নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

৫২ আর ৭১ এর চেতনায় আছি বাধা

সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল

ধীবর

সাংবাদিক কলামিস্ট

ধীবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামি ফ্যাসিস্টদের হাতে সুন্দরবন ধবংস করে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করতে দেয়া হবে না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৮





বাংলাদেশের বিদ্যুতের প্রয়োজন নেই? অবশ্যই আছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ঠ নয়। একারণেই আরো বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরির অবকাশ আছে। কিন্তু আমাদের সেই সৌভাগ্য এখনও হয়নি যে, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে পাতি নেতা, আমলা , পেশাজীবি, মিডিয়া কর্মি, সুশিল সমাজ কেউই নিজের পাতে ঝোল টানা ছাড়াই কোন উদ্যোগকে সফল হতে দিয়েছে। এর উপর বিদেশি কোন রাস্ট্রের প্রতি চরম নতজানু সরকার, প্রভু দেশের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এই প্রকল্পে হাত দেয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা !



একারণেই লুটপাটের কারণে (অভ্যন্তরিণ অব্যবস্থাপনা, অযোগ্য লোকদের নিয়োগ দান ইত্যাদিও কারণ) এ পর্যন্ত কার্যকরি কোন বিদ্যুত কেন্দ্র গড়ে উঠেনি। ফলাফল? অর্থনীতিতে অনেক এগিয়ে যাবার সুযোগ হাতছাড়া। সাথে জনগণের ভোগান্তি তো আছেই।



বর্তমান সরকারের মুখে অনেক প্রতিশ্রুতি তো শুনেছি। কি পুরণ হয়েছে সেটা পাঠকরা ভালো জানবেন। তবে বিদ্যুৎ বাড়ানর জন্য প্রথমেই ভারতকে নিজের বুক চিড়ে রাস্তা করে দিয়ে ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র করার জন্য সাহায্য করা হলো। বলা হলো সেখান থেকে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত থাকবে। যেখান থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ কিনতে পারবে। কাজ শেষ হয়ে যাবার পর, সে পথে যাচ্ছে না ভারত। অর্থাৎ কাজ শেষ, বাংলাদেশ আবার কোন **র *ল? আওয়ামি লিগকে তো আর দেশপ্রেমিক বলা যায় না, যে আশা করবো এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে।



চুরি চামারি যাদের জন্মগত স্বভাব, এতটুকুতেই তাদের খাই মিটবে কেন? কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের নামে দেশের কোটি কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করা হলো। যার কন্ট্রাকগুলির প্রাপকের মধ্যে সামিট গ্রুপ অন্যতম। আজিজ খান নামের জনৈক অচেনা অজানা লোকের সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে, তার মেয়ের সাথে হাসিনা তনয়ের নাকি প্রণয় ঘটিত ব্যাপার আছে। দ্বিতীয় পরিচয় তিনি মন্ত্রি ফারুক খানের বড় ভাই। ( এই ফারুক খান আওয়ামি মেশিনে ঢুকা মুক্তিযোদ্ধা)।



এতেও আওয়ামি লিগের খাই মিটলে কথা ছিলো। কিন্ত না। গত সিলেকশনে ভারতের অর্থ এবং আন্তর্জাতিক প্রভাবকে খাটিয়ে ক্ষমতায় আসা লিগ, প্রথম থেকেই কুকুরের মতই বিশ্বস্ততার পরিচয় দিয়ে আসছে। এমনকি গোপণে দিল্লি গিয়ে এমনই চুক্তিই করে এসেছে, যা কিনা নিজ দলের সাংসদের সাথেও আলাপ করার সাহস নেই। তাই একের পর এক ভারতের স্বার্থে চুক্তি করলেও, বড় গলায় দেশপ্রেমের বটিকা বিতরণ করে যাচ্ছে।



যেখানে ভারতীয় সরকার নিজেই , নিজের অংশের সুন্দরবনের ধারে কাছে কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করতে ব্যার্থ হয়েছে, সেখানে দেশের মানুষের শত বিরোধীতার মুখেও বর্তমান সরকার সুন্দরবনের কাছেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাথে বিশেষজ্ঞ নামের কিছু তস্য কুকুরকে দিয়ে সেটা জায়েজ করাতে দিন রাত ঘেউ ঘেউ করাচ্ছে। আর অন্তর্জালে নতুন গজানো মুখ খারাপ এবং পর্ণ বানিজ্যের সাথে জড়িত অপপ্রচারের ডিপো থেকে বাংলাদেশিদের হাইকোর্ট দেখানোর অপপ্রয়াস করছে।



মিডীয়া পুরো দখল করে রাখলেও, সাধারণ মানুষদের ধোকা দিতে পারেনি হাসিনা সরকার। তাই নিতান্ত কাপুরুষের মতই বাগেরহাটের প্রোগ্রাম বদলিয়ে কুস্টিয়ায় বসে দেশের পিন্ডী চটকিয়েছে। সে যদি সৎ ই হতো তাহলে নিশ্চই নির্ধারিত স্থান থেকে অনেক দূরে এই কাজটি করতো না?



গোল্ডফিস মেমরির অধিকারি বাংলাদেশিদের আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, আমাদের দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধংস করার রুপকার হচ্ছে ভারত। এবং সেটা কার্যকর করার জন্যই বার বার তারা প্রকাশ্যেই আওয়ামি লিগকে পৃষ্ঠপোশকতা দিয়ে যাছে। ফারাক্কার প্রভাব যে কি সেটা উত্তরবঙ্গের মানুষকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। একবার টিপাইমুখ বাধ তৈরি হয়ে গেলে সিলেটবাসির মুখেও একই হাহাকার শোনা যাবে।



আর রামপাল বিদ্যুতকেন্দ্র তৈরি হয়ে গেলে, সোনায় সোহাগা। নিজের ক্ষতি করে ভারতের স্বার্থ পুরণের এই দেশ বিধংসি কাজে আওয়ামি লিগকে সর্ব শক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে হবে। মনে রাখবেন, আমাদের পুর্বসুরিদের উদাসীনতায় ফারাক্কা নামের মরদ ফাদ আমাদের গলায় ফাস হয়ে বসেছে। আওয়ামি চেতনার বড়ি গিলে টিপাইমুখের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এখন সুন্দরবন রক্ষায় যদি উদাসীনতা দেখাই, তাহলে আমাদের জন্মকেই ধিক্কার দিতে হয়।



আশার কথা হচ্ছে, আদর্শিক সম অবস্থানের বাইরে থাকা কিছু মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন তৈরি করেছে। অন্তর্জাল এবং বাস্তবে এই আন্দোলনে নিজেকে সম্পৃক্ত করুন। কে কোন আদর্শের সেটা বিচারের চেয়ে দেশের এর বড় সর্বনাশ রুখে দেওয়াটাই প্রাধান্য পাবার যোগ্য। মনে রাখবেন, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশপ্রেমিক সবাই রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে কাধে কাধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছিল।



আজকে দেশের বিরুদ্ধে এই জঘন্য ষড়যন্ত্র রুখতে চাই, একই ধরণের ঐক্য। নইলে আগামি প্রজন্মের কাছে আমরা কেউ মুক্তিযোদ্ধা নয় বরং রাজাকার হিসাবেই চিহ্নিত হবো।



ভারত আওয়ামি লিগ নিপাত যাক

স্বাধীন বাংলাদেশ মুক্তি পাক।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: আপনার পোস্ট প্রথম পাতাতে যায় নাই ।
বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে ইনশাল্লাহ

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

ধীবর বলেছেন: এটা নতুন কি ভাই? ডিজিটাল বাকশালের প্রতিচ্ছবি হয়ে গিয়েছে সামু। :)

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
যেমন কুকুর তেম মুগুর ছড়া কাজ হয় না। আড়িয়াল বিলে ঝাড়ু পিটা খেয়ে কিছুদিন মুখ লুকিয়ে থেকে আবার সেই একই উৎপাত শুরু করেছে। আর একবার ঝাড়ু পেটা করা লাগবে মনে হয়।

বি:দ্র: প্রথম পেইজে দেখানোর জন্য রি:পোস্ট করতে পারেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫

ধীবর বলেছেন: মুরশিদ ভাই, লাভ নেই। সামুর কর্তারা প্রথম পেইজে আমাকে এক্সেস দিবে না। আর এখনো এত আত্মসম্মানবোধ খুইয়ে বসিনি যে, ইনুর পৃষ্ঠপোষকদের কাছে এক্সেস চাইতে যাবো। অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০২

মোঃমোজাম হক বলেছেন: সরকারকে ঘৃণা জানানো ছাড়া কি করতে পারি!

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

ধীবর বলেছেন: আপনার ঘৃণাটুকু তারা থোড়াই পরোয়া করে মোজাম ভাই। তবে লেখালেখির মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে পারেন। কিছুটা হলেও কাজ হবে। অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:২৮

সদয় খান বলেছেন: বর্তমান সরকারের মতে রাজাকারদের বিচার করালেই দেশের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে । আসলেই কি তাই ? এটাই কি আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ? এই পাঁচ বছরে প্রধানমণ্ত্রির এমন কোন বক্তব্য আছে যেখানে তিনি যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে কথা বলেননি ? রাজাকার বিচার অবশ্যই দরকার আছে । ভাল হতো যদি এটা অন্তত নিরেপেক্ষ হতো । এটার মাঝেও ভেজাল ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

ধীবর বলেছেন: সদয় ভাই, নিজেদের ভারতের সেবাদাস পরিচয় লুকানোর জন্য এরা এই খেলাটা খেলছে। সবার সামনে নগ্ন হয়ে যাওয়াতে এখন সেই বুলি উধাও ! এই সবই আই ওয়াস মাত্র। সাধারণ মানুষদের সাধারণ চাওয়া, অন্ন বস্র বাসস্থান এবং আইন শৃংখলার উন্নতি। অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:৫৯

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: ভাই এই দেখেন হাসিনার কল্যাণে ভারত বড়ই লাভবান :)

'রামপালে মাত্র ১৫ ভাগ ইনভেস্ট করে ৫০ ভাগের কর্তৃত্ব পাবে ভারত'
Click This Link

এটাই হইল আওয়ামী-বাকশালী ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

ধীবর বলেছেন: বা জি ভাই অনেক কৃতজ্ঞতা। এমন নির্লজ্জ আর প্রকাশ্য ভারতের দালালি করার পরেও কিনা আওয়ামি লিগ স্বাধীনতার এক মাত্র সোল এজেন্ট? আবার সে কথা অনেক লোক দেখি বিশ্বাসও করে। মাঝে মাঝে মনে হয় বাংলাদেশে মানসিক রোগির সংখ্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে।

৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: আপনার ঘুম পেয়েছে? দেশের এ সময়ে আপনার লেখা খুব মিস করছি।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

ধীবর বলেছেন: জহির ভাই, দেশের ক্রান্তিলগ্নে ঘুমানোর তো প্রশ্নই উঠে না। কিন্তু সামুর কর্তৃপক্ষ ইনু সহ আওয়ামি লিগদের পশ্চাদদেশ বাচানোর ঠিকাদারি নেয়াতে, এখানে লেখা হচ্ছে না। কারণ প্রথম পাতায় এক্সেস দেয়নি, সাথে কমেন্ট ব্যান ! ভেবেছে এই সব করে ধীবরের কলম বন্ধ করে রাখবে? এমন চিন্তা যারা করে তারা ফ্যাসিস্ট মুর্খ। আবার ভাড়াটিয়া কিছু সাইকোকে দিয়ে চরিত্রহননের চেস্টাও এই সামু কর্তৃপক্ষই করেছে। আপনারা সম্মানিত পাঠক। আপনাদের বঞ্চিত করার কোন অধিকার নেই। কিন্তু হাত পা বাধা অবস্থায় কতটুকু করতে পারি বলুন? তবে আমার ফেবুকে আপনাকে স্বাগতম। আমার আইডি হলো ধী বর । অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৪

জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: Thanks Dhibor. I sent a request accordingly.

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

ধীবর বলেছেন: সাদরে গ্রহন করা হলো জহুরুল ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৮

ধ্রুবআলো বলেছেন: ভারত দ্বারা প্রতিনিয়ত এভাবে ধর্ষণ আর কতদিন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.