নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গঃ গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:১৭



“গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ” আমরা কেনো লিখি? - আমাদের লেখাগুলো পড়ে দু চারজন অনুপ্রাণিত হবেন, জীবনে নতুন করে পথ চলার উৎসাহ পাবেন, সচেতন হবেন, উপকৃত হবেন, আনন্দ পাবেন - এমন? নাকি আমাদের লেখা পড়ে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, মন ভেঙ্গে যাবে, হতাশায় নিমজ্জিত হবেন, নিদ্রাহীনতায় অসুস্থ হবেন, জীবনের প্রতি আশা ছেড়ে দেবেন, ক্রাইম জগতের বাসিন্দা হবেন, খুনি হবেন দশ তলা ভবনের ছাদ থেকে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন - এমন কিছু। কোনটি?

আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে আমাদের একজন ব্লগারের নাম বলছি, তিনি আমাদের সহ ব্লগার ডঃ এম এ আলী সাহেব। তিনি যে লেখাগুলো পোস্ট দিয়ে থাকেন তাতে আমরা নতুন করে পথ চলার আশা পাই, লেখাগুলো আমাদের যে কোনো মানুষের জীবন পাল্টে দিতে পারে। সম্প্রতি আমাদের সহ ব্লগার আহমেদ জী এস সাহেব “কৃষি ব্যবস্থাপনা ও হিমাগারের প্রয়োজনীয়তা” নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা পোস্ট দিয়েছেন তাতে করে দেশের কৃষি জনপদ এমনকি বাংলাদেশ সরকারের কৃষি ব্যবস্থাপনাও উপকৃত হতে পারেন বলে বিশ্বাস করি। আমি নিজে কৃষি কাজের সাথে জড়িত বিধায় আমি জানি কৃৃষি কোনো অবহেলিত পেশা নয়, কৃষি কাজে যে আনন্দ আছে তা অন্য কাজে নেই। কৃষি কাজে আছে “সৃষ্টির আনন্দ”। শহরবাসী বাসার টবে একটি ফুল গাছ একটি ফল গাছ রোপণ করে যে আনন্দ পান তার চেয়ে শত সহস্রগুণ আনন্দ মাটির দেশের অন্ধগ্রামে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ হলুদ ফুলের শোভাসিত সরিষা গাছে।

প্রসঙ্গে ফিরে আসি, আমরা কেনো লেখালেখি করি? সমাজ পরিবেশ দেশের উপকারের জন্য নাকি নিজের সকল রাগ ক্ষোভ আক্রোশ হতাশা লেখার মাধ্যমে পরিবার সমাজ পরিবেশ এমনকি দেশের ক্ষতি করে দেবার জন্য? একটি কবিতা গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ লেখা মোটেও চারটি খানি কথা না। এতো এতো পরিশ্রম করে অন্যের ক্ষতি করে দেবার প্রবণতা কেনো কাজ করবে? - এর কারণ কি; নিজের জীবনের প্রতিকূলতা, ব্যর্থতা লেখক সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন? যেমন একজন মাদক সেবনকারী সমাজের সবাইকে মাদাকাশক্ত হিসেবে দেখতে চাইছেন - সব সময়!

লেখালেখি হতে হবে জীবনমুখী, সকলের কল্যানের জন্য, কখনো অকল্যানের জন্য নয়। লেখালেখির মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের ভালোবাসার মজবুত বন্ধন তৈরি হবে, ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হবে মানুষের সাথে পশু পাখি সবুজ ও বনায়নের। লেখালেখির কারণে থেমে যাবে যুদ্ধ, বন্ধ হবে হত্যা, আত্মহত্যা, অপমৃত্যু সহ সকল প্রকার দুর্ঘটনা। একজন লেখকের লেখাতে কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হতে হবে, অন্তত নিছক নির্দোষ আনন্দলাভ করাও উপকার। ক্ষতিকর লেখা কখনো আমাদের কাম্য হতে পারে না।

শেষকথাঃ ছাপা অক্ষরের লেখা মানুষের মনে বেশ বড় ধরনের রেখাপাত তৈরি করে। ছাপা অক্ষরের লেখা মানুষ সহজে বিশ্বাস করেন। মানুষের জীবন ওয়ানওয়ে জার্নি, জীবন চলার পথে কোনো ইউটার্ন নেই। তাই যে কোনো ধরনের ভুল লেখা, জীবন নিয়ে অপব্যাখ্যা, মানুষের জন্য অকল্যানের লেখা আমাদের অবশ্যই অবশ্যই বর্জন করতে হবে। সবার কাছে দোয়া চেয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।




ছবিঃ ফটোশপে তৈরি করা।
ব্যাকগ্রাউন্ড ছবিঃ উইকিপিডিয়া DMH-11 Mustard
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।






মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩২

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট এবং এর বিষয়বস্তু।
আমরা যারা লেখালিখি করি তারা চেষ্টা করি সমাজে একটা ভালো মেসেজ পৌছে দিতে।
ভুল ধরিয়ে দিয়ে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত কোনটা হবে সেটা দেখিয়ে দিতে। ইল মোটিভ নিয়ে অনেকেই লেখেন তবে সেটা সাহিত্য চর্চা কিংবা লেখালিখির আদর্শ হতে পারে না।
বুঝে শুনে অনেকেই অপব্যাখ্যা দেন কিংবা ইচ্ছেকৃতভাবে মিথ্যাচার করেন সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।
আশা করছি আপ্নার এই লেখা পড়ার পর অনেকেরই বোধদয় হবে এবং সুষ্ঠু সাহিত্য চর্চায় ফিরে আসবেন।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




চলন্ত বাসের পেছনে একটি ছোট ব্যানার দেখতে পেতাম যাতে লেখা থাকতো “একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না” ঠিক তেমনই একটি ভুল লেখা একটি অপব্যাখ্যা পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য, দেশের জন্য কান্নার কারণ হয়ে দাড়াতে পারে।

ভুল লেখা ও অপব্যাখ্য আমরা সমর্থন না করে বর্জন করবো এবং এটিই আজকের চাওয়া। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।


২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অল্প কথায় আপনি লেখালেখি সম্পর্কে চমৎকার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আসলে আমরা যাই লেখি না কেন সেটা যেন জীবনমুখী হয়। যেটা আপনি বলেছেন। লেখাটার মধ্যে যেন এমন কিছু থাকে যা সমাজের জন্য কল্যাণকর। তাও যদি না হয় অন্তত লেখাটা যেন আনন্দদায়ক হয় ও অকল্যাণকর না হয়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি প্রায়ই লক্ষ্য করি কেউ না কেউ তার আক্রোশ হতাশা খুব চালাকির সাথে লেকার মাধ্যমে প্রকাশ করছেন যাতে করে সমাজের ক্ষতি সাধিত হয়। উক্ত লেখক ক্ষতিগ্রস্ত যে কারণে তিনি চাইছেন তার লেখা পড়ে আরোও দু চারজন ক্ষতিগ্রস্ত হোক - এগুলো কোনো ভালো কাজ হতে পারে না। মানুষের ক্ষতি করার মাঝে কোনো সফলতা আনন্দ থাকতে পারে না এগুলো অসুস্থতা, বড় ধরনের অসুস্থতা।

আমাদের লেখা অবস্যই অবস্যই মানুষের সমাজের পরিবেশের দেশের পশুপাখির কল্যানে হতে হবে, যদি তাও না হয় তাহলে যেনো অন্তত নির্দোষ আনন্দলাভ হয়। কোনো কারণেরই যেনো কারোও কোনো প্রকার ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
একটি ভালো বই মানুষের পরম বন্ধু আমি মনে করি।
ভালো কিছু থেকে আমরা অনেকেই ভালো শিক্ষা গ্রহণ করি
কিন্তু যে বই/লেখা মানুষকে আনন্দ দেয়না কোনো ভালো
শিক্ষাই দেয় না সেটা অন্তত করার পক্ষে আমি নই ।

আপনার লেখায় গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ দিয়েছেন, ধন্যবাদ ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অবশ্যই একটি ভালো বই মানুষের পরম বন্ধু। ঠিক তেমনই একটি নষ্ট বই একটি নষ্ট লেখা মানুষের সারা জীবনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। নষ্ট লেখা নষ্ট মতামত নষ্ট বই আমরা বর্জন করবো এটিই আজকের চাওয়া। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: একজন লেখকের লেখায় মানুষের জীবনের সৌন্দর্য ও সৌরভ বৃদ্ধির মন্ত্র থাকতে হবে। লেখায় সংসার, সমাজ ও দেশ উপকৃত হতে হবে। আমি মনে করি লেখায় মানুষের সুখ দুঃখের প্রতিফলন থাকতে হবে। লেখা আয়নার মত যেখানে দেখে সুন্দর করে মানুষ জীবন সাজাবে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




একজন লেখকের লেখায় মানুষের জীবনের সৌন্দর্য ও সৌরভ বৃদ্ধির মন্ত্র থাকতে হবে। লেখায় সংসার, সমাজ ও দেশ উপকৃত হতে হবে। আমি মনে করি লেখায় মানুষের সুখ দুঃখের প্রতিফলন থাকতে হবে। লেখা আয়নার মত যেখানে দেখে সুন্দর করে মানুষ জীবন সাজাবে। - ১০০ তে ১০০ ভাগ সঠিক। লেখা দিয়ে কখনো মানুষের সমাজের পরিবেশের দেশের পৃতিবীর ক্ষতে করে দেয়া যাবে না। ছাপার অক্ষরে বিভ্যন্ত ছড়ানোর কাজ কখনো ভালো কাজ হতে পারে না, এটি চুরান্ত প্রকার গর্হিত কাজ বলে বিশ্বাস করি।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো একটি বিষয় নির্বাচন করেছেন।

পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় আবার আসছি....

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের লেখালেখিতে কারোও ক্ষতি হচ্ছে কিনা তা ভাবনার দায়িত্ব ও দায়ভার অবশ্যই অবশ্যই আমাদের। পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় আবার আসছি.... আপনার অপেক্ষায় রইলাম, শুভ কামনা রইলো।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: যে যার মতোন করেই লিখবে। জোর করে কারো উপর চাপিয়ে দিতে পারি না। সবাই যে ভালো লিখবে এরকম কনো কথা নেই। সবার প্রতিভা সমান নয়।
কারো আকছে কবিতা ভালো লাগে, কারো কাছে ফিচার, কারো কাছে গল্প। যার যেটা ভালো লাগবে সে সেটাই লিখুক। তবু লেখালেখির চর্চা অব্যহত রাখুক।
আমার কথাই ধরুন, সকল প্রকার লেখা লিখতে গিয়ে আমি জট পাকিয়ে ফেলেছ। এখন কোনো লেখাই ভালো হয় না।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আচ্ছা। ঠিক আছে।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

জুন বলেছেন: আপনি দেখবেন সব রকম সাহিত্যেই লেখকের চেষ্টা থাকে শেষে সত্যের জয়,অসত্য /অশুভের পরাজয় দেখানো। পৃথিবী বিখ্যাত লেখকরা তাই করেছে । মানুষকে ভালোর দিকে আলোর দিকে টেনে নিতে পারে/ মোটিভেটেড করতে পারে একমাত্র সাহিত্য। তাই সবার চেষ্টা থাকা উচিত পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী ফুটিয়ে তোলা তার লেখায় ঠাকুর মাহমুদ । অল্প কথায় ভালো লিখেছেন।
+

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আজকে সারা বিশ্বে মোটিভেশন পজেটিভ স্পিচের উপর এতো এতো গুরুত্ব কেনো দিচ্ছে? “তুমিও পারবে - তুমিও পারবে - তুমিও পারবে “ এতোবার বলার কারণ কি তা সহজেই বোধগম্য। আমাদের লেখাতে যদি গল্প উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বারবার হত্যা করি পাঠক কি পড়বেন আর কি আয়ত্ব করবেন “বিপদে হাল ছেড়ে দিয়ে মরে গিয়ে বেঁচে যাওয়া” - মরে যাওয়াটা সমাধান?

মানুষকে ভালোর দিকে আলোর দিকে টেনে নিতে পারে/ মোটিভেটেড করতে পারে একমাত্র সাহিত্য। তাই সবার চেষ্টা থাকা উচিত পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গী ফুটিয়ে তোলা - আপনাকে ১০০ তে ১০০ ভাগ সমর্থন করছি।

শুভ কামনা রইলো।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:




সব লেখকের লেখা সাহিত্য নয়; সাহিত্য টিকে থাকে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:






আমাদের লেখার মাধ্যমে যদি গল্প উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বারবার হত্যা করি পাঠক কি পড়বেন আর কি আয়ত্ব করবেন “বিপদে হাল ছেড়ে দিয়ে মরে গিয়ে বেঁচে যাওয়া” - মরে যাওয়াটা সমাধান?

আমি কারোও কারোও লেখা লক্ষ্য করেছি, গল্প লিখেন গল্পের প্রধান চরিত্র হত্যা করার জন্য - এসব কি? আমি লেখককে একজন খুনি মনে করি।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: গল্পের শেষটা সবসময় একই রকম কেন?? হয় মিলন না হয় বিরহ!!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



নিজেকে খুব বড় মাপের লেখক হিসেবে প্রকাশিত করতে হলো সম্ভবত নায়ক নায়িকাকে দেবদাস পার্বতীর রূপ দিতে হবে। এবং গল্প শেষে ২০২০ সনে এসে শুনতে হবে দেবদাস একজন চাষী ছিলেন তাই সে পটল তুলেছে।

আমরা এখন ক্রান্তিকালে বসবাস করছি। চারোদিকে হত্যা খুন অপঘাতে মৃত্যু। তারপর সাহিত্য গল্প উপন্যাসে একই বিষয় তুলে নিয়ে আসলে আর হত্যা খুন খারাবাকে প্রশ্রয় দিয়ে লেখালেখি হলে দিন দিন এর প্রকোপ বেড়েই চলবে। সাহিত্যে সকল নেতিবাচক বিষয়গুলোকে কিভাবে ইতিবাচক করা যায় সেভাবে লেখালেখি করতে হবে। নেতিবাচক বিষয়গুলোকে কোনোভাবেই প্রমোট করা যাবে না।

শুভ কামনা রইলো।


১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: গল্পের শেষটা সবসময় একই রকম কেন?? হয় মিলন না হয় বিরহ!!!

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বিরহ দিন রাত এতোই তাড়া করছে যে গল্প কবিতা উপন্যাসের পাতায় পাতায় বিরহ আর হত্যা মৃত্যু অপঘাতে মৃত্যু দিয়ে সয়লাব করে তিন ঘন্টার বাংলা সিনেমায় রূপান্তর করতে হবে তাহলে একখানা মূল্যবাস! সাহিত্য হবে আর নিজে মহান সাহিত্যিক হওয়া যাবে। এমনিতে প্রিন্টিং ও ডিজিটাল খবরে সারাদিন খুন খারাবা হত্যা মৃত্যু দেখছি, তারপর সাহিত্য পড়তে গিয়ে যদি এসবই পড়তে হয় তাহলে তো মানুষ গল্প উপন্যাস পড়ে উৎসাহ না পেয়ে বরং আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচিত হবে।

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথিতযশা সাহিত্যিকদের রচনায় কেন্দ্রীয় চরিত্ররা প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের লক্ষ্যে উত্তীর্ণ হন।পাঠক হৃদয়ে তারা দাগ কাটবেন। প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে অদম্য লড়াইয়ের মানসিকতা থেকে চরিত্রটি শুধু সাহিত্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না পাঠক হৃদয়ে একটা জীবন্ত চরিত্র হয়ে ওঠে।
তবে আজকাল এই ট্রেন্ড ভেঙে অনেকেই নিজেদের সাহিত্য কর্মে মুখ্য চরিত্রের অপমৃত্যু দেখান। সাহিত্য সমাজের দর্পণ। শক্তিশালী লেখনীতে যে চরিত্র ভাবী প্রজন্মের অনুসরণের কারণ হওয়ার কথা তা না হয়ে তা বিপদজনক হয়ে ওঠে বা ওঠার আশঙ্কা থাকে। তবে এমন সৃষ্টি সাময়িক চমকপ্রদ পেলেও কখনও কালজয়ী হতে পারে না।আর যদি এমন হয় তিনি সমালোচনা হজম করতে পারেন না তাহলে তো তেমন ব্যক্তিকে নিয়ে আশার কোনো কারণ দেখি না।
শুভেচ্ছা প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাইকে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পদাতিক চৌধুরি ভাই, আমাদের বর্তমান সময়টি এখন সত্যি সত্যি খারাপ চলছে, ভয়াবহ খারাপ চলছে। এখন গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধে কোনোভাবেই নেগেটিভ বিষয়কে উৎসাহ দেওয়া যাবে না, যারা এই বিষয়টি উৎসাহ দিচ্ছেন হয় তারা অজ্ঞ অথবা তারা নিজ ব্যর্থতার প্রতিশোধ নিতে চাইছেন তার নিজ নিজ লেখনিতে। গল্প উপন্যাসের চরিত্রকে কোনোভাবেই হেরে যেতে দেওয়া যাবে না, জীবনের সাথে সমাজের সাথে যুদ্ধ করে লড়াই করে তাকে দাড়াতে হবে। এতে করে আরোও দশজন এই লেখা পড়ে দাড়িয়ে যাওয়ার উৎসাহ পাবেন উদ্দীপনা পাবেন।

পদাতিক চৌধুরি ভাই, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সমাজকে এগিয়ে দেয় যে লেখা সেটাই মানুষ ও সমাজের জন্য মঙ্গল।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অবশ্যই লেখার উদ্দেশ্য হতে হবে মঙ্গলের জন্য, কোনোভাবেই অমঙ্গলের জন্য নয়। লেখার মাধ্যমে দিন বদল আনতে হবে। লেখার মাধ্যমে আনতে হবে জীবনের প্রতি স্নেহ মায়া মমতা ও ভালোবাসা। লেখার মাধ্যমে তৈরি করতে হবে মানুষের সাথে মানুষের মজবুত সেতু বন্ধন। আর তাহলেই খোঁজে পাওয়া যাবে লেখার স্বার্থকতা।

শুভ কামনা রইলো ভাই।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৬

ঢুকিচেপা বলেছেন: লেখা পড়ে ভালো লাগলো।
প্রতিটা গল্পে একটা ভালো মেসেজ থাকা উচিত।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি আমার লেখাতে যদি কারোও সামান্যতম কোনো উপকার না করতে পারি তাহলে কেনো এতো কষ্ট করে লেখলেখি? অবশ্যই লেখালেখিতে ভালো একটি মেসেজ থাকতে হবে।


শুভ কামনা জানবেন।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:



কিন্তু সমস্যা হচ্ছে অপব্যাখ্যা বা ভিত্তিহীন লেখা নিয়ে কিছু বলতে গেলে উল্টো আরও অপদস্থ হতে হয় ।
সমালোচনা অনেকে একদম নিতেই পারেনা । ভীষণভাবে রিয়েক্ট করে ।

আলী ভাই, জীএস, সামু ব্লগের ইন্সপিরেশন । ওনাদের লেখা পড়তে খুবই ভালো লাগে ।





১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি অর্থ ব্যয় করে বাজার থেকে একটি বই কিনে পড়বেন কিছু জানার জন্য, উপকারের জন্য, আনন্দের জন্য নাকি হতাশায় নিমজ্জিত হবার জন্য? এখন এই বিষয় নিয়ে বলে যদি অপদস্থ হতে হয় তাহলে চুপ থাকাই শ্রেয়।

অসীম শক্তির বাহক মানুষ। লেখালেখির মাধ্যেমে মানুষকে কোনোভাবেই পরাজিত করা যাবে না। তাকে জীবন যুদ্ধ লড়াই করে সফল হতে হবে।pen is mightier than the sword - তাই কলমকে কখনো অপব্যবহার করা যাবে না।

১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:

সম্প্রতি কোনও একজনের লেখায় সমালোচনা করায় উনি আমাকে মানসিক রোগী বলেছেন :)
বেচারা !!! তারজন্য আমার মায়াই লেগেছে ।



১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




থিংক পজেটিভ। মানুষেরই মানসিক রোগ হতেই পারে - আবার সুস্থ্ও হোন, নাকি বলেন? কিন্তু কোনো মানুষের যদি জন্তুর রোগ ধরে বসে তাকে কিভাবে সুস্থ করবেন?

১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আচ্ছা। ঠিক আছে।

ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ওকে, ঠিক আছে।


১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৪২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: লেখালেখি হতে হবে জীবনমুখী, সকলের কল্যানের জন্য, কখনো অকল্যানের জন্য নয়।
.....................................................................................................................
অত্যন্ত বাস্তব কথা,
সহমত পোষন করি ।
তারপরও সামু প্রানবন্ত হয়না ?
কোথায় প্রতিকুলতা ভেবে দেখেছেন কি ???

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপাত দৃষ্টিতে আপনি যে প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর সহজ মনে হলেও আসলে উত্তর বেশ কঠিন ও বেশ বড়। আপনার উত্তর দিতে আস্ত একটি পোস্ট দেওয়া প্রয়োজন মনে করি। তবে আপাতত আপনাকে জানাচ্ছি: - ব্লগ একটি সফটওয়্যার মাত্র, এর নিজস্ব প্রাণ নেই, প্রাণ আছে ব্লগারেদের, ব্লগারগণ প্রাণবন্ত হতে পারছেন না।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: আপনার প্রশ্ন আমার মনে থাকবে বিস্তারিত লিখে আমি আস্ত একটি পোস্ট দেওয়ার কথা ভাবছি।

১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৫৭

কালো যাদুকর বলেছেন: চমৎকার বিষয় ৷ আসলে লেখালেখির উদ্দেশ্য অবশ্যই মহৎ হতে হবে ৷ তবে হতাশা, ক্ষোভ ইত্যাদি ও সমাজের ছবি ৷ যদিও ঔ সমস্ত লেখাতে সব সময সমাধান থাকে না ৷ কিন্তু ঐ ধরনের লিখার মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের মধ্যে আলোচনার সূত্রপাত হতে পারে। এজন্যই সব লেখাতে সমাধান নাও থাকতে.পারে ৷

অনেক ধন্যবাদ৷

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




লেখাতে যদি “হতাশা বিষন্নতা ক্লান্তি ক্ষোভ আক্রোশ” থাকে লেখক নিজের দায়িত্বে সেই লেখার মাধ্যেমে একই লেখাকে ফার্স্ট ট্র্যাকে তুলে উৎসাহপূর্ণ লেখায় সমাপ্ত করা। লেখার শুরুতে গল্পের একটি প্রধান চরিত্র হত্যা করে সমাপ্তে আরেকটি প্রধান চরিত্র হত্যা করা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত মনে করেন?

আপনাদের মতামত জানা সত্যি সত্যি জরুরী। আপনাকেও ধন্যবাদ।


১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৩০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ প্রসঙ্গ কথায় অনেকের লেখালেখির কিছুটা স্বরূপ উঠে এসেছে লেখাটিতে ।
আমার মত একজন অতি সাধারণ ব্লগারকে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করায় পাঠককুল বিব্রত না হলেই রক্ষা ।
বিভিন্ন লেখক তো ভিন্নধর্মী হবেনই।এক এক জনের চিন্তা ও তার ফলস্বরূপ সৃস্টি এক এক টি ছক বা প্যাটার্ন রচনা করে।
কিন্তু ছকে বা নকশায় যতই পার্থক্য এবং অভিনবত্ব থাকুক, একটা বিশিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।সুতরাং
ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট নিয়েও তারা একটি যুগেরই বিভিন্ন ফল । সে ফলগুলির কতক হয় কটু , তিক্ত , কষা, অম্ল , মধুর –
নানা রসের সামগ্রী হতে পারে । কিন্তু সেগুলি যদি কাল -পরিমিতভাব- বহির্ভুত একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নির্দেশক
সমাজের স্বার্থকে বুঝায়, তাহলে সাহিত্য সাধনাটি পরিশ্রমী হলেও তা আখেরে সমাজের মঙ্গল সাধনে বয়ে আনে
শুন্য (০) ফল । শুধু শুন্য ফলই নয় এমনকি নিগেটিভ পরিনতিও টেনে নিয়ে আসতে পারে ।

এ প্রসঙ্গে মনে পরে সাহিত্যিক অক্ষয়কুমার দত্তের কথা যিনি ছিলেন বাঙ্গালীর মধ্যে একটি বিজ্ঞানমনস্ক লেখক । বাংলা
সাহিত্যকে জ্ঞান চর্চার উপযোগী করে তুলেছিলেন তিনি । ধর্মের নিশ্ফলতা সম্পর্কে লিখেছিলেন একটি বিখ্যাত সমীকরণ ।
শ্রম + প্রার্থনা = শষ্য ; শ্রম = শষ্য ; সুতরাং প্রার্থনা = ০ । তেমনিভাবে বলা যায় যে সাহিত্য যদি সমাজের সকলের সার্বিক
মঙ্গল কামনার লক্ষ্যে পরিচালিত না হয়ে বিশেষ কোন মনোবিলাস চরিতার্থের জন্য রচনা করা হয় তার ফলাফল শুন্যতেই
পর্যবেসিত হয় , কালের গর্ভে, সময়ের আবর্তে তা হারিয়ে যায় , কোনরূপ স্থায়িত্বতা পায়না , সকলের কাছে গ্রহনযোগ্যতাও
হারায় ।

এ প্রসঙ্গে পঞ্চদশ শতকের মৈথিলি কবি বিদ্যাপতির কথা উল্লেখ করা যায় । বিদ্যাপতি বাংলা ভাষায় একটিও
কবিতা লিখেননি তবু তিনি বাংলা ভাষার কবি । বিদ্যাপতি লিখেছেন ব্রজবুলি নামক একটি বানানো ভাষায় ।
বঙ্গদেশে তার প্রচলিত পদাবলীর ভাষা ব্রজবুলি। বাঙালিরা চর্যাগীতির ভাষা থেকে এই ব্রজবুলীকে অনেক সহজে
বুঝতে পারেন। মিথিলার উপভাষা ব্রজবুলিই ছিল তার পদাবলির বাহন। এই ভাষার ধ্বনি-মাধুর্য ও সঙ্গীতময়তা
বাংলা কাব্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তার পদাবলি বাংলা, আসাম। উড়িষ্যা ও পূর্ববিহারে সমাদৃত। ব্রজবুলি মধ্যযুগীয় বাংলা
সাহিত্যের দ্বিতীয় কাব্যভাষা বা উপভাষা। মৈথিলি ও বাংলার মিশ্রিত রূপ হলো ব্রজবুলি ভাষা। মিথিলার কবি বিদ্যাপতি
এর উদ্ভাবক। রাজা শিবসিংহ তাঁকে ‘কবিকন্ঠহার’ উপাদিতে ভুষিত করেন ।
বিদ্যাপতির পদাবলির কটি বিখ্যাত লাইন –
কি কহব রে সখি আনন্দ ওর |
চিরদিনে মাধব মন্দিরে মোর ||
পাপ সুধাকর যত দুখ দেল |
পিয়ামুখ দরশনে তত সুখ ভেল ||

বিদ্যপতির পদাবলীর প্রসঙ্গ টেনেই বলি বিভিন্ন লেখকগন যে যেমনি লিখুন আমরা বুজে নিব
আমাদের মত করেই , সুধারস কিছু যদি থাকে তাতে নিয়ে যাব তা, আর সেগুলিতে তিতা অম্ল যা
কিছু থাকে সে গুলি রেখে যাব তাদেরই পাতে ।
সরিষা ক্ষেতের ফুলে থাকে বড় ঝাঁজ, তবে সেগুলি হতে মৌমাছি রেনু তুলে গড়ে তুলে মিঠা মধুর আবাস ।
যাহোক এ পোষ্টের কথা মালার অনুরনন করেই বলে যাই একজন লেখকের লেখায় সমাজ যেন উপকৃত হয়
বিবিধ প্রকারে ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

ছবি সূত্র: লেখালেখি করার কিছু পন্থা অবলম্বন

সাম্প্রতিক বিশ্ব সমস্যা - করোনাভাইরাস মহামারীর কবলে চলতি বছরটা সবার জন্যই দুর্বিসহ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাইরাসের কবলে অগনিত মানুষ তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। যারা সুস্থ হয়েছেন তাদেরও ধকল কম যায়নি। আর আতঙ্ক হয়ত আজও বিরাজমান পুরো পরিবারে। আমি বিশ্বাস করি যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তারা একমাত্র মানসিক শক্তিতে ইতিবাচক চিন্তার কারণে সুস্থ হয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই আমরা লেখালেখি করে আসছি। যা শিখেছি তা পরীক্ষার খাতায় কলমের খোঁচায় লিখে এসেছি। এখনকার যুগে পরীক্ষার খাতায় শুধু মুখস্ত লিখলেই হয় না, সৃজনশীল পদ্ধতি আসার কারণে নিজের জ্ঞান ব্যবহার করেও লিখতে হয়। এছাড়াও নোট খাতায় প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোও টুকে রেখেছি, কেউ কেউ হয়তো গল্প-কবিতা লিখে আশেপাশের মানুষগুলোকে তাক লাগিয়ে দিয়েছি। একটি বিষয় লক্ষ্য করেছেন? একটি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর একই টপিক পড়ে একেকজন একেকরকম লিখেন আর একেকরকম নাম্বারও পাযন। অথবা অনেকেই গল্প-কবিতা লিখেন, কিন্তু কারোটা একটু অন্যরকম হয়, কেমন যেনো একটু বেশি আকর্ষণ করে। এর কারণ কী? কারণ হচ্ছে তার লেখার দক্ষতাটা একটু বেশি। তিনি তার ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি এমন কিছু ইতিবাচক কৌশল ব্যবহার করেন যা তার লেখাকে গ্রহণযোগ্য করে তোলে।

যাদের পারিবারিক হৃদরোগের ইতিহাস আছে অথচ তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক। - নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির তুলনায় তাদের হৃদরোগের বা অন্য কোনো অসুখের আশঙ্কা এক তৃতীয়াংশ কম। আরেকটি সম্ভাবনা হল, আশা এবং ইতিবাচকতা মানুষকে স্বাস্থ্য ও জীবন সম্বন্ধে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে এবং আরও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে নজর দিতে প্রণোদিত করে। নেতিবাচক ইমোশন দুর্বল করে দেহ প্রতিরোধকে।

নেতিবাচক লোক ব্লাড ক্যানসারের চেয়েও ভয়াবহ। এটি যেমন ব্যক্তির জন্য সত্য তেমনি সত্য সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও। নেতিবাচক চিন্তার অধিকারী ব্যক্তি আপনার মূল্যবোধকে অবমূল্যায়ন করবে, ভাবমূর্তিকে করে দেবে ধ্বংস। সুতরাং সবসময় নেতিবাচক চিন্তার অধিকারী লোক, সে যে-ই হোক না কেন, তাকে বর্জন করা সমাজের জন্য দেশের জন্য মঙ্গল।

আমাদের উচিত ইতিবাচক বিষয়ের মাঝে চিন্তা সীমাবদ্ধ রাখা এবং জীবন যাপন করা।

ভাইসাহেব, আপনার অত্যন্ত মূল্যবান ও শিক্ষনীয় মতামতের জন্য আপনার প্রতি রইলো অনেক অনেক সম্মান ও আন্তরিক অভিনন্দন। আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। ফি আমানিল্লাহ।

২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৩১

ইসিয়াক বলেছেন: খুব ভালো একটা বিষয় উপস্থাপন করেছেন প্রিয় মাহমুদ ভাই।
আমিও চেষ্টা করবো আমার লেখায় পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি ফুটিয়ে তুলতে।

শুভকামনা সবসময়।
দোয়া রইলো।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




প্রিয় ইসিয়াক ভাই,
আমাদের জীবনকে সামনে এগিয়ে নিতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। সফলতা অর্জনের জন্য ইতিবাচক কার্যকলাপের কোনো বিকল্প নেই। আমার বিশ্বাস, আমরা অন্তরে যা ধারণ করি, তা আমাদের সকল কাজে-কর্মে, শিক্ষাদীক্ষায় স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। আমি আরও বিশ্বাস করি, ইতিবাচক শক্তি ও আশা-প্রত্যাশা, আমাদের চ্যালেঞ্জ বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।

আমাদের লেখালেখিতে অবশ্যই ইতিবাচক চিন্তা চেতনা আসতে হবে তাহলেই মঙ্গল হবে পরিবার, সমাজ, পরিবেশ ও দেশের। আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময়।

২১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাললাগা থেকে, ভালবাসা থেকে, দায়বন্ধতা থেকে মানুষ লিখে থাকে আর বহুবিধ কারণে। সবারগুলো ভাল হয়না, হবেনা। কিন্তু লেখালেখির মূল উদ্ধ্যেশ্য জীবনমূখী ও কল্যানকর হওয়া দরকার।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এ সমাজে অনেক মানুষ আছে যারা নেতিবাচক চিন্তা করেন। তারা কাজও করে নেতিবাচক যার কুফল সে একা ভোগ করে এমন নয়, পুরো পরিবারকে বহন করতে হয়, এমনকি জাতিকেও। আমার দীর্ঘ কর্মময় জীবনে অনেক সহকর্মী ও বন্ধুদের দেখেছি যারা নেতিবাচক ধারণার কারণে নেতিবাচক কার্যকলাপে জড়িত হতেন। ওটাতেই তাঁদের আনন্দ। আমি অনেক চেষ্টা করেছি তাদের ফেরাতে। কিন্তু আমি তাঁদের বদলাতে পারিনি। কারণ, তারা কোনোকিছুকেই ইতিবাচকভাবে মেনে নিতে পারেন না। এ কারণে সবকিছুই মনে করেন কঠিন।

ইতিবাচক ও সৃষ্টিশীল কোনো কাজ যখনই তাদের সামনে উত্থাপন করেছি, তখন তারা বলতেন, এটা অসম্ভব ও জটিল একটি কাজ। তাই কাজ করা হতে বিরত থাকতেন, অধিকন্তু নেতিবাচক ধারণার ফলে অন্যকেও সহায়তা করতেন না।

সর্বশেষে আপনার মতো আমিও বলতে চাই - লেখালেখির মূল উদ্দেশ্যে জীবনমূখী ও কল্যানকর হওয়া দরকার।

শুভ কামনা রইলো।

২২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

করুণাধারা বলেছেন: লেখালেখি সম্পর্কে অল্প কথায় সুন্দর দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আসলে আমাদের এমন কিছু লেখার চেষ্টা করা উচিত যা মানুষের মনে ছাপ ফেলে, যা দিয়ে মানুষের উপকার হয়। আমার প্রিয় লেখক টলস্টয়, তার লেখা তিনটি প্রশ্ন আর সাড়ে তিন হাত জমির গল্প আমার মনে গভীর দাগ কেটে বসে আছে।

ব্লগে একপেশে লেখা পড়তে পড়তে ক্লান্তিবোধ করি, এসময় আপনার এই লেখাটা খুব ভালো লাগলো। +++++

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অত্যন্ত কঠিন ও জটিল কাজে সফল হতে হলে ইতিবাচক কার্যকলাপের বিকল্প নেই। ইতিবাচক কার্যকলাপের সফলতা পরবর্তীকালে অন্যান্য কাজের ওপরও প্রভাব ফেলে। একইভাবে আমাদের নিজেদের ইতিবাচক কার্যকলাপ অন্যদের ওপর প্রভাব ফেলে। এ প্রভাব ইতিবাচক বা নেতিবাচক দুইভাবেই হতে পারে। ইতিবাচক চিন্তা করলে মানুষ বাঁচেও বেশিদিন। ইতিবাচক চিন্তা বা হাসি-খুশী মন মানুষকে বেশী দিন বাঁচিয়ে রাখে। ইতিবাচক ও হাসি-খুশী ভাব খোলা মনের ও ভালো হৃদয়ের পরিচায়ক।

যে মন খুলে হাসতে পারে না, ইতিবাচক চিন্তা করতে পারে না- সে পৃথিবীর সবচেয়ে অসুখী ব্যক্তি। হাসি-খুশী মন ও ইতিবাচক চিন্তার অধিকারী মানুষ সুস্থ থাকে বেশি। নেতিবাচকতা অসুস্থতার নামান্তর। অসুস্থ ও নেতিবাচক চিন্তা-চেতনা মানুষকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়।

আমাদের জীবন চলার পথে ইতিবাচক লেখা গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ কি পরিমান উপকার করে তা বলে লিখে শেষ করা যাবে না। তাই আমাদের নেতিবাচক লেখা বর্জন করে ইতিবাচকের সাথে চলতে হবে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপা, শুভ কামনা রইলো।

২৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১

কালো যাদুকর বলেছেন: আমি হয়ত বুঝাতে পারিনি ৷ একটি লেখাতে অনেক সময় একটি সামজিক সমস্যা উল্লেখ করে. আবার সমাধান দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে ৷ দুটি উদাহরন দিচ্ছি ৷ ধরেন একটি গল্পা লিখা হল। গল্পের বিষয়বস্তু হল " বেকার সমস্যা " ৷ এ গল্পে বেকার সমস্যা কেন হয় 'এর সমাধান কি কি ইত্যাদি আলোচনা হতে পারে। এটা একটি আইডিয়েল গল্প ৷ আবার ধরেন একটি গল্প লেখা হল যেটার বিষযবস্তু হচ্ছে বর্ণবাদ ৷ কাগজে কলমে বা আইনে যদিও বর্ণবাদ এলাও না ৷ তারপরের গত ১ শত বছরে বর্ণবাদ নির্মূল হয়নি। এই গল্পটিতে এবিষযগুলো আসতে পারে ৷ তবে বর্ণবাদের কোন সমাধান একটি গল্পতে দেয়া সম্ভব নয় । লেখক এ গল্পে সমাধান দিতে পারবেন না ৷ লেখক যেটা করতে পারেন সেটা হচ্ছে একটা নতুন আলোচনা শুরু করতে পারেন ৷ যে আলোচনায় পাঠকরা অংশ নিতে পারেন ৷ যদি আলোচনা বড় হতে থাকে, তাহলে একটি সামাজিক সচেনতা তৈরি হতেও পারে ৷

আর আপনার প্রশ্নের উত্তর হল- না আরেকটি চরিত্র গল্পের শেষে হত্যা করলে কখনো কখনো যুক্তি সঙ্গত হতে পারে ৷ কখনো নাও হতে পারে ৷ নির্ভর করে গল্পের বিষয বস্তুর উপর ৷

মির মোশারফ হোসেনের " বিষাদ সিন্ধু" এটি একটি বই যেটাতে আমি কোন সমাধান পাইনি৷ তবুও এটি একটি অনবদা উপন্যাস।

দুঃখিত উত্তর একটু লম্বা হয়ে গেল ৷ ভাল থাকুন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই কালো যাদুকর, আপনার প্রথম মন্তব্যর সাথে আমিও একমত, ২য় মন্তব্যর সাথেও একমত। আপনার মন্তব্য মোটেও বড় হয়নি, হয়েছে বাস্তব সম্মত ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

মীর মোশারফ হোসেনের বিষাদ সিন্ধু গল্প উপন্যাস নয় এটি ইতিহাস, আর ইতিহাস চাইলেও মীর মোশারফ হোসেন বদলাতে পারেন না। কিন্তু আমার/আমাদের লেখা গল্প উপন্যাস কবিতা প্রবন্ধ আমি বা আমরা নেতিবাচক থেকে ইতিবাচক সমাপ্ত করতে পারি।

ইতিবাচক চিন্তা হচ্ছে এমন এক মানসিক মনোভাব ধারন করা যার জন্য আমরা প্রতিটি কাজের ভালো এবং সন্তোষজনক ফলাফল আশা করি। অন্যভাবে বলতে গেলে ইতিবাচক চিন্তা হচ্ছে প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আশাহত না হয়েও ঠান্ডা মাথায় পরিবেশকে নিজের অনুকূলে নিয়ে আসার চেষ্টা করে যাওয়া। জীবনকে সুস্থ, সুন্দর করার জন্য ইতিবাচক চিন্তার কোন বিকল্প নেই। সাদা ও কালো চিন্তা (ইতিবাচক ও নেতিবাচক চিন্তা) এবং আবেগিক যুক্তি (কোন বিষয় সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তার উপর ভিত্তি করে)।” চিন্তাভাবনা একজন মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। কিন্তু যখন এমন নেতিবাচক চিন্তার চক্রে মানুষ আবদ্ধ হয়ে যেতে থাকে তখন চিন্তাভাবনার প্রভাব পড়ে কাজ কর্মে।

এই নেতিবাচক চিন্তার চক্রে আবদ্ধ হয়ে তার ভিত্তিতে কাজ করা শুরু করে এবং তা আবার প্রভাব ফেলে নিজস্ব বিশ্বাসের ওপর, এভাবেই এই চক্র চলতে থাকে। তাই আমাদের ডার্ক সাইড পরিত্যাগ করে আলোর সাথে বসবাস করতে হবে। ইতিবাচক লেখা ইতিবাচক চিন্তা চেতনা আমাদের মুক্তি পথে নিয়ে যাবে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সুন্দর মুল্যবান প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
এর সাথে থাকা ছবিটি আমার লেপটপে দৃষ্টিগোচর হচ্ছেনা ।
আপনি সম্ভবত ইমগুর ব্যবহার করে ছবি সংযুক্ত করেছেন ।
আপনার ডিভাইসে কি ছবিটি দেখা যাচ্ছে ।
মনে হয় ইমগুরে কোন টেকনিকেল সমস্যা হয়েছে,
কিংবা আমার কম্পিউটারে সমস্যা তৈরী করে ফেলেছি ।
বিষয়টা একটু জানা দরকার ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই সাহেব, আমি ছবিটি ইমগোর এর মাধ্যমে লোড করেছি। হয়তো ইমগোরে কোনো সমস্যা হয়েছে অথবা আপনি আপনার কম্পউটার ইন্টারনেট অপরেটর কোনটি ব্যবহার করছেন তাতে, আপনি ইন্টারনেট অপরেটরে সেটিংস অপশনে গিয়ে আপডেট করুন আশা করছি সমস্যা থাকবে না।

২৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫২

স্প্যানকড বলেছেন: ইদানীং লক্ষ্য করা যায় সবাই কম বেশি লেখার চেষ্টা করে কিন্তু সমস্যা হলো এত লেখার পরেও সমাজ যদি নীচের দিকেই যাইতে থাকে তাইলে ই ক্ষতি । পাঠক ও তেমন ভাবে পড়ছে না মানে নিজেকে বদলানোর চেষ্টা করছে না শুধু পড়ার দরকার তাই পড়া। এ জেনারেশন ইদানীং নানান কিছুতে জড়িয়ে ফেলছে নিজেদের। যেখানে ঐষী বাণী ই কাজে আসছে না অতটা। তাইলে আপনার আমার লেখা কতদূর ? কতদূর সমাজ গড়তে সাহায্য করবে ? প্রতিবছর বই মেলা হয় এতে অনেক খারাপ বই ও হিট লিস্টে চলে আসে কেন? অনেকে বই কিনে ছুঁয়েও দেখে না। আসলে অনেক সমস্যা আমাদের আছে। উন্নত বিশ্বে মেট্রো তে বাসে ওরা এক হয় গান শোনে অথবা বই পড়ে । আমাগো এহানে বাসে উঠার আগে পরে চিন্তা এই বুঝি মানিব্যাগ হাওয়া। তারপর পরিবেশ অনুকূলে নয়। এ জাতিকে আগে পড়ার গুরুত্ব বুঝাতে হবে তাইলেই লেখার মান ভালো হবে। এহন তো যাচ্ছে তাই খাওয়ানো যায় হোক পঁচা হোক বাসী। বহু বড় হয়ে গেল দুঃখিত । তবুও আশা রাখি। ভালো থাকবেন।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সত্যি সত্যি তাই, ইদানিং সবাই লেখক হতে চান - পড়ালেখা না করেই। কেউ কপিপেষ্ট লেখক, কেউ চোর লেখক। এই ধরনের বই এখন কে পড়ে সত্যি আমার জানা নেই। এই বই পল্টন নীলক্ষেত ফুটপাতে পরে থাকার কথা। আপনি আপনার মন্তব্য কিছু পোস্টাকারে পোস্ট দিয়ে দিতে পারেন? আপনি নিয়মিত পোস্ট দিতে থাকুন আপনি ফ্রন্ট পেজে লেখার সুবিধা পেয়ে যাবেন।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: নিজের টাকায় বই ছাপিয়ে আজকাল অনেক লেখক আত্মপ্রকাশ করেছেন। এতে অনেক তথাকথিত প্রকাশকের জন্ম হচ্ছে নিত্য নতুন।
লেখালেখি করে কি সমাজে ভালো কিছু করা সম্ভব? মানুষ জন্মগতভাবে খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্ত।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অনেক দিন পর আপনাকে পাওয়া গেছে। আপনি আছেন কেমন?

মানুষ জন্মগতভাবে খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্ত। - আপনার কথা আংশিক সত্য। মানুষ জন্মগতভাবে খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্ত। তবে সবাই না, যারা আসক্ত তাদের কথাবার্তা লেখায় আপনি আসক্তি পাবেন। বাংলাদেশে প্রচুর লেখক প্রচুর প্রকাশক, প্রচুর ছাপাখানা।

সব ফেবুকার এক একজন বিজ্ঞানী, সবাই লেখক গবেষক সাংবাদিক শিক্ষক কথা সাহিত্যিক নারীবাদী। সবাই নারীদের স্বাধীনতা চান তাই এই দেশে ডিভোর্স বেশী হচ্ছে - ডিভোর্স দিয়ে দিয়ে স্বাধীন করে দিচ্ছেন।

২৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৮

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটা ব্যাপার খুব লক্ষ করা যায়।সেটা হচ্ছে যে একজন লেখক অতীতে কোনো এক ধরণের লেখা লিখে বিখ্যাত হয়েছেন বা কোনো এক ধরণের লেখা জনপ্রিয় হয়েছে, তখন সেই ধরণটাকে আরো অনেকেই অনুকরণ করতে শুরু করেন স্বজ্ঞানে।যার ফলে একই রকম অনেকগুলো লেখা পাওয়া যায়।দেবদাস বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় উপন্যাস।সেখানে বিরহ,নায়কের মৃত্যু একই সাথে বিদ্যমান।এরপর থেকে সাহিত্যে এরকম অনেক লেখা এসেছে। এমনকি এখনো আসছে। কিন্তু এদের অনেকগুলোই হারিয়ে গেছে এবং যেতে বাধ্য।কারণ মানুষের জীবনসম্পৃক্ততা না থাকলে, মানুষের,সমাজের কল্যাণের কথা নিহিত না থাকলে সেই সাহিত্য কালজয়ী হয় না। সাহিত্যকে সত্যের ধারক হতে হবে।অনুপ্রেরণার উৎসস্থল হতে হবে। আর সাহিত্যে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লেখক যেভাবে, যে দৃষ্টিতে সমাজ ও জীবনকে দেখেন তার লেখাতেও তার ভাবনারই প্রতিফলন ঘটবে। আর তাই অনেক লেখাতে নেতিবাচকতা দেখা যায়,যা সমাজ,মানুষের জন্য ক্ষতিকারক।তবে সেসব সাহিত্য কখনোই টিকে থাকে না।

২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিচ্ছি মূল ‍বিষয়টি আপনি খুবই ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। অনুকরণ আর গল্প উপন্যাসের মূল চরিত্র হত্যা করে লেখক স্বার্থক হওয়া সব সময় সম্ভব হবে - এমন কোনো কারণ নেই।

আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।

২৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: মূল চরিত্রকে হত্যা করে অনেকে একটা বিষাদ,একটা সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করে। অনেক বিখ্যাত লেখায় মূল চরিত্রের মৃত্যু আছে।কিন্তু সেই মৃত্যু অহেতুক নয়। বৃহত্তর কল্যাণের সার্থে তারা মৃত্যুবরণ করেছে।পরাজয়কে প্রতীকায়িত করে তারা মরে নি। তাদের মৃত্যু বরং পাঠককে অনুপ্রাণিত করে।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল, গতকাল একটি পোস্টে আমার মন্তব্যর প্রেক্ষিতে আমার সে পোস্টে আবারও মন্তব্য করতে হয়েছে। তাই গতকাল আপনার মন্তব্য উত্তর দিতে পারিনি, আর আজকে বৃহস্পতিবার হওয়াতে ব্যাংকিং আর অফিসিয়াল ঝামেলার কারণে মন্তব্য উত্তর করছি সারাদিন শেষে - এখন। - তাই, প্লিজ মনোকষ্ট নেবেন না।

দুঃখগাথা আর করুণার মাধ্যমে কিছুই অর্জন সম্ভব না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি আগামীতে আপনি আমার নতুন পোস্ট অবশ্যই অবশ্যই পড়বেন এবং আপনার মন্তব্যর জন্য আমি অপেক্ষা করবো।

শুভ কামনা রইলো।

২৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


লেখার শুরুতেই বলেছেন //আমরা কেনো লেখি?// -ভালো প্রশ্ন।
পাঠকদের আলোচনা উপভোগ করছি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকে আমার আগামী লেখাতেও পাশে পাবো এই আশা ব্যক্ত করে বিদায় নিচ্ছি। শুভ কামনা রইলো।


৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা যারা কিছুটা লেখালেখি করি, তাদের জন্য আপনার এ পোস্ট যেন একটা সতর্কবার্তা। মাঝে মাঝেই আমাদের এ প্রশ্নটা নিয়ে ভাবা উচিত, 'আমরা কেনো লেখি?' ঠিকঠাক লিখছি তো, উদ্দেশ্য ঠিক আছে তো? আমাদের লেখাটি কোন দোষে দুষ্ট হচ্ছে না তো? ইত্যাদি।

যে কোন লেখকের জন্য আত্মানুসন্ধান একটা চলমান প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। যারা তাদের লেখায় এটা সঠিকভাবে সঠিক সময়ে করতে পারেন, তাদের লেখায় উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি আসে, তাদের লেখা থেকে পাঠকও উপকৃত হয়।

নেওয়াজ আলি, জুন, মিরোরডডল, কালো যাদুকর, ডঃ এম এ আলী, করুণাধারা, মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে। আপনার ১৪ নং প্রতিমন্তব্যটি চমৎকার হয়েছে।

পোস্টে ত্রয়োদশতম ভাললাগা। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.