নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুষ্ঠু ব্লগিং সবার কাছে কাম্য

আমার পোস্ট গুলো পড়ার অনুরোধ রইলো

ঠগী

পিসি কম সময় দিবেন।

ঠগী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরাধী ও সম্পর্ক শনাক্তকরণে হচ্ছে ডিএনএ আইন

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

ধর্ষক, খুনি, বংশধারা নির্ধারণ ও বিকৃত মৃতদেহ শনাক্তকরণ, পিতৃত্ব-মাতৃত্ব ও ভাই-বোনের সম্পর্ক নির্ণয়ে শিগগির যুগোপযোগী ডিএনএ আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এতে বলা হয়েছে, অনুমোদন ছাড়া কোনো ল্যাবরেটরি বা ব্যক্তি_ কারোর ডিএনএ পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলে তাদের প্রত্যেকে সাত বছরের কারাদণ্ড, দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে কেউ ডিএনএ-সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে। এ ছাড়া কোনো চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যক্তির গাফিলতিতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা না গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দুই বছরের কারাদণ্ড বা ৩০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ‘ডিএনএ আইন ২০১২’ নামে একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। খসড়াটি নীতিগত অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাঠানো হবে। খবরের সূত্র এই লিংকে



মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ, খুন-খারাবিসহ নানা অপরাধে জড়িতরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়লেও সাক্ষী-প্রমাণের অভাবে সহজেই পার পাচ্ছে। এরই মধ্যে নির্যাতনের শিকার নারীদের দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক সরকারের যৌথ উদ্যোগে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, রংপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডিএনএ স্ক্রিনিং ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাবরেটরিতে ডিএনএ প্রোফাইলিং পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষণ, খুনসহ এসব অপরাধের অপরাধীদের শনাক্তকরণ, পিতৃত্ব-মাতৃত্ব, ভাই-বোনের সম্পর্ক নির্ণয়, বংশধারা নির্ধারণ ও বিকৃত মৃতদেহ শনাক্তকরণসহ বিভিন্ন পরীক্ষা হচ্ছে। এ জন্য এসবের আইনগত ভিত্তি দিতেই ২০০৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।



সভায় এ-সংক্রান্ত স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একাধিক পর্যালোচনা সভা শেষে আইনের খসড়া গত বছরের ৩১ জুন অর্থ, আইন, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, ইআরডি, সুপ্রিম কোর্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ সংশ্লিষ্টদের মতামতের জন্য পাঠানো হয়। এসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মতামতের ভিত্তিতে আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়।



প্রস্তাবিত আইনে একটি ডিএনএ উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা পরিষদের চেয়ারম্যান হবেন। পরিষদের প্রধান কার্যালয় ঢাকায় স্থাপিত হবে। পরিষদের সদস্য থাকবেন হিউম্যান জেনেটিকস, বায়োকেমিস্ট্রি, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও ফৌজদারি বিচার এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ, দক্ষ ব্যক্তি ও সরকার মনোনীত দু’জন ব্যক্তি। ডিএনএ পরীক্ষা-সংক্রান্ত ফি নির্ধারণ করবে পরিষদ।



চারটি কারণে সরকার অনুমোদিত যে কোনো ল্যাবরেটরির লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে পরিষদ। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ও অন্যান্য যথাযথ প্রক্রিয়ায় নোটিশ প্রদান করবে। জনস্বার্থ বিবেচনায় নোটিশ প্রদান বিবেচিত না হলে নোটিশ ছাড়াই লাইসেন্স বাতিল করবে।



প্রস্তাবিত আইনে আরও বলা হয়েছে, যখন কোনো পুলিশ কর্মকর্তার কাছে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকবে, তখন তিনি ভিকটিম, সন্দেহভাজন ব্যক্তি, অভিযুক্ত ব্যক্তি বা অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির কাছে দেহগত পদার্থ দেওয়ার অনুরোধ করতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেহগত পদার্থ দিতে অস্বীকার করলে আদালতের অনুমতিক্রমে তার কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ না করা পর্যন্ত গ্রেফতার বা আটকের জন্য পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। এ বিষয়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল-ইসলাম বলেন, বিদ্যমান আইনে খুন বা ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলায় ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে রায় প্রদানে আদালত জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন। এ জটিলতা নিরসনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ডিএনএ-সংক্রান্ত আইন পর্যালোচনার ভিত্তিতে ‘ডিএনএ আইন ২০১২’ একটি খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।



আইনটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলে ভোটিংয়ের জন্য আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, আইনটি বাস্তবায়ন হলে ধর্ষণ, খুনসহ এ জাতীয় অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্তকরণে আইনগত জটিলতা দূর হবে। প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.