নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I am only one

দিস ইজ ইব্রাহিম

আমি রক্তে স্নান করতে পারি, আমি নিজের জীবন বিলাতে পারি আমি আমার দেশের জন্য আমরণ লড়াই করতে পারি। তবে... আমি আমার প্রিয় ধর্মকে সবার চাইতে বেশী ভালোবাসি আমি মিথ্যে চেতনার নামে অসভ্যতাকে খুব বেশী ঘৃণা করি। তাই... আমি আমার ধর্মের প্রশ্নে কভু ছাড় নাহি দিতে পারি

দিস ইজ ইব্রাহিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এগুলা কি আমাদের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করতেছেনা!!!!!

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

ছোটবেলায় আমাদের শেখানো হতো- শিক্ষক-শিক্ষিকারা হচ্ছে বাবা-মায়ের মত।
সামাজ এরকমই একটি অদৃশ্য বাধন তৈরী করে দিয়েছিলো।
দীর্ঘদিনের ‘সামাজিক মূল্যবোধ’ বলেন আর কালচার বলেন এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই গড়ে উঠেছে।

কিন্তু অতি সম্প্রতি মিডিয়ায় বিভিন্ন নাটক প্রচারিত হচ্ছে, যেটা দেখে আমার মনে হয়েছে সমাজে বহুদিনের গড়ে ওঠা সেই বাধনে ভাঙ্গন ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মানে- শিক্ষিকা ছাত্রদের সম্পর্ক মা-সন্তানের মত নয়, প্রেমিক-প্রেমিকার মত। যেমন : নাটক-‘ম্যাডাম তোমাকে ভালোবাসি’, নাটক-‘লোনলি টাচ’, দ্বীপ্ত টিভিতে প্রচারিত ‘যা কিছু ঘটে যায়’, দেশটিভিতে প্রচারিত ‘নাইন এন্ড হাফ’ প্রত্যেকটি নাটকে শিক্ষিকার সাথে ছাত্রের প্রেমের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।

অনেকে হয়ত বলতে পারেন, “আরে ভাই আছেন কোথায়, আজকাল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটছে, যার প্রতিফলন এই নাটক।” আমি বলবো- হতে পারে। কিন্তু দুই-পাঁচ জন ব্লু ওয়েল গেম খেললো, আর আপনি সেটা নিউজ আর টকশো করে সারা দেশেব্যাপী প্রচার করে দিলেন, এখন ব্লুয়ে ওয়েলের গ্রাহক হয়ে গেলো পাচ-দশ লক্ষ।

যেই জিনিসটা কিছু অংশে সীমিত আছে সেটা কিছু অংশেই সীমিত থাকতে দিন, আপনি নাটক বানিয়ে, রসিয়ে-রসিয়ে সেটা পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে দিলেন, এখন ছাত্র-শিক্ষিকার মধ্যে সেই সম্পর্কটা কি আর থাকবে ? আর এই বাধন ভেঙ্গে দিলে দীর্ঘমেয়াদী ও ফিল্ড পর্যায়ে তা কতটুকু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, সেটা কি চিন্তা করেছেন ?

প্রতিদিন খবরে দেখেছেন- খুন, ধর্ষণ, হত্যা, রাহজানির খবর। অনেকেই বলছেন- এগুলো সমাজে মূল্যবোধ ধ্বংসের কারণ। কিন্তু সেই মূল্যবোধ’টা কিভাবে তিলে তিলে ধ্বংস করা হচ্ছে সেটা নিয়ে কেউ ভাবছে না। পশ্চিমাবিশ্বে কিংবা ভারতে যে বিষয়গুলো স্বাভাবিক, বাংলাদেশে সেটা স্বাভাবিক নয়। কিন্তু সেই কালচারটা যখন আপনি বাংলাদেশে নাটক সিনেমার মাধ্যমে আমদানি করলেন, তখনই ঘটলো সমস্যা। আমার মনে হয়, সমাজে বাধন ভাঙ্গার এই প্রক্রিয়া নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের সচেতন হওয়া উচিত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আমিও মনে করি এটা ছাত্রদের মস্তিষ্কে শিক্ষিকার সাথে রিলেশনের বীজবপন।
মিডিয়া সিনেমা নাটক যত নষ্টের মুল

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আমার মনে হয়, সমাজে বাধন ভাঙ্গার এই প্রক্রিয়া নিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের সচেতন হওয়া উচিত।
নাটক নির্মাতাদের এই সব ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তবে অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলতে হয়, ছেলেরা কিন্তু বহুকাল থেকেই ম্যাডামদের নিয়ে ফ্যান্টাসি করে। আবার তরুণ শিক্ষকরা যে ছাত্রীর প্রেমে পড়ে এটা তো খুবই কমন। এখন প্রশ্ন হলো, কমন হলেও এসব বিষয় নাটকে আসা উচিত কিনা। অবশ্যই উচিত না। শুধু এসব বিষয় কেন? পরকীয়া, বউ শাশুড়ির যুদ্ধ, হিংসা এসবও থাকা উচিত নয়। আসলে এসব সব হলো ব্যবসা। পাবলিককে বোকা বানানো...

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:৫৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের অনেক কিছুই বাড়ছে কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই যা কমছে তার অন্যতম একটা হলো কান্ডজ্ঞান | আর এটা আমাদের চলচিত্র আর নাটকের সাথে যুক্ত মানুষগুলোর মধ্যে পরিমানে খুবই বেশি | সবকিছুই যে নাটক সিনেমার বিষয়বস্তু হবার দরকার নেই বা হলে আমাদের জন্য মানানসই নয় বা ধ্বংসাত্মক তা আমাদের এই অগ্রসর শ্রেণীটাকে যে কে বোঝাবে | আপনার লেখাটা কে একটা প্রতিবাদ হিসেবে দেখলাম আর তার প্রতিবাদী শুভেচ্ছা |

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫১

জনদরদী বলেছেন: মানিক বন্দোপাধ্যায় আর জহির রাহয়ানরা "পদ্মা নদীর মাঝি" আর "হাজারা বছর ধরে" উপন্যাসে পরকীয়া শিখিয়েছিল তখন সংস্কৃতি কি ঠিক ছিল ? সেটা আবার নবম-দশম শ্রেনীর সহপাঠ হিসাবে পড়ানো্ও হত !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.