নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্রাজ্য - একটি রূপকথা

১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০৬




১.
রৌদ্র কেমন ঝিকমিক করে উঠছে যেনো মরু হাওয়ার সাথে রৌদ্রের সোনালী স্রোতের লাভা গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে। বেশ কয়েক বছর যাবত গরম আবহাওয়া পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছে। আশ্চর্য বিষয় সমস্ত পৃথিবীই কি মরুভুমি হয়ে যাবে? ব্যাপার কি? এর প্রতিকারে মানুষ কি কিছুই করছে না - কিছুই করবে না? এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবী অচিরেই ধ্বংস হয়ে যাবে নির্ঘাত। - বিশাল প্রকাণ্ড এক গর্জন গাছের চূড়ার বসে পরান আজকাল এই ধরনের উচ্চমানের চিন্তা ভাবনা করেন! মজার ব্যাপার হচ্ছে আজকাল ক্লান্ত দুপুরগুলোতে পক্ষী সমাজের সকল সর্দাররা পরানের কাছে অতীতের নানান অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে চলে আসেন। গল্প শুনে শুনে শিহরিত হোন কখনো ভয়ে কখনো বা আনন্দে। আর শুনবেন না কেনো? পরান তো আর যেনোতেনো কোনো পাখি নন, সবার রাজা ঈগল! তাঁর বয়স ও অভিজ্ঞতাও বেশী, শারীরিক শক্ত অবকাঠামো, অত্যাধিক শক্তি, সাহসিকতা এদের বংশ পরম্পরা সম্পত্তি তাছাড়া দীর্ঘায়ু ও স্মরণশক্তি বেশী হওয়ায় পূর্ব পুরুষদের ব্যক্ত করা ঘটনা সহ গচ্ছিত হয়েছে অনেক অনেক বিরল ও সাহসিকতার অভিজ্ঞতা।

২.
পরান আজকাল খুবই বড় ধরনের এক চিন্তায় মগ্ন থাকেন যা শুধু পক্ষীকুলই নয় মানব সমাজ সহ সমস্ত প্রাণীকুলই বিপদের মুখে চলে যাচ্ছে। আর তাই হয়তো আজ অতীত আর পূর্বপুরুষদের খুবই মনে পড়ে। এ ধরনের সমস্যা তারা কিভাবে মোকাবেলা বা সমাধান করতেন? তাদের সময় এ ধরনের সমস্যা অবশ্যই হয়েছে কিন্তু পরান আজ এ ধরনের সমস্যার কথা দিনের পর দিন ভেবে ভেবে ক্লান্ত ও অবসন্ন বোধ করেন। আশ্চর্য বিষয়, অত্যাধিক চিন্তা থাকলে কি ঘুম আসে বেশী? হয়তোবা। দাদাজান ও বাবার সাথে আরো বেশী সময় সঙ্গ পেলে হয়তো এই ভয়ঙ্কর জটিল সমস্যার সমাধান সহজে বার করতে পারতেন। বাবা বেঁচে থাকলে আজ বড় সাহস পেতেন। হয়তো দ্রুত ও শক্ত সিদ্ধান্তও নেয়া সম্ভব হতো। বাবার জন পরানের খুবই মন খারাপ লাগে আর তখনই নিজেকে খুব একা লাগে।

৩.
ইদানিং বিদেশ হতে প্রচুর বিদেশী পাখি চলে আসছে যা পক্ষিকুলের সঠিক আইন মেনে চলছেনা এবং সাথে তাল মিলাচ্ছে সমাজ বর্হিভূত কিছু পাখি তার মধ্যে অন্যতম কোকিল ও ময়না। এছাড়া মানুষ এই সকল বিদেশী পাখিদের খুবই কদর করছে বিশেষ করে নানান বড় বড় বিল, ঝিল, নদী, হাওড় এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের জন্য অভয়ারণ্য ও অভয়াশ্রম বলে ঘোষণা করেছে! কি অদ্ভুৎ! বিদেশী এই পাখিগুলো যখনই আসছে সাথে করে নিয়ে আসছে খুবই খারাপ ধরনের মহামারী রোগ! এখানকার পক্ষীকুল এ ধরনের রোগ বা মহামারীর সাথে পরিচিত নয় তাই দিন দিন এখানকার পাখি বিলুপ্ত প্রায়। পরানের বিশ্বস্ত ডান হাত দোয়েল আর বাবুই আর শক্তিশালী বিশ্বস্ত শকুন প্রায় বিলুপ্ত বললেই চলে। গৃহপালিত হাঁসমোরগ সমাজ কাকের মাধ্যমে প্রতিদিন খবর পাঠাচ্ছেন। অন্যান্য সবাই বিপদগামী তাছাড়া মানুষও যে বিপদে নেই তা কিন্তু নয় সবচেয়ে বড় বিপদই হবে মানব সমাজের জন্য! কিন্তু মানুষের স্বল্প জ্ঞান আর স্বল্প আয়ূতে অতীত অভিজ্ঞতা স্মরণ না থাকায় হয়তোবা বুঝতেও পারছেন না! তাছাড়া পক্ষীরাজ ঈগল মানুষের সাথে যোগাযোগের কোনো মাধ্যম খোঁজে পাচ্ছেন না! ভরসা ছিলো ময়না, কিন্তু যখনই মানুষের সাথে ময়নার যোগাযোগের কোনো না কোনো ভাবে মাধ্যম তৈরি হয়েছে ময়না’ পক্ষী সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করে পাখিদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে! আর এ জন্য মানুষের সাথে যোগাযোগ করার মাধ্যম কোনোভাবেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।

৪.
এরমধ্য সবচেয়ে বড় সমস্যা যা, তা হচ্ছে নিজে টিকে থাকা। এর সমাধান আগে প্রয়োজন। বিদেশী পাখি দেখতে রঙ বেরঙ সহ ভিন্ন ভিন্ন দেশ ঘুরে এদের আমলাতান্ত্রিক জ্ঞান যথেষ্ট বেশী বলা চলে। এদের পাল্লা দিন দিন ভারী হচ্ছে এর একটা ব্যবস্থা না নিলে নিজ অস্তিত্ব নিয়েই এখন প্রশ্ন হয়ে দাড়াবে। আসলে নিজে টিকে থাকতে হবে এটিই আসল কথা। ঈগল দিন দিন কমে যাচ্ছে। ছোট ছোট শত্রু এক হয়ে ঈগলদের অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে বিশেষ করে এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ পরানের ছোটভাই জুরান, ধীরান ও নীরান। শত্রুর আগ্রাসনে এতো ক্ষতি হয়েছে যে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বললেও খুবই কম বলা হয়। এলাকায় প্রচুর বিদেশী পাখির আগ্রাসন এখন বড় ধরনের সমস্যা ও হুমকি তৈরি করেছে। জুরান খুবই সমস্যায় আছে যা প্রতিদিন দোয়েল ও বক, চিলের মাধ্যমে পরানের কাছে খবর পাঠাচ্ছেন। জুরান ধীরান ও নীরানের শত্রু দিন দিন যেভাবে ভারী হচ্ছে যে কোনো সময় এলাকা দখল করে নিতে পারে যা ঈগল রাজ্যর জন্য বিপদজনক। বিদেশী পক্ষীকুল এখন কিভাবে দখলদারী করে যাচ্ছে তা খুবই ভাবনার বিষয় হয়ে দাড়াচ্ছে দিনকে দিন।

৫.
কয়েকদিন যাবত নিম্নচাপের কারণে পরিবেশ আর বাতাস খুবই খারাপ অবস্থা আর ঘন ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পরান গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ছোটভাই জুরান, ধীরান ও নীরান সহ সকল পক্ষীকুল সমাজের সর্দারদের জরুরী তলব পাঠিয়েছেন। পক্ষীরাজ ধীরান অপরুপ টিয়া সমাজ নিয়ন্ত্রণ করেন, টিয়া ধীরানের দ্বারা সবসময়ই উপকৃত, অপরূপ টিয়া দ্বারা বিদেশী পাখিদের ফাঁদে ফেলা হয়তো সম্ভব। তাছাড়া কাক ও কবুতর শত্রু দ্বারা নিয়ন্ত্রণহীন হলেও এখনও জুরানের অধিনেই আছে। আর বক সমাজ নিয়ন্ত্রণ করছেন নীরান। বকেরও খুব খারাপ সময় যাচ্ছে বিদেশী মহামারী রোগে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে হাজারো প্রাণ! যেই খবর পরানের কানে প্রতিনিয়তই আসছে।

৬.
নিকষ কালো আধারের অমাবস্যার নিঃশব্দ থমথমে রাত। থেমে থেমে পরানের বিশ্বস্ত গোয়েন্দা - পেঁচা সর্দার জঙ্গলের সীমানা প্রাচীর গাছে বসে গম্ভীর আওয়াজ দিয়ে আরোও ভুতুরে ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি করে যাচ্ছে। পরান কেওক্রাডং পাহাড়ের চূড়ায় বড় একটি পাথরের উপর দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। ছোটভাই জুরান, ধীরান আর নীরানের কাছে খবর পৌছে গিয়েছে। এখন যতো রাতই হোক বড়ভাই পরানের ডাকে সবাই এখানে আসবেনই। - আসতেই হবে আর এই বিশ্বাসেই পরান কেওক্রাডং পাহাড়ের চূড়ায় হাজার বছরের পুরোনো বৃষ্টিতে ভেঁজা রৌদ্রে পোড়া লালাভ পাথর সারথি ‘র উপর দাড়িয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে অনেক অনেক দূর পথ আকাশের অন্ধকার পানে তাকিয়ে আছেন। - এখানে এই পাথর সারথি’তে বিশেষ বিশেষ সময়ে পূর্বপুরুষরা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেন। আজও কোনো কঠিন সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় পরানের বিশ্বস্ত দূরদৃষ্টি ধারী শকুন সর্দার তার দল নিয়ে বেশ কিছু দূরে গম্ভীর পায়চারি করছেন। আর পরানের বিশ্বস্ত চিল সর্দার ও তার দল দ্রুত পাহাড়ের চারোদিকে ঘুরে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে রাখছেন। পাহাড়ের ঢালের জঙ্গলে অবস্থিত ছোট বড় সকল পক্ষীকুল ভয়ে থর-থর করে কাঁপছেন। কেউ কিছুই জানে না - শুধু বুঝতে পারছে এখানে কিছু একটা হবে, ভয়ঙ্কর কিছু। এতোদিন যা শুধু দাদী নানীদের কাছে ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সব ঈগল সাম্রাজ্যর রূপকথার গল্প শুনে এসেছে। শতবছরে যা কদাচিৎ হয়, হয়তোবা তেমন কিছু। ঈগল সাম্রাজ্য শত বছরের জন্য গঠন হয় আর সচরাচর এদের যুদ্ধ বিগ্রহ হয়না বললেই চলে আর যখন যুদ্ধ হয় তখন প্রবল রক্তপাতের সাথে শত্রুদের সমূলে বিনাস করা হয়।

৭.
পক্ষীরাজ ঈগল পরান খানিকটা এগিয়ে আসেন, নিকষ কালো আধারের অমাবস্যার অন্ধকারের মধ্যেও যেনো দূরে কিছু দেখতে পাচ্ছেন - কিছু শুনতে পাচ্ছেন! দূরদৃষ্টি ধারী শকুন সর্দার আশ্চার্য হোন কিছুই দেখতে না পেয়ে! - পরান পরিস্কার দেখতে পান তিন জোড়া সুবিশাল শক্তিশালী ডানার আওয়াজের সাথে তিনটি ঈগল ধেয়ে আসছে কালো আকাশে।

ভয়ঙ্কর সিদ্ধান্ত হবে আজ, ঈগল রাজ আর পক্ষীকুলের অস্তিত্ব নিয়ে ভয়ঙ্কর কিছু হবে।

========================================================================
আত্মকথা: লেখাটি প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক যায়যায়দিন - এর ১৯৯২ সনের ডিসেম্বরের বিশেষ সংখ্যাতে। লেখাটি পড়ে আমার আব্বা আমাকে নিয়ে সানমুন টেইলার্স ঢাকা রমনা ভবন শাখা থেকে হালকা বাদামী রঙের ইতালিয়ান ডিজাইনের কমপ্লিট স্যুট তৈরি করে দেন। লেখালেখির জন্য সাপ্তাহিক যায়যায়দিনের পক্ষ থেকে তৎকালীন আমার এক মাসের বেতন সমমান আরব বাংলাদেশ ব্যাংক লিঃ (বর্তমান এবি ব্যাংক লিঃ) এর একটি চেক প্রদান করা হয়। এখন পর্যন্ত লেখালেখির জন্য এটিই আমার পাওয়া সবচেয়ে বড় অনুদান। লেখাটি খোঁজে পাই আমার পুরাতন ইয়াহু মেইলে। পুরাতন মাইক্রোসফট ওয়ার্ড থেকে লেখা উদ্ধার করে নতুন করে লেখা তৈরি করতে বেশ সমস্যা হয়েছে। সবশেষে লেখাটি নতুন করে সামহোয়্যরাইন ব্লগে জমা দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। সকলের কাছে দোয়া চেয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহপাক রাহমানুর রাহিম আমাদের সকলকে ভালো রাখুন সুস্থ রাখুন।


কৃতজ্ঞতা স্বীকার:
সাপ্তাহিক যায়যায়দিন ১৯৯২।
সামহোয়্যারইন ব্লগ।

ছবি: উইকিপিডিয়া থেকে ঈগল






মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটি খুব সুন্দর হয়েছে।
সহজ সরল ভাষায় সুন্দর ঝরঝরে লেখা। আপনি আগে বেশী ভালো লিখতেন।

আপনার বাবা স্যুট উপহার দিয়েছেন। গ্রেট।
একসময় লেখা লেখির জন্য যায়যায় দিন বেস্ট ছিলো। তখন এত এত পত্রিকা ছিলো না দেশে।

আমাদের পাশের বাসায়। ছাদে। পুরো ছাদ জুড়ো পাখির খাঁচা করেছে। নানান ধরনের পাখি তারা বন্ধী করে রেখেছে। পাখি গুলো ছটফট করে। তাদের কষ্ট আমি অনুভব করি।

১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এখন থেকে গল্প কবিতাই লিখবো। আশা করি আমার লেখাগুলো পড়ে আপনার ভালোই লাগবে। পাখিদের যারা বন্দী করেন তাদের ঠিক এমনি খাঁচায় বন্দী করে রাখলে তারা হয়তো বুঝতে পারতেন কেমন লাগে। বেশ কয়েক বছর যাবত ঢাকা শহরে পাখি পালন একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে এই নিষ্ঠুর রেওয়াজটি যে কতোটা খারাপ তা কেউ বুঝতে চাইছেন না।

প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি কি কিছু বুঝাতে চেয়েছেন?

১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গল্প কবিতা উপন্যাস আপনি ভালো বুঝেন। গল্পটি আমার বাবা চাচাদের নিয়ে লেখা। যদিও ঈগলের রূপকথা দিয়ে। পরান চরিত্রটির ভূমিকায় আমার আব্বা ছিলেন। প্রকাশক নিজের মতো করে ভেবেছেন তিনিও তাঁর নিজের জীবনের সাথে মিল খোঁজে পেয়েছিলেন।

৩| ১৭ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যায়যায় দিন বলতে আত্মহারা আমি । এটি বাহির হওয়ার হতে পড়ি এবং ১৯৯৭ সালে বিদেশ গিয়ে কয়েক বছর ছিলাম তখন প্রতি বৃহস্পতিবার যায়যায় দিন কিনতাম। আহ সেই পড়ার আনন্দ ভুলি নাই

১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের সাপ্তাহিক যায়যায়দিনে বাংলাদেশের সেরা লেখকগণ লিখেছেন এটিই গর্বের বিষয় ছিলো। সাপ্তাহিক যায়যায়দিন আজীবন আমাদের মনের গহীনে থাকবে একরাশ ভালোবাসা নিয়ে। ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই।

৪| ১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

ভালো একটি পত্রিকা ছিল।
বেশী বেশী রাজনীতির টানে তিনি পত্রিকাটি প্রথমে দৈনিকে পরিণত করলেন।
শেষে মৃত্যুই ঘটল।

১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাজনীতি, ক্ষমতা আর টাকা দাবানলের আগুনের চেয়েও ভয়ঙ্কর। আপনি কেমন আছেন? মালয়েশিয়া খুব সম্ভব জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত লক ডাউন বা এমন কিছু করেছে।

৫| ১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: একই সমান্তরালে আধিপত্য বিস্তার এবং অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।গল্পটি ভালো লেগেছে।

১৭ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভালো লেগেছে জেনে আমিও আনন্দিত। গল্পটি দীর্ঘদিন আগের লেখা অথচ মনে হয় এইতো সেদিনকার ঘটনা বেশী দিনতো হয়নি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:১৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যদিও স্পষ্ট মনে নেই , হয়ত আমি এ লেখা সেই সময় ই পড়েছি। যায়যায়দিন কখনো মিস হত না।

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সাপ্তাহিক যায়যায়দিন এর একজন সম্মানিত পাঠিকাকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




পড়তে গিয়ে মনে হচ্ছিলো , দেশের বর্তমানের অরাজকতা নিয়ে একটি কঠোর যুদ্ধের কথা বলেছেন।
"আত্নকথা" অংশে এসে দেখি তা ১৯৯২ সালের লেখা।
অবশ্য সে সময়কার অন্ধকার পটভূমি পাল্টায়নি আজো। আরো যেন বেশী যগদ্দল পাথরের মতো আমাদের ঘাড়ে চেপে আছে তা, সব কিছু অন্ধকার করে দিয়ে।

কোনও শক্তিশালী ডানায় ভর করে কেউ যেন এই অন্ধকার সরিয়ে আলো নিয়ে আসেন... সে অপেক্ষায়!

১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই,
এ জীবনে এতো কিছু দেখেছি যে কখনো কখনো নিজেকে ইতিহাসের করাল সাক্ষী মনে হয়, যদিও খুবই সামান্যই দেখেছি তারপরও মনে হয় বেশী দেখা হয়ে গেছে। সময় পাল্টিয়েছে কিন্তু মানুষ পাল্টায়নি। নতুন নতুন নামে আর্বিভূত হয়েছে নতুন নতুন ইংরেজ শোষক ও শাসক।

কোনও শক্তিশালী ডানায় ভর করে কেউ যেন এই অন্ধকার সরিয়ে আলো নিয়ে আসেন... সে অপেক্ষায়! আপনাকে ঈদ মোবারক সহ আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


৮| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার একটি বিষয় মনে রাখার মতো - আপনার মন্তব্য করা পোস্টে কে কি মন্তব্য করেছেন তা আপনি পোস্টে গিয়ে পড়ে থাকেন। আপনি আমার লেখাটি পড়েছেন জেনে আমি আন্তরিকভাবে আনন্দিত। আপনাকেও ধন্যবাদ।

৯| ১৮ ই মে, ২০২১ ভোর ৬:২২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: এতো চমৎকার একটি লেখার জন্য বাবার কাছ থেকে স্যুট আপনার প্রাপ্য ছিল! ইউ ডিসার্ভড ইট !

১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আব্বা আমাকে খুব ভালোবাসতেন। গল্পের চরিত্র পরানের ভূমিকায় আমার আব্বা ছিলেন কোনে এক সময়ে। এটি তাঁরই গল্প।

১০| ১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি কি গল্প লেখেন পত্রিকায়?

১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আগে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন আর রহস্য পত্রিকাতে লেখালেখি করেছি। এখন আর লেখি না। লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১১| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো লিখা

১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


১২| ১৮ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: এখন আপনি কেন পত্রিকায় লিখেন না। এখন তো লেখার সুযোগ আরো বেশী আছে। অসংখ্য পত্রিকা। অসংখ্য অনলাইন।

১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আগে সাপ্তাহিক যায়যায়দিন আর রহস্য পত্রিকাতে লেখালেখি করেছি। এখন আর লেখি না। তাছাড়া এখন প্রিন্টিং ম্যাগাজিন অনেক কম। বর্তমানে যা আছে সব অনলাইন পোর্টাল। আর অনলাইনে তো সামহোয়্যারইন ব্লগে লিখছি।

আমার লেখাগুলো আমার ছেলেমেয়ে আত্মীয় পরিজন বন্ধুবান্ধব পড়েন। ব্লগে আপনারা সবাই পড়ছেন। লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১৮ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: তখন যেমন ছিলো এখনও তেমনই আছে। বড় বড় শক্তিশালি পাখিরাই প্রভাব বিস্তার করে চলে। দূর্বল আর ছোটো পাখিদের খবর রাখা হয় শুধু প্রয়োজন মিটানোর জন্য।

১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার মতামতের সম্পূর্ণ সত্য। তবে ছোটদের যে স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা প্রাপ্য তার কমতি হলে অবশ্যই্ তা কষ্টকর। লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: রূপকের মাধ্যমে চমৎকার গল্প, ভাল লেগেছে। + +
বাবার কাছ থেকে পাওয়া স্যুটটি আপনার প্রাপ্য ছিল।

১৯ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আব্বা আমাকে খুব ভালোবাসতেন। গল্পের চরিত্র পরানের ভূমিকায় আমার আব্বা ছিলেন কোনো এক সময়ে। এটি তাঁরই গল্প। গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে। লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.