নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেরামত চলছিলো !! চলছে !! চলবে !!

তেরোর ব্লগ মানেই হাবিজাবি !!

তেরো

জন্মের সময় আমি খুব কেঁদেছিলাম কিন্তু এখন আমার সব কিছুতেই হাসি পায়। আমি জন্মের প্রয়োজনে ছোট হয়েছিলাম এখন মৃত্যুর প্রয়োজনে বড় হচ্ছি। - নির্মলেন্দু গুন

তেরো › বিস্তারিত পোস্টঃ

দ্য ড্রিমমেকার

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩১

খুব দ্রুত ফাইল থেকে কয়েকটি কাগজ বের করে আমি আমার সামনের মানুষটিকে দিয়ে দিলাম। সে একটু ইতস্তত হয়ে জানতে চাইলো কাজ হবে নাকি? আমি তাকে আশ্বস্ত করলাম। সে এরপর খুশীমনে উঠে চলে গেলো। ঘড়ির দিকে তাঁকিয়ে দেখলাম এখন বিকেল প্রায়। আমার এখন ছুটি। আমি আড়মোড়া ভেংগে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালাম। বিকেলের আলো পাশের জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে সারা মেঝে জুড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে। জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দেখলাম পাশের বাসার সামনের লনে কিছু বাচ্চারা খেলছে। একটু দূরেই তাদের মা রা একসাথে বসে উলের কিছু বুনছে এবং একে অপরের সাথে গল্প করছে। আমি কিছুক্ষন পর কাজের ঘর থেকে বের হয়ে পড়লাম। আজ বেশ ক্লান্ত লাগছে।



আমি একটা বেশ ছোট কিন্তু ছিমছাম বাড়িতে বাস করি। এই বাড়িকে আমি একই সাথে কাজ এবং থাকার জন্য ব্যবহার করে থাকি। নীচতালাতে একটা বেশ বড় ঘর আমি আমার কাজের জন্য ব্যবহার করি এবং কাজ সম্পর্কিত নানান পড়াশুনা ও সেখানে করি। ঘরের এক পাশের একটা বড় আলমারী ঠাসা নানান বই। অবশ্য আমি যে কাজ করে থাকি সেখানে বই এর সাথে সাথে খুব ভালো কল্পনাশক্তির ও প্রয়োজন।



আমি রান্নাঘরে গিয়ে এক কাপ কড়া কফি বানিয়ে উপরের ঘরের দিকে পা বাড়ালাম। আমার শোবার ঘরের ইজি চেয়াড়ে বসে বসে চোখ বুজে ভাবতে লাগলাম। কিছু কাজ এখনো বাকী আছে। আমি সাধারণত কাজের সময় শেষে অন্য সময়ে কাজ নিয়ে ভাবতে পছন্দ করি না। কিন্তু আজকাল কাজের অনেক চাপ বেড়ে যাওয়াতে তা আমার অন্য সময়গুলোতেও প্রভাব ফেলছে। ঠিক করলাম এই কফি শেষ হয়ার সময়টুকু পর্যন্ত আমি কাজের জন্য ব্যয় করবো।



আমার কাজটাতে আমি বেশ উন্নতি করছি। ঠিক দু-আড়াই বছর আগেও আমার এমন অবস্থা ছিলো না। আমি জায়গায় জায়গায় চাকরীর জন্যে বলতে গেলে হন্যে হয়েই ঘুরছিলাম। আমার লেখার হাত ভালো ছিলো। সেটাকেই পরে আমি কাজে লাগালাম। ব্যাপারটা তাহলে খোলাসা করেই বলা যাক। সেই সময়ে আমাদের শহরে এক অদ্ভুত জিনিসের আগমন ঘটলো। তা হলো স্বপ্ন তৈরী করার যন্ত্র। জিনিসটা অচিরেই খুব জনপ্রিয়তা লাভ করলো। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র নই তাও দূর থেকে দেখে যা বুঝেছিলাম যে সে যন্ত্রে যদি উপযুক্ত কাহিনী প্রবেশ করানো যায় তাহলে সেই কাহিনী অনুসারে সে যন্ত্র মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম। ব্যাপারটা আমাদের শহরে বেশ সাড়া ফেলে। সকল উচ্চবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে এই যন্ত্রটি শোভাবর্ধন করতে শুরু করে। কিন্তু যন্ত্র হলেই তো হলো না, এখন প্রয়োজন উপযুক্ত কাহিনী। কিন্তু সবাই তো ঠিকমতো কাহিনী সাজাতে পারে না। তাই যন্ত্রের উপকারীতা তারা ঠিক মতো উপভোগ করতে পারছিলো না। তাদের তখন প্রয়োজন ছিলো কাহিনীকারের। শহরের এক বুড়ো কাহিনীকার কিছু কিছু পরিবারের জন্য ব্যক্তিগতভাবে কাহিনী রচনা করে দিতো তাও উঁচু দামে। আবার তখন যন্ত্রটির দাম কমতে থাকে এবং তা মধ্যবিত্তদের হাতের নাগালে চলে আসে তাই মধ্যবিত্তরাও এ যন্ত্র কিনতে শুরু করে। তাছাড়া শহরে তো বিষন্ন, হতাশ মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয় এবং বিষন্ন মানুষেরা ঘুমোতে খুব পছন্দ করে। তারা সুন্দর স্বপ্নের জন্য যন্ত্রগুলো লুফে নিলো। সারা শহর জুড়ে আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো সেই যন্ত্রের উপস্থিতি কিন্তু সে হিসেবে কাহিনীকারের সংখ্যা ছিলো খুবই নগন্য। আমি একদিন ভাবলাম আমি তো আমার লেখালেখি এবং কল্পনাশক্তিটিকে আরো ঝালিয়ে নিতে পারি কিন্তু সুযোগ তো পেতে হবে। কে নেবে আমার কাহিনী? কিন্তু সুযোগ এলো। একদিন হঠাৎ করেই এলো।



আমি সেদিন পার্কের বেঞ্চিতে বসে ভাবছিলাম কি করা যায়। সঞ্চয়ের টাকা শেষের পথে। এমন সময়ই আমার কানে কিছু কথা ভেসে এলো। দু’জন মহিলা আলাপ করছিলো। আমি কান খাড়া তাদের কথা বোঝার চেষ্টা করলাম। তাদের কথা শুনে যা মনে হলো তা হলো যে তারা সেই বুড়ো কাহিনীকারের কাছে গিয়েছিলো কিন্তু তার উঁচু দামের কাছে তাদের পরাজয় ঘটেছে। তারা বিরক্ত হয়ে সেই বুড়োর গালমন্দ করছে। আমি সুযোগ বুঝে তাদের বললাম, আপনারা যদি কিছু মনে না করেন আমি কি আপনাদের জন্য কিছু লেখে দিতে পারি? মহিলা দু’জন আমার দিকে বিরক্ত এবং অবাক এই দুই চাহুনীর মিশেলে তাঁকালো। একজন বললো, “দেখো বাপু, তোমাকে আমরা চিনি না, তুমি কি লেখো কেমন লেখো তাও জানি না, লেখে দিতে চাইলে লেখে দেও। কিন্তু কোনো পয়সা তুমি এজন্য পাবে না!!”



আমি শুকনো হাসি দিয়ে বললাম, “নাহ অবশ্যই আপনাদের কথায় যুক্তি আছে। টাকা পয়সা চাচ্ছি নে। একবেলার খাওয়া হলেও হয়ে যাবে আমার। আর যদি তাও না হয় তাতেও সমস্যা নেই। আপনারা কেমন স্বপ্ন দেখতে চান?”



তা শোনার পর উনারা একে অপরের দিকে তাঁকিয়ে বলতে শুরু করলো। আমি নিতান্ত কৌতুহলবশতই তাদের কিছু একটা লেখে দিলাম। তারা আমার বর্তমান ঠিকানাটা নিয়ে রাখলো।



এরপর কয়েকদিন পর, আমি সন্ধ্যার দিকে যখন ঘরে ফিরি, আমার তৎকালীন রুমমেট আমাকে জানায় যে আমাকে খুঁজতে কেউ এসেছিলো। বর্ণনা শুনে পরিচিত কারো সাথেই মিলাতে পারছিলাম না। জিজ্ঞেস করলাম কিছু বলেছে নাকি ? জবাবে সে একটা কাগজ বের করে আমাকে দিলো। তা পড়ে জানতে পারলাম লোকটিকে পাঠিয়েছে সেইদিনের মহিলারা। তারা আমার সাথে দেখা করতে চায়।



এরপরের সবকিছু খুব দ্রুতই ঘটলো। উনারা আমার কাজে খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তারা আমাকে একটা ভালো জায়গায় খাওয়ানোর পাশাপাশি কিছু টাকাও দিয়েছিলেন এবং সাথে সাথে আরো কিছু মানুষের সাথেও আমার পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তারাই আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতে। আমি কিছুটা উসখুস করছিলাম ব্যাপারটিতে। আমি পারবো নাকি। আমার এসবে কোনো অভিজ্ঞতা নেই, জ্ঞান ও কম। তারা আমাকে উতসাহ দিচ্ছিলেন বার বার । আমিও এ বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করলাম। কল্পনাশক্তির এক বিরাট প্রভাব আছে সেখানে, এজন্য আমার পর্যাপ্ত পরিমাণে বই পড়া প্রয়োজন। কাউকে স্বপ্নের কাহিনী লেখে দিতে হলে আমাকেও সেই পুরো কাহিনীটা মাথায় সাজিয়ে কল্পনা করে নিতে হবে। আমি বেশ খুতখুতে মানুষ, যেনো তেনো জিনিস তো আমি মানুষকে দিতে পারি না। এজন্য আমি যা পারছিলাম পড়ছিলাম সাথে সাথে ছোটখাটো কাহিনী একে ওকে লেখে দিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছিলাম বার বার। সে দু মহিলার সাহায্যের কথা আমি কোনোদিন ভুলবো না। এজন্য আমি তাদের উপর খুব কৃতজ্ঞ। তাই মাঝে মাঝেই আমি তাদের বিনামূল্যেই স্বপ্ন লেখে দেই। যদিও তারা ব্যাপার টা বিনামূল্যে রাখে না। প্রায়ই তাদের নৈশভোজে আমার ডাক পড়ে।



প্রথম প্রথম সারাদিন লাইব্রেরীতে পড়ে থাকলেও ধীরে ধীরে আমি বই ও কেনা শুরু করলাম। সে সময়ে অন্যদের তুলনায় আমি এতো উঁচু দাম দাবী করতাম না কারো কাছে, আমি ছিলাম কম বয়সী এবং হাসিখুশী। আমাকে সবাই সহজেই পছন্দ করে ফেললো। ধীরে ধীরে আমার নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। সময়ের সাথে আমার রুচিবোধের ও পরিবর্তন ঘটলো। আমি দামী পোশাক গায়ে চড়াতে শুরু করলাম। অনেকেই তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করতো। আমি প্রথমে একটু অস্বস্তি বোধ করলেও মানিয়ে নিতে শুরু করলাম। এভাবে আরো অনেকের সাথে আমার পরিচয় ঘটলো। এভাবেই বছর ঘোরার সাথে সাথেই আমি আমার পরিশ্রমের ফল হাতে পেতে শুরু করলাম। আমি ভেবে দেখলাম এখনই উপযুক্ত সময়। আমি সঞ্চয়ের টাকা থেকে কিছু টাকায় শহরের একপ্রান্তে এক ছিমছাম ছোট বাড়ি কিনে নিলাম। বাড়িটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছিলো। খুব বেশি বড় না আবার ছোট ও না। একলা মানুষের জন্য বাড়িটি আদর্শ। সেই বাড়ির নীচের ঘরটিকে আমি কাজের জন্য ব্যবহার করা শুরু করলাম। বাড়ির বাইরে দরজায় নিজের নামের নীচে লেখে দিলাম, দ্য ড্রিমমেকার। হ্যা আমি ড্রিমমেকার ই তো। বার বার মনে মনে নিজেকে আমি ড্রিমমেকার বলে সম্বোধন করতাম এবং এখন ও করি। প্রত্যেকবার ই আমার অসম্ভব ভালো লাগে। আমি ই তাদের স্বপ্নের নিয়ন্ত্রক। তাদের একটি বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রন এখন আমার হাতে। এটা ভাবতেই আমার নিজেকে খুব ক্ষমতাধর মনে হয় প্রত্যেকবার।



পুরনো স্মৃতিচারণ বাদ দিয়ে আমি তৈরী হতে লাগলাম। আজ আমার এক নৈশভোজের দাওয়াত। আজ কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না, কিছুটা খারাপ ই লাগছে কিন্তু তাও আমার যেতে হবে। সেখানে শহরের মান্যগন্য লোকেরা আসবে। আমার সেখানে উপস্থিত থাকা বাঞ্ছনীয়। আমার পরিচিতি হয়তো আরো বাড়বে। নতুন কোনো দামী খদ্দের পেলে তো কথাই নেই। তারা দরদাম করে না। সবসময়ই উঁচু দামই দিয়ে থাকে। প্রথম প্রথম অবাক হলেও পরে আমি বুঝেছিলাম এটা তাদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থা অন্যদের থেকে উপরে তা বোঝানোর পন্থা। তারা দাম বেশী দিতেই পছন্দ করে। তাই আমার দাম বেশী নেয়ার কোনো সমস্যা আমি দেখছি না।



আজ আসলেই আমার আসা উচিত হয়নি। নৈশভোজের সাথে সাথে এখানে কিছু গান বাজনার ও আয়োজন করা হয়েছে। হৈ হুল্লোড়ে মাথা আরো ধরেছে। আমি এক কোনে এক গ্লাস ফলের জুস হাতে দাঁড়িয়ে আছি। তখনই মিসেস চার্লস আমাকে ডাকলেন। মিসেস চার্লস হলেন সেই দু মহিলার একজন যাদের স্বপ্ন আমি প্রথম লিখে দেই।



“কি খবর তোমার ড্রিমমেকার?? অনেকদিন তোমার কোনো খোঁজখবর নেই। ভুলে গেছো নাকি আমায়?”

আমি লজ্জিত হয়ে বললাম, “আপনাদের আমি কোনোদিন ই ভুলবো না”।

উনি খুশী হয়ে হো হো করে হাসতে হাসতে বললেন, “তা অবশ্য আমি জানি। আসো তোমাকে আরো কিছুজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেই।“ আমি উনার সাথে সাথে এগোতে লাগলাম। মাথা প্রচন্ড ভারী হয়ে যাচ্ছে। উনি কিছু মানুষের সামনে আমাকে নিয়ে হাত নেড়ে নেড়ে কিছু বলতে লাগলেন। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার সামনের সবকিছু আস্তে আস্তে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে।

“ এই এই কি হলো তোমার?”

আমি আবিষ্কার করলাম আমি মাটিতে পড়ে গেছি। আমার মুখে পানির ঝাপটা দিচ্ছে মিসেস চার্লস। আমি একটা শুকনো হাসি দিয়ে বললাম যে খানিকটা অসুস্থ বোধ করছি। আমি খুব লজ্জিত। আমি চলি তাহলে। প্লীজ ক্ষমা করবেন।



মিসেস চার্লস বললেন যে উনি বলে দিবেন। সমস্যা নেই। উনার গাড়িতেই যেনো আমি চলে যাই। হঠাত করে উনি জিজ্ঞেস করলেন, “ড্রিমমেকার তুমি কি ভালো নেই? তোমার চোখের নীচে কালি জমেছে। এতো কাজের চাপ নিচ্ছো কেনো? ড্রিমমেকারের ও তো ঘুমের প্রয়োজন আছে তাই না?”



আমি ফিরতে ফিরতে সারাক্ষন এটাই ভাবতে লাগলাম “ড্রিমমেকারের ও তো ঘুমের প্রয়োজন আছে।



অবশ্যই প্রয়োজন আছে। একটা মানুষ ভালোভাবে চলতে ফিরতে তার অবশ্যই ঘুমের প্রয়োজন আছে। আমি নির্দিষ্ট সময় মেপে ঘুমোতে পছন্দ করি। বেশি ঘুম আমার কখনোই পছন্দ না। ঘুম আমার কাছে একটি ছোটখাটো ফাঁদ বিশেষ। যেহেতু আমি সবার স্বপ্ন লেখে দেই আমি ব্যাপারটার খাঁদ অবশ্যই জানি। সবই তো মনকে ভুলানোর জন্য তৈরী।কৃত্তিমতা। প্রাকৃতিকভাবে আমি যেসকল স্বপ্ন দেখি অধিকাংশেরই সমাপ্তি খুব একটা ভালো না। আমি এখন এতেই অভ্যস্থ হয়ে গেছি। মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি স্বাভাবিকভাবেই নেই। আমার অনেক কাজ, এসব ব্যাপারে মাথা ঘামানোর সময় আমার নেই। মিথ্যে বলবো না, কয়েকবার আমি যন্ত্রটার ও সাহায্য নিয়েছিলাম যতই কৃত্তিমতা থাকুক। কিন্তু কেনো জানি তা কখনোই আমার স্বপ্নের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। আমার স্বপ্নই তার উপর প্রভাব বিস্তার করে কাহিনী বদলে দিতো বার বার। ব্যাপারটা কাউকে বলাও যায়না। যদি শহর জুড়ে রাষ্ট্র হয়ে যায় যে খোদ ড্রিমমেকারের ই স্বপ্ন নিয়ে সমস্যা তাহলে কি কেও আমার কাছে আর আসবে ?? নিজের সুনাম এবং পেশা টিকিয়ে রাখতে এরকম নানান কিছু লুকিয়ে রাখতে হয় সবার কাছ থেকে। আমি নিশ্চিত সেই বুড়ো কাহিনীকারের ও হয়তো এরকম সমস্যা ছিলো। কিন্তু হঠাত করেই কেনো সে সবকিছু ছেড়ে দিলো তা আমি জানি না। অনেকেই জানার চেষ্টা করেছিলো কিন্তু উনি মুখ খুলে নি। উনার অবসর অবশ্য আমার মতো কিছু নতুনদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ। নতুনদের মধ্যে আমি ই কিছুটা জনপ্রিয় তাই আমার উপরই কাজের চাপ বেশি পড়ছে। অনেকেই আমার সাথে সেই বুড়োর তুলনা করে থাকে। আমার মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে। তুলনা জিনিসটা মাথায় অতিরিক্ত বোঁঝা এনে দেয়। তাছাড়া যার ঘাড়ে অন্যের স্বপ্নের দায়িত্ব থাকে সে কি করে ঘুমোতে পারে ??



মিসেস চার্লসের গাড়ি আমার বাড়ির সামনে এসে থামে। আমি নেমে পড়ি। মিসেস চার্লস খুবই ভালো মানুষ। আমাকে উনি নিজের ছেলের মতই স্নেহ করেন। দাঁড়িয়েই বুঝতে পারি মাথা ব্যাথা আরো জেঁকে বসেছে। আমি ভ্রু কুঁচকে দরজার দিকে এগোতে থাকি। চাবি বের করে দরজা খোলার চেষ্টা করতে থাকি কিন্তু খুব খারাপ লাগছে। আমি তাই বাড়ির বাইরেই বারান্দার সিড়িতে বসে পড়ি। আকাশে বিশাল চাঁদ উঠেছে। আমার খুব ঘুম পাচ্ছে এই মুহূর্তে।



হঠাত করে ফিস ফিস আওয়াজে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি চমকে উঠি। কেউ যেনো কানের কাছে এসে বলছে, উঠে পড়ো!! উঠে পড়ো!!



আমি চোখ মুছে চারদিকে তাঁকিয়ে কাউকে দেখতে পেলাম না। হয়তো মনের ভুল। স্বপ্নই হয়তো দেখেছি। এখন বেশ সুস্থ লাগছে। আমি দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করি। জামা কাপড় ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ি।



সেদিনের পর থেকে প্রায়ই আমার কানের কাছে কেউ যেনো ফিস ফিস করতো। আমি প্রথমে ব্যাপারটা পাত্তা দেই নি।ভীষন ব্যস্ত সময় আমার এখন। কিন্তু দিন দিন তা বেড়েই যেতে লাগলো। আমার আসলে ঠিক ভয় করছে না। আমার বিরক্ত লাগছে। আমি সবসময় মানুষের সাথে থাকতে পছন্দ করি না। একার জন্যও আমি অনেক সময় রাখি। কিন্তু সে সময় ও কারো ফিস ফিস শব্দে মনে হয় আমার নিজের বলে এখন কিছুই নেই। কেউ একজন হয়তো চুপচাপ সবকিছু দেখে যাচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কারো সাথে আলোচনা করতে আমি সন্দিহান। যদি কোনোভাবে এটা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পুরো শহরে ছড়িয়ে যাবে যে ড্রিমমেকার পাগল হয়ে গেছে। আমি তাই নিজেই এ ব্যাপারে পড়াশোনা করার চেষ্টা চালাচ্ছি কিন্তু তেমন আগাচ্ছে না। কাজের পড়াশোনা বাদ দিয়ে এখন অতিরিক্ত পড়াশোনা করার সময় আমি আসলেই খুঁজে পাচ্ছিনা।





মাসের কয়টা দিন আমি ঘরদোর পরিষ্কারের কাজে ব্যয় করি। অপরিষ্কার কাপড়গুলো একত্রিত করে ধোয়া, ধুলো ঝাড়া, ঘর মোছা, বই খাতা গুলো ঠিক মতো আবার গুছিয়ে রাখা প্রভৃতি কাজের পেছনেই আমি সময় ব্যয় করি। আমি সাধারণত নিজের কাজ নিজেই করে থাকতে পছন্দ করি। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় বিয়ে থা করে ফেলা উচিত। একলা একলা এসব পরিষ্কার না করে দুজন মিলেই পরিষ্কার করতাম। কাজ ও কমে যেতো। এরপর হয়তো খালি সময়টাতে আমরা কোথাও বেড়াতে যেতে পারতাম। এসব ভাবলেও আমার হাসি পায়। শুধুমাত্র ঘরদোর পরিষ্কারের ক’টা দিন ই আমার এ ইচ্ছে জাগে কারন তখন আমার মস্তিষ্ক থাকে কাজের চাপ থেকে মুক্ত। তখন আমি বৃত্তের বাইরে চিন্তাভাবনার সুযোগ পেয়ে থাকি।



তেমনি একদিন আমি বই গুলোকে ঝেড়ে পুছে পরিষ্কার করে রাখছি তখন আমার দরজার কড়া কেউ নাড়লো। আমি দরজা খুলে দেখি একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। পড়নে হালকা নীল পোশাক। হাসি হাসি চেহাড়া নিয়ে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছে। আমার কিন্তু একটু ও ভালো লাগলো না। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, "আজ আমি ব্যস্ত। আমি কোনো স্বপ্ন টপ্নের অর্ডার নিতে পারবো না। দেখেন নি বাইরেই তো লেখা আছে।"

মেয়েটি হেসে উত্তর দিলো, “তোমাকে কে বলেছে আমি স্বপ্ন লেখাতে এসেছি?”

আমি বিরক্ত হয়ে উত্তর দিলাম, “কারণ অন্য কোনো কারনে কেউ এখানে তেমন আসে না তাই।“

মেয়েটা জানালো আমার সাথে তার কিছু কথা আছে। আমি যাতে হাতের কাজগুলো সেরে আসি। সে বাইরে অপেক্ষা করবে বলে বারান্দায় রাখা চেয়ারগুলোর একটাতে বসে পড়লো। আমি রাগে গজ গজ করতে করতে ভেতরে গেলাম। মেয়েটি আমার সাথে রহস্য করতে এসেছে, যত্তসব।



প্রায় একঘন্টা পর আমি আবার বের হলাম। ভেবেছিলাম ফিরে এসে দেখবো না। কিন্তু না, দেখলাম যে সে এখনো বসে আছে। আমি এসেছি দেখে সে হাসলো। এরপর বললো, “ তোমার সাথে আমার আসলেই কিছু জরুরী কথা আছে তা আসলে তোমার কাজেই লাগবে!”

“তুমি আজকাল কিছু সমস্যায় ভুগছো তাই না?”

আমি বললাম, “সেটা আপনার মাথা ব্যাথার কিছু না। আমার কিছু হয় নি”।

“তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে পারো। ভয় পেয়ো না। কেউ জানবে না এ কথা!”

আমি ভ্রু কুঁচকে পুরো ব্যাপারটা ধরার চেষ্টা করতে লাগলাম।

“ঘুমের সমস্যা, দূঃস্বপ্ন, সর্বশেষ সংযোজন ফিস ফিস কথা কি তুমি অস্বীকার করতে পারবে?”

আমি মাথা নীচু করে রইলাম।

একটু পর সে আবার বলতে লাগলো, “তোমরা মানুষগুলো মাঝে মাঝে এত বোকার মতো কাজ করো। এমন সব যন্ত্র তৈরী করো যার কোনো দরকার ই ছিলো না কখনো। এসব তৈরী করে তোমরা আমাদের করো বিব্রত এবং নিজেদের ঠেলে দেও আরো বিপদে।“

আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না ওর কথা।

সে বললো, “তুমি হয়তো অনেক কিছুই বুঝতে পারবে না। তোমার বোঝার দরকার ও নেই। এই স্বপ্ন তৈরীর যন্ত্রটা অবশ্য আমাদের বেশ অবসর এনে দিয়েছে। কিন্তু যে কাজটা মানুষের না সে কাজ যদি মানুষ করতে থাকে তাহলে এর প্রভাব তো পড়বেই। তোমার উপর ও পড়ছে। আমার আবার এসব দেখতে ভালো লাগে না। বহুদিন তোমাদের মানুষদের দেখি তো। মায়া পড়ে গেছে। খারাপ লাগে। বুড়ো কাহিনীকারের অবশ্য এ অবস্থায় আসতে বেশ সময় লেগেছিলো কারণ সে তার ক্ষমতার পুরোপুরি ব্যবহার করে নি।তাই তার সাথে আমার অনেক পরে দেখা হয়েছিলো। কিন্তু তোমার বেলাতে এতো তাড়াতাড়ি হবে আমি ভাবিনি। কি আর করা তুমি খুব বেশী ই তোমার ক্ষমতার ব্যবহার করছো। এতো চাপ না নিলে হয়তো আরো কয়েক বছর পর আমাদের দেখা হতো”।



আমি তার একটানা কথাগুলো বুঝার চেষ্টা করতে থাকলাম। কিছু বুঝলাম কিছু বুঝলাম না। বুঝলাম বুড়ো কাহিনীকারের হঠাত করে সবকিছু ছেড়ে দেয়ার পেছনে এই মেয়ের ই হাত আছে। কিন্তু সে কি মানুষ নাকি অন্যকিছু?



“তুমি নিশ্চয়ই ভাবছো আমি কি? দয়া করে এসব জিজ্ঞেস করো না। আমি জবাব দেবো না। এখন তুমি যাও ঘুমিয়ে পড়ো। তোমার জন্য চমতকার একটি স্বপ্ন অপেক্ষা করছে। ভালো থেকো”। বলে মেয়েটা উঠে চলে গেলো। আমি তাকে বলতে চাইলাম থামতে কিন্তু কেনো জানি পারলাম না। আমি ধীরে ধীরে উপরে আমার শোবার ঘরের উদ্দেশ্যে হাঁটতে লাগলাম।





আমি স্বপ্ন দেখলাম এক প্রকান্ড বিশাল মাঠে আমি দাঁড়িয়ে আছি। সারা মাঠ জুড়ে বড় বড় ঘাস। মাঠের এক প্রান্তে একটি বেশ বড় গাছ। আমি গাছটির দিকে হাঁটতে লাগলাম। কেনো জানি হাঁটতে আমার খুব ভালো লাগছে। গাছটির কাছে এসে দেখলাম সেখানে একটি দোলনা ঝুলছে। নিজেকে হঠাত খুব ছোট মনে হলো। দেখলাম আসলেই আমি ছোটবেলার আমি হয়ে গেছি। আমি দোলনাতে বসে পড়লাম। দোলনাটা দুলতে লাগলো। ধীরে ধীরে দোলনাটি আরো জোরে দুলতে লাগলো। এক পর্যায়ে আমি একটু ভয় পেতে শুরু করলাম। যদি এই সুন্দর স্বপ্নটাও দূঃস্বপ্নে মোড় নেয়? কিন্তু তা হলো না বরং দোলনাতে দুলতে দুলতে আমি ক্লান্ত হয়ে গেলাম। এক পর্যায়ে আমি গাছের গুড়িতে হেলান দিয়ে বসে পড়লাম। কোনো এক জায়গা থেকে অদ্ভুত ফুলের গন্ধ ভেসে আসছে। আমি আনন্দে চোখ বুজে রইলাম। চোখ মেলে দেখলাম আমি আমার ঘরে শুয়ে আছি। সেই গন্ধের রেশটা যেনো এখনো আমার নাকে লেগে আছে। এই প্রথম আমি একটি দূঃস্বপ্ন ছাড়া স্বপ্ন দেখলাম। নিজেকে খুবই হালকা মনে হচ্ছে। বাড়ি থেকে বের হয়ে নেমপ্লেট থেকে ড্রিমমেকার লেখাটি মুছে ফেললাম। নিজেকে সবকিছু থেকে মুক্ত মনে হতে লাগলো। আজ থেকে আমি বোঁঝাহীন, স্বাধীন।





আজকাল সবকিছু ছেড়ে দিয়েছি। দিন অবশ্য আমার খারাপ যাচ্ছে না। অনেকেই প্রথম প্রথম আমাকে অনেক জোরাজোরি করেছিলো কেনো ছেড়ে দিলাম কিন্তু আমি কাউকেই কিছু বলি নি। প্রায়ই আমি মেয়েটাকে খুঁজি। কিন্তু আমি জানি ওর সাথে আমার আর কখনোই দেখা হবে না। মিসেস চার্লস এখন আমার বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছে। আমি সেই বুড়ো কাহিনীকারের সাথে দেখা করেছিলাম। উনি আমাকে দেখেই চিনতে পারলেন। আমার দৃষ্টিতে একটি প্রশ্ন ছিলো, উনার সাথেও কি মেয়েটির আসলেই দেখা হয়েছিলো। তিনিও জানিয়েছিলেন যে দেখা হয়েছিলো।



উনি খুবই মিশুক। আমার সাথে উনার কিছুদিনের মাঝেই ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমি দৈনিক ই উনার সাথে দেখা করি। বয়স হলেও উনার মস্তিষ্ক এখনো খুব তীক্ষ্ণ। খুব ভালো দাবা খেলতে পারেন। এখনো আমাকে তার কাছে নাকানি চুবানি খেতে হয়।



খবরের কাগজ থেকে একদিন আমরা জানতে পারি আজকাল শহরে আরেক ড্রিমমেকার বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। সবার মুখে মুখে এখন তার কথা। আমরা দু’জনই খবরটা পড়ে মুচকি মুচকি হাসি এবং আমাদের আড্ডাতে অতিরিক্ত আরেকটি চেয়ারের ব্যবস্থা করি। কারণ আমরা জানি অচিরেই আমাদের সাথে আরেকটি নতুন মুখ দেখা যাবে। আমরা অধীর আগ্রহে সেদিনের অপেক্ষা করি।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৯

সোহাগ সকাল বলেছেন: ফেবুতে কালকেই পড়েছিলাম। অনেক ভালো লেগেছে। আপনার গল্প বরাবরই অসাধারণ।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। :)

২| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ফারজানা শিরিন বলেছেন: এক টানে পড়লাম । সবচেয়ে ভালো লাগছে যে বুঝে উঠতে পারিনি কি হচ্ছে ??? এই জিনিস্তাই সবচেয়ে বেশী ভালো লাগছে । নাঝতে পারা ।

গল্পে প্লাস এবং শুভকামনা রইলো । ঃ)

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। একটানে পড়েছেন শুনে অনেক ভাল্লাগলো।

ভালো থাকবেন। :)

৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দারুণ একটা গল্প। স্বপ্ন কারিগরদের একে একে অবসর গ্রহণ মানুষের মনে হয়তো সন্দেহ যোগায়। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা, নতুন কারিগর এসে স্থান দখল করে আবার।

লেখনী মসৃণ। পড়তে অনেক ভালো লেগেছে। প্লাস।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন। :)

৪| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: Chomotkar golpo!

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। :)

৫| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লিখসো।

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪৪

তেরো বলেছেন: অনেক থেঙ্কু !! :D

৬| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫৭

ফালতু বালক বলেছেন: অসাধারণ, খুব ভালো।

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪৪

তেরো বলেছেন: ধন্যবাদ... :)

ভালো থাকবেন।

৭| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো বর্ণনা ! কেমন ছিমছাম একটা ভাব লেখায় , গল্পের চরিত্রে। স্বপ্ন দেখা এবং দেখানোতে।

শুভকামনা রইলো

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪৪

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। :)


ভালো থাকবেন। :)

৮| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:০১

বটের ফল বলেছেন: অসাধারন বললে বিরাট ভুল হয়ে যাবে। একেবারে ফ্যান্টাসটিক, ফ্যান্টাবুলাস,ফ্যান্টাসটিকটাস.....................................।

আপনি এত ভালো লিখেন কি করে তেরো!!!!

ভালো থাকবেন অনেক বেশী।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪

তেরো বলেছেন: হাহাহাহা...... অনেক ধন্যবাদ। :)


ভালো থাকবেন।

৯| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

মিনাক্ষী বলেছেন: আপনের লেখার হাত দিন দিন পাকতেছে। :) :)

০১ লা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

তেরো বলেছেন: হেহেহে আপনেরে ধইন্যবাদ আপা... :D

১০| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৮

শশী হিমু বলেছেন: ভাইয়াআআআআ!!

অবশেষে পড়লাম , দেরি হইয়া গেলো।


গল্প অনেক ভালো লাগসে। প্লট অনেক ভালো, লেখাও অনেক ভালো হইছে।

আমি যে কবে আবার গল্পলেখুম :/

০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৪

তেরো বলেছেন: থেঙ্কু ভাইয়াআআআআআআআআ ...... :D


গল্প লেখার টাইম আসলে আবার লেখবেন। টেনশন নট। :D

১১| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

schumonn বলেছেন: দারুন লিখছো কিপটা। আমার খুবই ভালো লাগসে, আমিও একটানে পড়সি।++++++++++++++++++++++++++++

১৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:২২

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই। কমেন্ট পড়ে খুব ভাল্লাগছে। :D

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪

আরিফ রুবেল বলেছেন: বর্ণনা অনেক বেশি শীতল, বিদেশী গল্পের মত। থিমটা চমৎকার ছিল

স্বপ্ন কারিগর !

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১

তেরো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.