![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
কথায় কথা বাড়ে!
দুঃখে দুঃখ বাড়ে,
সুখে বাড়ে সুখ।
অহংকারে রাগ বাড়ে!
পুরান চালে ভাত বাড়ে,
ভয়ে বাড়ে ভূত!!
- ছড়া কবিতাটি আমার স্বর্গবাসী দাদীজানের মুখে শোনা।
সারমর্ম: কথায় কথা বাড়ে এই কথার ব্যাখ্যা লিখে শেষ করা সম্ভব না। দুঃখ করলেই দুঃখ বাড়ে আর সুখের মাঝেই সুখ নিহিত থাকে। অহংকারে অহংকারে রাগ বৃদ্ধি হয়। পুরান চালে ভাত বাড়ে, আর ভয় পেলেই ভূতের সংখ্যা বাড়তে থাকে, বাড়তেই থাকে!
উৎসর্গ : কবিতাটি উৎসর্গ করছি অগ্রজ ডঃ এম এ আলী ভাই সাহেবকে।
০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ ও ঋণী হয়ে রইলাম। আপনার প্রতি রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা।
০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনার গানটি ভালো হয়েছে। খুবই ভালো হয়েছে। আমি আপনার গান দিয়ে ভিডিও করে নিবো। আপনার প্রতি রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।
২| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:০৯
অপলক বলেছেন: অভিঙ্গতার এটাই মূল্য। দাদীর জন্য দোয়া রইল।
০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
চমৎকার ছড়া! দাদীজানের সরল অথচ গভীর জীবনের উপলব্ধিগুলো খুবই মমতাময়ভাবে উঠে এসেছে। প্রজন্মের জন্য এ যেন এক মূল্যবান জীবনবোধের উপহার।
০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ছড়া কবিতাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগছে। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭
যামিনী সুধা বলেছেন:
আপনার দাদী সমাজ, মানুষ ও মানুষের জীবনের উপর ভালো জ্ঞান রাখতেন।
০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দাদীজান বড় পরিবারের মানুষ ছিলেন। আমাদের যৌথ পরিবারেও প্রচুর মানুষ ছিলো এতো এতো মানুষ যিনি সামলাতে পারতেন তিনি সত্যি সত্যি বড় মাপের মানুষ।
৫| ০৪ ঠা মে, ২০২৫ রাত ৮:৪১
কামাল১৮ বলেছেন: দাদীজানের ছড়াটিতে একটা দার্শনিক দিক নির্দেশনা আছে।খনার বচনের মতো।
০৫ ই মে, ২০২৫ রাত ১:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
দাদীজান অনেক শ্লোক জানতেন - মানুষের জীবন যাপনের কথা, পরিবার পরিজনের কথা, সমাজের কথা ইত্যাদি তিনি বেশ ভালো জানতেন। দাদীজান আমার জীবনের শ্রেষ্ট শিক্ষক।
৬| ০৬ ই মে, ২০২৫ সকাল ১০:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: পড়িলাম।
০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ১০:১৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৭| ১৮ ই মে, ২০২৫ সকাল ৮:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সুপ্রিয় ঠাকুর মাহমুদ, আসছালামু আলাইকুম ।
বেশ কিছু ব্যস্ততার দরুন ব্লগে সময় দিতে পারছিনা বলে আমার নীজের পোষ্টে
আপনার মুল্যবান মন্তব্যটিও দেখতে পারিনি , সে জন্য দুঃখিত । একটি বড় মাপের
চ্যরিটির ম্যনেজমেন্ট কমিটির জেনারেল সেক্রেটারী , একটি আন্তরজাতিক মানের সংগঠনের প্রফেসনাল গ্রপের
প্রেসিডেন্ট সে সাথে স্থানীয় একটি মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির গুরুত্বপুর্ণ পজিশনে থাকায় অতি ব্যস্ততার কারণে
লেখালেখির কাজে সময় দেয়া খুবই দুরুহ হয়ে পড়ছে । তদুপরি বার্ধক্য জনিত বিবিধ ধরনের পিড়া শরীরে
সময়ে অসময়ে ক্রিড়া করে কাবু করে ফেলে ।
যাহোক, এখন এখানে আপনার পোষ্টে এসে আমি একাধারে বিস্মিত ও পুলকিত । উৎসর্গ করার জন্য প্রথমেই
কৃতজ্ঞতা জানাই । বিলম্বিত মন্তব্যদানের দুন্য দুঃখিত।
আপনার স্নেহময়ী প্রয়াত দাদীজানের কাছ হতে শুনা মহা মুল্যবান ছড়াটি পাঠে প্রথমেই মনে পড়ল বিশ্ব বিখ্যাত
ময়মনসিংহ গীতিকার সংগ্রাহক চন্দ্রশেখরের কথা , যিনি দিন রাত পরিশ্রম করে , নীজের জীবন জীবিকা বিসর্জন
দিয়ে প্রতন্ত গ্রাম বাংলা হতে সংগ্রহ করেছিলেন ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার উত্তরে গারো পাহারের পাদদেশ ও
ভাটি অঞ্চলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পদাবলী ও মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে থাকা গ্রাম বাঙলার লোকজ গানের
কথাগুলি ।
ঠিক তেমনি ভাাবেই, এখানে এই লোকজ ছড়াটির সমাহার দেখে মনে হচ্ছে আমরা
মনে হয় আরো একজন চন্দ্রশেখর কিংবা তার চেয়ে আরো উন্নত মানের পল্লীগাথা সংগ্রাহক পেতে যাচ্ছি ।
মুল্যবান এই ছড়াটি নিয়ে দুচারটি কথা বলার আগে আপনার পরমপ্রীয় দাদীজানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী
ও দোয়া জানাই , আল্লাহ যেন উনাকে সেখানে পরম সুখে রাখেন ।
আমরা সকলেই জানি বাংলার লোকজ সাহিত্য বরাবরই জীবনঘনিষ্ঠ, সরল অথচ গভীর অর্থবহ। গ্রামীণ সমাজের
অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা ও জীবনবোধ থেকে উৎসারিত হয়ে বহু ছড়া ও প্রবাদ প্রবচন আমাদের সমাজে প্রচলিত হয়েছে,
যা মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও দিকনির্দেশনা দেয়। “কথায় কথা বাড়ে / দু:খ্যে দু:খ
বাড়ে / সুখে বাড়ে সুখ / অহংকারে রাগ বাড়ে / পুরান চালে ভাত বাড়ে / ভয়ে বাড়ে ভূত”—এই ছড়াটি তেমনি
একটি জনপ্রিয় ছড়া, যা গ্রামীণ সমাজের বহু প্রজন্মের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ।
কথায় কথা বাড়ে এই চরণটি মানুষের সামাজিক আচরণ এবং কথোপকথনের মনস্তত্ত্ব বুঝিয়ে দেয়। অনর্থক ও
বাচাল কথাবার্তা প্রায়শই ঝগড়া-বিবাদ বা ভুল বোঝাবুঝির কারণ হয়। একে অপরের কথার উত্তরে কথা বলতে
গিয়ে একসময় তা রূপ নেয় দ্বন্দ্বে। এই প্রবাদ আমাদের শিক্ষা দেয় মিতভাষী হওয়া উচিত এবং অপ্রয়োজনীয়
আলোচনায় না জড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ। পারিবারিক, পেশাগত বা সামাজিক জীবনে অযথা কথা না বাড়িয়ে
সমস্যার সমাধানে নীরবতা বা সংযম কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সত্যিইতো দু:খ্যে দু:খ বাড়ে, দুঃখ একটি মানসিক অবস্থা, যা যখন মনে স্থায়ীভাবে গেঁথে যায়, তখন তা আরও
দুঃখকে ডেকে আনে। হতাশা ও নেতিবাচক চিন্তা ব্যক্তি ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে বিষিয়ে তোলে। যারা বারবার
তাদের কষ্টগুলো পুনরাবৃত্তি করে মনে রাখে, তারা সেই কষ্ট থেকে বেরোতে পারে না। তাই সকলের উচিত
দুঃখকে বাঁচিয়ে না রেখে জীবনকে নতুনভাবে শুরু করা । ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুললে দুঃখ কমে।
সুখে বাড়ে সুখ, সুখ ভাগ করে নিলে তা বাড়ে। যখন পরিবার, সমাজ বা বন্ধুবান্ধবদের সাথে সুখের সময় ভাগ
করে নেওয়া হয়, তখন তা আরও আনন্দদায়ক হয়। এছাড়াও যারা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, তাদের
জীবনে সাধারণ ঘটনাও সুখের উৎস হতে পারে।একজন সুখী মানুষ অন্যকেও আনন্দ দিতে পারে। সমাজে সুখের
পরিবেশ গড়ে তোলে।
অহংকারে রাগ বাড়ে, অহংকার মানুষকে অসহিষ্ণু করে তোলে। নিজেকে সবসময় সেরা ভাবার মানসিকতা অন্যদের
ছোট করে দেখায়, ফলে বিরোধ বাড়ে এবং রাগ, ক্রোধের সৃষ্টি হয়। এটি তাই চরণ আত্ম-নিয়ন্ত্রণের গুরুত্ব বোঝায়।
অহংকার ত্যাগ করলে সম্পর্ক মজবুত হয় এবং দুঃখ বা দ্বন্দ্ব কমে যায়। নম্রতা এবং সহনশীলতা একটি উন্নত
চরিত্রের লক্ষণ, এই কথাটি বুজহে সুজন ।
পুরান চালে ভাত বাড়ে , এটি একটি খাদ্যসংক্রান্ত প্রবাদ হলেও এর প্রতীকী অর্থ অত্যন্ত গভীর। পুরোনো চাল
যেমন সুস্বাদু ও ঝরঝরে ভাত দেয়, তেমনই অভিজ্ঞতা, পুরোনো রীতি বা সংস্কৃতির মাঝেও মূল্য আছে। যারা
অভিজ্ঞ ও ধীরস্থির, তাদের জ্ঞান ও উপদেশ অনেক সময় নবীনদের চেয়ে কার্যকর হয়ে ওঠে।তাই পুরনোকে
অবহেলা না করে তার মূল্যায়ন করা উচিত। অভিজ্ঞতার আলোতে এগোনোই প্রকৃত প্রগতি।
ভয়ে বাড়ে ভূত, ভয় একটি মানসিক দুর্বলতা যা বাস্তবতাকে আচ্ছন্ন করে। ভয়ের কারণে মানুষ নিজের কল্পনায়
এমন কিছু বিশ্বাস করতে শুরু করে যা আদৌ বাস্তব নয়। এই চরণটি মানুষের কুসংস্কার ও ভুল ধারণার বিরুদ্ধে
একটি জোরালো বার্তা। ভয়মুক্ত, যুক্তিবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুললে সমাজে কুসংস্কার, ভীতিপ্রবণতা কমে। শিক্ষিত
ও সচেতন সমাজ গঠনে এই বার্তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
আধুনিক সমাজে ছড়াটির প্রভুত উপযোগীতা ও প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে ।এই ছড়ার প্রতিটি চরণ যেন একটি করে
নীতিবাক্য। এটি আমাদের শেখায়—সংযমী কথা বলা, দুঃখে হতাশ না হয়ে এগিয়ে চলা, সুখ ভাগাভাগি করা,
অহংকার পরিহার, অভিজ্ঞতার মূল্য দেওয়া ও ভয়কে জয় করা, এসব মানবিক গুণ অর্জন করাই জীবনযাত্রার
সঠিক পথ। আধুনিক সমাজে যেখানে সম্পর্ক, মানসিক স্বাস্থ্য ও সহাবস্থান চ্যালেঞ্জের মুখে, সেখানে এই ছড়া
অত্যন্ত যুগোপযোগী ও শিক্ষামূলক।
আপনি ঠিকই বলেছেন এই ছড়াটির বিষয়ে কথা বললে বলে শেষ করা যাবেনা । তাই এই দুরুহ কর্মটি হতে
নিস্কৃতি নেয়ার মহুর্তে সংক্ষেপে বলে যাই “কথায় কথা বাড়ে” এই ছড়াটি শুধুমাত্র শিশুতোষ নয়, বরং এটি
এক গভীর জীবনদর্শনের প্রতিফলন। এতে লুকিয়ে আছে পারিবারিক, সামাজিক, মানসিক ও নৈতিক শিক্ষার
বীজ। তাই একে শুধু মুখস্থ করার জন্য নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার মতো মূল্যবান
শিক্ষাস্বরূপ গ্রহণ করা সকলেরই উচিত। এভাবে বাংলার লোকজ সাহিত্য আমাদের জীবনের প্রতিটি
বাঁকে হয়ে উঠতে পারে আলোর দিশারী ও পথনির্দেশিকা ।
মুল্যাবান এই ছড়াটি এখানে উপস্থাপনের জন্য ধন্যবাদ । যাবার বেলায় ছড়াটি প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
শুভ কামনা রইল ।
২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:০৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই সাহেব সালাম নিবেন। আপনি ভালো আছেন এবং ব্যস্ত আছেন জেনে যারপরনাই চিন্তামুক্ত হয়েছি। আপনি ব্যস্ত আছেন, দোয়া করি যেনো, আপনি আরও ব্যস্ত থাকুন।
আপনি সময় জীবন সংসার সমাজ পরিবেশ দেশ বিদেশ দেখা মানুষ। আমিও তাই। আমি পছন্দ করি তাঁদের যারা আমারই মতো অথবা আমি যাদের মতো। আপনি আমি প্রায় সমসাময়িক মানুষ। আমরা পরিবারের সমাজের দেশের মানুষের কষ্ট দেখেছি। এই কষ্ট লিখে - ভাষায় বোঝানোর মতো না। তারপরও দোয়া করি আমাদের প্রজন্ম যেনো এমন কষ্ট কখনও না দেখেন। তাঁরা যেনো থাকেন দুধে ভাতে।
আপনার পরিবার পরিজন ও সহকর্মী সকলের প্রতি আমার সালাম রইলো।
ভালো থাকুন। মঙ্গলে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
দাদীজান চমৎকার কথা বলেছিলেন। আমার খুবই মনে ধরেছে!
কথাগুলো নিয়ে একটা গান বানিয়েছি আমার কণ্ঠ ব্যবহার করে!
অনলাইন মিউজিক স্টুডিও 'সাউন্ড ক্লাউডে' এইমাত্র আপলোড করেছি- কথা