![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
hope is a good thing, maybe the best of things, and no good thing ever dies.
মাইক্রোবায়োলজির একটি অংশ হল ব্যাক্টেরিয়োলজি। বিশাল, বৈচিত্রময়, বিস্ময়কর এবং রহস্যমণ্ডিত হল এই অণুজীবদের জগৎ। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া, প্যারাসাইট, ছত্রাক প্রভৃতিদের নিয়ে এই জগৎ বিস্তৃত। এই লেখাতে আমরা আমাদের খুব পরিচিত কিছু ব্যাক্টেরিয়ার সাথে পরিচিত হব। দেখতে পাবো যে ব্যাক্টেরিয়াগুলো যত ভয়ংকর রোগই সৃষ্টি করুক না কেন, তারা দেখতে কিন্তু অতটা খারাপ নয়। এদের গঠন বৈশিষ্ট্যও এক বিস্ময়। এরা ধিরে ধিরে বিভিন্ন শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। উল্লেখ্য ব্যাক্টেটেরিয়া খালি চোখে দেখা যায় না। এখানে ব্যাক্টেরিয়ার সুদৃশ্য যে সব রঙিন বিবর্ধিত ছবি দেখা যাচ্ছে সেগুলো বিভিন্ন staining procedure এর মাধ্যমে Light micrograph, Electron micrograph বা Digital micrograph এর মাধ্যমে তৈরি করা। তাই মনে রাখতে হবে যে এখানে ব্যাক্টেরিয়াকে অনেক রঙিন বর্ণে দেখা গেলেও এগুলো কিন্তু আসলে ওদের নিজের রঙ নয়। তাহলে চলুন কিছু ব্যাক্টেরিয়াদের সাথে পরিচিত হওয়া যাক।
1. Corynebacterium diphtheriae
এই pathogenic(রোগ সৃষ্টিকারী) ব্যাক্টেরিয়াটি ডিপথেরিয়া রোগ সৃষ্টি করে। ১৮৮৪ সালে জার্মান ব্যাক্টেরিয়োলোজিস্ট Edwin Klebs এবং Friedrich Loffler এই ব্যাকটেরিয়াটি আবিষ্কার করেন। ব্যাক্টেরিয়াটি মানুষেরদেহে ডিপথেরিয়া টক্সিন তৈরি করে কোষের Protein function এ বাধা দেয়। এভাবে ব্যাক্টেরিয়াটি দেহের fauces, larynx, nose, conjunctiva, ear, skin ও vulvo-vagina তে ইনফেকশন তৈরি করে।
2. Escherichia coli (E. coli)
১৮৮৫ সালে জার্মান Pediatrician Theodor Escherich এই ব্যাক্টেরিয়াটি আবিষ্কার করেন। এটি সাধারণত কোন ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া নয়। এটি মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর অন্ত্রে Normal Flora'র অংশ হিসেবে বাস করে। মানুষের দেহে এটি ভিটামিন-কে তৈরিতে সাহায্য করে এবং অন্য কোন ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াকে অন্ত্রে স্থান নিতে দেয় না। তবে এই ব্যাক্টেরিয়ার কিছু প্রজাতি আছে যেগুলো উপযুক্ত পরিবেশে মানুষের দেহে Bloody Diarrhoea, Gastroenteritis, Urinary Tract Infection এবং কোন কোন ক্ষেত্রে Neonatal Meningitis এবং Haemolytic Uremic Syndrome(HUS)ও সৃষ্টি করতে পারে।
3. Salmonella typhi
এটি আমাদের দেহে টাইফয়েড জ্বর সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের মত দেশে যেখানে স্যানিটেশন ব্যবস্থা খুব একটা ভাল নয় সেখানে টাইফয়েড জ্বর খুবই অহরহ দেখা যায়। প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। টাইফয়েড জ্বর সৃষ্টির জন্য দেহে কমপক্ষে ১,০০,০০০ থেকে ১,০০০,০০,০০০ টি ব্যাক্টেরিয়ার অনুপ্রবেশ প্রয়োজন। Doctor Daniel Salmon এর নামানুসারে এই ব্যাক্টেরিয়াটির নামকরণ করেন তারই সহকারী। দিগ্বিজয়ী সম্রাট আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট ভারত আক্রমণের পর নিজ দেশে চলে যাওয়ার সময় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ব্যবিলনে মারা গিয়েছিলেন। ধারণা করা হয় সেটি ছিল এই টাইফয়েড জ্বর। টাইফয়েড জ্বরের complication গুলোর মধ্যে রয়েছে Intestinal perforation, Intestinal hemorrhage, Thrombophlebitis, Cholecystitis, Myocarditis, Urinary retention, Nephritis, Osteomyelitis, Pneumonia, Psychosis প্রভৃতি।
4. Salmonella paratyphi
এই ব্যাক্টেরিয়াটি আমাদের দেহে প্যারা টাইফয়েড জ্বর সৃষ্টি করে। এটিও টাইফয়েড জ্বরের মত অনেক গুরুতর একটি অসুখ তবে এক্ষেত্রে মৃত্যুর হার এত বেশি নয়। প্রতিবছর সারা পৃথিবীতে প্রায় ১৬ মিলিয়ন মানুষ এই জ্বরে আক্রান্ত হয় এবং ২৫০০০ থেকে ২৬০০০ মানুষ মারা যায়। প্যারাটাইফয়েড জ্বরের জন্য কমপক্ষে ১০০০ টি ব্যাক্টেরিয়ার অনুপ্রবেশ প্রয়োজন হয়।
5. Shigella
এটি মানুষের দেহে Shigellosis বা Bacillary dysentery সৃষ্টি করে। শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ এই ব্যাক্টেরিয়া। ১০ থেকে ১০০ টি ব্যাক্টেরিয়াই রোগ সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট। প্রতিবছর প্রায় ৯০ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয় এবং এদের মধ্যে প্রায় ১,০০,০০০ মারা যায় যার মধ্যে অধিকাংশই হল শিশু। ১৮৯৭ সালে Kiyoshi Shiga প্রথম এই ব্যাক্টেরিয়াটি আবিষ্কার করেন।
6. Vibrio cholerae
এটি মানুষের দেহে কলেরা সৃষ্টির জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়া। ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর ২য় প্রধান কারন হল এই কলেরা। প্রতি বছর প্রায় ১,২০,০০০ শিশু কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। কলেরার জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়ার আবিষ্কারক হিসেবে বিশ্বব্যাপী রবার্ট কচ পরিচিত হলেও ১৮৫৪ সালে ইতালিয়ান অ্যানাটমিস্ট Filippo Pacini প্রথম কলেরার কারণ হিসেবে এই ব্যাক্টেরিয়াকে পৃথক করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
7. Helicobacter pylori
এটি মানুষের দেহে Gastritis, Peptic ulcer এবং Gastric carcinoma সৃষ্টি করে থাকে। ব্যাক্টেরিয়াটি মানুষের পাকস্থলীতে অবস্থান করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ান বিজ্ঞানী Barry Marshall এবং Robin Warren ১৯৮২ সালে প্রথম আইডেন্টিফাই করেন যে Chronic gastritis ও Gastric ulcer এ আক্রান্ত রোগীর দেহে এই ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে। পাকস্থলীর ক্যান্সারের (Carcinoma of stomach) পিছনেও এই ব্যাক্টেরিয়ার ভূমিকা প্রধান বলে তারা প্রমাণ করেন। এই আবিস্কারের জন্য ২০০৫ সালে তারা একত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
8. Campylobacter
এটি মানুষের দেহে Campylobacteriosis সৃষ্টি করে থাকে। এর প্রধান উপসর্গ হল Diarrhoea, Fever ও Abdominal pain । যুক্তরাষ্ট্রে এই ব্যাক্টেরিয়াটি ডায়রিয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। যদিও Campylobacter এর Genus ১৯৬৩ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়, কিন্তু 1886 সালে Theodor Escherich শিশুদের দেহে প্রথম Campylobacter Infection এর উপসর্গ বর্ণনা করেন।
চলবে......
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ধন্যবাদ...
২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২১
উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্কার পোষ্ট
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩১
গোবর গণেশ বলেছেন: ভালো ভালো ব্যাকটেরিয়া। সুন্দর সুন্দর
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৯
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: হুম.........দেখতে আসলেই সুন্দর ব্যাক্টেরিয়াগুলো...
৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০১
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: ++++++
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:০৫
আছিফুর রহমান বলেছেন: সুন্দর, সুন্দর, ভাল ব্যাকটেরিয়া। পারলে আমারে দুই তিন পিছ পাঠায় দিয়েন।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: হাহা...আচ্ছা আপনাকে কয়েক পিছ পাঠিয়ে দিব....অ্যাক্যুরিয়ামে সাজিয়ে রাইখেন... সুন্দর দেখাবে...
৬| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:৫৪
জামাল কুরাইশ বলেছেন: পলেটিক্যাল ব্যাকটেরিয়া নাই ?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ভাই ব্যাক্টেরিয়ার পলিটিক্স নিয়ে তো তেমন কিছু বলতে পারবো না। :O তবে কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে যেগুলো শরীরের সুস্থ অবস্থায় সাধারণত কোন রোগ সৃষ্টি করে না, কিন্তু কোন কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কমে গেলে বা দুর্বল হয়ে গেলে, তখন এরা দেহকে আক্রমণ করে। যেমন, AIDS আক্রান্ত ব্যাক্তির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা(Immunity System) কে HIV virus ধীরে ধীরে নষ্ট করে দিতে থাকলে অনেক ক্ষতিকারক অনুজীব (যেমন Mycobacterium tuberculosis ব্যাক্টেরিয়া) শরীরকে নানা রোগে আক্রান্ত করে ফেলে। এদেরকে মেডিকেলের ভাষায় Opportunistic pathogens (সুযোগসন্ধানী রোগজীবাণু) বলে। আপনি এদেরকে পলিটিক্যাল প্যাথোজেন বলতে পারেন।
৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ জামাল কুরাইশ বলেছেন - পলেটিক্যাল ব্যাকটেরিয়া নাই ?
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:০৬
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন:
৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৮
জেরিফ বলেছেন: ব্যাক্টেরিয়া !!!!!!!!
চমৎকার পোস্ট
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ভাই ভয় পাইলেন নাকি? আপনার শরীরেই কিন্তু already লক্ষ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত আছে।
btw, ধন্যবাদ...
৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
মুদ্দাকির বলেছেন: নাইস
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ধন্যবাদ
১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
সুমন কর বলেছেন: গুড
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১৪
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
চিরতার রস বলেছেন: ব্যাকটেরিয়ার চাইতে ভাইরাসের চেহারা সুন্দর
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৩
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক.....
১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫
সোহানী বলেছেন: কি ভয়ঙ্কর.....
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: হুম...একটু ভয়ংকর তো হবেই...
১৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০
আদম_ বলেছেন: সাক্ষাত ইবলিশ!!
মাইনাস বাটন টা কুথায় গেলো
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২৯
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার পাশাপাশি কিন্তু অনেক উপকারি ব্যাক্টেরিয়াও আছে আমাদের শরীরে যারা আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। তাই সব ব্যাক্তেরিয়াকে মাইনাস করার দরকার নাই
১৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভয়ংকর ব্যাপার। শালাদের দেখার ইচ্ছা ছিল। চিনলাম, কাছে আসলে ফাটাইয়া ফালামু!!!!!!!
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: হা হা
১৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩২
স্বাধীনতার বার্তা বলেছেন: Nice post.
Hoping to see more of them.
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৩
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
আদম_ বলেছেন: বাহ খুবতো সাফাই গাওয়া হচ্ছে শয়তানগুলার পক্ষে
আচ্ছা খাউজানি-চুলকানি-ফোড়া-বিখাউজের জন্য কোন শালারা দায়ী বলতে পারেন।
দেইখা নয়ন জুরাইতাম.......।
০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৩
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: হাহা... ওইগুলার জন্য প্রধানত ফাংগাস দায়ী। এটা নিয়ে পরে লেখার ইচ্ছা আছে...
১৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: নিভৃত নিঃশব্দ ,
শুধু চমৎকারই নয়, বেশ কাজের ও জানার মত একটি বিষয় নিয়ে লেখা ।
প্রিয়তে নিয়ে রাখছি ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৪
নিভৃত নিঃশব্দ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে.....
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:২৯
বিপ্লব06 বলেছেন: দারুন!!!