![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলা থেকে ভ্রমের মধ্যে বড় হওয়া, প্রশ্ন করায় শাস্তি পাওয়া। মেয়ে হয়ে তো ষোলকলাই পূর্ণ করলাম। জ্ঞান আমাকে মুক্তি দিয়েছে। এখন নিজের আর অন্যের ভ্রম হত্যার সংগ্রাম করি যাব।
ভিগানদের সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারনা আছে। ভিগান যারা তাদের পিছনে অনেক সময় ধর্ম, অনেক সময় স্বাস্থ্য, অনেক সময় নৈতিকতা, আবার অনেক সময় পরিবেশ সচেতনতা কাজ করে। এটা বলাবাহুল্য যে ভিগানরা তাদের খাদ্যঅভ্যাসের মাধ্যমেই নিজের ও পরিবেশের অনেক উপকার করছে।
আমি এখানে ধর্মনিরপেক্ষ ভিগানদের নিয়েই কথা বলবো কারন ধর্মীয় ভিগানদের খাদ্যঅভ্যাসের পিছনে কিছু স্পিরিচুয়াল ব্যাপার আছে (যেমন আত্মার পরিশুদ্ধি) এই ব্যাপারগুলো সার্বজনীনভাবে গ্রহনযোগ্য নয়। বৈজ্ঞানিক , নৈতিক ও পরিবেশগত ব্যাপারই এখানে আলোচনা করা হবে যা পাঠক সহজের গ্রহন করতে পারবে। আমি খেয়াল করলাম প্রশ্নউত্তরের মাধ্যমে লিখলে কোন বিষয়কে সহজে ব্যাখা করা যায়। এই নতুন সিরিজে আমি তাই করার চেষ্টা করবো।
১. ভিগান কারা?
ভিগানরা শুধুমাত্র উদ্ভিদজাত খাবারের খেয়ে থাকে (অর্থাৎ ফলমুল, সবজি, শস্যজাত খাবার ইত্যাদি )। ভিগানদের অনেকগুলো ধরন আছে। আমি এখানে শুধুমাত্র র-ভিগান (১০০% উদ্ভিজ খাবার খায়) তাদের কথাই বলবো।
২. কেন তারা ভিগান?
এর অনেক কারন কাছে। অনেকে ধর্মীয় কারনে। ধর্মনিরপেক্ষ ভিগানদেররা স্বাস্থ্যসচেতনতা, পরিবেশ সচেতনতা, নৈতিক কারনে ভিগান।
ভিগানরা প্রাণীদের ব্যবহারের ব্যাপারে খুবই আপেক্ষিক। মানে সবচেয়ে কম প্রানের ব্যবহার করে সবচেয়ে বেশি মানবিকতার মাধ্যমে জীবন নির্বাহ করাই তাদের উদ্দেশ্য।
৩. যেখানে প্রোটিনের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে মাছ-মাংস-ডিম সেখানে ভিগানরা প্রোটিনের চাহিদা পুরন করে কিভাবে ?
এটা খুবই কমন একটা ভুল ধারনা। মাংস-মাছ-ডিমে অবশ্যই অনেক প্রোটিন আছে। তার মানে এই না যে অন্য কোথাও পর্যাপ্ত প্রোটিন নেই। বোরো চাল, চিনাবাদাম, ডাল, পানিফল, গমের রুটি, পাস্তা, ফুলকপি, বাধাকপি, পালং শাঁখে প্রচুর প্রোটিন আছে। অনেকে মনে করে ভিগানদেররা প্রোটিনের অভাবে ভুগে। তবে রাইসে যে পরিমান প্রোটিন আছে তা আমাদের দৈনন্দিনের চাহিদা পুরন করার জন্য যথেষ্ট। আর এইসব সুলভ খাবার তুলনামূলক খুব কম খরচে পাওয়া যায়।
৪. কি নৈতিক কারনে ভিগানরা প্রাণীজ খাবার (মাছ মাংস ডিম) খায় না ?
বেশ কিছু নৈতিক কারন আছে যার কারনে তারা প্রাণীজ খাবার জাতীয় খাবার খায় না।
ক। প্রাণীকে ব্যাথা দিয়ে হত্যা করা হয় আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য যেখানে সেটা থেকে দূরে থেকেও আমাদের খাবারের চাহিদা পুরন করা সম্ভব।
খ। প্রানিদের সারাজীবন কষ্ট দিয়ে শুধু আমাদের কয়েক বেলার খাবারের ব্যবস্থা করা খুবই পাশবিক , অমিতব্যয়ি একটা সিদ্ধান্ত।
গ। আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রানিদের ফার্মে পালন করে যে পরিমান জমি প্রয়োজন (খাবারের জমি, ফার্ম ইত্যাদি ), শস্য প্রয়োজন (প্রানির সারাজিবনের খাবার, আমিষের ডিশে সাপ্লিমেন্টারি মশলা, সবজি ইত্যাদি) তার থেকে কমপক্ষে ৮গুন কোন জমি খরচ করেই সেই পরিমান খাদ্যচাহিদা পুরন করা সম্ভব।
খ। দুধ, ডিম সেটা প্রানির প্রয়োজনের। গরুর ক্ষেত্রে যদি বলি, তাদের দুধগ্রন্থি সক্রিয় থাকে তাদের বাচ্চাদের খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য। সেটাকে মানুষ মেনুপুলেট করে সময় দীর্ঘায়ত করে দুধের ব্যবসা করার জন্য। যেটা কিনা গরুর জন্য খুবই কষ্টকর। একটা স্বাভাবিক গরু প্রায় ২০ বছরের আয়ু থাকে, ডেইরি ফার্মে দুধের জন্য ব্যবহৃত গরুর আয়ু থাকে গড়ে প্রায় ৫ বছর। সেটা খুবই দুঃখজনক।
গ। পৃথিবীর প্রায় ৭০% মানুষ লেকটস ইনটলারেন্স মানে মায়ের দুধ ছাড়া অন্য কোন প্রকার দুধ হজম করতে সমস্যা হয়। যেই খাদ্য আমাদের অধিকাংশ হজম করতে পারি না তার জন্য অন্য প্রাণীকে জীবনভর কষ্ট দেয়া মতেই নৈতিক মনে করে না ভিগানরা।
৫. উদ্ভিদেরও প্রান আছে। তাদের লতাপাতা ফল খাওয়া কি অনৈতিক হবে না?
অনেকে প্রানির হাত, পা মাথার সাথে উদ্ভিদের অংশের তুলনা দেয় সেটা মতেই যুক্তিযুক্ত নয়।
জীববিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উপসংহারে এসেছে যে উদ্ভিদের ব্যাথা অনুভুতি নেই। এমনকি কিছু জলজ প্রাণী, পোকামাকড়েরও ব্যাথা অনুভব করার ক্ষমতা নেই কারন তাদের ব্রেইনের কোন কর্টেক্স নেই যেটা ব্যাথাকে অনুভব করবে। এমনকি উদ্ভিদের কিছু অংশ কেটে দিলে তাদের জন্য উপকার, তারা সহজে আরও বাড়তে পারে। যারা ব্যাথা অনুভব করে তাদের বলা হয় sentient being । এক প্রজাতির ভিগান আছে ১০০% উদ্ভিজ খাবার না হয়ে শুধুমাত্র sentient প্রাণীদের পরিহার করে। এদের বলা হয় pescatarian.
তার মানে উদ্ভিদ হত্যা করা বা তাদের কোন অংশ কাটা তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। মানে সেটা অনৈতিক হবে না।
৬. আমাদের দাতই প্রমান করে আমরা সর্বভুক। তাহলে কেন শুধু উদ্ভিজ খাবার খাব ?
আমাদের দাত মোটেই প্রমান করে না আমরা সর্বভুক। সর্বভুক প্রানির পাশের দাত অনেক ধারালো ও বড় থাকে যা কাচা মাংস কেটে ফেলতে সাহায্য করে। তবে আমাদের শরীরের অনেক অংশ প্রমান করে আমাদের কয়েক মিলিয়ন বছর আগের পূর্বপুরুষরা ভিগান ছিল। তবে পরিস্থিতিগত কারনে পরবর্তীতে কিছু এপ মাংস ও উদ্ভিদ উভয়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে, আমাদের ন্যাচারাল সিলেকশনও সেটায় সায় দেয়।
ভিগানদের প্রাণীজ খাবার ত্যাগ করার কারন স্বাস্থ্য, নৈতিকতা ও পরিবেশ। তারা প্রাণীজ খাবার ত্যাগ করাই উত্তম মনে করে। এটা প্রাকৃতিক নিয়মকে বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে না। বরং পরিবেশবিদরা মনে করে পৃথিবীর সবাই যদি ভিগান হয় তাহলে মাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিকাজে ব্যবহৃত জমির মধ্যেই পৃথিবীর সকল মানুষের খাদ্যচাহিদা পুরন করা যাবে আরও ৪ বিলিয়ন মানুষের খাবার বেশি থাকবে।
৭. বাজারে এত এত প্রাণীজ খাবার, অনেক প্রোডাক্টের মধ্যে প্রাণীজ জাতীয় উপাদান ব্যবহার করা হয় যা লেবেল না দেখলে বুঝাই যায় না, অনেকগুলো তো লেবেল দেখলেও বুঝা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে ভিগান হওয়া খুবই কঠিন নয় কি ?
Imperfect পৃথিবীতে perfect থাকা অনেক কঠিন। ভিগানদের মুল ফিলোসফিকে যদি এক লাইনে বলি তাহলে হবে
A way of living which seeks to exclude, as far as is possible and practicable, all forms of exploitation of, and cruelty to, animals for food, clothing or any other purpose.
৮. উদ্ভিজ খাবার খাবার খুবই "নিরামিষ" (Boring). শুধু উদ্ভিজ খাবার খেয়ে আমি থাকতে পারবো বলে মনে হয় না ?
যাদের জন্ম হয়েছে ভিগান পরিবারে তাদের এই প্রবনতা নেই। কারন তারা বড় হয়েছে সেভাবে। তাদের কাছে সবচেয়ে মুখরোচক খারাপ উদ্ভিজ খাবার ডিশই। কিন্তু তারা জীবনে প্রাণীজ খাবার খেয়ে এসেছে তাদের কাছে প্রাণীজ খাবার ভাল লাগেনি এটা হয় না। যারা জীবনের এক পর্যায়ে ভিগান হয়েছে তাদের আর সঠিক alternative জেনেছে তাদের কাছে ভিগান হওয়া মোটেই "আমিষ" (boring) মনে হয়নি।
গরুর দুধের বিকল্প হিসেবে আছে Rice Milk, Coconut Milk, Macadamia Nut Milk, Oat Milk, Flax Milk, Hemp Milk, Hazelnut Milk, Soy Milk, Almond Milk। তাছাড়া ডিম,দই এমনকি মাংসেরও বিকল্প আছে। আপনি যে খাবারই খেতে চান না কেন সেটার কম হলেও ১০টা উদ্ভিজ বিকল্প আছে।
৯. প্রাণীজ খাবার খাবারের স্বাস্থ্যঝুকি কি আছে ? সব প্রাণীজ খাবার কে কেন একই সারিতে ফেলা হচ্ছে? অনেক উপকারি প্রাণীজ খাবার খাবার কি নেই ?
প্রাণীজ খাবার প্রতিটিতেই কম বেশি স্বাস্থ্যঝুকি আছে। আর আমি এখানে খাবারে ভেজালের কথা বলছি না, বলছি সেটা প্রাকৃতিকভাবে প্রানির শরীরে থাকে। লাল মাংস প্রচুর ক্ষতিকর। হৃদরোগ, রক্তচাপ এমনকি ক্যান্সারের জন্য লাল মাংস দায়ি। প্রক্রিয়াজাত মাংস কিছু কেমিক্যাল তৈরি করে যেটা আমাদের পরিপাকতন্ত্র সঠিকভাবে করতে পারে না, যা পরে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। মাছে বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে পারদ থাকে। অধিকাংশ মানুষ দুধ হজম করতে পারে না। ডিমের মধ্যে ক্ষতিকারক উপাদান আছে। অথচ এই সব খাবারের উদ্ভিজ বিকল্পে খুবই কম বা শূন্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে।
১০. ভিগানরা কোন দুর্গম মরুভূমি বা দ্বীপে আটকা পড়লে কি করবে ?
এ ধরনের ঘটনা খুবই আনকমন। কিন্তু এই প্রশ্নটা খুবই কমন। কোন দ্বিপে আটকা পড়লে উদ্ভিজ খাবার পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সঠিক পাতা, ফল চিনে নিতে হবে। আর মরুভূমিতেও সঠিক পথে হাঁটলে অনেক আগাছা পাওয়া যাবে সেটা বেচে থাকতে সাহায্য করবে। গুগল Desert Survival Tips বা Island Survial Tips লিখে সার্চ করলে অনেক ভাল ভাল আর্টিকেল পাবেন। খেয়াল করলে দেখবেন প্রাণীজ খাবারর থেকে উদ্ভিজ খাবারই বেচে থাকার লড়াইয়ে বেশি কমন।
আর এমন এক্সত্রিম সময় বেচে থাকাটাই যখন মুখ্য তখন কোন উপায় না থাকলে প্রাণীজ খাবারের শরণাপন্ন হওয়া ভুল কিছু হবে না। তবে এমন ঘটনার সাথে দৈনন্দিনের তুলনা করা মতেই যৌক্তিক নয়।
১১. গবাদি পশু দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, তাদের খাবার হিসেবে খেয়ে আমরা পশুসংখা নিয়ন্ত্রনে রাখছি বলে আমার মনে হয়।
গবাদি পশুর অতিরিক্ত বংশবৃদ্ধির পিছনে আসলে ফারমিং দায়ি। ফার্মে প্রাণীদের প্রজননক্ষমতা হওয়ার সাথে সাথে তাদের থেকে বংশবৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করে দেয়। স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধি মোটেই এত বেশি না, ক্রিত্তিমভাবে করায় সেই প্রবৃদ্ধি কয়েক গুন ছাড়িয়ে যায়।
১২. যদি প্রাণী হত্যা করা ভুল হয়ে থাকে তাহলে পৃথিবীর অন্যপ্রাণীরা যে অন্য প্রাণীদের হত্যা করছে, এটাও তো ভুল। ভিগানরা কি ভবিষ্যতে এটাও বাধাগ্রস্থ করবে ? তারা কি আমাদের পুরো খাদ্যচক্র নস্ট করে দিতে চায় ?
পৃথিবীর সব মানুষ ভিগান হয়ে গেলেও খাদ্যচক্রে কোন বাধা আসবে না। মানুষের জন্য ভাল হবে যে খাদ্যবণ্টন ঠিক হলে পৃথিবীর কোন মানুষ আর অনাহারে মরবে না । প্রত্যেকের চাহিদার থেকে দিগুন উৎপাদন সম্ভব। জেসব প্রাণী আমরা খাই সেই প্রাণীদের সারাজীবন কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকা যাবে সাথে সাথে স্বাস্থ্য রক্ষাও হবে।
অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে মাংসাশী , তৃণভোজী প্রাণীদের ক্ষেত্রে খাদ্যঅভ্যাস পরিবর্তন করা সম্ভব না কারন তাদের পরিপাকতন্ত্র সেটা নিতে পারবে না। কিন্তু মানুষ পারবে। আমাদের এই শারীরিক ক্ষমতা আছে আর আমরা নিজেদের পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত প্রাণী বলার দাবিদার। তাহলে কেন আমরা এই সিদ্ধান্ত নিব না যা সবার জন্যই ভাল হয়।
১৩. আমি খুব খেলাধুলা করি, আর জিমও প্রতিনিয়ত করি। আমার প্রচুর প্রোটিন দরকার হয়। আমি মনে করি না এথলেটরা ভিগান হতে পারে। আপনার কোন জবাব আছে ?
আপনি ভিগান হলেও খুব সহজে আপনার স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে পারবেন এমনকি আপনি এথলেটিক ক্যারিয়ার বেছে নিলেও কোন সমস্যা হবে না। অনেক টেনিস প্লেয়াল ভেনাস উইলিয়াম সেলেনা উইলিয়াম, অনেক অলেম্পিক স্বর্ণজয়ী, ম্যারাথন প্রতিযোগী, বেলে ডান্সার, সাইকেলিস্ট, বাস্কেটবল প্লেয়ার, দৌড়বিদ, অনেক হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন, অনেক চ্যাম্পিয়ন রেস্লার-বক্সাররা এমনকি ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ার পেস বলার পিটার সিডেল ভিগান খাদ্যঅভ্যাস মেনে চলে। ভিগানদের এথলেটিক ক্যারিয়ারে তাদের খাদ্যঅভ্যাস কোন সমস্যাই করে না।
১৪. উদ্ভিজ খাবারের মধ্যেও অনেক খাবার আছে যেটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। স্বাস্থ্যের অজুহাত দেখিয়ে ভিগান হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত ?
যারা প্রাণীজ খাবার খায় তারা অবশ্যই গরুর মলদ্বার খাওয়ার চেষ্টা করে না। উদ্ভিজ খাবারর ক্ষেত্রেও তাই। আমরা ভাল জিনিসগুলো গ্রহন করবো খারাপ জিনিসগুলো পরিহার। তামাকও শস্য, ধানও শস্য, একটা জীবন ঘাতক, একটা জীবন রক্ষক।
১৫. ভিগানরা মনে করে পশু খেলে নাকি পশুর মত আচরণ করে মানুষ। এর পিছনে কোন বৈজ্ঞানিক ভিক্তি নেই। আপনারা কিভাবে এটাকে সমর্থন করেন ?
ভিগানদের এক অংশ ধর্মীয় কারনে ভিগান। তারা সকল ভিগানদের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাদের ধারনার মুল প্রেরণা ধর্ম। ধর্মনিরপেক্ষভাবে যারা ভিগান তারা এই কথার সমর্থন দেয় না। সচেতনতা তাদের ভিগান হওয়ার মুল প্রেরণা, আত্মিকটতা নয়।
১৬. কৃষিজাতে প্রানির ব্যবহারকে ভিগানরা কিভাবে দেখে ? সেটা কি প্রাণীদের কষ্ট দেয়া নয় ?
এটা ঠিক যে কৃষিকাজের জন্য প্রাণীদের ব্যবহার করা হয়। যেহারে প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহন করার জন্য মারা জাচ্ছে (১০ বিলিয়নের বেশি গবাদি প্রাণী প্রতিবছর) সেই তুলনায় এটা কিছুই না। আর চাষাবাদের ফলে যে হারে প্রাণী মারা যা তা নিতান্তই নগণ্য। প্রাণীদের চাষাবাদে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা সচেতন হলে তাদের এই ব্যাপারেও কষ্ট পাবে। মানুষের প্রয়োজনে প্রানির ব্যবহার করা এক জিনিস আর জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কষ্ট নিয়ে মারা অন্য। যুগ পাল্টানোর সাথে সাথে নতুন প্রজুক্তি আমাদের কাছে এসেছে, পৃথিবীতে ভিগানদের সংখ্যা আরও বাড়লে
এই ব্যাপারে মানুষ আরও সচেতন হবে এক সময় কৃষিকাজে প্রাণী আর দরকার হবে না।
১৭. আমাদের কি গরুর দুধ দরকার হয় না শক্ত হাড়ের জন্য ?
ডেইরি ইন্ডাস্ট্রির প্রমোশনের কারনে ভোক্তাদের মাঝে অনেক সময় ভুল পারসেপ্সন কাজ করে এটা তার একটা উদাহরন এটা। যে পরিমান ভিটামিন ডি আমাদের দরকার তা খুব সহজেই উদ্ভিজ খাবার খাবারের মধ্যে পাওয়া যায়।
১৮. বাচ্চারাউদ্ভিজ খাবার খাবার খেতে পছন্দ করে না। তাদের পুষ্টি চাহিদা পুরন করার জন্য আমার কাছে প্রাণীজ খাবারই মক্ষম মনে হয় ?
যে পরিবারে প্রাণীজ খাবার খাবার থাকে সেখানে মুলত এই সমস্যা হয়। বিকল্প যে খাবারের কথা ৮ নাম্বারে বলা হয়েছে এমন কিছু বিকল্প খারাপ অবশ্যই তাদের ভাল লাগবে। স্টাডি বলে বিকপ খারাপ আরও বেশি সারা ফেলেছে তাদের মাঝে। মানে তাদের পছন্দের খারাপ ও পুষ্টি চাহিদা দুটিই পুরন করা সম্ভব উদ্ভিজ খাবার দ্বারা।
আশা করি কমেন্টে আরও প্রশ্ন পাব। কমেন্টে করা প্রশ্নগুলো সাথে আমার নির্বাচিত আরও ১৫টি প্রশ্ন যুক্ত করে পরবর্তী পর্ব লিখবো। আশা করি সবার সহযোগিতার মাধ্যমে সবার ভ্রমঘাত হবে। সবাইকে ধন্যবাদ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য। আমার আগের সিরিজে আপনার প্রশ্নগুলো খুব ভাল লেগেছিল। আপনার মাঝে প্রজ্ঞা আছে। কি জন্য আপনার মনে হয় নিরামিষভোজী হওয়া আপনার জন্য সমস্যা। প্রশ্ন করতে পারেন আপনার মত ব্লগারদের প্রশ্ন উত্তর দিতে আসলেই অনেক পড়াশুনা করা লাগে।
২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: অনবদ্য পোস্টে ১ম প্লাস। আমি নিরামিষভোজী নই। তবে আপনার লেখার স্কোপটি ভাল লাগলো। অনেক প্রশ্নের সহজ ব্যখ্যা আছে আপনার লেখায়।
তবে আমি মনে করি না যে প্রকৃতির নিয়ম হচ্ছে অন্য কাউকে ব্যাথা না দেয়া। বাস্তুসংস্থান ব্যাপারটা আমার কাছে স্বাভাবিক এবং এটাই হওয়া উচিত।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৪
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য। এটা ঠিক যে প্রাকৃতিকভাবে আমরা দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর প্রাণী। তবে যেটা ব্লগে বললাম নিরামিষ হওয়া আসলে আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আপনি যদি নিজের, পরিবেশের, জীবজগতের, নৈতিকতার উন্নয়ন চান তাহলে নিরামিষভোজী হওয়া সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। আপনি বাস্তসংস্তানের ভারসাম্য নষ্ট করছেন না। বরং বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে নিজেকে সংযত করে আপনি পৃথিবীর বাস্তসংস্তানকে টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করছেন।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩২
জিএমফাহিম বলেছেন: সর্বনাশ। অভারএস্টিমেট হয়ে গেল ব্যাপারটা। আসলে আগের ব্লগ নিয়ে থিউরেটিকাল করা অনেক বলার ছিল। এখন সেখানে ব্যবহারিক আলোচনা অনেক বেশি। মানে জীবনে চলার পথে নিরামিষ হলে যে সমস্যা হতে পারে সেটা। এইবার প্রশ্নগুলো খুবই ফালতু হবে, আশা করি।
১. আমরা বন্ধুবান্ধব অনেক সময় একসাথে মিলিত হলে বারবিকিউ পার্টি দেই। এখন হঠাৎ নিরামিষভোজী হয়ে গেলে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যাব। তাছাড়া মুসলিম বিয়েতে মাংস, বিরয়ানী থাকবেই। ডেজারট হিসেবেও দই বা বোরহানি দেয়, মিষ্টি দেয়। নিরামিষভোজী হলে এগুলো সব মিস করবো। আপনার কাছে কি এটা নিয়ে কোন কনভিন্সিং উত্তর আছে ?
২. আমি নেটে ঘেঁটে দেখেছিলাম যারা নিরামিষভোজী তাদের বি১২ সাপ্লিমেন্ট লাগে। এই ভিটামিন শুধুমাত্র আমিষে পাওয়া যায় আর এটা না থাকলে আমাদের পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ হয় না। আপনি ব্যাপারটা কিভাবে দেখেন ?
৩. আপনি বলেছেন গাছের নাকি ব্যাথা নাই। তবে জীববিজ্ঞানীরা গাছের উপর ইলেক্ট্রো সিগ্লার দিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। তারা কাণ্ডতে একটা তার লাগিয়ে গাছের পাতার মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেখেছে গাছ কিভাবে প্রতিক্রিয়া করে। গাছ সেটার সারা দিয়েছিল। সেটা কি গাছের ব্যাথা থাকার প্রমান আমরা বলতে পারি না ?
৪. আমরা তো চাইলে প্রাণীদের সঠিক পরিবেশ দিয়ে ফার্ম করতে পারি যেখানে ওদের সারাজীবন কষ্ট না দিয়ে অনুকুল পরিবেশে বড় করা হবে। যেটাকে বলে Humane Farming। এটা কি প্রাণী হত্যা করার নৈতিক ব্যাপারটা কভার করবে না ?
৫. আপনি মাছের কথা বললেন। সব মাছের শরীরে তো আর পারদ থাকে না। সামুদ্রিক মাছের থাকে। আর মাছ Sentient Being না। তাহলে নিরামিষভোজীদের পারদহিন মাছ খেতে সমস্যা কোথায় ? (আমি খেয়াল করলাম আপনি pescatarian দের কথা উল্লেখ করেছেন। সেটাই তো বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে)
আশা করি উত্তরগুলো দিবেন। ধন্যবাদ। বাই দ্য ওয়ে, আপনার নামটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ১. আমরা বন্ধুবান্ধব অনেক সময় একসাথে মিলিত হলে বারবিকিউ পার্টি দেই। এখন হঠাৎ নিরামিষভোজী হয়ে গেলে বন্ধুদের থেকে আলাদা হয়ে যাব। তাছাড়া মুসলিম বিয়েতে মাংস, বিরয়ানী থাকবেই। ডেজারট হিসেবেও দই বা বোরহানি দেয়, মিষ্টি দেয়। নিরামিষভোজী হলে এগুলো সব মিস করবো। আপনার কাছে কি এটা নিয়ে কোন কনভিন্সিং উত্তর আছে ?
আপনি যদি নিরামিষবাদ সম্পর্কে সচেতন থাকেন তাহলে তারা অবশ্যই আপনার খাদ্যঅভ্যাসের মান রাখবে। বন্ধুরা যখন পার্টি করবেন তখন নিরামিষ মুখরোচক কোন ডিশ যোগ করাতে পারেন পার্টিতে। নতুনত্ব কে না পছন্দ করে। আর উপলক্ষগুলোতে আপনি চাইলেই সাপ্লিমেন্ট কিছু খাবার সাথে রাখতে পারেন। আর খুব কাছের কোন উপলক্ষ থাকলে সে অবশ্যই আপনার খাদ্যঅভ্যাসের মান রাখবে। আর আমিষ যারা খায় তারা শুধু আমিষই তো খায় না। মানে আপনার নিরামিষ ডিশে আপনি একা হয়ে জাবেন না।
২. আমি নেটে ঘেঁটে দেখেছিলাম যারা নিরামিষভোজী তাদের বি১২ সাপ্লিমেন্ট লাগে। এই ভিটামিন শুধুমাত্র আমিষে পাওয়া যায় আর এটা না থাকলে আমাদের পুষ্টিগুন সম্পূর্ণ হয় না। আপনি ব্যাপারটা কিভাবে দেখেন ?
প্রাণীর শরীরের ভিটামিন আসলে ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। নিরামিষভোজীদের ভিটামিনের সাপ্লিমেন্ট দেয়ার জন্য ব্যাকটেরিয়া চাষ করা হয়, মুলত বি১২। বাকি সবকিছু আপনি নিরামিষ খাবারেই পাবেন।
৩. আপনি বলেছেন গাছের নাকি ব্যাথা নাই। তবে জীববিজ্ঞানীরা গাছের উপর ইলেক্ট্রো সিগ্লার দিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে। তারা কাণ্ডতে একটা তার লাগিয়ে গাছের পাতার মধ্যে আগুন লাগিয়ে দেখেছে গাছ কিভাবে প্রতিক্রিয়া করে। গাছ সেটার সারা দিয়েছিল। সেটা কি গাছের ব্যাথা থাকার প্রমান আমরা বলতে পারি না ?
প্রত্যেক লিভিং অরগানিজম ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল সিগন্যাল প্রদান করতে পারে। কোন উদ্ভিদের মধ্যে কোনকিছু করলেই সেটা সিংনাল দিবে। কিন্তু তাদের কোন নাসভার সিস্টেম নেই যে সেটার প্রতিক্রিয়া তারা অনুধাবন করবে। তারা শব্দ, তাপ এমনকি বাতাসেও সিগন্যাল দেই। কিন্তু তার মানে এই না সে তারা ব্যাথা অনুভব করতে পারে। আপনি এক বোতল কেরাসিনে জলন্ত ম্যাচ দিয়ে দিলে সেটাও প্রতিক্রিয়া জানাবে তার মানে এই না যে কেরোসিন ব্যাথা অনুভব করেছে। ব্যথার অনুভুতি খুবই জটিল ইন্দ্রিয় যাদের নার্ভাস সিস্টেম নেই, বা খুবই নগণ্য [যেমন মাছ] তাদের ব্যথাঅনুভুতি নেই। তারা sentient being নয়।
আর যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে উদ্ভিতের ব্যথা অনুভব আছে তারপরও নিরামিষভোজী হয়ে আমরা পরিসংখ্যান মতে প্রায় ৬ গুন কম জীবনবোধ করছি টিকে থাকার জন্য (প্রাণী, প্রাণীর যারা জীবনে খাওয়া শস্য-খাবার, সাপ্লিমেন্ট তরকারি ইত্যাদি সবগুল হিসেব করলে)। এটাই সবচেয়ে মানবতা, পরিবেশসচেতন, নৈতিক,স্বাস্থ্যসচেতন সিদ্ধান্ত।
৪. আমরা তো চাইলে প্রাণীদের সঠিক পরিবেশ দিয়ে ফার্ম করতে পারি যেখানে ওদের সারাজীবন কষ্ট না দিয়ে অনুকুল পরিবেশে বড় করা হবে। যেটাকে বলে Humane Farming। এটা কি প্রাণী হত্যা করার নৈতিক ব্যাপারটা কভার করবে না ?
না, নৈতিক ব্যাপার এরপরও কভার হয় না। আপনি sentient প্রাণীদেরকে নিজের মত করে সারাজীবন রাখবেন আর অবশেষে তাকে কষ্ট দিয়েই মারবেন। যেখানে আমি non-sentient being এর মাধ্যমেই আপনার চাহিদা পুরন করতে পারেন। কোনটা বেশি নৈতিক সিদ্ধান্ত মনে হয়, আপনিই বলুন। পরিবেশ, স্বাস্থ্য এই ব্যাপারগুলোও নিরামিসের অপশনটা কভার করতে পারে।
৫. আপনি মাছের কথা বললেন। সব মাছের শরীরে তো আর পারদ থাকে না। সামুদ্রিক মাছের থাকে। আর মাছ Sentient Being না। তাহলে নিরামিষভোজীদের পারদহিন মাছ খেতে সমস্যা কোথায় ? (আমি খেয়াল করলাম আপনি pescatarian দের কথা উল্লেখ করেছেন। সেটাই তো বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হচ্ছে)
অনেক নিরামিষভোজী আছে যারা pescatarian খাদ্যঅভ্যাস মেনে চলে। আপনি চাইলে এটাও করতে পারেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারা নয়তো নিরামিষের প্রোটিনের ব্যাপারে ক্লিয়ার না, অথবা খাবারের স্বাদের ব্যাপারে ভিত। যার দুটই আমি ব্লগে ৩, ৮ ও ১১ তে উল্লেখ করেছি।
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সুন্দর পোস্ট| আমি সব খাই| অখাদ্য পর্যন্ত| আর সবজি খেতে আমার মোটেও খারাপ লাগে না| অবশ্য আমিষ না খাওয়ার কিছু কারণ পড়ে হাসি পেয়েছে
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: প্রশ্ন থাকলে করতে পারেন।
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৪
আর্টিফিসিয়াল বলেছেন: ঘ. মানুষের দাঁত সব রকম খাদ্য গ্রহনে সক্ষম করে বিন্যস্ত
আপনি যদি পর্যবেক্ষণ করেন তৃণভোজী প্রাণীর দাঁতের বিন্যাষ-যেমন গরু, ছাগল, ভেড়া, হরিণ ইত্যাদি। আপনি দেখে আশ্চর্য হবেন যে,তা সব একই রকম। এসব পশুর দাঁত ভোঁতা (সমতল) যা তৃণ জাতীয় খাদ্য গ্রহণের জন্য উপযোগী। আপনি যদি লক্ষ্য করেন মাংসাশী পশুদের দন্ত বিন্যাস অর্থাৎ বাঘ, সিংহ, লিউপার্ড, শৃগাল, হায়েনা ইত্যাদি-এগুলোর দাঁত ধারালো যা মাংসের জন্য উপযোগী। মানুষের দাঁত লক্ষ্য করে দেখলে দেখা যাবে সমতলের ভোঁতা দাঁত যেমন আছে তেমনি ধারালো এবং চোখা দাঁতও আছে। অর্থাৎ মানুষের দাঁত মাংস ও তৃণ উভয় ধরনের খাদ্য গ্রহনের জন্য উপযোগী। এক কথায় ‘সর্বভূক’।
ঙ. আমিষ ও নিরামিষ দুই ধরণের খাদ্যই মানুষ হজম করতে পারে।
তৃণভোজী প্রাণির হজম প্রক্রিয়া শুধু তৃণ জাতীয় খাদ্যই হজম করতে পারে। মাংসাশী প্রাণীর হজম প্রক্রিয়া পারে শুধু মাংস হজম করতে। কিন্তু মানুষের হজম প্রক্রিয়া তৃণ ও মাংস উভয় ধরনের খাদ্যই হজম করতে সক্ষম।
জ. উদ্ভীদেরও জীবন আছে
বিশেষ কিছু ধর্ম খাদ্য হিসেবে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার বাধ্যতামূলক করে নিয়েছে। কারণ তারা জীব হত্যার সম্পূর্ণ বিরোধী। যদি কেউ কোনো সৃষ্ট জীবকে হত্যা না করে বেঁচে থাকতে পারে তাহলে নির্দ্বিধায় বলতে পারি, আমি হবো প্রথম ব্যক্তি যে এধরনের জীবন যাপন পদ্ধতিকে বেছে নেবে।
অতীত কালের মানুষ মনে করত উদ্ভিদের প্রাণ নেই। অথচ আজ তা বিশ্ববাসীর কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট যে, উদ্ভীদেরও প্রাণ আছে। কাজেই সম্পূর্ণ নিরামিষ ভোজী হয়েও জীব হত্যা না করার শর্ত পূরণ হচ্ছে না।
ঝ. উদ্ভীদ ব্যাথাও অনুভব করতে পারে
এর পরেও হয়তো নিরামিষ ভোজীরা বলবেন, প্রাণ থাকলে কি হবে উদ্ভীদ ব্যাথা অনুভব করতে পারে না। তাই পশু হত্যার চাইতে এটা তাদের কম অপরাধ। আজকের বিজ্ঞান পরিষ্কার করে দিয়েছে উদ্ভিদও ব্যাথা অনুভব করে কিন্তু তাদের সে আর্ত চিৎকার মানুষই শোনার ক্ষমতা রাখে না ২০ Herts থেকে ২০০০ Herts এর ওপরে বা নীচের কোনো শব্দ মানুষের শ্রুতি ধারণ করতে সক্ষম নয়। একটি কুকুর কিন্তু শুনতে পারে ৪০,০০০ Herts পর্যন্ত। এজন্য কুকুরের জন্য নিরব ‘হুইসেল’ বানানো হয়েছে যার ফ্রীকোয়েন্সী ২০,০০০ Herts এর বেশী এবং ৪০,০০০ Herts এর মধ্যে। এসব হুইসেল শুধু কুকুর শুনতে পারে, মানুষ পারে না। কুকুর এ হুইসেল শুনে তার মালিককে চিনে নিতে পারে এবং সে চলে আসে তার প্রভুর কাছে।
আমেরিকার এক খামারের মালিক অনেক গবেষণার পর একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছে যা দিয়ে উদ্ভীদের কান্না মানুষের শ্রুতিযোগ্য করে তোলা যায়। সে বিজ্ঞানী বুঝে নিতে পারত, উদ্ভীদ কখন পানির জন্য চিৎকার করত। একেবারে এখনকার গবেষণা প্রমাণ করে দিয়েছে যে, উদ্ভীদ সুখ ও দুঃখ অনুভব করতে পারে এবং পারে চিৎকার করে কাঁদতেও।
ঞ. দু’টি ইন্দ্রীয়ানুভূতী কম সম্পন্ন প্রাণীকে হত্যা করা কম অপরাধ নয়
এবার নিরামিষ ভোজীরা তর্কে অবতীর্ণ হবেন যে, উদ্ভীদের মাত্র দু’টি অথবা তিনটি অনুভূতির ইন্দ্রীয় আছে আর পশুর আছে পাঁচটি। কাজেই পশু হত্যার চাইতে উদ্ভীদ হত্যা অপরাধের দিক থেকে কম।
ধরুন এক ভাই জন্মগত ভাবেই অন্ধ ও কালো। চোখে দেখেনা কানেও শোনেনা। অর্থাৎ একজন স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় দুটি ইন্দ্রীয় তার কম। সে যখন পূর্ণ যৌবনে এসে প্বৌছাল তখন এক লোক নির্দয়ভাবে তাকে খুন করল। খুনী ধরা পড়ার পর- বিচারালয়ে দাঁড়িয়ে আপনি কি বিচারপতিকে বলবেন, মহামান্য আদালত খুনিকে আপনি পাঁচ ভাগের তিন ভাগ শাস্তি দিন?
ট. গৃহপালিত পশুর সংখ্যাধিক্য
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যদি ফল-মূল তরিতরকারী ও শাক শব্জীকেই খাবার হিসাবে বেছে নেয় তা হলে গবাদী পশুর জন্য ভু-পৃষ্ঠ ছেড়ে দিয়ে মানুষকে অন্য কোনো গ্রহে গিয়ে বাস করতে হবে। আর খাল বিল নদী নালা ও সাগর মহাসাগর পানি শূন্য হয়ে যাবে মাছ ও অন্যান্য জ্বলজ প্রাণীর আধিক্য। কেননা উভয় শ্রেণীর জন্মের হার ও প্রবৃদ্ধি এত বেশি যে, এক শতাব্দী লাগবে না এ পৃথিবী তাদের দখলে চলে যেতে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন:
ব্লগেও বলেছি এখানেও প্রথমে উল্লেখ করলাম আমি এখানে কোন ধর্মীয় নিরামিষবাদের কথা বলছি না। ধর্মনিরপেক্ষভাবে মানুষ কেন নিরামিষভোজী হয় সেটার বৈজ্ঞানিক, পরিবেশগত, নৈতিক দিকগুলো ব্যাখা করছি। মানে "জীব হত্যা মহাপাপ" বা " আত্মার পরিশুদ্ধি" এই ধরমের আর্গুমেন্ট এখানে অপ্রাসঙ্গিক, আমি সেটাকে ডিফেন্ড করবো না কেননা সেটা ধর্মনিরপেক্ষ নিরামিষবাদের দর্শনের অন্তর্ভুক্ত নয়।
ঘ. মানুষের দাঁত সব রকম খাদ্য গ্রহনে সক্ষম করে বিন্যস্ত
( ব্লগের ৬ নাম্বারে প্রশ্নে এটা কভার করা হয়েছে)
জ. উদ্ভীদেরও জীবন আছে
(জীবহত্যা করা যাবে না এটা ধর্মনিরপেক্ষ নিরামিষভোজীরা এটা মনে করে না, তাই এই আর্গুমেন্ট অপ্রাসঙ্গিক)
ঝ. উদ্ভীদ ব্যাথাও অনুভব করতে পারে
(প্রত্যেক লিভিং অরগানিজম ইলেক্ট্রোকেমিক্যাল সিগন্যাল প্রদান করতে পারে। কোন উদ্ভিদের মধ্যে কোনকিছু করলেই সেটা সিংনাল দিবে। কিন্তু তাদের কোন নাসভার সিস্টেম নেই যে সেটার প্রতিক্রিয়া তারা অনুধাবন করবে। তারা শব্দ, তাপ এমনকি বাতাসেও সিগন্যাল দেই। কিন্তু তার মানে এই না সে তারা ব্যাথা অনুভব করতে পারে। আপনি এক বোতল কেরাসিনে জলন্ত ম্যাচ দিয়ে দিলে সেটাও প্রতিক্রিয়া জানাবে তার মানে এই না যে কেরোসিন ব্যাথা অনুভব করেছে। ব্যথার অনুভুতি খুবই জটিল ইন্দ্রিয় যাদের নার্ভাস সিস্টেম নেই, বা খুবই নগণ্য [যেমন মাছ] তাদের ব্যথাঅনুভুতি নেই। তারা sentient being নয়।
আর যদি তর্কের খাতিরে ধরে নেই যে উদ্ভিতের ব্যথা অনুভব আছে তারপরও নিরামিষভোজী হয়ে আমরা পরিসংখ্যান মতে প্রায় ৬ গুন কম জীবনবোধ করছি টিকে থাকার জন্য (প্রাণী, প্রাণীর যারা জীবনে খাওয়া শস্য-খাবার, সাপ্লিমেন্ট তরকারি ইত্যাদি সবগুল হিসেব করলে)। এটাই সবচেয়ে মানবতা, পরিবেশসচেতন, নৈতিক,স্বাস্থ্যসচেতন সিদ্ধান্ত। )
ঞ. দু’টি ইন্দ্রীয়ানুভূতী কম সম্পন্ন প্রাণীকে হত্যা করা কম অপরাধ নয়
আমি জানি না আপনি কোথা থেকে এটা কপি করেছেন তবে কোন উগ্র বিচ্ছিন্নতাবাদিই এমন বোকার মত উদাহরন দিতে পারে। সব ইন্ত্রিয় কখনোই সমান না। ব্যথাই একমাত্র ইন্দ্রিয় যেটা প্রাণীকে যন্ত্রণাকাতর করে। সেটাকে দৃষ্টি, শ্রবণে সাথে তুলনা করা বোকামি।
ট. গৃহপালিত পশুর সংখ্যাধিক্য
( ব্লগের ১১ নাম্বারে প্রশ্নে এটা কভার করা হয়েছে। কষ্ট করে ব্লগটা আগে পড়বেন তারপর কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ প্রশ্নের জন্য। )
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পশু খেলে পশুর (গরু কিংবা অন্য প্রাণি), মাছ খেলে মাছের বৈশিষ্ট্য নাকি মানুষের মধ্যে প্রতিফলিত হয় । অামার এক বন্ধু ব্যক্ষা করেছিলো অনেক অাগে, আমারও তাই ধারণা, যদিও অামি নিরামিষভোজী নই । সত্যতা জানতে চাই ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিক্তি নেই। ধর্মনিরপেক্ষ নিরামিষভোজীরা "জীবহত্যা পাপ" বা " আত্মার পরিশুদ্ধি" এ ধরনের কারনে নিরামিষভোজী না। তারা মনে করে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত প্রজাতি হিসেবে নিজের ও পৃথিবীর উন্নয়ন করা তাদের কর্তব্য। সেটা দৈনন্দিনের কাজের মাধ্যমে যদি করতে হয় তাহলে sentient প্রাণীদের যতটা কম সম্ভব ব্যবহার করে নিশ্চিত করা সম্ভব। এতে প্রকৃতির কোন ভারসাম্য নষ্ট হবে না, বরং আরও সুন্দরভাবে বজায় থাকবে সাথে সাথে সব মানুষ যদি নিরামিষ হয় তাহলে কেউ খাদ্যঅভাবে ভুগবে না।
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: নিরামিষ খাবার গুলো নিরীহ বলে জানি। এগুলো একজন মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। প্রাণীজ প্রোটিন যে পরিমান এল ডি এল ধারন করে তাতে যত কম পারা যায় গ্রহন করা উচিত বলে মনে করি। কারন এই এল ডি এল হল সকল ব্লক, স্টোকের আসল কারিগরি।
আপনার লেখা ভাল লেগেছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আর্টিফিসিয়াল বলেছেন: আমি এইসব বিষয় খুব কম জানি । বলতে পারেন জানি না, তাই আপনার সাথে এই বিষয়ে আর্গু করা আমার উচিত হবে না । আমার কপির লিংকটা আগেই দিয়ে দিয়েছি । আমি কয়েক জন নিরামিষভোজী ব্যাক্তির সাথে কথা বলেছিলাম, তারা বলেছিল মুলত জীব হত্যার জন্যে তারা নিরামিষভোজী । এদের সংখ্যা হয়ত খুবই নগন্য । কিনতু নিচের বিষয়গুলোর সাথে একমত হতে পারছি না। যদি একটু ক্লিয়ার করতেন।
৬. আমাদের দাতই প্রমান করে আমরা সর্বভুক। তাহলে কেন শুধু নিরামিষ খাব ?
আমাদের দাত মোটেই প্রমান করে না আমরা সর্বভুক। সর্বভুক প্রানির পাশের দাত অনেক ধারালো ও বড় থাকে যা কাচা মাংস কেটে ফেলতে সাহায্য করে। তবে আমাদের শরীরের অনেক অংশ প্রমান করে আমাদের কয়েক মিলিয়ন বছর আগের পূর্বপুরুষরা নিরামিষভোজী ছিল। তবে পরিস্থিতিগত কারনে পরবর্তীতে কিছু এপ মাংস ও উদ্ভিদ উভয়কে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে, আমাদের ন্যাচারাল সিলেকশনও সেটায় সায় দেয়।
আর এই পয়েন্ট --
আপনি যদি পর্যবেক্ষণ করেন তৃণভোজী প্রাণীর দাঁতের বিন্যাষ-যেমন গরু, ছাগল, ভেড়া, হরিণ ইত্যাদি। আপনি দেখে আশ্চর্য হবেন যে,তা সব একই রকম। এসব পশুর দাঁত ভোঁতা (সমতল) যা তৃণ জাতীয় খাদ্য গ্রহণের জন্য উপযোগী। আপনি যদি লক্ষ্য করেন মাংসাশী পশুদের দন্ত বিন্যাস অর্থাৎ বাঘ, সিংহ, লিউপার্ড, শৃগাল, হায়েনা ইত্যাদি-এগুলোর দাঁত ধারালো যা মাংসের জন্য উপযোগী। মানুষের দাঁত লক্ষ্য করে দেখলে দেখা যাবে সমতলের ভোঁতা দাঁত যেমন আছে তেমনি ধারালো এবং চোখা দাঁতও আছে। অর্থাৎ মানুষের দাঁত মাংস ও তৃণ উভয় ধরনের খাদ্য গ্রহনের জন্য উপযোগী। এক কথায় ‘সর্বভূক’।
১১. গবাদি পশু দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে, তাদের খাবার হিসেবে খেয়ে আমরা পশুসংখা নিয়ন্ত্রনে রাখছি বলে আমার মনে হয়।
গবাদি পশুর অতিরিক্ত বংশবৃদ্ধির পিছনে আসলে ফারমিং দায়ি। ফার্মে প্রাণীদের প্রজননক্ষমতা হওয়ার সাথে সাথে তাদের থেকে বংশবৃদ্ধি করার ব্যবস্থা করে দেয়। স্বাভাবিক বংশবৃদ্ধি মোটেই এত বেশি না, ক্রিত্তিমভাবে করায় সেই প্রবৃদ্ধি কয়েক গুন ছাড়িয়ে যায়।
আর এই পয়েন্ট --
গৃহপালিত পশুর সংখ্যাধিক্য
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যদি ফল-মূল তরিতরকারী ও শাক শব্জীকেই খাবার হিসাবে বেছে নেয় তা হলে গবাদী পশুর জন্য ভু-পৃষ্ঠ ছেড়ে দিয়ে মানুষকে অন্য কোনো গ্রহে গিয়ে বাস করতে হবে। আর খাল বিল নদী নালা ও সাগর মহাসাগর পানি শূন্য হয়ে যাবে মাছ ও অন্যান্য জ্বলজ প্রাণীর আধিক্য। কেননা উভয় শ্রেণীর জন্মের হার ও প্রবৃদ্ধি এত বেশি যে, এক শতাব্দী লাগবে না এ পৃথিবী তাদের দখলে চলে যেতে।
আরেকটা কথা , যারা নিরামীষভোজী, তারা কি এত কিছু ভেবে নিরামীষভোজী হয়ছে?? আমার তো মনে হয় না ।
ভাল থাকবেন ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আপনি যদি পর্যবেক্ষণ করেন তৃণভোজী প্রাণীর দাঁতের বিন্যাষ-যেমন গরু, ছাগল, ভেড়া, হরিণ ইত্যাদি। আপনি দেখে আশ্চর্য হবেন যে,তা সব একই রকম। এসব পশুর দাঁত ভোঁতা (সমতল) যা তৃণ জাতীয় খাদ্য গ্রহণের জন্য উপযোগী। আপনি যদি লক্ষ্য করেন মাংসাশী পশুদের দন্ত বিন্যাস অর্থাৎ বাঘ, সিংহ, লিউপার্ড, শৃগাল, হায়েনা ইত্যাদি-এগুলোর দাঁত ধারালো যা মাংসের জন্য উপযোগী। মানুষের দাঁত লক্ষ্য করে দেখলে দেখা যাবে সমতলের ভোঁতা দাঁত যেমন আছে তেমনি ধারালো এবং চোখা দাঁতও আছে। অর্থাৎ মানুষের দাঁত মাংস ও তৃণ উভয় ধরনের খাদ্য গ্রহনের জন্য উপযোগী। এক কথায় ‘সর্বভূক’।
যারা নিরামিষভোজী তারা নৈতিকতা,স্বাস্থ্য,পরিবেশ ও জীবজগৎ সংরক্ষণের জন্য তাদের খাদ্যঅভ্যাস নিরামিষে সীমিত রেখেছে। মানুষ অবশ্যই আমিষ হজম করতে পারে যেটা আমি ব্লগে বলেছিলাম। কিন্তু বায়োলজিকালি আমরা মোটেই সর্বভুক omnivore প্রাণীরদের মত নই। আপনি নেটে omnivore teeth লিখে সার্চ করলেই দেখবেন তাদের দাত আমাদের থেকে কতটা ভিন্ন। মাংসাশি প্রাণীরা কি মাংস কেটে গিলে ফেলে এ জন্য তাদের দাত ধারালো, অন্যদিকে আমাদের দাত সাধারন omnivore দের থেকে থেকে অনেক ভোতা আর নিরামিষপ্রাণীদের খুবই কাছাকাছি। আমরা খাবার চিমিয়ে খাই। নিচে একটা সর্বভুক প্রাণীর বাহুর ছবি দিলাম। দেখেন মানুষের সাথে কোন মিল পান কি না।
সর্বভুক প্রাণীর পরিপাকনালি থাকে তুলনামুলক ছোট (সর্বচ্চ ১৫ ফিট)। মানুষ নিরামিষ প্রাণীর মত অনেক জটিল পরিপাকতন্ত্রের অধিকারি (প্রায় ২৯ ফিট)। সর্বভুক প্রাণীর শরীরে প্রচুর হাইড্রকরিড এসিড আছে যেটা খাবার পরিপাক করতে সাহায্য করে। আমাদের সেই তুলনায় অনেক কম। যার কারনে মাংসের কারনে আমাদের অনেক জটিল রোগ হয়। মুল কোথা হচ্ছে আমরা সর্বভুক প্রাণী হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ হলেও আমরা আমিষ খাবার আমাদের শরীরে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ যদি ফল-মূল তরিতরকারী ও শাক শব্জীকেই খাবার হিসাবে বেছে নেয় তা হলে গবাদী পশুর জন্য ভু-পৃষ্ঠ ছেড়ে দিয়ে মানুষকে অন্য কোনো গ্রহে গিয়ে বাস করতে হবে। আর খাল বিল নদী নালা ও সাগর মহাসাগর পানি শূন্য হয়ে যাবে মাছ ও অন্যান্য জ্বলজ প্রাণীর আধিক্য। কেননা উভয় শ্রেণীর জন্মের হার ও প্রবৃদ্ধি এত বেশি যে, এক শতাব্দী লাগবে না এ পৃথিবী তাদের দখলে চলে যেতে।
আপনি লেখাটা নিজে পরলেই বুঝতে পারবেন আর্গুমেন্টটা কতটা আঁস্তাকুড়। "খাল বিল নদী নালা ও সাগর মহাসাগর পানি শূন্য হয়ে যাবে মাছ ও অন্যান্য জ্বলজ প্রাণীর আধিক্য" খুবই হাস্যকর। যে ক্লেইমটা করেছে তার বাস্তসংস্থান সম্পর্কে ধারনা খুবই কম। এমন হলে বিভিন্ন সময় মানুষ যখন নতুন কোথাও বসতি করে তখন তাদের লোকাল বাসের মত নিরামিষ প্রাণীর চিপাচিপি ভীর দেখার কথা ছিল। মানুষ পৃথিবীর বাস্তসংস্থানের একটা ক্ষুদ্র একটা অংশ মাত্র। আর আমরা আমাদের খাদ্যস্তরেরকে violate করছি না। পৃথিবীর সবাই নিরামিষ হলেও পৃথিবীর কোন ক্ষতি হবে না। বরং অনেক উপকার আসবে আমাদেরও , জীবজগতেরও।
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২
প্রণব দেবনাথ বলেছেন: আমি তৃণভোজী প্রানী তাই এরকম একটা লেখা দেখে ভালই লাগল।অনেক কিছু জানলাম। ++++++++++++
১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৫
নতুন বলেছেন: যেইভাবে প্রানীদের হত্যাকরা হয় খাবারের জন্য সেটা মনে হলে মনে হয় ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাই।
কিন্তু আমার মনে হয় আমরা omnivores তাই মাংসের প্রতি একটা craving থাকে।
আর মাংস খাওয়া থেকেই কিন্তু মানুষ অনেক বেশি ক্যালরী পায় এবং সারাদিন তৃনভজি প্রানীর মতন খাবার খেতে হয়না।
কিন্তু কট্টরপন্হি সব সময়েই খারাপ<< সখের বসে প্রানী হত্যা করা যেমন ঠিক না। তেমনি কট্টর ভেজিটেরিয়ানও এক রকমের বাড়াবাড়ী।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৪
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: যেইভাবে প্রানীদের হত্যাকরা হয় খাবারের জন্য সেটা মনে হলে মনে হয় ভেজিটেরিয়ান হয়ে যাই। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা omnivores তাই মাংসের প্রতি একটা craving থাকে।
ধর্মনিরপেক্ষভাবে নিরামিষভোজী হওয়া একটা ঐচ্ছিক ব্যাপার। এটা শুধু নিজের দেহের, নিজের নৈতিকতার, জীবজগতের ও পরিবেশের দায়িত্ববোধের কারনে আসে। যারা নিরামিষভোজী পরিবারে বড় হয়েছে তাদের craving থাকে না। যারা জীবনে আমিষ খেয়েছে তাদেরই থাকে। তবে আপনি যদি আমিষের বিকল্পগুলো নেন (প্রশ্ন ৮) তাহলে এই craving আর থাকবে না।
আর মাংস খাওয়া থেকেই কিন্তু মানুষ অনেক বেশি ক্যালরী পায় এবং সারাদিন তৃনভজি প্রানীর মতন খাবার খেতে হয়না।
এটা একটা ভুল ধারনা। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ৫৬ গ্রাম (ছেলে) বা ৪২ গ্রাম (মেয়ে) প্রোটিন লাগে। যেটা তিন বেলা শুধু ডালভাত খেলেও পুরন করা সম্ভব। আর বেশি প্রোটিন দেহের ভিতরে অতিরিক্ত ফ্যাট তৈরি করে। আপনিই ভেবে দেখিন।
একদিকে নিরামিষ আছে যেটা খেয়ে আপনি নিজের ও পরিবেশের দায়িত্বপালন করছেন, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হচ্ছে ও সুস্বাদু খাবার আর বিকল্পও আছে। অন্যদিকে আমিষ যেটা পরিবেশ ও আপনার ক্ষতি করছে, সুস্বাদু হলেও মরনঘাতি পারসপ্রতিক্রিয়াও আছে । একজন রেশনাল মানুষএর সিদ্ধান্ত এখানে পরিস্কার
কিন্তু কট্টরপন্হি সব সময়েই খারাপ । সখের বসে প্রানী হত্যা করা যেমন ঠিক না। তেমনি কট্টর ভেজিটেরিয়ানও এক রকমের বাড়াবাড়ী।
ধর্মনিরপেক্ষভাবে নিরামিষভোজীরা কট্টর নয়। তারা জীবহত্যা মহাপাপের মত কনসেপ্টকে গ্রহনযোগ্য মনে করে না। মশা কামড় দিলে তারা সেটাই করবে যেটা আপনি করেন। তেলাপোকা দেখলেও সু সু করবে না, বাড়ি দিয়ে মারবে। নিরামিষভোজীদের ফিলোসফিই হচ্ছে A way of living which seeks to exclude, as far as is possible and practicable, all forms of exploitation of, and cruelty to, animals for food, clothing or any other purpose.আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬
-দীপু বলেছেন: উদ্ভিজ্জ খাবার খাওয়া সুসাস্থের জন্য অপরিহার্য । তবে মাঝে মধ্যে আমিষ বোধ হয় খাওয়া যেতেই পারে
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: pescatarian হতে পারেন তবে পারদ থেকে সাবধান
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫০
শায়মা বলেছেন: আমি তো এই পোস্ট দেখে অক্কা পেলাম ভাইয়া। তুমি নিশ্চয় ডক্টর! তবে এত ভালো রাইটারও সেটাই অবাক করা। ডক্টরদের তো প্রেসক্রিপশনটাই ঠিক ঠাক স্পষ্ট করে লেখার স্বভাব নেই।
অনেক অনেক অনেক সুন্দর একটা লেখা তবে সমস্যা হলো আমিষ ভোজী। নিরামিশ আমার পছন্দনীয় নহে তবে আই লাইক সালাড!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ভাইয়া না আপু হবে । প্রশ্ন ৮ এ কিছু বিকল্প খাবারের কথা বলেছে। ওটা দেখতে পারো। ভাল না লাগলে আমাকে বলবা
১৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪০
মারজানা সাফাত বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম তথ্যবহুল একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখার জন্য। Wholehearted gratitude to you from a vegan
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৫৮
গরল বলেছেন: নিরামিষ খুবি স্বাস্থ্যসম্মত কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় যেমন একজন ইতিমধ্যে বলেছে যে ভিটামিন বি১২ নিরামিষে নাই। আরও কিছু অত্যাবশ্যকীয় প্রটিন যেমন L-Arginine, L-Citrulline, L-Lyasine, L-Glutamine, Gamma-Aminobutric Acid এছাড়াও আরও অনেক অ্যামিনো এসিড আছে যেগুলো মূলত শরীরের হরমন তৈরীতে কাজে লাগে শুধুমাত্র উচ্চমাণের প্রণীজ আমিষেই কেবল পর্যাপ্ত পরিমানে পাওয়া যায়।
বিভিন্ন গ্রোথ ফ্যাক্টর যেমন IGF1, IGF2 কেবল মাত্র প্রাইমারী নিউক্লিয়ক সেল বা বিভিন্ন প্রাণীর ডিমে এবং বিশেষ দুধ যেমন Colostrum এই পর্যাপ্ত পরিমানে থাকে যা সেল রিকভারীতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে বা অপরিণতবয়স্কদের বৃদ্ধিতে অপরিহার্য্য।
ত্বকের মসৃণতা ও ইলাস্টিসিটির জন্য উচ্চমাণের হলুদ ফ্যাট দরকার যা কেবল প্রণীজ আমিষ থেকেই পঅয়া সম্ভব। কারন ত্বকের ৫০% হল ফ্যাট ও বাকি ৫০% কোলাজেন নামক প্রটিন। যা তরুনাস্থি বা পেশীর টেনডন গঠনেও অপরিহার্য্য এবং কেবল মাত্র প্রাণীজ উৎস থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা সম্ভব। একমাত্র উৎস না হলেও পর্যাপ্ত পরিমানে পেতে হলে প্রণীজ উৎসের উপর নির্ভর করতে হবে।
এবার যদি আয়ু ও স্বাস্থ্যের দিকে তাকাই তাহলে দেখব ইউরোপিয়ান বা আমেরিকানদের আয়ু ও স্বাস্থ্য বেশী ভাল কারন ওরা মাংসের উপর বেশী নির্ভরশীল। এরপর আছে আরব ও জাপানীজরা। আরবরাও মাংসের উপর নির্ভরশীল আর জাপানীজরা সামুদ্রিক মাছ সবচেয়ে বেশী খেয়ে থাকে। আর এশিয়ান ও আফ্রিকান যারা নিরামিষ এর উপর নির্ভরশীল তাদের আয়ু কম। চাইনীজ সরকারতো রীতিমত জাতীয় প্রজেক্ট নিয়েছে জাতীয় উচ্চতা দুই ইঞ্চি বৃদ্ধির জন্য আর এর জন্য তারা উচ্চ প্রাণীজ প্রটিন সমৃদ্ধ খাবার স্কুলগুলোতে সরবরাহ করছে।
আর বেশী কিছু বলতে পারলাম না। ধন্যবাদ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: সকল প্রকার প্রয়োজনীয় এমিনো এসিড ও গ্রোথ ফ্যাক্টর উদ্ভিজ খাবারে পাওয়া যায়। ভিটামিন বি১২ প্রাণী নিজে উৎপন্ন করে না, সেটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রাণীর শরীরে ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। অনেক উদ্ভিজ খাবারেও ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। অনেক সময় ভিগানরা সাপ্লিমেন্ট নিয়ে থাকে বি১২ এর। Transfat আর Saturated Fat আমাদের দেহে প্রচুর ক্ষতি করে যা ডিমে থাকে, ত্বকের ফ্যাটের জন্য আপনি বাদাম বা অন্য ফ্যাটের উদ্ভিজ উৎস থেকে নিতে পারেন। সেসব খাবারে Polysatured ও Monosatured ফ্যাট থাকে। যা সরাসরি আপনার ত্বকের মসৃণতা বাড়াবে, হাজারগুন কম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়।
Life Expectency যেটা গননা করা হয় মানুষের গড় মৃত্যুর বয়স হিসেব করে। আর এটা চিকিৎসাব্যবস্থা, খাদ্যের প্রাচুর্য, প্রজুক্তি আর অর্থনীতি ইত্যাদি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। আফ্রিকায় অধিকাংশ মানুষ মারা যায় পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে। সেটা যেই খাদ্যাভ্যাসই হোক না কেন। যদি দেখতেই হয় তাহলে দেখা উচিত কোন দেশে মানুষ উচ্চ রক্তচাপে, ডায়বেটিকসসে, স্থুলতায়, হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত, প্রাণীয খাবারের ফলে যে যে ক্যান্সারের ঝুকি থাকে সেই রোগে বেশি আক্রান্ত। সেটার সাথে মাংস ও প্রাণীজ খাবার খাওয়ার প্রবনতার Correlation করতে হবে। ভেজেটেরিয়ানদের দেশ ও প্রাণীভোজীদের দেশে যদি একই ব্যবস্থা থাকতো তাহলে নিরসন্দেহে প্রানিভুজিদের আয়ু কম থাকতো। "Forks over Knives" নামে একটা ডকুমেন্টারি আছে ওখানে এটা সুন্দর করে আলোচনা করা আছে।
দারিপাল্লায় একপাশে সহজে সাশ্রয়ে সকল প্রকার পুষ্টি, স্বাস্থ্যঝুকি কম, পরিবেশ রক্ষা ও মানবতার নিদর্শন; অন্য পাশে অপচয়যুক্ত প্রোটিন ও কয়েক মিনিটের স্বাদের ওজুহাতে স্বাস্থ্যঝুকি, পরিবেশ নষ্ট ও পৈশাচিকতা।
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২
মেহেদী রবিন বলেছেন: মৃত প্রানীও খাওয়া যেতে পারে। যাদের মাঝে মাঝে একটু আধটু মাংস খেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু টাকার অভাবে পারে না খেতে। এত বড় পোস্টের নেপথ্য কোন বিষয়টা ছিল ধারণা করতে পারি। আপনি বিবাহিত কি না জানি না, যদি করে না থাকেন তাহলে করারা সময় কি কি খাবারের আয়োজন করবেন জানতে ইচ্ছা হয়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৭
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: আমার পরিচিত এক ভিগান কাপলের বিয়ের কথা বলি । সেখানে তফু আর সয় ব্যবহার করা হয়েছিল মাংসের জায়গায় আর Almond Milk এর দই ছিল। অনেকে অনেক কথা বললেও খাবার যথেষ্ট সুস্বাদু ছিল। জামাই বউ দুজনই ভিগান হওয়ায় এটা করতে তেমন সমস্যা হয়নি। আমরা হচ্ছি ফাস্ট জেনারেশন ভিগান, কালচারে নতুন কিছু যুক্ত হওয়া অনেক কষ্টের, এটা স্বীকার করতে হবে। আমাদের আগের জেনারেশনের কাছে এটা হয়তো গ্রহণযোগ্যতা কম। তবে আমাদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সামাজিকভাবে এটা মেনে নেয়া যথেষ্ট সহজ হবে। তবে সেটার জন্য ভিগানিজম এর বৃদ্ধি ও প্রসার দরকার। গত বছরও আমি মাত্র ৪ জন ভিগানকে চিনতাম। এখন প্রায় ৫০ জনের বেশি। এরা সবাই বাংলাদেশি, কেউ বিবাহিত, কেউ স্টুডেন্ট, কেউ চাকুরীজীবী, কেউ ব্যবসায়ি, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক । মধ্য প্রত্যেকে নিজেদের মত করে চ্যালেঞ্জ নিয়ে পরিস্থিতির পরিবর্তন করার; মানবতা, পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও সহানুভুতির সংগ্রামে।
১৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৩
মেহেদী রবিন বলেছেন: মৃত প্রানীও খাওয়া যেতে পারে। যাদের মাঝে মাঝে একটু আধটু মাংস খেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু টাকার অভাবে পারে না খেতে। তাদের কাজে আসবে। এত বড় পোস্টের নেপথ্য কোন বিষয়টা ছিল ধারণা করতে পারি। আপনি বিবাহিত কি না জানি না, যদি করে না থাকেন তাহলে করারা সময় কি কি খাবারের আয়োজন করবেন জানতে ইচ্ছা হয়।
১৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০২
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: "জীববিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে উপসংহারে এসেছে যে উদ্ভিদের ব্যাথা অনুভুতি নেই।" - কথাটা মনেহয় ঠিক না, নীচের লেখাটা পড়েন:
A number of studies have shown that plants feel pain, and vegetables are picked and often eaten while still alive. Animal rights activists are often in the news, but has anyone ever protested for vegetable rights?
https://www.theguardian.com/notesandqueries/query/0,,-83446,00.html
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: পড়ে দেখেছেন কি বলা আছে ? নাকি ইংরেজি পরতে জানেন না? এটা Notes & Queries সেকশনের একটা প্রশ্নমাত্র। উত্তরগুলো ভাল করে দেখেন। গুগলে সার্চ দিয়েই লিঙ্ক দেয়ার করবেন না। ব্লগারদের একটা রেপুটেশন থাকে, নিজেরটা রক্ষা করুন।
২০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৬
জে আর সিকদার বলেছেন: উপকৃত পোষ্ট , ধন্যবাদ
২১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮
আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: আরেকটি মন্তব্য করবার ইচ্ছে আছে, ততদিন লেখাটি থাকলে নিশ্চয় দেখা হবে...
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: নতুন পর্ব আসছে। আরও ২০টি নতুন প্রশ্ন উত্তরের সাথে। এটাতেও মন্তব্ব করতে পারেন বা নতুনটার অপেক্ষা করতে পারেন
২২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
চেংকু প্যাঁক বলেছেন: Click This Link target='_blank' >Bad news for vegetarians! Plants can ‘hear’ themselves being eaten - and become defensive when attacked - http://www.dailymail.co.uk
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৩
বুনিয়াদি ভ্রমঘাতিকা বলেছেন: শিরোনামটা ভ্রান্তিকর। যাই হোক, গাছও অন্য প্রাণীদের মত জীব। তারাও পরিবেশকে অনুধাবন করতে পারে। কিন্তু তাদের ব্যথা নেই। আর Suffering এ এখানে মুখ্য ব্যাপার। আপনার চুল না নখ কাটলে আপনি ব্যথা পান না বা সাফার করেন না। কারন সেখানে আপনার নার্ভাস সিস্টেম নেই। গাছেরও শরীরে কোন নার্ভাস সিস্টেম নেই। তবে তাদের অন্য ইন্দ্রিয় আছে পরিবেশকে বুঝার। যার একটা এই আর্টিকেলে বলা আছে। আমার মনে হয় না এটা কোন Bad News.
আর যদি তর্কের খ্যাতিরে ধরেও নেই যে গাছের ব্যথা অনুভতি আছে। এরপরও ভিগানদের উদ্ভিজ খাবারের উপর নির্ভর করা মানবিক ও যুক্তিযুক্ত। কেননা উদ্ভিদের মাধ্যমে পুষ্টি চাহিদা পুরন করার জন্য আমরা শুধু ততটুকুই জীবন নিচ্ছি যতটা আমাদের টিকে থাকার জন্য দরকার। অন্যদিকে খাদ্যের জন্য প্রাণীকে ব্যবহার করতে তাদের সারাজীবনে হত্যা করা উদ্ভিদও আমাদের হত্যার ঝুড়িয়ে পড়ে যায়। স্বাস্থ্যগত, পরিবেশগত আর্গুমেন্ট তো সাথে আছেই। ধন্যবাদ।
২৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬
গরল বলেছেন: আপনি কিন্তু আংশিক তথ্য দিয়েছেন আমার কমেন্টের রিপ্লাইতে। যেমন বলেছেন অনেক উদ্ভিদে বি১২ পাওয়া যায় কিন্তু সেগুলোর নাম উল্লেখ করেন নাই এবং ত্বকের ফ্যাটের জন্য বাদাম খেতে বলেছেন কিন্তু কোলাজেন প্রোটিন কোন উদ্ভিদে পাওয়া যায় সেটা বলেননি। এছাড়া L-Arginine, L-Citrulline, L-Lyasine, L-Glutamine, Gamma-Aminobutric Acid এসব অ্যামিনো এসিডের উদ্ভিদ উৎস জানতে চাই। তর্কের জন্য নয়, তথ্যের জন্যই আবার কমেন্ট করলাম। আশা করি তথ্য দিবেন, কারণ আমিও ভেজিটেবল পছন্দ করি কিন্ত পুষ্টিতে সয়ংসম্পূর্ণ নয় বিধায় প্রোটিনও খাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
জিএমফাহিম বলেছেন: আপনার লেখাগুলো খুবই ভাল লাগে। সামুতে এধরনের লেখার বড়ই অভাব এখন। আমি বিগত কয়েক মাস ধরে খাদ্য ও পুষ্টি নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করছিলাম। আমার ১০০% নিরামিষভোজী হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও আমি চেষ্টা করি যতটা সম্ভব আমিষ পরিহার করতে। আপনার লেখা থেকে কিছু জিনিস পরিস্কার হল। চালিয়ে চান। সরাসরি প্রিয়তে ।