নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরানী হিজাব ও ঈশপের গল্প

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৪



সাহারা মরুভূমি। শীত আর গরম একে অপরের সাথে কার কতো শক্তি এই বিবাদ থেকে যুদ্ধ শুরু হয়েছে আজ বেশ কয়েকদিন যাবত। রাতে শীত নামে সাথে শীতল বাতাস আর দিনের বেলায় - দিন বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয় গরমের সাথে উত্তপ্ত বাতাস। কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান এমন অবস্থা। এই যুদ্ধ থামার নয়। সময় ৫৯০ বিসি।

বিকাল পেড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। পূর্বের দুর দিগন্তে একজন ঘোড়াসওয়ারীকে দেখা যাচ্ছে মরুভূমির বুক চিড়ে কোনাকুনি পথ ধরে উত্তরের দিকে যাচ্ছেন। ধুলি ধূসরিত জামা গায়ে ক্লান্ত অবসন্ন, ক্ষুধার্থ, পিপাসার্ত। - মনে হচ্ছে অনেক কষ্টে পাড়ি দিচ্ছেন পথিক তার পথ। কিন্তু শীত আর গরমের তাতে কিইবা আসে যায়! তাদের যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। তাতে কার ক্ষতি কার লাভ এতোকিছুর হিসাবে শীত গরমের চিন্তা চলে না। তারা বাজী ধরলো, যে পথিককে কাপড় খুলতে বাধ্য করতে পারবে সেই হবে জয়ী!

শীত আগে চেষ্টা করবে ঠিক হলো। সন্ধ্যার সাথে শীতের ঠান্ডা শীতল হাওয়া বইতে লাগলো জোরে আরো জোরে, ভীষন জোরে। পথিক দেখলো কাপড় চোপড় যেন উড়েই যাবে ঠান্ডা শীতের হাওয়ার সাথে, সে আঁকড়ে ধরে রাখলো তার সহায় সম্বল পুরোনো জরা জীর্ণ কাপড়। শীতের কনকনে ঠান্ডা বাতাসের দাপটে সে ভেড়ার চামড়ার আরও একটি জামা গায়ে জড়িয়ে নিতে বাধ্য হলো। রাতভর শীতের ঠান্ডা বাতাসের প্রবল তান্ডবে বহু চেষ্টা চরিত্র করেও পথিকের কাপড় খুলে নিতে পারলোনা! রাত শেষে শীত ক্লান্ত হয়ে গরম’কে বললো এবার তুমি চেষ্টা করে দেখো!

ভোরের আলো ফুটে উঠছে আস্তে আস্তে শীত কমে গেলো। সূর্য তখন মিষ্টি রোদ ছড়িয়ে দিলো সাহারা মরুভূমির বুকে। একটু পরে বেলা বাড়ার সাথে সাথে রোদের সাথে পাল্লা দিয়ে গরম বাড়তে থাকে বাড়তেই থাকে। পথিক উপায়ন্তর না দেখে ভেড়ার চামড়ার জামা সহ গায়ের জামাও খুলে রাখেন, কিছুক্ষন পর খুলে ফেলে দিলেন তার শেষ জামাটিও! তপ্ত গরমে অস্থির পথিক!

দুর দিগন্তে পানি দেখা যাচ্ছে পথিক পানির দিকে ছুটে যান কাছাকাছি গিয়ে দেখেন মরিচিকা! জামা কাপড় দুর দুরের চিন্তা এখন তপ্ত গরমে নগ্ন গাত্রে পথিকের এখন হয়েছে বাঁচা মরার প্রশ্ন?

আত্মকথা: ইরানের মেয়েরা কি কাপড় আর কেমন কাপড় পরবেন তার চিন্তা ইরানের মেয়েদের হওয়ার কথা! এমন কি ইরানের মেয়েদের বিক্ষোভ করতে দেখছি তারা তাদের আবায়া বোরকা হিজাব পরেই বিক্ষোভ করছেন। অর্থাৎ তাদের বিক্ষোভ তাদের পোশাকের বিরুদ্ধে নয়। তাদের বিক্ষোভ ইরানে নারীদের অবরুদ্ধ করার সরকারি আইনের বিরুদ্ধে। তাদের বিক্ষোভ দিনের পর দিন ইরানী নারীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে। অথচ আমি আশ্চর্য হতবাক হয়ে লক্ষ্য করছি সমগ্র বিশ্বের এক শ্রেণীর মানুষ তাঁদের কাপড় চোপড় খুলে ফেলার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠে পরে লেগেছেন। ইন্টারনেট সার্চ দিলে দেখা যায় কি পরিমান বর্হিবিশ্বের মানুষ লেখার মাধ্যমে, প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ মিডিয়ার মাধ্যমে, নানান সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কথার জালে - দুর্দান্ত কথার মার প্যাঁচে ইরানী মেয়েদের হিজাব সহ সমগ্র কাপড় খুলে ফেলার জন্য প্রভাবিত, প্ররোচিত, উদ্দীপ্ত, উদ্ধিগ্ন, রাগান্বিত করছেন দিনের পর দিন! সমগ্র বিশ্বে আরব নারীদের পোশাক নিয়ে যেই পরিমান লেখার আক্রমণ হয়েছে - হচ্ছে তার পরিমান কোনোদিন গুনে শেষ করা যাবে না।

ব্যাখ্যাঃ পোস্টের বিষয়বস্তু ইরানী মেয়েদের আবায়া বোরকা হিজাব নয়। বিষয়বস্তু - ইরানে নারীদের পোশাক আন্দোলনের নামে ইরানকে একটি অস্থিতিশীল দেশে পরিণত করার পেছনে কে বা কারা কাজ করছে। একটি নিউজকে কি পরিমান ফ্লাডিং করা হলে একটি আন্দোলন এতো উত্তপ্ত হতে পারে। এই উত্তপ্ত আন্দোলনে নিয়ে যেতে নিউজ মিডিয়ার যথেষ্ট শ্রম দিতে হয়েছে! দিন রাত হারাম করতে হয়েছে - তারা কারা? ইরানের বিরুদ্ধে কারা দিনের পর দিন প্ররোচনা দিচ্ছে, কারা দুর থেকে কলকাঠি চালনা করছে এটিই লক্ষ্য করার বিষয়।

উপসংহার: আমাদের সমাজে বেশ কিছু পরিবার আছেন যাদের পরিবারের নারী সদস্য বোরকার সাথে হাতমোজা পা মোজাও পরিধান করে থাকেন। যারা উক্ত পোশাক পরিধান করছেন তাঁদের নিজ পোশাক নিয়ে কি চিন্তা তা এই পোস্টে আপাতত লেখার প্রয়োজন মনে করছি না। তবে আমি লক্ষ্য করেছি, যারা চেয়ে চেয়ে দেখেন তাদের প্রবল প্রবল গাত্রদাহ সব সময় বেশী হয়ে থাকে। পোশাক পরিবার সমাজ দেশ ভেদে নানা রকম হয়ে থাকে। তবে অন্যর পোশাক নিয়ে কারও যে মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে, তার জ্বলন্ত প্রমাণ বর্তমান টেলিভিশন, অনলাইন, ডিজিটাল ও প্রিন্ট মিডিয়া! পোশাক আন্দোলনের নিউজ ফ্লাডিং করে করে একটি দেশকে যে অস্থিতিশীল দেশে পরিণত করা যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ ইরান।





ইরানী হিজাব
গল্পের প্লট সূত্র: The North Wind and the Sun
ছবি সূত্রঃ Iranian women threw off the hijab

উৎসর্গ: আমার প্রতিটি লেখাই কাউকে না কাউকে উৎসর্গ করতে ইচ্ছে করে। হয়তো সব সময় সম্ভব হয় না। আজ, আজকের এই পোস্ট অত্যন্ত গর্বের সাথে আমাদের সামহোয়্যারইন ব্লগের একজন লেখকের নামে উৎসর্গ করছি, তিনি আমাদের শেরজা তপন ভাই।

সংবাদ ও তথ্য:
১। United States support for Iraq during the Iran–Iraq War
২। How the US Helped Create Saddam Hussein
৩। Iran Sanctions
৪। Iran Sanctions
৫। The social media myth about the Arab Spring
৬। The Transnational Effects of Social Media in the Arab Spring. The Cases of Egypt and Tunisia
৭। Social Media and the Arab Spring






মন্তব্য ৮৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৮৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: ইরানী মেয়েদের বোরকার ব্যাপারে দুই শ্রেণীর খুব উঠে পড়ে লেগে আছে । এক শ্রেণীর মানুষ মনে করছে মেয়েদের ঐ বোরকা পরতেই হবে এমন কি সেটা জোর করে হলেও আরেক শ্রেনী মনে করছে তাদের বোরকা খুলতেই হবে ।
এই দুই শ্রেণীই হচ্ছে আসলে একই গোত্রের, মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ রামপাঠা আর বর্বরদের দল যারা নিজেদের মনভাব মেয়েদের উপরে চাপিয়ে দিচ্ছে ।

মেয়েরা বোরকা পরতে চায় কি চায় না এটা মেয়েদের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক । এখানে বাধ্যবাধকতা আর জোরজবরদস্তি বন্ধ হোক । বোরকা খোলা কিংবা পরা উভয় ক্ষেত্রেই ।

এখানে এক শ্রেণীর রামপাঠা আছে যারা বোরকা পরার উপর বাধ্যবাধকতা বন্ধের কথা বললেই তারা সোজা বলা শুরু করে যে মেয়েরা নগ্ন হতে চাচ্ছে । এই সমস্ত রাম পাঠার চোখে বোরকা খোলা মানেই বিনিকি পরা ! বোরকা আর বিকিনির মাঝে যে হাজার রকমের পোশাক রয়েছে, সেটা এই রাম পাঠাদের বুঝে আসে না ।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সমস্ত অনলাইন ও প্রিন্ট মিডয়া সহ সোস্যাল মিডিয়া ইরানী মেয়েদের বোরকার পেছনে যেভাবে লেগেছে তা সত্যি সত্যি ভয়ানক বিষয়। আপনি আমার লেখার উপসংহার পড়লে একটি বিষয় লক্ষ্য করবেন -

আমাদের সমাজে বেশ কিছু পরিবার আছেন যাদের পরিবারের নারী সদস্য বোরকার সাথে হাতমোজা পা মোজাও পরিধান করে থাকেন। আমি লক্ষ্য করেছি যারা উক্ত পোশাক পরিধান করছেন তাঁদের নিজ পোশাক নিয়ে কি চিন্তা তা লেখার প্রয়োজন মনে করছি না, তবে যারা চেয়ে চেয়ে দেখেন তাদের গাত্রদাহ সব সময় বেশী হয়ে থাকে।

অন্যর পোশাক, অন্যর লেখাপড়া, এমনকি অন্যার জীবন যাপন নিয়ে সমাজের মানুষ যতোটা চিন্তিত - নিজের জন্য, নিজের পরিবারের জন্য কি ঠিক ততোটা চিন্তিত?

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০৬

সোনাগাজী বলেছেন:


ইরানের "morality police" নারীদের চলাচল, কর্মক্ষত্রে, সামাজিক জীবনে অপ্রয়োজনীয় কন্ট্রোল ব্যবস্হা চালু করেছে। কুর্দী মেয়ে হওয়াতে মাহসা আমিনীকে অকারণ নির্যাতন করে হত্যা করেছে; সেটা প্রতিবাদ করছে ইরানের মেয়েরাই।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইরানের আন্দোলন একটি ম্যানিপুলেটেড আন্দোলন যার কলকাঠি আপনার দেশে। পোশাক নিয়ে এতোবড় আন্দোলন হবার কথা না। ইরানী নিউজ হাইলাইট করে ম্যানিপুলেট করে ইরানী মেয়েদের আন্দোলনে নামানো হয়েছে।

তবে ইরানী মেয়েরা তাদের পোশাক আবায়া বোরকা হিজাব পরেই আন্দোলন করছে - এর অর্থ কি বুঝতে পারেন কিছু?

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:২৯

সাসুম বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই- সালাম নিবেন।

ইরানের মেয়েরা বোরকা পরবে নাকি বিকিনি পরবে , এই সিদ্ধান্তটা একান্তই তাদের নিজেদের হওয়া উচিত। কারো বোরকা ছাড়া কিংবা হিজাব ছাড়া চুল দেখলে ঈমান দাঁড়িয়ে গেলে সেটার দায়ভার কোন মতেই মেয়েদের না।

পুরা দুনিয়ার কোন সভ্য সুস্থ মানুষ ইরানের মেয়েদের বোরকা খোলার দাবি জানায় না। যারা জানায় তারা অসভ্য।

তবে আমি যদ্দুর দেখেছি- দাবিটা হল ইরানের মেয়েরা কে কি পরবে সেটা যাতে ইরানের মেয়েরা নিজেরা নিতে পারে এবং কেউ যদি তার নিজ ইচ্ছায় বোরকা ছাড়া কিংবা হিজাব ছাড়া বের হয় তাহলে যেন মরালিটি পুলিশের নামে কোন পশুর দল যাতে কাউকে এরেস্ট না করে কিংবা মাশা আমিনির মত মেরে না ফেলে- সেটার জন্য সবাই সহমত জানাচ্ছে, সেটার জন্যই সবাই সহমর্মিতা জানাচ্ছে।

এখানে ব্যাপার টা মোটেই বোরকা পরা বা বোরকা খোলা না, বরং এখানে ব্যাপার টা হল পারসোনাল চয়েজ এর , এখানে ব্যাপারটা ফ্রিডম এর সেটা আপনি বুঝতে পারেন না, কিংবা বুঝলেও এড়িয়ে গিয়ে একটা স্পেসিফিক দিকে নির্দেশ করছেন এন্টি ওয়েস্টার্ন কিংবা অরিয়েন্টাল চিন্তায় সেটাই কস্টের ব্যাপার।

যাই হোক- পোস্টে মাইনাস

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইরানের পোশাক আজকের নতুন পোশাক না। এই পোশাক একদিন দুইদিনের পোশাক না। যে কেউ না কেউ তাদের উপর এই পোশাক চাপিয়ে দিয়ে চলে গিয়েছে। ইরানের মেয়েরা তাদের আবায়া বোরকা হিজাব পরেই বিক্ষোভ করঝে কারণ তাদের বিক্ষোভ পোশাকের বিরুদ্ধে নয়। তাদের বিক্ষোভ ইরানে নারীদের অবরুদ্ধ করার আইনের বিরুদ্ধে।

পোশাক আন্দোলনকে ম্যানিপুলেটেড করা হয়েছে, নিউজ বুস্ট করা হয়েছে, এতোটাই বুস্টিং করা হয়েছে যে সমগ্র বিশ্বে ইরানের আন্দোলন চকমকি পাথরের মতো মনে হচ্ছে। আপনি নিউজ বুস্টের বিষয়গুলো জানেন না বলে খুব সহজে পোস্টে মাইনাস দিয়ে চলে গিয়েছেন আপনার দেখা দেখি আরোও কয়েকজন পোস্টে মাইনাস দিবেন কারণ লেখার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় আপনি বুঝতে পারেন নি।

ইরানের মেয়েরা পোশাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে না, তারা আন্দোলন করছে তাদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে। আপনি কোনো কারণে অ্যাবসেন্ট মাইন্ডে আছেন, তাই কি লিখতে কি লিখেছেন বুঝতে পারছেন না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আত্মকথা: ইরানের মেয়েরা কি কাপড় আর কেমন কাপড় পরবেন তার চিন্তা ইরানের মেয়েদের হওয়ার কথা! এমন কি ইরানের মেয়েদের বিক্ষোভ করতে দেখছি তারা তাদের আবায়া বোরকা হিজাব পরেই বিক্ষোভ করছেন। অর্থাৎ তাদের বিক্ষোভ তাদের পোশাকের বিরুদ্ধে নয়। তাদের বিক্ষোভ ইরানে নারীদের অবরুদ্ধ করার সরকারি আইনের বিরুদ্ধে। তাদের বিক্ষোভ দিনের পর দিন ইরানী নারীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে। অথচ আমি আশ্চর্য হতবাক হয়ে লক্ষ্য করছি সমগ্র বিশ্বের এক শ্রেণীর মানুষ তাঁদের কাপড় চোপড় খুলে ফেলার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠে পরে লেগেছেন। ইন্টারনেট সার্চ দিলে দেখা যায় কি পরিমান বর্হিবিশ্বের মানুষ লেখার মাধ্যমে, প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ মিডিয়ার মাধ্যমে, নানান সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কথার জালে - দুর্দান্ত কথার মার প্যাঁচে ইরানী মেয়েদের হিজাব সহ সমগ্র কাপড় খুলে ফেলার জন্য প্রভাবিত, প্ররোচিত, উদ্দীপ্ত, উদ্ধিগ্ন, রাগান্বিত করছেন দিনের পর দিন! সমগ্র বিশ্বে আরব নারীদের পোশাক নিয়ে যেই পরিমান লেখার আক্রমণ হয়েছে - হচ্ছে তার পরিমান কোনোদিন গুনে শেষ করা যাবে না।





৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার ধারণার কারণ আমি এখানে দেখছি না; ইরানের মেয়েদের শিক্ষার হার ও মান মুসলিম দেশগুলোর মাঝে সর্বোচ্চ ও তারা আমেরিকান সংস্কৃতির বিপক্ষে; ফলে, আমেরিকা কিভাবে ইরানের নারী সমাজকে ম্যানিপুলেট করছে, তা পরিস্কার নয়।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা সরাসরি ১৯৮০ থেকে আজ পর্যন্ত। করোনার পূর্বে ইরান আক্রমণ হবার কথা। ইরাক ইরানের যুদ্ধে ইরাককে যুদ্ধের সকল প্রকার রসদ যুগিয়েছে আমেরিকা। সাদ্দাম হোসেন, উসামা বিন লাদেন আমেরিকার তৈরি! - আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে?

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, " সাদ্দাম হোসেন, উসামা বিন লাদেন আমেরিকার তৈরি! - আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে? "

-আমেরিকাই জাপানে এটম ফেলেছিলো, এখন জাপানীদের মুল ব্যবসা আমেরিকার সাথে; সময়ের সাথে ও সভ্যতার বিবর্তনের সাথে অনেক কিছু বদলাচ্ছে, ভালোর দিকে যাচ্ছে। কিন্তু ইরান এমন কিছু করছে, যাতে তাদের নাগরিকদের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে; ইহাতে আমেরিকা চাইলেও হস্তক্ষেপ করতে পারার কথা নয়।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



একটি ছোট সংবাদ কিভাবে বিশ্বায়ন করতে হয় তা সম্পর্কে যেহেতু আপনি জানেন না, তার বিস্তারিত লিখতে গেলে আমার ডিকশনারী লিখতে হবে যা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ইরানের এই হত্যার নিউজটি বিস্ফোরিত করা হয়েছে - কে করেছে কারা করেছে তা বোঝার মতো অবস্থা যদি আপনার না থাকে আপাতত ছুটি নিন।

প্রতিটি শহরে হত্যা আত্মহত্যা বিচার বর্হিভূত হত্যা হচ্ছে। একটি হত্যা বা নিহতের খবর বিশ্বায়ন করার পেছনে এবং আগুনের লেলিহান শিখার মতো অবস্থায় নিয়ে তাতে পেট্রোল অকটেন দেওয়ার মতো অবস্থায় নিতে কে বা কারা কাজ করেছে কিভাবে করেছে - জানেন, বুঝেন? কখনো ভেবেছেন?

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:১৯

শার্দূল ২২ বলেছেন: সম্প্রতি কোরাণে নামাজ আছে কি নাই তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। কিছু আল্লাহ বিশ্বাসী পরহেজগার সৎ মানুষ আল্লাহকে বুঝতে গিয়ে দেখলো আল্লাহ কোরাণ জুড়ে বিশ্বাসী এবং সৎ মানুষের পুরুষ্কারের কথা বলছেন। কিন্তু সেই পুরুষ্কারের মঞ্চে শুধু টুপি দাড়ি নামাজ পড়া অসৎ লোক গুলো দাড়িয়ে হৈ হুললোড় করছে। সেটা দেখে বিশ্বাসী এবং সৎ মানুষ গুলো প্রতিবাদ করছে কোরাণ থেকে। এর মধ্যে আবার কিছু ফাঁকিবাজ মানুষ ঢুকে গেছে প্রতিবাদিদের মধ্যে যারা না পড়ে নামাজ না করে সৎ কাজ । তারাতো মহা খুশি যাক বাবা নামাজ তাহলে আর পড়তে হবেনা।

হিজাব নিয়েও হয়েছে ঠিক তেমনি, যারা এমনি কোন কাপড় পড়তে চায়না তারাও ইরানি নারীদের কাতারে দাড়িয়ে গেছে। ইরানী নারীদের শত বছরের পুষে থাকা ক্ষোভ হিজাব দিয়ে বেড়িয়ে আসছে। ফতোয়া দিয়ে নারীকে জ্ঞান অর্জন থেকে দুরে সরিয়ে শুধু জমি বানিয়ে রেখেছে মোললা গুলো শিশ্ন দিয়ে হালচাষ করছে। কোরানে আছে তোমার বউ তোমার জমি তুমি যখন ইচ্ছে তখন চাষ করো যা ইচ্ছে তা। আর এই বলদ গুলো ভাবছে শিশ্ন হলো লাঙল আর নারীর শরীর হলো মাটি। দিনে রাতে যখনি ইচ্ছে লাঙল টানো। ভালোবাসা সন্মান মায়া ইচ্ছে অনিচ্ছার কোন দাম নেই। ভ্রুণ হত্যা করোনা যা আছে যত আছে নারী মধ্যে ঢেলে দাও। ভ্রুণ হত্যা নাকি মানুষ হত্যার সমান তাই কনডম ব্যবহার করতে পারবেনা। এই বলদ গুলো জানেনা একবারে পুরুষ কত হাজার ভ্রুণ ছাড়ে। তার মধ্যে মাত্র একটা বা দুটো বেঁচে থাকে। এমনিতেই নানা যন্ত্রণায় নারী গুলো বেড়িয়েছে রাস্তায়। হিজাব হলো শুধু মাত্র প্রতিকি আন্দোলন। মুলত মনের ক্ষোভটাঈ আসল। আর কিছু নগ্ন নারী নগ্ন হয়ে ঐ নারী গুলোর মনটা তো বুঝলোইনা উল্টো তাদের যেইটুকু কাপড় গায়ে আছে সেটাও কেড়ে নিচ্ছে। আর পুরুষদের কথা কি বলবো । হুমায়ুন আজাদের একটা উক্তি মনে পড়ে গেলো।

তিনি যখন নারী বইটা লেখলেন তখন মৌলবাদি জিয়া সরকার না পড়ে না বুঝেই ঐ বইটি নিষিদ্ধ করে দেন। আমরাতো আবার নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি ঝুকে যাই বেশি । যখন মানুষ শুনলো নারী বই নিষিদ্ধ তখন হুমড়ি খেয়ে বইটি কিনতে শুরু করলো গোপণে, এমনও হয়েছে ছাপাখানা বইটার মোড়ক লাগানোর সময় পাচ্ছেনা। তেমনি এক সময় এক সাংবাদিক হুমায়ুন আজাদকে জিজ্ঞাসা করলো আপনি কি এমন লেখলেন বইয়ের মধ্যে যে পাঠক মলাট ছাড়াি নিয়ে যাচ্ছে। যদিও এমন বিক্রিতে হুমায়ুন আজাদ খুশি ছিলেননা, কারণ বাঙালী তার বইটাকে চটি বই হিসেবে নিচ্ছে তা তিনি বুঝতে পেরেছেন। সেই রাগ ক্ষোভ থেকে হুমায়ুন আজাদ জাবাব দিলেন - নারীতো মলাট ছাড়াই জনপ্রীয়।
যে পুরুষ গুলো নারীকে মলাট ছাড়া দেখে সুখ নিতে চায় তারাই না বুঝে হিজাব আন্দোলন কে চটি আন্দলন হিসেবে নিয়ে গভীর রাতে লোমশ বুকে হাত বুলায়।

ভালো বলেছেন আপনি এবং কিছু মন্তব্যকারী। আর কিছু মন্তব্যকারী আছেন যারা নিজেদের আপটুডেট বানাতে ব্যাক টু ডেট গুহার যুগে ফিরে গেছেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পৃথিবীর এমন কোনো দেশ আছে যেই দেশের শহরে শহরে হত্যা আত্মহত্যা বিচার বর্হিভূত হত্যা হচ্ছে না? একটি হত্যা বা নিহতের খবর বিশ্বায়ন করার পেছনে রাত দিন হারাম করে তাকে আন্দোলনের রুপ দেওয়ার পেছনে কে বা কারা কাজ করছে?

ইরানী মেয়েদের পোশাক আজকে কালকের জুম্মা জুম্মা সাত দিনের পোশাক নয়। ইরানী মেয়েরা আন্দোলন করতে চেয়েছে, আন্দোলন করছে তাদের উপর অবিচারের বিরুদ্ধে, তাদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে। পোশাকের বিরুদ্ধে নয়। অথচ সমগ্র বিশ্বের এক শ্রেণীর মানুষ মিডিয়া তাদের পোশাক নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিলেন।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:


বিশ্ব মিডিয়ায় মাসআ আমেনীর খবর এসেছে; উহাকে ইরানী নারী সমাজ কঠিনভাবে নিয়েছে; কারণ, তারা দীর্ঘ সময় ধরে "morality police"এর অত্যাচারে অতিষ্ঠ। এ'ছাড়াও বেকারত্ব, কম বেতন ও বাক-স্বাধীনতার জন্য তারা লড়ছে। কোন ইরানী নারী আমেরিকার কথায় উঠে বসে না, তারা আমেরিকা-বিরোধী ও মুসলিম বিশ্বে সবার চেয়ে বেশী শিক্ষিতা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইরান আমেরিকা বিরোধী, তাই ইরানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে ইরানীদের মাধ্যমে। সেখানে সরাসারি আমেরিকা হস্তক্ষেপ করতে পারবে না তবে উক্ত আন্দোলনে আমেরিকা সরাসারি হস্তক্ষেপ করছে। আমেরিকায় যখন কোনো লোক দিন দুপুরে স্কুল ভর্তি ছাত্রছাত্রী গুলি করে হত্যা করে সেই খবর এভাবে চাওর হয় না। কিন্তু মাহশা আমিনী’র মৃত্যু খবর নিউজ মিডিয়া সোস্যাল মিডিয়ায় কিভাবে এতোটা বিস্ফোরিত হলো?

আমি আপনাকে একটি উদাহরণ দিচ্ছি - আমি একটি ভেড়া বিক্রি করবো, এটি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েছি, এই বিজ্ঞাপন ফেসবুক ইউজারদের সামনে বেশী বেশী আসার জন্য বিজ্ঞাপনটি কিছু ডলারের বিনিময়ে বুস্টিং করা যেতে পারে। তখন হাজার খানেক ফেসবুক ইউজারের সামনে বিজ্ঞাপনটি আসবে। এখন এই বিজ্ঞাপনটি যদি সয়ং ফেসবুক তার নিজ স্বার্থে বুস্টিং করে ফেসবুক কর্তপক্ষ চাইলে এই বিজ্ঞাপনটিকে বছরের স্মরণকালের বিজ্ঞাপনের রূপ দিতে পারবে - আপনি শিক্ষিত মানুষ, যথেস্ট জ্ঞানী মানুষ কিন্তু আমার সাথে আলোচনা করছেন নিতান্ত বোকা মানুষের মতো। আপনাকে সহজ হিসাব বুঝাতে আমার একই কথা নানান ভাবে উদাহরণ দিতে হচ্ছে।

আরব বসন্তের নামেও তারা একই কাজ করেছে। সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছে। ইরানেও সোস্যাল মিডিয়া ট্রিগার হিসেবে কাজ করেছে। সোস্যাল মিডিয়াকে ট্রিগার হিসেবে ব্যবহার করে সহস্র লক্ষ্যাধিক নারীকে সড়কে নিয়ে আসা হয়েছে। কারণ, উদ্দেশ্য ভিন্ন -

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:১২

কামাল৮০ বলেছেন: গল্পের মুল বিষয়,অবস্থা ও পরিবেশ অনুযায়ী পোশাক পরতে হবে।হিজাবের সাথে বিষয়টা যায় না।বর্তমানে হিজাব একটা ধর্মীয় পোষাক।আল্লাহ বলছেন চাদর দিয়ে মুখ ঢাকতে,আমরা তাদের কে বাস্তাবন্দি করেছি।
ইরানে যারা আন্দোলন করেছে তারা যদি বোরখা না পরে তবে টার্গেট করে গুলি করবে।আন্দোলন করা অর্থ আত্মাহুতি দেয়া নয়।ইরানে বোরখা পরা বাধ্যতামূলক।এটা একটা বর্বর আইন।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আইন বর্বর নাকি উর্বর তা নিয়ে পোস্ট দেইনি। পোস্ট দিয়েছি এই আন্দোলনে পেট্রোল অকটেন ঢেলেছে কে? আপনি অনুগ্রহ করে আরেক বার পোস্ট পড়ুন।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:৪১

অগ্নিবেশ বলেছেন: ব্লগের বিজ্ঞরা যখন সামান্য একটা কথা বুঝতে চায় না তখন খারাপ লাগে। ইসলামে পর্দা না করলে পরলোকে শাস্তির বিধান আছে। যেখানে শাস্তির বিধান আছে, সেখানে আবার ইচ্ছা অনিচ্ছা কি? ইসলামে থাকতে গেলে মেয়েরা হিজাব পরতে বাধ্য, এই সামান্য কথা সোজা ভাবে বললেই ত হয়।
ছিনতাইকারী আপনাকে ছুরি ধরে যদি বলে, টাকাকড়ি যা আছে দাও, আপনি তখন জানের ভয়ে নিজের হাতে করে তাদের সবই দিয়ে দিতে বাধ্য হবেন। যেহেতু নিজের হাতে করে দিয়েছেন, তাহলে কি বলা যায় আপনি স্বইচ্ছায় দিয়েছেন। ইসলামে মায়েরা দোজোখের ভয়ে বোরখা পরতে বাধ্য। যেখানে ভয়ভীতি দেখানো হয়, যেখানে চয়েস ক্থাটা খাটে না। আম্রিকা টাম্রিকার ইহুদী নাসারারাই মনে হচ্ছে কোরান হাদিসের প্রনেতা, এরাই মহম্মদকে দিয়ে একটা জাতির সর্বনাশ করে দিয়েছে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



প্রতিটি শহরে হত্যা আত্মহত্যা বিচার বর্হিভূত হত্যা হয়। কয়টি খবর মানুষ জানতে পারেন? কিন্তু একটি হত্যা বা নিহতের খবর সোস্যাল মিডিয়াতে ট্রিগার করার উদ্দেশ্য ভিন্ন। নিউজ মিডিয়া অনলাইন ডিজিটাল ও প্রিন্ট মিডিয়া সহ টেলিভিশন খবরটিকে এমন ভাবে বিস্ফোরিত করেছে মনে হতে বিশ্বে এমন হত্যা বা নিহতের খবর এই প্রথম জানতে পেরেছে বিশ্ববাসী! অবাক বিষয় নয়?

কারণ কি - ? এই খবরটি এভাবে বিস্ফোরিত হওয়ার কারণ কি চিন্তা করেছেন? আপনি জ্ঞানী মানুষ আপনার বিবেচনা কি বলে?


১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৭:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:



বিশ্বের ৩ ভাগের ১ ভাগ মানুষকে সভ্যতা থেকে আলাদা করে প্রাচীনকালে বেদুইনদের মতো বাস করতে বাধ্য করছে ধর্ম।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



এখন আপনার একমাত্র কাজ, এই বেদুইনদের ছলে বলে কৌশলে অথবা আন্দোলনের মাধ্যমে অথবা পিটিয়ে অথবা যুদ্ধের নামে হত্যা করে সভ্য জগতে নিয়ে আসা?


১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩৫

শেরজা তপন বলেছেন: সকালের এই সময়টা আমি মধু সহযোগে কালো কফি, একটা খেজুর আর অল্প কিছু বাদাম নিয়ে বেশ চনমনে মনে কম্পিউটারের সামনে বসি 'ব্লগে কে কি লিখেছে সেটা পড়ার জন্য'। বাইরের জানালা দিয়ে শীতের আগমনী অগ্রীম বার্তা নিয়ে দারুণ মিঠে বাতাস বইছে আজ।
আপনার এই লেখাটার অপেক্ষা করছিলাম; লেখার একেবারে শেষাংশে এসে ভীষন চমকে গেলাম, উৎসর্গঃ আমার নাম দেখে! অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা!
ঈশপের এই গল্পটা কখনো শুনিনি- তবে মরুভূমিতে এমন উত্তপ্ত দিনে গায়ের সব পোষাক খুলে ফেললে সে সানবার্ণ আর ডি হাইড্রেশনে মারা যাবে নিশ্চিত( এইটা রিয়েলিটি- তবে গল্পের মর‍্যাল একেবারে পারফেক্ট)।
বাইরের কথা বাদ দিলাম; আমার পরিবারের অনেকেই আছে যারা কোন রকম চাপ ছাড়াই কঠিন পর্দা মেনে চলেন -তাদেরকে চেষ্টা করেই আপনি পর্দার বাইরে আনতে পারবেন না। যদিও ধর্মীয়ভাবে আমরা বেশ উদারনৈতিক।
পর্দা এবং ধর্ম পালন যার যার ইচ্ছে মাফিক হওয়া উচিৎ।
আজকে যদি ইউরোপ আমেরিকাতে সুইমিং কস্টিউমের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় তবে তাদের মিডিয়ারা কি বলবে সেটা আমার জানার ইচ্ছে হয়। কেউ কি প্রশ্ন করে মেয়েরা কেন অমন পোষাক পরে সাঁতরাবে। সবখানেই পুরুষদের জন্য ঢিলেঢালা পোশাক আর মেয়েদের জন্য ভীষন আঁটসাঁট ও প্রায় উদোম পোশাক!!!
আসলে নারীদের যত বেশী খোলা পোশাক তত বেশী বানিজ্য- এটা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রভুদের ক্ষমতা আর বানিজ্যের সবচেয়ে শক্তিশালী পণ্য।
আর ইরানের ব্যাপারে যা হচ্ছে সেটা তো আপনিই বলে দিয়েছেন। আফগানস্থানের বাঁশ দেয়া শেষ। ওরা এখন কি পোশাক পড়ছে সে নিয়ে তাদের এখন আর মাথা ব্যাথা নেই।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আরব বসন্তের নামে কতোগুলো দেশকে রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়েছে। লিবিয়ার অবস্থা একবার ভেবে দেখুন, কি করেছে দেশের অবস্থা। সৌখিন লিবিয়ান নাগরিক এখন মাত্র এক প্যাকেট রুটির জন্য এনজিওর ট্রাকের পেছনে হাভাতের মতো দৌড়ে মরেন! এর নাম বসন্ত! এর নাম স্বাধীনত। এর নাম জীবন!

ইরানে হিজাব আন্দোলন তৈরি করা হয়েছে। সোস্যাল মিডিয়াতে প্রবল বিক্রমাকারে নিউজ ফ্রাডিং করা হয়েছে। মানুষকে উত্তেজিত করা হয়েছে। বিনিময়ে ইরানী নারী কি পাবে অস্থিতিশীল একটি দেশ? যেই দেশে ভিক্ষারও অভাব হবে। এনজিওর ট্রাকের পেছনে সৌখিন ইরানী মেয়েরা লাইন ধরে এক গ্যালন খাবার পানি নিবে, এক প্যাকেট রুটির জন্য রাস্তায় রাস্তায় দৌড়ে মরবে! নারী শিশু গৃহহীন হবে - এইগুলো কার উদ্দেশ্য! কারা চাইছে হিজাব আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে পড়ুক।

তারপর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে রিফিউজির মতো পথে পথে মারা পড়ুুক ইরানী পরিবার নারী পুরুষ তরুন তরুনী ও শিশু। এইসব করার পেছনে দিনের পর দিন বছরের পর বছর কারা কাজ করছে? মানুষ হত্যার রাজনীতি যুদ্ধের রাজনীতি, অস্ত্রের রাজনীতি কারা করছে? কারা দিনের পর দিন নানা দেশের অবকাঠামো ছলে বলে কৌশলে ধ্বংস করে দিচ্ছে?

যুদ্ধাক্রান্ত দেশের মানুষের অবস্থা আমি দিনের পর দিন দেখেছি আমি জানি তাদের করুণ অবস্থা - এইগুলো স্বাধীনতা নয়, এইগুলো বসন্ত নয় আরব বসন্তের নামে দেশের সাথে জাতির সাথে প্রতারণা। বিশ্ব ইতিহাসে এই সকল প্রতারণা লেখা থাকবে এর বিচার দিতে হবে একদিন না একদিন।

১২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:২৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অন্যের পোষাক নিয়ে বলার কিছু নাই তবে তখনই বলা উচিত যখন অশালীনভাবে মেয়েরা চলাফেরা করে। আরে তোরা পর্দা করিস না কিন্তু এভাবে অশালীনভাবে চলাফেরাও করিস না। শালীনভাবে চলেও তো স্মার্ট হওয়া যায়। ঢাকার অবস্থা দিনকে দিন খারাপই হচ্ছে। এক মেয়ের দেখাদেখি আরেক মেয়ে এভাবে অশালীন চলাফেরা করছে। অশালীনতা ঢাকা শহরে ছোঁয়াছে রোগ

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আবায়া বোরকা হিজাব খুবই সামান্য বিষয়। এই সামান্য বিষয়কে আগুন ধরিয়ে ইরানকে অস্থিতিশীল দেশে পরিণত করা হচ্ছে। আবায় বোরকা হিজাবের জন্য একটি দেশ অচল হয়ে যাবে, একটি দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে - ভাবতে পারেন কোথায় কি হচ্ছে?

১৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:


শেরজা তপন বলেছেন, " ...আর ইরানের ব্যাপারে যা হচ্ছে সেটা তো আপনিই বলে দিয়েছেন। আফগানস্থানের বাঁশ দেয়া শেষ। ওরা এখন কি পোশাক পড়ছে সে নিয়ে তাদের এখন আর মাথা ব্যাথা নেই। "

-আপনি বাবনিক লেখেন, তারপর আবার আমেরিকানদের নিয়েও ভাবনিক করেন; বেদুইনিক থিংক ট্যাংক?

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার ভাবনা চিন্তায় ভুল আছে। তাছাড়া আপনি আমেরিকা ইয়োরোপ নিয়ে যেভাবে সমর্থন করেন আমার কাছে (ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে) আমেরিকা ইয়োরোপে আপনাকে আপনার স্বপ্নের জীবন যাপন দিয়েছে! রাজকীয় জীবন যাপন পেয়েছেন আমেরিকা ইয়োরোপের কাছে।

১৯৭১ এ পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো আমেরিকা। তখন আমেরিকার অস্ত্রে বাংলাদেশের নিরহ মানুষ হত্যা হয়েছে। আপনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই সকল হত্যা সমর্থন করেন। দিনের পর দিন আপনার লেখাতে তাই প্রমাণ পাই। আপনি সব সময় আমেরিকার সকল প্রকার হত্যা সমর্থন করছেন।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার শত জনমের জীবন স্বার্থক! - আমেরিকা আপনাকে এতো সুন্দর এতো আনন্দের এতো রাজকীয় জাীবন দান করেছে! যে আমেরিকার সকল পাপ আপনার কাছে পূণ্য বলে মনে হয়।

১৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: ইরানীরা যে সিদ্ধান্তে চলতে চায় সেরকমই চলতে দেয়া হোক । সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল এবং ইতিহাসে স্বর্ণজ্জল ভুমিকা রাখা এই জাতিকে একদল মোল্লা ভিন্ন ভাবে ইচ্ছার বিরুদ্ধে চালাতে চাইছে যা একটি অসম্ভব কাজ । যেখানে যা কিছু গোলমেলে পরিস্থিতি সেখানে বামদের নোংরা হাত থাকে , ইরানেও ছিল । ইরানিদের সাম্প্রতিক বিপ্লবে সহমত জানাই । আয়াতুল্লাহ রেজিম ধ্বংস হোক । সাধারন মানুষের জয় হোক ।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



শাহ আজীজ ভাই, আপনি প্রবীণ মানুষ। আপনি ইরানী মেয়েদের আন্দোলন হিজাব আবায়া বোরকা নিয়ে পরে আছেন কেনো? আবায়া বোরকা হিজাব এইসব খুবই সামান্য বিষয়। এমন বিশেষ কিছু নাহ!

তাদের আন্দোলনের নামে ইরানে অস্থিতিশীল দেশে পরিণত করা হচ্ছে এটি মাস্টারপ্লান।


১৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন: -আপনি বাবনিক লেখেন, তারপর আবার আমেরিকানদের নিয়েও ভাবনিক করেন; বেদুইনিক থিংক ট্যাংক?
~ পৃথিবীর সব বোঝা আপনি একাই কেন মাথায় তুলে নিবেন। আমাদের একটুখানি বহন করতে দেন। আপনাদের মত মহাবিশ্ব সন্মন্ধে মহাবিজ্ঞ মানুষদের চরনামৃত পেলেইতো আমরা ধন্য হব- একটুখানি জ্ঞান গরিমা বাড়বে। এইভাবে যত পারেন বলবেন-সব কথা আশির্বাদ হিসেবে নিব। আপনি ভাবেন সবাই আপনার লাইনে বুঝবে-শুনলাম, বুঝলাম, মাইন্ড করতাম না!

ঠাকুর মাহমুদ ভাই; স্যরি বিষয় বহির্ভুত ব্যাপার নিয়ে কথা বলার জন্য।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



শেরজা তপন ভাই, আবায়া বোরকা হিজাব ইরানীদের জন্য কি সেটি আমরা জানি। দুই চারটি দেশেিইরানীদের আমারা দেখেছি। ইরানী মেয়েরা আন্দোলন করছে তাদের প্রতি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে। তারা পোশাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে না। পোশাকের বিরুদ্ধে আন্দোলন হলে প্রতিটি ইরানী পোশাক হিজাব খুলে নিতো। কিন্তু তারা তা করেন নি। - এই সহজ বিষয়টি বোঝার মতো অবস্থা সোনাগাজী সাহেবের নেই।

ইরানে আন্দোলন ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে। এই ম্যানিপুলেশনের উদ্দেশ্য ইরানে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, দেশে সরকার পতন করা, দেশে গৃহযুদ্ধ তৈরি করা। এইগুলো আমেরিকার অনেক পুরাতন ট্রিকস। খুবই নিম্নমানের ট্রিকস। সমস্যা হচ্ছে মানুষ যখন ট্রিগারে চলে যায় তখন আমেরিকার এইসব নিম্নমানের ট্রিকস আর ধরতে পারে না।

১৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৭

কালো যাদুকর বলেছেন: আপনার লেখার অপেক্ষায় ছিলাম। এখন দেখা যাক ঘটনা কোন দিকে যায়। আরব বসন্ত কাজে আসেনি। এখানে কি হবে?

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইরানে আন্দোলন ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে। এই ম্যানিপুলেশনের উদ্দেশ্য ইরানে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, দেশে সরকার পতন করা, দেশে গৃহযুদ্ধ তৈরি করা। এইগুলো আমেরিকার অনেক পুরাতন ট্রিকস। খুবই নিম্নমানের ট্রিকস। সমস্যা হচ্ছে মানুষ যখন ট্রিগারে চলে যায় তখন আমেরিকার এইসব নিম্নমানের ট্রিকস আর ধরতে পারে না।

আবায়া বোরকা হিজাব এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ইরানকে কিভাবে পৃথিবীতে একটি বর্বর দেশ হিসেবে পরিচিত করা যায়। আর এই বর্বর দেশে কিভাবে মার্কিন হামলা করা যায়!

১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: বোরখা হিজাব নিজ নিজ ইচ্ছামত হলেই ভালো হতো, তবে কোনো দেশের কৃষ্টি সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় পোশাক হলে হলে সেটাকে অবশ্যই মান্যতা দেওয়া উচিৎ। বর্তমান ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলন মোটেই হিজাব বিরোধীতার আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন ইমরানকে শায়েস্তা করার ইংগ-মার্কিন- ইহুদী চক্রের কূটকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।

ব্যবসায়ীক সূত্রে আমার সাথে বেশ কয়েকটি ইরানী পরিবারের যোগসূত্র ছিলো। একই সাথে বাংলাদেশের ইরানী দূতাবাসের বেশ কয়েকজন ইরানী কর্মকর্তাদের জানাশোনা ছিলো। তাদের জীবনচারিতা মোটামুটি কাছে থেকে দেখেছি। যারা হাল ফ্যাশনের বোরখা হিজাব পরবে, আবার ধূমাইয়া স্মোকিং, ড্রিংক করতে অভ্যস্ত! ইরানি দূতাবাসের বেশীরভাগ কর্মকর্তাই ঘুষ ছাড়া তাদের রুটিন ওয়ার্ক পর্যন্ত করেনা।

আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে। +

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



পরিবার সমাজ সংসার দেশ ও আঞ্চলিক আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে নানান ধরনের পোশাক। তারপরও ইরানের নারী ইরানে কি পোশাক পরেন আর ভিন্ন দেশে ইরানী নারী কি পোশাক পরেন তার কমবেশী আমরা জানি। সমস্যা হচ্ছে পোশাক এখানে কোনো সমস্যাই না। অথচ বিশ্ব সমাজ পোশাককে কেন্দ্র করে সমস্যা হিসেবে তৈরি করে ইরানে আগুন ধরিয়ে দিলো! অত্যন্ত চতুরতার সাথে ইরানে অন্তর্দ্বন্দ্ব তৈরি করে দেশে প্রবল ভাবে অস্থিতিশীল দেশ পরিণত করে দিলো।

তিনি যদি মব সাইকোলজি সম্পর্কে যদি সামান্যতম বুঝতেন তাহলে তিনি আমার সাথে অযথা তর্ক করতেন না। তিনি বুঝতে পারতেন এখানে মব কাজ করেছে। নানান নিউজ মিডিয়া সোস্যাল মিডিয়াকে ট্রিগার করে মানুষকে রাস্তায় নামানো হয়েছে। ইরানকে অবদমিত করার একটি সুচারু পথ - ইরানের মানুষ দ্বারা ইরানকে ক্ষতি করে দেওয়া হলো।

এখন হিজাব-বন্দী নারীদের কে উদ্ধার করবেন, কে হবেন তাদের ত্রানকর্তা - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র?

১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বোরখা পড়েও স্মার্ট হওয়া যায়। তবে যারা জোর করে বোরখা চাপিয়ে দিতে চায় তারা কাঠমোল্লা। আমাদের দেশের জামাত শিবির মানসিকতার লোক। এদের আমি খুব ঘৃণা করি। আমার অফিসে ৩ জন মেয়ে কাজ করে। একজন হিজাব করে দুইজন ওয়েস্টার্ন পরে। হিজাব পড়া মেয়েটা বাকি দুইজন থেকে বেশী স্মার্ট ও পারদর্শী। বোরখা পড়েও স্মার্ট হওয়া যায়। তবে যারা জোর করে বোরখা চাপিয়ে দিতে চায় তারা কাঠমোল্লা। আমাদের দেশের জামাত শিবির মানসিকতার লোক। এদের আমি খুব ঘৃণা করি। আমার অফিসে ৩ জন মেয়ে কাজ করে। একজন হিজাব করে দুইজন ওয়েস্টার্ন পরে। হিজাব পড়া মেয়েটা বাকি দুইজন থেকে বেশী স্মার্ট ও পারদর্শী।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



কাঠমোল্লা লোহামোল্লা মাটিমোল্লা কোনো সমস্যা নাহ। আর হিজাব বোরকা আবায়া এইগুলো খুবই সামান্য বিষয়। স্মার্ট আনস্মার্ট নিয়েও সমস্যা না। সমস্যা ইরানে আন্দোলনের নামে ইরানকে প্রবলভাবে অস্থিতিশীল দেশে পরিণত করার মাস্টারপ্লান করা হয়েছে।

১৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জঙ্গি দেশ পাকিস্তান থেকেও হিজাব পরেই মেয়েরা নারীদের যারা বোরখা পড়িয়ে ঘরে বন্ধী করে রাখতে চায় তাদের বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে সফল হতে পারে বিভিন্ন ক্ষেত্রে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি আমার পোস্ট ও মন্তব্য উত্তরগুলো অবসর সময়ে পড়বেন।

২০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:৫৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ইরানের মেয়েদের আন্দোলন পোশাকের বিরুদ্ধে না। তারা কি পরবে তা তারা নিজেরাই ঠিক করে। আন্দোলন মোরালিটি পুলিশ নামের এক অত্যাচারী বাহিনীর বিরুদ্ধে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইরানের মেয়েদের আন্দোলন পোশাকের বিরুদ্ধে না। তারা কি পরবে তা তারা নিজেরাই ঠিক করে। আন্দোলন মোরালিটি পুলিশ নামের এক অত্যাচারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। - এই বিষয়টি আমাদের ব্লগার সোনাগাজী বুঝতে অক্ষম।

২১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

নতুন বলেছেন: মেয়েদের বিকিনি সুইমিং কস্টিউম বনাম ছেলেদের সুইমিং কস্টিউমে একটা পার্থক্য আছে।

এখানে নারী দেহ দেখানোর বিষয়টাতে জোর দেওয়া এবং ব্যবসার ধান্দা ( পানিতে নামার জন্য আলাদা পোষাক বিক্রি)

ইসলামে স্বালীন পোষাকের উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছি। নারীর পর্দা নিয়ে কোরানে ৩ আয়াত আছে।

কিন্তু বর্তমানে সেই ৩ আয়াতের উপরে নির্ভর করে ৩কোটির বেশি বানী পুরুষ মোল্যারা দিয়েছে।

এর পেছনে নারীদের নিয়ন্ত্রনের একটা বিষয় আছে। সেটাই সবচেয়ে খারাপ দিক।

আমাদের দেশের নারীরা শাড়ী, সেলোয়ার কামিজ স্বালীন ভাবেই পরে থাকে। সেখানেও কিছু মানুষ বোরকা হিজাব পড়ার জন্য চিল্লাপাল্লা করছে।

অনেক ছেলেই আছে যারা নিজেরা আধুনিক পোষাক পরছে কিন্তু স্ত্রীকে ১০০% হিজাবী বানিয়েছে। নিজে সুন্নত পালন না করে বউকে সুন্নতি বোরকা পড়িয়ে ঘুরে বেড়েনো মানুষের ছবি অনেক পাবেন ফেসবুকে।

বর্তমানে ভন্ডামী রোগে আমাদের জাতী আক্রন্ত।নিজেরা ১০০% ধর্ম পালন করেনা কিন্তু নারীরা যেন বোরকা পড়ে, স্বামীর কথা শুনে, কিভাবে স্ত্রীরা স্বামীর খেদমত করে বেহেস্তে যাবে সেটা নিয়ে আলোচনা করে।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেই দেশের বন্ধু তার জীবনে আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না। ইরাকের বন্ধু ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানের বন্ধু দেশ ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক একটি দেশের কি দুর্দশা!

আবায়া বোরকা হিজাব খুবই সামান্য বিষয়, যাকে এখন বিশাল বড় ইস্যু হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। এই ইস্যু তৈরি করার পেছনে মাস্টারপ্লান কাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। দেশে প্রবলভাবে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে। আর আপনি আছেন পোশাক নিয়ে! পোশাক নিয়ে যুদ্ধ হয়? পৃথিবীর ইতিহাসে আছে এমন নজীর? পোশাক সামনে রেখে কি উদ্দেশ্যে এই আন্দোলন তৈরি করা হয়েছে, নিউজফিড করা হয়েছে, নিউজগুলো বুস্টিং করা হয়েছে, নিউজ ফ্লাডিং করা হয়েছে, সোস্যাল মিডিয়াকে ট্রিগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখার বিষয়!

বিকিনি বোরকা হিজাব নিয়ে চিন্তা করার সময় আছে? দেশ অচল অবস্থা। ইরানে এখন এমন অবস্থা হয়েছে, ইরানে কোনো নারীর সর্দি-কাশি জ্বর হলেও সরকার বিরোধী আন্দোলন হয়ে যাবে?



বিশেষ দ্রষ্টব্য: সরকার বিরোধী আন্দোলনে জামা খুলে নূর হোসেনের বুকে পিঠে কেউ লিখে দিয়েছিলো "স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক" নূর হোসেন জামাহীন থাকার জন্য আন্দোলন করেনি। নূর হোসেন আন্দোলন করেছিলো তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলন। নূর হোসের মৃত্যুর পর এটি ট্রিগার হিসেবে কাজ করে।

ট্রিগার কোথায় কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে আলোচনা বিশাল বিষয়, আপনাদের বিষয়গুলো নিজে নিজে বুঝতে হবে। ইরানে হিজাব আন্দোলর নিয়ে ট্রিগার করা হয়েছে প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়াতে। এখানে মোল্লা লবন সাগুদানা বেহেস্তের হুর পরি স্বামীর স্ত্রীর দেন দরবার আদেশ নিশেধ স্বর্গ নরক হাদিস কোরআন সুন্নত মান্নত বিষয় না। ইরানকে নানান ভাবে আক্রমণ করার কৌশল করা হচ্ছে, ইরানকে আক্রমণ করার ইরানকে দুর্বল করার, ইরানকে অস্থিতিশীল দেশে পরিণত করার এটি একটি কৌশল।

২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো খুব মন দিয়ে পড়লাম।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমি জানি আপনি মন দিয়ে পোস্ট মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়ে থাকেন। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।


২৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

নতুন বলেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেই দেশের বন্ধু তার জীবনে আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না। ইরাকের বন্ধু ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের বন্ধু দেশ ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানের বন্ধু দেশ ছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক একটি দেশের কি দুর্দশা!

আমেরিকা তার সমাজ্রবাদ টিকিয়ে রাখার জন্য অবশ্যই এইসব কাছে মেলা টাকা পয়শা খরচ করে।

কিন্তু ইরানও বাড়াবাড়ী করে এই রকমের একটা ইসু নিয়ে বাড়াবাড়ী করছে।

ইরানী সরকার জনগনকে বাইরের ইন্ধোন সম্পর্কে বোঝাতে পারেনি কারন সরকারের উপরে জনগন এমনেই বিলা হয়ে আছে।

আমেরিকা সুযোগ খুজতেছে কিন্তু জনগন ইসুনিয়ে আনন্দলনের সুযোগ করে দিয়েছে ইরানী সরকারই। তাদের নিতি জনগন এখন পছন্দ করছে না। জনগন না চাইলে জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার মনে হয় আমার সারা রাত রামায়ন পাঠের কিছুটা হলেও আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ।

২৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ইরানের মেয়েরা কি কাপড় আর কেমন কাপড় পরবেন তার চিন্তা ইরানের মেয়েদের হওয়ার কথা! এমন কি ইরানের মেয়েদের বিক্ষোভ করতে দেখছি তারা তাদের আবায়া বোরকা হিজাব পরেই বিক্ষোভ করছেন। অর্থাৎ তাদের বিক্ষোভ তাদের পোশাকের বিরুদ্ধে নয়। তাদের বিক্ষোভ ইরানে নারীদের অবরুদ্ধ করার সরকারি আইনের বিরুদ্ধে। তাদের বিক্ষোভ দিনের পর দিন ইরানী নারীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে। অথচ আমি আশ্চর্য হতবাক হয়ে লক্ষ্য করছি সমগ্র বিশ্বের এক শ্রেণীর মানুষ তাঁদের কাপড় চোপড় খুলে ফেলার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠে পরে লেগেছেন।
- এই অতি সহজ জিনিসটা বুঝার মতো হলুদ পদার্থ সকলে উপরাংশে নেই।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



খুবই ঝামেলাযুক্ত পোস্ট। আমি ধরেই নিয়েছিলাম আপনি হয়তো মন্তব্য থেকে দুরে থাকবেন। অথচ আমার লেখার মাখন অংশ আপনি তুলে ধরেছেন। আমার লেখা স্বার্থক। আমার লেখার মূল অংশ আপনি মরুভূমির জলদস্যু ভাই বুঝতে পেরেছেন।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

২৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: ঠাকুরভাই, অনেক অন্যায়ই হাইলাইট হয় না, মিডিয়াতে আসে না, হাজারো দোষীর বিচারই হয় না। তাই বলে কি বিচার চাওয়া যাবে না? আবারো বলছি, ইসলামে যা লেখা আছে সেটাই আপনি মানতে বাধ্য, আপনি হিজাব করতে বাধ্য। এখানে ইচ্ছা অনিচ্ছা ফ্যাসান গরম টরম এইসব ভুং চং বলা বোকামী। যারা হিজাব করে তারা ভালো, আর যারা করে না তাদের জোর করে হিজাব করাতে হবে, এটাই ইসলামী আইন। ভালো মন্দ আপনি বোঝার কে? আল্লাই সর্বজ্ঞানী, আপনি আমি কে? ইরানের এইবারের আন্দোলন এই আল্লাহর বিরুদ্ধে, মাইনষে আজকাল আল্লাহর চেয়ে দুই কাঠি বেশী বোঝে,
তাদের বোঝাবে কে? আর আল্লাহ যাদের সহ্যই করতে পারে না, সেই ইহুদী নাসারা ত সুযোগের আশায় বসে আছে।
ঝোপ বুঝে এইবার কোপ মারবে। গড রাম মাকালী বুঙ্গা বুঙ্গা শাকচুন্নী এই সবাই এখন একজোটে আল্লাহর বিরুদ্ধে,
দেখা যাক আল্লাহর ক্ষমতা কত??

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সম্পদ সব সময় আর্শিবাদ হয় না। সম্পদ কখনো কখনো অভিশাপে রূপান্তর হয়। ভাই অগ্নিবেশ আফ্রিকার প্রায় প্রতিটি দেশে আমার দেখা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কারণে আফ্রিকার দেশগুলোর অবস্থা করুণ। ছোট ছোট বাচ্চার হাতে অস্ত্র। মানুষ খেতে পায় না। মানুষ পরতে পায় না। মানুষ চিকিৎসা পায় না। অথচ দেশগুলো খনিজ সম্পদে ভরপুর।

ইরানের হয়েছে এই একই অবস্থা পেট্রোলিয়ামের দেশ ইরান। বহুদিন ধরে ইরানে নানান ছুুতোয় আক্রমণ করার কৌশল ব্যয় করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সাঙ্গপাঙ্গ। এইবার ইরানে হিজাব আন্দোলনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বিস্তারিত অন্যান্য মন্তব্য উত্তরে বলেছি অনুগ্রহ করে পড়ে নিবেন।

আর প্রকৃতির বিচার আছে, প্রকৃতি বলেন আল্লাহ বলেন। তিনি বিচার করেন। হয়তো সময় নেন তবে বিচার করেন।

২৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "লেজ কাটা বানর " - সবসময়ই চায় বাকী সব বানরদের লেজ কেটে ফেলার জন্য । আর তাই সে করে নানা ফন্দি ফিকির।

মানবতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার ধবজা ধারী তথা সামান্য গরমের অজুহাতে টপলেস-বটমলেস কিংবা ফুললেসরা চাইবেই বাকী সবাই শুধু হিজাব নয় X(( তাদের মত সব কাপড়-চোপড় খুলে ফেলুক।

আর তার সাথে যদি রাজনীতি যোগ হয় তবে তা হয় সোনায় সোহাগা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



খুব সম্ভব ইরানের খনিজ সম্পদ ইরানের জন্য অভিশাপে রূপান্তর হবে। আমরা সাধারণ মানুষ হিজাব বোরকা আবায়া নিয়ে টানাটানি করবো আজীবন। এর পেছনে কি আছে তা আমাদের ভাবনায়ও আসবে না।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:১৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ইসলামী প্রজাতন্ত্র ভাঙবে? ভবিষ্যৎ কি?

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ইসলামী প্রজাতন্ত্র ভাঙবে না। তবে ভবিষ্যত ভালো না। কারণ - নিজের ঘরের মানুষ যদি বোকা হয়, মূর্খ হয় তাহলে সেই ঘরের বিপদের শেষ নেই। ঠিক তেমনই পোশাক নিয়ে ইরানের নারী দেশের যেই অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করেছে ইরানের ভবিষ্যত ভালো না।

কথায় আছে ঘরের শত্রু বিভীষণ। পোশাক নিয়ে এতো হৈ চৈ করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে সমগ্র বিশ্বে দেশকে বর্বর হিসেবে পরিচয় করে দেশের ভালো হবার কথা না। অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশ থেকে ইরান অনেক আরামদায়ক দেশ। সেই দেশে ম্যানিপুলেশন করা হবে, আর শিক্ষিত জাতি তা ধরতে পারবে না - এটি সত্যি হতাশাজনক বিষয়।

২৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: ২০ সেপ্টেম্বর একটি ভিডিওতে দেখা গেছে,নিকা শাকারামি নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী একটি বড় ডাস্টবিনের ওপর দাঁড়িয়ে তার হিজাব পুড়িয়ে ফেলছেএবং ইসলামি প্রজাতন্ত্রের বিরোধিতা করে স্লোগান দিয়েছে ‘স্বৈরশাসক নিপাত যাক।’ শুধু এই অপরাধে বিক্ষোভের পর নিখোঁজ হয় নিকা শাকারামি নামের ওই কিশোরী। এরবং এরও কিছুদিন পরে তার লাশ শনাক্ত হয়। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যের জবরদস্ত হিজাব দিয়ে চুল বেঁধে রাখার সম্পর্ক কতটুকুন বোধগম্য হইলোনা।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার পোস্ট পড়ে এতোগুলো মন্তব্য উত্তরে যদি এখনও না বুঝতে পারেন, তাহলে নতুন করে আবার বুঝাতে চেষ্টা করছি। মাত্র ১৬ বছরের একটি মেয়ে তার কতোটুকু বোধজ্ঞান আছে বলে মনে করেন? তাকে কিভাবে ট্রিগার করা হয়েছে যে সে এতোটা উত্তেজিত ছিলো?

কাজটি যারা করেছে তারা চাইছে নিকা শাকারামির লাশ যেনো খুঁজে পাওয়া যায়। - আশা করি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি। আমার কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। আমি চাইলেও কিছু তথ্য লিখতে পারি না। আপনার নিজে বুঝে নিতে হবে।

২৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

নতুন বলেছেন: আমার মনে হয় আমার সারা রাত রামায়ন পাঠের কিছুটা হলেও আপনি বুঝতে পেরেছেন। আমি কৃতজ্ঞ।


আপনি আমেরিকার কলকাঠি নাড়া বুঝতে পারছেন কিন্তু ইরানী সরকারের কট্টরপন্হি মনভাব যে বর্তমানের প্রজন্ম মেনে নিচ্ছেনা এবং তাদের উপরে চাপিয়ে দিয়ে জনগনের বিরুদ্ধে যাচ্ছে সেটা বোঝার চেস্টা করছেন না।

ইরানীরা নরম শরম টাইপের, দীর্ঘদিন তাদের উপরে ধর্মীয়পুলিশিং হয়তো জনগন সহ্যকরতে পারছিলোনা। তাই এই একটা ইসুতে সবাই ফেটে পরেছে....

দুনিয়া পাল্টাচ্ছে... প্রজন্মের ভাবনা বদলাচ্ছে, আয়াতুল্লাহরা সেই পরিবর্তন বুঝে নিজে পরিবর্তিত না হলে তাকে সরিয়ে দেবে নতুন প্রজন্ম।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ঠিক যেই কথাটি বলেছেন তার প্রেক্ষিতে আপনি মনে রাখুন গাদ্দাফিকে সরাতে গিয়ে, বাসার আল আসাদকে সরাতে গিয়ে লিবিয়া ও সিরিয়ার কি অবস্থা হয়েছে - এখন কোথায় সেই নাগরিক? লিবিয়া সিরিয়ার মানুষের জীবন যাপন সম্পর্কে কতোটুকু জানেন আমি জানি না। তবে আমার তো এইসব খুব কাছে থেকে দেখা। আমি জানি রেভ্যুলেশন সব সময় একটি দেশের জন্য ভালো ফলাফল দেয় না।

আর আমি বারংবার বলছি এই রেভ্যুলেশন কালার করা হয়েছে, ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। আমি এইসব বিস্তারিত জানি এবং বুুঝি। আপনাদের বুঝাতে আমার এতো কষ্ট হবে ভাবিনি! দেশ বরবাদ হয়ে যাবে। ইরানের জনগণ যদি এই এই অরাজগতা ধরে রাখেন আজকের ইরান যা আছে তাও থাকবে না। হাতে থালা নিয়ে রিলিফের ট্রাকের পেছনে দৌড়াতে হবে।

ইরানের মেয়েরা হিজাব মিজাব নিয়ে আন্দোলন করছে! দেশ একবার বরবাদ হয়ে গেলে এই মেয়েরা ইউরোপে গিয়ে কি করবে? আমি সিরিয়ান লিবিয়ান মেয়েদের দেখেছি ইউরোপে তারা কি করছেন। কি হয়েছে তাদের জীবন যাপন।

৩০| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৩

এমজেডএফ বলেছেন: ২০১০ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ায় মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামে এক ফল বিক্রেতার পুলিশে দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মাহুতির ঘটনায় জনগনের গণবিক্ষোভ গণবিপ্লবে পরিণত হয়। এর প্রধান কারণ ছিল শাসকদের বিরুদ্ধে জনগণের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভুত ক্ষোভ ও হতাশা। পরে সেটি আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও ছড়িয়ে পড়ে।

আজকে ইরানে যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছে তার সূত্রপাত হিজাবের ঘটনা দিয়ে শুরু হলেও তার মূল কারণ হচ্ছে নারীদের ওপর শাসকদের দীর্ঘদিনের দমননীতি ও বৈষম্যতা এবং ইরানে গণতন্ত্রের অভাব। পশ্চিমাদেশগুলো সবসময় এ ধরনের গণবিক্ষোভকে সমর্থন করে যদি তা তাদের স্বার্থের পক্ষে যায়। তবে সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের সক্রিয় পদক্ষেপ ও ইচ্ছা ছাড়া শুধু বাইরের সমর্থন দিয়ে কোনো বিপ্লব সফল হয় না।

১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



একটি দেশে সাধারণ মানুষের হাতে অস্ত্র চলে আসে বাইরের দেশের চ্যানেল ধরে। আমাদের দেশে আদিবাসীদের হাতে অস্ত্র এসেছিলো বাইরের দেশ থেকে। জঙ্গি তৈরি হচ্ছে বাইরের দেশের প্ররোচনায়। বাইরের দেশের প্ররোচনায় একটি দেশে গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে। বাইরের দেশের প্ররোচনায় একটি দেশের - - - -

লিবিয়া ও সিরিয়া বিপ্লব হয়েছে। লিবিয়া সিরিয়া আরব বসন্ত হয়েছে। আশা করি বিপ্লবের ফলাফল ও আরব বসন্তের ফলাফল দেখতে পাচ্ছেন। আমার খুব কাছে থেকে দেখা, আমি জানি আমি দেখেছি কি থেকে কি হয়ে গিয়েছে।

৩১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



ইরানের "নারীদের লিটারেসী রেইট শতকরা ৯৮ ভাগ"; ইরানের নারীরা ইরান-আমেরিকার ৪২ বছরের শত্রুতা বুঝে ও তার অংশ। ইরানের নারীরা বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে উন্নত মানের শিক্ষায় শিক্ষিত ও শক্তভাবে "আমেরিকান সংস্কৃতির বিপক্ষে"।

আপনি সেসব নারীদেরকে আমেরিকা "ম্যানিপুলেটেড" করছে বলছেন; ইহা কি সম্ভব?

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বড্ডা, আমার মনে হচ্ছে আপনি ক্ষুধার্থ। ক্ষুধার্থ মানুষের মন বিক্ষিপ্ত থাকে। আপনি ডাবল ডিম পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাজা ভাজা করে এক গামলা ভাত খেয়ে ব্লগে আসুন, ও আরেকটি বিষয় সাথে এক ফালি লেবু নিতে ভুলবেন না।

আমরা ভাতের বাঙালী। আস্ত একটি ১২” হাওয়াইন পিজ্জা খেলেও ভাতের ক্ষুধা থেকে যাবে। তাই বেশী করে ভাত খান। আলুর উপর স্যরি পিজ্জার উপর চাপ কমান।


৩২| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ঠাকুরমাহমুদ ভাই, কি লিখলেন?

ইরানের মেয়েরা কি কাপড় আর কেমন কাপড় পরবে তার চিন্তা ইরানের মেয়েদের হওয়ার কথা! এমন কি ইরানের মেয়েদের বিক্ষোভ করতে দেখছি তারা তাদের আবায়া বোরকা হিজাব পরেই বিক্ষোভ করছেন। অর্থাৎ তাদের বিক্ষোভ তাদের পোশাকের বিরুদ্ধে নয়। তাদের বিক্ষোভ ইরানে নারীদের অবরুদ্ধ করার সরকারি আইনের বিরুদ্ধে।


তাদের বিক্ষোভ অবশ্যই তাদের পোশাকের বিরুদ্ধে, মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রযন্ত্রের জবরদস্তির বিরুদ্ধে।
তথা অতিরিক্ত কাপড়, উদ্ভট অপছন্দনীয় পোশাক চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে।
তথা পোশাক ছাড়া চাপিয়ে দিচ্ছে সেই মোল্লাতন্ত্রের বিরুদ্ধে।
সেখানে আমেরিকা কি চাইল পশ্চিমারা কি চাইলো আমি আপনি কি চাইলাম সেটা বিবেচ্য নয়।

তারা আবায়া বোরকা হিজাব পরেই বিক্ষোভ করছেন। অর্থাৎ তাদের বিক্ষোভ তাদের পোশাকের বিরুদ্ধে নয়।

আপনাকে প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ব্লগার হিসেবে জানতাম। কিন্তু এটা কি লিখলেন?
সম্পুর্ন ক্ষোভই হিজাবের বিরুদ্ধে। অবস্যই।
একজন বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হয়ে উল্টোটা ভাবছেন কেন বুঝি না।



তাদের বিক্ষোভ দিনের পর দিন ইরানী নারীদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে। অথচ আমি আশ্চর্য হতবাক হয়ে লক্ষ্য করছি সমগ্র বিশ্বের এক শ্রেণীর মানুষ তাঁদের কাপড় চোপড় খুলে ফেলার জন্য উন্মাদ হয়ে উঠে পরে লেগেছেন।

আপনি হতবাক হয়ে বিচলিত হবেন কেন?
আমেরিকা বা অন্যরা ইরানে মেয়েদের কাপড় খুলবে? কিভাবে?

অন্যরা কি ভাবছে আপনি সেটা বিবেচনা করবেন কেন? নেট জগতে কত ধরনের পাগল ছাগল কত কিছু বলে
ইরানিরা কি চাচ্ছে ইরানি মেয়েরা কি চাচ্ছে সেটাই তো বিবেচিত হওয়া উচিত।
ইরানীরা হিজাব চাচ্ছে না, সেটা পুড়িয়ে ফেলে জানান দিচ্ছে।

মেনে নিন। কারন আপনি পোষ্টেই লিখেছেন ইরানের মেয়েরা কি কাপড় আর কেমন কাপড় পরবে তার চিন্তা ইরানের মেয়েদের হওয়ার কথা!

ধন্যবাদ

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:


আমার কথা যদি আমাকেই লিখে জানান তাহলে কিভাবে হবে, এইগুলোে পোস্টে বলা হয়েছে। মন্তব্য প্রতিউত্তরেও বলা হয়েছে। তারপরও আমি আপনাকে খানিকটা ব্যখ্যা দিবো এই আন্দোলন কিভাবে কালার করা হয়েছে ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে! - এখন ব্যাংকিং নিয়ে ব্যাস্ত আছি, সন্ধ্যার পর কথা হবে।



১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আন্দোলন সব সময় ভালো ফলাফল দেয় না। আন্দোলন সব সময় ভালো উদ্দেশ্যে নিয়েও হয় না, এখানে ইন্ধনদাতা থাকে। ইন্ধনদাতার চেইন থাকে এক ইন্ধনদাতার পেছনে আরেক ইন্ধনদাতা এভাবে। আপনি আপনার আব্বার সাথে এ বিষয়ে সময় ও সুযোগ করে কথা বলবেন। আমি জানি না আপনার আব্বা কবে অবসরে গিয়েছেন যদি ২০০০ এর পরেও অবসরে গিয়ে থাকেন তিনি আমাকে চেনার কথা। আপনার আব্বাকে আমার সালাম দিবেন।

যাক, আমি বা আপনি চাইলে অনেক কথা খোলা ব্লগে লিখতে পারিনা। সামাজিক ও আইনী প্রতিবন্ধকতা আছে। যাইহোক ইরানের মেয়েরা কি কাপড় পরবে অথবা ইরান একদিন থাইল্যান্ড হয়ে যাবে সে বিষয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই চিন্তার প্রয়োজনও নেই।

কিন্তু ইরানে আন্দোলনের নামে গৃহযুদ্ধ লেগে গেলে বাংলাদেশে সেফটিপিন আলপিন থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার, শুকনো বাজার, তৈলের বাজার, জাহাজ বিমান সব কিছুর বাজারে আগুন ধরে যাবে। মনে রাখবেন - ইরান তৈলের দেশ।

আমার মনে হয় আপনাকে আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। ঠাকুরমাহমুদ “আন্দোলন - গৃহযুদ্ধ - যুদ্ধ প্রচুর দেখেছেন”। না দেখে না বুঝে না শোনে কিছু লেখার মানুষ ঠাকুরমাহমুদ না।

৩৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩৭

রানার ব্লগ বলেছেন: মেয়েদের কাপড় পরা নিয়ে বাংগালী সমাজ এখনো অন্ধকারে আছে। একটা সময় ছিলো মেয়েরা আমাদের মাঝে নিরাপদ ছিলো তারা হাটে মাঠে ঘাটে নির্বিঘ্নে ঘুড়ে বেড়াতো এতে আমাদের চারিত্রিক সমস্যা হতো না কিন্তু ৯০ পরবর্তী সময়ে এসে কিছু অসভ্য মানুষের (নারী/পুরুষ) কারনে নারী তার নিজের স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলেছে। মুলত সমস্যা এখানেই। ইরানের মেয়েরা তাদের প্রতি অন্যায় আচরনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরুপ নিজেদের মাথার চুল কেটে ফেলছে। এটা প্রতিবাদ। নিত্যদিনের কার্যক্রম না। কিন্তু সমাজের দুই ধরনের লোক একে তাদের স্বার্থে ব্যাবহার করছে। যারা নারী কে বাক্স বন্দি করে রাখতে চায় তারা এই প্রতিবাদ কে প্রশ্নের সম্মুখীন করার জন্য উঠে পরে লেগেছে আর যারা চায় নারী কে তাদের হাতের পন্য করতে তারা এই প্রতিবাদের পক্ষে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করার নামে সম্পুর্ন আন্দোলন কে প্রশ্নের সম্মুখীন করছে।


নারী বোরকা পরবে না বিকিনি পরবে এটা যিনি পরবেন তিন ঠিক করবেন। অন্য কেউ এসে তাকে বলার কোন অধিকার নেই।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



নারী বোরকা পরবে না বিকিনি পরবে এটা যিনি পরবেন তিন ঠিক করবেন। অন্য কেউ এসে তাকে বলার কোন অধিকার নেই। - এটি অন্যরাই বলছে। ইনিয়ে বিনিয়ে বলছে কথার মারপ্যাচে বলছে। যা আপনি বুঝতে পারছেন না। বা আপনি নিজেও বলছেন। ইরানীদের ইরানীদের মতো থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।

এই বিষয়টি আজকের নতুন না। দীর্ঘদিনের চেষ্টা। - এখন ব্যাংকিং নিয়ে ব্যাস্ত আছি, সন্ধ্যার পর কথা হবে।



১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার লেখার বিষয়বস্তু ইরানের নারীর পোশাক নয়। ইরানের নারীর স্বাধীনতাও নয়। যাইহোক, ইরানের মেয়েরা কি কাপড় পরবে অথবা ইরান একদিন থাইল্যান্ড হয়ে যাবে সে বিষয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই, চিন্তার প্রয়োজনও নেই। ইরানের মেয়েরা কাপড় পরবে নাকি ছালার বস্তা পরিধান করবে এটি একান্ত তাদের চিন্তার বিষয়। আমাদের চিন্তার বিষয় না।

কিন্তু ইরানে আন্দোলনের নামে গৃহযুদ্ধ লেগে গেলে বাংলাদেশে সেফটিপিন আলপিন থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার, শুকনো বাজার, তৈলের বাজার, জাহাজ বিমান সব কিছুর বাজারে আগুন ধরে যাবে। মনে রাখবেন - ইরান তৈলের দেশ।

আশা করি আমার লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনাকে বুঝাতে পেরেছি।

৩৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৯

কামাল৮০ বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট পড়ে না বুঝার মতো কিছুই নাই।আপনি বুঝাতে চাইছেন এখ আন্দোলনে কলকাঠি নাড়ছে পশ্চিমার সাথে আছে ইসরায়েল।যদি সত্যিও হয় তবে গুলি করে এতগুলো লোককেও কি পশ্চিমা মারছে।নাকি আন্দোলনে তাদের কোন লোক আছে।মরছে ইরানিরা মারছে ইরানিরা।এতো বড় একটা আন্দোলনকে ষড়যন্ত্র বলে আন্দোলনে অংশ নেয়া লোকদের আপনি ছোট করছেন।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনি জীবনে আন্দোলন দেখেননি, তাই আন্দোলন সম্পর্কে জানেন না।


৩৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২২

মোগল সম্রাট বলেছেন:
ঠাকুর ভাই, অসাধারন লিখেছেন। পোষ্টে প্লাস++++

গ্যাপ দিয়ে দিয়ে আসতেছেন ইদানিং। আমার অবস্থাও বেগতিক সময় পাইনা মোটেও। টাইপিং করার অভাবে লেখাগুলো পোষ্ট করতেও আসতে পারছিনা।

ভালোবাসা নিরন্তর।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার লেখা সম্ভবত হিব্রু ভাষায় লেখা; - যে কারণে অনেকেই গোল গোল চক্কর দিচ্ছেন কিন্তু লেখার অর্থ ধরতে না পেরে ইরানী মেয়েদের কাপড় আর নারী স্বাধীনতায় আটকে আছেন! আমার লেখার বিষয়বস্তু ইরানের নারীর পোশাক নয়। ইরানের নারীর স্বাধীনতাও নয়। ইরানের মেয়েরা কি কাপড় পরবে অথবা ইরান একদিন থাইল্যান্ড হয়ে যাবে সে বিষয়ে আমাদের কোনো চিন্তা নেই, চিন্তার প্রয়োজনও নেই। ইরানের মেয়েরা কাপড় পরবে নাকি ছালার বস্তা পরিধান করবে এটি একান্ত তাদের চিন্তার বিষয়। আমাদের চিন্তার বিষয় না।

কিন্তু ইরানে আন্দোলনের নামে গৃহযুদ্ধ লেগে গেলে বাংলাদেশে সেফটিপিন আলপিন থেকে শুরু করে কাঁচাবাজার, শুকনো বাজার, তৈলের বাজার, জাহাজ বিমান সব কিছুর বাজারে আগুন ধরে যাবে। মনে রাখবেন - ইরান তৈলের দেশ।

ধন্যবাদ, আমার হিব্রু লেখার অর্থ আপনি বুঝতে পেরেছন। ধন্যবাদ মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করেছেন।

৩৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৫

কামাল৮০ বলেছেন: ১৯৬২ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছি।ছাত্র ইউনিয়নের সহ সম্পাদক ছিলাম।রাজনৈতিক দল গঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম।আর আপনি বলছেন আন্দোলন সম্পর্কে জানি না।ইসলামী আন্দোলন সম্পর্ক্ জানিনা এটা ঠিক।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



১৯৬২ সনে কেরোসিনের সের কতো ছিলো?

৩৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৫

কামাল৮০ বলেছেন: আমি কেরোসিনের ব্যবসা করতাম না।আমাদের বেশির ভাগ জমি কিনা ছিল ১০ টাকা বিঘা।বাড়ীর জমির দাম ৫০ টাকা বিঘা ছিল।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



৪৭-৭১ অনেকে নাম মাত্র মূল্যে হিন্দু প্রপার্টি কিনেছে। দুঃখজনক!

৩৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫২

নতুন বলেছেন: আর আমি বারংবার বলছি এই রেভ্যুলেশন কালার করা হয়েছে, ম্যানিপুলেশন করা হয়েছে। আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। আমি এইসব বিস্তারিত জানি এবং বুুঝি। আপনাদের বুঝাতে আমার এতো কষ্ট হবে ভাবিনি! দেশ বরবাদ হয়ে যাবে। ইরানের জনগণ যদি এই এই অরাজগতা ধরে রাখেন আজকের ইরান যা আছে তাও থাকবে না। হাতে থালা নিয়ে রিলিফের ট্রাকের পেছনে দৌড়াতে হবে।

আপনি বুঝতে পারছেন যে জনগন এই ম্যানুপুলেশন বুঝতে পারবেনা এবং তারা সরকার পরিবর্তনের আন্দলনে যাবে।

কিন্তু ইরানী সরকার বুঝতে পারছেনা এবং তারা পরিবর্তন আনছেনা।

দুনিয়া পাল্টাচ্ছে... প্রজন্মের ভাবনা বদলাচ্ছে, আয়াতুল্লাহরা সেই পরিবর্তন বুঝে নিজে পরিবর্তিত না হলে তাকে সরিয়ে দেবে নতুন প্রজন্ম। তাই ইরান সহ অন্য সকল কট্টরপন্হি দেশের জনগনকে বুঝতে হবে, স

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাকে কানে কানে একটি কথা বলি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। আমেরিকা ইরানে নারী আন্দোলনে ট্রিগার করেছে। এই সমস্যা যারা বুঝবেন ভালো, না বুঝলেও ভালো। ইরান আন্দোলন ধরে রাখলে, ইরানে গৃহযুদ্ধ বেধে গেলে ইরানী মেয়ে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাবে, তারপর ইউরোপে তাদের কি কাজ আপনি জানেন আমিও জানি।

বাদবাকি আপনি যা বলেছেন সবই সঠিক। কিন্তু কোন সরকার চেয়ার ছাড়তে চান, বাংলাদেশ সরকার?

৩৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৭

কামাল৮০ বলেছেন: আমাদের কোন জমি হিন্দুর কাছ থেকে কেনা নয়।জমিদার রাজা মিয়ার কাছ থেকে কেনা।পাল চৌধুরীর জমিদারির চার আনা অংশ কিনে রাজা মিয়া জমিদার হন।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



খুবই আফসোসের বিষয়!

৪০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৪

নিমো বলেছেন: বর্তমানে Stuxnet এর চেয়েও কার্যকর কিছু থাকার পরও আপনার কেন মনে হচ্ছে হিজাব নিয়ে টানাটানি করতে হবে ? ইরাকে বোমা হামলার জন্য ইরান তার বর্ডার খুলে দিয়েছিল,এ বিষয়েই বা আপনার বক্তব্য কী ? যড়যন্ত্র তত্ত্ব হচ্ছে চানাচুরের মত, চিবাতে মজা কিন্তু কোন খাদ্যগুন নাই।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আর আমার উক্ত পোস্টে মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে যা আলোচনা হয়েছে আমার মনে হয় না আর এই পোস্টে আর আলোচনা করার মতো আর কিছু আর বাকি আছে।

তারপরও আপনি যেহেতু প্রশ্ন করেছেন আমি জানাতে চাইছি - আরব বসন্তের দেশ স্পেসিফিক ভাবে নাম বলে দিচ্ছি লিবিয়া ও সিরিয়া সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন অর্থাৎ কখন, কি, কেনো কিভাবে। - আমাকে খানিকটা যদি জানাতেন তাহলে ইরান সম্পর্কে আপনাকে ব্যাখ্যা দিতে আমার সুবিধা হতো।

৪১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:১২

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:তারপরও আপনি যেহেতু প্রশ্ন করেছেন আমি জানাতে চাইছি - আরব বসন্তের দেশ স্পেসিফিক ভাবে নাম বলে দিচ্ছি লিবিয়া ও সিরিয়া সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন অর্থাৎ কখন, কি, কেনো কিভাবে।
আপনার পোস্টের মূল বক্তব্যের কোন বিরোধিতা আমি করছি না। আপনি পদ্ধতি হিসাবে হিজাব টানাটানিকে দাবি করেছেন, আমি সেটাকে প্রশ্ন করেছি। জাতীয়তাবাদ আর ধর্ম রাজনীতির ক্ষেত্রে পরিপূরক। তাই কখনও একটা আরেকটাকে উৎখাতে ব্যবহৃত হয়। আরব বসন্তের কোন দরকার ছিল বলেও আমি মনে করি না। যে কোন তন্ত্র বা মতবাদ বা আদর্শ যাই বলুন না কেন সেটাকে যদি উপর থেকে চাপিয়ে দেয়া হয়, তবে তা কাজ করবে না। সেটাকে আ্গে স্থান, কাল, পাত্র উপযোগী করতে হয়। আর ভিতরের সংযোগ ছাড়া কেবল বাইরে থেকে সফল হওয়া যায় না। ১৯৭১ এ এই দেশেরই কিছু অংশ শত্রুর সাথে হাত মিলিয়েছিল, অবশ্য বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে, শত্রুর পরিচয়টা ভিন্ন হত। একই কথা আপনার বলা সিরিয়া, লিবিয়া সবার জন্যই সত্য। ইরানের কোন অংশ কী চাচ্ছে সেটাই মূখ্য। ভালো থাকুন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



একটি বিষয় আপনাকে লেখার শুরুতে জানাতে চাচ্ছি, আমার পোস্ট কে কতোটুকু বুঝতে পেরেছেন আপনি জানেন। এবং বিচিত্র কারণে মনে হচ্ছে, আপনি আমার লেখা ভালোই বুঝতে পেরেছেন। এবং হয়তো বা ১০০ তে ১০০ই বুঝতে পেরেছেন।

ইরান গৃহযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যারা মনে করছেন এর একমাত্র কারণ কাপড় পোশাক হিজাব তারা ভুল জগতে বসবাস করছেন। কেউ যদি মনে করেন ইরানী তাদের দাবীর জন্য লড়ছেন তাহলেও ভুল জগতে বসবাস করছেন। এখানে অনেক অনেক পেট্রোনাইজ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

দেখার বিষয় এই যে, লিবিয়ার পাশে রাশিয়াকে শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ইরানের পাশে রাশিয়া এখনও আছে। দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ করার জন্য বাংলাদেশে হেফজতে ইসলামের মতো ইরানে হিজাব একটি ইস্যু মাত্র। এর বেশী কিছুই নয়।

অনেকেই ইরানের পোশাক নিয়ে চিন্তিত! আসলে ইরানের মেয়েরা বোরকা পরবে নাকি ছালার বস্তা পরবে তাতে কিছু আসে যায় না। আসে যায় ইরানে যুদ্ধ বেধে গেলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

১৯৭১ সনে আমেরিকা পাকিস্তানের সাথে ছিলো। পাকিস্তানী সৈনিক আমেরিকার হ্যান্ড গ্রেনেড, মাইন, মর্টার, শেল ব্যবহার করেছে। কোনো কারণে বাংলাদেশ যুদ্ধে হেরে গেলে পাকিস্তানের সৈনিক যেভাবে জেনেভা কনভেনশনে নিজ দেশে ফেরত গিয়েছে পূর্ব পাকিস্তানী তথা বাংলাদেশীদের সাথে তেমন কিছু হতো না। সেনাবাহিনী পুুলিশ ইপিআর সহ সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হতো।

আপনিও ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.