নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার
পুঁজিবাদী,সাম্রাজ্যবাদী নীতি পদ্ধতির বাস্তবায়নের পথে সব থেকে বড় বাধা হল ইসলাম। তাই মুসলিমকে নিষ্ক্রীয় করার জন্য,একে ভেতর থেকে দূর্বল করার জন্য তারা ইসলামের বিরুদ্ধে নানামুখী অপপ্রচারে লিপ্ত। তাদের মিডিয়ার মাধ্যমে পত্যক্ষ,পরোক্ষভাবে এমন চতুরতার সাথে অপপ্রচার চালায় যাতে মুসলিমরা হীনমন্যতায় ভূগতে থাকে এবং ইসলাম পালন করতে লজ্জা বোধ করে। তারা চায় ইসলাম নিয়ে কেউ যাতে এগিয়ে না যায় এবং যারা ইসলামকে ছাড়তে পারেনা তারা যেন একে শুধুমাত্র একটি ফ্লেভার হিসেবে ধরে রাখে। । পাশ্চাত্যের মানবতা বিধ্বংসী পরিকল্পনা দেখে তারা যেন শুধুমাত্র “অন্তর থেকে ঘৃণা করো”এই নীতি মেনে নিয়ে প্রতিবাদ,প্রতিরোধ করার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে। এ লক্ষ্যে তারা(ইসলাম বিরুদ্ধ শক্তি) প্রত্যক্ষ,পরোক্ষভাবে চাপ সৃষ্টি ছাড়াও যে কৌশলটির আশ্রয় নেয় তা হল-“ইসলামের পক্ষে থেকে এর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো এবং যুবক,তরুণদের মানুষিকতাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা”। যদিও পাশ্চাত্যের লোকেরা এটি হাড়ে হাড়ে বুঝে এবং মাঝে মাঝে স্বীকার করে যে, ইসলামকে ঠেকানো সম্ভব নয়,তা প্রতিষ্ঠিত হবেই।
কিন্তু ইসলামকে না ঠেকালে তাদের লুটে পুটে খাওয়ার দিন শেষ হয়ে যাবে,মানুষকে বোকা বানানোর রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে তাই ইসলামকে যেভাবেই হোক ঠেকিয়ে রাখতে হবে,যতদিন পারা যায়। তাই বুদ্ধিবৃত্তিক উপায়ে ও শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে ইসলামকে চাপা দিতে হবে। যে সমস্ত মুসলিম শুধু মসজিদে যায় আর আসে ,যারা পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে ইসলামকে নেয়নি,তারা এদের কাছে অতি প্রিয় এবং এদেরকে তারা প্রকৃত ও শান্তিপ্রিয় মুসলিম অখ্যায়িত করে।
আর যারা ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে নেয়,তাদেরকে এরা বলে সন্ত্রাসী,গোঁড়া,প্রাচীন,মৌলবাদী,মানবতা বিধ্বংসী ইত্যাদি(মুসলিমকে এমন সার্টিফিকেট দেওয়া দেখে মনে হয় ওরা সব বড় বড় আলীম,মুস্তাহিদ)। তারা ইসলামী বিধান সম্পর্কে জনমনে ভীতি ছড়ায়, যাতে মুসলিমরা ইসলাম সম্পর্কে উদাসীন হয়ে পড়ে। ইসলামের বিভিন্ন আইনের ব্যাপারে তারা (পাশ্চাত্য এবং দালালরা) আপত্তি করে যেমন ব্যাভিচার ও চুরির শাস্তির ব্যাপারে বিরুপ মন্তব্য করে বলে, এটি অমানবিক। এবার এ দুটি বিষয় নিয়ে দুটো কথা বলবো ঃ
[u] চুরির শাস্তি[/u]
আল- কূরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন “কোন পুরুষ বা নারী চুরি করলে তার হাত কেটে ফেল,এটি তার কৃত কাজের শাস্তি এবং এটি আদর্শ শাস্তি যা অপরাধ দমনের জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নির্ধারিত। আল্লাহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী এবং প্রজ্ঞাময় ।” (আল-কুরআন,৫ঃ৩৮)
এর অর্থ এই নয় যে,ইসলামী খিলাফত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবার পরই চোরদের ধরে ধরে হাত কাটা শুরু করে দিবে। আল-কূরআনে বর্ণিত আল্লাহ পাকের প্রত্যেকটি হুকুম বাস্তবায়িত করার একটি পদ্ধতি আছে, আর সে পদ্ধতি মহান আল্লাহ তায়ালা তার রসূল(সাঃ) এর মাধ্যমে আমাদেরকে শিখিয়েছেন। তাই আল্লাহর প্রত্যেকটা হুকুম আল- কূরআন দেখেই হুবহু বাস্তবায়িত হয় না বরং রসূল (সাঃ) কিভাবে তা বাস্তবায়িত করেছেন, সেই পদ্ধতি বা সুন্নাহ অনুসরণ করা হয়। এছাড়া প্রধান সাহাবাদের(রাঃ) সম্মিলিত মতামত বা “ইজ্মা” অনুসরণ করা হয় যা কূরআন ও সুন্নাহর সাথে সম্পৃক্ত। এরপর “কিয়াস(ইয্তিহাদ)” বা মুজতাহিদদের(সর্ব শ্রেষ্ঠ আলিমদের) আল- কূরআন, সুন্নাহ এবং ইজমা হতে নির্ণেয় সিন্ধান্ত বা মতামত অনূসরণ করা হয়। খুলাফায়ে রাশেদার খলিফাগনের কার্যপ্রনালী বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এভাবেই ইসলামী ফিকাহ্ বা আইন শাস্ত্র তৈরি হয়েছে। একেকটি বিষয়ের বিষদ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে কুরআন, সুন্নাহ, ইজমা, কিয়াস অনুসরণ করে বিচার কার্য পরিচালনা করা হয়। আর একাজ এতটা সতর্কতার সাথে ও বস্তুনিষ্ঠতার সাথে করা হয় যা, অন্য জাতির পক্ষে কখনই করা সম্ভব নয়।
কোন চোর যদি চুরি করে তবে সে কেন চুরি করেছে তা সর্ব প্রথম দেখা হয়। চুরি করা জিনিসের পরিমান, মুল্য নিরুপন করা হয়। সন্দেহতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হলেই তবে কঠিন শাস্তির বিধানের প্রশ্ন আসে। এছাড়া বিভিন্নভাবে জেরা এবং সাক্ষ প্রমানের ভিত্তিতে যদি সাব্যস্ত হয় যে,এই লোকটি চোর কিন্তু উক্ত লোকটি যদি যৌক্তিকভাবে বলে সে চুরি করেনি,এ বিষয়ে যদি বিচারক সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগেন,তাহলে এক্ষেত্রে কঠিন শাস্তির বিধান বর্তায় না, দোষ প্রমানিত না হলে খালাস করে দেওয়া হয়। কঠিন শাস্তির বিধান আরোপের জন্য নিঃসন্দেহ হওয়া জরুরী এবং পূর্ব,পরের যাবতীয় ঘটনা বিশ্লেষণ করা হয়।
চোর যদি অভাবের তাড়নায় চুরি করে তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠেনা বরং জনগণের প্রতিনিধি বা খলিফা এব্যাপারে লজ্জিত হন এবং এমন ঘটনা ঘটলে তিনি জনতার উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এভাবে যে- “ এটি আমার ব্যর্থতা, আমি যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে অভাবী মানুষের সৃষ্টি হয়েছে, এ দায় আমার অতএব আমি ক্ষমা প্রার্থী ”। এ জাতীয় চোরকে (অভাবের তাড়নায় চুরি করা চোর) পূর্ণবাসিত করা হয়। পূর্ণবাসিত হবার পর এ লোকটি যদি স্বচ্ছল হয় (যাতে অভাবের তাড়নায় আর চুরি করা না লাগে) এবং তারপর যদি চুরি করে তবে সে পেশাগত ভাবেই চোর বলে প্রতিয়মান হয়। আর তখন সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্যে কঠোর শাস্তির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে চুরির শাস্তি “হাত কাটা” আইন র্ফজ হয়।
হযরত ওমর(রাঃ)যখন খলিফা ছিলেন,তখন একদা এক ধনী ব্যবসায়ী তার এক কর্মচারীকে খলিফার কাছে ধরে নিয়ে এসে বললো-সে আমার কর্মচারী এবং সে চুরি করে ধরা পড়েছে,আপনি এখন তার উপর হাত কাটার শাস্তি প্রয়োগ করুন। হযরত ওমর(রাঃ) উক্ত কর্মচারীকে তার বেতনের কথা জিজ্ঞেস করলেন এবং সে তা বললো। তারপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন,এই বেতনে তার ভালভাবে চলে কি না। সে বললো-এই পরিমান বেতনে তার সত্যিই চলে না। উক্ত ব্যবসায়ীকেও জিজ্ঞেস করা হলো এই পরিমান বেতনে ভালভাবে চলা সম্ভব কি না। ব্যবসায়ী বললো-যে বেতন সে পায় তা দিয়ে ভালভাবে চলা সম্ভব নয়। অতঃপর হযরত ওমর(রাঃ)বললেন-তুমি তার বেতন বাড়িয়ে দিবে,আর যদি বেতন না বাড়াও এবং আবারও একই কারনে এখানে বিচার চাইতে এসো;তাহলে ওর চুরির জন্য তোমার উপর শাস্তি প্রয়োগ করব।
এছাড়া জাতীয় সংকটকালীন সময়ে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এ শাস্তি স্থগিত করা হয়ে থাকে। যেমন- মদীনাতে দূর্ভীক্ষ্য দেখা দিলে রসুল (সঃ) হাত কাটার আইন বা চুরির যে কোন ধরনের শাস্তির বিধান স্থগিত করেছিলেন কারণ তিঁনি মনে করেছিলেন,মানুষ এখন স্বভাবের জন্য নয়,অভাবের তাড়নায় চুরি করতে পারে। তার থেকেও বড় কথা হলো একটি অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত এ শাস্তির বিধান চলু করা হয় না। যেমন- বাংলাদেশের পরিস্থিতি হলো যে, এদেশটি ক্রমাগত কয়েকবার দূর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, হত্যা এখানে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। সর্বক্ষেত্রে চরম অরাজকতা বিরাজমান। রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষই স্বয়ং চুরির সাথে জড়িত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চুরির ঘটনা এমন ভাবে ঘটছে যেন এটাই সাং®কৃতি এবং মানুষেরও গা সওয়া হয়ে গেছে। তাই এ পরিস্থিতিতে উক্ত আইন বলবৎ করার আগে এ জাতীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হবার কারণ অনুসন্ধান, পর্যালোচনা করেই এ শাস্তির বিধান চালু করা হবে বা এভাবে হয়।
এখানকার ৫০% এরও বেশি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে বাস করে। অন্যদের অবস্থাও সুবিধার নয়। স্বামী -স্ত্রী উভয়ই চাকুরী করেও সংসার চালাতে হিমশিম খায়। অন্যদিকে এক শ্রেণীর মানুষ অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছে এবং প্রচলিত পুঁজিবাদী ব্যবস্থা তাদেরকে অবৈধভাবে পাহাড় সমান সম্পদ গড়তে উৎসাহিত করছে। ধনী দরিদ্রের এ বৈষম্য দূরিভূত করে সাধারণ জনগনের জন্যে অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান এর নিশ্চয়তা বিধান করার পরই চুরির দায়ে হাতকাটার আইন বলবৎ করা হবে। নইলে এখন যদি বাংলাদেশে এ আইন চালু করা হয় তবে বাংলাদেশের বহু লোকেরই একটি হাত নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে(যারা পেটের দায়ে চুরি করে)তবে ধণীক শ্রেণীর কথা আলাদা(তাদের তো চুরি করার দরকারও নেই)। আর শাস্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ইসলামী রাষ্ট্র সচেতনতা সৃষ্টি করে। আত্মশুদ্ধির ব্যবস্থা রাখে। অপরাধের রাস্তা বন্ধ করে। এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করে যাতে চুরি করতে না হয়। সেখানে ধণী ও গরীব হয় একে অপরের পরিপুরক। একটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পরিবেশ বিরাজ করে। অপরের প্রতি সহানুভূতিশীলতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থাপনের চাইতে দোষ গোপন করা,ক্ষমা করে দেওয়া এবং সংশোধন করে দেওয়ার সাং®কৃতি গড়ে ওঠে।
ডাকাতি,লুন্ঠন ও ছিনতাই এর শাস্তি ঃ
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ “যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে অভিযানে লিপ্ত হয় এবং ডাকাতি ও রাহাজানি করে ভূ-পৃষ্ঠে ফ্যাসাদ ও অশান্তি সৃষ্টি করে,তাদের সমুচিত শাস্তি হলো এই যে ,তাদের হত্যা করা হবে(তারা যদি খুন ও লুন্ঠন উভয়ই করে থাকে),বা একদিকের হাত, অন্যদিকের পা কেটে দেওয়া হবে(যদি শুধু লুন্ঠন করে)বা দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে(যদি খুন বা লুন্ঠন করার আগেই ধরা পড়ে যায়।)এ শাস্তি তাদের জন্য শুধু দুনিয়ার লাঞ্চনা, এছাড়া তাদের জন্যে আখিরাতের ভিষণ আজাব রয়েছে।”(সূরা মায়েদা,৯ রুকু)
বিশ্ময়কর ব্যাপার !
চুরির দায়ে হাতকাটার আইন নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। এখন উপসংহারে আসি ঃ-
পাশ্চাত্যের লোকেরা এবং তাদের মদদপুষ্ট বুদ্ধিজীবীরা এ আইন নিয়ে অনেক কথা বলেছে। অথচ আপনি জানেন কি ? বিগত ১৪০০ (চৌদ্দশত) বছরে পৃথিবীতে ইসলামী খিলাফতের সময়ে এবং পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ আজকের দিন পর্যন্ত চুরির দায়ে হাত কাটা গেছে -এমন লোকের সংখ্যা এক'শ এর সামান্য বেশী। অথচ মাত্র দুই সপ্তাহে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের অথবা মজলুমের সম্পদ লুষ্ঠনের জন্যে এর থেকেও বেশী সংখ্যক মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করে থাকে। কই এটা নিয়ে তো কথা বলা হয় না ! অথচ সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্যে এবং চুরির ঘটনা না ঘটার জন্যে, কল্যানমূলক ইসলামী শরিয়া আইন নিয়ে কথা বলা হয়। তাহলে “আমরা চিন্তাগত ভাবে পাশ্চাত্যের দাসে পরিণত হয়েছি ”, এটাই কি প্রমানিত হচ্ছেনা ?
২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
দ্য েস্লভ বলেছেন: আপনি সত্য বলেছেন। যদি আমার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে তাহলে তাকে দেখা আমার অবশ্য কর্তব্য। আর সকল কিছু তো আল্লাহর জন্যেই। হজ্জ করতে গেরৈই যে তা আল্লাহর কাছে গ্রহনীয় হবে এমন কথা নেই। সমাজের বহু লোক তো হারাম পয়সায় হজে যাচ্ছে। এরা আল্লাহর সাথে ধোকাবাজিতে নেমেছে।
২| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯
মাহিরাহি বলেছেন: তথ্যসূত্য দিলে ভাল হয়।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
শ্রীঘর বলেছেন: জাত গেল জাত গেল বলে
কেনো এত...
গোপনে যে বেশ্যার ভাত খায়
...
৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭
যাযাবরমন বলেছেন: @ পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন একই সময়ে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে হজে গেল। দেশের কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বললেন না, যে এবার হজ না করে টাকাটা বন্যাদুগর্তদের দেওয়া হোক।
কেন হজের টাকা তদের দিয়ে দিলে কি হতো? ঐ টাকা আপনারা যারা রাজনিতি করেন তারা মেরে খেতেন।
বন্যাদুগর্তদের জণ্য দেশে ফান্ড আছে, বিদেশ থেকেও শত শত কোটি টাকা এসেছে, তার সবই আপনারা যারা রাজনিতি করেন তারা মেরে খেয়েছেন, এখন হজের কোটি কোটি টাকার জন্য মুখে পানি চলে এসেছে?
৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
কালো পতাকার খোঁজে বলেছেন: @পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন :
ঐ সময় মার্কেট গুলাতে যে পরিমাণ টাকার শপিং হইছে, সেটা দুর্গতদের দেয়ার ব্যাপারে কিছু বললেননা?
যারা বন্যা দূর্গত ছিলনা, তাদের এক সপ্তাহের পোলাও-বিরিয়ানীর টাকার কথা বললেননা?
তেমনি ভাবে সে সময় সিনেমা হল, পার্টি, ফাইভ স্টার হোটেল, আমোদ ভ্রমণ, বিলাস বহুল বাস,ট্রেন, প্লেন ভ্রমণের পেছনে যে টাকাটা আমাদের দেশের লোকজন খরচ করছে সেটার কথাও দেখি ভুলে গেলেন।
ঢাকার বার আর নাইট ক্লাব গুলাতে আধা আলোতে যে টাকা উড়ে গেলো সেটা ও আপনার চোখে ধরা পড়লনা।
খালি দেখলেন হজের খরচটা। ইসলামোফোবিয়ায় আক্রান্ত চোখ মনে হইতাছে।
৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: প্রতিবেশী ক্ষুধার্ থাকলে ঈমান থাকে না। ঈমানই যদি না থাকে তাহলে হজ হয় কিভাবে?
হজ করতেও তো সময় লাগে শম লাগে। দুরনীতিই যদি হবে টাকাটা নিজে খরচ করেন। শুধু তাই নয়, যারা হজে যায় এদের অনেকেরই নিকট আত্মীয় দেখেন। তারাও অনেক দরিদ।
আবালচুদার মতো কথা কোন আক্কেলে বলেন বুঝে পাচ্ছি না। স্বীকার করুন যে বিষয়টা ভুল। আমি ওই কথাটা লিখলাম এর মানে আমি দুরনীতির সাফাই গাই সেটা কি ধরনের যুক্তি হলো??
মনে করুন দুইটা সমাজেই খারাপ বিষয় রয়েছে।
এখন আমি একটা নিয়ে লিখলাম। এর মানে কি এই দাড়ায় যে আমি অপরটিকে ভালো বলছি? ?
মাদি ছাগল জানি কুহানকারর
২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
দ্য েস্লভ বলেছেন: আমরা যদি মুসলিম হয়ে থাকি তবে এভাবে আক্রমন শোভনীয় নয়। সংযম প্রদর্শন করা উচিত। হজ্জ এবং প্রতিবেশীকে দেখা দুটোই জরুরী। কিন্তু একটা উদাহরণ দিচ্ছি। নামাজ ফরজে আইন বা অবশ্য কর্তব্য। আমি মসজিদে যাচ্ছি এমন সময় যদি দেখী একজন লোক রোড একসিডেন্ট করেছে তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। তখন কি করব ? বেবোধ মুসলিম হলে সে নামাজে যাবে। আর আলিম হলে সে অবশ্যই আগে তাকে হাসপাতালে পৌছে দিবে,এরপর নামাজে আসবে। কারন তখন ওটা ছিল ফরজ। আর তার কাজটা কবুল করার মালিক আল্লাহ। তাই বুঝে নিতে হবে কখন কি করতে হবে।
৭| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪২
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হিসাব সোজা। আমাদের দেশের ইসলামী চিন্তাবিদ থেকে শুরু করে মাওলানাদের অনেকেই বদলি হজ করে কিছু আয় করেন। অনেক হুজুরের দেখেছি হজ এজেন্সির সাথে ব্যপক লাইন। তারা হাজী ধরে এনে কিছু আয় করেন। দেশের দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষকে ফেলে হজে যাওয়া কোনো ধর্ম নয়। কিন্তু আমাদের দেশের মাওলানা বা ইসলামী চিন্তাবিদেরা তা বোঝেন না, পেট বাঁচানোর তাগিদে।
৮| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিপদে পড়া মানুষকে সহায়তা করার জন হজে না গিয়েও হজ হয়ে গেছে এমন নজির ইসলামের হাদিস কালামেই আছে। আর হজে গিয়েও হজ হয় না এরকমের সখা বেশি।
বাড়া নিজেদের ধম্মটাও আপনারা ঠিক মতো জানেন না। কেও কিছু বললে আচুদা বাখা না দিয়ে নিজেরা ঠিক হওযার চেষ্টা করেন। সেটাই হবে পোরোকিরিতো মুসলমানের কাজ । আর আচুদা বাখা দিয়ে এখন যেটা করছেন এটা হলো জামায়াতের মানসিকতা।
৯| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
মুদ্দাকির বলেছেন: @ পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন
কি হিন্দু ভাই, আপনি দেখি সব খানেই একি কপি পেস্ট মারতেছেন????
আপনি হিন্দু হয়েও মুসলিম দের নিয়ে এত ভাবেন দেখতে ভালোই লাগে???
১০| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: মুদ্দাকির ভাইজান, মস্তক আপনার ঠিক নাই। আমারে হিন্দু কয় কোন শালা? ?
কি আজব বিষয়, হাদিসের কথা কইলেও হিন্দু হতে হয় মানুষকে??
বাল্ডালি মুসলিম পুড়াই ফাতরা মুসলিম। এই চুদির ভাইরা ধম্মের ইজ্জত শেষ করে দিল।
কিবোড পবলেম। বুঝে নিয়েন।
১১| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আমি একটা বিষয় অবাক হলাম। আপনাদের ধম্ম জ্ঞান দেখে। আপনারা বক্তি সমালোচনায় চলে গেলেন।
বক্তি সমালোচনায় পরে যান। আগে বলুন যে, হা আমাদের ধম্ম পালনে সমসা আছে। আমাদের সমাজটাই তো এরকম। যে কোনো বিবেকবান লোক এটা স্বীকার করবে।
ভণ্ড ভণ্ড ভণ্ড শিরোনামে আমার একটি গদ রয়েছে। পড়ার আহবান জানাই । সেখানে আমার নিজের বাপের কথাও আছে। আগামি পরবো গুলোতে সামাজিক ভণ্ডামি নিয়েও লিখবো।
Click This Link
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ২০০০ এর দশকে (সালটা মনে নেই) একবার দেশে মারাত্মক বন্যা হলো। দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তায় আশ্রয় নিলো। বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি ঘোষণা করা হলো। ঠিক একই সময়ে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করে হজে গেল। দেশের কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বললেন না, যে এবার হজ না করে টাকাটা বন্যাদুগর্তদের দেওয়া হোক। মানুষের জন্য ধর্ম না ধর্মের জন্য মানুষ? ইসলামে কি বলে?
যতদুর জানি ইসলামে একটা কথা স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবেশী ক্ষুধার্ থাকলে ঈমান থাকে না। ঈমানই যদি না থাকে তাহলে হজ হয় কিভাবে?
হিসাব সোজা। আমাদের দেশের ইসলামী চিন্তাবিদ থেকে শুরু করে মাওলানাদের অনেকেই বদলি হজ করে কিছু আয় করেন। অনেক হুজুরের দেখেছি হজ এজেন্সির সাথে ব্যপক লাইন। তারা হাজী ধরে এনে কিছু আয় করেন। দেশের দুর্যোগ মুহুর্তে মানুষকে ফেলে হজে যাওয়া কোনো ধর্ম নয়। কিন্তু আমাদের দেশের মাওলানা বা ইসলামী চিন্তাবিদেরা তা বোঝেন না, পেট বাঁচানোর তাগিদে।