নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালো লেখক কাকে বলে?

০১ লা জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:২৮



ভালো লেখক হওয়ার শত শত টিপস গুগল সার্চ করে পাওয়া যাবে - পরিবার সমাজ সংসার দেশ নিয়ে লেখার নানান টিপস। অনেক অনেক সহজ উপায় আছে। অথবা একজন ভালো লেখক সম্পর্কে জানার সহজ উপায় কি, কিভাবে জানা যাবে উক্ত লেখক একজন ভালো লেখক, তিনি কে বা কাদের দ্বারা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি একজন মোটামোটি মানসম্পন্ন লেখক? মোট কথা হচ্ছে কিভাবে জানবো আপনি একজন ভালো লেখক? - এটি জানাও খুব কঠিন কাজ বা পাহাড় সম বিষয় নয়।

১। আপনার কোনো লেখা কাউকে ধরাধরি ছাড়া দেশের দৈনিক পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়েছে।
২। আপনার কোনো লেখা কাউকে ধরাধরি ছাড়া দেশের দৈনিক পত্রিকার সাপ্তাহিক ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
৩। আপনার কোনো লেখা কাউকে ধরাধরি ছাড়া সাপ্তাহিক, মাসিক ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে।
৪। আপনার লেখা কবিতা প্রবন্ধ উপন্যাস প্রকাশক / প্রকাশনী তাঁর প্রতিষ্ঠানের খরচে বই আকারে প্রকাশিত করেছেন। এবং ব্যবসা সফল বই হয়েছে।

আপনি যদি নিজ খরচে আপনার কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস প্রকাশিত করে থাকেন তাহলে ধরে নিতে হবে প্রকাশনী আপনার লেখা নিয়ে কোনো প্রকার রিস্ক নিতে চায় নি। অর্থাৎ আপনার লেখা পান্ডুলিপি প্রকাশক সাহেব পড়ে প্রকাশনীর খরচে আপনার বই প্রকাশ করার মতো সাহস করেন নি। আপনি নিজ খরচে বই পুস্তক গল্প উপন্যাস কবিতা প্রকাশ করেছেন। এইবার আপনার বই পুস্তক বিক্রি হলেও আপনার। না বিক্রি হলেও আপনার। এমনও হতে পারে যে, বই মেলা থেকে আপনি নিজে ও আপনার স্বজন দ্বারা সকল কপি আপনি ক্রয় করিয়ে নিয়েছেন।

এমনও দেখেছি, মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (ডেস্টিনি ২০০০ লিঃ) এর মতো আপনি নাছোড়বান্দা হয়ে আত্মীয় স্বজন বন্ধু সহকর্মীদের দিয়ে শেষ পর্যন্ত একখানা বই ক্রয় করিয়ে ছেড়েছেন! তিনিও চক্ষু লজ্জায় অনুরোধের ঢেঁকি গিলে আপনার একটি বই কিনতে বাধ্য হয়েছেন! তারপর সেই বই বাসা বাড়ির পুরাতন রদ্দি কাগজের সাথে ধুলোমলিন হয়ে পড়ে রয়েছে, কেউ এক পাতাও পড়ে দেখেনি। আপনার বইয়ের শেষ গন্তব্য হয়েছে ঘরের অবহেলিত পাত্রে অথবা আপনার বই দিয়ে চানাচুর ঝাল মুড়ির ঠোঙ্গা তৈরি হয়েছে। শেষ - সমাপ্ত।

প্রকাশনী একটি ব্যবসা প্রতিষ্টান। আমি যতোদূর জানি, আমাদের দেশে কোনো দাতব্য সংস্থা ও দাতব্য প্রকাশনী নেই যারা বানিজ্যিক বই প্রকাশ করেন। কয়েকটি প্রকাশনী আছে যারা ধর্মীয় বই পুস্তক প্রকাশ করেন ও দূতাবাসের ম্যাগাজিন প্রকাশ করেন - এইগুলো ভিন্ন বিষয়। আপনার লেখার মান যদি ভালো না হয়, তাহলে প্রকাশনীকে দোষ দেওয়া অবান্তর। আর আপনার আত্মীয় পরিজন এইবার আপনার বই ক্রয় করুক আর সৌজন্য কপি সংগ্রহ করুক - যদি না পড়েন, তাহলে তাঁদেরও দোষ দেওয়া যায় না। কারণ আপনার গল্প উপন্যাস পড়ার মতো না। ফেসবুকে ব্লগে আপনার লেখায় হয়তো অনেকে ঝাপিয়ে পড়েন! অথবা আপনার লেখাতে হয়তো মাছিও যায় না! মূল বিষয় হচ্ছে প্রকাশিত বইয়ে - ফেসবুক আর ব্লগ থেকে পাঠক আশা করা কিছুটা ভুল। কিছুটা ভুল এই কারণে, যারা ফেসবুক ও ব্লগে আড্ডা দিতে আসেন তাঁরা আপনার বই পড়ার জন্য আসেন না, তাঁরা আসেন একাকিত্বে ভার্চুয়াল জগতে আড্ডা দিতে মাত্র, আর কিছুই না। অথবা চক্ষুলজ্জায় আপনার বই ক্রয় করে থাকলেও হয়তো পড়েন না, বিনামূল্যে সৌজন্যে সংখ্যা পেলেও পড়েন না। অথবা দুই চার পাতা পড়াতেই সীমাবদ্ধ - এই হচ্ছে নিজ খরচে প্রকাশিত বইয়ের একজন লেখকের অবস্থান ও লেখার মান। কারণ আপনার লেখা গল্প উপন্যাস বিক্রির জন্য বানিজ্যিক কোনো প্রতিষ্ঠান দ্বারা লগ্নি করা না। প্রকাশনী আপনার বই প্রকাশে এই কারণে লগ্নি করেনি কারণ তাঁরা লগ্নি করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে আগ্রহী নন।

পরিশিষ্ট: আপনার লেখার মান যদি ভালো হয়, তাহলে আপনর দ্বারা কাউকে অনুরোধ উপরোধ করতে হবে না, কারণ আপনার লেখায় এমন কিছু আছে যা মানুষ পড়তে আগ্রহী। ৩০০-৪০০ টাকা দিয়ে বই ক্রয় করা তখন আর কোনো বিষয়ই না। আড্ডা দেওয়া আর অর্থ খরচ করে বই ক্রয় করা এক বিষয় না। আপনি ভেবে দেখুন আপনার একটি বই ক্রয় করে বেচারা বেচারী ৩০০-৪০০ টাকায় কতোটা ব্যথিত হয়েছেন! ৩০০-৪০০ টাকায় বই না কিনে তিনি ঘরের জন্য, রান্নার জন্য কি কি কিনতে পারতেন সেই ব্যথা তাঁর থেকেই যাবে, কি মনে হয়?









মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৫৮

কামাল১৮ বলেছেন: কঠিন প্রশ্ন।আপনি যে চারটি বিষয় বলেছেন তার কোনটিতেই পরি না।তবে ভালো পাঠক।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমিও আপনার মতোই। অনেকের লেখা পড়ি, দুই চার লাইন পড়ে আর পড়ার ইচ্ছে থাকে না।



২| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:০৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি কোনোটার মাঝে নেই। :(

০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভালো করেছেন, খুব ভালো করেছেন।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:১৫

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



সব বাংগালী লিখতে চান; কিন্তু কোন বিষয়ে লিখতে হলে, সেই বিষয়ের উপর ভালো জ্ঞান থাকতে হয়। বাংলাদেশের ৮০/৮৫ ভাগ মানুষের আধুনিক বিশ্বের কোন বিষয়ের উপর সঠিক জ্ঞান নেই; সেজন্য বইমেলায় ও সোস্যাল মিডিয়ায় ৮০/৮৫ ভাগ গার্বেজ লেখা আসে।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি সঠিক বলেছেন। আমি সময় ও সুযোগ করে নিজ খরচে কে বা কাহারা বই প্রকাশ করেন সেই বিষয়ে লিখবো।



৪| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




কিছু প্রকাশক লেখা পাঠক প্রিয়তা পেলেও রয়ালটি ঠিক মতো দিতে চান না। তথ্য গোপন করেন।

কিছু পত্রিকা কলাম লেখকদের পাওনা বুঝিয়ে দেন না।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রয়ালটি বিষয় না। বিষয় হচ্ছে আপনার লেখা কোনো প্রকাশনী দ্বারা বিনা খরচে প্রকাশীত হয়েছে। আপনি একজন লেখক, আপনার চার চারটি বই প্রকাশীত হয়েছে! কথা হচ্ছে নিজের টাকায় বই প্রকাশ করার কারণ কি?

৫| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ২:৩৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





অনেক লেখকের ফেসবুক থেকে আয় বেশ! যত ভিউ, ততো আয়!

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের দেশে ফেসবুক ইউটিউবে কিছু টেকনিক্যাল ব্লগ আছে। বাদবাকী ব্লগ কন্টেন্ট দেশের কলংক। সারা বিশ্বে এইসব ফেসবুকারের জন্য দেশের বদনাম হচ্ছে।

৬| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ ভোর ৪:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


পরিশিষ্টে যেট আপনি বলেছেন সেটা তো নতুন লেখকদের থাকে না।
তাদের উপায় কী হবে?"

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি বই প্রকাশ করার পূর্বে আপনার লেখা দৈনিক পত্রিকা সাপ্তাহিক ও মাসিক ম্যাগাজিনে পাঠাবেন যদি প্রকাশিত হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার লেখার মান ভালো।

৭| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



মূল কথা: পাঠকের আগ্রহই ভালো লেখকের প্রকৃত পরিচয়।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



না, ভুল বলেছেন। অনলাইন পাঠক আর প্রিন্ট মিডিয়ার পাঠক আকাশ পাতাল পার্থক্য।




৮| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: আমি কোনো কিছুতেই ভালো না। পোড়া কপাল আমার। মাঝে মাঝে নিজের উপর নিজের খুব রাগ হয়।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি নিজ খরচে খুব সম্ভব দুইটি বই প্রকাশ করেছিলেন! কি জন্য, আপনি একজন লেখক প্রমাণ করতে নাকি অন্য কিছু? ঝেড়ে কাশি দিন।

৯| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: চার এর বদলে তিন দুইবার দেয়া হয়েছে।
চার নাম্বারে ব্যাবসা সফল এর কথা বলা হয়েছে কিন্তু সব ভাল লেখা ব্যাবসা সফল হয়না, আমার বড় ভাইয়ার উদাহরণ দিতে পারি, কবিতা লেখে, ওনি নিজের পয়সায় বই বের করতে চায়নি, শেষ পর্যন্ত বন্ধুরা উদ্যোগ নিয়ে বের করেছে। প্রথম তিনটা ক্রায়টেরিয়া উনার আছে। তিনটা বই বের হয়েছে কিন্তু সব ওনার পয়সায় হয়তো না, বন্ধুরাই এগিয়ে আসে।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



প্রকাশিত কবিতার বই মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ক্রয় করেছেন নাকি অনুরোধের ঢেঁকির মতো গিলাতে হয়েছে এটি একটি মূল বিষয়। আর বন্ধু বান্ধবের অর্থ খরচ করে বই প্রকাশ করা ভালো কাজ না।

১০| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭

বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রকাশিত কবিতার বই মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ক্রয় করেছেন নাকি অনুরোধের ঢেঁকির মতো গিলাতে হয়েছে এটি একটি মূল বিষয়। আর বন্ধু বান্ধবের অর্থ খরচ করে বই প্রকাশ করা ভালো কাজ না।

বন্ধুরাই ওনাকে প্রেশার দিয়ে ওরা নিজেরা খরচ করে প্রথম বইটা প্রকাশ করেছে, ওনি এসব ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকেন। পিড়াপিড়ি করে পড়ানো, প্রকাশ ও সেইল এসবে থাকেননা।

০২ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



তাহলে অবশ্যই এবং নিঃসন্দেহে ভালো বিষয়।


১১| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



একটি বিষয় আপনি খেয়াল করে দেখবেন। বাংলাদেশে পর্যাপ্ত লাইব্রেরী নেই।
এখন আমি যেখানে আছি সেখানে প্রতি এলাকায় লাইব্রেরী আছে।
সেখানে গিয়ে বই পড়া যায়। বাসায় অনেকগুলো বই নিয়ে আসা যায়।

লাইব্ররী না থাকলে পাঠক কি ভাবে তৈরী হবে।
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে হাজারে হাজারে মাদ্রাসা থাকায় সেখানে অনেক ছাত্র পড়তে যাচ্ছে।
উপাসনালয়ও প্রচুর। অনেক ধার্মিক তৈরী হচ্চে।
লাইব্রেরী না থাকায় পাঠক সৃষ্টি হচ্ছে না।
পাঠক না থাকরে বই কিনবে কারা ?
বই বিক্রি না হলে প্রকাশকরা বই ছাপতে চাইবে না।

০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের দেশেও লাইব্রেরী আছে তবে এমন এমন যায়গায় যে সেইখানে গিয়ে বই পড়া সম্ভব না।

১২| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




লেখক বলেছেন:
রয়ালটি বিষয় না। বিষয় হচ্ছে আপনার লেখা কোনো প্রকাশনী দ্বারা বিনা খরচে প্রকাশীত হয়েছে। আপনি একজন লেখক, আপনার চার চারটি বই প্রকাশীত হয়েছে! কথা হচ্ছে নিজের টাকায় বই প্রকাশ করার কারণ কি?
============

আমি দুটি বই নিজের টাকায় বের করেছি, পরের দুটিতে টাকা লাগে নাই।

আমি একজন প্রকাশকের কাছেই গিয়েছিলাম। আর কারো কাছে যাই নাই। আমাকে প্রকাশক বলেছিলেন, তাদের সাহায্য প্রয়োজন। খুব খারাপ অবস্থায় দিন যাচ্ছে। ঠিক মতো কর্মচারীদের বেতন দিতেন দিতে পারছেন না। ব্যাংকে অনেক ঋণ।

আমি প্রকাশককে সাহায্য করেছি।

০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



প্রকাশক কি সরাসরি বলবেন, আপনার লেখা ভালো হয়নি! তিনি বলেছেন তিনি নিজেই চলতে পারছেন না। বড় বিপদে আছেন, আপনার টাকা দিয়ে আপনি বই প্রকাশ করতে চাইলে তিনি কাজ করে দিবেন।

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩

বাকপ্রবাস বলেছেন: তাহলে অবশ্যই এবং নিঃসন্দেহে ভালো বিষয়।

ওনার কবিতার বই এর নাম শুনলেই আন্দাজ করতে পারবেন
প্রথম বই : অবলীলাদের বাড়ি
২য় বই : অনতিহাসের লোকগান
৩য় বই : প্রতিটা জলপাই গাছ স্মৃতি ফিরে পারে ( সম্প্রতি প্রকাশিত, ফিলিস্তিন নিয়ে লেখা কবিতা )

০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি - রানার ব্লগের কবিতা পড়ে দেখেতে পারেন, মোটামোটি লিখেন।

১৪| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




আর, বই বের করার আমার দুটি মোটিভ ছিলো।

১ম বইটি ছিলো - ম্যাজিক ইন জব হান্টিং। কিভাবে জব খুঁজতে হয় তা নিয়ে ছিলো লেখা। আমার নিজের অভিজ্ঞতার উপরে। আমার মনে হয়েছিলো, তরুণ প্রজন্মের জন্যে বইটি দরকার। তাই, নিজের টাকায় বের করি।

আর, ২য় বইটি ছিলো সামুর ব্লগপোস্টগুলোর সংকলন। আমার মনে হয়েছিলো, ব্লগের লেখাগুলো খুঁজে পেতে খুব সমস্যা হয়। নিজের কাছে কিছু কপি রাখতে চেয়েছিলাম যাতে আত্মীয় স্বজন আর বন্ধু বান্ধবদের দেওয়া যায়। তাঁরা ব্লগে আসেন না। আর, সেই সময়ে ব্লগ নিষেধাজ্ঞার কবলে ছিলো। আমার লেখাগুলো যাতে আমার কাছে থাকে, সেই আশায় পোস্টগুলোর প্রিনটেড কপি বের করি।

০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বই প্রকাশ করার সাধরণত কি কি ধরণের মোটিভ থাকে তা আমি বিস্তারিত লিখবো।


১৫| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: যাক শান্তি পেলাম আপনার বিশ্লেষণ পড়ে। আমি মহা জঘন্য লেখক। দুই তিনটি আহা উহু পেয়ে পা আকাশে উঠে গেছিলো। যাক এইবার ধপাস হওয়া গেলো।

০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ধপাস করেছেন ভালো করেছেন। মাটিতে থাকা ও মাটির সাথে সম্পর্ক থাকা ভালো।



১৬| ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:৫৭

ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে এই পরিস্কার যে আপনার এসব সম্পর্কে কোন ধারণা নেই।

০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



তার অর্থ আপনার এই বিষয়ে অনেক অনেক জানাশোনা আছে। কিছু লেখুন, আপনার লেখা পড়ে জানি বুঝি আপনি কি জানেন আর আপনার জানার দৌড় কতোটুকু?

১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




লেখক বলেছেন:
প্রকাশক কি সরাসরি বলবেন, আপনার লেখা ভালো হয়নি! তিনি বলেছেন তিনি নিজেই চলতে পারছেন না। বড় বিপদে আছেন, আপনার টাকা দিয়ে আপনি বই প্রকাশ করতে চাইলে তিনি কাজ করে দিবেন।
=============

আপনি বলতে চাচ্ছেন যে, নামকরা প্রকাশনীর প্রকাশকরা মিথ্যা বলেন? তারা লোভী?

০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনার লেখা ভালো হয়নি, তারা কেনো নিজ খরচে আপনার লেখা প্রকাশ করবেন? প্রকাশনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বই ছাপাতে টাকা লাগে, তাঁরা আপনার বই বিক্রি বাট্টা হবে না জেনেও কেনো টাকা খরচ করবেন? এতে কি তাঁরা লোভী বা মিথ্যাবাদী হয়ে গেলেন? কারণ কি?




১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




লেখক বলেছেন:
আপনার লেখা ভালো হয়নি, তারা কেনো নিজ খরচে আপনার লেখা প্রকাশ করবেন? প্রকাশনী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বই ছাপাতে টাকা লাগে, তাঁরা আপনার বই বিক্রি বাট্টা হবে না জেনেও কেনো টাকা খরচ করবেন? এতে কি তাঁরা লোভী বা মিথ্যাবাদী হয়ে গেলেন? কারণ কি?
===================

তারা বলেছিলেন, আমার লেখা ভালো হয়েছে। কিন্তু, তাদের সামর্থ্য নেই আমার লেখা তাদের নিজেদের খরচে প্রকাশ করার। আপনার লেখা পড়ে, আমি আজ মাসুদ ভাইকে আবার ফোন করেছি। তিনি বলেছেন - আমার বই রিপ্রিন্ট করতে চান।

০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১২:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাজারে কিছু বই পাওয়া যায়! ৩০ দিনে আরবী শিখুন। ৩০ দিনে ইংরেজি শিখুন। এই বই বিক্রি হয়, তবে এই বই পড়ে কে কতোটুকু কি শিখতে পেরেছেন জানেন কি?


১৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ১:০৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:




লেখক বলেছেন:
বাজারে কিছু বই পাওয়া যায়! ৩০ দিনে আরবী শিখুন। ৩০ দিনে ইংরেজি শিখুন। এই বই বিক্রি হয়, তবে এই বই পড়ে কে কতোটুকু কি শিখতে পেরেছেন জানেন কি?
------------------------

আমি নিজে উপকৃত হয়েছি। আমি সুইডিশ ভাষা সম্পর্কে জেনেছি। ;)

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাষা শিখতে পারা ভালো, আমি ভাষা শিখেছি কর্মের প্রয়োজনে। ভাষা শিখে জানতে পেরেছি বাংলা ও ইংরেজি বাদে বাদ বাকি ভাষা “ভাষা শিক্ষা বই আর কথা বলার ভাষা আকাশ পাতাল পার্থক্য।

আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

২০| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ ভোর ৪:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



বেশ ভাল একটি বিষয়ে পোষ্ট দিয়েছেন । মনযোগ সহকারে পাঠ করলাম । মুল্যবান লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ।
আপনি ঠিকই বলেছেন , বর্তমান সমাজে অনেকেই মনে করেন, একজন লেখক কেমন তা বোঝার প্রধান উপায়
হচ্ছে তার বই প্রকাশ পেয়েছে কিনা, তা নিজস্ব অর্থায়নে নাকি কোনও প্রকাশকের মাধ্যমে, এবং বইটির বাজারে
কাটতি কেমন। এই তিনটি উপাদানকে লেখকের মান নির্ধারণের প্রধান বা একমাত্র মানদণ্ড হিসেবে ধরা হচ্ছে,
যা এক ধরনের সরলীকৃত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। আপনার মুল্যবান এই লেখাটির উপর মন্তব্যের ঘরে একটু
বিস্তারিত আলোচনার উদ্দেশ্য হলো এই ধারণার সীমাবদ্ধতা ও লেখকের প্রকৃত মূল্যায়নে কী কী বিষয়
বিবেচনায় আনা উচিত, তা একটু বিশ্লেষণ করা।

প্রথম কথা হল বই প্রকাশের মাধ্যম: লেখকের মান নয়, বরং সুযোগ বা কৌশল
অনেকে মনে করেন, কোনও লেখক যদি প্রকাশকের মাধ্যমে বই প্রকাশ করতে পারেন, তবে তিনি "যোগ্য" লেখক।
পক্ষান্তরে আত্মপ্রকাশের পথ অবলম্বন করলে তাকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো , অনেক গুণী
লেখকও প্রকাশকের অনীহা, বানিজ্যিক মানদণ্ড বা নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে আত্মপ্রকাশের পথ বেছে নেন।
প্রকাশের পদ্ধতি লেখার গুণমান নির্ধারণ করে না; বরং এটি নির্ভর করে লেখকের প্রেক্ষাপট, সুযোগ এবং
কখনো কখনো কৌশলের উপর।

কাটতি বা বাজার চাহিদা: গুণমানের সূচক নয়, জনপ্রিয়তার প্রতিফলন
বইয়ের বিক্রি বাজারে যত বেশি, লেখক তত বড়, এমন ধারণাও যথেষ্ট একপাক্ষিক। কারণ পাঠকসংখ্যা বা বিক্রি
অনেক সময় নির্ভর করে লেখার বিষয়বস্তু, সময়ের চাহিদা, প্রচার কৌশল, মিডিয়া কাভারেজ ও সামাজিক
প্রেক্ষাপটের উপর। অনেক চটকদার বা অগভীর লেখা বিপুল বিক্রি পেলেও, তা সাহিত্যিক মানে সমৃদ্ধ নাও
হতে পারে। অপরদিকে, অনেক গভীর ও চিন্তাশীল লেখা সাধারণ পাঠকের নাগালের বাইরে থাকে বলেই
জনপ্রিয়তা পায় না, তবে তা কালজয়ী সাহিত্য হয়ে ওঠে।

এমন অনেক প্রখ্যাত সাহিত্যিক আছেন, বাংলা সাহিত্যে এবং বিশ্বসাহিত্যে যাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ রচনা তাঁদের
জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়নি, বরং মৃত্যুর পর প্রকাশ পায় এবং পরবর্তীতে তা সাহিত্যজগতে বিশেষ মর্যাদা লাভ
করে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য লেখকের নাম ও তাঁদের সেইসব লেখার উদাহরণ দেওয়া হলো:
বাংলা সাহিত্যে
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
মৃত্যুর পরে তাঁর অপ্রকাশিত গল্প, উপন্যাসের খসড়া ও ডায়েরি বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে।
ইছামতী উপন্যাস তাঁর মৃত্যুর কিছু আগেই লেখা হলেও এটি পুরোটাই মৃত্যুর পরে ..। সালে প্রকাশিত হয়।

জীবনানন্দ দাশ - বাংলা সাহিত্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।
জীবদ্দশায় তাঁর অনেক কবিতা অপ্রকাশিত ছিল এবং অনেক ক্ষেত্রেই তাঁকে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
মৃত্যুর পর তাঁর অজস্র অপ্রকাশিত কবিতা, গল্প, উপন্যাস পাওয়া যায়, যেমন:
"মাল্যবান", "সুতীর্থ", "জলপাইহাটি" উপন্যাস, শতাধিক অপ্রকাশিত কবিতা পরবর্তীতে "রূপসী বাংলা",
"ধ্বংস ও সৃষ্টি", ইত্যাদি নামে সংকলিত হয়। আজ তাঁর মৃত্যোত্তর রচনাই তাঁকে বাংলা আধুনিক কবিতার
অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি করে তুলেছে।

বিশ্বসাহিত্যে
এমিলি ডিকিনসন (Emily Dickinson) আমেরিকান কবি,
জীবদ্দশায় তাঁর কবিতা প্রায় প্রকাশিতই হয়নি (মাত্র ১০টি কবিতা), এবং তাঁর মৃত্যুর পরে প্রায় ১,৭০০-এরও
বেশি কবিতা আবিষ্কৃত হয়, যেগুলোর অনেকগুলো এখন ইংরেজি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
ফ্রাঞ্জ কাফকা (Franz Kafka) চেকজার্মান ভাষার লেখক
কাফকা তাঁর বন্ধু ম্যাক্স ব্রড-কে বলে গিয়েছিলেন মৃত্যুর পর তাঁর সব লেখা পুড়িয়ে ফেলতে।
কিন্তু ম্যাক্স ব্রড তা না করে তাঁর উপন্যাসগুলো প্রকাশ করেন:"দ্য ট্রায়াল" (The Trial)
"দ্য কাস্‌ল" (The Castle), "আমেরিকা" (Amerika)। এই মৃত্যোত্তর প্রকাশিত লেখাগুলোই তাঁকে আধুনিক
সাহিত্যের অন্যতম স্তম্ভে পরিণত করেছে।
সিলভিয়া প্লাথ (Sylvia Plath) আমেরিকান কবি ও ঔপন্যাসিক
তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস "The Bell Jar" একটি ছদ্মনামে জীবদ্দশায় প্রকাশিত হয়। মৃত্যুর পর তাঁর কবিতা সংকলন
বিশেষ করে "Ariel" বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পায়।
মার্সেল প্রুস্ত (Marcel Proust) ফরাসি সাহিত্যিক
তার অমর সৃষ্টি "In Search of Lost Time" (À la recherche du temps perdu)-এর কিছু খণ্ড তাঁর মৃত্যুর
পরে প্রকাশিত হয় এবং শেষের দিকের খণ্ডগুলো অসম্পূর্ণ খসড়া থেকে সম্পাদনা করে প্রকাশিত।

হ্যারল্ড পিন্টার, ডেভিড ফস্টার ওয়ালেস, এবং রবের্ত বোলানিও-র মতো আধুনিক লেখকদেরও অনেক লেখা
তাঁদের মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়েছে এবং সেগুলো তাঁদের সাহিত্যিক কৃতিত্বের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

একজন লেখকের লেখা প্রকাশ না হওয়া মানেই তিনি ভাল লেখক নন এই ধারণা ভ্রান্ত। অনেক সময় লেখক
নিজেই প্রস্তুত থাকেন না, সমাজ প্রস্তুত থাকে না, বা প্রকাশের সুযোগ মেলে না। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিংবা
মৃত্যুর পর প্রকাশিত সেইসব লেখাই অনেক সময় সাহিত্যিককে immortality বা কালজয়ী করে তোলে।

এখন কথা হল একজন লেখকের গুণ বিচার করার প্রকৃত উপাদান কী হওয়া উচিত?
একজন লেখককে "ভাল" লেখক হিসেবে বিবেচনা করতে হলে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় আনা অধিক যুক্তিসঙ্গত:
ভাষার দক্ষতা ও শৈলীর স্বতন্ত্রতা,চিন্তার গভীরতা ও মৌলিকত্ব,পাঠকের মানসিক, নৈতিক বা বুদ্ধিক জগতে প্রভাব
ফেলার ক্ষমতা, প্রাসঙ্গিকতা ও বিষয় নির্বাচন, সময়ের পরীক্ষায় টিকে যাওয়ার সম্ভাবনা (কালজয়ীতা)
আত্মসমালোচনা ও লেখার প্রতি নিষ্ঠা।

মুলকথা হল, লেখক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বই প্রকাশের মাধ্যম, ব্যক্তিগত অর্থায়ন অথবা বিক্রয়ের সংখ্যা প্রাথমিক
তথ্য হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, তবে তা একমাত্র বা চূড়ান্ত মানদণ্ড নয়। সাহিত্য মানে জনপ্রিয়তা নয়, বরং
মেধা, সততা ও চিন্তার গভীরতা। একজন লেখক সত্যিকার অর্থেই "ভালো" তখনই হন, যখন তার লেখা মানুষের
চিন্তাকে আলোড়িত করে, মনকে জাগিয়ে তোলে এবং সমাজকে নতুন চোখে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি দেয়।

তাই এই মন্তব্যের ঘরে বিকল্প এক দৃষ্টিভঙ্গির প্রস্তাব করা হল
একজন লেখকের মূল্যায়নে পাঠকের প্রতিক্রিয়া, সমালোচকদের বিশ্লেষণ, সাহিত্যিক পর্যালোচনা ও লেখার
অন্তর্নিহিত গভীরতা আরও বেশি অর্থবহ। একজন লেখক ভালো কিনা, তা জানতে হলে তার লেখার অন্তসার
বিশ্লেষণ করা উচিত, কেবল প্রচ্ছদ বা বিক্রয় পরিসংখ্যান দেখে নয়।

একজন ভালো মানের লেখককে কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলো
কেবল লেখার কারিগরি দিকেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং লেখকের চিন্তাশক্তি ও আবেগের গভীরতার প্রতিফলনও
ঘটে এতে। নিচে উল্লেখ করা হলো এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ :

১. স্পষ্টতা ও নির্ভুলতা
ভাল লেখক তিনিই যিনি শব্দ বেছে নেন সচেতনভাবে; অস্পষ্টতা বা অপ্রয়োজনীয় জটিল শব্দ এড়িয়ে চলেন।
জটিল ভাবনাগুলোকেও সহজ ও বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করতে পারেন।বাক্যগুলো যৌক্তিকভাবে সাজানো
থাকে এবং পড়তে সহজ হয়।

২. ভাষায় দক্ষতা
ব্যাকরণ, বাক্যগঠন ও যতিচিহ্ন ব্যবহারে পারদর্শী।
সমৃদ্ধ ও প্রাসঙ্গিক শব্দভাণ্ডার ব্যবহার করেন।
বাক্য গঠনে বৈচিত্র্য আনেন ছন্দ ও গুরুত্ব বোঝাতে।

৩. পাঠককে আকর্ষণ করার ক্ষমতা
জানেন কীভাবে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ ও ধরে রাখতে হয়।
গল্প বলা, জীবন্ত চিত্রকল্প বা অলঙ্কারিক কৌশল ব্যবহার করেন দক্ষভাবে।
লেখার ভাবমূর্তি বিষয় ও পাঠকের ধরন অনুযায়ী মানানসই হয় (গম্ভীর, হাস্যরসাত্মক, প্ররোচনামূলক ইত্যাদি)।

৪. মৌলিক চিন্তা ও বিশ্লেষণ
পরিচিত বিষয়েও নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বা অন্তর্দৃষ্টি উপস্থাপন করেন।
অনুমানযোগ্য বাক্যবন্ধ এড়িয়ে চলেন।
লেখায় বিশ্লেষণী মনোভাব ও আত্মপ্রতিফলনের ছাপ থাকে।

৫. উদ্দেশ্য ও পাঠক সম্পর্কে সচেতনতা
লেখার ধরন পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তন করেন; একাডেমিক, অনানুষ্ঠানিক বা পেশাগত প্রেক্ষাপটে।
কখন ব্যাখ্যা দিতে হবে, কখন ইঙ্গিত করতে হবে, আর কখন প্রভাবিত করতে হবে তা বোঝেন।
পাঠকের সময় ও বুদ্ধিমত্তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

৬. গঠন ও সংগঠন
লেখায় পরিষ্কার সূচনা, মূল অংশ ও উপসংহার থাকে।
ভাবগুলো সুনিয়ন্ত্রিতভাবে বিন্যস্ত থাকে এবং এক অংশ থেকে অন্য অংশে স্বচ্ছন্দে প্রবাহ ঘটে।
প্রতিটি অনুচ্ছেদ লেখার মূল বক্তব্য বা বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকে।

৭. আবেগ ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রভাব
পাঠকের চিন্তা, অনুভূতি বা কর্মে আলোড়ন তোলে।
কেবল তথ্য দেয় না, বরং তা হৃদয়গ্রাহী বা প্রেরণাদায়ী হয়।
প্রয়োজনে সহমর্মিতা ও নৈতিক সচেতনতা প্রকাশ করে।

৮. অধ্যবসায় ও পুনর্লিখনের মানসিকতা
লেখাকে আরও স্পষ্ট, উপযুক্ত ও প্রভাবশালী করতে পুনরায় লিখতে প্রস্তুত থাকেন।
আত্ম-সম্পাদনায় কঠোর; জানেন ভালো লেখা সাধারণত প্রথম খসড়ায় আসে না।
গঠনমূলক পরামর্শ গ্রহণ করেন এবং তা কাজে লাগান।

মোট কথা হল কেও যদি কোনো লেখককে মূল্যায়ন করতে চান, তাহলে এসব গুণাবলী লেখার নমুনা, বিভিন্ন
ধরনের লেখায় ধারাবাহিকতা, এবং পাঠকের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বোঝা সম্ভব।

আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি এই সামুতেই বিভিন্ন ব্লগারের পোষ্টে আমার সহয্রাধিক কবিতা ও বেশ
বড় আকারের তথ্য ও বিশ্লেষনাত্মক লেখা মন্তব্য আকারে রয়েছে যে গুলিকে অনায়াসেই একটি পৃথক পোস্ট
হিসাবে প্রকাশ করে আমার ব্যক্তিগত প্রফাইলকে বেশ বড় করা যেতু অনায়াসে । লেখার মান বিবেচনায়
সেগুলিকে মন্তব্যের ঘর হতে উঠিয়ে পৃথক পোস্ট হিসাবে আমি প্রকাশ করিনি ।
আমার কাছে নীজের মনোভাব প্রকাশ করাটাই শ্রেয় মনে করি, তা যদি মাত্র একজন সহৃদয় পাঠকই পাঠ করেন
তাতেই আমি অতি সন্তুষ্ট ।

আপনার মুল্যবান পোস্টটিকে প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাই সাহেব, সালাম নিবেন, আমি বিভূতিভূষণ বাবুর সময়ের কথা লিখিনি। আমি লিখেছি বর্তমান সময়ের বর্তমান লেখকদের বইমেলার বই প্রকাশের হিড়িক ও তাদের লেখক হয়ে উঠার গল্প নিয়ে।

আপনি যা বিস্তারিত লিখেছেন তাঁর অল্প বিস্তর আমি জানি। বাঙলা অভিধান যিনি শুরুর শুরুটা করেছেন তাঁর ইতিহাস তাঁর গল্প তাঁর জীবনি পড়লে চোখে পানি আসে। আমি সময় সুযোগ করে কোনো একদিন লিখবো সেই সব কথা।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।


২১| ০৩ রা জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি নিজ খরচে খুব সম্ভব দুইটি বই প্রকাশ করেছিলেন! কি জন্য, আপনি একজন লেখক প্রমাণ করতে নাকি অন্য কিছু? ঝেড়ে কাশি দিন।

হা হা হা--
শখ করে। সবাই করে, আমিও করেছি। দুটা বই একদম ফালতু হয়েছে। এখন লজ্জা লাগে।

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



নিজের টাকা খরচ করে মন ইচ্ছে মতো বই প্রকাশ করা তারপর জোরজবরদস্তি করে কারো কাছে সেই অখাদ্য বই বিক্রি করা কতোটা ভালো কাজ, বলতে পারেন?


২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০২

ধূসর সন্ধ্যা বলেছেন: আপনাকে কেবল একটা প্রশ্ন করি। যদি একজন লেখক এদেশ নিজের টাকায় বই বের করে, তার মানে কি তার লেখার হাত খারাপ আর প্রকাশক যদি বিনাখরচ কারো বই বের করে তার মানেই কি ভাল লেখক?
আপনার উত্তর থেকেই বুঝা যে আপনার এই ব্যাপারে দৌড় কত দূর।

ঊপরে ২০ নম্বর মন্তব্যটা ভাল করে পড়ুন। তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে আপনি এমন বিষয়ে পন্ডিতি ফলানোর চেষ্টা করছেন যেটার ব্যাপারে আপনার কোন ধারণা নেই। আপনি জনপ্রিয়তা আর লেখার মান, এই দুই বিষয়কে এক করে ফেলেছেন।

০৫ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



২০ নম্বর মন্তব্যটি সম্পূর্ণ ভুল সময়ে, ভুল মন্তব্য করেছেন।

আপনার লেখার মান যদি ভালো হয় আপনার লেখা দৈনিক পত্রিকা ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হবে। এবং প্রকাশক নিশ্চিন্তে আপনার লেখা প্রকাশ করবেন। আমার ধারণা কম। কিন্তু আপনার পন্ডিতি আর দৌড় যে অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী তা বুঝতে বিদ্যাসাগর হওয়ার প্রয়োজন নেই।

আমার লেখাটি আপনার সম্পূর্ণ পড়া হয়নি, অকারণ অযথা তর্ক করতে এসেছেন - হয়তো এটিই আপনার স্বভাব। নিজের টাকা খরচ করে মন ইচ্ছে মতো বই প্রকাশ করা তারপর জোরজবরদস্তি করে কারো কাছে সেই অখাদ্য বই বিক্রি করা কতোটা ভালো কাজ! আপনার ধারণা নেই, ধারণা থাকলে তর্ক করতেন না। প্রয়োজনে আমার লেখা পোস্ট টি আবার পড়ুন। হয়তো আপনি সেই ছকের লেখক যারা বই প্রকাশ করে মানুষকে চুরান্ত বিরক্ত করে করে কপি বিক্রি করে!

ধন্যবাদ! অকারণ অযথা তর্ক করার চিন্তা থাকলে আবার আসবেন। আর তর্ক করার ইচ্ছে না থাকলে আর আসার প্রয়োজন নেই।


২৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৭:০৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




ভাই ঠাকুর মাহমুদ ছালাম নিবেন, আপনি একেবারে ঠিকই বলেছেন ,ভুল সময়ে একটি ভুল মন্তব্য করেছি,
এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।

প্রকাশনা জগতে নিজ খরচে বই ছাপিয়ে, তার কাটতি বাড়ানোর জন্য যেসব অভিনব ও কিছুটা কৃত্রিম কলাকৌশল
প্রয়োগ করা হয় ,সেসব দেখে আমিও কম বিরক্ত হই না। তবে কারো লেখালেখির প্রতি আন্তরিকতা থাকলে, তা
যতই অগভীর বা অপরিপক্ব হোক না কেন, আমি চেষ্ট করি নিরুৎসাহিত না করতে। আমার মনে হয়েছে, লেখা
অব্যাহত থাকলে হয়তো একসময় লেখকের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির গভীরতা বাড়বে, তার লেখার মানও উন্নত
হবে। তখন প্রকাশকরাও আগ্রহ নিয়ে তার পান্ডুলিপি প্রকাশে এগিয়ে আসবেন। আর এই প্রক্রিয়াতেই সময়ের
পরতে পরতে আমরা পেতে পারি একজন সত্যিকারের ভালো লেখককে।

আপনার লেখাটি আমার কাছে সময়োপযোগী, ব্যঙ্গরসাত্মক এবং অত্যন্ত প্রাঞ্জল মনে হয়েছে। মনোযোগ দিয়ে
পড়ে বেশ ভাবনাতেও ডুবে গিয়েছিলাম। লেখাটি এতটাই হৃদয়ছোঁয়া যে, প্রিয়তেও তুলে রেখেছি।

পোস্টটি পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে আমার ভিতরে একজন ভালো লেখকের গুণাবলী ও লেখার মান সম্পর্কে কিছু কথা
বিস্তারিতভাবে লেখার ইচ্ছা জাগে। শুরুতে ভেবেছিলাম বিষয়টি নিয়ে একটি পৃথক পোস্ট করব, তবে ইদানিং
শরীর ঠিক না থাকায় এবং নানা রকম ব্যস্ততার কারণে ব্লগে মানসম্পন্ন নতুন লেখা দেয়া বা মন্তব্যের উত্তরে
চিন্তাপ্রসূত প্রতিমন্তব্য রাখার মতো সময় দিতে পারছি না। ফলে ভাবলাম, এই মন্তব্যেই কিছু কথা বলে যাই
যা আপনার পোস্টের প্রেক্ষাপটেই আরও অর্থবহ হয়ে উঠবে, এবং হয়তো বার্তাটি সঠিক পাঠকের কাছেও
পৌঁছে যাবে এখান থেকেই।

আমি জানি, একজন ভালো লেখকের গুণাবলী কেমন হওয়া উচিত, তা আপনি আমার চেয়েও অনেক গভীরভাবে
জানেন ও অনুপমভাবে ব্যক্ত করতে পারেন। শুনে খুব ভালো লাগল যে, আপনি এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত লিখবেন।
সত্যিই, আপনার মতো একজন অভিজ্ঞ ও পর্যবেক্ষণক্ষম লেখকের কাছ থেকে এমন বিশ্লেষণ প্রত্যাশিত এবং কাম্য।

আপনার উপলব্ধির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আপনিই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন,এটি ছিল ভুল সময়ে একটি
ভুল মন্তব্য। আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করি, ভবিষ্যতে যেন আর এমন ভুল না করি। সঠিক পথে চলার জন্য আপনার
সদয় পরামর্শ ও সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.