নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুষ্ঠু ব্লগিং সবার কাছে কাম্য

আমার পোস্ট গুলো পড়ার অনুরোধ রইলো

ঠগী

পিসি কম সময় দিবেন।

ঠগী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষতিকর রাসায়ানিক দিয়ে পাকানো হচ্ছে টমেটো

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩

শরীয়তপুরের জাজিরায় মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে পাকানো হচ্ছে অপরিপকস্ফ টমেটো। ফলে নিমিষেই টকটকে লাল বর্ণ ধারণ করছে সবুজ টমেটো। জাজিরা উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রামের চার শতাধিক স্থানে এভাবে কার্বাইড জাতীয় বিষ দিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষেতেই পাকানো হচ্ছে জনপ্রিয় এ সবজিটি। এভাবে টমেটো পাকিয়ে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় পাঠানো হয়। এই টমেটো বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীরা।



জানা গেছে, ফিলফেট, প্রোমোট, রাইফেন, মার্শাল ও রাইনো নামের তরল ও পাউডার জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ পানির সঙ্গে মিশিয়ে স্প্রে মেশিনের সাহায্যে টমেটোতে ছিটিয়ে ৪৮ থেকে ৬০ ঘণ্টার মধ্যে তা পাকানো হচ্ছে। এই রাসায়নিক দ্রব্যগুলো পিজিআর বা ‘প্ল্যান গ্রোথ হরমোন’ বলা হয়। গাছে ফুল বেরোনোর সময় স্ত্রী ফুলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও যথাসময়ে গাছে ফল ধরার জন্য এগুলো ব্যবহার করার কথা। এই ওষুধ প্রতি ১০ লিটার পানিতে মাত্র ০৩ গ্রাম মিশিয়ে গাছে ছিটানোর নিয়ম। কৃষকরা অধিক মুনাফার আশায় এই জীবননাশক পদার্থ টমেটোতে মেশাচ্ছে। এই টমেটো খাওয়ার পর মানবদেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর প্রত্যঙ্গ লিভার, কিডনি ও ফুসফুসে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এই বিষ মানবদেহে প্রবেশ করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষের হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টের অসুখ হতে পারে।



শরীয়তপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রায় ৩০ হাজার টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চলতি মৌসুমে শরীয়তপুর জেলার ৬টি উপজেলায় ৫৬০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জাজিরা উপজেলাই আবাদ হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমি। বেশি দাম পাওয়ার আশায় স্থানীয় কৃষকরা এক মাস আগেই জমি থেকে কাঁচা টমেটো তুলে রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে পাকিয়ে বিক্রি শুরু করেছে। এই টমেটো কৃষকরা ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে ঢাকার কারওয়ানবাজার, শ্যামবাজার ও যাত্রাবাড়ীর আড়তে বিক্রি করে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতি ৫০ মণ কাঁচা টমেটোতে ১০০ মিলিলিটার রাসায়নিক ৩০-৩২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা হয়। জমি থেকে টমেটো তুলে ২৪ ঘণ্টায় দু’বার বিষ মেশানো হচ্ছে। এরপর তা শুকনো কাঁথা ও ধানের নাড়া বা কুটো জড়িয়ে রোদের মধ্যে দু’দিন জাগ দেওয়া হয়। এতে টমেটো টকটকে লাল বর্ণ ধারণ করে।



ঢাকার শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী সাইদুল মিয়া বলেন, জাজিরার টমেটো আমরা সবার আগে ঢাকায় নিতে পারি। এই টমেটো বিদেশে রফতানি করা হয়। কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো টমেটো অনেকদিন পর্যন্ত টাটকা থাকে।



শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, যেসব তরল রাসায়নিক পদার্থ টমেটোতে মেশানো হচ্ছে তা মানবদেহে প্রবেশ করলে দ্রুততর সময়ের মধ্যে মানুষের হৃদরোগ, কিডনি ও লিভার সমস্যা হতে পারে। শরীয়তপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মুনসুর রহমান বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর প্ররোচনায় কৃষকরা ফিলফেট, প্রোমোট, রাইফেন ও রাইনো নামের তরল পদার্থ টমেটোতে মেশাচ্ছে। এগুলো মূলত এক প্রকারের হরমোন। কৃষকরা আমাদের নিষেধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন কাঁচা ফলে এগুলো মেশাচ্ছে। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক এই পদ্ধতি বন্ধের জন্য প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে আমরা অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করব। খবরের সূত্র এই লিংকে ক্লিক করুন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.