নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
গ্রীষ্মের ক্লান্ত দুপুর। লাল ইট বিছানো রাস্তার দুই পাশে ক্লান্ত কড়ই গাছগুলোতে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত সকল পাখি। বাসা বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়ে কেউ কেউ রেডিওতে সিনেমার গান শুনছেন, কেউ কেউ ঘুমোচ্ছেন বা শুয়ে শুয়ে আলস্য করছেন। অথচ এই ভর দুপুরে মাধবী সেলাই মেশিনে খট খট করে কিছু সেলাই কাজ করছেন। সাথে একই কাজ, সুই সুতা নিয়ে হাতে সেলাই করছেন তার চার কন্যা - স্মৃতি, কথা, লতা, পাতা! 1970। DACCA, EAST PAKISTAN.
মাধবীদের পরিবার সনাতন ধর্মের অনুসারী। তিনি স্বামী পরিত্যক্তা। মাধবীর স্বামী সুমন বাবু ভারতের আসাম গিয়ে আর ফেরত আসেন নি, সেখানেই নতুন সংসার করেছেন। মাধবী অথৈ সাগরে পরে গেলেন। কিন্তু মনের শক্তিতে হোক আর শরীরের শক্তিতে তিনি সংসারের হাল ছাড়লেন না। চার কন্যা নিয়ে তিনি তার বাবার বাড়িতে উঠে এসেছেন। এখন, এই বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করে জীবন যাপন করছেন। আর পাড়া প্রতিবেশী মহল্লাবাসী মনে হয় মাধবীদের পেয়ে বসেছেন - বাড়ির এমন কোনো সেলাই কাজ নেই! - যা কিনা মাধবীদের দিয়ে করাচ্ছেন না। পুরোনো বাসী নষ্ট ছেঁড়া ফাটা যতো কাপড় চোপড় আছে সব মাধবীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কারো বাচ্চা হবে - পুরোনো শাড়ি কাপড় দিয়ে কাঁথা বানানো সহ বিছানার চাদর বালিশের কাভার সেলাই, লেপের কাভার, সালোয়ার কামিজ সেলাই, রিপু হাবিজাবি যা-তা অবস্থা। দেখে মনে হতে পারে মাধবীদের বাড়িটি কোনো মানুষ জন থাকার বাড়ি নয়, এটি একটি বাতিল রদ্দি কাপড়ের স্টোরহাউজ।
এমনিতে মাধবীদের বাড়ির অবস্থাও ভয়াবহ! সবুজ শেওলায় ছেঁয়ে যাওয়া একতলা বাড়িটির জায়গায় জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়েছে। বাড়ির দেয়ালে জানালার কার্নিসে কিভাবে যেনো বটগাছ ফুটে উঠেছে। এখন দেয়ালে দেয়ালে সেই বটগাছের লতানো শিকড় দেখে বাড়িটিকে কারণে-অকারণে ভৌতিক মনে হয়। অথচ কয়েক বছর আগেও মাধবীদের বাড়িটি বেশ ঝকঝকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ছিলো। দক্ষিন দিকের লাইনের শুরুতে নারকেল গাছওয়ালা যেই হলুদ বাড়িটি, সেটিই মাধবীদের বাড়ি। মাধবীর বাবা সোমনাথ বাবু বাজারের বড় আড়তদার ছিলেন। মাধবীর মা মোহনা পুরোকায়স্থ ছিলেন অত্যন্ত শৌখিন একজন গৃহিনী।
মাধবীর স্বামী সুমন বাবু যখন আসামে চলে গিয়েছেন তখন জানা গেলো তিনি তাঁর শশুর মশাইয়ের ক্যাশ নিয়ে পালিয়েছেন! এইদিকে এত্তোবড় আড়তদার সোমনাথা বাবু টাকার শোকে হোক আর একমাত্র কন্যা ও নাতনীদের চিন্তায় হোক - এই যে বিছানায় পড়লেন আর উঠতে পারেননি। সোমনাথ বাবুর মৃত্যুর পর দেখা গেলো সবাই সোমনাথ বাবুর কাছে পাওনাদার! অথচ সোমনাথ বাবু কারো কাছে কানা কড়িও পাবেন বলে কেউ সারা শব্দ দিলেন না। দিনে দিনে দেনা বেড়ে গেলো, আড়ত ব্যবসাও লাটে উঠ গেলো। মাধবীদের আত্মীয় পরিজন ছিটকে তাঁদের থেকে ১০০ হাত দূরে নয়, মনে হয় ১ লক্ষ হাত দূরে সরে গেলেন!
মাধবীর স্বামী সুমন বাবু দেখতে অনেকটা নায়ক বুলবুল আহমেদের মতো টকটকে ফর্সা সুন্দর গোলগাল নাদুস নুদুস ছিলেন। ইস্ত্রি করা শার্টপ্যান্ট আর কালি করা পলিশ জুতো পরে ফিটফাট চলাফেরা করতেন। তিনি নিজে কি কাজ করতেন তা কেউ জানতো না। মাধবীর জানামতে বা সুমন বাবুর দেওয়া উড়ো তথ্য মতে - সুমন বাবু সিলেটে চা পাতার ব্যবসায়ী ছিলেন।
মাধবীর সংসারের ভয়াবহ অভাব অনটনের কারণে, সুমন বাবুকে মনে রাখার মতো আর কোনো কারণ রইলো না। মাধবীর মা মোহনা পুরোকায়স্থ বিছানায় শুয়ে শুয়ে সারাদিন কাকে যেনো অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। উঠে বসার শক্তি গায়ে নেই, কিন্তু ভগবান মুখটি রেখেছেন হয়তো গালাগালি করার জন্য! তিনি এই কাজটি সঠিকভাবে করে যাচ্ছেন। দিনে এক দুইবার জাউ ভাত খান। খেয়ে হাপাতে হাপাতে কাশতে কাশতে আবার গালাগালি শুরু করেন। বাদবাকী সময় মরার মতো বিছানায় পড়ে থেকে যমদূতের জন্য অপেক্ষা করেন! যমদূত কতোদিকে কতো বাড়িতে হানা দিচ্ছেন কিন্তু এই বাড়িতে মোহনার দিকে তাঁর ভুলেও চোখে পড়ে না!
দেখতে দেখতে মাধবীর চার কন্যা স্মৃতি, কথা, লতা, পাতা গাছের লতা পাতার মতোই লক লক করে বেড়ে উঠেছে। আর কখন যে বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে তা হয়তো, মাধবী মা হয়ে নিজেও লক্ষ্য করেননি। যখন লক্ষ্য করেছেন তখন জানতে পারলেন পাড়া প্রতিবেশী বলাবলি করছেন “মেয়ে দেখতে তো সবগুলো সুন্দর হয়েছে, কিন্তু বয়স তো বিশ পেড়িয়ে গিয়েছে”! সবাই হাতের আঙুল গুনে গুনে বয়স গুনে নেন। কিন্তু বিয়ের জন্য ভালোমন্দ কোনো প্রস্তাবই আসে না।
সময় এক ভয়ংকর খাদক। এতো বড় ভয়ংকর খাদক পৃথিবীতে আর নেই। সময় সবাইকে ভক্ষণ করে নেয়, রাজা বাদশাহ থেকে শুরু করে সৈন্য সামন্ত সব - সব। সময়ের সাথে ঝুলে থাকতে থাকতে সবাইকে চুরান্ত বিরক্ত করে চলে গেলেন মাধবীর মা মোহনা পুরোকায়স্থ। আর বড় অসময়ে কাউকে সামান্যতম জানান না দিয়ে হঠাৎ করেই একদিন সবাইকে আবারও জলে ভাসিয়ে দিয়ে চলে গেলেন চিরো দুঃখী মাধবী পুরোকায়স্থ!
সমাজের সভ্য কয়েকজন নারী যারা ক্লাব সমিতি করে থাকেন। নাটক থিয়েটার পাড়ায় ঘুরে থাকেন। সমাজ নিয়ে ভেবে থাকেন। নারী স্বাধীনতা নিয়ে ভেবে থাকেন ও নারী স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে থাকেন! তাঁদের কয়েকজন মিলে সোমত্ত মেয়ে স্মৃতির জন্য বিয়ে না এনে, কথার জন্য বিয়ে না এনে! - বিয়ে নিয়ে এসেছেন সবার ছোট পাতার জন্য! পাত্রের ও পাত্রের মায়ের চাওয়া পাওয়ার সাথে কোনোভাবেই মিলাতে না পেরে স্মৃতি ও কথার দিনের পর দিন, বছরের পর বছর অসম্ভব বিরতিহীন চেষ্টার পরও সবার ছোট লতা ও পাতার বিয়ে আর হলো না।
দেখতে দেখতে সময় পেড়িয়ে যায়। অথচ মনে হয়, এইতো সেইদিনের কথা মাত্র!
তারপর কি?
তারপর! তার আর পর নেই!
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহ্যোয়ারইন ব্লগ
ছবি: ফটোশপে তৈরিকৃত
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
শেষ হইয়াও যেন হইলোনা শেষ!
লতা-পাতাদের জীবনের সব মাধুরী, সময় নামের ভয়ঙ্কর এক খাদকের খাবার হয়েই যায় একসময়! মাধবীদের কথা এভাবেই লতাপাতায় জড়িয়ে স্মৃতির অতলে শেঁওলা হয়ে ঝুলে থাকে! এমন কথার আর পর থাকেনা সবটাই মাধবীদের নিয়তি............
গল্পেও তো আপনার হাত চমৎকার! সুন্দর লেখা হয়েছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
চোখের সামনে দোষে - বিনাদোষে অসংখ্য জীবন শেষ হয়ে যেতে দেখেছি। এটি সেই জীবনেরই একটি গল্প। আপনি লেখাটি পড়ে প্রশংসা করেছেন অর্থাৎ গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে গর্ববোধ করছি। কষ্ট করে যেই লেখাটি লিখেছি তা সার্থক হয়েছে।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
কেহ কোথায়ও নেই?
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নাহ। কোথাও কেউ নেই।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৯
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প। পড়তে পড়তে মনে হলো, এই বুঝি সুখ আসবে তাদের সংসারে...
তার আর পর নাই...
আসলেই, আমাদের জীবনটাও এমন...
চোখের সামনে আমার চোখের দেখা, এরকম কত গল্প যে ভেসে উঠলো...
চমৎকার হয়েছে।
মনে হয়েছে অনেক যত্ন নিয়ে লেখাটি লিখেছেন...
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কিছু কিছু ঘটনা আমাদের মন ভারাক্রান্ত করে, আবেগ তাড়িত করে কিন্তু গল্পের প্লট পরিবর্তন করার মতো আর ব্যবস্থা জানা থাকে না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: একটি পরিবারের সুখ দুঃখের কাহিনী বলতে পারলাম না। বলা চলে দুঃখের কাহিনী।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
১৯৭১ মানুষের জীবনে, সমাজে বড় একটি দাগ রেখে গিয়েছে। সরকার যা কখনো মনে রাখেনি।
৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সময় এক ভয়ংকর খাদক। এতো বড় ভয়ংকর খাদক পৃথিবীতে আর নেই।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লেখাটি ভালো লেগেছে জেনে গর্ববোধ করছি। কষ্ট করে লেখা সার্থক হয়েছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গল্পটি মন ছুয়ে গেল ।
তারপর তাপর র তার পর আর কি করা , দু:খ ভরাক্রান্ত মনে
এখন বসে বসে হেমন্তমোখোপধ্যায়ের এই গানটিই শুনা যাক ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি কিছু তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আপনার পোস্টে ফিরে আসবো। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৩১
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ১৯৭১ মানুষের জীবনে, সমাজে বড় একটি দাগ রেখে গিয়েছে। সরকার যা কখনো মনে রাখেনি।
- সাধারণ মানুষদের কথা কোনো সরকারই ভাবেনি ,অন্তত যে ভাবে ভাবা উচিত ছিল। গল্প সুন্দর হয়েছে , আমাদের দেশের সব জায়গায় ভিন্ন মাধবী বা লতা পাতাদের আজও দেখতে পাওয়া যায়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সমাজে দেশে পৃথিবীতে বড় বড় দাগ আছে। এই দাগ মুছার জন্য কোনো সমাজকর্মী, সরকার কখনো কাজ করেনি। অকারণ অযথা অনেক অনেক কথা বলেন মাত্র, আর কিছুই না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫৭
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: গল্প সুন্দর লেগেছে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১০| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০০
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার দেখা ঘটনা, নাকি গল্প লিখেছেন?
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমার সকল গল্পগুলোই কোনো না কোনোভাবে বাস্তব ঘটনার অংশ। মাধবীদের পরিবারের জন্য মুসলিম পরিবার থেকে অর্থাৎ আমাদের পক্ষ হতে সহযোগিতা করা কঠিন ছিলো। কারণ ১৯৭১ এর পর হিন্দু পরিবারে সহযোগিতা করতে চাওয়া - মনে করা হতো বাড়ি দখলের কোনো মতলব আছে হয়তো। তারপরও বাড়িটি দখল হয়ে যায় তৎকালীন রক্ষিবাহিনীর একজনের মাধমে।
পরবর্তীতে আমার আব্বা রানা চাচা’র মাধ্যমে সুমন বাবুর খোঁজ নিতে চেষ্টা করেন। জানতে পারেন, সুমন বাবু ৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের আসামে কুকুরর কামড়ে মারা গিয়েছেন।
১১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কত স্মৃতি কথা
লতা পাতার জীবন এমন করেই কেটে যায়
কে রাখে তার খবর
দুঃখীর দুঃখ যেন শেষ হয় না
জীবন এমনই
ভালো লাগলো স্মৃতি কথা
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের দুঃখি দেশের কোনো এক দুঃখি পরিবারের চিত্র। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: ৭১রে শোষণ হীন অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার স্বপ্ন ছিলো মানুষের মনে।দ্রুত সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।তার পর মানুষ স্বপ্ন দেখতেই ভুলে যায়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
এই অভাগা দেশে কখনো দেশের মঙ্গলের জন্য দেশের কাজের জন্য রাজনীতি হয়নি। রাজনীতি হয়েছে দেশ দখলের জন্য। তাহলে ইংরেজ আর স্বদেশীর মধ্য পার্থক্য কোথায় বলতে পারেন?
১৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪২
মোগল সম্রাট বলেছেন:
প্রিয় ঠাকুর ভাই, কেমন আছেন? আপনার লেখা বরাবরের মতো ভালো ।
লেখাটা পড়ে ঐরকম দুই একটা ঘটনা মনে পড়ে গেলো। ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। বড় বোনকে রেখে ছোট বোনের জন্য সোমন্ধ নিয়ে আসার মতো অনেক ঘটনা চোখের সামনে দেখেছি। অনেক সময় দেখেছি ছোট মেয়ে আগে বিয়ে দেয়ার কারনে বড়টার বিয়ে দিতে সেই বাবা মায়ের বিরাট বেগ পোহাতে হয়েছে। আর বড় মেয়ের মানসিক অবস্থা অনেক সময় হতাশায় আত্নহত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখছি।
এসব নিয়ে অল্প বিস্তর লেখালেখি করলেও সমাজে এসব ঘটনা থেকে অন্যরা তেমন একটা শিক্ষা নেয় না।
শুভকামনা ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বড় বোনকে রেখে ছোট বোনকে বিয়ে - এইগুলো পরিবারের প্রতি অন্যায়, অবিচার ও উক্ত পরিবারও সমান দোষে দোষী। এই পরিবার সহ উক্ত বিয়েতে যারা জড়িত থাকে এরা খুবই সার্থপর ও লোভী হয়ে থাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪১
অর্ক বলেছেন: ভীষণ মর্মস্পর্শী লেখা। একেবারে মর্মে যেয়ে বিধলো। এটই তো পৃথিবীর রীতি, ভাই। আকাশের গনগনে সূর্যকে সকলে স্যালুট দেয় ভক্তিভরে। ডুবে গেলে সব শেষ। আসলে এরকম লেখা পড়ার পর আর কিছু বলার পাই না।
সবার কল্যাণ হোক। হার্দিক শুভেচ্ছা থাকলো ভাই।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমাদের দুঃখি দেশের কোনো এক দুঃখি পরিবারের চিত্র। এই চিত্র আপনার মনে যেই ব্যথা তৈরি করেছে তাতে ধরে নিতে পারি আমার লেখা সার্থক।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন।
একদম বাস্তব বলেই মনে হলো। মাধবী নামটাও সুন্দর। ১৯৭১ আমাদের প্রেরনা। ১৯৭১ কে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাতে শক্তি ও মনোবল পাওয়া যাবে।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
১৯৭১ এখন আর অনুপ্রেরণা নয়। ১৯৭১ কে যেইভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তাতে করে এখন ১৯৭১ নিয়ে কথা বলাও বোকামী। এইভাবে মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্রিয়করণ করা মোটেও ঠিক হয়নি।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: এই যে যাপিত জীবনের গল্পগুলো, যে গল্পে আমরা সুন্দর সমাপ্তি কিংবা বড়সড় কোনো মোচড়ের অপেক্ষা করি। অথচ জীবনগুলো জীবনের মতন। তাহারা সুখী, শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো কিংবা বড় সড় এক ঝড় এসে সব ওলটাপালট করে দিলো, আবার মিহি হাওয়ার মতন মোলায়েম শ্রান্তি জীবনের সব আবার গড়ে দিলো, এমন তো হয় না সবসময়। বিভূতিভূষণের ছোটোগল্পের মতন, আমরা অপেক্ষা করি, তারপর কী? তারপর কী? তারপরে অনেক কিছুই থাকে, সে অনেক কিছু নিয়ে অন্য গল্প হয়। আমরা শুধু গল্পের একটা অংশ অবলোকন, জীবনের একটা অংশকে শব্দের আকারে দেখি।
আপনার লেখাটাও তেমন, পাঠক খুব আগ্রহে অপেক্ষা করে, পুরকায়স্থদের পরিবারের পরিণতি দেখার জন্য। জীবনের একমাত্র পরিণতি মৃত্য। পরিণতি পেয়েছে সোমনাথ বাবু, মোহনা ও মাধবী পুরকায়স্থ।
স্মৃতি, কথা, লতা, পাতার জীবনের ভিন্ন গল্প হবে। ভয়ংকর খাদক "সময়" তাদের জীবনের গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা তার অপেক্ষাই রইলাম।
দারুণ লিখেছেন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
অসংখ্য মানুষের জীবন দেখেছি। বহু রঙিন জীবন মুহূর্তের মাঝে সাদাকালো হয়ে যেতে দেখেছি। আগামীতে আরোও গল্প আসবে, আশা করি আপনাকে নিয়মিত পাবো।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮
রানার ব্লগ বলেছেন: নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের চিরচেনা রুপ । ভালো লেগেছে । আপনার গল্প বলার ধরন টা বেশ লাগে আমার ।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জীবনে পাশার দান কখন যে পাল্টে যায় তার সঠিক কোনো হিসাব নেই। অসংখ্য মানুষের জীবন দেখেছি। বহু রঙিন জীবন মুহূর্তের মাঝে সাদাকালো হয়ে যেতে দেখেছি। আগামীতে আরোও গল্প আসবে, আশা করি আপনাকে নিয়মিত পাবো।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১৮| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লেখা।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে আবারও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আমি গল্পের মানুষ। আপনার গল্প গুলো শোনার অপেক্ষায় রইলাম। অবশ্যই এসে ঘুরে যাব।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: সময় এক ভয়ংকর খাদক! - ভাবনাটা ভয়ংকর সত্য!
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের জীবন সংগ্রামের এক করুণ চিত্র সুনিপুণভাবে এঁকেছেন। বড়বোনকে রেখে ছোটবোন কে বিয়ে দিলে বড় বোনের মানসিক অবস্থাটা কোন পর্যায়ে চলে যায়, সামাজিক চাপে পড়ে অনেক মা বাবাই তা ভাবতে অগ্রাহ্য করেন।
সুমন বাবু শেষ পর্যন্ত কুকুরর কামড়ে মারা গিয়েছিলেন? একেই হয়তো বলে পাপের প্রায়শ্চিত্ত!
গল্পে দশম প্লাস। + +
১৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি আমার জীবনে এতো এতো কিছু দেখেছি যা বলে কয়ে শেষ করার মতো না। কর্মফল কখনো কখনো ভয়ংকর ভাবে সুদে আসলে ফিরে আসে। শুধু আফসোস ফিলিস্তিনের উপর যে বর্বর অত্যাচার তার কর্মফল খুব সম্ভব আমরা দেখে যেতে পারবো না।
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সুন্দর গল্প। পড়তে বেশ লাগল।