![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন যেখানে লিখি : http://shorob.com/author/yaad/ © লেখকের অনুমতি ব্যতীত এই ব্লগের কোন লেখা সম্পূর্ণ বা আংশিকরূপে কোথাও প্রকাশ করা যাবে না। মূল উৎস উল্লেখ করে শেয়ার করা যাবে।
এবারের পর্বে জার্মানি।
জার্মানিকে নিয়ে অনেক অভিযোগ শোনা যায়। তারা নাকি শিল্প বুঝে না। যান্ত্রিক ফুটবল খেলে। এটা কেমন কথা!
তারা কি মাঠের মধ্যে যন্ত্রপাতি নিয়ে ঢুকে পড়ে নাকি??
নিশ্চয় তা নয়।
মাঠে অন্যদলের মতো এরাও ১১ জন খেলোয়াড় নিয়েই নামে।
তাহলে এদের সাথে অন্য দলের পার্থক্য কোথায়?
কেনই বা এমন অপবাদ?
জবাব দেয়ার আগে একটু জার্মানির সাফল্য দেখা যাক।
১৯৫৪ সালের পর থেকে যে কয়টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে তার মধ্যে শুধু মাত্র ১৯৭৮ এ তারা ২য় রাউন্ড থেকে বিদায় নেয়।
এছাড়া বাকি আর ১৩টি বিশ্বকাপের সাফল্য দেখুন:
৩ বার চ্যাম্পিয়ন।
৪ বার রানার্স আপ।
২ বার তৃতীয় স্থান।
১ বার চতুর্থ স্থান।
৩ বার কোয়ার্টার ফাইনাল।
চলুন আরো কিছু তথ্য জানা যাক।
১৯৭৪ সালে ২য় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে তারা হারিয়েছিল তৎকালীন ত্রাস নেদারল্যান্ডকে। (১ গোলে পিছিয়ে থেকে ম্যাচ জিতে)
১৯৯০ সালে ৩য় বারের মত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ফাইনালে হারিয়ে দেয় ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনাকে।
জার্মানি আর ইতালির মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়া ১৯৭০ এর সেমিফাইনাল কে কী বলা হয় জানেন আশা করি?
উত্তর: "Game of the Century"
এবার আশা যাক আসল উত্তরে।
কেন যান্ত্রিক ফুটবলের কথা বলে রীতিমত অপমান করা হয়?
কারণ, জার্মানির ১১ জন খেলোয়াড় আসলে এক একটা যন্ত্র।
ক্লান্তি, পরিবেশ, মানসিক চাপ, প্রতিপক্ষের সুনাম-ঐতিহ্য কোন কিছুই এই ১১ জন কে স্পর্শ করেনা।
কোন ১১ জন??
জার্মানির যে কোন সময়ের ১১ জন ফুটবলার!!
যন্ত্রের মত তারা শুধু একটা কাজ করে যায়, আক্রমণ! আক্রমণ!! আক্রমণ!!!
পিছিয়ে পড়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জার্মানি জয় ছিনিয়ে এনেছে। তাও আবার কোন লুতুপুতু দলের বিরুদ্ধে নয়। একেবারে সেই সময়কার সেরা দলের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে।
শারীরিক ক্ষমতাকে এরা ভালো ভাবে ব্যবহার করে। ব্রাজিলে যেমন স্থানীয়রা শরীর বাঁচিয়ে খেলার কৌশল বের করে, জার্মানি যেন ঠিক তার উল্টো! [ পারলে যেন মারামারি শুরু করে।]
একটা উদাহরণ দেই।
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল-স্পেন যখন আক্রমণে যায় তখন প্রতিপক্ষ দ্বিধান্বিত থাকে এই ভেবে যে, ঠিক কোন দিক থেকে আক্রমনটা শেষ পরিণতি লাভ করবে।
যে দলের পায়ে বল নেই তারা তো আর বসে বসে ললিপপ খাবে না। ম্যান মার্কিং করা, সাপোর্টিং রান নষ্ট করা, ফেইক রান এ পা না দেয়া, জকিং করা এ রকম আরো অনেক ট্যাকনিকাল বিষয় ভাবতে হয় দ্বিধান্বিত অবস্থায়।
প্রতিপক্ষ যখন জার্মানি তখন কি হয়?
দ্বিধান্বিত হওয়ার দরকার নেই। আক্রমণের শেষ পরিণতি কোথায় হচ্ছে সে জায়গাটা জার্মানি পারলে আঙুল তুলে দেখিয়ে দেয়। সাথে এটাও বলে দেয়, "পারলে ঠেকাও"!!!
যুদ্ধক্ষেত্রের ট্যাংক এর মত গুড়িয়ে দিয়ে ঢুকে যায় প্রতিপক্ষের ডিফেন্সে। আবার নিজেদের পজেশনে বল রাখাটাও পারে ভালো মতই।
আপনি এ খেলায় কোন সৌন্দর্য্যের আশা করলে ভুল করবেন। কারণ আপনি ব্যতিক্রমী কিছু খুঁজে পাবেন না। যন্ত্রের মত একই কাজ করে যাবে এই দল।
গতি, শারীরিক ক্ষমতা, সব সময় দৃঢ় মনোবল, সোজা-সাপটা নিয়ম-কানুন, আক্রমণাত্বক খেলা, আর শক্তিশালী রক্ষণ এই সব কিছুর সম্মেলন হচ্ছে জার্মান ফুটবল। যাদের কাছে জয়টাই সবচেয়ে বড়।
যে কোন বড় দলের জন্য তারা সব সময়ই হুমকি। আর অতীতেও এ করে তারা দেখিয়েছে বেশ ভালো ভাবেই।
তবে এবারের বিশ্বকাপে জার্মানদের অবস্থা কেমন যেন নাজুক মনে হচ্ছে। বিশেষ করে বালাক না থাকাটা অন্যান্যদের মনে কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলতে পারে।
যত যাই কিছু হোক, তারা জার্মান!! ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠেও যারা
সমান তালে লড়াই করতে পারে।
সুন্দর খেলা তো অনেকেই খেলে।
একটা দেশ অন্তত থাকুক যাদের খেলা দেখে আমরা শিল্পমানের তুলনামূলক বিচার করতে পারবো।
নানা দেশের ফুটবল কৌশল : ব্রাজিল
নানা দেশের ফুটবল কৌশল : আর্জেন্টিনা
নানা দেশের ফুটবল কৌশল : ইতালি
পরের পর্বে থাকবে ইংল্যান্ড। (শেষ পর্ব)
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৫
ই য়া দ বলেছেন: ইংল্যান্ড
২| ০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৯
রাজসোহান বলেছেন: ইংল্যান্ড এর অপেক্ষায় ৬৬ এর বিশ্বকাপ নিয়ে কিছু বৈলেন
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:০১
ই য়া দ বলেছেন: আচ্ছা। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৯
মাহবুব রশিদ বলেছেন: প্রথমতঃ জানিয়ে রাখি আমি জার্মান সমর্থক, অতঃপর আমার কথায় পক্ষপাত দোষ থাকবে সে বিষয়ে আমি সচেতন। ধন্যবাদ, ব্লগার কে , তিনি অনেক নমনীয় ভংগীতে ['অনেকটা জার্মানির ফুটবলে অনেক দোষ, তা থাক না কী হয়েছে'- স্টাইলে] জার্মানির ফুটবলরীতি ব্যাক্ষা করেছেন। তবে কি না-না দেশ ফুটবল খেলে তো জেতার জন্যেই, নাকি? শিল্প চর্চার যায়গাতো ফুটবল না, যে ২১ পাসে গোল দিতে হবে, ড্রিব্লিঙ্গের কারিশ্মা দেখাতে হবে, তারপর সারা ম্যাচ ভাল খেলে হারতে হবে-অর্থাৎ ট্র্যাজিক নাটকের মঞ্চায়ন করতে হবে। ফুটবল মাঠ অপেরা -থিয়েটার না, এখানে জিততে হয়। তাই এক্ষেত্রে শিল্পের প্রসংগ নিতান্তই অপ্রাসংগীক বোধ করি। অন্যের শিল্প-শিল্প ক্যাতরামি(ফুটবল নয়!)র তুল্যমূল্য বিচারএর জন্য জার্মানির ফুটবল প্রয়োজন এ বক্তব্যের সবিনয় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ব্লগার প্রদত্ত ও আরো অনেক রেকর্ড দয়েশলন্দের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করে থদের ফুটবলের শৌর্য ঘোষণা করে।এবার ওরা যোহান্সবুর্গ যাচ্ছে।ডেস লেবে দয়েশলন্দ!!
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:১০
ই য়া দ বলেছেন:
জার্মান দল যেমন সোজা-সাপ্টা, এর সমর্থকরাও তেমন।
আমার আগের লেখা গুলো খেয়াল করে দেখবেন আমি কিন্তু সব সময়ই নিরপেক্ষ দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে লেখার চেষ্টা করেছি।
কারণ, একটা একটা দলের আলাদা আলাদা কৌশল তো আর একদিনে তৈরী হয়নি। অনেক গ্রেট খেলোয়াড়, কোচ, দর্শন এর সাথে জড়িত।
তাই যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে লেখার চেষ্টা করেছি।
আর এক একজনের পছন্দ-অপছন্দতো থাকবেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৯
দ্যা ডক্টর বলেছেন: ভালো লাগল, জার্মানির খেলোয়াড়েরা খুব পরিশ্রমী। সোয়েনস্টেইগার বা লাম, ফ্রেডরিখ বা পোডলস্কি.... যার যার পজিসনে যথেষ্ঠ পরিশ্রমী।
৫| ০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:০৭
দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: আমি জার্মানীর সমর্থক। বালাক না থাকায় মনটাই ভেঙ্গে গেছে তবু জানি জার্মান দলের কারো মন ভাঙ্গে নাই, কারণ তারা নাম দিয়ে খেলে না, গায়ে খেটে খেলে।
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:২৬
ই য়া দ বলেছেন: "তারা নাম দিয়ে খেলে না, গায়ে খেটে খেলে"
একদম সত্যি কথা!
৬| ০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:১১
এন.আই.পি বলেছেন: THEY NEVER DIE.
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:২৪
ই য়া দ বলেছেন: অসাধারণ কমেন্ট!
অসাধারণ কমেন্ট!!
অসাধারণ কমেন্ট!!!
৭| ০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:১৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: ২০০৬ বিশ্বকাপের আগে আমার কাছে জার্মানি ছিল অসভ্য ফুটবলের অন্য নাম, কিন্তু গতবার ক্লিন্সমানের জার্মানির খেলা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারিনি। লো মোটামুটি ক্লিন্সমানের দর্শনই অনুসরণ করে, গতবারের খেলোয়াররাও অনেকে আছে, কিন্তু বালাকের অভাব জার্মানির পরিকল্পনায় বদল আনতে বাধ্য।
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:২৭
ই য়া দ বলেছেন: বালাকের অভাব আসলেই ভোগাবে।
তারপরও দলটা যেহেতু জার্মানি, সমীহ করতেই হয়।
৮| ০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১:৪৩
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: বিশ্লেষন পছন্দ হয়েছে।
ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা জুন, ২০১০ রাত ৩:২৬
শাওন ইমতিয়াজ বলেছেন: সব পড়লাম একসাথে, ইতালী ছাড়া।
১১| ০২ রা জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: ভাল লাগছে লেখা গুলো ইয়াদ..........
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ৮:৩৭
ই য়া দ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু
১২| ০২ রা জুন, ২০১০ দুপুর ১:৫৯
শয়তান বলেছেন: ডেস লেবে দয়েশলন্দ!!
১৩| ০২ রা জুন, ২০১০ বিকাল ৩:০১
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন:
১৪| ০২ রা জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪২
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার লেখা। অসাধারণ একটা সিরিজ হচ্ছে!
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ৮:৩১
ই য়া দ বলেছেন: আপনার দেয়া উৎসাহ আমার জন্য সব সময়ই বিশেষ কিছু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, প্রতিটা পর্ব পড়ার জন্য।
১৫| ০৩ রা জুন, ২০১০ ভোর ৬:২৫
নাজমুল হক রাসেল বলেছেন: সব ঠিক আছে। কিন্তু ২০০৬ এর জার্মানী পুরা আলাদা। আমি জীবনে জার্মান্দের সাপোর্ট করতাম না। কিন্তু ২০০৬ সালে তারা রীতিমত ফাটায়ে ফেলছে বলা চলে, এবং আমি মুগ্ধ। এ ব্যপারে আপনার কোন ব্যাখ্যা আছে নাকি?
০৩ রা জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৮
ই য়া দ বলেছেন: সেমিফাইনালের একেবারে শেষ মূহুর্তে জার্মানির হেরে যাওয়াটা দু:খজনক।
পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে আসলেই তারা চমৎকার খেলেছে।
আমার এখানে আসলে কিছু বলার নেই।
আমি চেষ্টা করেছি তাদের খেলার কৌশল সহজ ভাষায় তুলে ধরতে। তার মধ্যে দু-একটি মূল্যায়ন চলে এসেছে প্রাসঙ্গিকভাবে। কিন্তু নির্দিষ্ট করে মূল্যায়ন করাটা আমার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
১৬| ০৯ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:১৪
জনৈক আরাফাত বলেছেন: তারপরও তারা জার্মান!
১৭| ২৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৫৫
রিফাত হোসেন বলেছেন: ++++
১৮| ১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১২:১৩
নিশম বলেছেন: "যান্ত্রিকতার কাছে বরাবরের মতোই শৈল্পিকতার হার "
আর্জেন্টিনা আর জার্মানীর খেলা গুলো তাই ইঙ্গীত করে। জার্মানীর সাথে আছি সর্বদা, ইনশাল্লাহ! তবে, হিরো যদি বলিতে হয় , সে হলো - " ইয়োভাকিম লোউভ" , লেজেন্ড !!!! এমন ভাবে অসুস্থ ১টা টিমকে কিভাবে রনক্ষেত্রে যুদ্ধ করতে হয়, তা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে ছেড়েছেন !
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১০ রাত ১২:৪৫
রুদ্রমরু বলেছেন: এরপর কোনটা?