![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অপেক্ষা।
আপেক্ষিকতার মারপ্যাঁচে পড়ে অপেক্ষা শব্দটার মানে কত সহজেই না পালটে যায়। কিছু অপেক্ষা করতে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা কাজ করে আর কিছু ভুরু কুঁচকে দেয় বিরক্তিতে। প্রশ্ন হল- সবসময় কি অপেক্ষাই করবেন?
সাধারন মানুষ অপেক্ষায় থেকেই জীবন চালিয়ে নেয়। ভালোবাসার অপেক্ষা, ভালো চাকরি পাওয়ার অপেক্ষা, নিজেকে প্রমাণের অপেক্ষা, কারো স্বপ্ন পূরণের অপেক্ষা কিংবা নেহাত ফোনে কল আসার অপেক্ষায়; নির্দিষ্ট একটি নাম্বার থেকে।
কতই না আমাদের অপেক্ষা।
নিজেদের চাওয়া পূরণ হওয়ার অপেক্ষায় আমরা এতবেশি ডুবে থাকি যে ভাবিই না জীবনটা কেবলই অপেক্ষার জন্য না। অপেক্ষা করার সময়টুকুও কাজে লাগালে ভাগ্যের হাতে নিজেকে ছেড়ে দিতে হয় না।
কাউকে ভালোবেসে ফেলেছেন? বলে ফেলুন সুযোগ বুঝে। অপেক্ষায় থাকবেন না। কারন ততক্ষনে অন্যকেউ এসে হাত ধরে নেবে। ‘না’ শোনার ভয়ে থেমে থাকবেন না। কেউ কারো জন্য থেমে থাকে না।
রাস্তা থেকে ঢিল কুড়িয়ে মারুন, লাগলে লাগবে আর না লাগলে নাই। রাস্তায় ঢিলের অভাব নেই। খুঁজে নেবেন। কিন্তু নিশানা রাখবেন একটাই।
নিজেকে প্রমাণ করতে চান? সকাল বেলা উঠে পড়ুন ঘুম থেকে। ছোট ছোট কাজ দিয়ে দিনটা শুরু করুন। আপনার যে কাজ করা উচিত সেটাই যদি করে ফেলতে পারেন তাহলেই আপনি নিজেকে প্রমাণিত করে ফেলেছেন। ফাঁকা বুলি দিয়ে নিজেকে অল্প সময়ের জন্য স্মার্ট প্রমাণ করা যায়। সবসময়ের জন্যে না। কাজ দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করুন।
স্বপ্ন দ্যাখেন? সেটাকে পূরণ করতে চান? তাহলে মনে করুন তো, কিভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীটা ঘোরে। মনে পড়েছে? তাহলে নিজের স্বপ্নকে কেন্দ্র করে সাজান আপনার আচরণ, কাজ, পড়া, হাসি-আনন্দ সবকিছু। আর যদি না বোঝেন কি করতে হবে তাহলে আপনার সেটা স্বপ্ন নয়। তন্দ্রার ঘোরে আমাদের যখন চোখ লেগে যায় তখন আমরা ভুলে যাওয়া স্বপ্ন দেখি। আর আপনার সেটাই হয়েছে।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে চান? নিচের লেখা গুলো পড়ুন। পড়ার পর ভালো রেজাল্ট করবেন এমন কোন গ্যারান্টি নেই যদিও।
আমরা যারা ছাত্রছাত্রী আছি, তারা সব সময় বলি- ‘আর একটা সুযোগ পেলে ভালো করতে পারতাম’ কিংবা ‘আর একটু সময় পেলেই ভালো প্রিপারেশন নিতে পারতাম’
কিন্তু প্রশ্ন হল- কেন? সুযোগের অপেক্ষা কেন থাকবেন? প্রতিটা ভোরের সূর্যই মানে একেকটা নতুন দিনের আভাস। সেই দিনটা কেন অপচয় করে এখন আফসোস করছেন? আড়মোড়া ভেঙে, হাই তুলতে তুলতে চোখ কচলে উঠে পড়ুন। বাকিটা পড়ে দেখা যাবে। আগে চেষ্টা করুন।
লেখক হতে চান? গল্পের প্লটের আশায় বসে থাকবেন না। দিস্তা দরে কাগজ কিনে আনুন। ক খ গ ঘ- যা মাথায় আসে লিখতে থাকুন। কিছুক্ষন পরে দেখবেন গল্পের,কবিতার নাম মাথায় চলে এসেছে। একপাতা লিখে ছিঁড়ে ফেলে দিন। আবার লিখুন। চলতে থাকুক। অ্যাকাউন্টিং সাইকেলের প্রথম ধাপ শুরু হয় তথ্য সংগ্রহ আর বিশ্লেষনের মাধ্যমে। শুরুতেই কেউ চুড়ান্ত হিসেব মেলায় না। সাধারন একটা নাম দিয়েই শুরু করুন।
স্রেফ বোকারাই অপেক্ষায় থেকে যায়। আমরা তো বোকা নই। কিছু সময়ের জন্য হতে পারি। কিন্তু সারা জীবনের জন্যে তো না।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: পাঠকের ভালো লাগা মানে আমার লেখার সার্থক হয়েছে।
আশা করি পাশে থাকবেন সব সময় আর এমন করে উৎসাহ দিয়ে যাবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: নতুন লিখা পেলে অবশ্যই পড়ব ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৭
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আশা করি আবার লেখা শুরু করব। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: স্বপ্ন দ্যাখেন? সেটাকে পূরণ করতে চান? তাহলে মনে করুন তো, কিভাবে সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবীটা ঘোরে। মনে পড়েছে? তাহলে নিজের স্বপ্নকে কেন্দ্র করে সাজান আপনার আচরণ, কাজ, পড়া, হাসি-আনন্দ সবকিছু। আর যদি না বোঝেন কি করতে হবে তাহলে আপনার সেটা স্বপ্ন নয়। তন্দ্রার ঘোরে আমাদের যখন চোখ লেগে যায় তখন আমরা ভুলে যাওয়া স্বপ্ন দেখি।
বেশ কিছু নতুনত্ব দেখা গেল গল্পটিতে । ভাল একটি অনুভুতি পাওয়া গেল গল্পটি পাঠে ।
শুভেচ্ছা রইল ।