নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাদীজানের সিন্দুক

২১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪২



প্রায় চার পাঁচ দিন যাবত ঘন বৃষ্টি হচ্ছে। এই বৃষ্টি থেমে যাবার বৃষ্টি না। নিকষ কালো অন্ধকার রাতকে আরোও অন্ধকার করে দিয়ে রাতভর বৃষ্টি হয়। তারপর ভোর সকাল থেকে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি চলে। অবস্থা হয়েছে এমন, দিনের বেলাতেও কুপি হারিকেন ধরিয়ে রাখতে হয়। বৃষ্টি কাঁদা আর পানির কারণে আমাদের বাজারে যাওয়া বন্ধ। ছোট চাচার সাথে পুকুর আর দিঘী থেকে অতি সামান্য কিছু মাছ ধরি বাড়ি ঘরের রান্নার জন্য। সময় ১৯৬৯ সন। খুব সম্ভব এমনই জুলাই - আগস্ট মাস হবে হয়তো।

একদিন ভোর সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকেই খুব মিষ্টি খেতে মন চাইছে। মনে হচ্ছে মিষ্টির চেয়ে ভালো কোনো খাদ্যদ্রব্য হয়তো এই পৃথিবীতে নেই - হতে পারেনা। হয়তো পৃথিবীতে কখনো ছিলোও না। সেই শিশুকালে মিষ্টির জন্য এতো মন খারাপ লাগতে লাগলো যা লিখে প্রকাশ করা যাবে না। দাদাজান দাদীজান খেজুরের গুড় দিয়ে চা খেতে পছন্দ করতেন। কিন্তু এই বৃষ্টিতে বাড়িতে বাজার সাজার সব বন্ধ। দাদাজান দাদীজান কি আমাকে এক টুকরো গুড় দিবেন? গুড় আছে কিনা তাও জানিনা! আমি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মাথার উপর একটি এল্যুমিনিয়ামের বোল ছাতার মতো করে ধরে দাদাজানের ঘরের দরজার সামনে গিয়ে দাড়ালাম। আশ্চর্য দাদীজান কি মনের কথা পড়তে পারেন? দাদীজানের জন্য দাদাজানের বর্মা থেকে আনা চম্পাফুল কাঠের মনিহারি সিন্দুকের উপর বসতে বলে আমার ছোট্ট হাতে এক টুকরো খেজুরের গুড় দিলেন। দাদীজানের মনিহারি সিন্দুকের উপর বসে আশ্চর্য হয়ে খেজুরের গুড়ে কামড় দিচ্ছি আর প্রতিটি কামড়ে মনে হচ্ছে গুড়ের প্রতিটি দানায় দানায় মিশ্রিত আছে লক্ষ লক্ষ স্নেহ মায়া মমতা আর ভালোবাসা! - আমার জীবনের শ্রেষ্ট মিষ্টি, আমার জীবনের শ্রেষ্ট স্মৃতি। দাদীজান আমাকে আরোও আশ্চর্য ও হতবাক করে দিয়ে বললেন - এই সিন্দুকটি তোমার!

আত্মকথা: গ্রাম থেকে গ্রামান্তর, শহর থেকে শহরান্তর এমনকি বেঁচে থাকার জন্য ডাল ভাতের প্রয়োজনে যুদ্ধ বিগ্রহ দেশে দেশান্তরেও! কিন্তু সিন্দুক আজোও পুরোনো বাড়িতেই আছে। সঙ্গত কারণে গ্রামে এখন দুটি বাড়ি যার নাম যথাক্রমে নতুন বাড়ি আর পুরান বাড়ি। আমি এই সিন্দুক পুরান বাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে আনার সাহস করি না। এই সিন্দুকের মালিকানা আমার নয় দাদীজানের। এই সিন্দুকের জীবন শুরু হয়েছে আমার দাদীজানের হাতে পুরান বাড়িতে। আমি কে তাঁকে স্থানান্তর করার? এই সিন্দুকে লেগে আছে দাদীজানের হাতের ছোঁয়া। দাদীজানের শত সহস্র স্মৃতিমাখা আনন্দ দুঃখ ভালোবাসা আর মায়া মমতার গল্প। থাকুক সে তাঁর নিজ স্থানে নিজের মতো। থাকুক অনন্তকাল তাঁর মতো।




ছবি: দাদীজানের স্মৃতিময় সিন্দুক। স্যামসাং এস সেভেন।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।






মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আকারে কত বড়?

২১ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




৩০ ইঞ্চি বাই ৪২ ইঞ্চি। আপনি চট্রগ্রামের মানুষ চম্পাফুল কাঠ আপনার চেনার কথা। এটিকে ইংরেজিতে বলে তিক চাম্বল। দাদাজানের চাকরিকালীন সময়ে নারায়নগঞ্জ থেকে রেঙ্গুন লঞ্চ চলাচল করতো।

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমার দাদা'র( দাদীকে আমরা দাদা বলতাম- আমার বাবার ছোট বেলায় আমার দাদাজান মারা যান) এমন একটা সিন্দুক ছিল,
তবে সেটা কড়ই কাঠের। তিক চাম্বল আর বার্মা টিক কি এক গোত্রিয়?

২১ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বার্মা টিক হচ্ছে বার্মার পাহাড়ি সেগুন। সেগুন নানান দেশে আছে। বার্মার সেগুনের বৃটিশ আমলে থেকে বা তারও আগে থেকে আলাদা কদর। তিক চাম্বল হচ্ছে চম্পাফুল গাছ। দুইটি ভিন্ন গোত্র। আমি আমার দাদাজান ও দাদীজানের কাছে যেই ভালোবাসা ও শিক্ষা পেয়েছি তা আমার জীবনের শ্রেষ্ট শিক্ষা ও শ্রেষ্ট ভালোবাসা।

আপনার দাদীজানের কথা জেনে ভালো লেগেছে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



সচ্ছল পরিবারগুলোতে সেগুন কাঠের সিন্দুক ছিলো; আমার বাবার একটা ছিলো, যাতে তিনি টাকা পয়সা ও দলিল রাখতেন; আরেকটা ছিলো ৬ফুট বাই ৪ ফুট; সেটার উপর আমি মাঝে মাঝে ঘুমাতাম; '৭১ সালে, ঘরের সাথে ২টাই পুড়ে গেছে।

২১ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বিচিত্রভাবে ১৯৭১ এ আমাদের বাড়িতে পর পর দুইবার আগুন দেওয়া হয় ও চুরি হয় (ডাকাতি নয়) ডাকাতি করার দুঃসাহস তখনও ছিলো না আজও নেই। পরবর্তীতে বাড়ি জমি ও এস্টেটের দলিলপত্রের নকল কুমিল্লা ও ত্রিপুরা থেকে উঠিয়ে আনতে হয়েছে। চার ফিট বাই ছয় ফিট সেগুন কাঠের সিন্দুক আমাদেরও ছিলো একইভাবে আগুনে পুড়েছে। সাথে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়েছে ধবল, লালি, কালি, ও কালা পাহাড় নামক তিনটি গাভী ও একটি ষাড়কে। বেঁচে যায় হান্টার ও হান্টারের স্ত্রী রেনে নামক গ্রে হাউন্ড ও তাদের শিশু রানার ও হিরো। হয়তো কোনোদিন লিখতে পারি সে সকল ঘটনা।

৭১এর কথা মনে করে দিয়ে চিরোদিনের দুঃখ আবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। বাড়িতে আগুন ও চুরি পাকিস্তানী সেনা করেনি।
নিকৃষ্ট কাজগুলো করেছে আমাদের দেশের মানুষজন। রাজাকার আলবদর আলশামস ও তাদের ধারাবাহিক রক্তকে আমি চিরোকাল ঘৃণা করেছি। যেমনটি নর্দমার কীটকে আমি ঘৃণা করি। এই নর্দমার কীটগুলো আমাদের দেশেই বসবাস করে। এই নর্দমার কীটগুলো আমাদের দেশের পাসপোর্ট বহন করে। তাদের ভাষা তাদের ব্যবহারেই তাদের পরিচয় মেলে।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৮

ইসিয়াক বলেছেন: আমাদের গ্রামের বাসায় এখনও দুটো সিন্দুক আছে। লোহার। কোম্পানি আমলের সিন্ধুক। আট দশ জনে মিলে সরানো মুশকিল। প্রথমটি ব্যবহৃত হয় এখনো। দ্বিতীয়টির চাবি মুক্তি যুদ্ধের সময় অনেক জিনিসের সাথে লুট হয়ে যায়। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত হয়েছে যেহেতু চাবি নেই অকারণ পড়ে আছে উহা ভেঙে ফেলা হবে। ভিতরে কি আছে সেটা জানতে সবাই আগ্রহী। দেখা যাক কি হয়।


আপনার দাদীজানের জন্য দোয়া রইলো।

ভালো থাকুন প্রিয় মাহমুদ ভাই।

শুভকামনা সতত।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




লোহার সিন্দুক নিয়ে মজাদার গল্প লিখবো। জমা খাতায় তোলা রইলো। ১৯৭১এ আমাদের গঞ্জের বাজারে অনেক ক্ষয় ক্ষতির পরও আড়ত থেকে লোহার সিন্দুক নড়েনি। যেখানে ছিলো সেখানেই পড়ে রইলো যেনো নীল তিমি এক একটি।

আমার দাদীজান আমাদের পরিবারের বটবৃক্ষ ছিলেন। তাঁর জন্য আপনি দোয়া করেছেন জেনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৪৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি নানীর কাছে থেকে পড়াশোনা করে বড় হয়েছি। তাই নানীর সিন্দুক দেখেছি, রামগড় হতে সেগুন কাঠের বানানো সিন্দুক ।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রামগড় আমার পছন্দের একটি জায়গা। বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকা ও সিলেটে অঞ্চলের গাছ নিয়ে আমি লিখবো। লেখাটি পড়ে আপনি আপনার পুরোনো স্মুতি স্মরণ করেছেন জেনে ভালো লাগছে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট পোষ্ট কিন্তু সুন্দর। খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।

আমাদের গ্রামের বাড়িতে এরকম সিন্দুক দেখেছি।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি নিজে ভালো গল্পকার তাই হয়তো গল্পের ভালো মন্দ বুঝতে পারেন। এক সময় এই সিন্দুক বা এর কাছাকাছি সিন্দুক গ্রামের বাড়িতে ঐতিহ্য ধরে রাখতো। গল্পটি পড়েছেন জেনে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ৭:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




দাদীজানের সিন্ধুক, স্মৃতিকে নিয়ে গেলেন অনেক পিছনে ।
অনেক কথাই মনে পরে । তা সব লিখতে গেলে কাগজের
পাতা যাবে ভরে ।

আমাদের বাড়ীতেও বড়দাদা ও বড়দাদীর আমলের বাহারী সুন্দর
নক্সী করা কাঠের সিন্ধুক ছিল । উ্ইপোকা আর ঘুনে কিছুই লাগাতে
পারেনি আচর । কাঠ ছিল যেন লোহার থেকেও শক্ত, ওজনেও ছিল
বেশী ।সিন্ধুকের ভিতরে ছিল বেশ কিছু খোপ । ছোট ছোট খোপে
কি থাকত তা শুধু দাদীজানই জানতো । বড় খোপে থাকতো লেপ
আর কম্বল , শিতের শুরুতে বের করে রোদে শুকানোর জন্য বাহির
করার কালে দাদীর সিন্ধুকে চুকি দিয়ে দেখতাম এর ভিতরে আর
কি কি আছে । দাদী বলত সাবধান কি আছে কাওকে বলা যাবেনা ,
খবর চলে যাবে চোর ডাকাতের কাছে । তবে তাতেও রক্ষা হয়নি
সিন্ধুকটি ডাকাতের কবলে পরেছে। এছাড়া আপনি যাদের কথা
বলেছেন তারাও কিন্তু এটাকে পরখ করে দেখেছে, যা ছিল ভিতরে
তার অনেক কিছুই তারা নিয়ে গেছে। তবে মুল স্মৃতি সিন্ধুক খানি
রেখে গেছে ওজনে বেজায় ভারী বলে ।

আপনার প্রিয় দাদীজানের কাছ হতে সিন্ধুক পেয়েছেন উপহার
যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। নিশ্চ্য়ই এর ভিতরে আছে আরো অনেক
মনিমুক্তা কিংবা তার থেকেও দামী কোন কিছু যা শুধু আপনিই
জানেন । কামনা করি সেই স্মৃতিগুলি থাকুক আপনার মনের সিন্ধুকে
আজিবন ধরে , পুরান বাড়ী হতে নতুন বাড়ীতে গেলেও সেগুলি যাবে
আপনারই সাথে সাথে ।

আপনার দাদীজানের সিন্ধুকটি দেখতে খুবই সুন্দর ।
এর ঐতিহাসিক মুল্য এখন অনেক । এতে ফুটে রয়েছে
কারু শিল্পির সুনিপুন হাতের ছোয়া সাথে আপনার
দাদীর হাতের পরশ ।
আপনার প্রিয় দাদীজানের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা ।

প্রাচীনকাল থেকে আজ অবধি বাংলার কাঠশিল্পীরা কাঠের সিন্ধুক তৈরীতে
যে অসামান্য দক্ষতা দেখিয়েছেন তা যেমন বিস্ময়কর তেমনি গৌরবোজ্জ্বল।

তাই কাঠশিল্পের ইতিহাস সমৃদ্ধ ও দীর্ঘস্থায়ী। তবে বর্তমানে গ্রাম বাংলা
হতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে এ শিল্প। আপনি বিলুপ্ত প্রায় এ কাঠের সিন্ধুক
নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন দেখে ভাল লাগল। বাংলার বিলুপ্ত প্রায় কুটিরশিল্পজাত
কাঠ শিল্প নিয়ে আরো নতুন নতুন পোষ্ট আসুক এ কামনা রইল ।

ভাল থাকার শুভ কামনাও রইল এসাথে ।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই সাহেব, আমি স্মৃতি সংরক্ষণ করতে পছন্দ করি। তাই স্মৃতিগুলো ধরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনি সঠিক বলেছেন সিন্দুকের ভেতর এমন কিছু ছিলো যা আমাদের পূর্বজ সম্পত্তি। আপনি বিষয়গুলো জানেন বলেই ধারণা করতে পেরেছেন।

আমার আব্বা ইস্ট বেঙ্গলে ছিলেন। তিনি ভালো বাংকার করতে পারতেন। তাই তিনি সংগ্রামের সময় বাড়িতে বাংকার করেন। সেখানে বাড়ির মূল্যবান তৈজসপত্র সহ অলংকার ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রেখে মাটি চাপা দিয়ে উপরে গাছ রোপন করে যায়গাটি রিতিমতো পুরাতন করে নেন। তারপরও তাড়ারকারণে বাড়িতে রাখা বড় সিন্দুকে দলিল দস্তাবেজ সব আগুনে পুড়ে, বৃটিশ আমলের চিনা মাটির প্লেট ডিনার সেট আগুনে পুড়ে, বাড়ি ঘর পুড়ে। হত্যা করা হয় বাড়ির চার চারটি গরু। - আমি গল্পগুলো লিখবো।

ভাই সাহেব পাকিস্তানী সেনা যতোটা অত্যাচার করেছে তার সাথে পাল্লা দিয়ে অত্যাচার করেছে আমাদের দেশের রাজাকার আলবদর, মিলিশিয়া ও শান্তি বাহিনীর সদস্য।

আপনি পিতলের হুক্কার সাথে পরিচিত আছেন জানি। কারণ আপনি সেই সময়কালের মানুষ। সন্ধ্যা সময় দাদাজান যখন পিতলের হুক্কা নিয়ে বসতেন তখন আমরা সবাই আগ্রহী হয়ে গোল করে চারোদিকে বসে দাদাজানের কাছে গল্প শুনতাম। সিন্দাবাদ, আলাদিন, সোহরাব রুস্তম, নুনের মতো ভালোবাসা, সাত ভাই চম্পা আরো কতো কি। কি মধুর জীবন ফেলে এসেছি যা গল্প করে ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।

সিন্দুকের সময়কালে চামড়ার স্যুটকেস ছিলো আর ছিলো নকশিদার ট্রাংক। এখনকার আধুনিক যুগেও সেই আমলের চামড়ার স্যুটকেসের মতো সৌখিন লাগেজ এখন নেই। নেই সেই নকশিদার ট্রাংকও। আর ছিলো আয়রন সেফ লকার। ভারী লোহা দিয়ে তৈরি লোহার সিন্দুক।

আপনার জন্যও দোয়া করছি আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।ভাই সাহেব, আমার জন্যও দোয়া করবেন যেনো ঈমান আমল ও আখলাকের সাথে থাকতে পারি। ফি আমানিল্লাহ।

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৩১

ফয়সাল রকি বলেছেন: আমার দাদী যখন মারা যান তখন আমার বয়স পাঁচ বছর। খুব বেশি স্মৃতি মনে নেই।
আপনার লেখা পড়ে অনেকদিন পর দাদীর কথা মনে পড়লো।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার দাদীজানের কথা মনে করিয়ে দিতে পেরে সত্যি সত্যি আমার ভালো লাগছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৯| ২২ শে আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




স্মৃতি স্মারক হয়তো উপড়ে আনা যায় কিন্তু স্মৃতি থেকে যায় তার জায়গাতেই । তাকে উপরানো যায়না!

ভালো লাগলো দাদীজানের সিন্দুকের কথায় এককালের গ্রামীন জীবনযাত্রার ছবি এঁকে গেছেন দেখে।

২২ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




স্মৃতি আসলেই স্মৃতির স্থানেই রাখতে হয়। স্থানান্তর হলে অবমূল্যায়ন হবার সম্ভবনা থাকে। আমি মাটির টানে স্মৃতির টানেই হয়তো বাড়িতে যাই বারংবার। অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্য করেছেন - আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার দাদীজানের সিন্দুক নিয়ে লেখা এ পোস্টটি খুবই চমৎকার হয়েছে। লেখাটি পড়ে আমার দাদীমা এবং নানীমা এর স্নেহ ভালবাসার কথা মনে পড়লো। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন তাদেরকেসহ আপনার দাদীজানকেও জান্নাত নসীব করুন!

ডঃ এম এ আলী এর মন্তব্যটি ভালো লেগেছে। +

পোস্টে ভাললাগা। + +

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জীবনের গল্প মাত্র। গল্পটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন আপনার ও আমার দাদীজানকে জান্নাত নসীব করুন! আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.