নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেরামত চলছিলো !! চলছে !! চলবে !!

তেরোর ব্লগ মানেই হাবিজাবি !!

তেরো

জন্মের সময় আমি খুব কেঁদেছিলাম কিন্তু এখন আমার সব কিছুতেই হাসি পায়। আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি। - নির্মলেন্দু গুন

তেরো › বিস্তারিত পোস্টঃ

চেরী ব্লসম

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

আমি একজন খুব সামান্য মানুষ। এই বিশাল পৃথিবীর এক ক্ষুদ্র দেশের এক ক্ষুদ্র শহরে আমার বাস। শহরটার নাম বলতে আমি ইচ্ছুক নই। তবে একটি জরাজীর্ণ পুরনো শহর ভেবে নিলেই যেমন চেহাড়া ভেসে উঠে সবার চোখে সেইরকমই খানিকটা। আমাদের শহরের পাশে একটা বিশাল কারখানা আছে। সে কারখানা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়াতে এই শহরের আকাশ সবসময়ই অন্ধকার থাকে। তাই অন্য সবাই আকাশে আনন্দ খুঁজে পেলেও আমরা এই শহরের বাসিন্দারা তা পাই না। আমরা বৃষ্টি হলে বিরক্ত হই কারণ এই শহরের রাস্তাঘাট একটুতেই কর্দমাক্ত হয়ে যায়। বাসার ছাদের ফোঁকর দিয়ে টুপ টাপ পানি পড়তে থাকে। প্রকৃতি তার সৌন্দর্য্যের দ্বারা আমাদের মুগ্ধ করতে ব্যর্থ হয় বার বার।



আমার মা বাবা দুজনই সে কারখানে কাজ করে। তাঁরা খুব আগের বিশ্বস্ত শ্রমিক। আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম তখন থেকেই তাঁদের কারখানায় যেতে দেখতাম। তাঁরা আমাদের প্রচন্ড ভালোবাসে। আমাদের বলতে আমাদের দুবোন ও একমাত্র ভাইকে বুঝানো হচ্ছে। আমাদের নামকরণ খুবই হাস্যকর। আমার বড়বোনের নাম মেরী, আমার নাম চেরী ও ছোট ভাইয়ের নাম জেরী। আমার পুরো নাম অবশ্য চেরী ব্লসম। আমরা তিন জনই স্কুলে পড়াশুনা করি। আমাদের অধিকাংশ বন্ধুদের বাবা মা রাই কারখানাতে কাজ করে। মেরী তার পড়ালেখার পাট অচিরেই চুকিয়ে ফেলবে। হাই স্কুলের পর তার আর পড়াশোনার তেমন কোনো ইচ্ছে নেই। সে সাংসারিক কাজে দক্ষ। সে এখনই ঘরের নানা কাজে সাহায্য করে। আমাদের বিছানাপত্র গুছিয়ে দেয়। অবসর সময়ে উলের সোয়েটার বুনে , নকশা তুলে কুশনে। বাবা মা তাকে দেখে তৃপ্তির হাসি হাসে। একজন আদর্শ মেয়ে বলতে যা বোঝায় মেরীর মাঝে সে সব গুণই আছে।



আমি মেরীর দুবছরের ছোট। আমাকে প্রায়ই তার সাথে তুলনা করা হয়। মেরীর কোনো গুণই আমার নেই। মেরী দেখতে সুন্দর, মেরীর লম্বা চুল, পরিপাটি পোশাকের পাশে আমাকে আসলেই কাকতাড়ুয়ার মতো দেখায়। জেরী হচ্ছে খুব পড়ুয়া। জগত সম্পর্কে তার কোনো চিন্তা নেই। তার দিন কাটে বই এর পাতায় পাতায় নাক গুঁজে। লাইব্রেরীর সব বই সে অচিরেই শেষ করে ফেলবে। জেরী প্রায়ই তার নানান অদ্ভুত আলোচনা আমার সাথে করে। আমি যদিও বলতে গেলে কিছুই বুঝি না তাও বুঝার ভান করে মাথা নাড়াই।



এই মূহুর্তে জেরী একটা বই নিয়ে এসে আমাকে তার নানান চিন্তাভাবনা বলছে। আমি একটা গল্প পড়ার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু একসাথে দুটো কাজ করতে পারছি না। বিরক্ত হয়ে জেরীর দিকে তাঁকালাম। তার এসবে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সে বলেই যাচ্ছে। একসাথে দু তিনটে কাজ করতে আগে আমি খুব পারতাম। এখন পারি না। এখন সবকিছু গুলিয়ে যায়। তবে আমি হাতের গল্পটা পড়তে চাচ্ছি। তাই জেরীকে বিদায় করার জন্য ওর কথাগুলো আমি মনোযোগ দিয়ে শুনার চেষ্টা চালালাম।



জেরী চলে যাওয়ার পর আমি আবার গল্পটা পড়া শুরু করলাম। কয় লাইন পর ই রান্নাঘর থেকে মা আমাকে ডাকতে লাগলেন।



“চেরী চেরী যাও তো বাইরে ভেজা কাপড়গুলো মেলে দেও!”



“মেরী কোথায়?”



“মেরী এখন একটু আমার সাথে ব্যস্ত। তুমি করো না কেনো?”



“আচ্ছা যাচ্ছি!” এই বলে আমি গল্পটা আবার পড়তে শুরু করলাম। বার বার বাঁধা আসছে আর আমি একটা প্যারাই বার বার পড়ে চলেছি।



কয় সেকেন্ড পরই “চেরী তুমি যাচ্ছ না কেনো?”



“আশ্চর্য্য! আমি বললাম তো যাচ্ছি!”



“তোমার বলা তো আমি দেখতেই পাচ্ছি। একটা কথা তুমি শুনো না”।



“এখানে শুনা না শুনার কি আছে। আমি বললাম আমি যাচ্ছি। আমি কি রোবট সাথে সাথে দৌড় দেবো।আমারো তো একটু সময় লাগে”।



“সাথে সাথেই আসতে হবে। তুমি কিছুই করো না। অসহ্য বেয়াদপ মেয়ে। মেরীকে দেখো সে কত কি করে”।



আমি একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। হাতের কাগজটা রেখে আমি ভেজা কাপড়গুলো নিয়ে বের হলাম। আজকে মা কারখানায় যায়নি। হয়তো আজ ছুটি নিয়েছে। আমি কাপড়গুলো মেলতে মেলতে আকাশের দিকে তাঁকালাম। বিশ্রী কালো একটা আকাশ। অনেক দূরে একটা টাওয়ার দেখা যায়। হয়তো সেই টাওয়ার থেকে আকাশটা সুন্দর দেখা যেতে পারে।







“ওহে চেরী ব্লসম !! ভালো আছো??”



আমি ভালো আছি বলার আগেই জ্যাক সাইকেল চালাতে চালাতে হাত নাড়িয়ে চোখের সামনে থেকে চলে গেলো। জ্যাক আমার চেয়ে এক ক্লাস উঁচুতে পড়ে। গল্প যেটা পড়ছিলাম সেটাও জ্যাকের ই লেখা। আমাদের স্কুলের পত্রিকায় তার গল্প এসেছে। সে অনেক গল্প লেখে। তার সাথে আমার পরিচয় সেই গল্পের মাধ্যমেই। তার একটা গল্পে চেরী ব্লসম ফুল সম্পর্কে লেখা ছিলো। আমি কখনো চেরী ব্লসম ফুল ফুটতে দেখিনি। এই শহরে এই গাছ নেই। আমার নাম যে বাবা রেখেছে বাবা ও দেখেনি। বাবা একটা বই এ ছবি দেখেছিলো আর মেরীর সাথে আমার নাম মেলানোর জন্য আমার নাম হয়ে গেলো চেরী। সেই গল্প পড়ে আমার ধারনা হয় নিশ্চয়ই জ্যাক চেরী ব্লসম ফুল দেখেছে। তাই আমি আগ্রহী হয়ে তার সাথে যোগাযোগ করি। সে কিছুটা অদ্ভুত। কথাবার্তা পেঁচিয়ে বলতে ভালোবাসে। সে একবার বলে দেখেছি তো, আবার বলে না। কিন্তু জ্যাক আমাকে মুগ্ধ করেছিলো এবং এখনো করে। তাই আমি জ্যাকের গল্পগুলো পড়ার চেষ্টা করি নিয়মিত।



“চেরী কাপড় মেলা এখনো শেষ হয় নি?!”



মার কথায় আমার সম্বিত ফিরে। আমি আবার কাপড়গুলো মেলতে থাকি দ্রুত যাতে জ্যাকের গল্পটা আজকে শেষ করতে পারি।



দুপুরের খাবারের পর আমরা সবাই এখন ক্লান্ত। দুপুর শেষেই এখানে সময়গুলো খুব দ্রুত যায়। খুব দ্রুতই এখানে রাত হয়। রাত হলেই পাশের ডোবাতে জমে থাকা পানিতে জন্মানো মশামাছিরা আমাদের খুব যন্ত্রনা দেয়। জেরী মশা মারতে মারতেই পড়তে থাকে। মেরী মা কে রান্নাবান্নাতে সাহায্য করে। আমি একদিন একেক কাজ করি। আজকে জ্যাকের গল্পটা শেষ করলাম। স্কুলের কিছু কাজ করা বাকি আছে। কাজগুলো শেষ করতে করতে টের পেলাম আজ আসলেই অন্যদিনের তুলনায় মশা বেশি। আমার টেবিলের নীচে এক টিকটিকির বাস। মাঝে মাঝে এতো মশা দেখে সে খুশী হয়ে বের হয়ে পড়ে, কখনো কখনো আমার পা এর উপর ও উঠে পড়ে। আমি পা ঝাড়া দিয়ে ফেলে দেই।



রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে নীরবতার মাঝে পুরো বাড়িটা যেনো জীবন্ত হয়ে উঠে। সারা বাড়ি জুড়ে বিভিন্ন অদ্ভুত শব্দ আসে। হয়তো রান্নাঘরের কোনো প্যাকেটের নীচে তেলাপোকারা শূড় নাড়াতে থাকে, সেখান থেকে খচ খচ শব্দ আসতে থাকে। আলমারীর উপর ইঁদুর গুলো নীচে নামতে শুরু করে। ঘরের এক কোনায় মাকড়সাটা জাল বুনতে শুরু করে। টিকটিকটা বের হয়ে আসে। রান্নাঘরের ট্যাপ থেকে টপ টপ করে পানি পড়তে থাকে। ঘড়ির কাঁটা ধুম ধুম করে দৌড়াতে থাকে। বাবা মা ক্লান্ত হয়ে ঘুমোতে থাকে। আমি শুয়ে শুয়ে এরকম বিচিত্র শব্দ শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে যাই। আমরা তিন ভাই বোন একসাথে ঘুমাই। আমার একসাথে ঘুমোতে ভালো লাগে না। আমার একটা আলাদা ঘরের খুব দরকার ছিলো।





“বুঝলে চেরী, সেই টাওয়ারের মাথায় আনন্দ আছে!!”



আমি বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম তাই নাকি? জ্যাক বললো, "হ্যা। তাই ই।" সে আমাকে জানায় যে সে সেখানে একদিন যাবেই। আমি তখন তাকে আরো হিংসে করি এবং সাথে সাথে মুগ্ধ ও হই।



আমরা তাও মাঝে মাঝে সবাই দল বেঁধে সিনেমা দেখি। সিনেমা দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে আমিও স্বপ্ন দেখি। হঠাত করে কোনো একদিন আমাদের জীবনটা একদম পালটে যাবে। একদিন দরজায় কোনো একজন এক বাক্স আনন্দ এবং স্বপ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। কিন্তু তা আমি কাউকে বলি না। তবে মাঝে মাঝে দরজায় কড়া নড়লে আমি কান খাড়া করে উঠি আসলেই কি কেউ আনন্দ নিয়ে আসলো?





যখন জ্যাকের প্রতি আমার মুগ্ধতা খুব বেড়েই চলছে তখনই একদিন জ্যাককে আমি জিজ্ঞেস করলাম আবার, “চেরী ব্লসম কোথায় দেখেছো?”



সে আবার তার পেঁচানো সুরে বলে উঠলো, “দেখেছি দেখেছি সে অনেক জায়গায়!”



আমি বললাম, “তা কোথায়?”



“দেখেছি বই এর পাতায়, দেখেছি কল্পনায়, দেখেছি স্বপ্নে, দেখেছি......”



আমি ভয়ানক বিরক্ত হলাম। সেও তাহলে সেই সবার মতোই।





মুগ্ধতা কমে গেলো কিছুটা। জ্যাক থেকে দূরে দূরে থাকা শুরু করলাম। একদিন খবর পেলাম জ্যাক বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমি আমার এককালের মুগ্ধ বালকের কথা ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। হয়তো তার এমনি হয়ার কথা ছিলো। কিছুদিন পর শুনলাম জ্যাক পালিয়েছে হাসপাতাল থেকে , তার লাশ পাওয়া গেছে টাওয়ারের নীচে। বেচাড়া নিশ্চয়ই সেখানে আনন্দ খুঁজতে গিয়েছিলো। কিন্তু আনন্দ এতো সহজলভ্য নয় এই শহরে। আমিও একদিন সেই টাওয়ারে উঠেছিলাম। সেই টাওয়ারে আমি কোনো আনন্দ পাই নি। উপর থেকে আমাদের শহরটাকে আরো বিশ্রী দেখায়। আকাশটাকেও আরো বেশি অন্ধকার দেখায়। কারখানাটাকে দেখায় দানবের মতো। হয়তো এমন ও হতে পারে জ্যাক এখানে এসে আনন্দ না পেয়ে হতাশ হয়েই চলে গেলো সবকিছু ছেড়ে নয়তো এটাই ছিলো তার আনন্দ। সে তো সবসময়ই অদ্ভুত।





কারখানাতে কিছু হচ্ছে আজকাল। চারদিকে টান টান উত্তেজনা। তার প্রভাব আমাদের শহরেও এসে পড়ছে কারন কারখানাকে ঘিরেই আমাদের শহর। কারখানাতে কোনো ঘটনা দূর্ঘটনার প্রভাব আমাদের উপর সরাসরি পড়ে। এবার কি হলো বুঝা যাচ্ছে না। চারদিকে অভাব শুরু হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলেছে। বাবা মা ও কিছু বলছে না। কেউ কেউ নিখোঁজ হয়া শুরু করলো। চারদিকে কেমন জানি আতংক আতংক ভাব। এর মাঝে হুট করে মা এক রাতে বাসায় ফিরলো না। এভাবে পরের রাত ও গেলো। আমরা বাবাকে জিজ্ঞেস করলেও বাবা কিছুরই জবাব দিলো না। আমরা দরজার কড়া নাড়ার শব্দে কান খাড়া করে রাখতাম। কিন্তু এভাবে এক সপ্তাহ চলে গেলো।



একদিন দরজায় কড়া নাড়লো একজন। মেরী দরজা খুলে দেখে এক অপরিচিত লোক দাঁড়িয়ে আছে। সে বাবাকে ডেকে আনে। লোকটা বাবার সাথে ফিসফিস করে কথা বলে। আমরা ধারনা করি লোকটা কারখানা থেকে কেউ হবে। বাবার হাতে লোকটা একটা বাক্স দিয়ে চলে যায়। আমরা জানতে পারি সেই বাক্সে আছে বিস্তর টাকা পয়সা। প্রচন্ড অভাব এবং দূর্যোগের সময়ে তাই আমাদের কাছে আনন্দের বাক্স বলে মনে হয়। মার নিখোঁজ হয়ার দূঃখ বাদ দিয়ে আমরা আনন্দ গুনতে শুরু করি।



বাবা পরদিন ই সব গুছিয়ে নিতে বলে। আমরা দ্রুতই বাসা ত্যাগ করবো। মার নিখোঁজ, সাথে সাথে বাক্স ভরা টাকা এ দুই ঘটনার সাথে মিল খুঁজতে গিয়ে যেনো আবার মিল পাই না। হয়তোবা দূঃখের বিনিময়ে এভাবেই আনন্দ কিনে নিতে হয়। কি নিষ্ঠুর সবকিছু।



আমরা একদিন বাসাতে তালা দিয়ে বের হয়ে পড়ি। শহর ছেড়ে দূরে এক গ্রামে এসে থামি। সেখানে আস্তে আস্তে মানিয়ে নিতে শুরু করি আমরা সবাই। মেরীর মতো মেয়ে থাকতে এসবে চিন্তার তেমন কিছু নেই। সে পুরো সংসার একাই সামলে নেয়। সামনের খোলা জায়গায় বাবা সবজী চাষ শুরু করে, জেরী নতুন স্কুলে ভর্তি হয়। মেরীর ও একদিন বিয়ে হয় পাশের খামাড়ের চাষীর ছেলের সাথে। এভাবেই বাক্স ভরা আনন্দগুলো একে একে খরচ হয়ে যায়। একদিন আমিও ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ট্রেনে চেপে বসি। আমার গন্তব্য আরেক জায়গায় যেখানে আসলেই চেরী ব্লসম ফুল ফুটে। এখন চেরী ব্লসমের সময়। আমি সেই গাছের নীচে একবার দাঁড়াতে চাই। আমি ধীরে ধীরে বাস্তববাদী হয়ে পড়লেও এখনো কেনো জানি বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই চেরী ব্লসম গাছের নীচে দাঁড়ালে আমার কারো সাথে দেখা হবে ... হয়তো আসলেই আমি আনন্দের দেখা পাবো যেখানে কোনো শর্ত থাকবে না। ভাবতে ভাবতে আমি ট্রেনের বাইরে তাঁকাই। কালো আকাশের পরিবর্তে এখন ঝকঝকে নীল আকাশ। এই প্রথম প্রকৃতি আমাকে মুগ্ধ করে। আকাশের দিকে তাঁকিয়ে আমার মনে হলো থাক যদি কারো সাথে দেখা নাও হয় তাও আমার কোনো দূঃখ থাকবে না।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫১

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: সুন্দর !

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৫

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেকদিন পর 'তেরো!'

সুন্দর লেখা, ব্লগ কন্টিনিউ করেন ..

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৬

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

কন্টিনিউ করার চেষ্টা করবো। :)

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৪

সোহানী বলেছেন: শেষ হয়েও হলোনা শেষ.....++++++

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৬

তেরো বলেছেন: :)

৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৬

বোকামন বলেছেন:






এভাবেই বাক্স ভরা আনন্দগুলো একে একে খরচ হয়ে যায়
শুভকামনা ....

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২৮

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১১

দিগন্তরেখা বলেছেন: ভালো লাগলো +++

২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১৩

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯

আশফাক সুমন বলেছেন: "এভাবেই বাক্স ভরা আনন্দগুলো একে একে খরচ হয়ে যায়। একদিন আমিও ব্যাগ কাঁধে নিয়ে ট্রেনে চেপে বসি। আমার গন্তব্য আরেক জায়গায় যেখানে আসলেই চেরী ব্লসম ফুল ফুটে। এখন চেরী ব্লসমের সময়।.।.।.।.।.।।"--- খুবই সুন্দর গল্প।
তবে পড়ে মনটা অজানা কোন কারনে খারাপ হয়েছে।

ধন্যবাদ ।
+++++++++ এবং ভাললাগা

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

ভালো থাকবেন।

৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৫

অণুজীব বলেছেন: সুন্দর !

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬

তেরো বলেছেন: থেঙ্কু ! :)

৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৭

শায়েরী বলেছেন:  এভাবেই বাক্স ভরা আনন্দগুলো একে একে খরচ হয়ে যায়
Valo
Laglo

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। :)

৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৮

অতল গহবর বলেছেন: ভাল হয়েছে।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩০

হাসান মাহবুব বলেছেন: সুন্দর।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। :)

১১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

ইনকগনিটো বলেছেন: নাথিংনেস টা খুব সুন্দরভাবে উঠে আসছে। খুব সাবলীলভাবে।


রেজোওয়ানা বলেছেন: অনেকদিন পর 'তেরো!'

সুন্দর লেখা, ব্লগ কন্টিনিউ করেন ..

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

তেরো বলেছেন: অনেক থেঙ্কু !! :D

হু, কন্টিনিউ করার চেষ্টা করবো।

১২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
সুন্দর।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১৩| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

সোর্বিয়ের বলেছেন: বাহ!

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

তেরো বলেছেন: :)

১৪| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মিনাক্ষী বলেছেন: ভালো লাগছে তেরো ভাই। খুবই ভালো। :D :D

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২২

তেরো বলেছেন: থেঙ্কু আফা !! আপনের গল্পগুলাও ভাল্লাগছে কিন্তু !!! :D :D

১৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

বোকামানুষ বলেছেন: অনেক সুন্দর

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩০

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

১৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

মাহমুদা সোনিয়া বলেছেন: বাহ!! :)

২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

তেরো বলেছেন: থেঙ্কু !! :)

১৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

চানাচুর বলেছেন: লেখা ভালো হয়েছে:#) মিষ্টি খাবো :#)

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

তেরো বলেছেন: ডার্লিং তুমি আসছো !!!! :#> :#> !:#P !:#P :> :>

১৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

চানাচুর বলেছেন: কেমন আছো? :#>

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

তেরো বলেছেন: এই তো চলতেছে। তোমার? :#> :#>

১৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০১

চানাচুর বলেছেন: ডার্লিং আমার কিছুই ভাল্লাগে না :((

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৮

তেরো বলেছেন: আমারো না। :(( :((

একটু একটু কষ্টে আছি। :|

২০| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:০২

চানাচুর বলেছেন: কাল কি কি করবা? :#>

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৯

তেরো বলেছেন: ভার্সিটি যামু। এই হইলো প্ল্যান !! তুমি ?? :#>

২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৯

চানাচুর বলেছেন: আমিও কাল এমনে বেড়াইতেও যামু আর ভার্সিটিও যামু :#>

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২১

তেরো বলেছেন: !:#P !:#P :#> :#>

২২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২০

চানাচুর বলেছেন: নতুন জামা কিইন্না আনছি...পরুম :!> তুমি কি পরবা কাল? :#>

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২১

তেরো বলেছেন: শাড়ি টাড়ি পড়তারি। :!> :!> :#> :#>

২৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৪

চানাচুর বলেছেন: সোমবারদিন এক্সাম ক্যানসেল হইছে ডার্লিং!! খুব ভাল্লাগতাছে এইডি দেইখা :D

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

তেরো বলেছেন: আমাদের বুঝলা ডার্লিং তিনডা এগজাম হরতালের লাইগা আমরা দেই নাই। এখন সেই এগজাম যে উইড়া কই গেছে আমরা জানি না। আমরা টো টো করে বেড়াইতেছি। !:#P !:#P

২৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২১

খেয়া ঘাট বলেছেন: ভালো লাগলো লিখা।
আমি যেখানে থাকি তার নাম হলো-চেরি রিজ সাবডিভিশান।
আর রাস্তার নাম- চেরি ব্লোসম কোর্ট।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

তেরো বলেছেন: বাহ জায়গার নাম গুলো তো সুন্দর। :)

অনেক ধন্যবাদ গল্প পড়ার জন্য। :)

২৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

চানাচুর বলেছেন: ডার্লিং হরতাল পালন করতে করতে শইলডা আরামের হয়া গেছে। এখন হঠাত এগজাম আসলে অস্থির লাগে /:) /:)

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:২৫

তেরো বলেছেন: আমগো এগজাম এখনো হয় নাই। আমরা আরামে ঝুইলা রইছি। আমি অবশ্য ভুইলাও যাইতেছি যে আমাদের এগজাম বাকী আছে।

আরামে ধরছে ভালো মতই। /:) /:)

২৬| ০২ রা মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

চানাচুর বলেছেন: আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে কি কি যেন গ্যাঞ্জাম চলতেছে!! এরপর থেকে আবার ছুটি কাটাইতেছি। এখন আমাগো হাত পায়ে জং ধরছে #:-S #:-S

০৩ রা মে, ২০১৩ রাত ১০:০৯

তেরো বলেছেন: আমরা ছুটির উপরেই আছি। আহা সুখ। |-) |-) !:#P !:#P

২৭| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:১০

এক্সপেরিয়া বলেছেন: ছবিটা খুব সুন্দর....!

১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৪

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩১

মাসুদুল হক বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেল, অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকে আপনার গল্প পড়লাম, তাও দিলেন মন খারাপ করে :(

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮

তেরো বলেছেন: গল্প পড়ছেন তাই ভাল্লাগছে :) তবে মন খারাপ হয়ে গেছে শুনেও আমিও একটু দূঃখিত হলাম। :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.