নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
বৃষ্টিভেঁজা দিন। দুপুরে বাসা থেকে খাবার এসেছে লাউ আলু পেঁপে দিয়ে রান্না করা এক পট নিরামিষ। এই নিরামিষ রান্নার সময় খানিকটা ভিনেগার দেওয়া হয়। এক পট সাদা আতপ চালের ভাত। আর তিনটি সন্দেশ। যদিও আজ বৃহস্পতিবার কাজের প্রচন্ড চাপ থাকার কথা, কিন্তু দুপুরের পর অফিসে আর তেমন কাজ ছিলো না। আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু সামার সাহেব এসেছেন। একজনের খাবার কিভাবে যেনো দুজনের বেশ ভালোভাবেই হয়ে গেলো। সামার সাহেবের সাথে ভাত খেতে খেতে জানতে চাইলাম - মানুষের জীবন আর সময় নিয়ে কিছু বলু্ন। তিনি খেতে খেতে গল্প শুরু করলেন, আসুন তাঁর গল্প শুনি।
জীবন কখনোই আমাদের অনুকূল পরিবেশে থাকে না। আমাদের তাঁকে অনুকূলে করে নিতে হয়। নয়তো সময় আমাদের দায়ী করে - কখনো কখনো ! গণহারে সবাইকে অবশ্য দায়ী করে না। সবাই দায়ভার, দায়িত্ব, কর্তব্য, দায়ী কে - বোঝার জ্ঞানও রাখেন না। চলার পথও কখনো মসৃণ হয় না। উচু নিচু বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে যার যার নিজ গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। প্রকৃতির এ এক আজব খেলা - পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ একক ও অদ্বিতীয় (ইউনিক/মাস্টারপিস) তাই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের চলার পথ আলাদা এবং গন্তব্যও আলাদা। আর তাই এগিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে দেখে তাদের পেছনে জীবনের অমূল্য বা বিনামূল্য সময় ব্যয় করে পাগল প্রায় হয় দৌড়ানো কখনো কোনো বুদ্ধিমান মানুষের কাজ নয়। এগুলো অসুস্থতা। মানসিক অসুস্থতা - যা হিংসা থেকে তৈরি হয়। আর মানসিক অসুস্থতার হাত ধরে আসে ব্যর্থতা ও অসফলতা। প্রতিটি মানুষের ব্যর্থতা ও অসফলতা হচ্ছে তার নিজ নিজ কর্মফল।
দেশের প্রথম শ্রেণীর সেলুন বাসগুলোর সকল যাত্রীর উক্ত বাসে যাতায়াত করার আর্থিক সচ্ছলতা আছে বলেই তারা উক্ত বাসে যাত্রা করেন বলে মনে করি। তারপরও কেনো বাসের সিট ছেঁড়া থাকে? - কারণ হিংসা। অদৃশ্য হিংসা। তার আছে আমার নেই এই জাতীয় হিংসা। আর এই জাতীয় হিংসা থেকে বাসের সিট ছিড়ে রেখে যান কোনো না কোনো যাত্রী। এই ধরনের কার্যকলাপ করে করে মানুষ যন্ত্রপাতির মতো আউট অব সার্ভিসেস / বিয়ন্ড সার্ভিসেস হয়ে পরে। তাদের আর চিকিৎসা নেই। পৃথিবীর সকল চিকিৎসা ও চিকিৎসক তাদের জন্য ফেইল। একদিন ঝন্টু মামা এসে থাবা দিয়ে নিয়ে যান অজানা গন্তব্যে! যে গন্তব্যের কোনো ঠিক - ঠিকানা নেই। যে অজানা গন্তব্য থেকে কেউ কখনো ফিরে আসেনি। কেউ কখনো ফিরে আসবে না।
শেষকথা: আমাদের খাবারের সাথে সাথে সামার সাহেবের গল্পও শেষ। আমাদের অন্ধগ্রামে একটি প্রচলিত মজাদার গল্প আছে, তা লিখে আজকের মতো আমিও সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বিদায় নিচ্ছি। - ইঁদুর মরার সময় পা গুলো উপরের দিকে দিয়ে কেনো মরে জানেন কি? - কারণ আকাশ ভেঙ্গে পরলে যেনো পা দিয়ে ঠেকাতে পারে। মানুষের মাঝে ইঁদুর স্বভাব দেখতে পাওয়া যায়। তারা ইঁদুর হয়ে পাহাড় ঠেলার কাজটি করে। পাহাড় পাহাড়ের যায়গাতেই থাকে, কিন্তু ইঁদুর বেচারা অযথা অকারণ ক্লান্ত হয়। আমার নিজ বক্তব্য, শুধু মানব সমজ নয়! সমগ্র জীব জগতে সবচেয়ে মূল্যবান বিষয়টির নাম - সময়। সময়ের চেয়ে মূল্যবান আর কিছু আছে বলে আমার ধারণা নেই।
ছবি সূত্র: দেয়াল ঘড়ি
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার মন্তব্যে লেখালেখির পরিশ্রম সার্থক করে দিয়েছেন। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০২
কামাল১৮ বলেছেন: পরীক্ষা মুলক
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার মনে হয়, আমার পোস্টে এই প্রথম আপনার লাইক পেয়েছি। আপনার লাইকের জন্য আপনাকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: মন্তব্যে করতে পারছিলাম না।আপনার পোষ্টে মন্তব্য করতে যেয়ে সফল, এই জন্য ধন্যবাদ।
শিক্ষা মুলক পোষ্ট কিন্তু এই পোষ্ট থেকে শিক্ষা নেয়ার লোকের বড় অভাব।কবে যে আমাদের দেশের লোক, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে।
আমার মনে হয়, বাসের সিট প্রতিপক্ষের লোকেরা পয়সা দিয়ে কাটায়।
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের দেশের মানুষ (সবাই না) আপতত কাজে বড় হবার কোনো কারণ নজরে পড়ছে না। এরা মানুষের পেছনে পেছনে দৌড়ে জীবন ক্ষয় করবে বলে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও পণ করেছে বলে মনে হচ্ছে।
বাসের সিট নষ্ট করে মানসিক চাপে। মানসিক অসুস্থতায়। - এ বিষয়টি নিয়ে আমি আস্ত একটি পোস্ট দিবো ভাবছি। আপনাকে পোস্টে পেলে ভালো লাগে। আপনি কোনো লেখা পোস্ট দিচ্ছেন না কিন্তু নিয়মিত মন্তব্য করছেন যার মধ্য অনেক মন্তব্য আছে মনে ধরার মতো, মনে রাখার মতো। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ঢাকার রাস্তার ৬/৭ বছর বয়সী "টোকাই"রা নিজেদের জীবনকে তাদের অনুকুলে নেয়ার জন্য কি কি করতে পারে?
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই জীবনগুলো নষ্ট করার পেছনে কেউ না কেউ অবশ্যই দায়ী আছেন। আপনি টোকাইদের সাথে কথা বলেছেন কিনা জানিনা, আমি তাঁদের সাথে কথা বলি। যারা টেকনিক্যাল কাজ শিখতে ও কাজ করতে আগ্রহী তাদের কাজের ব্যবস্থা পড়ালেখার ব্যবস্থা করতে চেষ্টা করি। আমি অতি সামান্য মানুষ কোনো পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া আমি কাজটি করি। এটি আমার মনের আনন্দের জন্য করি। আমার বিনিময় প্রয়োজন নেই।
৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
আমরা আম পাবলিক হয়তো বিনামূল্যে সময়টাকে পাই। তাই অবহেলা ।
কৃতি মানুষেরা দাম দিয়ে সময় কেনেন। তাই সময় তাদের প্রতিদান দেয়।
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমরা আম পাবলিক হয়তো বিনামূল্যে সময়টাকে পাই। তাই অবহেলা । কৃতি মানুষেরা দাম দিয়ে সময় কেনেন। তাই সময় তাদের প্রতিদান দেয়। - সময়ের মূল্য যিনি দিতে পারেন তিনিই কৃতি মানুষ। আপনার অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্যতে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫১
জুন বলেছেন: সময়ের মুল্য নীয়ে বিখ্যাত লেখক ও হেনরীর একটা ছোট গল্প আছে । পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো ঠাকুর মাহমুদ ।
+
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অবশ্যই আমি গল্পটি পড়বো। পোস্টটি পড়ার জন্য ও পোষ্টে লাইকের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: পা দিয়ে কি আর আকাশ ঠেকানো যায়?
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের অন্ধগ্রামের গল্প। গল্পে রূপক অর্থে অনেক কথা বলা হয় যার অর্থ ভিন্নভাবে হয়ে থাকে। আপনি কেমন আছেন?
৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি-
ছবিটা ভালো হয়েছে।
২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি ছবি তোলার মানুষ জানি। বাহ্যিক ছবি তোলা যায় আমরা সবাই জানি কিন্তু মনের ছবি তোলার ক্যামেরা কি জানেন?
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ২:২৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দরিদ্র ঘরের লোকটি জীবনেকে অনুকলে করার যুদ্ধ করতে করতে মরে যায় তার আর জীবন উপভোগ্য হয় না
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৩১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সুখ শান্তি আরাম আনন্দ মায়া মমতা ভালোবাসা ও আহার নিদ্রা এসকলের সাথে বিত্ত ও দারিদ্রতার ভূমিকা নেই। দরিদ্র লোকটি সামান্য ডাল ভাত খেয়ে ছনের ঘরে শান্তিতে ঘুমোতে যান। আর বিত্তবান ব্যক্তিটি যেমন তেমন আহার করেও রাতে ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমোতে পারেন না। কার জীবনটি উপভোগ্য? আর কে জীবন যাপনে এগিয়ে আছেন?
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:১৫
শেরজা তপন বলেছেন: সময়; কিভাবে অবহেলায় চলে গেছে অমুল্য সব সময়, কিভাবে অবহেলায় চলে যাচ্ছে অমুল্য এ সময়...
আফসোস
কিছু কথা সত্যিই মনে গেঁথে যায়।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লেখালেখি সত্যি সত্যি বেশ পরিশ্রমের কাজ। এই পরিশ্রম তখনই সার্থক হয় যখন লেখার অর্থ - লেখার মূল্যায়ন কেউ না কেউ করতে পারেন। মনে রাখার মতো কথা লিখতে পেরেছি জেনে ভালো লাগছে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:২৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: "জীবন কখনোই আমাদের অনুকূল পরিবেশে থাকে না। "
গত দেড় বছর কি প্রতিকূল পরিবেশে আছি বোঝানো যাবে না। এই মুহূর্তে নিউমার্কেট ফুটওভার ব্রীজটার জন্য মনটা হুহু করছে । আহা আমার কান্নার শহর। এই শহর আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
গত দেড় বছর সমগ্র বিশ্ব প্রতিকূল অবস্থায় চলে গিয়েছে তারপরও মানুষ প্রকৃতির সাথে করোনার সাথে লড়াই করছে। প্রকৃতির সাথে জীব জগতের টিকে থাকার এই লড়াই অনন্তকালের।
নিউ মার্কেট এলাকা কোনো কারণে হয়তো আপনার প্রিয় একটি এলাকা। আমি আগেও পড়েছি আপনার মন্তব্যে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ ভোর ৬:২৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন সময় সবচেয়ে বেশী মুল্যবান ।
আরো একটি মুল্যবান ও গুরুত্বপুর্ণ কথা বলেছেন তাহল মানুষের মাঝে ইদুরের স্বভাব দেখা যায়
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায় যে সারে পাঁচ শ বছর আগে ইউরোপের শ্বেতাঙ্গ লোকেরা যখন জাহাজ
থেকে দলে দলে নামছিল আমেরিকার নতুন আবিষ্কৃত ভূখণ্ডে, তাদের সঙ্গে নতুন এই মহাদেশে
পা রেখেছিল আরেক ধরনের যাত্রী। জাহাজের খোলে লুকিয়ে ইউরোপ থেকে আসা কিছু ইঁদুর।
তারপর মাটির ওপরে যা যা ঘটেছে, তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে মাটির তলায়। নিষ্ঠুর ইউরোপীয়রা
যেভাবে স্থানীয় অধিবাসীদের কচুকাটা করে কলোনি বিস্তার করেছে, একইভাবে স্থানীয় ইঁদুর
প্রজাতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের উজাড় করে মাটির তলায় সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে ইউরোপীয়
ইঁদুরেরা। সেটা ছিল আরেক রক্তক্ষয়ী লড়াই, যার ইতিহাস কেউ লিখে রাখেনি।
মানুষের সঙ্গে ইঁদুরের লড়াই বহু বছরের পুরোনো। সম্ভবত নব্য প্রস্তর যুগ থেকে চলে আসছে এই লড়াই।
দুই প্রজাতি পরস্পরকে ধ্বংস করে ফেলতে চেয়েছে। উজাড় করে দিতে চেয়েছে পৃথিবীর বুক থেকে।
কিন্তু পরিহাস, তারা বসবাসও করেছে সবচেয়ে পাশাপাশি, বলতে গেলে গলায় গলায়। মানুষের মাঝে
ইদুরের স্বভাব সেই গোড়া হতেই।
মানুষ ইঁদুরকে খতম করতে চেয়েছে মূলত বিষ প্রয়োগ করে। আর কত রকম বিষই না গবেষণাগারে
বানাতে হয়েছে মানুষকে।ইঁদুরেরাও মানুষকে ধ্বংস করতে চেয়েছে নানা রকম রোগ ছড়িয়ে।
ইতিহাসে অন্ত দুবার বিউবনিক প্লেগের কবলে পড়ে মানবজাতির প্রায় উজাড় হওয়ার দশা হয়েছিল।
প্লেগ ছাড়াও আরও বিচিত্র রকম রোগ শরীরে নিয়ে ঘোরাফেরা করে ইঁদুর। ময়লা নর্দমার কিলবিল
করা ১৮ রকমের প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়া শরীরে বয়ে আনে ইঁদুরেরা। রাতের অন্ধকারে পানির পাইপ
বেয়ে উঠে এসে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেয় সেই জীবাণু। এ-ও এক প্রতিশোধ বটে মানুষের বিরুদ্ধে।
প্রজাতিবিধ্বংসী হিসেবে দুনিয়ায় ভীষণ কুখ্যাতি মানুষের। বিশ্ব বন্য প্রাণী তহবিলের সাম্প্রতিক
এক প্রতিবেদন বলছে, ২০২০ সাল নাগাদ দুনিয়ার দুই-তৃতীয়াংশ প্রাণী উজাড় হয়ে যাবে শুধু
মানুষের কারণে। তবে সবচেয়ে ভয়ানক খবর হলো, মানুষের উদ্ভাবন করা অধিকাংশ বিষের
বিরুদ্ধে শারীরিক প্রতিরোধ গড়ে নিয়েছে ইঁদুরেরা। কোনো বিষে আর কাজ হয় না। ইদুরেরা
মরার সময় পা উপরের তুলে রেখে সে শুধু আকাশটাকেই তার মাথার উপর পরাকে
ঠেকাচ্ছেনা সে তাদেরকে ধ্বংসকারী মানবকুলকেও পদাঘাত করার চিহ্নটুকু দেখাচ্ছে
নীজে মরে গিয়েও । এখন দেখার পালা মানবকুল না ইদুরকুল কে আগে ধ্ংস হয়
এ ধরার বুক হতে ।
মুল্যবান কথামালা সমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই সাহেব, আপনার লেখা মন্তব্য পড়ে সুদূর অতীতের মর্মস্পর্শী হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি মনে পড়ে গেলো। বিচিত্র কারণে আমি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি বিশ্বাস করি।
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালার (জার্মান: Rattenfänger von Hameln) গল্পটি পৃথিবী বিখ্যাত। আজ থেকে প্রায় ৭০০ বছরের বেশি আগে জার্মানির ছোট্ট শহর হ্যামিলিনে ঘটেছিল বিখ্যাত এ ঘটনাটি। হ্যামিলিনের গির্জার দেয়ালে আঁকা ছবি থেকে প্রথম এ ঘটনার কথা জানতে পারে মানুষ। পরে এ নিয়ে গল্প-কবিতা লিখেছেন গ্রিম ভ্রাতৃদ্বয় মতো অনেকেই। এ ঘটনার পেছনে যুক্তি খুঁজতে গিয়ে অনেকে বলেন, জার্মানির উত্তর-পূর্বে স্লাভ অধ্যুষিত দেশগুলোতে উপনিবেশ গড়ে তোলার জন্য শহর ছেড়েছিল হ্যামিলিনের বেশ কিছু অল্পবয়সী অধিবাসী। তাদের এই দেশান্তরী হওয়ার ঘটনাই পরে গল্প-গাঁথায় উঠে এসেছে। কেউ বলেন, সে সময় ভয়ঙ্কর মরণরোগের শিকার হয়েছিল হ্যামিলিনের খুদে বাসিন্দারা। পরে সেই রোগকেই বাঁশিওয়ালার প্রতীকী রূপ দেয়া হয়।এর সত্যতা নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহ আছে বটে, কিন্তু এরপরও পুরো ঘটনাটি বিশ্ব ইতিহাসে কিংবদন্তি হয়ে আছে। (তথ্যসূত্র - https://bn.wikipedia.org/wiki/)
ইঁদুর বিধ্বংসী প্রাণী। আগে আমাদের ফসলি জমিতে শিয়াল আক্রমণ করতো। সময় আর কালের স্রোতে শিয়াল এখন নাই বললেই চলে তবে ইঁদুর বহাল তবিয়তেই আছে। ফুলকপি পাতাকপি আলু টমেটো বেগুন কোন জমিতে ইঁদুর নেই?
তবে একটি কথা কি, মানুষের মাঝে নানা ধরনের পশুর মিল পাওয়া যায় যা কখনো হওয়া উচিত ছিলো নয়। মানুষ সর্বশ্রেষ্ট জীব মানুষ হবে মানুষের মতো।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যে ইঁদুর নিয়ে অনেক কিছু জানা হলো। জানা হলো ইঁদুর আর মানুষের লড়াই। জানা হলো শতাব্দীর পর শতাব্দী মানুষ আর ইঁদুরের ইতিহাসও। ভাই সাহেব আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪১
নিমো বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। অনেকেই অমূল্য আর বিনামূল্যের পার্থক্য বুঝতে অক্ষম। তাই অমূল্য সময়কে বিনামূল্যে পেয়ে ব্যবহার করে, কিন্তু এর মর্যাদা বুঝতে পারে না। একটা কথা জেনে রাখুন, আপনি আমার অতি পছন্দে একজন ব্লগার এবং মানুষ। আমি খুবই হবাক হই যখন কিছু নির্বোধ আপনার প্রবাসী বা স্যার নিয়ে সহজ বক্তব্য নিয়ে জল ঘোলা করে। অথচ এরাই নোবেলের মত কুলাঙ্গারের জাতীয় সংগীত বদলাতে চাওয়ার আস্পর্ধায় বাক-স্বাধীনতা দেখে, তাও আবার সংবিধানের নিবন্ধ, অনুচ্ছেদ, ধরা-পাতের মধ্যে। কতই না বিচিত্র এসব টিনের চশমাধারীরা। ভালো থাকুন, নিয়মিত লিখুন।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই নিমো, অতীত মনে রাখতে নেই, আবার অতীত ভুলেও যেতে নেই। অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ আমার লেখা অতি সামান্য বা অসামান্য কথাটি পড়বেন বলে অনুরোধ রইলো।
আমাকে পছন্দ করেন জেনে আন্তরিক কৃতজ্ঞতার ঋণে আবদ্ধ হয়েছি। আগামীতে মজাদার কিছু লেখা পাবেন আশা করি পাশে পাবো সব সময়। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখা পড়ে ভাল লেগেছে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আশা করছি আগামী লেখাও পড়বেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৩
ওসেল মাহমুদ বলেছেন: আপনার মননশীলতা ভালো লাগলো ! চমৎকার লিখেছেন !!
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনিও মাহমুদ আমিও মাহমুদ। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পচ্ছলে বলে যাওয়া 'সামার সাহেব' এর কথাগুলো অমূল্য। আপনাদের 'অন্ধগ্রামের প্রচলিত মজাদার গল্প'টিও সত্যিই বেশ মজার। মরণকালে ইঁদুরের পা তুলে পাহাড় ঠেকানোর নিষ্ফল প্রচেষ্টার কথাটা আগে কখনো তেমন করে খেয়াল করিনি। এর রূপকার্থটাও কখনো অনুধাবন করিনি। ধন্যবাদ, এমন চমৎকার একটি রূপক গল্প উপস্থাপন করার জন্য।
ডঃ এম এ আলী এর মন্তব্যে মানুষ ও ইঁদুরের চিরন্তন লড়াই এর কাহিনী শুনে বুঝলাম জগতের কত কিছুই এখনো আমার অজানা রয়ে গেছে!। ওনার দেয়া তথ্যসমূহ পড়ে অনেক সমৃদ্ধ হ'লাম।
পোস্টে ভাললাগা। + +
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে। আপনাকে আরোও একটি মজার কথা জানাচ্ছি “ইঁদুর যদি পাহাড়ে সুরঙ্গ করে পাহাড় ধসিয়েও ফেলে দেয় তারপরও পাহাড়ের নাম পাহাড় থাকবে আর ইঁদুরের নাম ইঁদুর থাকবে”।
বিশাল বিশ্বভ্রম্মান্ডে খুবই ছোট একটি গ্রহ পৃথিবী। সেই গ্রহের ছোট্ট দেশ বাংলাদেশের ছোট্ট শহরের ইট পাথরের ছোট্ট রুমে আমার আপনার মতো অসহায় মানুষ যে জীবনে এতোকিছু অবলোকন করতে পেরেছি তাই বা কম কিসে?
আপনার দেয়া পোস্টে +++ অনুপ্রাণিত করেছে বারংবার। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। জরুরী কাজে ঢাকার বাইরে ছিলাম বিধায় মন্তব্য উত্তর দিতে দেড়ি হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
জীবন কখনোই আমাদের অনুকূল পরিবেশে থাকে না। আমাদের তাঁকে অনুকূলে করে নিতে হয়। নয়তো সময় আমাদের দায়ী করে
এবং
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ একক ও অদ্বিতীয় (ইউনিক) তাই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের চলার পথ আলাদা এবং গন্তব্যও আলাদা।
এই দুই বাণী পছন্দ হয়েছে।