![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবীতে এখন শাহাবাগ উত্তাল। যদিও শুরুটা হয়েছিল অল্প কয়েকজন ব্লগারদের আন্তরিক উদ্যোগের মাধ্যমে, কিন্তু প্রাণের আবেগের টানেই সেখানে ছুটে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
এই দেশে যত আন্দোলন সংগ্রাম, তার মুল পথিকৃতই ছিলেন তরুণরা। এবং তাদের বিফল হবার ইতিহাস এখন পর্যন্ত নেই। এ কারণেই বর্তমান সরকার বাধ্য হয়েছে নিজেদেরই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করতে।
জামাতে ইসলামির ৭১ সালে কৃত ঘৃণ্য অপরাধের সাক্ষি এ দেশের কোটি কোটি জনতা। অথচ এরাই আমাদের রাজনৈতিক নেতা নেত্রিদের আশকারা পেয়ে সেদিনের সেই ঘৃণ্য অপরাধকে অস্বীকার তো করছেই, উপরন্ত ৩০ লক্ষ বাঙ্গালির গণহত্যা এবং কয়েক লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির ঘটনা অস্বীকার করছে। অনেক সময় এদের প্রপাগান্ডা মেশিন থেকে এও বলা হচ্ছে, এগুলি নাকি আদৌ ঘটেনি।
বই পড়ার পাশাপাশি আমি প্রচুর লোকের কাছ থেকে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সমন্ধে জেনেছি। যারা প্রত্যক্ষ সাক্ষি। আমার মেজো মামা সে সময় থাকতেন সদরঘাটের কাছাকাছি। তিনি নিজেই বলেছেন যে যুদ্ধের ৯টা মাসই প্রায় প্রতিদিনই অদুরেই অবস্থিত পাকি ক্যাম্প থেকে গভীর রাতে নারীদের করুণ আর্তনাদ শুনেছেন। আমার বাবার আদি প্রতিবেশির ১৪ বছরের কন্যাকেও তুলে নিয়ে পাকিরা ধর্ষন করেছিল। অনেক বছর পর এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে সেই বীরাঙ্গনাকে দেখের সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল।
তুলে নিয়ে যাবার ভয়ে আমার ছোট খালাকে অতি অল্প বয়সেই বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন আমার নানা নানি।
যাদের কাছ থেকে আমার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস জানা হয়েছে, তারা সবাই এক বাক্যে বলেছেন যে, পাকিদের পক্ষ্যে কোন বাড়ির কে মুক্তিযোদ্ধা, কোন বাড়িতে যুবতি মেয়ে আছে, এই সব জানা সম্ভব ছিল না।
তবে কারা পাকিদের এই সব জানিয়েছিল। হ্যা, জেনে রাখুন। আজকের যে রাজাকার গো আযম, নিজামি, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান এদের নেতৃত্বেই সেদিন গণহারে মুক্তিকামি মানুষদের নির্বিচারে হত্যা এবং মা বোনদের ধর্ষন করেছিল , জারজ ইয়াহিয়া টীক্কা খানদের জারজ পাকি বাহিনী।
অথচ এই নিজামি গো আযম যখন সেই ইতিহাস অস্বীকার করে, তখন তাদের নাপাক জিহবাটা অনেক আগেই ছিড়ে ফেলার ব্যার্থতা থেকে নিজেকেই ধিক্কার জানাতে মন চায়।
আজ ৪২ বছর পর, এই সব রাজাকারদের ফাসির দাবি নিয়ে যে সব তরুণরা আজ মাঠে, তারা একদিকে যেমন বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের দেশপ্রেম ক্ষয় হয়ে যায়নি, বরং আরো ক্ষুরধার হয়েছে।
অন্যদিকে রাজনৈতিক ফায়দা লূটার কারণে এই রাজাকারদের প্রশ্রয় দেয়া রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও সতর্কবার্তা জারি করেছে।
তরুণ বন্ধুরা, আপনারা মনে রাখবেন যে এটা রণাঙ্গণ। আর রণাঙ্গনের কিছু নিয়ম নীতি আছে। আছে শৃংখলা আর দায়িত্ববোধ। এ থেকে ব্যাতয় ঘটলে সফলতার পথটা বন্ধুর হবে।
প্রথমেই বলতে চাই যে এই ইস্যু নিয়ে সামুর অন্তত দুজন ব্লগার সাহসের সাথে শাহাবাগে উপস্থিত হয়েছিলেন। পারভেজ আলম এবং সামুর মডারেটর শরৎ। বাকি বিল্লাহর নাম শুনেছিলাম, কিন্ত উনি ব্লগার কিনা, সেটা জানি না। এবং তার সাথে আমার তেমন পরিচয়ও নেই।
পারভেজ আলম ভাইয়ের সাথের আমার আদর্শিক দ্বন্দ আছে। বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেষিদের সাথে প্রতি উনার ওঠা বসাকে আমি মেনে নিতে পারি না। আর শরৎ মডারেটর হিসাবে জাতিয়বাদিদের প্রতি খড়গ হস্ত বলে, তাকেও মডারেটর হিসাবে আমার নিরপেক্ষ মনে হয় না।
এর পরেও, তাদের এই সাহসি সম্মিলিত উদ্যোগ শুধু সারা দেশ নয়, বরং সারা বিশ্বে অভাবনীয় আলোড়ন তুলেছে। এজন্য তাদেরকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।
কিন্তু বিপত্তি বাধে এর পর পরই।
আমরা সবাই জানি যে, গত ৪ বছর দুঃশাসন, নিপীড়ন, রেকর্ড করা দুর্নীতি সন্ত্রাস বিরোধী মত দলন মামলা হামলা ইত্যাদির কারণে আওয়ামি লিগ দেশের মানুষের আস্থা হারিয়েছিল।
যেহেতু যুদ্ধাপরাধের জন্য ঘোষিত এই ট্রাইবুনাল থেকেই অন্যায় এই রায় দেয়া হয়েছিল ( ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে সমালোচনাকেও বে আইনি বলে ঘোষনা করা হয়েছিল), সেহেতু সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশের একটি মোক্ষম সুযোগের সদব্যাবহার করার উপলক্ষ্য হিসাবেই দলে দলে সাধারণ মানুষ আজ প্রজন্ম চত্বরে উপস্থিত হয়েছেন।
তাতেই প্রমাদ গণে হাসিনা সরকার। কেননা, সারা দেশের মানুষের একতা বদ্ধ এই আন্দোলন থেকে যদি সরকারে পতনের আন্দোলন শুরু হয়?
একারণেই দ্বিতীয় দিন থেকেই ছাত্র লিগকে দিয়ে বেস্টনি তৈরি করেছে। দলীয় ধণ্যাড্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে খাবার বিতরণ করছে। র্যাব পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ওয়াশার মাধ্যমে পয়োঃনিস্কাশন আর পানি বিতরণ করছে।
এটা এক দিক দিয়ে সাপে বর হয়েছে। নিজেদের ফেলা থুথু আজ নিজেকেই গিলতে হচ্ছে আওয়ামি লিগকে। তরুণদের এই আন্দোলনের কারণেই আজ ওরা আইন সংশোধন করতে বাধ্য হচ্ছে। বাধ্য হয়েছে রায় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করতে। অথচ আজ যদি দেশ বরেণ্য আইনজীবিদের (যারা বিনা পয়সায় এই মামলা লড়তে রাজি ছিলেন) দিয়ে এই মামলা পরিচালিত হতো, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ্যের আইনজীবিরা বাপ বাপ করে পালাতো। অথচ দলীয় বিবেচনায় বটতলার উকিল দিয়ে এই মামলা পরিচালনার কুফল সরকার তো বটেই, দেশবাসিও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।
.তবে এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখার যে সিদ্ধান্ত ছিল, বাধ্য হয়েই সেখান থেকে সামান্য বিচ্যুত হতে হয়েছে তরুণদের। কেননা লিগের সন্ত্রাসিদের মাঝখানে থেকে নিরাপত্তার আশংকা পুরো দমেই ছিল, আছে এবং থাকবে। লাকির ছাত্রলিগ কর্তৃক আঘাত পাওয়াটা সেই আশংকার একটা ট্রেইলার মাত্র।
এখন দেখা যাচ্ছে দেশের চিহ্নিত কিছু বুদ্ধিজীবি, সুশিল, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মি এরা এসে তরুণদের কৃতিত্বে ভাগ বসানোর পায়তারা করছে।
৭১ সালে এদের অনেকের ভুমিকাই প্রশ্নবিদ্ধ এবং কাপুরুষিত। আর সাধারণ মানুষদের মধ্যেও এদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের প্রবল অভাব আছে।
৭১ দেখিনি, তবে ৯০ এর গণ আন্দোলনের একজন কর্মি হিসাবে উত্তাল স্রেই দিনগুলির অভিজ্ঞতা আমার আছে।
সেই তুলনায় আজকের তরুণরা অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেই দেশ মাতৃকার প্রতি দায়ভার শোধ করার সুযোগ পাচ্ছে। এই সুযোগকে হেলায় হারানো ঠিক হবে না।
আপনার প্রতি আহবান, যে দাবীতে আপনাদের এই আন্দোলন কোন কারণেই যেন সেই দাবি থেকে আপনারা সরে না আসেন। শুধু তাই না। মনে রাখতে হবে, আপনারা এখন একটি রণাঙ্গনে অবস্থান করছেন।
আপনাদের তরুণ অনভিজ্ঞ দেশপ্রেমিক হৃদয়কে আপন স্বার্থ ও সুবিধা চরিতার্থের জন্য অনেক পুরানো পাপিই অনেক রকম চাল চালবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস , আপনাদের নিখাদ দেশপ্রেম আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সেই চাল বিনস্ট করতে আপনারা সফল হবেন।
আরেকটা ছোট্ট কথা। এই মহা সুযোগে আপনারা শুধু শ্লোগান আর গান নাচের মধ্যেই আন্দোলনকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। এই আন্দোলনে জনতা সপরিবারে আপন সন্তানদের সাথে করেই যোগ দিচ্ছে। আপনারা যেন আগামি প্রজন্মের কাছে মহান ভাষা আন্দোলন আর স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসটিও তুলে ধরেন।
গত বছর এক টিভি চ্যানেলে দেখেছিলাম, কিশোর কিশোরি থেকে তরুন তরুণি এমন কি যুবক যুবতিরাও আমাদের ভাষা আন্দোলনকে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে গুলিয়ে ফেলেছে। লাখ লাখ শিশু থেকে শুরু করে তরুণ তরুণি যুবক যুবতি আজকে বাংলা ভাষার প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে ইংরেজি হিন্দি মিশেলে কথা বলছে। বস্তাপচা হিন্দি সিরিয়ালে নেশাক্ত হয়ে গিয়েছে।
যেহেতু আপনাদের হাতে সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে, তাই আন্দোলনের পাশাপাশি, এই অপসংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধেও প্রচার চালান। তাহলেই এই আন্দোলন আরো শক্তিশালি হবে। এবং দেশের প্রতি যে দ্বায়িত্ববোধ, সেটা পুর্ণতা পাবে।
দেখা যাচ্ছে আমাদের এই আন্দোলন নিয়ে ওই পারের দাদা বাবুরা একটু বেশি মাত্রাই নাক গলাচ্ছেন।এই আন্দোলনের উনারা দূর থেকে সমর্থন দিন, ঠিক আছে। তাই বলে বিতর্কিত এক দাদার গান গাইতে হবে কেন? আমাদের শিল্পি গীতিকার সুরকারের কি অভাব পড়েছে? আর তাদের ফুটবল টিমেরও তো বাংলাদেশের আসার দরকার নেই।
আন্দোলনের নীতিনির্ধারক বলে যারা দাবি করছেন, তাদের কথা বার্তা আচার আচরণেও অনেক সংযত ও পরিশীলতার পরিচয় রাখতে হবে। এই একাবিংশ শতাব্দিতে বাকশাল বা স্টালিনবাদের মত দানবীয় আচরণ সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাবে না। উমুকের চামড়া ছিলে নেবো তমুকের গলা কেটে ফেলবো, এই সব সন্ত্রাসি উক্তি ছাত্রলিগের মুখে মানায়।
দেশপ্রেমে উদ্ভুত তরুণদের মুখে নয়.
আর "তুই রাজাকার" শ্লোগানটির অপব্যাবহার রোধ করতে হবে। আওয়ামি লিগ যেমন ওদের মতে বিরুদ্ধে গেলেই রাজাকার ট্যাগিং দিয়ে ফেলে, সেই পথ অনুসরণ করা উচিত নয়। আজ দেখছি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকেও রাজাকার বলে ধবনি তোলা হচ্ছে। এই ধরণের বালখিল্যতার কারণে সাধারণ মানুষদের চোখে আন্দোলনকারিরা হেয় বলে প্রতিপন্ন হবেন।
তাছাড়া এই মহান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেন কেউ শাহাবাগে পিকনিক বা ডেটিং বা মাদকের উৎসব করতে না আসে, সেদিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। কেননা, এটা রণাঙ্গন, কোন উৎসব নয়।
পরিশেষ সেই সব তরুণদের আমার সশ্রদ্ধ সালাম, যাদেরকে আমি আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের যোগ্য উত্তরসুরি বলেই মনে করি।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
ধীবর বলেছেন: আরে আতিক ভাই, অনেক ধন্যবাদ। অনেকদিন পর আসলাম। কেমন আছেন?
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫
সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বলেছেন: ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন রাজাকার/যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা :
১. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। লেবার মিনিষ্টার। হাসিনার বিয়াই । ৭১ সালে তার বাড়িতেই পাকবাহিনীর
ক্যাম্প ছিলো। মোশারফের বাবা ছিলেন ফরিদপুরের শান্তি কমিটির
চেয়ারম্যান।
২. স্বরাষ্ট্রমন্ত্ রী মহিউদ্দিন খান
আলমগীর। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের ৯ মাস
ময়মনসিংহে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (জেনারেল) ছিলেন। পাকিস্তান রক্ষার জন্য রাজাকার বাহিনী নিয়োগ কর্তা ছিলেন।
৩. এইচ এন আশিকুর রহমান। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরকোষাধ্যক্ষ। বর্তমানে রংপুর-৫ আসনের এমপিএবং অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধক ালে আশিকুর টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসাবে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা।
৪. সাজেদা চৌধুরী। সংসদ উপনেতা। শেখ হাসিনার ফুফু। পাকিস্তানের গেজেট করা রাজাকার। ৭/৮/১৯৭১ তারিখের পাকিস্তান সরকারের গেজেটবদ্ধ।
৫. এ ছাড়া ১৯৯৬ এর কেবিনেটে জামালপুরের নুরু রাজাকারকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বানিয়েছিলো হাসিনা।
এই দেশে কোন রাজাকারই থাকতে পারবেনা !!
সবাইকে ধরে ধরে ফাঁসি দেওয়া হোক ।
সব রাজাকারের একই শাস্তি কি হওয়া উচিৎ নয় কি ?
কেন উপরের একজনেরও নাম শাহাবাগে উচ্চারিত হল না ?????
কেন তাদের কে নিয়ে কোন ব্যানার , ফেস্টুন নেই ????
সবার দৃষ্টি শাহাবাগের দিকে ,, কেউ খোজ রেখেছে এই সুযোগে সরকার কতগুল কাজ আরামের সঙ্গে বাগিয়ে নিয়েছে ?????
** পদ্মা সেতুর দুর্ণীতির দায়ে আটকৃতরা ছারা পেয়ে গেছে
** হলমার্ক হোতা জামিনে ছারা পেয়ে গেছে
** পরাগ মন্ডল কিডন্যাপের দায় আটকৃত যুবলীগ নেতা ছারা পেয়ে গেছে
** ৪-৫ টি রাজনৈতিক ব্যাংকের অনুমদন ,,
** মিরপুর থেকে হিন্দু পরিবার গুলার জমি জবর দখল ,,,
অপরদিকে , ট্রাইবুন্যাল গঠন করল সরকার , বিচারপতি নিয়োগ দিল সরকার ,, রায় দিল তারাই , অথচ আজ তারাই রায় মানি না মানি না করে চিল্লা চিল্লি করে ,,
আর আমরা আম জনতা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত জেনে না জেনে ফাল পারতাছি
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩
ধীবর বলেছেন: পুর্ণ সহমত। দেশবাসির আবেগ নিয়ে খেলা করলে, আওয়ামি লিগকে মুল্য দিতে হবে। বাটপারি অনেক করেছে ওরা। আর না। অনেক ধন্যবাদ আসামী ভাই।
৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
ইকবাল পারভেজ বলেছেন: যারা দেশের টানে শাহবাগ গেছে তাঁদের পক্ষে চাইলেও এই আন্দোলন থেকে সরে আসা সম্ভব না। সরকার আর মতি আলোর/কা কণ্ঠের মত মিডিয়া মিলে যে নাটক তৈরি করেছে সেটা দেখতে ভাল লাগছে না; তারপরেও বলছি আমি দেশের টানেই শাহবাগ আন্দোলনের সাথে আছি। সবার মত আমারও প্রধান দাবী দুইটাই-
*রাজাকারের ফাঁসী চাই
*জামাতের ব্যান চাই
কিন্তু এর সাথে আরও কয়েকটা কথাও বলতে চাই-
*ধর্মীও উগ্রতা আর নাস্তিকের মুখোশে ইসলাম বিদ্বেষীর উগ্রতা এই দুই ধরণের উগ্রতা মুক্ত সুস্থ সমাজ চাই।
*আরও চাই সবাই যাতে অপসংস্কৃতিকে না বলে; বিশেষ করে, হিন্দি মুভি আর ভারতীয় টিভি সিরিয়াল গুলোকে।
আর বিশেষ করে এই ব্লগের জন্য একটা কথা বলতে চাই। এই ব্লগের কিছু ব্লগারের আচরণ দেখলে মনে হয় দেশের ভাল চায় শুধুমাত্র লীগ আর কমিউনিস্টপন্থী লোকজন; এই দুই দলের সাথে ভিন্ন মত হওয়া মানেই হচ্ছে ছাগু। এদেরকে শুধু একটা কথাই বলতে চাই, এরকম এক্সট্রিম হওয়াও কিন্তু এক ধরণের মৌলবাদ। অন্যের মতামতকে সম্মান করতে শিখুন। অন্ধ দল অনুসরণ করা বাদ দিয়ে আগে ভাবুন কোনটা করলে দেশের ভাল হবে।
আর ধীবর ভাই আমি ভেবেছিলাম আপনি বোধহয় লগ ইন ব্যান খেয়েছেন। আপনার পোস্টের একজন ভক্ত হিসাবে আপনাকে আবার পোস্ট দিতে দেখে ভাল লাগছে
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০১
ধীবর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানবেন ইকবাল ভাই। আপনার বক্তব্যের সাথে পুর্ণ সহমত। এই লেখায়ও বলেছি যে এই একাবিংশ শতাব্দিতে বাকশাল বা স্টালিনবাদের মত ঘৃণ্য এবং নিন্দিত কোন মতবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না। তা মইত্যা রাজাকার ২ যত চেস্টাই চালাক না কেন।
প্রপাগান্ডানিস্টদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবেই।
৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: ধীবর ভাই, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মনের কথাগুলো বলার জন্য।
আসলে প্রথমে ব্লগারদের অংশ গ্রহনেই শুরু হয়েছিল, রাজাকারদের ফাঁসির দাবি। যেটা আমাদের সবার প্রানের দাবি।
কিন্তু হঠাৎ করে সেই দাবির সাথে লেজ লাগিয়ে অবস্থাকে লেজে গোবরে করে ফেলা হচ্ছে। ইসলামী রাজনীতি বন্ধ, ইসলামী ব্যাংক বন্ধ, ইসলামী হাসপাতাল বন্ধ, ইসলামী ব্যাংক রাষ্টায়ত্ব........বালখিল্যের মত যত আজব কান্ড কারখানা।
এরপর দেখলাম ইসলামি ব্যংকের বুথে আগুন, সাতক্ষিরায় ইসলামী ব্যংক কর্মকর্তাদের আটকে রেখে তালা ঝোলানো, এসব থেকেই বোঝা যায় কেউ কেউ লাভের গুড় খাওয়ার চেষ্টা করছে। শাহবাগ চত্ত্বরে ড। আবুল বারাকাতের মৌলবাদের অর্থনীতি বই বিনামূল্যে বিতরন করার মানেটা কি? এভাবে চললে তো দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসবে।
আর কলকাতার ১৫ ফুটবলার কেন এখানে আসবে? আমাদের কি মানুষ কম পড়েছে??
আর একটা জিনিষ বুঝলাম না, কেউ প্রসিকিশনকে শক্তিশালী করতে বলছে না কেন? আবেগ দিয়ে তো আর বিচার হয় না?
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫০
ধীবর বলেছেন: সবুজ ভীমরুল ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কিছু ইস্যু চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাবার জন্য।
স্বাধীনতার পর পরই বিশেষ কোন মহলের ইশারায় ইসলাম নামটির প্রতি চরম এলার্জি যুক্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়। এমন কি বিদ্রোহি কবি কাজি নজরুল ইসলামের নামে রাখা কলেজ থেকেও ইসলাম নামটি মুছে দিয়ে শুধু কাজি নজ্রুল কলেজ রাখা হয়। এ রকম আরো উদাহারন দেয়া যেতে পারে। ওরা ভুলে গিয়েছে যে মুক্তিযোদ্ধারা ৯৯ ভাগই ছিল ধর্মভীরু মুসলমান। যারা বলে স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ইসলামের বিরুদ্ধে, ওরা জ্ঞান পাপি। বাংলাদেশের মাটিতে ইসলামোফোবিয়া চলতে দেয়া যাবে না।
প্রসিকিউশন কে ইচ্ছা করেই দুর্বল করে রাখা হয়েছে। যাতে এই সিয়ু নিয়ে আওয়ামি লিগ গাছের টাও খেতে পারে, আবার তলায়ও কুড়াতে পারে। এই সব না বুঝার মত নির্বোধ আজকালকার মানুষেরা নয়।
৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬
ইকবাল পারভেজ বলেছেন: উপরের কথাগুলা ছাড়াও লীগের কাছে আরও একটা কথা বলার ইচ্ছা ছিল :-< , সেইটা হইল তারা যেন পাশের দেশটারে নতজানু হইয়া সবকিছু দেওয়া বন্ধ কইরা একটু চোখ খুলে। কিন্তু সেইটা আর কইলাম না, কারন এইটা তারা জীবনেও মানব না
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫১
ধীবর বলেছেন: পুর্ণ সহমত ইকবাল ভাই। ভারত প্রেম কোন দেশপ্রেমিকের কাজ হতে পারে না।
৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
উষা বলেছেন: তরুণ বন্ধুরা, আপনারা মনে রাখবেন যে এটা রণাঙ্গণ। আর রণাঙ্গনের কিছু নিয়ম নীতি আছে। আছে শৃংখলা আর দায়িত্ববোধ। এ থেকে ব্যাতয় ঘটলে সফলতার পথটা বন্ধুর হবে।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫১
ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ উষা।
৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মুক্তির মিছিল বলেছেন: একই সাথে শাহাবাগ মঞ্চ থেকে যদিন দূর্ণীতি বিরোধী এবং দেশ গড়ার ডাক দিতো-তাহলে আমাদের দেশটা সত্যিই মুক্তিযুদ্ধের চেতণায় পূর্ণ হত।
পোস্টে প্লাস।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫২
ধীবর বলেছেন: হয়তো তরুণ বলে এত কিছু সামলানো কঠিন হতে পারে। কিন্তু এই আন্দোলনকে বাচিয়ে রাখতে হলে, ভিন্দেশপ্রেমি চিহ্নিত দালাল খাটাশদের এই সমাবেশ থেকে দূরে রাখা জরুরি।
৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
রাসেল মেটামোরফোজ বলেছেন: কিন্তু হঠাৎ করে সেই দাবির সাথে লেজ লাগিয়ে অবস্থাকে লেজে গোবরে করে ফেলা হচ্ছে। ইসলামী রাজনীতি বন্ধ, ইসলামী ব্যাংক বন্ধ, ইসলামী হাসপাতাল বন্ধ, ইসলামী ব্যাংক রাষ্টায়ত্ব........বালখিল্যের মত যত আজব কান্ড কারখানা।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৪
ধীবর বলেছেন: দেখে শুনে মনে হচ্ছে, ইসলামি ব্যাংকের সব টাকাই জামাতের। আরে আবুল বারাকাতের মত গন্ড মুর্খের কথায় এটা কেন ভুলে যায় যে, ব্যাংকের টাকা সাধারণ মানুশের আমানতের টাকা। এখানে ইসলামি খ্রিস্টানি বলে কিছু নেই। ব্যাংকের ক্ষতি হলে, ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষেরই।
ধন্যবাদ রাসেল ভাই।
৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
ক্ষুধিত পাষাণ বলেছেন: ধীবর ভাইয়া,যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে জগনকে ধোঁকা দিতে "সরকার-জামায়াত আঁতাত"র বিরুদ্ধে যেভাবে আমাদের তরুণ সমাজ শাহাবাগ আন্দোলনের মাধ্যমে রুখে দিয়েছে-তাতে সত্যিই আশান্বীত হই। একই সাথে এই আন্দোলন শুধু মাত্র যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির মধ্যে সীমাবদ্ধ নারেখে দেশের অনগ্রসরতার অন্যতম কারন "দূর্ণীতি"র বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়ানো উচিত।
স্যালুট দেশের তরুন সমাজ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৭
ধীবর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ক্ষুধিত পাষাণ ভাই। আসলে তরুণরা সঠিক পথেই ছিল যতক্ষণ না ছাত্রলিগ আর সুশিল ভেক ধরা আওয়ামি ভারত দালাল তথাকথত সুশিল বুদ্ধিজীবিরা সেখানে বাম হাত ঢুকিয়েছে। এই বুড়া ভামরা প্রাণ পণ চাইছে যেন এই গণদাবির সাথে যেন, কিছুতেই আওয়ামি সরকারের মুখোশ উন্মোচন করে কিছু যুক্ত না হয়।
১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৯
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: মানবতা বিরোধী বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ই যথেষ্ঠ। কিন্তু বাকী মন্ত্রণালয় গুলির বেশীর ভাগই চরম ব্যার্থ। এখন হাসিনার পায়ের তলায় মাটি নাই। জনসমর্থন অনেক কম। সে ইচ্ছা করেই ২০০৯ এর মধ্য এই বিচার শুরু না করে দেড়ী করছে এবং পরিস্থিতি জটিল করছে। হাসিনা আদৌ এই বিষয়ে কোন কালেই আন্তরিক ছিল না এবং এখনও নাই। তার দরকার ক্ষমতায় যাওয়া ও থাকা। ১৯৮৬ সাল হতেই চিনি যে হাসিনা ও খাড়ার উপর পল্টি একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ
ধন্যবাদ।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৮
ধীবর বলেছেন: গত ইলেকশনের আগে এই মুলা ঝুলিয়েছিলো, এখন আগামি ইলেকশনের আগেও একই মুলা ঝুলানো হচ্ছে। এই সব মুলা দেখিয়ে গাধাদের বশ করা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় ২১ শতকের মানুষদের নয়। অনেক ধন্যবাদ বা জি ভাই।
১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫
ঘুমকাতুর বলেছেন: সেই সব তরুণদের আমার সশ্রদ্ধ সালাম
আপনার কাছ থেকে এমন পোষ্টই আশা করছিলাম
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৫৯
ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ ঘুমকাতুর ভাই। শুধু বাংলাদেশ কেন, সারা বিশ্বেই তরুণদের অংশগ্রহন ছাড়া কোন আন্দোলন বা পরিবর্তন সম্ভব না।
১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৩৩
বুনো বলেছেন: শাহবাগের আন্দোলন বাম কিংবা লীগের নয়, এটা এদেশের ৯০% মানুষের প্রাণের দাবী। দেশে হাজারো সমস্যা আছে, কিন্তু আগে এই অভিশাপটা দূর করা উচিত ভেবে আমরা বিএনপি'র ব্লগাররাও অন্য কোন ইস্যু তুলে ধরিনি ব্লগারদের সামনে। তার মানে এই নয় যে দেশে আওয়ামী লীগ নতুন কোন আকাম ঘটায়নি।
আমরা না করলেও লীগ কিন্তু থেমে নেই, আন্দোলনটাকে পকেটে পুড়তে যা যা করা লাগে, তারা করছে। ফেসবুকে, ব্লগে বিএনপির নামে অব্যাহত অপ প্রচার তো চলছেই।
এখানে,
-রায় দিয়েছে সরকার নিযুক্ত বিচারক।
-রায়ের ব্যাপারে বিচারকদের সাথে স্কাইপিতে পরামর্শ করত আওয়ামী লীগ নেতারা
-মামলার প্রসিকিউটরও তাদের নিজস্ব
-সব দলেরই কোন না কোন রাজাকার বিচারাধীন থাকলেও শুধু আওয়ামী লীগেরই কেউ নেই।
কিন্তু উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ের মত সব দোষ দেওয়া হচ্ছে বিএনপি'কে। যদিও বিএনপি সমর্থন জানাতে দেরী করে ভুল করেছে এটা অবশ্যই স্বীকার্য, কিন্তু তাই বলে আন্দোলন তো লীগের বাপের সম্পত্তি হয়ে যায় নি। এই আন্দোলন ছিল রাজাকারের ফাঁসির দাবীতে আন্দোলন। অথচ ইমরানের মত জিয়া বিদ্বেষীকে আয়োজক বানিয়ে এখন সরকারের সাথে মিচুয়াল কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে।
সরকারের বিরুদ্ধে কিছুই বলা যাবে না, আজকের বেলুন উড়ানো কর্মসূচি সফল হোক
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০১
ধীবর বলেছেন: বুনো ভাই, আপনি খেয়াল করেছেন কিনা জানি না জাতিয়বাদি ব্লগারদের অনেকেই এ ব্যাপারে কিছু বলেননি, যাতে এই স্বতঃস্ফুর্ত আন্দোলনের কোন ক্ষতি না হয়। যে ভয়ে আমরা চুপ করে ছিলাম সেটাই হলো। আজ দেখছি আওয়ামি লিগ এই আন্দোলনকে হাইজ্যাক শুরু করে দিয়েছে। ধিক এদের।
আপনার মন্তব্যের প্রতিটা পয়েন্টের সাথেই পুর্ণ সহমত। অনেক ধন্যবাদ।
১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:২৮
হাছন রাধা করিম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন ধীবর ভাই। দাসত্ব ভা্ইয়ের আজকের পোষ্ট আর আপনার পোষ্ট একটি আরেকটির পরিপূরক। পূর্ণ সহমত।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০২
ধীবর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ হাছন ভাই। কেমন আছেন?
১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: ১৯৭১ সালে মা এবং মাটির সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, তারা কোনোক্রমেই ক্ষমার যোগ্য নয়। রাজাকারদের ফাঁসি চাওয়াটা যে শুধু বর্তমান তরুণ প্রজন্মের দাবি তা নয়, এ দাবি মানবিকতাবোধের, এ দাবি বাংলার আপামর জনতার বিবেকের দাবি।
আমাদের তরুণসমাজ যে আমাদের জাতিসত্তা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনে-প্রাণে ধারণ ও লালন করে, এ আন্দোলন সেটাই প্রমাণ করে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা সব স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি আদায়ে সক্ষম হব।
অনেকেই শাহাবাগ থেকে জেগে ওঠা এই তরুন তূর্কীদের, এই বীর সেনানীদের ‘৭১’র মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে তুলনা করেন। আমিও এই তরুনদের মুক্তি যোদ্ধা বলতে চাই কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ‘৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে মিলিয়ে ফেলতে চাইনা। আজকের এই আন্দোলন, এই জাগরনের মূল নায়কদের উদ্বেশ্য অন্তরের সবটুকু শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানিয়েই বলছি-৭১ এ যারা মুক্তি যুদ্ধ করেছিলেন-তারা জীবন বাজী রেখে রণাংগনে বন্দুক হাতে হানাদার বাহিনীর সাথে গেড়িলা যুদ্ধ করেছেন, সন্মুখ যুদ্ধে লড়াই করে প্রান বিষর্জন দিয়েছেন। বাপ-দাদার ঘর বাড়ি আগুণে জ্বলতে দেখে, কেউ কেউ বাবা, ভাইয়ের লাশ দাফন নাকরে শিক্ষিত, অশিক্ষিত যুবক, বৃদ্ধ, কিশোর যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন। আমাদের সেই মুক্তি যোদ্ধারা ২/৩ দিনেও একবেলা পেট ভরে খাবার খেতে পারেনি-আমি নিজ চোখে এমন মুক্তি যোদ্ধা দেখেছি-যে যুদ্ধের নয়টি মাস মাত্র দুটি হাপ প্যান্ট দুটি শার্ট পরেই কাটাতে বাধ্য হয়েছিল।কিন্তু যুদ্ধের মাঠে কখনও মনোবল হারায়নি-তারাই ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধা।সেইসব কারনেই ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদের আলাদা একটুখানি অহংকার আছে- ওটুকুই ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদের একক অহংকার-ঐ অহংকারটুকু ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদের জন্যই বরাদ্ধ থাক। বর্তমানে শাহাবাগে তরুণ যোদ্ধারা ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদেরই সন্তান, ভাই এবং অনুসারী।এরাই মুক্তি যুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক।এই তরুন তূর্কীরাই মুক্তি যুদ্ধের বিরোধীতাকারী, হানাদারদের দোশরদেশ সর্বোচ্চ বিচারের দাবীতে যে আন্দোলন আজ দেশ ব্যাপী, বিশ্বব্যাপী ছরিয়ে দিয়েছে-তাদেরকে স্যালুট। এই তরুন যোদ্ধাদের কাছেই আমাদের অনেক প্রত্যাশা।
সত্যি তরুণদের আন্দোলনের সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ। প্রথম থেকেই তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ আর অহিংস-যদিও মাঝে কিছু শ্লোগানের ভাষা/শব্দ নিয়ে অনেকেরই আপত্তি ছিল-যা এখন শোনা যায়না। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি তেমন কিছু শব্দ/ভাষা নিয়ে মোটেই আপত্তিকর মনে করছিনা। আমাদের বুঝতে হবে-তারুণ্যের উচ্ছাশ, মেনে নিতেই হবে তারুণ্যের আবেগ)। যেটা লক্ষ করার মতো তা হচ্ছে-শাহাবাগ জুড়ে যে একতাবদ্ধতা আন্দোলনের সূচনা-সেই আন্দোলন আজ দেশ জুড়ে সুশৃংখল ভাগে এগিয়ে চলছে। শাহাবাগে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে কোনো ভলান্টিয়ার নেই,প্রত্যক্ষ ভাবে নেই কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী-অথচ কী সুন্দর সব কিছু গোছানো আর সুশৃংখল! জমায়েতে লক্ষ লক্ষ তরুণ একটি বারের জন্য উশৃংখল হয়নি, একটি বারের জন্যও সহিংস হয়নি!
আজ দেশ জুড়ে আতংক। আতংক সরকার ও প্রশাসনের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের। দেশ জুড়ে আতংক খুন হওয়ার, গুম হওয়ার ভয়। নেই বাক স্বাধীনতা, নেই যোগ্যতার মূল্যায়ণ। দূর্ণীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত দেশ। এই দেশকে উদ্ধার করতে পারবেই এই জেগে ওঠা তরুনেরাই। এই তরুনদের দিকেই তাকিয়ে আছে আমার দুঃখিনী বাংলাদেশ।
আজ দেশের ষোলো কোটি মানুষের মধ্যে বারো কোটি মানুষই তরুন-যাদের জন্ম হয়েছে স্বাধীতারপর। এই ১২ কোটি তরুণ মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি-কিন্তু এরা সবাই মুক্তি যুদ্ধের তেতনাকে ধারন করে, অন্তরে লালন করে বলেই এমন সুন্দর সুশৃংখল আন্দোলন গড়ে তুলতে পেরেছে। এই তরুনেরাই পারে বাংলাদেশকে সত্যিকার সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে। বর্তমান আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এই তরুনেরাই ডাক দিতে পারে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে। যদি বাংলাদেশকে দূর্ণীতিমুক্ত করে কাংখীত উন্নতির শিখড়ে পৌঁছানো যায়-তাহলেই মুক্তি যুদ্ধেরচেতনা বাস্তবায়ন হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের ঋণ শোধ হবে, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের ঋণ শোধ হবে।
আবারো সশ্রদ্ধ সালাম লক্ষ কোটি তরুন যোদ্ধাদের।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৪
ধীবর বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি শ্রদ্ধেয় জুল্ভার্ণ ভাই এবং বাকিদের কাছেও যাদের প্রতিমন্তব্য গতকাল দিতে পারিনি। একটি কারণে এমনটি হয়েছে, এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এই চরম সন্ধিঃক্ষণে আপনার পুনরাবির্ভাব নিঃসন্ধেহে আমাদের সবার জন্য চরম আনন্দের। আমরা আশা করবো, তরুণদের স্বার্থেই আপনার মত একজন মুক্তিযোদ্ধা আবারও নিয়মিত হবে।
আপনার বক্তব্যটি অবশ্যই আমাদের সবার জন্য একদিকে যেমন জানার পরিধি ঘটাবে, তেমনি একটি দিক নির্দেশনাও বটে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন প্রিয় জুল্ভার্ণ ভাই।
১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৬
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন: "গত বছর এক টিভি চ্যানেলে দেখেছিলাম, কিশোর কিশোরী থেকে তরুণ তরুণি এমন কি যুবক যুবতিরাও আমাদের ভাষা আন্দোলনকে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে গুলিয়ে ফেলেছে। লাখ লাখ শিশু থেকে শুরু করে তরুণ তরুণি যুবক যুবতি আজকে বাংলা ভাষার প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে ইংরেজি হিন্দি মিশেলে কথা বলছে। বস্তাপচা হিন্দি সিরিয়ালে নেশাক্ত হয়ে গিয়েছে।"
ধীবর ভাই, দারুণ একটা মন্তব্য করেছেন। এই প্রবাসে দেখেছি বাঙ্গালী নামক কিছু ভণ্ড মানুষদের আচরণ। নিজের ছেলে মেয়ের সাথেও বাংলায় কথা বলে না আর দিন শেষে ফেসবুকে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাস দেয়।
দেশের অসহায়-দারিদ্র মানুষদের জন্য ১ টাকা খরচ না করলেও দেশের রাজনীতি নিয়ে হাজার হাজার লাইনের ব্লগ, ফেসবুকিয় স্ট্যাটাস দেয়।
কথায় কথায় দেশের সংবিধানের ধার উল্লেখ করে দিন শেষে হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠায় বা সেখান থেকে টাকা আনে।
ভদ্র লোকের মুখোশের আড়ালে একেকটা ভণ্ড।
শাহবাগ আন্দোলন সফল হউক আর নাই হউক এটা যে কিছু তরুণ প্রজন্মকে দেশ নিয়ে ভাবতে শুরু করিয়েছে সেটাই এই আন্দোলনের সাফল্য হয়ে থাকবে। এই আন্দোলনের দ্বারই প্রভাবিত হয়ে কি না জানিনা আমরা কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বারের মত ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করার উদ্যোগ নিয়েছি। নিজের অনেক ব্যস্ততার মাঝেও সেও উদ্যোগে সময় দিতে হচ্ছে।
আশাকরি আমাদের তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নিতে এগিয়ে আসবে অতীতের মত।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
ধীবর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ পলাশ ভাই। আসলে আপনাদের মত প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রবাসে আছেন বলেই, বিদেশে বাংলাদেশের নাম সুনামের সাথে উচ্চারিত হয়। দারুণ কাজ করেছেন।
এই ভাষার মাসে, আমরা যদি আমাদের ভাষার সম্মানে আবার গর্জে উঠতে না পারি তাহলে আমাদের স্বাধীনতার চেতনা অসম্পুর্ণ রয়ে যাবে।
দেশে বা প্রবাসে সব ভন্ড রা নিপাত যাক।
১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৯
হাছন রাধা করিম বলেছেন: ভালো আছি ভাই। আশা করি আপনার দিনকাল ভালোই যাচ্ছে।
অনেক অনেক দিন পর প্রিয় জুলভার্ন ভাইয়ের মন্তব্য দেখলাম। আশা করি উনি রাগ অভিমান ভুলে আবার পুরোদমে সামুতে সক্রিয় হবেন।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫২
ধীবর বলেছেন: যাক, আপনার কথা শুনে জেনে অনেক ভালো লাগ্লো হাছন ভাই। আপনার জন্য শুভ কামনা। য়ার জুলভার্ণ ভাই আবারও আমাদের মধ্যে তাদের ক্ষুরধার লেখনি নিয়ে ফিরে আসুন এই কামনাই করছি। আর ট্যাগবাজদের যে দিন শেষ সেটাও জুলভার্ণ ভাইকে জানিয়ে রাখলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮
প্রকৌশলী আতিক বলেছেন: ধীবর ভাইকে অনেক ধন্যবাদ।
পোষ্টের কিছু কথার সাথে আমিও সুর মিলিয়ে বলতে চাই
"আগামি প্রজন্মের কাছে মহান ভাষা আন্দোলন আর স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসটিও তুলে ধরেন + এই মহান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেন কেউ শাহাবাগে পিকনিক বা ডেটিং বা মাদকের উৎসব করতে না আসে"