নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন সাধারণ মুসলমানের ব্লগে স্বাগতম

হ্যা আমি সেই সত্যবাদীকে সত্যবাদী মনে করি

সাধারণ মুসলমান

একজন সাধারণ মুসলমান। সাধারণ মানুষ কি বলতে কি বলি তাই জ্ঞানী লোকদের উপকারী কথা শেয়ার করে আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই।

সাধারণ মুসলমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগ মত ও শাহবাগ পথ

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৩

শাহবাগের মতের সাথে আমি একমত। অনেক নাস্তিক সেখানে আছে বলে লোকেরা। নাস্তিকতা অযৌক্তিক। কিন্তু তাই বলে তাদের যৌক্তিক দাবি তো আর অযৌক্তিক হয় না। রাজাকাররা জুলুম করেছিল। তাদের পক্ষে তো আল্লাহও নাই। মজলুম বা অত্যাচারিত যদি নাস্তিকও হয় তার প্রার্থনা আল্লাহ ফেলতে পারেন না।



শাহবাগের সবার প্রতি শুভকামনা স্বরুপ নীচের লেখাটি।

http://islam-inlife.com/bangla থেকে -



……মুসলমান না হয়ে মরো না যেন!

বিজাতীয় সংস্কৃতি অনুকরণ ও অনুসরণ একজন মুসলমানের জন্য অসম্ভব। জীবনের কোন ক্ষেত্রেই বিজাতীয় অনুসরণ নিরাপদ নয়, বরং ঈমানের জন্য হুমকি স্বরূপ। একজন ঈমানদার যতক্ষণ না মনে প্রাণে তার জাতীয়তা-কে “মুসলমান” স্বীকৃতি দিতে পারবে, ততক্ষণ সে বিজাতীয় অনুসরণ থেকে বের হতে পারবে না; আক্বীদা (মৌলিক বিশ্বাস)গত ভাবে ও আমলীভাবে (অর্থাৎ, কর্মের দিক থেকে) প্রকৃত মুসলমানও হতে পারবে না সে। এইরকম ব্যক্তির ঈমান নিয়ে মৃত্যুর কোন “নিশ্চয়তা” নেই; কোন গ্যারান্টি নেই।



মুসলমান কেমন হবে? তার চিন্তা, চেতনা, কাজ, প্রচেষ্টা, বেশ-ভূষা, আচার, আচরণ, সংস্কৃতি – সবই ইসলাম-কে ঘিরে হবে, ইসলাম-কে ভিত্তি করে হবে। আজতো বিজাতীয়দের চিন্তা, চেতনা, কাজ, প্রচেষ্টা, বেশ-ভূষা, আচার, আচরণ, সংস্কৃতির ছড়াছড়ির কারণে মুসলমানদের চেতনা তথা কাজকর্ম ঢাকা পড়ে গেছে! অনেক মুসলমান ভাই-বোনই আছেন, তারা ইসলামী চেতনা ও কাজকর্মকে পোশাক-পরিচ্ছেদ, পারিবারিক জীবন, কর্মস্থল, সংস্কৃতির মধ্যে নিয়ে আসতে চান না। তারা নামায, রোজা – এগুলো করতে রাজি আছে, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবনের সকল কর্মকান্ডে ইসলামী ধারা চালু হওয়াকে মেনে নিতে পারছে না। অথচ, একজন মুসলমানের কাছে এটাই ইসলামের দাবী – সব ক্ষেত্রেই তুমি মুসলমান, সবকিছুই তোমার ইসলামী। নামায আল্লাহ্ তায়ালার হুকুম মতন হবে, আর খাওয়া-পড়া, আয় রোজগার, বিবাহ-শাদী ইত্যাদি সব হবে বিজাতীয় তথা অমুসলমানদের মতন – এটা ইসলামের শিক্ষার সম্পূর্ণ বিপরীত। যে কিনা নামায পড়া, রোজা রাখা, হজ্জ্ব-উমরা পালন এবং তাসবীহ-তাহলীল-কে ইসলামী কাজ ও ইবাদত বলে বিশ্বাস করে, অন্যদিকে হালাল-হারাম-কে তোয়াক্কা করে না, সত্য-মিথ্যার মাঝে প্রভেদের সময় কুরআন-সুন্নাহ্-কে মানদন্ড মেনে নেয় না, অমুসলমানদের কৃষ্টি-কালচার-কে মনে-প্রাণে ভালবাসে বা বৈধ মনে করে পালন করে থাকে, তার ইসলাম নিয়ে, তার ঈমান নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে। পূর্ণ ইসলামের মধ্যে তো সে নয়-ই; ঈমানও তার কতটুকু বাকি আছে, সে বিষয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।



যে কোন মুসলমান, যে দেশেরই হোক, যে বর্ণেরই হোক, যে ভাষারই হোক – “মুসলমান”-ই তার জাতীয়তা। আর মুসলমান হতে হলে জীবনের প্রতিটি ধারায় আল্লাহ্ তায়ালার হুকুম গুলি রাসূল ﷺ-এর অনুকরণ ও অনুসরণের ভিত্তিতে পালন করতে হবে; বাহ্যিক আচার-আচরণ, পোষাক পরিচ্ছেদ, চাল-চলন, সংস্কৃতি-কালচার — এগুলো সবই কিন্তু এরই মধ্যে, অর্থাৎ, ইসলামের বাইরে একজন মুসলমানের জীবনে কোন কিছুই নয়, কোন কিছু হতেও পারে না! কমপক্ষে এই বিশ্বাস-কে লালন করাতো শেষ রক্ষার (ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে যাওয়ার) জন্য অপরিহার্য। আর, পালন করা, অর্থাৎ আমল করাই একজন মুসলমানের “ইসলাম”-এর মধ্যে বেঁচে থাকা ও মৃত্যু বরণের জীবন সাধনা ও উদ্দেশ্য – এটাই ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে যাওয়ার ও ইসলাম-এর উপর মৃত্যুর গ্যারান্টি।



যদি পূর্ণভাবে ইসলামী তথা দ্বীনি কাজ একজন ঈমানদার তার জীবনে পালন করতে নাও পারে, তবু বিশ্বাসগত দিকটিকে সে অবহেলা করবে না, এবং আমলী বা কর্মগত ভাবে সে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। আন্তরিকভাবে এই চেষ্টাই চালিয়ে যাবে যেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সে আল্লাহ্ তায়ালার হুকুমে চলতে পারে, প্রতিটি কাজেই যেন নবীজি ﷺ-কেই অভিভাবক মানতে পারে। সেটা যদি বিচারকার্য হয় তবুও, পারিবারিক কোন বিষয় হয় – সেখানেও, ব্যক্তিগত কাজেও, সংস্কৃতিক, দেশীয়, আন্তর্জাতিক – যত বিষয়ই আসুক, মুসলমানতো – মুসলমানই, তার প্রতিটি চিন্তা ও কাজে থাকবে মুসলমানিত্ব! এ কথাকে সামনে রেখে সংশোধন-এর পথ ধরতে হবে, মুসলমান হয়ে মৃত্যু বরণ করতে হলে! দেখুন আল্লাহ্ তায়ালার আহবান, ঈমানদারদের প্রতি:



يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ حَقَّ تُقَاتِهِ وَلا تَمُوتُنَّ إِلا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ (١٠٢)



অর্থ: হে ঈমানদারেরা! আল্লাহ্ তায়ালা-কে ভয় কর-যেভাবে ভয় করা উচিত, আর মুসলমান না হয়ে – মরো না যেন! (সূরা আল ইমরান: ১০২)



আর হ্যাঁ, যদি বেপরোয়া হয়ে যাই, তাহলে তো আল্লাহ্ তায়ালা আর আমার মুখাপেক্ষী নন! কারুরই পরোয়া নেই তাঁর! তার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে আমরাই হতভাগ্য হয়ে পড়ব! দুনিয়াতে তো কিছুদিন, তারপর তারই কাছে আমাদের ধরা দিতে হবে আমাদের!



মুসলমানের ঘরে জন্মে যদি Valentine’s Day করতে হয়, আর এরই মধ্যে দুনিয়ার স্বাদ-মজা আমরা আস্বাদন করতে চাই, তাহলে সিদ্ধান্ত আমাদেরই – (আখিরাতের) চিরকালের চির আনন্দের জীবনকে জলাঞ্জলি দিয়ে কি আমরা দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবনর ক্ষণকালীন আনন্দকেই বেছে নিব?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৬

আবু জাফর সাদিক বলেছেন: শাহবাগের মূল উদ্দেশ্যর সাথে আমি একমত। কিন্তু তারা ইসলামবিরোধী নাস্তিকদেরকে সামনে রেখে আন্দোলন করলে আমার আপত্তি আছে।
"রাজাকার বনাম অন্য সবাই" যুদ্ধের উদ্দেশ্য মনেহয় অন্য দিকে চলে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.