নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দ্য েস্লভ

দ্য েস্লভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যযৃগে বাগদাদ...পর্ব ৩

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪২

চিকিৎসা বিজ্ঞানে বাগদাদ ঃ



আল কুরআন কোন বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থ নয়। মানব জীবনের জন্য এটি একটি ঐশী কিতাব। তবে এতে রয়েছে বিজ্ঞান নির্দেশক অনেক আয়াত। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, কুরআনের যেখানেই কোন বৈজ্ঞানিক তথ্যের উল্লেখ রয়েছে সেখানেই বুদ্ধিমান লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্যানুসন্ধান নিদের্শক এসব আয়াত গবেষণা করে বিংশ শতাব্দীর অনেক পাশ্চাত্য পন্ডিত বিস্ময়াভিভূত হয়ে পড়ছেন। তারা বলতে বাধ্য হচ্ছেন মধ্যযুগে মুসলমানরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যে অভূতপূর্ব উন্নতি করেছিল তার মূলে ছিল কুরআনের বৈজ্ঞানিক তথ্যানুসন্ধান নিদের্শক বাণীসমূহ। ডঃ হার্ট হার্সফেল্ড তাঁর ঘবি জবংবধৎপযবং রহ ঃড় ঃযব ঈড়সঢ়ড়ংরঃড়হ ধহফ ঊীবমংরং ড়ভ ঃযব ছঁৎধহ গ্রন্থে বলেছেন, আমরা যখন দেখি কুরআন সকল বিজ্ঞানের উৎস্যমূল, তখন আমাদের বিস্ময়ের অন্ত থাকে না। গ্রন্থটিতে যেসব ইহ ও পরকালের সাথে সংশ্লিষ্ট অধ্যায়, মানব জীবন, কারবার ও বাণিজ্যের বিষয়সমূহ প্রাসঙ্গিকভাবে আলোচিত হয়েছে তাতে এই পবিত্র গ্রন্থটির উপর গবেষণা করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কুরআন চিকিৎসা বিজ্ঞান চর্চায়ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।



যেমন- সূরা নাহলে মধুকে ঔষধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। হুনায়েন ইবনে ইসহাক (৮০৯-৭৭ খৃ.) পাশ্চাত্য জগতে ঔড়যধহহরঃরঁং ঙহধহ এর ঐঁহধরহঁং নামে পরিচিত। তিনি খলিফার নিযুক্ত শ্রেষ্ঠ অনুবাদক বিজ্ঞানী ছিলেন। তিঁনি ইরাকের হিরা অঞ্চলে জন্ম গ্রহণ করেন। গ্যালেন সহ অনেক প্রাক রোমান বিজ্ঞানী তার মাধ্যমে আরবে পরিচিত হন। এ.গ. ডরপশবহং বলেন ঞযব সড়ংঃ ভধসড়ঁং ড়ভ ঃযব ঃৎধহংষধঃড়ৎং ড়ভ ঃযরং ঢ়বৎরড়ফ ধিং ঐঁহধুহ রনহ ওংযধয় (৮০৯-৭৭) যরসংবষভ ধ ঢ়যুংরপরধহ রিঃয ধ ংঃড়হম ধঃঃধপযসবহঃ ঃড় এধষবহ"গ্যালেন ছাড়াও তিনি এরিষ্টটল , প্লোটো, ইউক্লিড, হিপোক্রেটস, আরিবাসিয়ন এর গ্রন্থ সমূহ অনুবাদ করেন। অনুবাদ ছাড়াও তিনি শতাধিক মৌলিক গ্রন্থও রচনা করেন। তার পুত্র ইসহাক বিল হুনায়েন, খলীফা আল মুতামিদের সভাসদ ছিলেন, তাছাড়া অনুবাদক ও গ্রন্থকার হিসাবে তার খ্যাতি প্রসারিত ছিল। তার চিকিৎসা গ্রন্থগুলোর মধ্যে আদাবিয়াতুল মুফারেদাত, কুন্নশুল খাফফা, তরীখুল আতিব্বা অন্যতম। তিনি ৯১০ খ্রি. বাগদাদে মৃত্যুবরণ করেন।



হাসান ইবনে নুহ ১০ম শতাব্দীর শেষদিকে অন্যতম চিকিৎসাবিদ ছিলেন। তবে তার খ্যাতি তিনি ইবনে সীনার শিক্ষক ছিলেন । জিবাল প্রদেশের কুম নামক স্থানে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন এবং ১০ম ও একাদশ শতকের সন্ধিকরণে বাগদাদে চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হন। তার গ্রন্থাবলীর মধ্যে কিতাবু গানা ওয়া মানা ৩ খন্ডে বিভক্ত এবং সব চাইতে বিখ্যাত। অন্যান্য গ্রন্থ হলো মাকালাতু ফিত্তীব মুসতালাহাতেত তীব এবং কিতাবু এলালিল এলাল। আবুু মনসুর মুয়াফাক, আরব চিকিৎসা বিজ্ঞানে দুটো কারনে বিশিষ্ট। একটি হলো তিনি প্রাদেশিক ভাষা ফার্সীতে চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন, অন্যটি চিকিৎসা শাস্ত্রের সাথে রসায়ন সংযোগ সাধন করেছেন।



সামানীয় নৃপতি মনসুর ইবনে নূহের (৯৬১-৯৭৬ খৃ.) রাজত্বকালে হিরাতে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। মুসলিম চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে গুটি কতেক মনীষী রসায়নকে যোগ করেছেন তিনি তন্মেধ্যে অন্যতম। তিনি সোডিয়াম কার্বনেট এবং পটাশিয়াম কার্বনেট কার্যকারিতা পার্থক্য সন্বন্ধে যেমন লিখেছেন তেমনি তামা ও সীসা প্রর্ভতি যৌগিক পদার্থের বিষক্রিয়ার পার্থক্য সম্বন্ধেও আলোচনা করেছেন। এছাড়া কলিচুনের (য়ঁরপশ খরহব) লোমনাশক গুণ চষধংঃবৎ ড়ভ ঢ়ধৎরং তৈরী করতে ও সার্জারীতে এর ব্যবহার সম্পর্কে, ঈঁঢ়ৎরপ ঙীরফব ও ংরষরপরপ ধপরফ প্রর্ভতির ব্যবহার সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। ইবনে সীনা প্রমুখ প্রখ্যাত বিজ্ঞানীদের মাতৃভাষায় ফার্সী হওয়া সত্ত্বেও তারা আরবীতেই গ্রন্থাদী প্রণয়ন করেছেন। এক্ষেত্রে প্রথম ব্যতিক্রম এই আবু মনসুর মুয়াফাক। মাতৃভাষা চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রচারের এই বিজ্ঞানি ৯৭৫ খৃ. দিকে কিতাবুল অবনিয়া আন হাকায়েকুল আদবিয়া নামে ফার্মাকোলজী বিষয়ে একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। এর মালমসলা সংগ্রহে তিনি পারস্য ও ভারত বর্ষের বহু জায়গা ভ্রবণ করেন। ফার্সী ভাষায় এটি সর্ব প্রথম গদ্যগ্রন্থ।



৫৮৫টি প্রতিষেধক, তার মধ্যে ৪৬৬টি উদ্ভিদ, ৫৪টি ধাতব ও ৪৪টি জান্তব ঔষধের বর্ণনা তিনি দিয়েছেন। তার গ্রন্থটি ১০৫৬ খৃ. কবি আসাদী কপি করেন। ইউরোপের লাইব্রেরীতে যে পুরাতন পান্ডুলিপি পাওয়া গেছে তা আসাদীরই অনুলিপিকৃত। চৎড়ভ ঋ.জ. ঝবষরমসধহ ভিয়েনা থেকে সংগ্রহ করে প্রথমে ল্যাটিন ও পরে ১৮৫৯ খৃঃ ফার্সী ভাষায় পান্ডুলিপি সংস্কার করে প্রকাশ করেন। ১৮৯৩ সালে আব্দুল খালেক আকন্দ, পল হর্ণ, অধ্যাপক রবার্ট, অধ্যাপক পলি যৌথভাবে ঐধষষব থেকে গ্রন্থটি জার্মান ভাষায় অনুবাদ প্রকাশ করেন, যার নাম (উরব ঢ়যধৎসধশড় ষড়মরংপযবংং ঈৎঁহফংধঃমবফবং অনঁ গধহংঁৎ.)



চক্ষু চিকিৎসক ঃ



ঈযহধসঁংধষর নামে পাশ্চাত্যে পরিচিত ইরাকের চিকিৎসা বিজ্ঞানী আবুল কাশেম আম্মার বিন আলী মত্তসুলী খলিফা আল হাকিমের (৯৯৬-১০২০) সময়ে খ্যাতি লাভ করেন। চক্ষু চিকিৎসা বিশেষ করে চোখের ছানি অপারেশনে তিনি সিদ্ধহস্ত ছিলেন। চক্ষু চিকিৎসার ব্যাপারে তাকে মুসলিম জগতের সর্ব প্রথম মৌলিক চিকিৎসাবিদ বলা হয়। সারটনের মতে, ঞযব সড়ংঃ ড়ৎরমরহধষ ড়ভ গঁংষরস ড়পপঁষরংঃ, চোখ অপারেশনে তার দক্ষতা আলী ইবনে ঈসা সমসাময়িক কালে আর্বিভূত না হলে খুবই খ্যাতি লাভ করতো তবুও আম্মার বিন আলীর দান মৌলিক। এগুলোর বক্তব্য সেটাই প্রমাণ করে অসসধৎ নরহ অষর রহ সড়ংঃ ঁহঁংঁধষষু ড়াবৎংযধফড়বিফ নু যরং পড়হঃবসঢ়ড়ৎধৎু, ঃযব সড়ৎব ভধসড়ঁং নঁঃ ষবংং ড়ৎরমরহধষ অষর ওনহ ওংধ. কিতাবুল মনতাখাব ফি এলাজিল আইন আম্মারের চোখের রোগ চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের বিশিষ্ট রচনা । চোখের ছানি অপারেশনের তিনি শোষণ করে নরম ছানি তুলে ফেলার নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। তিনি একটি ফাপা সূচ ঝবষবৎড়ঃরপ এ ঢুকিয়ে দিয়ে শোষণ করে লেন্স তুলে নিতেন। এতে ঈযসধনবৎ- এ কোন ছিদ্র করার দরকার হতো না এবং জলীয় পদার্থ নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। বলা বাহুল্য, ১৯ শতকে ইউরোপে এ প্রথাই পূণরাবিস্কৃত হয়(নিজেদের নামে চালিয়ে দেয়)। এলগুড বলেছেন ঃ ঊঁৎড়ঢ়ব ৎবফরংপড়াবৎবফ ঃযব ঢ়ৎরহপরঢ়ষব রহ ঃযব হরহবঃববহঃয পবহঃঁৎু: আম্মার চোখের অহধঃড়সু, চধঃযড়ষড়মু এর চোখের ৬ প্রকার ছানি ও পীড়া নিয়ে মৌলিক চিন্তা উপহার দিয়েছেন। ঘধঃযধহ-যয়-গরধঃর ১৩ শতকে শেষদিকে হিব্র“তে এলাজিল আইন অনুবাদ করেন।



জার্মান ও ল্যাটিন ভাষায়ও অনেক অনুবাদ বের হয়। তার অন্য চিকিৎসা গ্রন্থটি হল মুনতাখাব ফি এলমিন আইন ওয়া আলালেহা ওয়ালদাওলাতেহা বিল আদরিয়াতিল হাদীদ। ইবনুল হাইসাম প্রখ্যাত মুসলিম পদার্থবিদ ও গণিতবিদ ইবনুল হাইসাম চক্ষু চিকিৎসার ব্যাপারে এক যুগপৎ অবদান রেখেছেন। চযুংরপং ও সধঃযবসধঃরপং সম্বন্ধে তাত্ত্বিক জ্ঞানকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কিভাবে ব্যবহার করা যায় , তিনি তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। চোখের এনাটমী পরীক্ষা করে তিনি ঝপষবৎড়রফ, পড়ৎহবধ, ঈযড়ৎড়রফ, ওৎরং প্রভৃতির পার্থক্য সুষ্টুভাবে নির্ধারণ করেছেন। তিনি চোখের ৎবঃরহধ, ড়ঢ়ঃরপ হবৎাব এর কাজ, চোখের দুই রসের জলীয় (ধয়ঁবড়ঁং) এবং স্বচ্ছ (ঠরষৎবড়ঁং) কাজ প্রভৃতি নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। বর্তমানের 'খবহং' ইংরেজী শব্দটি ইবনুল হাইসামের আরবীতে ব্যবহৃত আদাসা শব্দ থেকে উদ্ভুত হয়েছে। আদাসা অর্থ মসুরের ডাল। চোখের লেন্স, মসুরের ডালের মত নরাড়হাবী ল্যাটিন অনুবাদকরা এই আদাসাকে তাই খবহঃরপঁষঁস বলে অনুবাদ করেন। এই শব্ধটি আজ ষবহং নামের পরিচিত হচ্ছে। ইবনুল হাইছামের তাত্ত্বিক মতবাদ প্রযুক্তির মাধ্যম চশমা আবিস্কারের সাহায্য করে বলে তিনি চশমা আবিস্কারের আদি পুরুষ।



ঐতিহাসিক হিট্টির বক্তব্য, ওহ পবৎঃধরহ বীঢ়বৎরসবহঃং যব ধঢ়ঢ়ৎড়ধপযবং ঃযব ঃযবড়ৎবঃরপধষ ফরংপড়াবৎু ড়ভ সধমহরভুরহম মষধংংবং যিরপয ধিং ধপঃঁধষষু সধফব রহ ওঃধষু ঃযৎবব পবহঃঁৎরবং ষধঃবৎ. বাগদাদের ইব্রাহীম বিন বিলমিজ (জন্ম ১০৭৩ খ্রি.) আজুদী হাসপাতালের চিকিৎসক হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি গ্রীক ও আরবী চিকিৎসা গ্রন্থের অনেকগুলো ভাষ্য রচনা করেছিলেন। তিনিই প্রথম মহনবীর (সাঃ) চিকিৎসা বিষয়ক হাদীসগুলো নিয়ে একটি ভাষ্য তৈরী করেন। এছাড়া চযধৎসধপড়ঢ়রধ বিষয়ে একটি গ্রন্থ তার আছে। সমসাময়িক আরো কয়েকজন চিকিৎসক হলেন আলী মালকা, হিবাতুল্লাহ আল ইসপাহানী (মৃ. ১১৪৫ খ্রি.) ইসমাইল আল জুরজানী (মৃ. ১১৩৫-৩৬ খ্রি.) আল গাফিকী, ইবনে রুশদ, ফকরুদ্দীন রাজী প্রমূখ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের শরীরবিদ্যা (চযুংরড়ষড়মু) এনাটমী, সার্জারী অস্ত্র চিকিৎসায় মুসলিম চিন্তধারার নতুনত্ব আধুনিক সর্বশ্রেষ্ঠ অগ্রগতি সাধন করেছেন চক্ষু চিকিৎসায়। এ বিষয়ে তাদের মৌলিক অবদান স্বীকৃত হয়েছে। ড. এলগুড বলেন, 'এষধঁপড়সধ ঁহফবৎ ঃযব হধসব যবধফধপযব ড়ভ ঢ়ঁঢ়রষ' ধিং ভরৎংঃ ফবংপৎরনবফ নু ধহ অৎধন, ঢ়যষুবঃবহঁষধব ধহফ ঃযব 'ংঃরহম ড়ভ ঢ়বধৎষং' াবংরপষবং ড়হ ধ নধষধহপযবফ বুব-নধষষ ধঢ়ঢ়বধৎ ভড়ৎ ঃযব ভরৎংঃ ঃরসব রহ অৎধন ষরঃবৎধঃঁৎব.। রসায়নের ফার্মাসীর উদ্ভাবন করেছিলেন এবং আজ যে সব প্রতিষ্ঠানকে “চিকিৎসালয়” বলা হয় তার প্রথম প্রতিষ্ঠাতা তারাই। তারা প্রত্যেক শহরে জনসাধারণের জন্য হাসপাতাল নির্মান করেন হাসপাতাল “দারুশ্ শিফা” (আরোগ্য নিকেতন),



“মারিস্তান” (বিমারিস্তানের সংক্ষেপরুপ) রোগীর আবাসগৃহ নামে অভিহিত হত। তারা রাষ্ট্রীয় খরচে হাসপাতাল চালাতেন। আল্ বুকাসিস শুধু একজন চিকিৎসকই ছিলেন না, তিনি একজন প্রথম শ্রেণীর শল্যচিকিৎসকও ছিলেন। তিনি তার নিজস্ব ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগে সর্বাপেক্ষা জটিল অস্ত্রোপচার করতেন, স্ত্রী লোকদের ওপর অস্ত্রোপচার ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন যে, সঙ্কোচের বিষয়টি বিবেচিত হত এবং যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলাদেরকে সংগ্রহ করা হত।



গ্রীকরা শারীরবিদ্যা সম্পর্কে স্থূল জ্ঞান রাখতেন; ওষুধ প্রস্তুত প্রণালী সম্পর্কেও তাদের জ্ঞান ছিল অত্যন্ত সীমিত। মুসলমানেরা শারীরবিদ্যা ও ভেষজবিজ্ঞানকে যথার্থ বিজ্ঞানে পরিণত করেছিলেন। খিলাফত রাষ্ট্রের বিশাল বি¯তৃতির জন্য বিশ্বের সর্বত্র গবেষণা ও অনুসন্ধান চালানো সম্ভব হয়েছিল; ফলে অসংখ্য ও মহামুল্য সংযোজনের মাধ্যমে তারা তৎকালীন ভেষজবিজ্ঞানকে ঐশ্বর্যমন্ডিত করেন। ডায়োসকোরাইভ যে অবস্থায় উদ্ভিদবিজ্ঞানকে রেখে গিয়েছিলেন তারা তাকে বহু উচ্চে উন্নীত করেন এবং গ্রীকদের ঔষধিবিজ্ঞানকে দু’হাজার গাছ গাছড়ার সংযোজনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে তোলেন। শিক্ষার্থীর শিক্ষনের জন্য কর্ডোভা ,বাগদাদ, কায়রো ও ফেজে বিজ্ঞানে সুশিক্ষিত ও সুপন্ডিত ব্যক্তিরা নিয়মিত ভাষণ দিতেন।







ঔষুধ শিল্প ঃ



ইতিহাসে ওষুধ তৈরীর জন্য প্রথম দিকে আলাদা কোন বিশেষজ্ঞ শ্রেণীর সাক্ষাৎ পাওয়া যায় না। ৯ম শতকে মুসলিম শাসনামলের প্রথম দিক থেকে চিকিৎসক ও ওষুধ প্রস্ততকারীদের পার্থক্য গড়ে উঠতে থাকে। ক্রমে ওষুধের সংখ্যা বাড়তে থাকলে সেগুলো তৈরীর সুকৌশলী কায়দা কানুনও তৈরী হতে থাকে। এ সময় অনেকেই এব্যাপারে বেশ পারদর্শী হয়ে ওঠেন। তাদেরকে বর্তমানের ড্রাগিষ্ট শ্রেণীর লোক বলা যেতে পারে। বস্তুত ৯ম শতক থেকেই চিকিৎসক ও ওষুধ তৈরীকারী এই দু প্রকৃতির বৈজ্ঞানিক শ্রেণী গড়ে ওঠে। তবে শিল্প হিসেবে এটি ইতিহাসে স্থান করে নেয় আরো অনেক পরে এবং বাগদাদেই সর্বপ্রথম ওষুধের দোকান প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশের বড় বড় সব শহরে ওষুধের দোকান চালু হয়ে যায়। অবশ্য পাড়াগায়ে এ ব্যবস্থা তখনও পর্যন্ত চালূ হয়নি। ওষুধের দোকানকে বলা হতো ‘আলআত্তার এবং ফারসীতে ‘দারফুরুশ। চিকিৎসকদের মতই ওষুধ বিক্রেতাদেরও তখন মুহতাসিবের (ইন্সপেক্টর জেনারেল) তত্ত্বাবধানে কাজ করতে হতো। ‘মুহতাসিব’ লক্ষ্য রাখতেন যেন অভিজ্ঞ ব্যক্তিরাই শুধু ওষুধ তৈরী ও বিক্রি করে। মুহতাসিব তাদের আল্লাহর শাস্তির কথা, কেয়ামতের কথা, পরলোকের কথা এবং সঙ্গে সঙ্গে পার্থিব শাস্তির কথাও মনে করিয়ে দিতেন। কিন্তু এতসব সত্ত্বেও ওষুধের মান ঠিক করা নিয়েও বেশ ঝামেলা হতো। এজন্য সবুর বিন সহল প্রথম সরকারীভাবে pharmacopea প্রবর্তন করেন। অতঃপর আরও মার্জিত ও আধুনিক পদ্ধতিতে ইবনুল বারান এবং ইবনুল তিলমিজের pharmacopea প্রকাশিত হয়।



..............

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০২

মাহিরাহি বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১২

বাংলার হাসান বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.