নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায় মানুষ সেই অতীত থেকেই নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারনে যুদ্ধ করে আসছে। বর্তমান সময়ে আমরা বিভিন্ন আধুনিক অস্ত্র বিষেশ করে বিভিন্ন বন্দুকের নাম শুনলেও সুদূর অতীতে যখন এই বন্ধুক আবিস্কার হয়নি তখনও কিন্তু যুদ্ধ হত। আর তৎকালীন সময়ে যুদ্ধে ব্যাবহৃত হত নানা রকমের মারন অস্ত্র। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব এরকম কিছু বিখ্যাত মারন অস্ত্রের সাথে যেগুলি বিভিন্ন সময়ে মানুষ ব্যাবহার করেছে।
১০) Macuahuitl:
Macuahuitl নামটা উচ্চারনে বেশ জটিল হলেও অস্ত্র হিসেবে কিন্তু মোটেও জটিল কিছু নয়। অনেকটা কাঠের তৈরি তলোয়ারের মত। কিন্তু এই কাঠের তৈরি তলোয়ারের কিনারা ধরে লাগানো থাকে সূচালো কাচের মতো দেখতে একজাতীয় আগ্নেয়শিলা (Obsidian)। তলোয়ারের মত কাজ না করলেও ঘায়েল ব্যাক্তিকে চিরে ফেলতে সক্ষম এই Macuahuitl। এই অস্ত্র ব্যাবহার করত আজটেক জাতি গোষ্ঠীর লোকেরা।
০৯) গুলতিঃ
গুলতি (Arbalest) দেখতে অনেকটা আড় ধনুক (Crossbow) এর মত হলেও এটির দক্ষতা যে কোন প্রকারের তীরের তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। ১২শ শতকের দিকে আবিস্কার হয় এই অস্ত্রটি ইউরোপিয়ান্দের দ্বারা। বলতে পারেন অতীতের বন্দুক।
০৮) Scissor:
Scissor এর ব্যাবহার ছিল রোমান সম্রাজ্যে গ্লাডিয়েটরদের মধ্যে। যে সকল গ্লাডিয়েটর এই Scissor ব্যাবহার করত তাদের নামও দেওয়া হত Scissor। অদ্ভুদ এই অস্ত্রটি শক্ত ধাতুর তৈরি, এই অস্ত্র গ্লাডিয়েটরের হাতের কনুই পর্যন্ত ঢেকে রাখত আর সামনের দিকে থাকত তীক্ষ্ণ ধারালো বৃত্তাকার ফলক।
০৭) Hunga Munga:
Hunga Munga অস্ত্রের ব্যাবহার ছিল আফ্রিকার চ্যাড হ্রদের পার্শবর্তি অধিবাসীদের মধ্যে। এই অস্ত্র পুরাটাই ধাতুর তৈরি। অনেকটা কাস্তের মত দেখতে হলেও এর হাতলের একটু উপর দিকে ধারালো ছুড়ির মত অংশ আছে। এই অস্ত্র সাধারনত দুরের শত্রুকে ঘায়েল করার জন্য ব্যাবহার করা হত, খুব কম ব্যাবহৃত হত হস্ত যুদ্ধের ক্ষেত্রে।
০৬) চাক্রামঃ
চাক্রাম (Chakram) দেখতে অনেকটাই ফ্রিজবির (Frisbee) মত। গোল চাকতি যা ছুড়ে মারলে যাবে বহুদূর। কিন্তু এই চাক্রাম কিন্তু বেশ ভয়ংকর অস্ত্র। এটির বাইরের দিকের কিনারা এতটাই ধারালো যে তা ছুড়ে মারলে মানব দেহের যে কোন অংশ দেহ থেকে আলাদা করে দিতে সক্ষম। এই চাক্রাম যেমন দুরের শত্রুকে আঘাত হানতে সক্ষম তেমনে কাছের শত্রুকেও ঘায়েল করতে সমান ভাবে পারদর্শী। এই অস্ত্রটির উতপত্তি ভারতে আর এর বহুল ব্যাবহার ছিল শিক জাতীগোষ্ঠিদের মধ্যে।
পূর্বের পর্বঃ অতীতের ব্যাবহৃত ১৫টি ভয়ংকর অস্ত্র (১ম পর্ব)
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
নহে মিথ্যা বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন...
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৩
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভয় পাইলাম।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০০
নহে মিথ্যা বলেছেন: ভয় নেই বর্তমানে এগুলা দিয়ে খুব একটা যুদ্ধ হয় না...
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৫
সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: অনেকগুলো সম্পর্কে পড়েছি কিন্ত ছবি আর বর্ননা দেখলাম এই প্রথম...
ভাল পোস্ট!!
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
নহে মিথ্যা বলেছেন: আমি নিজেই বিস্তারিত তথ্য পছন্দ করি... তাই বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করি
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৬
সুমন কর বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৫
নহে মিথ্যা বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ...
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
হুঙ্গা মুঙ্গা নিশ্চয় অনেকটা বুমেরাং জাতীয়।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৫৬
নহে মিথ্যা বলেছেন: ছুড়ে মারার ক্ষেত্রে কিছুটা কিন্তু তা বুমেরাং এর মত ফিরে আসে না...
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৪২
হু বলেছেন: আপনার এই পোস্টটিও ভাল লাগল
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১২
নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ... ৫ মিনিটের মধ্যে আরেকটি লেখা দিব এটাও আপনার ভাল লাগবে...
৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৯
এম আর ইকবাল বলেছেন: আগে ছিল যন্ত্রনাদায়ক ।
এখন ধুম ।সব শেষ ।
পেট্রোল বোমা হচ্ছে, বর্তমানের আদিম ববরর্তা ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
নহে মিথ্যা বলেছেন: বর্তমানে ব্যাবহৃত পেট্রোল আর পূর্বে ব্যাবহৃত দাহ্য তরল পদার্থ গুলির মধ্যে বেশ পার্থক্য আছে। বর্তমানের মত পূর্বে এতটা বিশুদ্ধ ছিল না। তখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কেল্লা গুলিতে আক্রমন ঠেকাতে এর ব্যাবহার ছিল কিন্তু অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার ছিল না। তাই অতীতের সাথে বর্তমানের সংমিশ্রন না ঘটানই ভাল।
৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
চারশবিশ বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট
অনেক কিছু জানলাম
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৮
নহে মিথ্যা বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
পথহারা নাবিক বলেছেন: ওরে বাপরে!! দেইখাইতো ভয় লাগে!!