নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা আপনারা কি কল্পনা করতে পারেন বর্তমান সময়ে এমন কোন জায়গা আছে যেখানে কোন রাস্তা নেই!! কি অবাক হচ্ছেন রাস্তা ছাড়া আবার কোন অঞ্চল কল্পনা করা যায়!! তা ঠিক বলেছেন, কিন্তু আজ আপনাদের সাথে নেদারল্যান্ডের এমন এক গ্রামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব যেখানে কোন সড়ক পথ নেই, আছে শুধু জল পথ। গ্রাম বলছি ভেবে আবার আমাদের দেশের গ্রামের সাথে তুলনা করে বসেন না। এটা গ্রাম হলেও শহরে জীবনের বা প্রযুক্তির সব সুবিধাই আছে এখানে, শুধু একটাই সমস্যা তা হল এখানে কেউ গাড়ি চালায় না। আর যাদের গাড়ি আছে তারা গাড়ি গ্রামের বাইরে গাড়ি রেখে নৌকায় করে গ্রামে ঢোকে।
এতক্ষন বকবক করলাম কিন্তু গ্রামের নামটা আর বলা হল না। এই গ্রামের নাম "গির্থন" (Giethoorn), আর এই গ্রামটি "ষ্টিমওয়েক" (Steenwijck) শহর থেকে ৫ কিঃমিঃ দক্ষিন পশ্চিম দিকে অবস্থিত। প্রথম দিকে এই গ্রামটি সকলের কাছে এতটা পরিচিত ছিল না যতটা বর্তমানে। ১৯৫৮ সালে এই গ্রামে নির্মিত "Fanfare" সিনেমা মধ্য দিয়ে সবার প্রথম এই গ্রাম সকলের নজর কারে। আর নজর কারবেই না কেন বলুন, যেমন প্রাকৃতিক সৈন্দর্য, তেমন নজরকারা বাড়ি আর সাথে বাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে চলা জল পথ। এক কথায় অপূর্ব সুন্দর এই গ্রাম।
গিথর্ন গ্রামকে বলা হয়, "নেদারল্যান্ডের ভেনিস", কেননা ভেনিস শরের মত এই গ্রামের মূল যোগাযোগ ব্যাবস্থা জলপথ। ৭.৫ কিঃমিঃ দীর্ঘ এই জলপথ, যা এই গ্রামের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে, এছাড়াও আছে ৫০টি কাঠের তৈরি সাঁকো। বলতেই তো ভুলে গেলাম এই নালা গুলি সর্বোচ্চ ১ কিঃমিঃ পর্যন্ত গভীর হয়।
এই গ্রামটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১২৩০ সালে, তখন এই গ্রামের নাম ছিল "গিথেনহর্ন" (Geytenhorn) কিন্তু কালের বিবর্তনে এই গ্রামের বর্তমান নাম "গির্থন" (Giethoorn)।
গ্রামের মূল যোগাযোগ ব্যাবস্থা যেহেতু জলপথ, তাই এখানে বেশ কয়েক ধরনের নৌকা দেখা যায়। যার মধ্যে সব থেকে জনপ্রিয় নৌকার নাম "Pnters" যার ইংরেজি নাম "Whisper Boats", আর এই নৌকা গুলি চলে ইলেক্ট্রিক মটরের সাহায্যে তাই কোন শব্দ হয়না বললেই চলে, অনেকটা আমাদের দেশের "ইজি বাইক" গুলির মত। এর ফলে গ্রামের শান্তির পরিবেশ বজায় থাকে।
এই গ্রামের জনসংখ্যা ২৬২০ জন মাত্র। এই গ্রামের বাড়ি গুলি তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট দ্বীপের মধ্যে যার চারিপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে পানি। বাড়ি গুলি তৈরি করা হয়েছে কাঠ দিয়ে, আর চাল হিসেবে আগে খড় বা গাছের পাতা জনপ্রিয় থাকলেও বর্তমানে মাটির তৈরি টিলা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কি সুন্দর এই গ্রাম, যান্ত্রিক জীবনের কোন শোরগোল নেই এখানে, চারিদিকে সবুজের ছড়াছড়ি। দেখলে মনে হবে যেন কেউ তার মনের মধ্যে লুকিয়ে রাখা সব টুকু রঙকে নিংরে রাঙ্গিয়েছে এই গ্রামকে। আমার তো খুব যেতে ইচ্ছা করছে, আপনার কি অবস্থা??
মূল লেখাঃ "গিথর্ন" রাস্তাবিহীন একটি ডাচ গ্রাম
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
নহে মিথ্যা বলেছেন: সত্যি এরকম নিরিবিলি এক জায়গায় থাকাটা সৌভাগ্যের বিষয়...
২| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:০৭
মামুন রশিদ বলেছেন: সুন্দর ।
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:১০
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন তো......!!
+++
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ...
৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৩৯
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ছবির মতন সুন্দর
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
নহে মিথ্যা বলেছেন: সহমত...
৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
অসম্ভম সুন্দর একটি গ্রাম। থাকার জন্য উত্তম একটা গ্রাম।
পোষ্টে++++
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
নহে মিথ্যা বলেছেন: সহমত... আর সাথে ধন্যবাদ
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫০
চুক্কা বাঙ্গী বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর গ্রাম। পোস্টে প্লাস! তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে-
এই গ্রামের লোকজনের সোর্স অফ ইনকাম কি? সারাদিন খালি নৌকা বেয়ে আর সৌন্দর্য গিলে তো পেট ভরার কথা না!!
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
নহে মিথ্যা বলেছেন: না ভাই... আমাদের মত যোগাযোগ ব্যাবস্থা ওদের অততা অনুন্নত না... গ্রামের বাইরেই বেশির ভাগ লোক কাজ করে... তবে গ্রামের মধ্যে যে একদম কাজ নেই তা কিন্তু না... আগেই বলেছি বর্তমান জগতের সব সুবিধাই আছে এখানে... তাই এখানে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি চাকরিরত অনেকেই আছে...
৭| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সু ন্দর গ্রাম এবং দৃষ্টিনন্দন ছবি।
আমারও যেতে ইচ্ছা করছে।
পোস্টে++++++++++++++
৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৩৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পৃথিবীতে অবাক করার মত কত কিছুই না আছে। আর আছে ছবির মত অপার সৌন্দয্য। তারই কিছু দেখলাম,জানলাম। অনেক ধন্যবাদ,অজানাকে জানানোর জন্য।
২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
নহে মিথ্যা বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৫৯
মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: খোদার কসম পকেটে টাকা থাকলে আজকেই উড়াল দিতাম......
২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
নহে মিথ্যা বলেছেন: ভাই সত্যি বলছি আমার পকেটে টাকা থাকলে আমি আপনার সাথে রওনা দিতাম
১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৬:৫৭
উদাস কিশোর বলেছেন: বেশ ভাল . . . .
২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:৩৩
নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ
১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:২৩
বৃষ্টিধারা বলেছেন: কি সুন্দর......
২২ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৪৮
নহে মিথ্যা বলেছেন: সহমত...
১২| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:১২
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
গ্রামটা অনেক সুন্দর।
হানিমুনে যামু নে
২২ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৪৮
নহে মিথ্যা বলেছেন: ভালা বুদ্ধি...
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:১৪
বিদ্রোহী বাঙালি বলেছেন: স্বর্গে না যাওয়া পর্যন্ত স্বর্গের আসল রূপ আমরা কখনই দেখতে পাবো না। কিন্তু ছবিতেই গিথর্ন গ্রামকে দেখে স্বর্গের রূপটা কিছুটা আন্দাজ করে নেয়া যেতে পারে। অপূর্ব এক গ্রাম। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ নহে মিথ্যা।
২২ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৩:২৩
নহে মিথ্যা বলেছেন: তাজা বলেছেন...
লেখাটা পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ...
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: একেবারে ছবির মত। অনেক ভাল লাগল গ্রামটা দেখে।
২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪১
নহে মিথ্যা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ছবির মত একটা গ্রাম!! আহা! এখানে যদি থাকতে পারতাম!