নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুষ্ঠু ব্লগিং সবার কাছে কাম্য

আমার পোস্ট গুলো পড়ার অনুরোধ রইলো

ঠগী

পিসি কম সময় দিবেন।

ঠগী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানব শরীরে ক্যালরির প্রভাব

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

অনেক খাবারই আছে যেগুলোতে ক্যালরি বিদ্যমান। এই ক্যালরি শরীরের জন্য যেমন প্রয়োজন, তেমনি আছে এর ক্ষতির দিকও। অর্থাৎ শরীর প্রতিদিন কতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করবে আর কতটুকু বার্ন (খরচ) করবে তা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ক্যালরি অর্জন ও তা ব্যয় পরস্পরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই বিষয়টি প্রত্যেকেরই জানা থাকা দরকার ক্যালরি এবং শরীরে এর প্রভাব সম্পর্কে।



ক্যালরি কী :

ক্যালরি হচ্ছে শক্তির একক, যা দিয়ে কোন খাদ্য থেকে শরীর কতটুকু শক্তি পায় তা মাপা হয়। খাদ্যের পুষ্টি উপাদানগুলো যখন শরীরের কোষের রক্তের সংস্পর্শে আসে, তখন শক্তি উৎপন্ন হয়। খাদ্য থেকে উৎপন্ন তাপশক্তি পরিমাপ করে নির্ণয় করা হয় খাদ্যে ক্যালরির মান। বিষয়টি প্রত্যেকেরই কমবেশি জানা আছে, শরীরে শক্তির জন্য খাদ্যের প্রয়োজন। এ খাদ্য থেকে জোগান আসে ক্যালরির। আর ক্যালরি শরীরকে শক্তি, পুষ্টি, ভিটামিন, মিনারেলস, শর্করা, আমিষ, ফ্যাট প্রভৃতি সরবরাহ করে থাকে। শরীরে এ ক্যালরি জ্বালানি শক্তির মতোই কাজ করে থাকে এবং কাজ করার শক্তির জোগান দেয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, এক গ্রাম শর্করায় চার ক্যালরি, এক গ্রাম আমিষে চার ক্যালরি, এক গ্রাম ফ্যাটে ৯ ক্যালরি পাওয়া যায়। এভাবে ১০০০ ক্যালরির যোগফল ১ কিলোক্যালোরি।



ক্যালরির প্রভাব :

চাহিদার চেয়ে শরীর বেশি ক্যালরি গ্রহণ করলে ওজন বাড়বে। একইভাবে কম ক্যালরি গ্রহণে ওজন কমবে। তবে ক্যালরি বেশি কিংবা কম গ্রহণ দুই ক্ষেত্রেই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য ক্যালরি বেশি হলে প্রয়োজন ব্যায়াম বা কায়িক পরিশ্রম করা। এতে শরীরে তাপ উৎপন্ন হয়ে শক্তি খরচ হবে। আর এর মাধ্যমে অতিরিক্ত ক্যালরি বার্ন হয়ে যাবে। অন্যদিকে কম ক্যালরি গ্রহণ করলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুবিধা হলেও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে শরীর কাজ করার জন্য তার প্রয়োজনীয় শক্তি পাবে না। আবার মাঝেমাধ্যে অনেকে বুঝে বা না বুঝে ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে থাকে। এতে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ওজনের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাইপারটেনশন, আথ্র্রাইটিস ক্যানসার, অবসাদ, বিশেস করে নারীদের নানা ধরনের অসুখ হতে পারে। তাই শরীরে যাতে অতিরিক্ত ক্যালরি না জমতে পারে এ বিষয়ে সব সময় নজরদারির ওপর রাখতে হবে।



বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে চিনি, অতিরিক্ত তেল, ঘি, মাখনযুক্ত খাবার ইত্যাদি। এ ধরনের খাবার বেশি খেলেও ওজন বেড়ে যায়। এ ধরনের খাবার গ্রহণের পর ব্যায়াম করলেও দ্রুতই ফল পাওয়া যায় না। ফলে ওজন কমে না। তবে গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, নিয়মিত কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে আয়ু বাড়ে, দেখা যায় চিরতরুণ, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, ফিটনেস ধরে রাখা যায় ও মন প্রফুল্ল থাকে। আবার কেউ যদি দৈনিক ১২০০ ক্যালরির কম খাবার খায়, এতে শরীর তার কাজের ক্ষমতা হারায়, মেটাবলিজম কমে আসে, ঠিকমতো পুষ্টি পায় না। একইভাবে দীর্ঘদিন চাহিদার তুলনায় খুব কম ক্যালরি গ্রহণ করলে ওজন অতিরিক্ত কমে যায়, শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ঠিকভাবে কাজ করে না। হৃৎকম্পনের জন্য, মস্তিষ্ক কাজ করার জন্য, শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক রাখার জন্য ক্যালরি দরকার। তাই শরীরের চাহিদা না জেনে ব্যায়াম করে বা কায়িক পরিশ্রম করে ক্যালরি খরচ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই ক্যালরি নয় কম, নয় বেশি। খবরের সূত্র এই লিংকে

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.