাকে মূর্তি ডাইজ করে লাউ দিয়ে মূর্তি পর্যন্ত তৈরি করেছে জাপানিজ বুদ্ধা, তৈরি করেছে ফুটবল আরো কতোকিছু। তাদের জন্য তাদের দেশ সরকার প্রশাসন আমদানি রপ্তানি ডিপার্টমেন্ট আন্তরিক।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
জুন বলেছেন: কিন্ত ঠাকুর মাহমুদ আমি যে লাউ এর ছবি দিয়েছি তা কোন মোল্ডে রাখা হয় না বলেই জানি। এগুলো এমনিতেই প্রচুর জন্মে। আমি সেখানে একদম মিনি সাইজ বেগুন, টমেটো, মুলা,গাজর ছাড়াও আরো অনেক সব্জি দেখেছি। ছোট সাইজের মিষ্টি কুমড়াও প্রচুর। গুরমিট মার্কেটে সাজানো কিন্ত ছবি তোলা নিষেধ।
আজকের আনা লাউশাক নতুন আলু আর সীম দিয়ে ভাজি করলাম। যে কোন সব্জি ভাজি সব সময় ঢাকনা ছাড়া রান্না করলে সব্জীর রঙ বদলে যায় না জানেন নিশ্চয়
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দুই তিন প্রজন্ম মোল্ড করা লাউ মিষ্টি কুমড়া পরে আর মোল্ড করতে হয় না, তাদের বীজের পরবর্তিতে ফলন এমনিতে এই আকার ধারণ করে। বেবী টমেটো থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া দেখা মেলে। এক দেশ থেকে আরেক দেশে বীজ আনা যায় না ,এটি ইমিগ্রেশন আইন বহির্ভূত কাজ - নয়তো বামুন সবজির বীজ আমি নিয়ে আসতাম দেশে।
লাউপাতা দিয়ে ভাপ দেওয়া ইলিশ মাছ আপনার কাছে কেমন লাগে? এটি মুন্সিগঞ্জ নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক রান্না যদিও এখন বাংলাদেশে অনেকেই এটি পারেন। সবুজ শাক সবজি ঢেকে দিলে রঙ পরিবর্তন হয়ে যায়। আপনি ভালো রান্না জানেন তার প্রমাণ রেখে গেলেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভিন্ন ভিন্ন মাটিতে ফসলের স্বাদ পরিবর্তন হয় এমনকি জাত পরিবর্তন হয়ে যায়। আর আবহাওয়া হচ্ছে মাটির পাশাপাশি মূল উপাদান। আপনার কাছে লাউয়ের স্বাদ পাওয়ার অন্যতম কারণ মাটি ও আবহাওয়া সুস্বাদু তাই ফসল সুস্বাদু। ছবিতে লাউপাতাগুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে - যেমন সতেজ তেমনি সুস্বাদু হবার কথা।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৩৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৯
সোহানী বলেছেন: আচ্ছা আরব দেশে কি লাউ পাওয়া যায়? রাসুল আ: লাউ পছন্দ করতেন এমন কথা আমিও শুনেছি তাই জানতে চাইলাম।
আমাদের এখানে দুই ধরনের লাউ পাওয়া যায়। একটাকে বলি দেশি লাউ, যা শুধুমাত্র সামারে বাংলা দোকানে পাওয়া যায়। কিছু দেশী ভাই তার নিজের বাগানে তা চাষ করেন। কেজি প্রতি প্রায় ১৫-২০ ডলার। একটা লাউ কিনতে হয় ২০-৫০ ডলার দিয়ে। স্বাদ একেবারে দেশী। এমন কি শাকও পাওয়া যায়। আরেকটা লাউ এর মতো বাট স্কোয়াশ বলি। খেতে লাউএর মতো হলেও দেশি স্বাদ নেই। দাম খুব কম। ৪-৫ ডলার।
আর আমার মেয়ের আর আমার খুব প্রিয়। সামারে দেশি টা কিনি আর বাকি সময় বিদেশী লাউ। মজার ব্যাপার আজই রান্না করেছি লাউ। তবে বিদেশী। চিংড়ি মাছ টমেটু সাথে ধনিয়া পাতা দিয়ে লাউ আমার মেয়ে খুব পছন্দ করে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সৌদি আরবে মক্কাহ নগরীর কাছাকাছি তায়েফ, নাজরান, আভা। মদিনা আল মনওয়ারা, ইয়ানবো, তাবুক, রিয়াদ, আল গাসিম, বুরাইদা, হাইল, আল খোবার, জুবায়েল সহ সৌদি আরবে যে সব এলাকাতে শীতের সিজনে শীত আসে সেখানে শীত কালীন সবজি লাউ, টমেটো, শীম, গাজর, মুলা, আলু, পাতাকপি, ফুলকপি চাষ ও ফলন হয়।
শীতের সিজনে বাংলাদেশে লাউ শিম টমেটো দিয়ে নিরামিষ খাওয়ার মজাই আলাদা আর সাথে যদি হয় লাল আটার রুটি তাহলে হয়ে যাবে স্বর্গীয় খাবার। লাউয়ের সাথে মাছ হচ্ছে চিংড়ি, টেংরা, শিং, বাইম, বোয়াল, শোল, ও কাতল / রুই মাছের মাথা।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
৩৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে নিজে বাজারে গিয়ে লাউ আর লাউশাক কিনে এনে গতকাল দুপুরে তা দিয়ে লাঞ্চ করলাম, অত্যন্ত তৃপ্তিসহকারে। লাউ এর মাঝে কিছু চিংড়িমাছ ছড়ানো ছিল।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এক সময় আমাদের গ্রামের বাড়িতে সবাই একসাথে ছিলাম, এখন জীবনের প্রয়োজনে কর্মের প্রয়োজনে অর্ধেক পরিবার প্রবাসে স্থায়ী হয়েছেন আর বাদবাকী বাংলাদেশের নানান অঞ্চলে। যে কথা বলছিলাম, যখন গ্রামে সবাই একসাথে ছিলাম বড় বড় হাড়ি পাতিলে ভাত তরকারি রান্না হতো। শীতের সিজনে লাউ, মিষ্টি কুমড়া, আলু, শিম, টমেটো দিয়ে নিরামিষ রান্না হতো যা আজোও মুখে লেগে আছে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
৩৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭
মেহবুবা বলেছেন: লাউ আমার সবচেয়ে প্রিয় সব্জি এবং কয়েক প্রকার শাকের সাথে লাউ শাক।
আমার প্রথম সন্তান গর্ভে থাকার সময় অনেকদিন পর্যন্ত কিছু খেতে পারতাম না , শুধুমাত্র লাউ বিভিন্ন রকমের করে রান্না করে খেতাম।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর পছন্দের সব্জি লাউ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি যদি মাংস পছন্দ করেন তাহলে একদিন গরুর মাংস দিয়ে লাউ রান্না করে খেয়ে দেখবেন। গল্প করার মতো রেসিপি বলতে পারেন। বিশেষ করে সিনার মাংস যদি হয় তাহলে আপনি লক্ষ্য করবেন বাসার সবার খাবার খেয়ে তৃপ্তি কাকে বলে।
আমাদের নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) খুবই সাধারণ জীবন যাপন করতেন তিনি পছন্দও করতেন সাধারণ খাবার দাবার। আমি পারশিয়ানদের লেখা রাসুল সাঃ এর জীবনী পরেছি, রাসুল সাঃ তিনি তার জীবনে খাবারের কষ্ট করেছেন অনেক।
বোন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।
৩৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মেহবুবা বলেছেন: গরুর গোসতের চেয়ে মুরগীর গোসত্ দিয়ে লাউ আমার বেশী পছন্দ।
আমার খুব প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে লাউ শোল মাছ টক টমেটো ধনে পাতা আর কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না,অল্প হলুদ আর ধনে গুড়ো মিশিয়ে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বাজারে এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণ নতুন আলু আসেনি। আমাদের ক্ষেতের আলু ডিসেম্বর হাফ নাগাদ বাজারে যাবে। - নতুন আলু দিয়ে লাউ ও লাল মোরাগের মাংস আসলেই বিয়ে বাড়ির রান্না ফেইল হবার কথা। লাউয়ের তরকারি দিয়ে পরোটা আমার খুবই প্রিয়।
আপনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা।
৩৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬
সোমহেপি বলেছেন: লাউ অনেক ভাল । এটাতে কীটনাশক দেয়া যায় না বল্লেই চলে । আর পাকানোর কিংবা অনেকদিন রাখার ক্যামিকেল । লাউয়ের শিকড় থেকে নেশাজাত পানীয় তৈয়ার করা হয় ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লাউ গাছের শিকড় থেকে নেশাজাত পানীয় তৈয়ার করা যায় বিষয়টি আমার আগে কখনো জানা ছিলো না। তবে পাকা লাউ থেকে বাউলরা নেশাজাত পানীয় বার করতেন এটি জানি। সবজি হিসেবে লাউ খুবই মজাদার। লাউ রান্নার কলা কৌশল যারা জানেন তারা লাউ দিয়ে এমন এমন মজাদার রান্না করেন যা ভুলার নয়। তার মধ্য লাউয়ের ফিরনি একটি বলা যেতে পারে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা রইলো।
৪০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩
সোমহেপি বলেছেন: কচি লাউয়ের ভর্তাো হয় তেঁতুল দিয়ে । এগুলা মেয়েরা খায় বেশি । এমনে আমি লাউয়ের সবকিছুই খাইতে ভালবাসি । মজা লাগে ।
লাউয়ে ডগা বিশেষ করে ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বুঝতে পারছি না আপনি কি আমার সম সাময়িক কিনা? আমি ষাটের দশকের মানুষ। কচি লাউ দিয়ে তেঁতুল ভর্তা, মুজি কাঁঠাল দিয়ে তেুঁতুলের ভর্তা সহ বড়ই তেঁতুল বেশ মজাদার। শুনেছি এখন নিউ মার্কেট চাঁদনি চক গাউসিয়ার সামনে এভাবে ভর্তা করে বিক্রি হয়। কাজলি মাছ দিয়ে লাউয়ের ঝোল সরাসরি বেহেস্তের খাবার।
আমি জাপানে লাউয়ের স্যুপ খেয়েছি আমি খুব শীঘ্রই রেসিপি পোস্ট দিবো। আপনার কবিতাকে - ভয়ঙ্কর বলতে হবে। মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। শুভ কামনা রইলো।
৪১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩
সোমহেপি বলেছেন: হা হা , ধন্যবাদ । আমার মানসিক বয়স বেশি । জন্ম ১৯৮৪ তে ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মানসিক বয়স সবাই ধরতে পারেন না, এটি অর্জন করতে হয়। আপনি অর্জন করেছেন জেনে ভালো লাগছে। আপনি যে কবিতা লিখেছেন তা লিখার জন্য সত্যি সত্যি মানসিক বয়স প্রয়োজন।
শুভ কামনা রইলো।
৪২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
মিরোরডডল বলেছেন:
ঠামা এটা আমার ভীষণ ভীষণ প্রিয় একটা সবজি । আমার মায়ের হাতের রান্না অমৃত । লাউ এমন একটা সবজি যেভাবে রাঁধে সেটাই ভালো লাগে । কতরকম আইটেম যে করা যায়, সবগুলোই মজা । এখানে মোটামুটি সারাবছরই পাওয়া যায় । বন্ধুরা আমার হাতের রান্না লাউচিংড়ি অনেক লাইক করে । ওদের স্পেশাল রিকোয়েস্ট থাকে আমি যেনো ওদের এটা করে খাওয়াই ।
লাউ নিয়ে একটা স্টোরি শেয়ার করি । ২০১২/১৩ সেসময় ৩০০ ফিট রাস্তার কাজ চলছে । তখনও কমপ্লিট হয়নি আর নীলা মার্কেট এগুলোও কিছুই হয়নি । সেসময় আমি কোনও একটা কাজে প্রতিবছর ৪/৫ মাস পর পরই ঢাকা যেতাম । এক ফ্রেন্ড আর আমি ভোর বেলায় উঠে ৩০০ ফিটে চলে যেতাম । মালাই চা দিয়ে দিন শুরু করে, রাস্তার একপাশে লোকাল অল্প কিছু লোক সবজি শাঁক লতাপাতা ঝাপি নিয়ে বসতো, ওখান থেকে ফ্রেশ শাকসবজি কিনতাম ।
ঢালু জমিতে নীচে নেমে গেছে ওখানে গাছে সুন্দর সুন্দর লাউ হয়ে থাকতো । আমি আবার বলতাম আমি ওখান থেকে নিবো । আর সেই লোকটা দৌড় দিয়ে নীচে নেমে আমাকে জিজ্ঞাসা করতো কোনটা দিবো । আমি যেটা যেভাবে চাইতাম ওভাবে দিতেন ।
তারপর যখন সাত সকালে এতো এতো কাঁচা বাজার নিয়ে বাসায় হাজির হতাম, মা খুশী না হয়ে উল্টো আমাকে অনেক বকা দিতো । বলতো একদিনে এতরকম শাঁক কে খাবে । আসলে কিন্তু মা খুশীই হতো আবার শাসনও করতো । কারন ওভার এক্সসাইটমেন্ট থেকে না বুঝে উল্টাপাল্টা বাজারের প্রায় সব তুলে নিয়ে যাই । সেইসব দিন আর নেই । এখন ওখানে পুরোপুরি কমার্শিয়াল হয়ে গেছে ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পূবাচল বাজার, ইছাপুরা বাজার, কাঞ্চন বাজারে এখনও লাউপাতা সহ শাক সবজি প্রতিদিন সকাল বিকালে পাওয়া যায়, এখানে এখন সমগ্র ঢাকার লোকজন পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসেন, পূর্বাচলের লোকজন এতে করে বেশ জমজমাট ব্যবসা করছেন। পূবাচলের আগেকার সে ধরনের গ্রাম গ্রাম পরিবেশ এখন আর নেই, কারণ পূর্বাচলে ঢাকার লোকজন আবাসন শুরু করেছেন। এছাড়া বাজার সহ দোকানপাঠ ও গোডাউন/ওয়্যারহাউজ হয়েছে, হয়েছে ছোট বড় প্রচুর রেষ্টুরেন্ট।
আগে পূর্বাচলে স্থানীয় দেশী মুরগির ডিম পাওয়া যেতো এখন এতো ক্রেতা তাতে করে পূর্বাচলের ব্যবসায়ীরা কাওরান বাজার টঙ্গি বাজার থেকে ডিম এনে বিক্রি করেন।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
৪৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:২২
[email protected] বলেছেন: লাউ কেন খাবেন?
১) ওজন কমে
২) ইনসমনিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়
৩) ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকে
৪) মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে
৫) শরীরে পানি অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬) নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে।
৭)ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে।
৮) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়১) ওজন কমে
২) ইনসমনিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়
৩) ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ থাকে
৪) মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে
৫) শরীরে পানি অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে।
৬) নানাবিধ পেটের রোগের প্রকোপ কমে।
৭)ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে।
৮) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৩
শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: লাউয়ের ফটো দেখে ভীষণ লোভ লাগছে। মনে হচ্ছে এখন ই একটা ছিড়ে নিয়ে রাঁধি। ফটোগুলো কি আপনার নিজস্ব বাগানের? গাছ থেকে নিজ হাতে লাউ সংগ্রহ করার মজাই আলাদা।
আরেকটা প্রশ্ন: আপনি মনে হয় খুব ভালো রাঁধতে পারেন, তাইনা? এত লোভনীয় সব রেসিপি বলেন! জিভে জল চলে আসে।