নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৫২ আর ৭১ এর চেতনায় আছি বাধা

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল

ধীবর

সাংবাদিক কলামিস্ট

ধীবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রণাঙ্গনকে রণাঙ্গন হিসাবেই গণ্য করা উচিত। (রিপোস্ট)

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:৪৫





যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবীতে এখন শাহাবাগ উত্তাল। যদিও শুরুটা হয়েছিল অল্প কয়েকজন ব্লগারদের আন্তরিক উদ্যোগের মাধ্যমে, কিন্তু প্রাণের আবেগের টানেই সেখানে ছুটে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।



এই দেশে যত আন্দোলন সংগ্রাম, তার মুল পথিকৃতই ছিলেন তরুণরা। এবং তাদের বিফল হবার ইতিহাস এখন পর্যন্ত নেই। এ কারণেই বর্তমান সরকার বাধ্য হয়েছে নিজেদেরই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করতে।



জামাতে ইসলামির ৭১ সালে কৃত ঘৃণ্য অপরাধের সাক্ষি এ দেশের কোটি কোটি জনতা। অথচ এরাই আমাদের রাজনৈতিক নেতা নেত্রিদের আশকারা পেয়ে সেদিনের সেই ঘৃণ্য অপরাধকে অস্বীকার তো করছেই, উপরন্ত ৩০ লক্ষ বাঙ্গালির গণহত্যা এবং কয়েক লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির ঘটনা অস্বীকার করছে। অনেক সময় এদের প্রপাগান্ডা মেশিন থেকে এও বলা হচ্ছে, এগুলি নাকি আদৌ ঘটেনি।





বই পড়ার পাশাপাশি আমি প্রচুর লোকের কাছ থেকে আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সমন্ধে জেনেছি। যারা প্রত্যক্ষ সাক্ষি। আমার মেজো মামা সে সময় থাকতেন সদরঘাটের কাছাকাছি। তিনি নিজেই বলেছেন যে যুদ্ধের ৯টা মাসই প্রায় প্রতিদিনই অদুরেই অবস্থিত পাকি ক্যাম্প থেকে গভীর রাতে নারীদের করুণ আর্তনাদ শুনেছেন। আমার বাবার আদি প্রতিবেশির ১৪ বছরের কন্যাকেও তুলে নিয়ে পাকিরা ধর্ষন করেছিল। অনেক বছর পর এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে সেই বীরাঙ্গনাকে দেখের সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল।



তুলে নিয়ে যাবার ভয়ে আমার ছোট খালাকে অতি অল্প বয়সেই বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন আমার নানা নানি।



যাদের কাছ থেকে আমার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস জানা হয়েছে, তারা সবাই এক বাক্যে বলেছেন যে, পাকিদের পক্ষ্যে কোন বাড়ির কে মুক্তিযোদ্ধা, কোন বাড়িতে যুবতি মেয়ে আছে, এই সব জানা সম্ভব ছিল না।



তবে কারা পাকিদের এই সব জানিয়েছিল। হ্যা, জেনে রাখুন। আজকের যে রাজাকার গো আযম, নিজামি, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান এদের নেতৃত্বেই সেদিন গণহারে মুক্তিকামি মানুষদের নির্বিচারে হত্যা এবং মা বোনদের ধর্ষন করেছিল , জারজ ইয়াহিয়া টীক্কা খানদের জারজ পাকি বাহিনী।



অথচ এই নিজামি গো আযম যখন সেই ইতিহাস অস্বীকার করে, তখন তাদের নাপাক জিহবাটা অনেক আগেই ছিড়ে ফেলার ব্যার্থতা থেকে নিজেকেই ধিক্কার জানাতে মন চায়।



আজ ৪২ বছর পর, এই সব রাজাকারদের ফাসির দাবি নিয়ে যে সব তরুণরা আজ মাঠে, তারা একদিকে যেমন বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, আমাদের দেশপ্রেম ক্ষয় হয়ে যায়নি, বরং আরো ক্ষুরধার হয়েছে।



অন্যদিকে রাজনৈতিক ফায়দা লূটার কারণে এই রাজাকারদের প্রশ্রয় দেয়া রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও সতর্কবার্তা জারি করেছে।



তরুণ বন্ধুরা, আপনারা মনে রাখবেন যে এটা রণাঙ্গণ। আর রণাঙ্গনের কিছু নিয়ম নীতি আছে। আছে শৃংখলা আর দায়িত্ববোধ। এ থেকে ব্যাতয় ঘটলে সফলতার পথটা বন্ধুর হবে।



প্রথমেই বলতে চাই যে এই ইস্যু নিয়ে সামুর অন্তত দুজন ব্লগার সাহসের সাথে শাহাবাগে উপস্থিত হয়েছিলেন। পারভেজ আলম এবং সামুর মডারেটর শরৎ। বাকি বিল্লাহর নাম শুনেছিলাম, কিন্ত উনি ব্লগার কিনা, সেটা জানি না। এবং তার সাথে আমার তেমন পরিচয়ও নেই।



পারভেজ আলম ভাইয়ের সাথের আমার আদর্শিক দ্বন্দ আছে। বিশেষ করে ইসলাম বিদ্বেষিদের সাথে প্রতি উনার ওঠা বসাকে আমি মেনে নিতে পারি না। আর শরৎ মডারেটর হিসাবে জাতিয়বাদিদের প্রতি খড়গ হস্ত বলে, তাকেও মডারেটর হিসাবে আমার নিরপেক্ষ মনে হয় না।



এর পরেও, তাদের এই সাহসি সম্মিলিত উদ্যোগ শুধু সারা দেশ নয়, বরং সারা বিশ্বে অভাবনীয় আলোড়ন তুলেছে। এজন্য তাদেরকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।



কিন্তু বিপত্তি বাধে এর পর পরই।



আমরা সবাই জানি যে, গত ৪ বছর দুঃশাসন, নিপীড়ন, রেকর্ড করা দুর্নীতি সন্ত্রাস বিরোধী মত দলন মামলা হামলা ইত্যাদির কারণে আওয়ামি লিগ দেশের মানুষের আস্থা হারিয়েছিল।



যেহেতু যুদ্ধাপরাধের জন্য ঘোষিত এই ট্রাইবুনাল থেকেই অন্যায় এই রায় দেয়া হয়েছিল ( ট্রাইবুনালের বিরুদ্ধে সমালোচনাকেও বে আইনি বলে ঘোষনা করা হয়েছিল), সেহেতু সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশের একটি মোক্ষম সুযোগের সদব্যাবহার করার উপলক্ষ্য হিসাবেই দলে দলে সাধারণ মানুষ আজ প্রজন্ম চত্বরে উপস্থিত হয়েছেন।



তাতেই প্রমাদ গণে হাসিনা সরকার। কেননা, সারা দেশের মানুষের একতা বদ্ধ এই আন্দোলন থেকে যদি সরকারে পতনের আন্দোলন শুরু হয়?



একারণেই দ্বিতীয় দিন থেকেই ছাত্র লিগকে দিয়ে বেস্টনি তৈরি করেছে। দলীয় ধণ্যাড্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে খাবার বিতরণ করছে। র‍্যাব পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তা দিচ্ছে। ওয়াশার মাধ্যমে পয়োঃনিস্কাশন আর পানি বিতরণ করছে।



এটা এক দিক দিয়ে সাপে বর হয়েছে। নিজেদের ফেলা থুথু আজ নিজেকেই গিলতে হচ্ছে আওয়ামি লিগকে। তরুণদের এই আন্দোলনের কারণেই আজ ওরা আইন সংশোধন করতে বাধ্য হচ্ছে। বাধ্য হয়েছে রায় নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধাচারণ করতে। অথচ আজ যদি দেশ বরেণ্য আইনজীবিদের (যারা বিনা পয়সায় এই মামলা লড়তে রাজি ছিলেন) দিয়ে এই মামলা পরিচালিত হতো, তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ্যের আইনজীবিরা বাপ বাপ করে পালাতো। অথচ দলীয় বিবেচনায় বটতলার উকিল দিয়ে এই মামলা পরিচালনার কুফল সরকার তো বটেই, দেশবাসিও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।



.তবে এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত রাখার যে সিদ্ধান্ত ছিল, বাধ্য হয়েই সেখান থেকে সামান্য বিচ্যুত হতে হয়েছে তরুণদের। কেননা লিগের সন্ত্রাসিদের মাঝখানে থেকে নিরাপত্তার আশংকা পুরো দমেই ছিল, আছে এবং থাকবে। লাকির ছাত্রলিগ কর্তৃক আঘাত পাওয়াটা সেই আশংকার একটা ট্রেইলার মাত্র।



এখন দেখা যাচ্ছে দেশের চিহ্নিত কিছু বুদ্ধিজীবি, সুশিল, শিক্ষক, সাংবাদিক, সংস্কৃতি কর্মি এরা এসে তরুণদের কৃতিত্বে ভাগ বসানোর পায়তারা করছে।



৭১ সালে এদের অনেকের ভুমিকাই প্রশ্নবিদ্ধ এবং কাপুরুষিত। আর সাধারণ মানুষদের মধ্যেও এদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধের প্রবল অভাব আছে।



৭১ দেখিনি, তবে ৯০ এর গণ আন্দোলনের একজন কর্মি হিসাবে উত্তাল স্রেই দিনগুলির অভিজ্ঞতা আমার আছে।



সেই তুলনায় আজকের তরুণরা অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেই দেশ মাতৃকার প্রতি দায়ভার শোধ করার সুযোগ পাচ্ছে। এই সুযোগকে হেলায় হারানো ঠিক হবে না।



আপনার প্রতি আহবান, যে দাবীতে আপনাদের এই আন্দোলন কোন কারণেই যেন সেই দাবি থেকে আপনারা সরে না আসেন। শুধু তাই না। মনে রাখতে হবে, আপনারা এখন একটি রণাঙ্গনে অবস্থান করছেন।



আপনাদের তরুণ অনভিজ্ঞ দেশপ্রেমিক হৃদয়কে আপন স্বার্থ ও সুবিধা চরিতার্থের জন্য অনেক পুরানো পাপিই অনেক রকম চাল চালবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস , আপনাদের নিখাদ দেশপ্রেম আর বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সেই চাল বিনস্ট করতে আপনারা সফল হবেন।



আরেকটা ছোট্ট কথা। এই মহা সুযোগে আপনারা শুধু শ্লোগান আর গান নাচের মধ্যেই আন্দোলনকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। এই আন্দোলনে জনতা সপরিবারে আপন সন্তানদের সাথে করেই যোগ দিচ্ছে। আপনারা যেন আগামি প্রজন্মের কাছে মহান ভাষা আন্দোলন আর স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসটিও তুলে ধরেন।



গত বছর এক টিভি চ্যানেলে দেখেছিলাম, কিশোর কিশোরি থেকে তরুন তরুণি এমন কি যুবক যুবতিরাও আমাদের ভাষা আন্দোলনকে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে গুলিয়ে ফেলেছে। লাখ লাখ শিশু থেকে শুরু করে তরুণ তরুণি যুবক যুবতি আজকে বাংলা ভাষার প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়ে ইংরেজি হিন্দি মিশেলে কথা বলছে। বস্তাপচা হিন্দি সিরিয়ালে নেশাক্ত হয়ে গিয়েছে।



যেহেতু আপনাদের হাতে সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে, তাই আন্দোলনের পাশাপাশি, এই অপসংস্কৃতি চর্চার বিরুদ্ধেও প্রচার চালান। তাহলেই এই আন্দোলন আরো শক্তিশালি হবে। এবং দেশের প্রতি যে দ্বায়িত্ববোধ, সেটা পুর্ণতা পাবে।



দেখা যাচ্ছে আমাদের এই আন্দোলন নিয়ে ওই পারের দাদা বাবুরা একটু বেশি মাত্রাই নাক গলাচ্ছেন।এই আন্দোলনের উনারা দূর থেকে সমর্থন দিন, ঠিক আছে। তাই বলে বিতর্কিত এক দাদার গান গাইতে হবে কেন? আমাদের শিল্পি গীতিকার সুরকারের কি অভাব পড়েছে? আর তাদের ফুটবল টিমেরও তো বাংলাদেশের আসার দরকার নেই।



আন্দোলনের নীতিনির্ধারক বলে যারা দাবি করছেন, তাদের কথা বার্তা আচার আচরণেও অনেক সংযত ও পরিশীলতার পরিচয় রাখতে হবে। এই একাবিংশ শতাব্দিতে বাকশাল বা স্টালিনবাদের মত দানবীয় আচরণ সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পাবে না। উমুকের চামড়া ছিলে নেবো তমুকের গলা কেটে ফেলবো, এই সব সন্ত্রাসি উক্তি ছাত্রলিগের মুখে মানায়।

দেশপ্রেমে উদ্ভুত তরুণদের মুখে নয়.



আর "তুই রাজাকার" শ্লোগানটির অপব্যাবহার রোধ করতে হবে। আওয়ামি লিগ যেমন ওদের মতে বিরুদ্ধে গেলেই রাজাকার ট্যাগিং দিয়ে ফেলে, সেই পথ অনুসরণ করা উচিত নয়। আজ দেখছি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকেও রাজাকার বলে ধবনি তোলা হচ্ছে। এই ধরণের বালখিল্যতার কারণে সাধারণ মানুষদের চোখে আন্দোলনকারিরা হেয় বলে প্রতিপন্ন হবেন।



তাছাড়া এই মহান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেন কেউ শাহাবাগে পিকনিক বা ডেটিং বা মাদকের উৎসব করতে না আসে, সেদিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। কেননা, এটা রণাঙ্গন, কোন উৎসব নয়।



পরিশেষ সেই সব তরুণদের আমার সশ্রদ্ধ সালাম, যাদেরকে আমি আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের যোগ্য উত্তরসুরি বলেই মনে করি।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০২

টয় বয় বলেছেন:
-

শাহবাগ এখন ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফ্রন্টের দখলে!!

খুনি বাপ্পাদিত্য আর সন্ত্রাসী নাজমুল সেই খানে নেতা !

শাহবাগ থেকে নাজমূল আর বাপ্পাদিত্য ঘোষনা দিল:

মাহমুদুর রহমানকে হত্যা করো!

আসিফ নজরুলের চামড়া তুলো!!

পিয়াস করিমের ছামড়া ছিলে ফেলো!!

কাদের সিদ্দিকি রাজাকার !!!


হুমকি দিল আমারদেশ পত্রিকা বন্ধ কইরা দিব................!!!

বলিহরী আমার শাহবাগী প্রজন্ম !!!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:০৫

ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ টয় ভাই। ৭৫ন পুর্ববর্তি এই ফ্যাসিজমের কারণেই ১৫ আগস্ট সংগঠিত হয়েছিল। সেদিনের নেপথ্যের সেই ফ্যাসিস্টরাই দেখছি আজকাল প্রগতিশীলতার বাক স্বাধীনতার গুরু সেজে একে খুন ওকে বন্ধ এই সব করছে। দেশে এখনও আইন আছে, আর সরকার বদলালে এই ধরণের সন্ত্রাসি হুমকিদাতাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:১৮

নরাধম বলেছেন:
একমত।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২২

ধীবর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নরাধম ভাই। জনতার এই স্বতঃস্ফুর্ত আন্দোলনকে যে কোন মুল্যে বাচিয়ে রাখতেই হবে।

৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৬

ধৈঞ্চা বলেছেন: পোষ্ট পড়ে মন্তব্যে যা লিখব ভাবছিলাম পূর্বের মন্তব্যকারীরা তার মুটামুটি সবই কভার করেছে।
যাইহোক, পোষ্টে একমত পোষন না করার কোন উপায় নাই, আমি শাহবাগ জমায়েত নিয়ে ইণ্ডিয়ান দাদাদের অতিরিক্ত নাকগলানোকে মোটেও ভাল চোখে দেখছি না।
"তাই বলে বিতর্কিত এক দাদার গান গাইতে হবে কেন? আমাদের শিল্পি গীতিকার সুরকারের কি অভাব পড়েছে? আর তাদের ফুটবল টিমেরও তো বাংলাদেশের আসার দরকার নেই"-- পূর্ণ সহমত।

আপনি হয়ত খেয়াল করবেন সম্ভবত গত ১৬ তারিখ বিএসএফ সীমান্তে আবারো ২ বাংলাদেশীকে গুলীকরে হত্যা করেছে। ব্লগে বা ফেসবুকে তেমন কোন প্রতিবাদ দেখলাম না, এমনকি সরকার সমর্থিত পত্রিকায়ও ভিতরের পাতায় দায়সারা ভাবে নিউজটি কভার করা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসল, সরকারের পক্ষ থেকে একটি বারের জন্যও প্রতিবাদ করা হলো না। অথচ খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার সময় খালেদা জিয়া সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদ করল যা সরকারের করা উচিৎ ছিল।
দেশপ্রেম কি শুধু কাদের মোল্লার ফাঁশি চাওয়া আর শাহবাগে দেশাত্ববোধক গানের কোরাস গাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ? যেখানে অন্য কোন সিভিয়ার অন্যায়ের প্রতিবাদের কথা বললেই ট্যাগিংয়ের ভয় দেখানো হয়।
শাহবাগের তরুনরা যদি নিজেদের নিরপেক্ষ ভাবতে পছন্দ করে তবে নাসিমের বক্তব্যের প্রতিবাদ করছে না কেন? তবে কি নাসিম যা বলেছে (শেখ হাসিনার ডাকে এই জমায়েত হয়েছে) তাই সত্য ধরে নিতে হবে?

পোষ্টের জন্য ধীরব ভাইকে ধন্যবাদ।।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

ধীবর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ ধৈঞ্চা ভাই। আসলে এই ধরণের অনেক অসংগতি আমরা খেয়াল করেছি। এতদিন এ নিয়ে একারণে বলিনি, যাতে কোন ভুল বুঝাবুঝির সৃস্টি না হয়। এবং সে থেকে জাশি কোন ফায়দা তুলতে না পারে।

আশা করবো, যদি এখনও আন্দোলনের পরিচালকরা ব্লগাররাই হয়ে থাকে, তবে যেন আপনার কথাগুলি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে।

৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

দাসত্ব বলেছেন: আমি বেশ আশাবাদী স্ট্রাটেজিক চাল চেলে ছাত্রলীগকে শাহবাগ থেকে সরাতে পারলে আন্দোলন শুধু রাজাকার ছ্যাচাই না , এরা গত ৪ বছরে যা অপকর্ম করসে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ফার্মেন্টেড হবে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

ধীবর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দাসত্ব ভাই। আপনার ওই লেখা থেকে বুঝতে পারছি, তরুণদের মত ডাইনামিক চিন্তাশক্তি যদি বর্তমান বিএনপি নেতৃবৃন্দদের থাকতো তবে হাজার ব্যার্থতার পরেও আওয়ামি লীগ এত নিশ্চিন্তে থাকতে পারতো না।

আন্দোলন যদি সফল হতে হয় তবে অবশ্যই ছাত্রলিগকে সেখান থেকে সরাতে হবে।

৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১০

রামন বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো লেখাটি ধীবর ভাই। তবে সবচে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বি এন পির মত বড় দলের নেতা/ নেত্রীর মুখে যখন শুনি জামায়াতে ইসলামে কোনো রাজাকার নাই, কোনো যুদ্ধাপরাধী নাই। ভাবতে অবাক লাগে এই সব নেতা নেত্রীর বিন্দুমাত্র বোধদয় হয় না যে, একটি দলের চিন্হিত অপরাধীদের বাচাতে নিজের দলের কতখানি সর্বনাশ ডেকে আনছেন। জনগণ বি এন পিকে ভোট দিয়েছিল সংসদে গিয়ে সরকারী দলের অন্যায় অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জোরালো ভুমিকা রাখতে কিন্তু সেই কর্তব্য ভুলে গিয়ে তারা হরতাল সমাবেশ করে জামাতি ইসলামের নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছে নির্বাচনের পরবর্তী দিনগুলোতে। যাহোক দেরিতে হলেও তাদের এখন টনক নড়েছে কিন্তু ততক্ষনে বেলা যে অনেক গড়িয়েছে আর এখানেই যত শঙ্কা।
পোস্টে প্লাস।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২

ধীবর বলেছেন: রামন ভাই, জাতিয়তাবাদি আদর্শে যারা বিশ্বাসি, তাদের কাছেও ব্যাপারটি লজ্জার। অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

নরাধম বলেছেন: আচ্ছা জাতীয়তাবাদীদের (উপরে দাসত্ব উল্লেখযোগ্য) এই আন্দোলনকে এই সরকারের দূর্ণীতির বিরুদ্ধেও দাড় করাইতে চায়, কিন্তু শুধু এই সরকার কেন, আগের সরকারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে দাড় করাইতে চায় না কেন?

আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই আন্দোলন শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিশ্চিত করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হওয়া উচিৎ, সবকিছু একেবারে করতে গেলে লেজেগোবরে পাকিয়ে কোনটাই হবেনা, যুদ্ধাপরাধীর বিচারও তখন বিতর্কিত হয়ে যাবে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ নরাধম ভাই। আপনার সাথে এক মত যে এই তরুণদের কাধে বেশি বোঝা চাপানো ঠিক না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়েই থাকা উচিত। তবে সেটা সব দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়াটাই আন্দোলনকারিদের নিরপেক্ষতার সবচেয়ে বড় প্রমান হয়ে থাকতো। অথচ দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে থাকাদের ব্যাপারে আন্দোলনকারিরা সোচার নয়।

আর বিগত উদ্দিন সরকারের আমলের ২ বছর আর বর্তমান সরকারের ৪ বছর মোট ৬ বছরেও যদি গত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার শেষ না হয়, সে দায়ভারটা বিএনপি বা তার সমর্থকদের উপরে দেয়াটা অনুচিত হবে।

অনেক ধন্যবাদ আবারো নরাধম ভাই।

৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ++++++

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

ধীবর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ঘুণেপোকা ভাই।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৯

মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: +++
সেই সব তরুণদের আমার সশ্রদ্ধ সালাম, যাদেরকে আমি আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের যোগ্য উত্তরসুরি বলেই মনে করি।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩২

ধীবর বলেছেন: ধন্যবাদ মনসুর ভাই।

৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: ১৯৭১ সালে মা এবং মাটির সঙ্গে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল, তারা কোনোক্রমেই ক্ষমার যোগ্য নয়। রাজাকারদের ফাঁসি চাওয়াটা যে শুধু বর্তমান তরুণ প্রজন্মের দাবি তা নয়, এ দাবি মানবিকতাবোধের, এ দাবি বাংলার আপামর জনতার বিবেকের দাবি।

আমাদের তরুণসমাজ যে আমাদের জাতিসত্তা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মনে-প্রাণে ধারণ ও লালন করে, এ আন্দোলন সেটাই প্রমাণ করে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা সব স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি আদায়ে সক্ষম হব।

অনেকেই শাহাবাগ থেকে জেগে ওঠা এই তরুন তূর্কীদের, এই বীর সেনানীদের ‘৭১’র মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে তুলনা করেন। আমিও এই তরুনদের মুক্তি যোদ্ধা বলতে চাই কিন্তু কোনো অবস্থাতেই ‘৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে মিলিয়ে ফেলতে চাইনা। আজকের এই আন্দোলন, এই জাগরনের মূল নায়কদের উদ্বেশ্য অন্তরের সবটুকু শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানিয়েই বলছি-৭১ এ যারা মুক্তি যুদ্ধ করেছিলেন-তারা জীবন বাজী রেখে রণাংগনে বন্দুক হাতে হানাদার বাহিনীর সাথে গেড়িলা যুদ্ধ করেছেন, সন্মুখ যুদ্ধে লড়াই করে প্রান বিষর্জন দিয়েছেন। বাপ-দাদার ঘর বাড়ি আগুণে জ্বলতে দেখে, কেউ কেউ বাবা, ভাইয়ের লাশ দাফন নাকরে শিক্ষিত, অশিক্ষিত যুবক, বৃদ্ধ, কিশোর যুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিলেন। আমাদের সেই মুক্তি যোদ্ধারা ২/৩ দিনেও একবেলা পেট ভরে খাবার খেতে পারেনি-আমি নিজ চোখে এমন মুক্তি যোদ্ধা দেখেছি-যে যুদ্ধের নয়টি মাস মাত্র দুটি হাপ প্যান্ট দুটি শার্ট পরেই কাটাতে বাধ্য হয়েছিল।কিন্তু যুদ্ধের মাঠে কখনও মনোবল হারায়নি-তারাই ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধা।সেইসব কারনেই ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদের আলাদা একটুখানি অহংকার আছে- ওটুকুই ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদের একক অহংকার-ঐ অহংকারটুকু ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদের জন্যই বরাদ্ধ থাক। বর্তমানে শাহাবাগে তরুণ যোদ্ধারা ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধাদেরই সন্তান, ভাই এবং অনুসারী।এরাই মুক্তি যুদ্ধের চেতনার ধারক ও বাহক।এই তরুন তূর্কীরাই মুক্তি যুদ্ধের বিরোধীতাকারী, হানাদারদের দোশরদেশ সর্বোচ্চ বিচারের দাবীতে যে আন্দোলন আজ দেশ ব্যাপী, বিশ্বব্যাপী ছরিয়ে দিয়েছে-তাদেরকে স্যালুট। এই তরুন যোদ্ধাদের কাছেই আমাদের অনেক প্রত্যাশা।

সত্যি তরুণদের আন্দোলনের সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ। প্রথম থেকেই তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ আর অহিংস-যদিও মাঝে কিছু শ্লোগানের ভাষা/শব্দ নিয়ে অনেকেরই আপত্তি ছিল-যা এখন শোনা যায়না। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি তেমন কিছু শব্দ/ভাষা নিয়ে মোটেই আপত্তিকর মনে করছিনা। আমাদের বুঝতে হবে-তারুণ্যের উচ্ছাশ, মেনে নিতেই হবে তারুণ্যের আবেগ)। যেটা লক্ষ করার মতো তা হচ্ছে-শাহাবাগ জুড়ে যে একতাবদ্ধতা আন্দোলনের সূচনা-সেই আন্দোলন আজ দেশ জুড়ে সুশৃংখল ভাগে এগিয়ে চলছে। শাহাবাগে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে কোনো ভলান্টিয়ার নেই,প্রত্যক্ষ ভাবে নেই কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচী-অথচ কী সুন্দর সব কিছু গোছানো আর সুশৃংখল! জমায়েতে লক্ষ লক্ষ তরুণ একটি বারের জন্য উশৃংখল হয়নি, একটি বারের জন্যও সহিংস হয়নি!

আজ দেশ জুড়ে আতংক। আতংক সরকার ও প্রশাসনের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের। দেশ জুড়ে আতংক খুন হওয়ার, গুম হওয়ার ভয়। নেই বাক স্বাধীনতা, নেই যোগ্যতার মূল্যায়ণ। দূর্ণীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত দেশ। এই দেশকে উদ্ধার করতে পারবেই এই জেগে ওঠা তরুনেরাই। এই তরুনদের দিকেই তাকিয়ে আছে আমার দুঃখিনী বাংলাদেশ।

আজ দেশের ষোলো কোটি মানুষের মধ্যে বারো কোটি মানুষই তরুন-যাদের জন্ম হয়েছে স্বাধীতারপর। এই ১২ কোটি তরুণ মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি-কিন্তু এরা সবাই মুক্তি যুদ্ধের তেতনাকে ধারন করে, অন্তরে লালন করে বলেই এমন সুন্দর সুশৃংখল আন্দোলন গড়ে তুলতে পেরেছে। এই তরুনেরাই পারে বাংলাদেশকে সত্যিকার সোনার বাংলা করে গড়ে তুলতে। বর্তমান আন্দোলনের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এই তরুনেরাই ডাক দিতে পারে দূর্ণীতির বিরুদ্ধে। যদি বাংলাদেশকে দূর্ণীতিমুক্ত করে কাংখীত উন্নতির শিখড়ে পৌঁছানো যায়-তাহলেই মুক্তি যুদ্ধেরচেতনা বাস্তবায়ন হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের ঋণ শোধ হবে, লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের ঋণ শোধ হবে।

আবারো সশ্রদ্ধ সালাম লক্ষ কোটি তরুন যোদ্ধাদের।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

ধীবর বলেছেন: প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি শ্রদ্ধেয় জুল্ভার্ণ ভাই এবং বাকিদের কাছেও যাদের প্রতিমন্তব্য গতকাল দিতে পারিনি। একটি কারণে এমনটি হয়েছে, এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এই চরম সন্ধিঃক্ষণে আপনার পুনরাবির্ভাব নিঃসন্ধেহে আমাদের সবার জন্য চরম আনন্দের। আমরা আশা করবো, তরুণদের স্বার্থেই আপনার মত একজন মুক্তিযোদ্ধা আবারও নিয়মিত হবে।

আপনার বক্তব্যটি অবশ্যই আমাদের সবার জন্য একদিকে যেমন জানার পরিধি ঘটাবে, তেমনি একটি দিক নির্দেশনাও বটে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন প্রিয় জুল্ভার্ণ ভাই।

১০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

গেদু চাচা বলেছেন: অনেক অশার শাহবাগ এখন আরেক হতাশার নাম। এখন সেটা আওয়ামী স্কয়ার। ৪ বছরের সর্বগ্রাসী দূর্নীতি কে হালাল করার নতুন সুযোগ করে নিয়েছে আওয়ামিলীগ। এই আন্দোলনটা ছিল রাজাকারদের ফাঁসির দাবিতে, আন্দোলন ছিল সরকার-জামাত আঁতাতের বিরুদ্ধে। আর সেই জন্য দলে দলে সাধারণ লোক যোগ দিয়েছিল।

কিন্তু এখন সেটা সাধারণ লোকের কাছে নেই। যাত্রাপথে বাসগুলোতে চড়লে বুঝা যায়। সাহাবাগ আন্দোলন কারীরা হয়তো সে খবর রাখছেন না। কারণ এখন সেটা ছাত্রলীগ যুবলীগের বেষ্টনীতে পড়া আওয়ামিলীগ বাচাঁও মঞ্চ।
যে সরকার আঁতাত করল সে সরকার এসে সংহতি জানাচ্ছে। সেলুকাস। একেই বলে রাজনীতি । এটাই আওয়ামিলীগের ৫০ বছরের রাজনীতির চরম সার্থকতা। তারা রাজনীতি খেলতে জানে আর এদেশের মানুষলে নাচাতেও জানে।

শাহবাগের আন্দোলন রাজাকারের বিরুদ্ধে ছিল। ধর্মীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু আজ সেখানে সেটাই হচ্ছে। ধর্ম রাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলে আবার তারাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। কোন কোন আন্দোলন কারী সেখানে নামাজরত মানুষকে হাইলাইটস করছে। তার মানে এই যে এই আন্দোলনে ১৪ কৌটি মুসলমানের সহানুভুতি বড় প্রয়োজন।
আবার সেখানে একজন চিহ্নিত নাস্তিকের লোক দেখানো জানা পড়ে আরেক রাজনীতি করা হল। শাহবাগ যুদ্ধের ময়দান। সেখানে জানাজা টা খুব বেশী জরুরী কিছু নয়। নাস্তিক বুঝে শুনেই নাস্তিক হয়েছেন। এটা তার স্বাধীনতা। নাস্তিকতাও একটি ধর্ম। কাজেই যে নাস্তিক জীবদ্দশায় আল্লাহ, রাসুল আর ইসলাম কে নিয়ে ব্যাঙ্গ করেছেন মৃত্যুর পর সে নাস্তিক কে মুসলিম বানিয়ে তার জানাজা দেওয়া একটা হাস্যকর প্রহসন। উল্লেখ্য জানাজা ইসলামী শরিয়তের বিধান। অন্য কোন ধর্মের নয়। অবস্থা এমন হয়েছে যে , (আল্লাহ না করুক)একজন সনাতন ধর্মের অনুসারী আন্দোলনকারী যদি মারা যায় তবে সংখ্যাগুরু মুসলিমদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য তারও জানাজা দেওয়া হবে।


মোটকথা

শাহবাগের কিছু হাস্যকর কর্মকান্ড।
বামদের রাজনৈতিক এজেন্ডা সম্বলিত শ্লোগান।
মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে শ্লোগান।
ফ্যাসিবাদী হুমকি।
আওয়ামিলীগের শতভাগ কৌশলগত উপস্থিতি।
" শেখ হাসিনার ডাকে তরুনেরা শাহবাগে জমায়েত হয়েছে" নাসিমের এমন বক্তব্য।

সব মিলিয়ে শাহবাগের মহান বিপ্লব এখন গ্রহনযোগ্যতা হারাচ্ছে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫২

ধীবর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গেদুচাচা। আমি অবশ্য ইসলাম বিদ্বেষিদের নাস্তিক বলবো না। কারণ আমার এমন অনেক ঘনিস্ট বন্ধু আছে যারা ধর্ম মানে না। ওদের কোনদিন দেখিনি এমন কুৎসিত্ আর জঘণ্য ভাষায় ইসলামকে আক্রমন করতে।

আসলে ইসলাম বিদ্বেষিরা বিভিন্ন ব্লগের মডারেটরদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়ে মনে করেছিল যে, তারা বাংলাদেশে ঘৃণাবাদ চালু করতে পারবে। সেটা যে কত অলিক কল্পণা ছিল, এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। বিশেষ করে অন্তর্জালে তাদের এই "কীর্তির" কথা পত্রিকায় প্রকাশ হবার ফলে ওরা আরো প্রতিরোধের সম্মুখিন হবে।

যে তরুণরা এই আন্দোলনের সাথে জড়িত, তারা সাধারণ ধর্মভিরু এবং দেশপ্রেমিক, তাই এই সব ঘৃণাবাদি মতলব্বাজদের সাথে তাদের একটা দুরত্ব বজায় রাখতেই হবে। নতুবা সাধারণ মানুষেরা তাদের প্রত্যাখান করবে।

আমাদের দেশে বাম রাজনীতি এজন্য সফল হয় না, কারণ এরা সত্য মিথ্যা মিলিয়ে সাময়িক হুজুগই তুলতে পারে। আর কিছু না।

১১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

মুহাম্মাদ আলী বলেছেন: সত্য কথাগুলো পোস্ট এ আসার জন্য ভাললাগা দিয়ে গেলাম।পাকিস্তানি জাতিরা আসলে পুরো বাঙালি জাতিটাকেই ঘৃণা করত যার ফলাফল হিসেবে তারা ৭১ এ চরম ধোলাইটা খেয়েছিলো।

আমার আব্বা ৭১ এ পুরান ঢাকায় ছিলো।ভারতের আগরতলার মেলাঘর নামক জায়গা থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিয়েছিলো।এই একই রকম কথা তিনিও আমাদের বলেছেন।যদিও তার দাবি বাঙালি হত্যার জন্য বিহারিরা সবচাইতে বেশী দায়ি ছিলো এবং পাকিস্তানি আর্মি থেকেও তারা বেশী বাঙালি হত্যা করেছিলো।কিন্তু ইন্টারনেট বা বইতে এ ব্যাপারে কোন তথ্য পাই না

জামাতিদের আরও একটা কথায় খুব গা জ্বালা করে।তারা নাকি এখনও ইউনাইটেড পাকিস্তানে বিশ্বাসী।আমিও মনে করে শাহবাগ আন্দোলন রাজাকারদের ফাঁসি ও জামাত নিষিদ্ধের মধ্য থাকা উচিৎ।তবে এর সাহায্যে যদি বর্তমান আম্লিগ সরকারের পতন ঘটানো যায় সেটাও মন্দ কিছু না :P

যাক পোস্ট এ পিলাচ দিয়ে গেলাম

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

ধীবর বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই। আপনার আব্বার কথা সত্য। তবে দেশে এত বিহারী তো ছিল না যে সারা দেশব্যাপি রাজাকারি করতে পারবে। বেশিরভাগ রাজাকারি করেছিল চিহ্নিত বাঙ্গালিরাই। এদের অনেকগুলি এখন খোয়াড়ে আছে, যাদের নিয়ে আবার আওয়ামি লিগ রাজনীতির ধান্ধা শুরু করেছে।

যারা আমাদের দেশকে পাকিস্থান বা ইন্ডিয়ার সাথে একিভুত করার চক্রান্তে লিপ্ত, তাদের নিশ্চিহ্ন করার পক্ষপাতি আমি।

১২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

রবিন উত্তর কাট্টলী বলেছেন: কমেন্ট এ ভাল লাগার অপশন থাকলে ভাল হত। খুব সুন্দর লেখা ও কমেন্ট।
ধন্যবাদ

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

ধীবর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ রবিন ভাই।

১৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

ইকবাল পারভেজ বলেছেন: ভাই, একটা কথা কই; শাহবাগ আন্দোলন শুরু করছিল ব্লগাররা; কিন্তু সেই ব্লগারগো নেতৃত্ব স্থানে যারা আছেন তাগো মনোভাব কেমন? তাগো নাস্তিকের মুখোশে যে তীব্র ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব সেইটা কি আমাগো আমজনতা আন্দোলনকারীগো দেখতে ভাল লাগতাছে। মিডিয়া যদিও সব ধামা চাপা দিয়া দিছে কিন্তু সবাই তো আর বলদ না। তারপরেও শুধু দেশের কথা ভাইবা চোখ মুখ খিইচা আন্দোলনের সাথে আছি।


আপনার কথাই বোঝা যায় পারভেজ ভাই নেতৃত্বে আছেন, সেই পারভেজ ভাইরে দিয়াই শুরু করি। দাঁড়িপাল্লা/ধমাধম প্রথমবার যখন সেই কুৎসিত কাজটা কইরা একটা লোক দেখানো ব্যান খাইল; সেই সময় কিন্তু দাঁড়িপাল্লারে লইয়া সবাই ছি ছি করতা ছিল। সেই সময় পারভেজ ভাই-এর মনোভাবটা দেখেন-




আমাগো আরেক নেতা হইতাছে আমাগো প্রটেকশন পাওয়া চিপ, যে একসময় পাকিস্তানের পতাকা বুকে লাগাইয়া ইসলামকে গালিগালজ কইরা বেড়াইত; দেখেন তার দ্বিমুখী নীতি । প্রধানমন্ত্রীকে নিয়া সে যে লিখা লিখছিল, তারপরেও আমাগো প্রধানমন্ত্রী তারে দিল ২৪ ঘণ্টা প্রটেকশন। সে এখন বড় নেতা, টিভিতে সাক্ষাৎকার দিয়া বেড়ায়। আরেক নেতা ীতম তো হইল একটা হিট সিকার। অনেক ভাল ভাল ব্লগাররে বাদ দিয়া এগো দেয়া হইল প্রটেকশন, এগুলা দেইখা কি ভাল লাগে কন? এদের অনেকেই ইসলামকে গালাগালি করা শিল্পের পর্যায়ে নিয়া গেছে; সেইগুলা দেখতেও কি ভাল লাগে কন? আন্দোলন ছিনতাই হইয়া যাইতাছে সেইটা দেখতেও কি ভাল লাগে কন?



সব শেষে সিরিয়াস ভাবে একটা কথাই বলি, সবাই কিছু বাদ দিয়ে তারপরেও চোখ মুখ বন্ধ করে শাহবাগ আন্দোলনের সাথে আছি। শেষ পর্যন্ত দেখে যাব কি হয়। প্রধান দাবী দুইটাই সব রাজাকারের ফাঁসী চাই, জামাতের ব্যান চাই।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৯

ধীবর বলেছেন: আপনার দাবির সাথে পুর্ণ সহমত ইকবাল ভাই। যারা শুরু করেছিলেন, তাদের নাম এবং কর্ম দুটিই উল্লেখ করেছিল। আরেক্টার কথা বলিনি, কারণ সে কোন লেখকই না, ব্লগারও না। অন্যের লেখা চুরি করে, পোস্ট দিয়ে নিজের নামে চালাতো। একারণে ওর পশ্চাদদেশে লাত্থি দিয়ে সাধারণ ব্লগাররা ওকে দূর করেছে।

এখন এই চোরটাকে নিয়ে যে যত মাতামাতি করবে, সে তত পতিত হবে। আর মিডিয়ার যারা এই চোরটাকে ফোকাস করছে, তাদের জানাতে হবে যে এটা একটা চামবাজ চোর, কোন ব্লগার না। তাহলে ফাটা বেলুনের মত সব চুপসে যাবে। অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬

আমি বীরবল বলেছেন: এই মহান আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যেন কেউ শাহাবাগে পিকনিক বা ডেটিং বা মাদকের উৎসব করতে না আসে, সেদিকটাও খেয়াল রাখা জরুরি। কেননা, এটা রণাঙ্গন, কোন উৎসব নয়।

যখন থেকে শাহাবাগে ছাত্র লীগের সনত্রাসীদের আনাগোনা শুরু হয়েছে-তখনই বুঝে গিয়েছি-ফলাফল কি হবে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০১

ধীবর বলেছেন: আমি এখনও আশা করে আছি যে শাহাবাগে তরুণদের এই আন্দোলন অচিরেই রাহু মুক্ত হবে। অনেক ধন্যবাদ বীরবল ভাই।

১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৬

নরাধম বলেছেন:
"আর বিগত উদ্দিন সরকারের আমলের ২ বছর আর বর্তমান সরকারের ৪ বছর মোট ৬ বছরেও যদি গত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার শেষ না হয়, সে দায়ভারটা বিএনপি বা তার সমর্থকদের উপরে দেয়াটা অনুচিত হবে.."


কিন্তু বর্তমান সরকারের দুর্নীতির বিচার তো একইভাবে পরবর্তী বিএনপি সরকার এসে করবে, শ্বেতপত্র বের করবে, আগেরবার যেরকম করেছিল। তাই সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিএনপি এবং বিএনপিপন্থী লোকজন আছেন, এই শাহবাগের তরুনদের সে দায়িত্ব কাঁধে নেওয়ার কোন দরকার নেই। তাছাড়া সেটা যেহেতু দলবাজির ব্যাপার, সেটা করতে গেলে আন্দোলন তার গতি এবং উদ্দেশ্য হারাবে, সেহেতু এই নিষ্পাপ তরুনদের সেই দায়িত্ব গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা নিন্দনীয় এবং প্রকারান্তরে বিএনপিপন্থীদের এ আন্দোলনের প্রতি শত্রভাবাপন্ন মনোভাবকেই প্রকাশ করে।



" যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি নিয়েই থাকা উচিত। তবে সেটা সব দলের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়াটাই আন্দোলনকারিদের নিরপেক্ষতার সবচেয়ে বড় প্রমান হয়ে থাকতো। অথচ দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাসীনদের মধ্যে থাকাদের ব্যাপারে আন্দোলনকারিরা সোচার নয়।"

এই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় স্টেজ দখল করেছে যারা ইমরান সরকার বা অন্য অনেকে আ'লীগ বা বামপন্থী, কিন্তু সেটা তো ছাত্রদল সেখানে যাচ্ছেনা বলেই, ছাত্রদলের যাওয়া সম্ভবই না, কেননা বিএনপি জামাতকে কোলে নিয়ে বসে আছে। সেখানকার নেতৃত্ব বাদ দিলে সাধারণ আন্দোলনকারীরা আ'লীগ-বিএনপি-জামাত সব রাজাকারের বিচার চায়, তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করার কোনই উপায় নেই। তবুও আন্দোলনের নেতৃত্বে আরিফ জেবতিকরা আছেন যারা বিএনপিপন্থী এবং বিএনপির নমিনেশানও চাইবে বলে শুনছি সামনের ইলেকশানে। বুঝা যাচ্ছে ছাত্রদল সেখানে যাচ্ছেনা বলেই আ'লীগের মধ্যে যদি সত্যিই কোন যুদ্ধাপরাধী লুকিয়ে থাকে তাদের কথা আসছেনা। যদি তারা যেত তাহলে অবশ্যই আসত। তথাপি এটা পাগলেও বিশ্বাস করবেনা যে আ'লীগে কাদের মোল্লা বা সাকা চৌধুরীদের মত যুদ্ধপরাধী আছে, চিপায়-চাপায় রাজাকার থাকতে পারে, কয়দিন আগে সেরকম আ'লীগেরই একজন রাজাকারের বিচার করার জন্য ট্রাইবুনালে মামলা হয়েছিল। আ'লীগের যতই দোষ থাকুক, যতই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকুক, এই বিচারের জন্য আ'লীগই একমাত্র ভরসা, সেটা অস্বীকার করার কোনই উপায় নেই। খালেদা জিয়া যদি পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে আ'লীগের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী পায় এবং বিচার করে, আমরা তাতে খুব সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করব এবং তাদের সাথে থাকব। কে বিচার করছে সেটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ না, বিচারটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সেটা হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই, বরং খালেদা এই ট্রাইবুনালে শাস্তি পাওয়া সবাইকেই যথাসম্ভব ছেড়ে দেবে বা বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধ করে দেবে।

মূলকথা হচ্ছে আন্দোলনকারীদেরকে সবার ঘরে ঘরে গিয়ে তাদের নিরপেক্ষতা প্রমাণের প্রয়োজন নেই, যাদের তাদের নিরপেক্ষতার ব্যাপারে সন্দেহ, তারা নিজেরাই তো ট্রাইবুনালের আন্ডারে তথাকথিত আ'লীগের যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য মামলা করতে পারত, অথচ বিএনপি সেটা করেনি, কারন তাদের উদ্দেশ্য তো আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা না, তাদের উদ্দেশ্য জামাতের যুদ্ধাপরাধীদের বানণচানো আর জনগন বা শাহবাগের আন্দোলনকারীরা সেটা ভালই বুঝে। খালেদা জিয়া ওয়াশিংটন টাইমসে কলাম লিখেন গোআ, কাদের মোল্লা, কামারুজ্জামানরা নাকি আ'লীগের অপনেন্ট বলেই তাদের হেনস্থা করা হচ্ছে, তারা "প্রকৃত" যুদ্ধাপরাধী নয়! এমতাবস্থায় জনগন বা আন্দোলনকারীরা কিভাবে খালেদা জিয়াকে বিশ্বাস করবে? এটা সত্য যে বিএনপি এবং ছাত্রদলের একটা বড় অংশই এ বিচার চায় এবং চরমভাবে রাজাকারবিরোধী, কিন্তু পার্টীর হাই-আপ সেটাতে কমিটেড না, বিশেষ করে খালেদা জিয়ার নিজের এ ব্যাপারে কোনই কমিটমেন্ট নেই। তাই বিএনপিপন্থী বা আ'লীগবিরোধী লোকজনের অন্তত এই বিচারের জন্য আ'লীগকেই সমর্থন দিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক এবং আভ্যন্তরীন এত চাপ সত্ত্বেও আ'লীগ এই বিচারপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্চে সেটা খুবই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।






অফ-টপিক:
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপিপন্থীরা বর্তমান সরকারের দূর্নীতির কথা এমনভাবে বলে যেন মনে হয় তারা ধুয়া তুলসীপাতা, অথচ কারো দূর্নীতি নিয়ে কথা বলার আগে খালেদা জিয়াকে তার ঘর সাফ করতে হবে, কোকো এবং তারেকের লুটকৃত টাকা দেশকে ফেরত দিতে হবে এবং জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে লুটপাটের জন্য, তখনই দূর্নীতি নিয়ে তাদের কান্নাকাটি জনগন কানে তুলবে। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই বর্তমান সরকারের আমলে প্রচুর দূর্নীতি হয়েছে/হচ্ছে, কিন্তু সেটা বলার মত মুখ বিএনপির এবং তারেক কোকোর কোল বসে থাকা বিএনপি সমর্থকদের নেই।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

ধীবর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নরাধম ভাই। দুর্ণীতি বিরুদ্ধে এখনই কিছু বলার বিপক্ষ্যে আমার অবস্থান। পোস্টেও তাই বলেছি। হয়তো আপনার চোখ এড়িয়ে গিয়েছে।

দেশে যেখানে বিনেপির কর্মসুচির উপর পুলিশ আর ছাত্রলিগকে লেলিয়ে দমন করা হচ্ছে, সেখানে কোন ঝুকিতে ছাত্রদল সেখানে যাবে? সে রকম পরিস্থিতি কি আছে? দ্বিতীয় দিন থেকেই তো ছাত্রলিগ সেখানে আস্তানা গেড়েছে। তাছাড়া এই তো মনে হয় বছর দেড়েগ আগেই প্রকাশ্যে (এ সংক্রান্ত ছবিও পত্রিকায় এসেছিল) ছাত্রদলের নেতা টুকুকে চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছিল ঢাবিতেই। এর পরেও কিন্তু ৯০ এর আন্দোলনে জড়িত ছাত্রদলের প্রাক্তন ছাত্র নেতারা সেখানে যেতে চেয়েছিল ছাত্রলিগ সেটা মানা করে দিয়েছে।

আর সাকা চৌধুরির মুক্তি ব্যাপারে, বা তার বিচার চলাকে কি বিএনপি কোন আপত্তি করেছে? সাকা তো বিএনপিরই লোক, নাকি?

আর বিএনপি হলো সমর্থক সর্বস্ব দল। তাদের মর্মি বলতে অস্টরম্ভা। নইলে অনেক ইস্যুতেই বিএনপি রাজপথে জোড়ালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারতো। আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, আগামি যদি বিনেপি এসে আওয়ামি লিগের দুর্নীতির বিচার করে, তাহলে দেখবেন বছরের ৩৬৫ দিনই কি ভয়ংকর সন্ত্রাসি কার্যকলাপ শুরু করে ওরা। আপনার নিশ্চই মনে আছে যে, এরা মতের বিপক্ষ্যে গিয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের পবিত্র অঙ্গনেও ভাংচুর চালিয়েছিল।

আর তারেক কোকোর দুর্নীতির কথা যত শুনি, তত প্রমান হাজিরে তো আওয়ামি লিগ ব্যার্থ ! তারা প্রমান করুক কোথায় কবে কি হয়েছিল। তখনও যদি বিএনপি নিজের ঘর পরিস্কার না করে, তাহলে না হয় সেটার বিপক্ষ্যে কথা বলা যাবে, কি বলেন?

আপনার মত আমিও বিশ্বাস করতে চাই যে, আওয়ামি লিগ বিনা রাজনৈতিক স্বার্থেই যুদ্ধাপরাধের বিচার করবে। এতদিন পর্যন্ত যা দেখলাম, তাতে যাই হোক আন্তরিকতার কোন ছাপ দেখতে পেলাম না।

আর ব্লগের জাতিয়বাদিরা কোন অন্ধ বিএনপি ভক্ত নয়, একথা জোর দিয়েই বলতে পারি। আমাদের কাছে দেশ ভাষা আর দেশের স্বার্থ আগে। আর ভুল হলে যে আমরা স্বীকার করতে জানি, সে প্রমান বহুবার দেয়া হয়েছে, আপনার আগের মন্তব্যের উত্তরেও সেটা প্রমানিত।

আর আরিফ জেবতিক যদি বিএনপির কোন স্তরেই আবার প্রবেশ করতে চায়, সেটা তার জন্য শুভ হবে না, এতটুকু আগেই জানিয়ে রাখতে চাই।

১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১১

টয় বয় বলেছেন:
@নরাধম:

আরিফ জেবতিক জাতীয়তাবাদী? আমার বিএনপি থাইকা নমিনেশন চাইবো??

আরিফ জেবতিককে জাতীয়তাবাদী সার্টিফিকেট কি শাহ বাগীরা দিল? আর আগামীবার বিএনপি'র নমিনেশন কি হাসিনা দিব??? :):)


আরেক কথা, আওয়ামী চোরলীগের লুট-পাটের কথা দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি বলতে পারবে না ??? !!!!

আম্লীগের চুরি - চোট্টামির কথা কইতে হইলে কি কাবা শরীফের ঈমাম ডাইকা আনতে হইবো??


হাসিনা-রেহানা-জয় যেই পরিমান লুট করছে, সেই পরিমান লুট করতে হইলে তারেক -কোকোর ১ হাজার বছর সময় লাগবো :);)

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২১

ধীবর বলেছেন: টয় বয় ভাই, এই আরিফ জেবতিক নামের গিরগিটি যেখানেই যাবে, সেখানেই সর্বনাশ করবে। এ ব্যাপারে বিএনপির হাই কমান্ডকে সতর্ক করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

আর শুধু পদ্মা সেতু নির্মানেই যে দুর্নীতি প্রমানিত, ওই এক মামলাই অনেকের সাজা হতে পারে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৭

টয় বয় বলেছেন: -
ভাই আমি বুড়া মানুষ :)

আমরা ছাত্রদল দেখছি ৮১-৯১ দশকে, আজকের ছাত্রদলকে দেখলে আমার করুনা হয়|আরিফ জেবতিকের মত কোন আওয়ামী এজেন্ট বিএনপি অফিসের ধারে কাছে দেখলেই কুত্তার মতো পিটানোর কাজটা ছাত্রদলেরই করতে হবে|

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৫

ধীবর বলেছেন: নিশ্চিত থাকুন, জেবতিকের ডিগবাজি প্রতিরোধ করা হবে।

১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

নষ্টালজিয়া বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্টের জন্য ধীরব ভাইকে ধন্যবাদ। +

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

ধীবর বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নস্টালজিয়া ভাই।

১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

মাহির কাবির বলেছেন: টয় বয় বলেছেন:
-

শাহবাগ এখন ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফ্রন্টের দখলে!!

খুনি বাপ্পাদিত্য আর সন্ত্রাসী নাজমুল সেই খানে নেতা !

শাহবাগ থেকে নাজমূল আর বাপ্পাদিত্য ঘোষনা দিল:

মাহমুদুর রহমানকে হত্যা করো!

আসিফ নজরুলের চামড়া তুলো!!

পিয়াস করিমের ছামড়া ছিলে ফেলো!!

কাদের সিদ্দিকি রাজাকার !!!


হুমকি দিল আমারদেশ পত্রিকা বন্ধ কইরা দিব................!!!

বলিহরী আমার শাহবাগী প্রজন্ম !!!

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

ধীবর বলেছেন: কুকুর খাবারে মুখ দিলে যেমন হয়, ছাত্রলিগ এই আন্দোলনে মুখ দিয়ে পুরা আন্দোলনকেই নস্ট করে দিয়েছে। সাথে জুটেছে কিছু লুচ্ছা বদমাইশ দালাল, যারা নাকি আবার বুদ্ধিজীবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.