নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
মাথার উপর গনগনে কড়া রোদের দুপুর। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক থাকবে কি গরীব অসহায় পরিবারের ছাত্র ছাত্রীর পর্যন্ত টেকা দায় হয়ে দাড়িয়েছে। মাথার উপরে একটি সিলিং ফ্যান আছে, তবে নস্ট! দেয়ালে ও ছাদে লোনতা পরেছে! ছাত্র ছাত্রী যার যার মতো বই খাতা দিয়ে পাখা করছেন হৈ হল্লা করছেন এমন সময় বিদ্যুৎ গতিতে ছাত্র ছাত্রীর গায়ের উপর পাহাড়ি বেতের অতর্কিত হামলার মতো ঝড় নেমে আসে! - সবাই বেতের মারে হতবিহবল - কান্না করা যাবে না, চিৎকার করা যাবে না! - তাহলে আরো বেশী মার পরবে। বেত হাতে ঘর্মাক্ত দেহে পশুর মতো যিনি ঝাপিয়ে পরেছেন তিনি স্কুলের সহকারি শিক্ষক মাস্টার শামসুল রেজা! ছাত্র জীবনে তাঁর নাম ছিলো “কোপা শামসু - কারণ প্রাইমারী থেকে হাইস্কুল পর্যন্ত তাঁর রোল নাম্বার কখনো এক থেকে দুই হয়নি, তিনি ছিলেন এক ও অদ্বিতীয় ফার্স্টবয়। ক্লাস টু থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত তাঁর রোল ছিলো - নাম্বার ওয়ান। অনেকটা নাম্বার ওয়ান শাকিব খান এর মতো আর তাই ছাত্রজীবনে “কোপা শামসু” নামকরন! ছাত্রজীবনে না সে কখনো কোনো ছাত্র ছাত্রীকে পড়ালেখা দেখিয়ে সাহায্যে সহযোগিতা করেছেন! না সে কখনো কারো কাছ থেকে সাহায্যে সহযোগিতা নিয়েছেন।
ক্লাস থ্রি। মারের চোটে ছাত্র ছাত্রী ডাঙ্গায় তোলা মাছের মতো কাঁপছেন ভয়ে - আতঙ্কে - ব্যাথায়! এরমধ্য তিনজন ছাত্র ছাত্রী রিতিমতো দাঁত বার করে হাসছেন তাদের রোল নাম্বার যথাক্রমে এক-দুই-তিন! - কারণ তাঁদের গায়ে মার পরেনি। বিচিত্র কারণে ক্লাসে ছাত্র ছাত্রীর উপর মার পরলে যারা সবচেয়ে বেশী খুশি হোন তারা হচ্ছেন ক্লাস ক্যাপ্টেন সহ রোল নাম্বার এক-দুই-তিন। ক্লাসের কেউ কম নাম্বার সহ ফেইল করলেও এই জাতি দাঁত বার করে হাসেন। আমাদের কোপা শামসু স্যার মাস্টার শামসুল রেজা সাহেবও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে জীবনে হেন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে তিনি ইন্টারভিউ দেননি। সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি, ব্যাংক, বীমা - সবশেষে চাকরি জুটালেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাও পিতার শেষ সম্বল জমি বিক্রয় করে স্থানীয় সাংসদ আবদুল মজিদকে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা সালামি দিয়ে। আর তাই তিনি ছাত্র ছাত্রীদের মেরে তক্তা করে প্রবল আনন্দ পান। ছাত্র ছাত্রীদের মেরে তিনি যেই স্বর্গীয় সুখ অনুভব করেন এই সুখ আর কিছুতেই খুঁজে পান না। আর দুঃখ ভুলে থাকেন তাঁর মতো নাম্বার ওয়ানের চাকরি হয়েছে মাত্র একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাও সহকারি শিক্ষক হিসেবে।
রোল নাম্বার ওয়ান শামসুল রেজা ছাত্রজীবনে, লজিং জীবনে, বেকার জীবনে, চাকরি জীবনে প্রচুর প্রেম করেছেন কিন্তু বিয়ের মতো বাঁধনে তিনি এখনো জড়াতে পারেন নি - আর পারবেনই বা কিভাবে তার দরকার প্রবাসী সিটিজেন পাত্রী অথবা নিদেন পক্ষে রাজধানী বা বিভাগীয় শহরের কোনো বাড়িওয়ালার মেয়ে! পাত্রীর খোঁজে ফেসবুক টুইটার ইন্সটাগ্রাম পিন্টারেস্ট লিংক্ডইন হেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নেই যেখানে তাঁর আইডি নেই আর এমন কোথাও নেই যেখানে তিনি জানাতে ভুল করেন নি যে তিনিই - রোল নাম্বার ওয়ান। মা বাবা ভাই বোন আত্মীয় পরিজন পাড়া প্রতিবেশী সবাই তাঁকে নিয়ে গর্ব করেন। মজার বিষয় হচ্ছে - আমাদের কোপা শামসু স্যার মাস্টার শামসুল রেজা সাহেব একদিন সত্যি সত্যি প্রবাসী সিটিজেন পাত্রী পেয়ে যান। পাড়ি দেন প্রবাসে। প্রাইমারি স্কুলের চাকরি বাবদ সালামি পাঁচ লক্ষা টাকার পরেও প্রবাসে পাড়ি দেওয়ার আগে পাত্রীর চাহিদা ও ভিসা খরচ বাবদ শামসুল রেজা আরোও পনেরো লক্ষ টাকা পাত্রীর হাতে তুলে দেন - রিতিমতো বাবা মাকে বাড়ি ঘর থেকে উচ্ছেদ করে! ভিটা বাড়ি বিক্রয় করে! যাকে বলে ইমোশনাল ব্লাক মেইল অথবা ছলে বলে কৌশলে!
অসহায় বাবা মা ভাইবোন ভাবেন, ভাবতে থাকেন - ভাবতেই থাকেন! ছেলে শামসুল রেজা প্রবাসে গিয়ে তাঁদের বাড়ি ঘর করে দিবেন ভাইবোনকে প্রবাসে নিয়ে যাবেন। - কিন্তু বিধি বাম! শামসুল রেজা সাহেব বিয়ে করে পাত্রী নিয়ে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছেন - গেলো তো গেলো, এমন ভাবে গেলো, আর জীবনে ফিরে এলো না! গন তো গন, গন গনা গন গন, আর এ ডিড নট কাম!
আত্মকথা: রোল নাম্বার ওয়ান টু থ্রি ছাত্র ছাত্রী বিচিত্র কারণে খুবই আত্মকেন্দ্রিক হোন। অবশ্যই ব্যতিক্রম আছে তবে তা হাতেগোনার মতো হবে হয়তো। তবে এরা ছাত্রজীবন থেকেই আত্মকেন্দ্রিকতা শেখে। কাউকে সহযোগিতার মনোভাব কখনো এদের মাঝে তৈরি হয় না। উপকার বা পরোপকার এই শব্দগুলো তাঁদের অভিধানে থাকে না। প্রথম হতে হবে সবাইকে পেছনে ফেলে প্রথম হতে হবে। এরা সবাইকে পেছনে ফেলে দিতে দিতে এক সময় মা বাবা ভাইবোন আত্মীয় পরিজন এমনকি দেশকে পেছনে ফেলে চলে যায় - দূর বহু দূর। আমার দেখা রোল নাম্বার এক দুই তিন এরা প্রবলভাবে স্বার্থপর হয়ে থাকেন। নেলসন ম্যান্ডেলা তাঁর নিশ্চয় রোল নাম্বার এক ছিলো না। এক দুই তিন রোল নাম্বার ছিলো না মাদার তেরেসা বা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের। রোল নাম্বার এক ছিলো না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের! রোল নাম্বার এক ছিলো না আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের অথবা মাওলানা ভাসানি সাহেবেরও। এমন কি ব্যবসা সফল কোনো ব্যক্তি! - ছাত্রজীবনে যার রোল নাম্বার ছিলো না যথাক্রমে এক-দুই-তিন! - মার্ক জাকারবার্গ, বিল গেটস, জ্যাক মা - না কারো না! কেউ কি বলতে পারেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে কোনো গভর্ণর ছিলেন! - ছাত্রজীবনে যার রোল নাম্বার শুধুই এক-দুই-তিন ছিলো!
উপসংহার: সমগ্র ছাত্রজীবন ছাত্র ছাত্রীদের রোল নাম্বার এক দুই তিন হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ভালো ছাত্র বা ভালো মানুষ রোল নাম্বার দিয়ে হয় না। রোল নাম্বার দিয়ে হয়তো পড়ালেখা হয়! - কিন্তু শিক্ষা যে হয় না তাতে আমি নিশ্চিত।
উৎসর্গ: ছাত্রজীবনে রোল নাম্বারকে যিনি মাদক হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ভয়াবহ ড্রাগ। এর চিকিৎসা নেই। আউট অব অর্ডার। বিয়ন্ড সার্ভিসেস। স্ক্র্যাপ।
ছবি: পোস্টের কভার ফটোশপে করা।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি মজাদার মানুষ ছিলেন - আছেন - থাকবেন।
আমি আমার ক্লাসের হিরো ছিলাম। মেয়েরা আমার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতো। - আপনি কি ছাত্রীদের টিফিন কিনে বা বাসা থিকে টিফিন নিয়ে খাওয়াতেন?
২| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: রোল নাম্বার ওয়ান টু থ্রি ছাত্র ছাত্রী বিচিত্র কারণে খুবই আত্মকেন্দ্রিক হোন। অবশ্যই ব্যতিক্রম আছে তবে তা হাতেগোনার মতো হবে হয়তো। তবে এরা ছাত্র জীবন থেকে আত্মকেন্দ্রিকতা শেখে। কাউকে সহযোগিতার মনোভাব কখনো এদের মাঝে তৈরি হয় না।
আমি এক মত। সঠিক বিশ্লেষণ হয়েছে স্যার।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রিয় মরুভূমির জলদস্যু ভাই, আমি কখনো আপনার স্যার ছিলাম না ভাই। আমি আপনাদেরই একজন। কর্ম জীবনে একদলকে স্যার ডেকেছি আরেকদর আমাকে স্যারা ডেকেছেন। ব্লগে আমি কারো স্যার নই। ব্লগের প্রতিটি ব্লগার আমার প্রিয় আর তাই কখনো প্রিয় ব্লগারের তালিকা করে ব্লগে পোস্ট দেওয়া হয়নি।
বিশ্লেষণ এক দুইদিনের তো নারে ভাই। অর্ধ শতকেরও বেশী সময়ের বিশ্লেষণ।
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১০
হাবিব বলেছেন: "ইয়েস স্যার" বলে হাজিরা দিতাম। রোল নাম্বার ১ ছিল ক্লাস ২ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি রোল নাম্বার ওয়ান! আপনি ব্যতিক্রম হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন। এই যে আমি আপনাকে স্যার বলছি হাবিব স্যার! ব্লগের সবাই আপনাকে স্যার বলছেন। আপনি সামহোয়্যারইন ব্লগে সকল ব্লগারের স্যার - ভয়াবহ বিষয়! কোনোদিন যদি বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি অথবা প্রধানমন্ত্রী অথবা সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারপতি ব্লগিং করতে আসেন তিনিও কি আপনাকে স্যার বলবেন?
দৃষ্টিকটু - দৃষ্টিনন্দন ও শ্রুতিকটু - শ্রুতিনন্দন বিষয়ে আমরা বাংলাদেশী নতুন করে পড়ালেখা করতে হবে।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪২
হাবিব বলেছেন: হাবিব স্যার এইটা একটা নিক মাত্র। এমন নাম কেন দিলাম সে ব্যাপারে একটা পোস্টও দিয়েছিলাম। আমাকে শুধু হাবিব বললেই হবে। আমার পরিচয় পড়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের মরুভূমির জলদস্যু ভাইয়ের নিক ছিলো পাগলা জগাই যা তাঁর লেখালেখির সাথে কোনো ভাবেই স্যুট করছিলো না (হয়তোবা) তিনি নিক পরিবর্তন করে নিলেন “মরুভূমির জলদস্যু” নিক দেখেই মনে হতে পারে জ্যামস বন্ড! আপনি নিকটি পরিবর্তন করে নিতে পারেন বাদবাকি আপনার বিবেক ও জ্ঞান। আপনার ব্যক্তিগত নাম স্যার। আপনার স্ত্রী আপনাকে স্যার ডাকেন ভালো কথা। সম্মানের বিষয়। ব্লগে এমন নিক সত্যি সত্যি আপনাকে নতুন করে ভাবাতে পারে!
আব্বা ডাক নিশ্চয় খারাপ না। কিন্তু ব্লগে নিক হিসেবে আব্বা নামে নিক - কতোটা ভয়াবহ নাম আব্বা! ব্লগের সবাই উক্ত ব্লগারকে আব্বা ডাকছেন!
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৫৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিজ্ঞ ঠাকুর মাহমুদ লেখা আমার বিপক্ষেই গেলো। প্রাথমিক বিদ্যালয় অংশে প্রথমই থাকতাম। ২য় যে বা যারা থাকতো তাদের চেয়ে একশো হাত সামনে। মার খাওয়া আমার জন্য এক প্রকার নিষিদ্ধ। ক্লাসের সবাই মার খেয়েছে কিন্তু আমি পর্যন্ত এসে থেমে গেছে। আবার মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় সেখানকার ঘটনা অন্য রকম। সবা্ই ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা রকমের মেধাবি। প্রা্ইমারিতে বিভিন্ন স্কুলের প্রথমরাই পড়তো পরতো। অন্যদের টাকা পয়সার প্রাইভেট আর টিচারদের প্রাইভেট ছাত্র প্রীতি এসব ডিঙিয়ে প্রথম হওয়া হতো না। ক্লাস পারফরমেন্সে আবার সবার থেকে সেরাই থাকলাম। ক্লাস প্রমোশন হওয়ার সাথে সাথে এগুতে থাকলাম। প্রথম পাচজনের একজন হতে পেরেছিলাম। এটা সবা্ই্ নিশ্চিৎ হয়ে গেল এত কম পড়ে এত ভাল রেজাল্ট আর অন্য কারো নেই। যথারীতি এই মারুকুটে স্কুলেও যেখানে সবাই মার খেত। ্আমি মার খেতাম না। শ্রদ্ধেয় মরহুম আইনুল মাজেদীন স্যার বাংলায় পন্ডিত বলে বসলেন ষষ্ঠ শেণী থেকে দশম পর্যন্ত তার করা প্রতিটি প্রশ্নের নির্ভুল উত্তর দেয়াতে। ক্লাস টেনে আমাদের ভূগোল শিক্ষক সিরাজুর রহমান স্যার তিনবার ব্যতিক্রমী প্রশ্ন জিজ্ঞাসা পর্ব আযোজন করলেন। পুরো বই থেকে প্রশ্ন করা হবে যে প্রশ্নের সঠিক উত্তর যে দেবে সে তো সিকান্দার কিন্তু যে পারবে না তার জন্য বিখ্যাত মারের ব্যবস্থা। সে মার কেমন আমি জানি না। কারণ খাইনি তো। শুধু দেখতাম স্যারে বেত এ যেন যাদু আছে। ব্যতিক্রমী মার। স্যার মারলে ছাত্ররা মার খেয়ে ছটফট করে। অন্য স্যার রা যত জোরেই মারুক এতো ভয়াবহ ইমপ্যাক্ট পরে না। তিন বারই দাড়িয়ে গেলাম সাহস করে। তিন বারই পড়া পারলাম ।এই এক মাত্র আমি। তিনবারে দুএক জন করে পারলেও তিনে তিন শুধু আমি। স্কুলে সকল ছাত্রের কুইজ প্রতিযোগীতায় আমার নেতৃত্বে আমার দলই চ্যাম্পিয়ন হলো। কিন্তু আত্ন কেন্দ্রিকতা বিষয়ে আমি ততটা একাত্ন নই। সাধ্যমত মানুষের উপকার করে গেছি। উপকার করে বাশ খাওয়ার অভিজ্ঞতাও কম নয় । তারপরও করে গেছি। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে। সামনেও করবো দেশের জন্য সরকারের জন্য দেশের মানুষের জন্য। আপনার পোস্ট চমৎকার হয়েছে। সে জন্য ধন্যবাদ। পেস্টে উলে্লখিত আত্নকেন্দ্রিকতা অবশ্যই পরিতাজ্য ঘৃন্য। +
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কবিতার যাদুকর সেলিম আনোয়ার ভাই, আপনি তাহলে সেই ব্যতিক্রম ব্যক্তি। হাতেগোনার মাঝে যিনি চলে আসেন। আত্মকেন্দ্রিকতা অবশ্যই ঘৃণ্য ও পরিত্যজ্য। আত্মকেন্দ্রিক লোক পরিবার পরিজন ভাইবোন মাতাপিতা হতে দূরে সরে পরেন কারো দুঃখ দুর্দশা তাঁকে ছুঁতে পারে না। সফলতার পেছনে দৌড়ে তিনি হয়ে উঠেন ক্যাকটাস তাই তাঁর ছায়াতলে কারো জায়গা হয় না। আত্মকেন্দ্রিক মানুষ কখনো বটবৃক্ষ হতে পারেন না। বৈজ্ঞানিক কাজে ক্যাকটাসের নানাবিধ উপকার থাকতে পারে কিন্তু বাসা বাড়িতে পরিবার পরিজনে এর উপকার কি আমার জানা নেই। তাছাড়া ক্যাকটাসে এমন কোনো অমৃতসম ফল ধরে না ফুল ও ধরে না। বরং বাসা বাড়িতে শিশু বাচ্চা থাকলে প্রায়শই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠে। দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
কবিতার যাদুকর, আপনি অবশ্যই ব্যতিক্রম। যিনি উপকার করে অপকৃত হয়েছেন তিনি জানেন এর দুঃখ কষ্ট। আমি আপনার সাথে সমব্যাথি। সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:০৩
সাসুম বলেছেন: আমি সব সময় ২ নাম্বার ছিলাম। প্রাইমারিতে ১ ছিল রাতুল- এখন বিশাল কর্পোরেট কামলা ইউনি লিভারে।
হাই স্কুলে- আমি ৬ নাম্বার। ১/২/৩/৪/৫- যথাক্রমে ঢাকা ইউনি টিচার, ওয়াল্টন এর ডাইরেক্টর, ওয়াল্টন এর স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ইন চার্জ, চিটাগাং ইউনির টিচার, সিম্পনির চিটাগাং হেড।
কলেজে- আমি ৩ নাম্বার, ১ নাম্বার এখন ইয়েমেনে ব্রাক এর বড় অফিস্যার , ২ নাম্বার টা মেয়ে, এই মেয়ের ৪ টা মেয়ে হবার পর এখন নাকি আবার পোলার আশায় প্রেগ্নেন্ট।
ইউনিতে শেষের দিকে থেকে ১ম।
এর মধ্যে প্রথম সারির পোলাপাইন গুলা বেশির ভাগ নার্সিসিস্ট হয়,
উন্নত দুনিয়ার এই সিস্টেম নাই, বাংলাদেশে ও তুলে দেয়া হচ্ছে সাম্নের বছর থেকেই ।
আপনার গল্প সুন্দর।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নার্সিজম একটি মানসিক ব্যাধি এটি যেদিন বাংলাদেশী জানতে পারবেন সেদিন ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম থেকে নিজের ছবি মুছতে মুছতে বাদবকি জীবন পার করবেন। আর কোনো কাজ করার সময় ও সুযোগ পাবেন না। আপনার মন্তব্যটি মনে রাখার মতো। অনেকগুলো তথ্য পেয়েছি। মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসার অভিজ্ঞতা আমার খুব একটা সুখকর তো নয়ই বরং ভয়াবহ বলা চলে।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
১ম থেকে ৭ম শ্রেনী অবধি, যারা পড়ে মনে রাখতে পারতো ও সঠিকভাবে লিখতে জানতো, তারা ভালো করতো। ৮ম, ৯ম, ১০ম শ্রেণীতে ভালো করতে হলে সঠিকভাবে বুঝতে হতো।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:০৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ফার্স্টবয় থেকে শুরু করে সেকেন্ড থার্ড এরা ছাত্রজীবনে ও কর্মজীবনে মানুষকে বিব্রত ও কষ্ট দিয়ে আনন্দ পেয়ে থাকেন। ভূমি ও জরিপ অফিসে একজন পরিদর্শককে পেয়েছিলাম যিনি গদাই লস্করি চালে ধিরে ধিরে দেখে শুনে জেনে বুঝে চিন্তা করে করে কাজ করেন। টাকা দিলে তাঁর চিন্তার গতিতে খানিকটা দ্রুততা আসতো তাও কচ্ছপগতিকেও হার মানাতে পারে। - আমি প্রশ্ন করেছিলাম আপনি কি স্কুল জীবনে সব সময় প্রথম হতেন? - তিনি আশ্চর্য হয়ে তাকিয়ে রইলেন! এমন সাক্ষাত জ্যোতিষ তিনি সম্ভবত তাঁর জীবনে দেখেন নি।
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: তিনবার এসে মন্তব্যে কি লিখব ঠিক করতে না পেরে ফিরে গেছি
আপনার কথা অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক- তবে কেন যেন মনে হয় শহরের ছাত্রদের ব্যাপারে বিষয়টা বেশী খাটে!
৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি পোস্টে লাইক দিয়ে চলে গিয়েছেন দেখে আমি বার বার আপনার মন্তব্যর জন্যই অপেক্ষা করছি। আপনার কথা যথার্থ। বাংলাদেশে শিক্ষা নামক লাভজনক ব্যবসাটি ভয়ঙ্কর। এর কারণ রোল নাম্বার এক-দুই-তিন আর কোপা শামসু মাস্টার। আর শহর মানেই আত্মকেন্দ্রিক আর আত্মকেন্দ্রিক। সেবার নামে লুকিয়ে থাকে স্বার্থ।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
রোল নম্বর ১ বা ২ ওয়ালারা সবাই যে আত্মকেন্দ্রিক হবেন, স্বার্থপর হবেন এটা মনে হয় ঠিক নয়। বরং এই নম্বরধারীরা হাতে গোনা। তবে এটা ঠিক , জীবনে সফলতা (?) অর্জন করে কিন্তু ব্যাকবেঞ্চাররাই।
জীবন সত্যটা এই - ভালো ছাত্ররা বড় হয়ে ছা-পোষা চাকুরীজীবি হিসেবে কলম চালায়, খারাপ ছাত্ররা ইণ্ডাষ্ট্রি আর কর্পোরেট অফিস চালায় আর সব ভালো ছেলেদের চাকুরী দেয়। আর সব সময় ফেল করা ছাত্ররা রাজনীতিবিদ হয়ে দেশ চালায় আর আগের দু'দলের মাথায় কাঠাল ভেঙে খায়।
৩০ শে জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার কথার সাখে দ্বিমত পোষণ করার কোনো ব্যবস্থা নেই। আপনি ১০০ ভাগ সঠিক। আর তাই হয়তো এক-দুই-তিন চাকরি জীবন বেছে নিয়ে থাকেন। আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে পরিচয় বন্ধু প্রিয়জনের গন্ডি থাকে সীমাবদ্ধ তাতে করে কখনো ব্যবসায়ী বা ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট হয়ে উঠা যায় না। এবং হারু ও ফেলু ছাত্ররা যে বড় রাজনীতিবিদ হোন এখানেও কোনো সন্দেহ নেই। আমাদের জাতীয় সংসদে ফেলু মামারা রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন অনেক অনেক আগে।
আহমেদ জী এস ভাই সুন্দর ও চিরন্তন সত্য কথা বলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:৪৪
নাজনীন১ বলেছেন: ভয়াবহ অভিগ্গতা! (বানানটা লিখতে পারছি না)
৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি নিজেও লিখতে প্রচুর বানান ভুল করি। মূল বিষয় হচ্ছে আপনার বক্তব্য বুঝতে পারা। আপনার বক্তব্য বুঝতে আামর কোনো অসুবিধা হয়নি। গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১১| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ক্লাস ওয়ান টু থ্রিতে ১ ছিল। তারপর লবডঙ্কা!! )
৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নাহ আপনি গল্পের রোল নাম্বার ওয়ান নন। গল্পের রোল নাম্বার ওয়ান হচ্ছেন যারা প্রথম শ্রেণী থেকে অন্তত দশম শ্রেণী পর্যন্ত এক-দুই-তিনে-ছিলেন। প্রতিযোগিতাটি একটি ছাত্রের জন্য ভয়ঙ্কর - ব্লু হোয়েল প্রতিযোগিতাও তাঁর কাছে ফেইল।
১২| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্কুল জীবনে আমিও রাজীব নুরের মত ১/২/৩ এ কখনও যেতে পারি নি।
তবে আমার পোলার ১ নং রোল ছিল, যতদিন রাইফেলস স্কুলে ছিল।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এটি পাগল করা প্রতিযোগিতা। কোনো কোনো ক্লাসে একবার দুবার কারো না কারো রোল এক-দুই-তিন হয়ে গিয়েছে এটি ব্যাপার না। কিন্তু ক্লাস ওয়ান থেকে পুরো লাইফটাইম ছাত্রজীবন রোল নাম্বার ওয়ান অবশ্যই ক্ষতিকর। এই ক্ষতির অনাদায়ী জের ভয়াবহ হয় বেশীরভাগ সময়। আর ব্যতিক্রম আছে তবে তা হাতেগোনার মাঝেই সীমাবদ্ধ।
১৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১:২৬
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: তবে হ্যাঁ রাজীব নুরের সাথে একটা ব্যাপার কমন পড়ছে । যদিও পরে জেনেছি ।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
রাজীব নুর সাহেব একজন ভালো লেখক। এক বসায় এতো এতো লেখা পোস্ট ব্লগে হাতেগোনা কয়েকজন করতে পারেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ২:২৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: কিছু স্যারের ভয়াবহ মার দেয়ার চেহারা দেখেছি ছোট ক্লাসে। তবে আমি কখনো মার খাইনি। অনেক আগে একটা লেখা পোষ্ট করেছিলাম এ ব্যাপারে।
রোল নাম্বার দেওয়া পদ্ধতি উঠিয়ে প্রতিযোগীতা বন্ধ করা জরুরী। বিদেশে কোন বাচ্চাদের রেজাল্ট কারো সামনে প্রচার করা হয় না ছোট ক্লাসে। আর বাচ্চাদের কখনো হেও করা হয় না আরেকজনের কাছে রোল নাম্বার দিয়ে।
যারা প্রথম হয়েছিলেন ছোট ক্লাসে। তারা মন্তব্যে এসে জানিয়ে যাচ্ছেন। এই বিরোধটা স্কুলেই তৈরি করা হয় আমাদের দেশে।
আমি কারো রোল নাম্বার প্রথম দিয়ে মানুষ যাচাই করি না। এমন কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি দিয়েও না। যদি না মানুষ হন মানবিক ডিগ্রিধারি।
রোল নাম্বার ওয়ানের মতন গন গনা গন গনই তারা নিজের স্বার্থে।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রিয় বোন রোকসানা লেইস, আপনাকে একটি ভয়ঙ্কর তথ্য দিচ্ছি অতিরিক্ত ভালো ছাত্র ছাত্রী সমগ্র জীবন অতিরিক্ত ভালো কিছুই আশা করেন। এবং ধরে নেন এটি তাঁর প্রাপ্য ও প্রাপ্তি। কোনো কারণে অতিরিক্ত ভালো ছাত্রছাত্রী কর্ম জীবনে অতিরিক্ত ভালো কিছু না করতে পারলে ভুল পথে চলে যান। আপনি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন অধিকাংশ ফ্রাস্টেড, ডিপ্রেশন রোগী এমন কি মাদকাসক্ত একসময় অতিরিক্ত ভালো ছাত্র ছাত্রী ছিলেন। যাদের চাহিদা বেশী তাদের ভুল পথে চলে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে বেশী।
যেই সকল টিচাররা ক্লাসে ছাত্রছাত্রীদের মারধোর করে থাকেন তারা পারিবারিকভাবে অসুখী তাই এই ঘৃণ্য কাজটি করে থাকেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১৭
জুন বলেছেন: রোল নাম্বার ওয়ান টু থ্রি ছাত্র ছাত্রী বিচিত্র কারণে খুবই আত্মকেন্দ্রিক হোন। অবশ্যই ব্যতিক্রম আছে তবে তা হাতেগোনার মতো হবে হয়তো। তবে এরা ছাত্র জীবন থেকে আত্মকেন্দ্রিকতা শেখে। কাউকে সহযোগিতার মনোভাব কখনো এদের মাঝে তৈরি হয় না না ঠাকুর মাহমুদ কোন ব্যাতিক্রম নাই, সবাই যেন একই ছাচে ফেলে ঢালাই করা। আমার শিক্ষা জীবনে আমি এ ব্যাপারটায় অত মনযোগ না দিলেও আমার ছেলের শিক্ষা জীবনে এটা গভীর ভাবে লক্ষ্য করেছি। এমন কি বাবা মা রা পর্যন্ত এদের স্বার্থপর হতে শিখিয়ে দেয়। পরবর্তী জীবনে তারা এতই স্বার্থপর হয় যে নিজের বাবা মা ভাইবোনকেও চিনে না।খুবই ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রিয় বোন, আপনার লেখালেখিতে আমি বুঝতে পারি আপনি আমার সমসাময়িক মানুষ নন তারপরও পরিবার সমাজ পরিবেশ দেশ শিক্ষা নিয়ে আপনার বক্তব্যতে আমি নতুন করে ভাবনার কারণ খোঁজে পাই। আপনি খুব সম্ভব আপনার বাবার খুবই ভক্ত ছিলেন যার কারণে অতীত সম্পর্কে আপনার ভালো দখল।
আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছি - মাতাপিতা যখনই সন্তানকে স্বার্থপর করে গড়ে তুলেন তা প্রথমেই বুমেরাং হয়ে নিজেদের দিকে ফিরে আসে। আপনি এই ভয়াবহ তথ্যটি জানেন যার কিছুটা আপনার মন্তব্যে প্রকাশ করেছেন। আপনার এই মন্তব্য “সবাই যেন একই ছাচে ফেলে ঢালাই করা” আমার মনে ধরেছে মানুস আসলে তরল না যে পাত্রে দিবে সেই পাত্রের আকার ধারণ করবে মানুষ আপনার উল্লেখিত ঢালাই এর মতো একবার এক আকার ধারণ করলে তাকে ভিন্ন আকার দেয়া কঠিন।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি মজাদার মানুষ ছিলেন - আছেন - থাকবেন।
আমি আমার ক্লাসের হিরো ছিলাম। মেয়েরা আমার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতো। - আপনি কি ছাত্রীদের টিফিন কিনে বা বাসা থিকে টিফিন নিয়ে খাওয়াতেন?
আমি সব সময়ের দারুন ফানি মানুষ। আমি খুব মজা করতে পারি। লোকজনকে হাসাতে পারি।
টিফিন কাউকে খাওয়াতাম না। কিন্তু মেয়েরা আমার জন্য নানান রকম খাবার নিয়ে আসতো। খাবার পছন্দ না হলে আঁকার ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিতাম- আমার ওটা পছন্দ। ওটা এইভাবে পছন্দ।
তখন আমার অল্প বয়স। দেখতে বেশ ছিলাম। ফর্সা ছিলাম। মেয়েরা অল্পতেই মুগ্ধ হতো। তাছাড়া তখন মোবাইল বা ইন্টারনেট ছিলো না। তখনকার জীবন বেশ আনন্দময় ছিলো।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার লেখাগুলো প্রাঞ্জল পড়তে কষ্ট হয় না। একজন মানুষের লেখা হচ্ছে তাঁর আয়না। একজন মানুষের হাতের লেখা পড়ে তাঁর মনোভাব চিন্তা চেতনা জীবনধারা পেশা শিক্ষা এমনকি মানুষটি দেখতে কেমন হতে পারে ধারণা করা সম্ভব। লেখালেখি ভয়ঙ্কর বিষয়।
বাই দ্য ওয়ে ৯০ দশকের কথা বলছি মালিবাগ মোড়ে এক কোনে একটি দোকান ছিলো সারাদিন জিলাপি ভাঁজতো এখন আছে কিনা আমার জানা নেই, মজাদার জিলাপি যদিও আমার ধারণা বায়তুল মোকারমের জিলাপি’র মতো এতো ভালো জিলাপি ঢাকাতে নেই। আর মৌচাক মার্কেটের নীচ তলায় এক ছোট রেষ্টুরেন্টে কলিজা সিঙ্গারা করতো - যায়যায়দিন বেইলি রোড অফিসে একসাথে ৫০টি করে সিঙ্গারা কিনে নিয়ে যেতো।
১৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৪
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: যেই গর্ভনরের রোল ১-২-৩ এর মধ্যে ছিল সে দেশের ‘’য়া মেরে দিয়েছেন। অন্য দেশ হলে দড়িতে লটকানো হইতো্।
২১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সব লেখা সবার জন্য নয়। সব লেখা সবার বোধগম্য হতে হবে এমনও কোনো কথা নেই। আপনি লেখার মর্মার্থ বুঝতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগছে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১২
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: আমার প্রাইমারী ক্লাশের ক্যাপটেন ছিল বোরহান। (তখন রীতি ছিল যে সবচেয়ে ভালো ফল করবে সে ক্যাপটেন, এখন কি জানি না), এমন অহংকারী আমি জীবনে কম দেখেছি। সাধারণ ক্লাশমেটদের সাথে সে কথাই বলতো না, সহযোগিতা তো দূর কি বাত।
কর্মজীবনে এরা সাধারণত সার্থক হয় না। আমি বহুবছর পরে বোরহানকে পেয়েছিলাম। আমার অনুমান সঠিক ছিল, সে সামান্য কেরাণী হয়েই কর্মজীবন দিনগুজরান করেছে।
হাইস্কুল জীবনে র্ফাষ্টবয় যথারীতি আত্মকেন্দ্রিক। বাবা সাংবাদিক বিধায় তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া যাওয়ার সুযোগ পেলো মেধা যাচাই ছাড়াই। খোন্দকার সানাউল হাসান। মেধাবী ছাত্র সোভিয়েতে গিয়ে ভোগের জীবনে নিজেকে ভাসিয়ে দিলো। ওখানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হোল, ওটা দিয়ে কোন চাকুরী বাগাতে পারেনি তাতে বোঝা গেল না কা ওয়া্স্তে পড়াশোনা করেছিল। সোভিয়েত ভেঙে যাবার পর কঠোর জীবন সংগ্রামে কিছু করতে পারলো না। অবশেষে বাংলাদেশে। কিছুদিন আগে এক এনজিও-র জরিপে বাগেরহাট গিয়ে ষ্ট্রোকে মৃত্যু। রাশিয়ায় এতো ভোগ করেছে যে দেশে বিয়ে করার মতো অস্ত্র শক্তিশালী ছিল না। নিদারুণ একাকীত্বে জীবন কেটেছে।
কলেজ জীবনে কে যে ১-২-৩ ছিল কেউ বলতে পারতো না। বিশাল সমুদ্রে কে কাকে স্বীকৃতি দেয় ? যাইহোক আমাদের অনুমানের মধ্যে যে কয়জন প্রথম সারির ছিল সবাই ছিল আত্মকেন্দ্রিক ও গোপনে পরস্পরের প্রতিযোগি। এতো বছর পরে এসে দেখি দুই/একজন বাদে সবাই কর্মজীবনে ঝরে গেছে। কামিয়াব হতে পারেনি। বরংচ যারা ছিল মধ্যম সারির জীবন সংগ্রামে তারাই সফল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের র্ফাষ্টবয় যেন একজন পলিটিশিয়ান, কথার্বাতায় মেকি ভদ্র। সচিবের ছেলে বলে স্যাররাও তোয়াজ করতো। পরীক্ষা দেওয়া মাত্র রেজাল্টের অপেক্ষা না করেই সচিব বাবার ক্ষমতায় আমেরিকা। দেশের দিকে ফিরেও তাকায় না।
২১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার মন্তব্যটি একটি আস্ত পোস্টের দাবী রাখে।
আমি আবারও বলছি - সব লেখা সবার জন্য নয়। সব লেখা সবার বোধগম্য হতে হবে এমনও কোনো কথা নেই। আপনি লেখার মর্মার্থ বুঝতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগছে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৮
রানার ব্লগ বলেছেন: স্কুল জীবনে ১ম ২য় ৩য় রোল ধারীদের একধরনের ভি আই পি মুড থাকতো।
অদ্ভুত ভাবে তারা আমাদের অভিভাবকদের কাছে নির্দিধায় মিথ্যা নালিশ করতো ।
মজার ব্যাপার হলো এস এস সি পরিক্ষার সময় ফার্স্ট বয় স্টার মার্ক পেলো আমিও পেলাম স্টার মার্ক, বেচারার মুখ দেখার মতো আমরা সবাই আনন্দে আটখানা সে বেচারা মাইনকা চিপায় পরে আমাশার রুগীর চেহারা নিয়ে বসে থাকলো।
মার্ক সিট বের হলে সেই ফার্স্ট বয় জোর জবরদস্তি করে আমার মার্ক সিট দেখতে না পেরে ফোটকপি মেশিন ও্য়ালা কে হাত করে আমার টোটাল নম্বর দেখেও হতাস তার আসলো ৮৯২ আমার ছিলো ৮৩৬ !!!
বেচারা স্টিল আমাকে দেখলে আমাশার রুগির মতো আচরন করে।
২১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার আজকের পোস্টটি পড়তে পারেন। আশা করি ভালো লাগবে। রোল নম্বর ১-২-৩ সহ ক্লাস ক্যাপ্টেন বিক্ষিপ্ত মনের মানুষ হয়ে থাকেন (সবাই হয়েতো না) কিছুটা মানসিক রোগও পোষন করতে থাকেন সেই ছেলেবেলা থেকেই যা পর্যায়ক্রমে বয়সের সাথে সাথে ভয়াবহ রূপ ধারণ করে।
আপনার চমৎকার মন্তব্যর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ছিল রোল নম্বর ৭।
১/২/৩ এ কখনও যেতে পারি নি। এজন্য আমার কোন আফসোস নেই। তবে আমাদের ক্লাসে ৪৫ জনের বেশী ছাত্র ছাত্রী ছিল। ৪৫ এর মধ্যে ৭, খারাপ না। আমি আমার ক্লাসের হিরো ছিলাম। মেয়েরা আমার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতো।