![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
সূচনা: ধর্মেশ্বরের ইদানিং খুব ক্লান্তি লাগে। কারণে অকারণে ক্লান্তি। কোয়ার্টারের বাসা থেকে বের হতেও ক্লান্তি লাগে, বাসা থেকে হাসপাতালের দুরত্ব আনুমানিক ২০০ মিটার হবে, এই সামান্য পথ হেটে যেতে যেতে ধর্মেশ্বর রিতিমতো ঘেমে উঠেন। ধর্মেশ্বর নিরামিষভোজী মানুষ তাঁর ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস কিছুই নেই। মাথায় হাজারো চিন্তা ভাবনাও নেই। পুত্র কন্যা পড়ালেখা শেষ করে সকলে যার যার কর্মস্থলে আছেন, বলা চলে বেশ ভালোই আছেন। তারপরও বিচিত্র কোনো কারণে তিনি ক্লান্ত!
ধর্মেশ্বরের শহরাঞ্চলে থাকতে কষ্ট হয়, তাই তিনি আজীবন গ্রামে থেকেছেন, পড়ালেখা শেষ করে বেছে বেছে অন্ধগ্রামের সরকারি হাসপাতালে পড়ে আছেন। শহরে তাঁর ব্যাচমেটরা কেউ ফুল প্রফেসর, সিভিল সার্জন বা কিছু না কিছু হয়ে আছেন। কেউ কেউ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে করে গাড়ি বাড়ি নিজস্ব হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এলাহি ব্যাপার করে রেখেছেন। কেউ কেউ মধ্যরাত পর্যন্ত রোগী দেখেন।
ধর্মেশ্বর জীবনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেননি, দিন রাত ঝর বৃষ্টি - কি শীত কি বর্ষা - যেকোনো সময় রোগী এসেছেন ধর্মেশ্বর রোগী দেখেছেন। সাদা ভাত আর সুতি কাপড়েই তিনি সুখী। ধর্মেশ্বর একজন সাধারণ ডা্ক্তার ছিলেন, একজন সাধারণ ডাক্তার আছেন। এভাবেই হয়তো দিন চলে গিয়েছে, আর বাদবাকী দিনও হয়তো চলে যাবে!
ধর্মেশ্বর জীবনে “দৃশ্য, অদৃশ্য” - - এতো কিছু দেখেছেন! যা দেখার পর সাধারণ জীবন যাপনের বাইরে তাঁর আর যাওয়া সম্ভব হয়নি।
---------------------------------------------------------------------------
ধর্মেশ্বর। ধারাবাহিক গল্প। পর্ব - ০১।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই গল্পের প্রতিটি ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক।
জীবিত বা মৃত ব্যক্তি বা বাস্তব ঘটনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
---------------------------------------------------------------------------
২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৩২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আমি সময় নিয়ে সিরিজ আকারে লিখে যাবো, আশা করি আপনি লেখাগুলো পড়ে কিছুটা হলেও হতবাক হবেন।
২| ২৫ শে মে, ২০২৫ ভোর ৫:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মেশ্বর একজন ভালো লোক।কাল্পনিক হলেও সমাজে এমন লোক আছে।আমি এমন লোকের দেখা পেয়েছি।তারা সমাজের জন্য নিবেদিতপ্রান।
২৬ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি জীবন সংসার সমাজ পরিবেশ দেশ বিদেশ দেখা মানুষ।
৩| ২৬ শে মে, ২০২৫ ভোর ৪:৩১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বেশ মনযোগ দিয়ে পড়লাম মনোরম একটি গল্পের আখ্যানভাগ । সুচনা সুন্দর হয়েছে । গল্পটি পাঠে মনে হল
"ধর্মেশ্বর" শুধু একটি নাম নয়, যেন আমাদের চারপাশের নিঃশব্দ কোনো চরিত্র, যিনি নিরবে নিঃস্বার্থভাবে কাজ
করে যান, অথচ তাঁর গল্প কেউ বলে না। প্রথম পর্বের সূচনায়ই যে অভিজ্ঞতার জানালা খুলেছে, তা নিছক কোনো
গল্পের ফ্রেমে বাঁধা পড়ে না, বরং এটা এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসার পথচিহ্ন, এক জীবনের হিসেব-নিকেশ।
ধর্মেশ্বর চরিত্রটি ামাদের মনে এক ধরনের অন্তর্দৃষ্টির আলো জ্বালিয়ে দেয়। তিনি ক্লান্ত, অথচ সেই ক্লান্তির কোনো
নির্দিষ্ট শারীরিক বা মানসিক কারণ নেই। এখানে আপনি যেন আধুনিক জীবনের এক বিশেষ মানসিক অবস্থাকে তুলে
ধরেছেন, যেখানে বাহ্যিক সবকিছু ঠিকঠাক, তবু এক অদৃশ্য ভার মনে চেপে বসে আছে। এই ‘বিচিত্র কোনো ক্লান্তি’
আমাদের মনে গভীর প্রশ্ন তোলে ; এ ক্লান্তি কি শরীরের, না আত্মার?
ধর্মেশ্বরের গ্রামে থাকার সিদ্ধান্ত, প্রাইভেট প্র্যাকটিস থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখার নীতিবোধ, এবং ঝড়-বৃষ্টিতে
নিরলস সেবাদানের পেছনে যে অনাড়ম্বর এক জীবনদর্শন কাজ করছে, তা বর্তমান সময়ের ভোগবাদী প্রবণতার
মুখে এক রকম প্রতিবাদ। আজ যখন আমরা পেশাগত সফলতার মাপকাঠি নির্ধারণ করি পদ-পদবি, ধন-সম্পদ,
কিংবা প্রচারের আলো দিয়ে, সেখানে ধর্মেশ্বর তার বিপরীত পথে হাঁটা এক নির্ভীক, নীরব বিপ্লবী চরিত্র ।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মনে হল গল্পের শেষ অনুচ্ছেদটি“ধর্মেশ্বর জীবনে দৃশ্য-অদৃশ্য অনেক কিছু দেখেছেন, যা
দেখার পর সাধারণ জীবনযাপনের বাইরে তাঁর আর যাওয়া সম্ভব হয়নি।” এই বাক্যটি আমাদের মনে রহস্য ও
প্রত্যাশার এক দ্বৈত অনুভব জাগিয়ে তোলে। কী সেই দৃশ্য? কী সেই অদৃশ্য? এখানে আপনি এমন একটি স্তর
নির্মাণ করেছেন, যেটি কেবল মানবিক বা সামাজিক নয় বরং আধ্যাত্মিক চেতনার এক বিরল অংশ ।
গল্পের ভাষা সহজ, অথচ প্রাঞ্জল; বর্ণনায় নেই বাহুল্য , কিন্তু অনুভূতিতে পরিপূর্ণ। এটি এমন এক লেখনী, যা
পাঠককে শুধু গল্প বলে না, বরং নিজের জীবনকেও নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। এ যেন এক সুন্দর ও
ও মজবুদ গঠণশৈলী ।
এই গল্পটি তাই মনে করে দেয় যে এটা শুধু একটি ‘ধারাবাহিক কাহিনী’র সূচনা নয়, বরং মানবিকতা, আত্মত্যাগ,
ও বোধের এক নীরব উৎসব। ধর্মেশ্বর একজন ব্যক্তি নন,তিনি এক প্রতীক, যিনি হারিয়ে যেতে থাকা নৈতিকতার
শেষ প্রহরী।
পরবর্তী পর্বের প্রতীক্ষা তাই শুধুই কৌতূহলের নয়, বরং তা এক ধরণের আত্মজিজ্ঞাসার ধারাবাহিকতার অপেক্ষা।
আপনি মনে হয় আপনার পুর্বতম পোষ্টে করা আমার মন্তব্যটি দেখেন নি , এখন ইচ্ছা করলে দেখে আসতে পারেন ।
নিরন্তর শুভেচ্ছা রইল
২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভাই সাহেব, আপনার মন্তব্য আমি কম করে হলেও দুইবার পড়ি। আমার লেখার খুব ভালো ব্যাখ্যা আপনার মন্তব্যে চলে আসে। হয়তো লেখালেখি করার এই আনন্দ যে, - কেউ আমার লেখা অনুভব করতে পারেন, বুঝতে পারেন, বিচার বিবেচনা করতে পারেন, মূল্যায়ন করতে পারেন। আপনাকে ধন্যবাদ। আপনকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
আমি একটি সিরিজ লেখা লিখার ইচ্ছে ছিলো, শুরু করি করি করে আর শুরু করা হচ্ছিলো না। শুরু করেছি এখন এই লেখাটি চলমান - চলতে থাকবে, আপনি পড়ে কখনও আনন্দ পাবেন, কখনও অতীত স্মৃতি মনে পড়বে, কখনও অবাক হবেন হয়তো হতবাকও!
লেখার সাথে সাথে লেখার প্রয়োজনে বেশ কয়েকজনের চরিত্র লেখাতে আসবে, আপনি পড়ে হয়তো তাঁদের চিনতেও পারবেন। যদিও লেখাটি “সম্পূর্ণ কাল্পনিক এই লেখার সাথে বাস্তবতার দূর দূর পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক নেই”।
ভাই সাহেব আপনি লেখাটি পড়েছেন এবং আপনি মূল্যায়ন করেছেন, আমি কৃতজ্ঞ।
আপনার প্রতিও অনেক অনেক শুলেচ্ছা রইলো।
৪| ২৬ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি জ্ঞানহীন মানুষ।
অনেক কিছুই বুঝি না।
২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি লেখাটি পড়েছেন, লেখার মূল্যায়ন করেছেন - আমি খুশি। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৫| ০৫ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:২৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
তিনি 'অদৃশ্য' কি দেখেছেন তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আগামী পোস্টে পাবেন। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে মে, ২০২৫ ভোর ৪:০৮
ফেনিক্স বলেছেন:
ডাক্তার শান্তিতে থাকতে চেয়েছেন।