নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দ্য েস্লভ

দ্য েস্লভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আযান

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫২


– মহাকবি কায়কোবাদ ( জন্ম : ১৮৫৭ মৃত্যু : ১৯৫১)
(রসপাল নামক যমুনার তীরবর্তী ছোট্ট একটি গ্রামে প্রায় ১৩২ বছরের পুরনো ভগ্নপ্রায় মসজিদের ছায়াঢাকা বারান্দায় বহুকাল আগে লেখা হয়েছিল একটি অনন্য জাগরণী কবিতা।)



কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি।
মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।
কি মধুর আযানের ধ্বনি!
আমি তো পাগল হয়ে সে মধুর তানে,
কি যে এক আকর্ষণে, ছুটে যাই মুগ্ধমনে
কি নিশীথে, কি দিবসে মসজিদের পানে।
হৃদয়ের তারে তারে, প্রাণের শোণিত-ধারে,
কি যে এক ঢেউ উঠে ভক্তির তুফানে-
কত সুধা আছে সেই মধুর আযানে।
নদী ও পাখির গানে তারই প্রতিধ্বনি।
ভ্রমরের গুণ-গানে সেই সুর আসে কানে
কি এক আবেশে মুগ্ধ নিখিল ধরণী।
ভূধরে, সাগরে জলে নির্ঝরণী কলকলে,
আমি যেন শুনি সেই আযানের ধ্বনি।
আহা যবে সেই সুর সুমধুর স্বরে,
ভাসে দূরে সায়াহ্নের নিথর অম্বরে,
প্রাণ করে আনচান, কি মধুর সে আযান,
তারি প্রতিধ্বনি শুনি আত্মার ভিতরে।
নীরব নিঝুম ধরা, বিশ্বে যেন সবই মরা,
এতটুকু শব্দ যবে নাহি কোন স্থানে,
মুয়াযযিন উচ্চৈঃস্বরে দাঁড়ায়ে মিনার ‘পরে
কি সুধা ছড়িয়ে দেয় উষার আযানে!
জাগাইতে মোহমুদ্ধ মানব সন্তানে।
আহা কি মধুর ওই আযানের ধ্বনি।
মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সমধুর
আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৪

আশা প্রত্যাশা বলেছেন: দারুন! খুব ভালো লেগেছে।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১

আনু মোল্লাহ বলেছেন: কবিতাটি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

সংশপ্‌তক বলেছেন: I love the poem.

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: যুগ শ্রেষ্ঠ কবিতার মধ্যে অন্যতম কবিতা এটি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.