নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এদেশটাকে বড্ড ভালবাসি....... বেশি ভালবাসি এদেশের মেহনতী খেটে খাওয়া মানুষকে....

বাংলার ঈগল

এদেশটাকে বড্ড ভালবাসি....... বেশি ভালবাসি এদেশের মেহনতী খেটে খাওয়া মানুষকে....

বাংলার ঈগল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল-আকসা মসজিদ বা বাইতুল মুকাদ্দাস এর কিছু তথ্য

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

আল-আকসা মসজিদঃ
==============
মসজিদুল আকসা আরবি ( المسجد الاقصى‎) আল-আকসা মসজিদ বা বাইতুল মুকাদ্দাস নামেও পরিচিত। মসজিদুল আকসা অর্থ "দূরবর্তী মসজিদ"। ইসলামের বর্ণনা অণুযায়ী মুহাম্মদ (সা) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকে তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। জেরুজালেমের পুরনো শহরে এটি অবস্থিত।

ইসলামের নবী ইব্রাহিম (আঃ) জেরুসালেমেও একটি উপাসনার স্থান প্রতিষ্ঠা করছিলেন । কাবা নির্মাণের চল্লিশ বছর পর (খ্রিষ্টপূর্ব ২১৭০) তিনি এটিকে আরও সম্প্রসারণ করেন যা পরবর্তীতে "বাইতুল মুকাদ্দাস" নামে পরিচিত হয়। মসজিদে হারামের তুলনায় দূরতম উপাসনার স্থান হওয়ায়, ইব্রাহিম (আঃ) এটিকে "মাসজিদুল আকসা’ বলেও উল্লেখ করতেন। তার পুত্র ইসহাক (আঃ) ও এখানে ইবাদত করতেন, তবে তিনিও তার পিতার মত পবিত্র কাবাতে হজ্ব করতে গিয়েছিলেন । পরবর্তীতে ইসহাক (আঃ) এর দ্বিতীয় পুত্র ইয়াকুব (আঃ) এই অঞ্চলের এক আল্লাহতে বিশ্বাসীদের জন্য উপাসনার স্থান হিসাবে এটিকে বর্ধিত করেছিলেন । পরবর্তিতে সুলায়মান (আঃ) এই উপাসনার স্থানটির স্থাপত্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন (খ্রিষ্টপূর্ব ১০০৪) । মুসলমানরা বিশ্বাস করে এই কাজে তিনি জ্বীনদেরকে নিয়োগ করেছিলেন এবং আল্লাহ তায়ালা "গলিত তামার ঝরণা" প্রবাহিত করেছিলেন।

নবী সুলাইমান (আঃ) ইবাদতের স্থানটি তৈরি করেছিলেন যা পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল । নির্মাণের পর থেকে এটি ঈসা (আঃ) সহ অনেক নবীর দ্বারা এক আল্লাহকে উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যাবহৃত হয়ে এসেছে। এই স্থান মুসলিমদের প্রথম কিবলা (প্রার্থনার দিক)। হিজরতের পর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার কারণে কাবা নতুন কিবলা হয়। বর্তমানে "আল-আকসা" মসজিদ বলতে বোঝাায় কিবলি মসজিদ, মারওয়ানি মসজিদ ও বুরাক মসজিদ (৩টির) এর সমন্বয় যা "হারাম আল শরীফ" এর চার দেয়াল এর মধ্যেই অবস্থিত।

খলিফা উমর (রা:) বর্তমান মসজিদের স্থানে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
পরবর্তীতে উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিকের যুগে মসজিদটি পুনর্নির্মিত ও সম্প্রসারিত হয়। এই সংস্কার ৭০৫ খ্রিষ্টাব্দে তার পুত্র খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের শাসনামলে শেষ হয়।
৭৪৬ খ্রিষ্টাব্দে ভূমিকম্পে মসজিদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে আব্বাসীয় খলিফা আল মনসুর এটি পুনর্নির্মাণ করেন।
পরে তার উত্তরসুরি আল মাহদি এর পুনর্নির্মাণ করেন।
১০৩৩ খ্রিষ্টাব্দে আরেকটি ভূমিকম্পে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফাতেমীয় খলিফা আলি আজ-জাহির পুনরায় মসজিদটি নির্মাণ করেন যা বর্তমান অবধি টিকে রয়েছে।

বিভিন্ন শাসকের সময় মসজিদটিতে অতিরিক্ত অংশ যোগ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে গম্বুজ, আঙ্গিনা, মিম্বর, মিহরাব, অভ্যন্তরীণ কাঠামো।
১০৯৯ খ্রিষ্টাব্দে ক্রুসেডাররা জেরুজালেম দখল করার পর তারা মসজিদটিকে একটি প্রাসাদ এবং একই প্রাঙ্গণে অবস্থিত কুব্বাত আস সাখরাকে বা "টেম্পল মাউন্ট" কে গির্জা হিসেবে ব্যবহার করত।
সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবী জেরুজালেম পুনরায় জয় করার পর মসজিদ হিসেবে এর ব্যবহার পুনরায় শুরু হয়।
আইয়ুবী, মামলুক, উসমানীয়, সুপ্রিম মুসলিম কাউন্সিল ও জর্ডানের তত্ত্বাবধানে এর নানাবিধ সংস্কার করা হয়।
বর্তমানে পুরনো শহর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তবে মসজিদটি জর্ডা‌নি/ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন ইসলামি ওয়াকফের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।

(বিঃ দ্রঃ টেম্পল মাউন্টকে ইহুদীরা পবিত্র যায়গা মনে করে। কুব্বাত আস সাখরা (ডোম অব দ্য রক বলেও পরিচিত) জেরুজালেমের পুরনো শহরের টেম্পল মাউন্টের উপর অবস্থিত একটি গম্বুজ। ইহুদিদের দ্বিতীয় মন্দির এখানে অবস্থিত ছিল বলে ইহুদীরা বিশ্বাস করে। ৭০ সালে রোমানরা এটি ধ্বংস করে দেয় ও এর স্থলে দেবতা জুপিটারের মন্দির গড়ে তোলে। বাইজেন্টাইন আমলে জেরুজালেম খ্রিষ্টান অধ্যুষিত ছিল। উমাইয়া খলিফা আবদুল মালিক ইবনে মারওয়ানের আদেশে ৬৯১ সালে এর নির্মাণ সমাপ্ত হয়। বর্তমানে এটি ইসলামী স্থাপত্যের সর্বপ্রাচীন নমুনা। এটিকে "জেরুজালেমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান" ও "সমগ্র ইসরায়েলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্থান" বলে উল্লেখ করা হয়।

অনেকেই না জানার কারনে টেম্পল মাউন্ট কে আল-আকসা বলে মনে করে ছবি পোস্ট করেন)

ছবি ও তথ্যসুত্রঃ উইকিপিডিয়া, গুগল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলাম প্রচারের আগে কোন মুসলমান ছিলো না, মসজিদও ছিলো না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

বাংলার ঈগল বলেছেন: আমার জানামতে; মুসলমান তথা-মানুষের আদি পিতা হযরত আদম (আ:) মুসলমান ছিলেন, তাই ইসলাম শুরু থেকেই ছিল। শুরুতে মসজিদ ছিলো না এটা ঠিক।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: তথ্য গুলো জানা হল। টেম্পল মাউন্ট এখনো কি ইহুদিদের দখলে?

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮

বাংলার ঈগল বলেছেন: আমার জানামতে; চারটি ফটকের সাহায্যে এখানে প্রবেশ করা যায়। এগুলো ইসরায়েলি পুলিশ কর্তৃক প্রহরাধীন থাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.