নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব... নচেত চুপ থাকিব...

সত্য তখনই দাম পায়, যখন তার পাশে মিথ্যা নামক অদৃশ্য বস্তুটি স্থান পায়......

নহে মিথ্যা

নহে মিথ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাস্তব জীবনে Final Destination (১ম পর্ব)

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৮

"Final Destination" সিনেমার কথা মনে আছে আপনাদের? যেখানে আসন্ন মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায় কয়েক জন, কিন্তু মৃত্যু কিন্তু তাদের পিছু ছাড়ে না। শেষ পর্যন্ত জয় হয় মৃত্যুর। আজ আপনাদের এরকম কয়েক জনের সম্পর্কে জানাবো যারা মৃত্যুর হাত থেকে সম্পূর্ন অক্ষত ভাবে রক্ষা পেয়েও শেষ পর্যন্ত নিজেদের রক্ষা করতে পারে নাই মৃত্যুর হাত থেকে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক,







জানুয়ারি ২০১৩ সাল, ২১ বছর বয়স্কা "Jessica de Lima Rohl" বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজক হিসেবে দক্ষিন আফ্রিকার সান্তামারিয়া শহরে "Kiss Night Club" এ আয়োজন করেছিল একটি অনুষ্ঠানের। নিজ দ্বায়িত্যেই এই অনুষ্ঠানের সব টিকিট বিক্রি করেছিল। আয়োজক হিসেবে এই অনুষ্ঠানে সে নিশ্চিত যাবে, আর এই লক্ষ্যেই সে সম্পূর্ন প্রস্তুত হয়ে রওনা দিবে এমন সময় তার প্রেমিক কোন এক কারনে তাকে এই অনুষ্ঠানে যেতে মানা করে। আর এই না যাওয়ার কারনেই নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান তিনি। তার আয়োজন করা অনুষ্ঠানে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অনুষ্ঠানে আসা ২৩৮ জন সকলেই মৃত্যুবরন করে।



Jessica de Lima Rohl বিশ্ববিদ্যালয়ের AgriBusiness ডিপার্টমেন্টের একজন ছাত্রী। এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মারা যায় তার সাথে একই ডিপার্টমেন্টে পড়া সকল ছাত্রছাত্রী।



অনুষ্ঠানে ড্রাম বাদক অনুষ্ঠানের স্টেজে একটা বাজি ফোটায় যা অনুষ্ঠান সাজাতে ব্যাবহার করা ফোমের ছাদে আগুন ধরিয়ে দেয়। যার ফলে তৈরি হয় বিষাক্ত ধোঁয়া। এই বিষাক্ত ধোঁয়ার ফলেই বেশীর ভাগ মৃত্যু হয়, আর বাদবাকি মৃত্যু হয় আগুনের কারনে দৌড়ে পালাবার সময় পদপিষ্ট হয়ে। কয়েক দশকের মধ্যে এটি ছিল দক্ষিন আফ্রিকার সব থেকে ভয়াবহ আগ্নিকান্ড।



এই দূর্ঘটনার ঠিক পাঁচ দিন পরে Jessica de Lima Rohl তার প্রেমিকের সাথে প্লান করে যে, Jessica de Lima Rohl গাড়ি চালিয়ে পাশের শহরেই যাবে, যেখানে তার প্রেমিক কাজ করে এবং দু'দিন পরে তারা একসাথে ফিরে আসবে। পাশের শহরের দূরত্ব ছিল ৮২ মাইল। কিন্তু মৃত্যু তাদের জন্য বানিয়ে রেখেছিল অন্য এক প্লান। তারা দু'জনে বাড়ি ফেরার সময় তাদের গাড়ি Volkswagon Golf ট্রাকের সাথে সম্মুখ সংঘর্সের ফলে Jessica de Lima Rohl দূর্ঘটনার জায়গায় মারা যায় আর তার প্রেমিক Stefanel মারা যান পরের দিন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায়, ঠিক তার ২১তম জন্মদিনের দিন।







জুলাই ৬, ২০১৩ সালে San Francisco International Airport এ এক ভয়াবহ প্লেন দূর্ঘটনা ঘটে। এই দূর্ঘটনায় পুড়ে মারা যায় ২১৪ জন যাত্রী এবং প্লেন ক্রু। কিন্তু এই দূর্ঘটনায় বেঁচে যায় মাত্র এক জন যাত্রী। ১৬ বছর বয়স্ক Ye Meng Yuan একজন এশিয়ান ছাত্রী কোন এক অজানা উপায়ে কোন ভাবে বেড়িয়ে আসতে সক্ষম হয় জ্বলন্ত প্লেন থেকে। এসময় অগ্নি নির্বাপক দ্বায়িত্বে থাকা ফায়ার সার্ভিসের ট্রাক প্লেনের গায়ে ছিটাতে থাকে প্লেনের আগুন নিভানোর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি ফোম। আর এই ফোমে সম্পুর্ন ঢেকে যায় ১৬ বছর বয়স্ক Ye Meng Yua। ১ম ট্রাক যখন চলে যায় তখন তার জায়গা নিয়ে এগিয়ে আসে ২য় আরেকটি ট্রাক। এবার ঘটল মূল ঘটনা। ফোমে ঢেকে থাকা Ye Meng Yuan এর দেহের উপর উঠে যায় ২য় ট্রাকটির চাকা, আর তাতেই পিষ্ট হয়ে মারা যায় Ye Meng Yuan। ২য় ট্রাকের লোকেরা টের পায়নি যে তারা Ye Meng Yuan কে পিষ্ট করছে। তার মৃত দেহ ময়না তদন্তে দেখা যায়, তার দেহে কোন আগুনের পোড়া দাগ বা তার ফুসফুসের মধ্যে কোন ধোঁয়া ছিল না। অর্থাৎ অনেকটা অক্ষত অবস্থায় সে জ্বলন্ত প্লেন থেকে বেড়িয়ে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু মৃত্যুর পাতা ফাঁদ থেকে কি ভাবে বাঁচবে সে?







টরেন্ট শহরের "Eaton Centre Mall" এ একজন অস্ত্রধারী হঠাত করে হামলা চালায় নিরস্ত্র সাধারন মানুষের উপর। আর এই গুলি বর্ষনে মারা যায় একজন এবং আহত হয় কয়েকজন। এই সপিং মলে সেই হামলার সময় ছিলেন Jessica Redfield। Jessica Redfield ছিলেন টেক্সাসের একজন ক্রিয়া সংবাদ পাঠিকা, একজন ব্লগার এবং Denver Radio Station এর একজন সংবাদ পাঠিকা। Eaton Centre Mall এর সেই হামলা থেকে বেঁচে যান Jessica Redfield।



এ নিয়ে তিনি তার ব্লগে লিখেন, "I can't get this odd feeling out of my chest. This empty, almost sickening feeling won't go away. … It's hard for me to wrap my mind around how a weird feeling saved me from being in the middle of a deadly shooting"। তিনি আরো উল্লেখ করেন, "I chose a burger over sushi and then decided to go outside to get fresh air because had a strange feeling. If not gone out, I would have been standing in the food court during the shooting"।



এই হামলার ঠিক একমাস পরেই অওরার একটি সিনেমা হলে আরেকটি অস্ত্রধারী ব্যাক্তি হামলা চালায়, এবারের হামলায় মারা যায় মোট ১২ জন, আর এই ১২ জনের মধ্যে একজনের নাম Jessica Redfield।



তার এই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তৈরি USA Today এর একটি ভিডিও প্রতিবেদন, "ভিডিওটির লিংক "







Hilda Yolanda Mayol, ২০০১ সালে কাজ করতেন টুইন টাওয়ারের নিচ তলায় অবস্থিক একটি রেষ্টুরেন্টে। ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১ এর হামলার সময় তিনি বিল্ডিং ধ্বসের পূর্বেই বেড়িয়ে যান রেষ্টুরেন্ট থেকে। বলতে পারেন অনেকটা ভাগ্যের জোড়েই বেঁচে যান তিনি। কিন্তু তার এই সৈভাগ্য স্থায়ি হয়েছিল মাতে দু'মাসের মত। দু'মাস পরে ২৬ বছর বয়স্কা Hilda Yolanda Mayol তার মা এবং দুই সন্তানকে নিয়ে ছুটি কাটানোর জন্য যাচ্ছিলেন তার জন্মভুমি Dominican Republic এ। আর এ যাত্রা ছিল প্লেনের মাধ্যমে। ১২ই নভেম্বর ২০০১, American Airlines Flight 589 নিউয়ার্কে ক্রাস করে আর এই ক্রাসে প্লেনের ২৬০ যাত্রী মারা যায়। আর এই যাত্রীর তালিকায় ছিলেন ৯/১১ তে বেঁচে যাওয়া Hilda Yolanda Mayol।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার!

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮

নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ... :)

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৯

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: অনেক ভয় পেলাম

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

নহে মিথ্যা বলেছেন: ভয় পাবার মতই জিনিষ :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.