![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful
আমি প্রায় সময়েই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করি। আমি সাধারণত বেশ বেলা করেই ঘুম থেকে উঠি, ঘুম থেকে উঠেই মনে মনে প্রার্থনা করি আজ যদি বৃষ্টি হতো, আহারে তপ্ত গরমে কতো কতো মানুষ কষ্ট করছেন! রাতে যখন ঘুমোতে যাই তখনও প্রার্থনা করি “হে মহান ঈশ্বর আপনি বৃষ্টি দিন। যাতে মানুষ শান্তিতে ঘুমোতে পারে”।
আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ খাওয়ার কষ্ট করেন, কাপড়ের কষ্ট করেন, খাবার পানি গোসলের পানির কষ্ট করেন, এমনকি ঘুমেরও কষ্ট করেন। তপ্ত গরমের কষ্টে গভীর রাতে অঘুমা মানুষ সড়কে - রেল লাইনে বসে থাকতে দেখেছি অসংখ্য। তাঁদের ঘুম দরকার ছিলো, কারণ পরের দিন ভোর হতে না হতেই মুজুরির জন্য এক মুঠো ভাতের জন্য তাঁদের দৌড় দিতে হবে।
হত দরিদ্র মানুষগুলো বৃষ্টির দিনে কিছুটা অভিনয় করে মুখ কালো করে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন! সেই কালো মুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকে বিশাল এক আনন্দ! বৃষ্টির দিনে এই হত দরিদ্র মানুষগুলোর আয় কিছুটা বেশি - আজ যে কোনো কাজ করবেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ রোজগার খানিকটা বেশি হবে! দিন শেষে হয়তো কেউ কেউ একটি পোল্ট্রি মোরগ কিনে নিয়ে যান ঝুপড়ি ঘরে। সেই ঘরে হয়তো অপেক্ষা করছেন বৃদ্ধ অসহায় মাতাপিতা, সন্তান আর ছেড়া কাপড়ে জনম দুঃখী স্ত্রী।
আমার মতো হয়তো আরও অনেকই প্রার্থনা করেন “হে মহান ঈশ্বর আপনি বৃষ্টি দিন। যাতে মানুষ শান্তিতে ঘুমোতে পারে, শান্তিতে যেনো বেঁচে থাকতে পারে, শান্তিতে যেনো মরতে পারে”। মহান ঈশ্বর খুশি হয়ে আজ রাজধানী ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিন এলাকা বৃষ্টির চাদরে মুড়িয়ে দিয়েছেন। মহান ঈশ্বরের বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যাক সকল অকল্যান। আজ বৃষ্টিমুখর দিন।
উৎসর্গ: লেখাটি উৎসর্গ করছি দেশের হত দরিদ্র মানুষদের। যারা - ধর্ম রাজনীতি, গুন্ডা রাজনীতি, দখলদার রাজনীতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না। শুধু জানেন কষ্ট করতে যাতে করে এক দুই বেলা - আধা পেট, ভর পেট “ভাত” খেতে পারেন।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন। মন্তব্য ও পোস্টে লাইকের জন্য আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০৯
লোকমানুষ বলেছেন: আপনি কেবল একটা দিক চিন্তা করে প্রার্থনা করছেন। এর কিন্তু ঠিক অপর আরেকটি পিঠও আছে। গরমে কষ্ট পেয়ে হয়ত খোলা আকাশের নিচে এসে কেউ কেউ কিছুটা স্বস্তি খুঁজে নেবার বৃথা চেষ্টা করছেন। কোন উন্মাদ হয়ত গরমেই মাঝেই ফুটপাতে কিংবা বাসস্টপের বেঞ্চটাতে পড়ে পড়ে দিব্যি ঘুমাচ্ছে। কত শত পথশিশু ক্লান্তিতে একটু সমতল জায়গা পেয়েই শুয়ে ঘুমাচ্ছে। সেই সময়টাতে তাদের মাথার উপর কোন ছাদ থাকে না বৃষ্টিকে আটকে রাখার জন্যে। বৃষ্টি তখন তাদের কাছে নীরব অভিশাপ ছাড়া আর কোন মূল্য বহন করে না।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সঠিক বলেছেন। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পৃথিবী থেকে তাঁরার দূরত্ব অনেক। পৃথিবীর মানুষ পৃথিবীতেই থাকে।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
নিচের উক্তিটি শিশুদের জন্যে আমার করা লাইব্রেরীর দেয়ালে আঁকা রয়েছে।
আপনার পোস্ট পড়ে এটার কথা মনে পড়লো।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
মন্তব্য ও পোস্টে লাইকের জন্য আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৮:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: বৃষ্টি আসে প্রাকৃতিক নিয়মে।বৃষ্টি আনন্দ বেদনা দুটিই নিয়ে আসে।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আজ বৃষ্টি না হলে রাজধানী ঢাকা শহর অনেক উত্তপ্ত হতো। আমি ভেবেছি আপনি হয়তো আমার লেখার কারণ ও অর্থ বুঝতে পারবেন!
৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:২৮
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লাগলো ।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লেখা পড়ে ভালো লেগেছে জেনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১২
কামাল১৮ বলেছেন: আমি যখন ছোট ছিলাম, কেবল মাত্র তাশ খেলা শিখেছি। তখন ছয় সাত দিন এক নাগাড়ে বৃষ্টি হতো।সে যে কি আনন্দের দিন ছিলো আমার জন্য। ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
বাবা জনপ্রতিনিধি হওয়ায় আমাদের বাড়ী থেকে গম আটা বিলি করা বা সরকারী দামে বিক্রি করা হতো।বাকিতে গম বা আটার জন্য তাদের কাকতি মিনতি আমি দেখেছি।বৃষ্টির জন্য কাজে যেতে পারে নাই।বৃষ্টি যেনো ছিলো তাদের জীবনের এক চরম অভিশাপ।
সেটা আমার জীবনে এক চরম সত্য হয়ে মিশে আছে।জীবনের অনেক গুলি বছর এই সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যয় করেছি।অভিক্ষতা ছাড়া আর কিছুই অর্জন হয় নাই।হতাশা কখনো পেয়ে বসেনাই।এখনো স্বপ্নদেখি দারিদ্রমুক্ত হবে একদিন সারা বিশ্ব।সেটাই দুই বাক্যে বলেছি।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:২২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি যা বলেছেন তা আমি বুঝতে পেরেছি। এবং এখন মন্তব্যে যা বলেছেন তাও। আমি সময় দেখা মানুষ, জীবনে এতো সময় দেখেছি যা বলে লিখে শেষ করা যাবে না, সম্ভব না। সময়ের চেয়ে ভয়ংকর খাদক পৃথিবীতে আর একটিও নেই।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:১৭
মেহবুবা বলেছেন: সহমত। আমিও এমন করে চাই।
কদিন আগে গরমে দেখছি রিকশাওয়ালার শার্ট ঘামে ভিজে গেছে, রৌদ্রে দাঁড়িয়ে আছে প্যাসেন্জারের অপেক্ষায়। তখন আমি আল্লাহকে বলছিলাম।
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
the arrow and the song কবিতাটি আমাদের ইংরেজি পাঠ্য বইয়ে ছিলো। কবিতাটি আমার খুবই প্রিয় কবিতা, আমার চিন্তা আপনার সাথে মিলে যাওয়ার মাঝে এই কবিতাটি মনে পড়েছে।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
৯| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:০৪
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আজ শারীরিকভাবে বেশ ক্লান্ত। গতকাল রাত থেকেই জ্বরটা ভোগাচ্ছে। দিনের বেশীরভাগ সমই ঘুমিয়ে কাটিয়েছি তবে মাঝে মাঝে উঠে নামাজটা পড়া হয়েছে। এক বন্ধুর সাথে আজ দেখা করার কথা ছিলো সন্ধ্যে বেলা, সেটাও হলো না। শুয়ে থেকে থেকে পিঠ খানিকটা ব্যাথা হয়ে গেছে। হঠাৎই আপনার লিখাটা চোখে পড়লো।
আশা করছি, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছেন। এমন বৃষ্টির দিনে গরীবদের কথা ভেবে আমার খারাপ লাগে সব সময়ই। বৃষ্টির দিন আমি চেষ্টা করি ওদের দশ টাকা বেশী দিতে। তবে ওদের কিছু কাজও আমার বেশ খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে ইচ্ছে করেই বলে এখানে যাবো না, ওখানে যাবো না। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও রিকশা পাওয়া যায় না। বসুন্ধরা এলাকার রিকশাওয়ালাদের সবার আলাদা পোশাক থাকে, তারপরেও এখানে ওখানে যাবো না বললে মনে হয় ওরা পোশাক পড়ার আগে ওদের নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানিয়ে দেয়া উচিত ছিলো। তারা মূলত নিয়ম অমান্য করছে। ছোট ছোট ট্রিপ দিয়ে তুলনামূলকভাবে কম পরিশ্রমে বেশী আয় করতে চায়, দূরের ট্রিপে যেতে চায় না। বাঙালীর দুষ্ট বুদ্ধি বরাবরই বেশী।
তাই এখন আর খুব একটা ভাবি না। কারণ, পৃথিবীর কোন কিছুই এক তরফা নয়। মাঝে মাঝে ওদেরও বৃষ্টির দিনে তুলনামূলকভাবে খালি হাতে ফিরে নিজের কর্ম সম্পর্কে ভাবা উচিত। প্রকৃতি সত্যিই সবকিছু ব্যালেন্স করে চলে। নিয়মের ব্যতয় ঘটলে সেটার ফলাফলও সে দিয়ে দেয়। সৃষ্টিকর্তা মহান, তাহার বিচার আমাদের ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের জন্য ভাবনার খোরাক অবশ্যই জোগায়। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:৫৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
যখন জানতে পারি কেউ না কেউ অসুস্থ তখন আমার কাছে সেই অসুস্থতার জন্য সমাজ ও পরিবেশকে দায়ী মনে হয়। আমাদের দেশ কেনো এতো নোংরা অপরিচ্ছন্ন আর কেনো এতো এতো রোগ জীবাণু আর ভাইরাস! - এটি দেখার মতো সরকার আজ পর্যন্ত হয়নি আর হবেও না। সরকার ও প্রশাসনে সব অথর্ব ও লোভী মানুষ ছিলো - আছে - থাকবে চিরোকাল। নষ্ট পঁচা মানুষেই লিডিংয়ে থাকে এবং বিচিত্র কারণে সবাই এই সব নষ্ট পঁচা মানুষকেই পছন্দ করে। এরা সমাজের ক্ষতি করে, পরিবেশের ক্ষতি করে সর্বোপরি সমগ্র দেশের ক্ষতি করে।
আপনিও ভালো থাকবেন। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকায় বৃষ্টি মানে দুর্ভোগ।
রাস্তায় জ্যাম। গিট্রু জ্যাম। অল গলি সব পানিতে তলিয়ে যায়। মানুষের সীমাহীন কষ্ট।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:২৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কষ্টের কথা তো সব সময় লিখি, নাকি? আজ আনন্দের কথা লিখেছি। তারপরও আপনি ভালো বলেছেন। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫
কিরকুট বলেছেন: আমার টাকা নাই , টাকা হলে আমি একটা কাঠের ছুই ওয়ালা নৌকা বানিয়ে মাঝ নদীতে বৃষ্টি উপভোগ করতাম ।
০৮ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:২৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ভালো বলেছেন। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বৃষ্টি হলে আয় বাড়ে ঠিক আছে বাট ভাড়া ৩/৪ গুণ বেশি নেয়া কি ঠিক ?